#সিজন_3#
পার্টঃ০২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
দুজনে আকাশে উড়তেছিলাম মনের মধ্যে। যাক একটা ক্ষমতায় আমি অনেক সন্তুষ্ট হলাম। এভাবে যদি আগে থেকেই উড়তে পারতাম তাহলে কত না ভালো হতো। আমি৷ আর হৃদিতা উড়তে উড়তে আকাশপুরীর কাছেই চলে আসলাম। ট্রিশুলটা কোমড়ে ছিলো ছোট হয়ে। আর তলোয়ারটা তো অদৃশ্য করে রেখেছি। এবার খেলা হবে। আমাদের উপরে আক্রমন করেছিলি তোদের সাহস কতো বড় সেটা আমি দেখবো। আমরা মেঘের রাজ্যে পা রাখলাম। অনেক বিশাল রাজ্য। ঠিক যেমন আমি বর্তমান সময়ে দেখেছিলাম। আমাকে একা দূর থেকে উড়ে আসতে দেখে আকাশপুরীর সেনারা সতর্ক হয়ে গেলো। তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি করতে লাগলো। হয়তো তারা দেখেছে তাদের সেনাদের কি করেছিলাম। তাই তো তারা এখন লাইন দিয়ে দাড়ালো। সব দাড়ালো বললে ভুল হবে। সবাই ডানা বের করে উড়তে লাগলো। আমি উড়ে এসে দাড়ালাম মেঘের উপরে। আমার পাশে হৃদিতা ও দাড়ালো। আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হাসি দিলো।
.
--কি করতে পারেন এখন দেখবো।(হৃদিতা)
.
--আমি তো কিছুই করতে চাচ্ছিলাম না।(আমি)
.
--কি ক্ষমতা আছে আপনার সেটাই দেখতে পারলাম না আমি।(হৃদিতা)
.
--আচ্ছা দেখি দেখানো যায় কিনা।(আমি)
।।।।
।।।।
দেখলাম তারা আমার উপরে হামলা করছে না। মানে তারা আমার সাথে মনে হয় যুদ্ধ করতে চান না। তাই আমি ও কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। তখনি তাদের রাজা মনে হয় ডানা মেলে উড়ে আসলো আমার কাছে। আমি দাড়ালাম ঠিক মতো। তার সাথে আরো ১০ জন সেনা রয়েছে।
.
--দেখুন আমি চাই না আপনার সাথে যুদ্ধ করতে। আমার ছেলের বিবাহ হবে আজকে। তাই এসময় আমি কোনো রক্তারক্তি চাই না?(রাজা)
.
--ও।(আমি একটু ভয় পাওয়ার ভাব নিয়ে বললাম)
.
--আপনি ফিরে যান সেটাই আপনার জন্য ভালো হবে।(রাজা)
.
--আদেশ দিচ্ছেন আমাকে?(আমি)
.
--হ্যা সেটাই ভাবতে পারেন। নাহলে আমার পুরো সেনার কবলে পরবেন আপনি।(রাজা আমার কাধে একটা হাত দিয়ে বললেন)
.
--আমাকে আদেশ দিলেন মানলাম। আমার গায়ে আমার অনুমতি ছাড়া হাত দিলেন এটা মানলাম না।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি রাজার হাতটা ধরলাম। তারপর দিলাম একটা জোড়ে মোচড়। সাথে সাথেই রাজার হাত ভেঙে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম আমার কাছে আগের তুলনায় অনেক শক্তি চলে আসছে। সাথে সাথে রাজা চিল্লিয়ে উঠলো। রাজার সাথে আসা ১০ জন সেনা তাদের তলোয়ার বের করলো আমার উপরে হামলা করার জন্য। আমি রাজার পায়ে একটা লাথি দিলাম। সাথে সাথে রাজার পা থেকে করমর করে একটা আওয়াজ দিলো। বুঝতে পারলাম সেটাও ভেঙে গেছে। অবশ্য অনেকটা জোরেই মেরেছিলাম। রাজা মেঘের মাটির উপরে পরে গেলো।
.
--সব কিছু না জেনে আগ বাড়িয়ে কিছু করা ঠিক নয়। যে ভুলটা আমি করেছিলাম। আপনি ও সেটাই করেছেন। তবে আমি একটা সুযোগ পেয়েছি তবে আপনি সেই সুযোগ পাবেন না।(আমি)
.
--ছেড়ে দিন মহারাজকে। নাহলে আপনার গর্দান যাবে।(১০ জনের মধ্যে একজন উড়তে উড়তে বললো)
.
--গর্দান নিবেন। আগে নিজের রাজাকে তো বাচান।(আমি রাজার গলায় একটা পা দিলাম। অবশ্য কিছু করলাম না)
.
--মহারাজকে ছেড়ে দিন।
.
--এখানে এসেছিলাম শুধু জলপুরীর প্রাক্তন রাজা হ্যারিকাসের কন্যাকে নিয়ে আসার জন্য। ভেবেছিলাম আকাশপুরীর কিছুই করবো না যদি ভালো ভালোই তারা জলপরীটাকে আমার কাছে তুলে না দেই তাহলে। কিন্তু এখন তো দেখছি রাজা নিজেই আমার পায়ের নিচে চলে আসলো।(আমি)
.
--দেখুন আমরা তিন পর্যন্ত গুনবো তার মধ্যে যদি আপনি মহারাজকে না ছাড়েন তাহলে।।।
।।।
।।।
ওর বাকি টুকু বলার আগেই আমি কোমড় থেকে ট্রিশুলটা বের করে সেটা ঢুকিয়ে দিলাম ওর পেটের মধ্যে। অবশ্য রাজার প্রতি আমার দয়া হয়েছে তাই তাকে মারলাম না। ঔটাকে মারার পর আমি বাকি ৯ জনের উদ্দেশ্যে বল্লাম,
.
--আর কেউ কিছু বলবে?(আমি)
.
--না।(সবাই একসাথে ফেলে দিলো হাতের অস্ত্র। এবং হাটি গেড়ে বসে আমাকে কুর্নিশ করলো)
.
--কি হলো?(আমি)
.
--মহারাজ যাকে মাত্র মারলেন তিনি আমাদের সেনাপতি ছিলেন। এখন সেই মারা গেছে তাহলে সেনা কে দেখবে। আর আমরা আপনার শক্তি নিজের সামনে থেকে দেখেছি তাই আপনার সাথে লড়া মানে নিজের না পুরো আকাশপুরীর ধ্বংস করা হয়ে যাবে।(৯ জনের একজন)
.
--তাহলে আমাকে মহারাজ মেনেই নিয়েছেন? নাম কি আপনার?(আমি)
.
--মহারাজ আমার নাম গিলোল।(গিলোল)
.
--এখানের সেনাপতি তো মারা গেলো। এখন থেকে গিলোল আপনিই আমার সেনাপতি। আপনার কথাটা আমার ভালো লেগেছে।(আমি)
।।।।
।।।।
গিলোল আর কিছু বললো না। সে আমার সামনে আবার কুর্নিশ করলো। বাকি যত সেনা ছিলো সব আমার সামনে কুর্নিশ করলো। তারা কেউই হয়তো আমার সাথে যুদ্ধ করতে চাই না। এমনিতেও করবে কেনো। তারা দেখেছে জলপুরীতে আমি কি করেছিলাম। শুধু শুধু আমাকে রাগানো মানে সবার ধ্বংস করা। আমি রাজাটাকে ছেড়ে দিলাম।
.
--কি করতে পারি আমি সেটা না হয় দেখালাম না। কিন্তু আপনি নিশ্চয় বুঝে গেছেন কি করতে পারি আমি।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ।(রাজা আমার সামনে কুর্নিশ করে)
.
--(আমি)
.
--আর হ্যা জলপুরীর রাজকন্যাকে সসম্মানে তার বাবার কাছে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ।(গিলোল)
।।।।
।।।।
সাধারন সেনা যদি কারো সুপারিশে সেনাপতি হয়ে যায় তাহলে সে অক্ষরে অক্ষরে তাকে যে সুপারিশ করেছে তার কথা পালন করবে। গিলোলও তাই করছে। আমার এসব জ্বীনদের প্রতি বেশী বিশ্বাস হয় না এখন। এখানে আমি থাকতে চাই না বেশীক্ষন। কারন আমার কেমন জেনো লাগে এতো উপরে থাকতে। আগে থেকেই আমি আকাশপুরীতে সময় অনেক কম দিয়েছি। আমার সব সময় ভালো লাগলো জলের মধ্যে। নিজের অস্তিত্ব বোধ করতাম আমি পানির মধ্যে থাকলে। আমি এটা বলতে পারি যে, কেউ যদি পানির নিচে দম নিতে পারতো তাহলে সবসময় পানির নিচেই থাকতো। আর আমি তো পানির নিচে দম নিতে পারি সেই সাথে কথা ও বলতে পারি। এমন যদি কেউ পারতো তাহলে হয়তো সে পানি থেকে উঠতেই চাইতো না।
।
যাক সে কথা। অনেকদিন হয়ে যায় আমার এই রাজ্য ঘুরে দেখা হয় নি। ভাবলাম আজকে একটু ঘুরে তারপর ফিরবো। আমি রাজাটাকে বল্লাম,
.
--এখানের রাজা হতে আমি আসি নি। শুধু এসেছিলাম রাজকন্যাটাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। আপনার রাজ্য আপনিই পরিচালনা করবেন। শুধু খেয়াল রাখবেন কখনো যদি কোনো অন্যায় করেন আপনি তাহলে সেটার জন্য কিন্তু শাস্তি আমি দিবো।(আমি)
.
--ধন্যবাদ মহারাজ আপনাকে।(রাজা)
.
--হুমমম।(আমি)
।।।।
।।।।
পুরো সেনা আমার সামনে কুর্নিশ করলো। চাইলেই এখানের রাজা হয়ে যেতে পারতাম। শুধু এখানের না আমি তো পুরো পৃথিবীর রাজা হতে পারতাম কিন্তু না এটা একদম আমার আর ভালো লাগছে না। আমার কেনো জানি এসব থেকে মুক্ত হতে মন চাচ্ছে। খালি আকাশে কারো হাত ধরে উড়তে মন চাচ্ছে আমার। এই রাজ্য, রানী আর প্রজাদের থেকে আমি বিরক্ত হয়ে গেছি। আমার জীবন পুরো বিষাদ ময় হয়ে গেছে। আমি আর এসব চাচ্ছি না এখন। এখন কেনো আমার আর দরকারই নাই এসবের। হৃদিতা আমার পাশেই ছিলো এতোক্ষন আমার কার্যকলাপ দেখতে ছিলো সে। আমাকে কিছুই বলে নি সে এতোক্ষন। আমি বুঝতে পারলাম আমি ছাড়া কেউ ই ওকে দেখতে পাই নি। নিজের পাশে একজন অশরীরি আছে এটা ভাবতেই শরীর কেমন ধমকে দাড়াই। কিন্তু কে আছে সেটা দেখার পর মনটা নরম হয়ে যায়। হৃদিতাকে এখন দেখলে মন চাই আমি ও ওর সাথে অশরীরি হয়ে যায়। তারপর সারা জীবন ওর সাথে আমি আকাশ দিয়ে উড়ে বেরাবো। কিন্তু তেমন হওয়ার সম্ভবনা শূন্য। আমি মারা গেলে দুজনেই হয়তো ওপারে চলে যাবো। কে কোথায় যাবো তার কোনো ঠিক নাই। বয়সের একটা দেয়াল আমাদের মাঝে এসে দারাবে। কারন সে আমার ২০০০ বছরের বড়। আমার সময়ে যদি আমি কাউকে বলি আমি আমার থেকে ২০০০ বছরের বড় কাউকে বিয়ে করেছি তাহলে লোকটা নিশ্চয় আমাকে পাগল বলবে। আর টাইমমেশিনের কথা তুললে তো বলবে, নিশ্চয় আমি নেশা করেছি।
।
এমনি হয়।।। নিজের কাছেই অনেকটা জিনিস বিশ্বাসের মতো না। তাহলে তারা কিভাবে করবে। আমি আর হৃদিতা পুরো আকাশপুরীটা উড়তে উড়তে দেখতে লাগলাম। অনেক হয়েছে ভাবলাম এবার একটু শ্বশুরের কাছে ফেরা যাক। সেখানেও কিছু কাজ করতে হবে আমার। না করলে তো কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না। আমি আর হৃদিতা উড়াল দিয়ে চলে আসলাম হিরোনাসের রাজ্যে। এতোক্ষনে গিলোল মনে হয় হ্যারির কন্যাকে পৌছে দিয়েছে। আমি রাজ প্রাসাদের সামনে উড়ে এসে নামলাম। হঠাৎই কিছু সেনা আমাকে আক্রমন করতে আসলো। প্রথমে ভাবলাম কিছু করবো। কিন্তু না আমাকে চিনতে না পেরে তারা সেভাবে এসেছিলো। ভেবেছিলো হয়তো আমি আরেক জাদুকর। আমি ভিতরে ঢুকলাম। আমার সাথে হৃদিতাও আসলো। আমি রাজার সামনে এসে দাড়ালাম। হৃদিতা ওর বাবাকে দেখে কেদে দিলো। থাকতে না পেরে ও চলে গেলো। হয়তো ওর বোনকে দেখতে গিয়েছে। আমার কিছু কথা ছিলো রাজার সাথে।
.
--তোমার অপেক্ষায় ছিলাম হারকিউমাস।(রাজা)
.
--হুমমম মহারাজ বলুন।(আমি)
.
--দেখো আগেও বলেছি আরো একবার বলছি। আমার বয়স হয়ে গেছে। আমার দ্বারা এই রাজ্য আর চালানো সম্ভব নয়। আমি এটাকে একজন শক্তিশালী রাজার হাতেই তুলে দিতে চাই। আর তুমি আমার জামাতা। তোমার হাতে তুলে দিতে আমার কোনো আপত্তি নেই।(রাজা)
.
--আমি আপনার জামাতা ছিলাম। এখন নেই।(আমি)
.
--সে জন্যই তো ছোট রাজকন্যার বিবাহ তোমার সাথে দিতে চাই।(রাজা)
.
--দেখুন মহারাজ। আমি এতো বিবাহ তে আগ্রহী নয়। আর আমি আপনার কাছ থেকে এখানে রাজ্য দান পেতে আসি নি।(আমি)
.
--তাহলে?(রাজা)
.
--আমি কোনো কিছু দান নেওয়ার মতো ছেলে না। যেটা আমার দরকার সেটা আমি আদায় করে নি।।(আমি)
.
--এসবি তো তোমার হবে।(রাজা)
.
--আমার এসব কিছুই লাগবে না।(আমি)
.
--তোমার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না হারকিউমাস।(রাজা)
.
--আচ্ছা প্যাচানো বাদ দিতেছি। আপনি এখনি আমাকে আপনার রাজ্য দিয়ে দিন।(আমি)
.
--আগে আমার মেয়েকে বিবাহ করো।(রাজা)
.
--সেটা নাহয় পরে করলাম। আগে রাজ্য দিয়ে দিন।(আমি)
.
--অনেক বদলে গিয়েছো তুমি।(রাজা)
.
--হ্যা।(আমি)
।।।।
।।।।
রাজা হয়তো ভাবলো আমি তার মেয়ের মারা যাওয়ার শোকে বলদে গিয়েছি। কিন্তু না। আমি যে প্রস্তাব রাখতে চেয়েছিলাম রাজা তাতে কখনো রাজি হতো না। উল্টো পরে আমাকে আমার জোর খাটাতে হতো। আমি এটা চাচ্ছিলাম না। এতে হৃদিতা কষ্ট পেতো। আমি সবারই সুখ চাচ্ছিলাম। অনেক কষ্ট আমি দিয়েছি সবাইকে। হয়তো আমার এখানে আসাতে একটা বালা দূর হয়েছে কিন্তু অনেকগুলো আমি নিজে এনেছি।
।
রাজা সিংহাসন থেকে নেমে তার মুকুট আমাকে পরিয়ে দিলেন। এবং আমাকে তার আসনে বসালেন। এবং সবাইকে ঘোষনা দিলেন যে আমিই এখন এখানের রাজা। লিখিত কিছু দিলেন না। কারন এখনো লেখার কিছু আবিষ্কার হয় নি যেটা সংরক্ষন করা যাবে। আমি এতেই খুশি।
.
--মহারাজ আমি আমার রাজ্যে আমার বিশ্বাসীদের পদ দিতে চাই।(আমি)
.
--এখন তুমিই এই রাজ্যের মালিক হারকিউমাস। তুমি যা চাও তাই হবে।(আমি)
.
--ঠিক আছে আমি মন্ত্রী হিসাবে আমার মন্ত্রীকেই নিয়োগ করলাম। এবং আমার সেনাপতি হবেন আমার মিত্র সিগমা। এবং আমার অবর্তমানে এই রাজ্য চালনা করবে সিগমা।(আমি)
.
--কিন্তু।(রাজা)
.
--আমি এখন রাজা। এটাই আমার আদেশ।(আমি)
.
--কিন্তু মহারাজ আমার কাছে তো কোনো শক্তিই নেই।(সিগমা)
.
--শক্তি লাগবে না সিগমা। আপনার মনের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে সেটার জন্যই আপনি এটার যোগ্য।(আমি)
.
--ঠিক আছে মহারাজ।(সিগমা)
.
--আর রাজা হিরোনাস। আমি আপনার মেয়েকে বিবাহ করতে পারবো না। আপনার বড় মেয়েকে আমি বিবাহ করেছিলাম। এখন আর কাউকে আমি বিবাহ করতে পারবো না। তবে আমি আপনার মেয়ের বিবাহ আমার মিত্র সিগমার সাথে দিতে চাই আজই।(আমি)
.
--কি? সামান্য একজন সেনাপতির সাথে আমার মেয়ের বিবাহ?(রাজা)
.
--আপনি কিন্তু অহংকার করছেন। আর আমি এটা চিন্তা করেই বলেছি। আপনার মেয়ে আর সিগমা দুজনে একে অপরকে পছন্দ করে। তাদের বিবাহ হলে তারা সুখেই থাকবে। আর এই রাজ্য তাদের অধীনেই থাকবে।(আমি)
.
--কিন্তু।(আমি)
.
--আমি রানীর শাসন চালু করে যাবো। কেউ এই নিয়ম ভাঙতে পারবে না। ভাঙলেই তার শাস্তি হবে হোক সে রাজা বা রানী। এতে করে আপনার মেয়েই থাকবে পুরো রাজ্যের অধিকারিনী।(আমি)
.....
।।।।
রাজা কি ভেবে যেনো রাজি হয়ে গেলেন। সিগমা হয়তো এটা চিন্তা ও করে নি। আমি তো এটার জন্যই এখানে এসেছিলাম। কারন আর হয়তো এদের কারো সাথে আমার দেখা হবে না। আমি কারো সাথে দেখা করতেও চাই না। শুধু আছি আমি সেই এলিয়েনদের অপেক্ষায়। কবে তারা আসবে আর আমি বর্তমানে যেতে পারবো। সিগমাকে আমি পাশে সরিয়ে নিয়ে আসলাম।
.
--মহারাজ এটা আপনি কেনো করছেন?(সিগমা)
.
--আপনার অধিকার আছে সিগমা এতে।(আমি)
.
--কিন্তু?(সিগমা)
.
--কোনো কিন্তু নই সিগমা। আমাদের আর দেখা হবে না হয়তো। তাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাকে আজকেই নিতে হবে।(আমি)
.
--আর দেখা হবে না মানে। কোথায় যাচ্ছেন?(সিগমা)
.
--এতো শক্তি নিয়ে তো আর আমি এভাবে ঘুরতে পারি না। আমাকে নিজেকে একটা গোপনীয় জায়গায় আটকে রাখতে হবে। যেখানে কেউ কোনো দিন আমার হদিস পাবে না।(আমি)
.
--কিন্তু আপনার রাজ্য।(সিগমা)
.
--আমার রাজ্য কি শুধু এইটা? কয়টা রাজ্য আমি দেখবো বলেন। আমি আমার এই রাজ্য দেখার দায়িত্ব আপনাকে দিলাম। জানি ভালো ভাবেই দেখতে পারবেন।(আমি)
.
--আপনার এই ঋণ যে আমি কিভাবে শোধ করবো?(সিগমা)
.
--একটা কাজ করবেন তাতেই হবে।(আমি)
.
--হুমমম বলেন মহারাজ।(সিগমা)
.
--পুরো দুনিয়ার মানুষের মুখ থেকে আমার কথা এবং এই সব জাদুর কথা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ চেষ্টা করবো।(সিগমা)
.
--আর একটা কাজ করতে হবে আপনাকে?(আমি)
.
--২০০০ বছর পরে এই পৃথিবীতে অনেক বড় একটা বিপদ আসবে। সেটার জন্য একটা গোপন হারকিউমাস আর্মি প্রস্তুত করবেন আপনি। বিষয়টা খুবই গোপনীয় ভাবে নিয়ম করে দিবেন।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ।।।(সিগমা)
.
--আর এই নিন আপনার বিবাহের গিফট।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি সিগমার বুকে নিজের হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করলাম। সামান্য কিছুটা ক্ষমতা আমি ওকে দিয়ে দিলাম। ওর ক্ষমতারই কিছুটা আমি ওকে দিয়ে দিলাম।
.
--মহারাজ আমার শক্তি?(সিগমা)
.
--হ্যা আপনার জিনিস আপনাকেই দিলাম। আর হ্যা আমার হারকিউমাস আর্মিটা কিন্তু এই জাদুর ক্ষমতাশালী হতে হবে। যার জন্য আপনার বংশের মধ্যে দুটো সন্তান হলে যার মধ্যে এই ক্ষমতা আপনি দিতে চাইবেন তাকে সবার আড়াল করে রাখবেন।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ বাকিটুকু আমি বুঝে গেছি।(সিগমা)
.।।।।
।।।।
সিগমা আমাকে অনেক বিশ্বাস করে। আর কেউ হলে হয়তো জিজ্ঞেস করতো কি বিপদ আসবে মহারাজ? আরো কত প্রশ্ন করতো। কিন্তু সিগমাকে যখন আমি বলেছি ভালোই বড় বিপদ আসবে তখন সে এক বারেই মেনে নিয়েছে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ৩য় পার্টের জন্য।