#সিজন_3#
পার্টঃ১৪
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমার তলোয়ার দিকে লাল একটা তরঙ্গ বের হলো। আর সেটা রুদ্রিসের শরীরটাকে দু টুকরো করে দিলো। সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। এতোক্ষন হয়তো আমার বিরুদ্ধে লড়তে চেয়েছিলো কিছুসংখ্যক সৈন্য। কিন্তু এবার তারা পুরো আশা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের সেনাপতি আমার এক ঘুসিতেই ধুলো হয়ে গেছে। আর রাজা তো দু টুকরো হয়ে গেছে। জারা এখনো ভয়ে কাপছে। আমাকে দেখে অনেক ভয় পাচ্ছে ও। কারন আমি রেগে গিয়েছি। আর আমার রাগের জন্য আমার শরীর দিয়ে কালো ছায়া বের হচ্ছে। সেটা দেখে জারা বেশী ভয় পাচ্ছে। কারন ও বুঝতে পেরেছে আমি হৃদয় হলেও আগের হৃদয় নই। অনেক বদলে গেছি আমি। এক মাসেই আমার শরীর সহ আমার মনটাও এভাবে বদলাবে সেটা জারা চিন্তাও করে নি। কিন্তু আসল খবর তো সে জানেই না। আচ্ছা সেটা বাদ দিলাম। আমি চোখ দুটো বন্ধ করলাম। কারন কেউ আমাকে কিছু বলছিলো। আমি দেখতে পেলাম আমার সামনে আমার মধ্যে বন্ধী কালো জাদুকর চলে আসলো। সে আমার কানে কানে বলতে লাগলো এই সবাইকে ধ্বংস করে দাও। ধ্বংস করে দাও এই প্রতারকদের। এসবের বাচার কোনো অধিকার নাই।
।
আমার কেনো জানি কেরেলার কথা গুলো শুনতে মন চাচ্ছিলো। কিন্তু আমার বিবেক আমাকে বাধা দিলো। একবার তো ধ্বংস করেছিই আবার না করলেও হবে। কিন্তু বুঝতে পারতেছি না কেরেলা আমাকে এভাবে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতেছে কেনো। ওর তো এমন কোনোদিনও করার কথা না। ওর তো আমার মাঝেই মৃত হয়ে থাকার কথা। তাহলে ওর ক্ষমতাগুলো আমাকে কেনো নিজের করতে চাচ্ছে? এটা খুবই আশ্চর্যকর কারন এই প্রথম আমার সাথে এমন হচ্ছে। তাউ এই অচেনা মেয়েটা আমার সামনে আসার পর থেকেই হচ্ছে এমনটা। যে করেই হোক আমাকে এর রহস্য বের করতে হবে। তার আগে আমার আরো কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলো শেষ করতে হবে। নিজের রাজ্যগুলো আবার একত্রিত করতে হবে। মানে সব বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তি আগে দিতে হবে।
।
মোহনার উপরে আমার বিশ্বাস আগে থেকেই একটু কম ছিলো। তাই ভালোবাসাটাও একটু কমই ছিলো ওর প্রতি। আর এখন তো রাগ বেড়ে যাচ্ছে। ওকে জারাকে আমি কোনো কঠিন শাস্তি দিবো না। তবে ওদেরকে আমি চির জীবনের জন্য কয়েদ করে রাখবো। দেখি রানী হওয়ার ইচ্ছা কিভাবে পূরন করে দুজনেই। এবার যেতে হবে আকাশপুরীতে। দেখি রাজা অদ্রিস আমাকে দেখে কি করে। নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করে নাকি আমাকে মারতে আশে।
.
--১ মাসের জন্য রাজা ছাড়াই থাকো তোমরা। আমি এখনি তোমাদের রাজা হবো না। এক মাস সময় দিলাম ঠিক মতো ভাবার জন্য। চাইলে তোমরা আলাদা রাজ্য গড়তে পারবে অন্য কোথাও কিংবা আমাকে রাজা মেনে এই রাজ্যে থাকতে পারবে। এখন কোনটা করবে সেটা ভাবার ১ মাস সময় দিলাম আমি। এর পর থেকে আর গোপনে নয়। পৃথিবীর সব জীবিত জিনিস একসাথেই জীবন যাপন করবে। আর হ্যা এর মাঝে যদি কোনো খারাপ কাজের খবর আমার কানে যায় তাহলে তাকে এবং তার পুরো বংশধরকে নিজেদের জীবন হারাতে হবে। আমি হৃদয় টিটান আজ থেকে এই নতুন নিয়ম বানালাম। যে কেউ এই রাজ্যে যদি কোনো অন্যায় কাজ করে তাহলে শুধু সে না তার পুরো বংশধর সেই শাস্তি পাবে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি এটা বলেই সেখান থেকে উড়ে চলে আসলাম। নতুন নিয়মটা বানানোর কারন আছে অনেক। কারন আমি যখন রাজা ছিলাম তখন থেকেই অনেক অন্যায় হতো জলপুরীতে। কিন্তু এখানের তেমন নিয়ম ছিলো না। রাজারা এসব বিষয়ে তেমন খেয়ালই দিতো না। আর আমি যে হিরোমাসকে অনেক জ্ঞানী আর শক্তিশালী রাজা মানতাম সে আসলে খুব খারাপ অত্যাচারী এবং মেয়ে আসক্ত জলমানব ছিলো। সে কোনো জলপরীর উপরে মুগ্ধ হতো না। তার চেহারা ভালো ছিলো বিদায় সে প্রতি রাতেই প্রায় একটা একটা করে মাটির মেয়েদের ফাসাতো। এবং তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক রাখতো। এতে করে পৃথিবীতে তার সন্তানের সংখ্যা হিসাব করলে অনেক। তার মধ্যেই একজন ছিলো এই রাজা রুদ্রিস। বিষয়টা আমাকে সেদিন হৃদিতাই বলেছিলো। সব জিনিসের খবরই রেখেছে হৃদিতা। বলতে হবে একজন পারফেক্ট অশরীরি ও। যার বাপ এমন আচরনের হবে তার মেয়ে কতটা খারাপ হতে পারে সেটা আমার ধারনার বাইরে। তাই জারার মিথ্যা গিরগির আমি শুনি নাই। ওকে বন্ধী করার হুকুম দিয়েছিলাম আমি। তারপরই আমি উড়ে পানির উপরে চলে আসলাম। আমার কাছে কথা বলার মতো ফোন নাই। নাহলে হৃদিতার সাথে একটু কথা বলতাম। ওর সাথে দেখা করার আগে আমাকে আকাশপুরীতে যেতে হবে। কিন্তু ভয় তো একটাই। আমি যদি আকাশ দিয়ে বেশীক্ষন উড়ি তাহলে তো খুব সহজে এলিয়েনের কাছে ধরা পরে যাবো। তখন তাদের সাথেও লড়তে হবে। আর এখন আমি তাদের সাথে কোনো লড়াই চাই না। আমি চাই আগে আমার রাজ্য গুলো আমার হোক। কারন সেগুলো এখন খারাপ হাতে চলে গেছে। তারা যদি রাজ্যই চাইতো তাহলে আমার বিশ্বস্ত থাকতে পারতো। আমি তো এমনিতেই তাদের রাজ্য দিয়ে দিতাম। এই রাজ্যের প্রতি আমার কখনো কোনো লোভ ছিলোও না আর থাকবে ও না। আপাতোতো আকাশপুরীতে যাওয়া বাদ দিলাম। কারন আকাশে কোনো মানুষ উড়তে দেখলে তারা সন্দেহ করবে। তাই আমি কোনো প্রকার সময় নষ্ট না করেই আমার দ্বীপ রাজ্যের দিকে যেতে লাগলাম। আমাকে টেলিপোর্ট হয়ে সেখানে যেতে হবে। তাছাড়া আর কোনো উপায় নাই। আমি দ্বীপ রাজ্যে এসে আবার সেই জায়গায় চলে আসলাম। হৃদিতা আমাকে দেখা মাত্রই আমার কাছে চলে আসলো
.
--আপনাকে দেখে মোটেও আমার ঠিক মনে হচ্ছে না।(হৃদিতা)
.
--আমি ঠিক আছি। কিছুই হয় নাই আমার।(আমি)
।।।।
।।।।
কিন্তু আমি ঠিক নাই। কারন তখন রাগ বেশী হওয়ার ফলে আমার মাঝেই কিছু একটা জ্বলছিলো। কালো শক্তিটা আগুনের সাথে মিশে কালো একটা আগুন তৈরী করেছিলো। যেটা আমার শরীরের মাঝের বাকি শক্তিগুলোকেও হারিয়ে নিজের করতে চাচ্ছিলো। এতে আমি অনেক দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম। এতটাই দুর্বল হলাম যে আমি অজ্ঞান হয়ে হৃদিতার বুকের উপরে পরে গেলাম। হৃদিতা আমাকে শক্তি করে ধরলো। আমাকে নিয়ে মেডিক্যাল রুমের দিকে গেলো। আমার উপরে অনেক পরীক্ষা করতে হবে। কারন হৃদিতা আমার শরীর স্পর্শ করেই খারাপ কিছু বুঝতে পেরেছে।
.
--মহারানী মহারাজের কি হয়েছে?(জিনিয়া)
.
--যেটা হয়েছে সেটা খুবই খারাপ হয়েছে। আমি ওনার ভিতরের শক্তি গুলোর মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে দেখেছি। মানে কিছু একটা খারাপ হতে চলেছে।(হৃদিতা)
.
--কি এমন হয়েছে হঠাৎ মহারাজের সাথে?(জিনিয়া)
.
--বলতে পারি না। তবে হয়তো এটা টাইম ট্রাভেলের জন্য হয়েছে। হয়তো সেটার কোনো সাইড ইফেক্ট হবে।(হৃদিতা আরো অবাক হয়ে গেলো আমার হাত ধরার পর)
।।।
।।।
হৃদিতার কাছে এমনিতেও কারো অতীত দেখার ক্ষমতা আছে। আর সে আমার একটা অতীত দেখে খুব আশ্চর্য হয়ে গেছে। হবেই না কেনো কারন সেখানে আশ্চর্য জনক ভাবে একটা মেয়ে চলে এসেছে। মেয়েটা কে সেটা জানার ইচ্ছা হৃদিতার অনেক বেড়ে গেলো।
.
--জিনিয়া ওনার ব্রেনে একজন মুখ ঢাকা মেয়ের ইমেজ আছে। সেটাকে বের করে বড় স্ক্রিনে নিয়ে আসো তো।(হৃদিতা)
.
--জ্বী মহারানী।(জিনিয়া)
....
।।।
হৃদিতা তাকিয়ে দেখতে লাগলো কে হতে পারে এই অবাক করা মেয়েটা। যার জন্য আমার সাথে এটা হলো সেটাই ভাবতে লাগলো হৃদিতা। অনেক প্রশ্ন ওর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কারন মেয়েদের চোখ দুটো ওর অনেক চেনা একজনের। কিন্তু এতো বড় কাটিয়েছে সে এর মাঝে অনেক পরিচিত মানুষ সে বানিয়ে ফেলেছিলো তাই এখন সে মিলাতে পারছে না।
.
--মহারানী মহারাজের অবস্থা তেমন ভালো না। তার যখনই রাগ হবে তখনি তার ভিতরের কালো শক্তি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে (জিনিয়া)
.
--এটা কি বের হওয়ার চেষ্টা করছে?(হৃদিতা)
.
--না আগে সম্ভব ছিলো। কিন্তু এখন সেটা কোনো দিক দিয়েই সম্ভব দেখছি না। কারন মেয়েটা এমন একটা স্পেল ব্যবহার করেছে মহারাজের উপরে যেটার জন্য এ শক্তি মহারাজ ছাড়া আর কেউই ব্যবহার করতে পারবে না। উনার পরে উনার বংশধর ছাড়া এটা কারো কাছেই যাবে না আর। পুরো ব্যাপারটা এখন জিনেটিক হয়ে গেছে।(জিনিয়া)
.
.
--তাহলে ভিতরের কালো শক্তি এমন করছে কেনো?(জিনিয়া)
.
--মহারাজ তো এই কালো শক্তির ব্যবহার এখনো পুরোপুরি শিখতে পারে নি। আর মেয়েটা যেটাই করুক না কেনো তার ফলে এই শক্তিটা এখন জীবিত হয়ে গেছে। এটা আর মহারাজের কন্ট্রোলে থাকবে না। মহারাজের রাগ যখনি বাড়বে তখনি এটা আরো শক্তিশালী হয়ে যাবে। আর এক সময়ে এটা মহারাজের পুরো শরীরকে নিজের করে ফেলবে।(জিনিয়া)
.
--তখন তো মহারাজ রাগলেই হুশ হারিয়ে ফেলবে।(হৃদিতা)
.
--হ্যা তখন তিনি রাগলে পুরো পৃথিবীই ধ্বংস করে দিতে পারে বলা যায় না।(জিনিয়া)
.
--এই জিনিসটা আমাদের আটকাতে হবে।(হৃদিতা)
.
--তার আগে আমাদের এই মেয়েটাকে খুজে বের করতে হবে। কে এই মেয়ে আর কেনোই এটা করতেছে।।(জিনিয়া)
.....
।।।।
হৃদিতার কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়ে গেছে। কারন একদমই স্পষ্ট জিনিয়া যেহেতু বলেছে এখন এই শক্তি জিনেটিক হয়ে গেছে তাই আমার ক্ষমতাগুলো শুধু আমার সন্তানগুলোর মধ্যেই যাবে। তাই মেয়েটা এই সুযোগের ব্যবহার করেছে যাতে আমার ক্ষমতাগুলো আমি অন্য কাউকে দিয়ে না যেতে পারি। কিংবা উল্টা কিছুও হয়ে যেতে পারে। বলা যায় না কি হবে। হয়তো খারাপ কিছুই হবে। আমি শুয়ে ছিলাম আরাম মতো। ঘুম ছাড়া আর আছে কি আমার। অনেক দিন রাত ঘুমাতে পারি নাই অতীতে। ঘুমাবো কিভাবে নিজের কাছে এতো শক্তি ক্ষমতা ছিলো এগুলোর ব্যবহার শিখতে শিখতে কখন দিন হয়ছে কখন রাত হয়ছে সেটা পাতালপুরীতে বুঝতেই পারি নাই। আর বলতে গেলে তো বেশীর ভাগ সময় হৃদিতার সাথে গল্প করেই আমার সময় কাটতো। কিন্তু আমার বর্তমানে আসার পর তো শুধু ঘুমই হচ্ছে। জিনিয়া একটা ইনজেকশন দিয়েছে আমাকে। যেটার কাজ হলো আমাকে রাগ মুক্ত করবে। হ্যা এই জিনিসটা আমাকে সাহায্য করবে অনেক। রাগ মুক্ত থাকার জন্য আমাকে ইয়োগা ক্লাস করতে হবে বুঝতে পেরেছি। সামান্য রাগও এখন স্বাস্থের জন্য হানিকর।
।
আমার হুস ফিরলো ঠিক তিনদিন পর। কারন আমাকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিলো। আর সেটার জন্য আমি আবারও কোনো স্পেল ছাড়াই ঘুমিয়েছি। যখন উঠলাম তখন দেখতে পেলাম তিনদিন পার হয়ে গেছে। আমি রুম থেকে বের হলাম।
.
--তো সুস্থ এখন?(হৃদিতা)
.
--হুমমম। তবে কি হয়েছিলো আমার সাথে?(আমি)
.
--কিছু না। মেয়েটা একটা স্পেল ব্যবহার করেছিলো আপনার উপরে যেটা খুব রেয়ার একটা স্পেল। আর সেটার জন্য আপনি রাগ করলে কেরেলা আপনার উপরে ভর করে বসবে।(হৃদিতা)
.
--ওওও মাই গড। তাহলে আমি রাগই করতে পারবো না?(আমি)
.
--না।।।(হৃদিতা)
.
--আচ্ছা বাইরের খবর কি?(আমি)
.
--বাইরের খবর আর কি? লু চিন তার জন্য প্রাসাদ বানাচ্ছে ওয়াইট হাউজের জায়গায়।(হৃদিতা)
.
-- হাহাহাহা। এবার মজা পেলাম।।। যাক তাহলে আমেরিকার শিক্ষা হয়েছে।(আমি)
.
--আপনি হাসছেন?(হৃদিতা)
.
--তাহলে রাগ করবো?(আমি)
.
--না সেটা করার দরকার নাই।(হৃদিতা)
.
--জিনিয়া আমাদের কাছে কি টেলিপোর্টেশন মেশিন আছে?(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ।(জিনিয়া)
।।।।।
।।।।।
হৃদিতা আমার হাতে একটা গড়ি দিয়ে দিলো। বুঝলাম না এটা কিসের ঘড়ি।
.
--নিন এটাই আপনার মেশিন।(হৃদিতা)
.
--ঘড়ি দিয়ে টেলিপোর্ট করবো কিভাবে?(আমি)
.
--ঘড়ির উপরে চাপ দিলেই বিশাল ম্যাপ আসবে। যেখানে যেতে চান শুধু চিন্তা করবে ঘড়ির মাধ্যমে সেই ডাটা আমাদের মেইন মেশিনে চলে আসবে আর আপনাকে টেলিপোর্ট করবে।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
যাক এবার না হয় কিছু হলো। এমন জিনিসই তো দরকার ছিলো। আগের টেকনেলোজি তো ফালতু ছিলো। এমন জিনিস আগে থাকলে তো টেলিপোর্টের শক্তি দিয়েই আমি লু চিন কে হারাতে পারতাম। সামনে থেকে টেলিপোর্ট হয়ে পিছনে গিয়ে ওর মাথায় ট্রিশুল দিয়ে আঘাত করতাম। আমি সাথে সাথে টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম আকাশপুরীতে। কিন্তু আকাশপুরীতে হয়তো এমন কিছু আমি আশা করি নাই৷ আকাশপুরী পুরো বদলে গেছে। কারন এখানে আমি কিছু এলিয়েনদের দেখতে পেয়েছি। সাথে সাথেই আমি আবার হৃদিতার কাছে চলে আসলাম।
.
--আকাশপুরীতে কি হয়েছে?(আমি)
.
--আপনি তো পুরোটা শোনার আগেই চলে গেলেন।(জিনিয়া)
.
--কি হয়েছে সেখানে?(আমি)
.
--আপনি জলপুরীতে হামলা করার পর সে খবর পাতালপুরী আর আকাশপুরীর রাজা শুনতে পাই। তারা এতোটাই ভয় পেয়েছিলো যে তারা নিজেরাই গিয়ে লু চিনের কাছে সাহায্য প্রাথর্না করেন। লু চিনের সেদিনের পর থেকেই আপনার সেনার উপরে লোভ জন্মে সে যেকোনো হারেই হোক আপনাকে নিজের মেয়ের জামাই বানিয়েই হোক আর আপনাকে হত্যা করেই হোক আপনার সেনাটাকে নিজের করতে সপৎ নেই। কারন তাদের সেনার থেকে আপনার সেনারা বেশী শক্তিশালী। আর হিতান আর অদ্রিস দুজনেই আপনার থেকে মরার ভয়ে লু চিনের সাথে হাত মিলায়। আর এখন আকাশপুরী আর পাতালপুরী তাদের। আজকেই তারা এক হয়েছে। হয়তো জলপুরীতে যাওয়ার প্রস্তুতি করছে তারা এখন।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ১৫ তম পার্টের জন্য।