পার্ট: ০৩
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
।।
।।
--কেমন আছিস বাবা।(ফুপি)
.
--ভালো ফুপি।তুমি কেমন আছো।(আমি)
.
--ভালোই আছি।তুই তো আমাদের কোনো খোজ খবর রাখোস না।তোর বাবা যা একটু কথা বলে।তুই আর তোর মা তো কোনো খবরই রাখোস না।(ফুপি)
.
--আমি কি করবো বলো আমার ফোনে এতদিন সিম ছিলো না।আর আম্মুর ফোন দিয়ে কাউকে ফোন দিতে চাইলে আম্মু আগে ফোন দিয়ে কথা বলে তারপর আমাকে কথা বলতে দেই।তাউ আবার লাইড স্পিকারে আম্মুকে শুনিয়ে কথা বলতে হয়।(আমি)
.
--তোর আম্মু যে কেনো এমন করে বুঝি না।আমাদের সাথে যা হয়েছে তার জন্য কতবার যে আমি আর তোর ফুফা মাফ চেয়েছি কিন্তু তোর মার যে জেদ।তাতে মনে হয় না আমাদের কখনো মাফ করে দিবেন।(ফুপি।)
.
--হুমমম শুধু শুধু একটা জিনিস এর উপর এভাবে তো রাগ করা ঠিক না।কতোবার তোমার আম্মুকে বুঝিয়েছি আমি তারপরও উনি কিছুই শুনে নাই।(ফুফা)
.
--আচ্ছা আমরা এখানে দারিয়ে কথা না বলে এখন বাসায় যাই।আর হৃদয়।(ফুপি)
.
--হ্যা ফুপি বলো।(আমি)
.
--এই যে এটা হলো আমার মেয়ে মেঘলা।তোর ছোট বেলার বউ।(ফুপি)
।।
ফুপির কথায় আমি আর মেঘলা দুজনেই লজ্জা পেলাম।আজ ১০ বছর পর দেখা ওর সাথে।।।।এই ১০ বছরের মধ্যে একবারও দেখা হয় নাই ওর সাথে।অবশ্য ফুপি আর ফুফা কয়েকবার এসেছিলো তখন মেঘলা আসে নাই সাথে।আসলে ছোট বেলাই আমার বয়স যখন ৮বছর তখন মেঘলার বয়স ৪ বছর।ফুপিরা আমাদের বাসায় থাকতো।কিন্তু একদিন মেঘলা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই।যার জন্য আমার কপাল অনেকটা কেটে যাই।আর এরজন্যই আম্মু খুব রাগ করেছে।আমাকে আম্মু অনেক ভালোবাসে তাই আমার যাতে আর কিছু না হয় এজন্য আম্মু ফুপি কে অনেক কথা বলে বাসা থেকে চলে যেতে বলে।।।।আর আমাকেও মেঘলার সাথে কোনো কথা আর আমার ফুপির সাথে কোনো কথা বলতে নিষেধ করেছে।আর এজন্যই আমি ওদের কথা ছোট থেকেই ভুলে গিয়েছিলাম।।।।
।
।
--এই যে মিস্টার (মেঘলা)
.
--হুমমম কিছু বলবেন?(আমি)
.
--হুমমম তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকো কেনো।(মেঘলা)
.
--কোথায় আমি আবার কখন আপনার দিকে তাকালাম।(আমি)
.
--আমি কিন্তু দেখেছি।তুমি তাকিয়ে ছিলে।(মেঘলা)
.
--হৃদয় বাবা।(ফুফা বলে উঠলো)
.
--হ্যা বলেন ফুফা।(আমি)
.
--তোমার ব্যাগ দাও আমি আর তোমার ফুপি নিয়ে যাবো।তুমি আর মেঘলা এই রিক্সায় উঠে পরো।(ফুফা)
.
--না আমরা অটো তে সবাই যেতে পারবো তো।(আমি)
.
--আমাদের বাসার এখানে অটো যায় না তাই তোমরা রিক্সায় উঠে পরো আমরাও পিছে পিছে আসছি।(ফুফা)
.
--ঠিক আছে বাবা আমরা যাচ্ছি।এই উঠো তারাতারি।(মেঘলা)
।।
কি আর করার উঠে পরলাম রিক্সায়।এই মেয়েটা তো এখনো আগের মতোই চিপকু।যতই সরে বসছি ততই আমার কাছে এসে বসতেছে।কি আর করবো এই প্রথম রিক্সায় কোনো মেয়ের সাথে যাচ্ছি।কেমন যেনো আনইজি ফিল হচ্ছে।আর সেটার মজা নিচ্ছে মেঘলা।
.
--এই তুমি এভাবে সরে সরে বসতেছো কেনো।আমার কাছে এসে বসো নাহলে পরে যাবা তো।(মেঘলা)
.
--না আমি ঠিক আছি।আপনি ভালো করে বসে থাকেন।(আমি)
.
--এই তুমি আমাকে আপনি করে বলতেছো কেনো আমি তোমার ৩ বছরের ছোট তাই তুমি করে বলবা।(মেঘলা)
.
-না আমি আপনিতেই ভালো আছি।(আমি)
.
--আমি বলতে বলছি বলবা।বেশি কথা বলো কেনো।(মেঘলা)
.
--আমি কোথায় বেশি কথা বললাম।।।আমি আপনাকে আপনি করেই বলবো।(আমি)
.
--এই আর একবার যদি আমাকে আপনি করে বলো তাহলে কিন্তু ভালো হবে না।(মেঘলা)
.
--কি হবে বললে।(আমি)
.
--আমি আম্মুকে বলে দিবো।(মেঘলা)
.
--ফুপিকে কি বলবেন।(আমি)
.
--বলবো বলবো।তুমি আমাকে কিস করেছো।(মেঘলা)
.
--আমি কোথায় আপমাকে কিস করলাম।শুধু শুধু মিথ্যা বলবেন কেনো।(আমি)
.
--মিথ্যা না সত্যি কিস করেছো আমি আম্মুকে বলে দিবো।(মেঘলা)
.
--সেটা আবার কখন করলাম।
.
আমার আর কিছু বলার আগেই আমার ঠোটে ছোট একটা কিস করে।জোরে একটা কামড় দিয়ে দিলো।
.
--আহহহহ(আমি জোরে চিল্লায়ে উঠলাম)
.
--এটা কি হলো।(আমি)
.
--কেনো তুমি আমাকে কিস দিছো।আর আমি তোমাকে কামড় দিলাম।(মেঘলা)
.
--আমি কখন আপনাকে কিস করলাম।আপনিই তো দিলেন।(আমি)
.
--সেটা আমি তুমি আর এই রিক্সাওয়ালা মামা যানে কিন্তু আমার বাবা-মা তো জানে না।(মেঘলা)
.
--একটা ছোট জিনিস এর জন্য এভাবে কেউ কামড় দেই।রক্ত বের করে ফেলছেন।(আমি)
.
--তুমি তুমি করে বলবা কিনা বলো নাহলে আরো কি করবো তার ঠিক নায়।(মেঘলা)
।।
না যে মেয়ে আবার নিজে রেপ না হয়ে আবার ফুপি গিয়ে বলবে আম্মু হৃদয় আমাকে রেপ করেছে।না খুব ডেন্জারাস মেয়ে তো।
.
--ঠিক আছে তুমি করে বলবো।এবার খুশি।(আমি)
.
--হুমমম অনেক।।।(মেঘলা)
.
--এই কি করছো আবার।(মেঘলা ওর ঠোট আবার ও এগিয়ে নিয়ে আসতেছি্লো তাই আমি বললাম)
.
--আরে তুমি জানো না কেটে গেলে সেখানে আবার কিস করে দেই।(মেঘলা)
.
--না না আমাকে আর কিস করতে হবে না আমি তো তুমি করে বলতেছি।একবার কিস করে ঠোট কেটে ফেলছো আবার করলে তো আমি মারাই যাবো।(আমি)
.
--এই চুপ একদম কোনো কথা বলবা না নাহলে আম্মুকে বলে দিবো কিন্তু।(মেঘলা)
।।
আমি একদম নিরুপায়।কি মেয়েরে বাবা এভাবে ওপেন প্লেজে ব্লাকমেইল করে ২ বার কিস করে ফেললো আমি কিছুই বলতে পারলাম না।অবশ্য আমি খুব ভিতু।মেয়েদের দেখে খুব ভয় করে।।।কিন্তু আমার তো কিছুই করার নাই।আমার সম্মানটা এভাবে লুটে নিলো।।।আমার ইজ্জতটা আর রইলো না।মেঘলা আমার সর্বনাশ করে দিলো।হায় আল্লাহ আমাকে এখন তো কেউ বিয়ে করবে না।
।
।
মনে মনে উপরের কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ফুপির বাসায় চলে আসলাম।বাসায় গিয়ে দেখি ফুপিরা আমাদের আগেই চলে এসেছে।এটা কিভাবে হলো।হয়তো অটো গাড়িতে এসেছে।যাই হোক আমি তো সক্ড হয়ে গেছিলাম মেঘলার কাজে,
.
--বাবা তোর শরীর কি খারাপ লাগছে।(ফুপি)
.
--না ফুপি(আমি)
.
--আম্মু ওর না মনে হয় কিছু জিনিস বেশী খাওয়া হয়ে গেছে।(মেঘলা)
.
--কি খাইলি রাস্তাই তোরা।(ফুপি)
.
--আমরা না।
.
--না ফুপি কিছুই না কিছুই খাই নি।অনেক দুর থেকে এসেছি তো তাই একটু টায়ার্ড হয়ে গেছি।একটু রেস্ট নিতে হবে।(আমি)
.
--মেঘলা তুই ওকে তোর রুমে নিয়ে যা ও আজকে থেকে তোর রুমেই থাকবে।(ফুপি)
.
-কি আর কোনো রুম নাই ফুপি।(আমি)
.
--না বাবা আর কোনো রুম নাই তোমাদের দুজনকে কষ্ট করে এক রুমেই থাকতে হবে।(ফুপি)
.
--হ্যা আম্মু আমার কোনো সমস্যা নাই।আমি থাকতে পারবো।(মেঘলা)
।
।
আমার ফুপির কি হলো।আমাকে মেঘলার সাথে এক রিক্সায় পাঠালো আবার এক রুমে থাকতেও দিচ্ছে।না না রিক্সায় আসছি তাই আমার ইজ্জত লুট করে নিয়ে গেছে ও।।।আর এক রুমে থাকলে তো যেটুকু আছে সেটুকুও থাকবে না।আমি কি আমার ইজ্জত নিয়ে এখান থেকে যেতে পারবো।আমার তো মনে হচ্ছে না পারবো।।।।কি আর করার।বাবা তো আমাকে এক কেস থেকে বাচিয়ে আরেক কেসে ঢুকিয়ে দিলো।এখন কি করবো আমি।।
।।
।।
(চলবে