ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ২ পর্বঃ ২৬

Bangla Dub Novels

 


#জলপরীর_প্রেমে#

#সিজন_2#

পার্টঃ২৬

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী 

।।।।।

।।।।।

।।।।।

আমি এতোক্ষন বসে ছিলাম। দুচোখ দিয়ে পানি ঝরতে ছিলো আমার। যাকে নিয়ে আমি বর্তমানে যেতে চেয়েছিলাম যাকে নিয়ে আমার বোনটাকে দেখাতে চেয়েছিলাম তাকেই আমি হারালাম। এই কষ্ট আর কি সহ্য হয়। আমি খেয়াল করি নি। আমি হাওয়ায় উড়তে ছিলাম। আমার শরীর দিয়ে এখন দুটো রং বের হচ্ছে। একটা হলো সাদা আরেকটা হলো লাল। দেখলাম দুটো গাছ এখন আর জ্বলছে না। দুটোই সাধারন গাছের মতো হয়ে গেছে। তার মানে পুরো শক্তি এখন আমার কাছে। আমার চুল গুলো ও উড়তে ছিলো এখন। আমার শরীরে অনেক শক্তি চলে আসছে এখন। আমি আমার দুই হাতের দিকে তাকালাম। দুটো হাতের ডান হাতে রয়েছে তলোয়ারটা। বাম হাতে রয়েছে ট্রিশুলটা। ট্রিশুলের ফাটা অংশের দিকে তাকালাম। শক্ত করে ধরলাম সাথে সাথেই ট্রিশুলের ফাটা অংশ ঠিক হয়ে গেলো। কিন্তু এটা আমার তেমন প্রয়োজনে লাগবে না। আমি ট্রিশুলের অর্ধেক শক্তি আমার নিজের মাঝে নিয়ে আসলাম। আমি জানতামই না এটা করতে পারবো। কিন্তু করার পর বুঝলাম।

এবার ট্রিশুলটাকে নিক্ষেপ করলাম একটা আপেল গাছে সেটা গেথে গেলো গাছের গায়ে। আমি এখনো উড়তে ছিলাম হাওয়ায়। চোখ দিয়ে পানি পরতে ছিলো। ডান হাতে আমার তলোয়ার। বাম হাত দিয়ে আমি চোখ দুটো মুছলাম। 

.

--আমার জীবন থেকে যে কতটা মূল্যবান জিনিস কেড়ে নিয়েছিস সেটা মনে হয় জানোস না।(আমি)

.

--হাহা ঔটা মূল্যবান জিনিস ছিলো। আমি তো তাকে ব্যবহার করেছি যাতে আমি এখানে আসতে পারি। এই সব কিছুর খবর তো আমি ওর থেকেই নিয়েছি। ভেবেছি এর জন্য হয়তো ওকে আমি বিয়ে করে আমার রানী করে ফেলবো। কিন্তু তুই তো তার আগেই ওকে বিয়ে করে ফেললি। তাতে কি আমার যা দরকার ছিলো আমি তা পেয়ে গেছি। তোর ভাগ্য ভালো ও তোকে বাচিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার কে বাচাবে?(হিগমা)

.

--কে কাকে বাচায় সেটা তো দেখাই যাবে।(আমি)

।।।।।

।।।।।

আমি আরো একবার তাকালাম যেখান থেকে হাওয়ায় তলিয়ে গেছে হৃদিতা। আমার শরীরে এবার রাগ উঠলো। আমি তলোয়ারটা শক্ত করে ধরলাম। দূর থেকেই সামনের দিকে আমি একটা কোপ দিলাম। সাথে সাথেই আগুনের একটা তরঙ্গ বের হলো আগের মতোই। কিন্তু এবারের টার ভয়াবহতা দেখার মতো ছিলো। যেখান দিয়ে যাচ্ছিলো সেটা সেখানের পুরো মাটি উড়িয়ে তজনজ করে দিচ্ছিলো। হিগমা এবারো লাঠি দিয়ে বারি দিলো। কিন্তু এবার আর ফেরাতে পারলো না। আমি তো আর এখন বল বানিয়ে মারি নি যে ও সেটাকে ওর ব্যাট দিয়ে মারবে। এবারে ছিলো একটা তরঙ্গ। হিগমার শরীরে গিয়ে লাগলো সেটা। হিগমা দূরের পাথরের গায়ে গিয়ে পড়লো গিয়ে। আমার রাগ তখন চরমে। আমি কি আর ওকে এখন আস্ত রাখবো। এমনিতেও এখন চারজনের শক্তি পাওয়ার পর উড়তেছি আমি। উড়ে আমি হিগমার বুকে আমার পায়ের কনুই দ্বাড়া আঘাত করলাম। সাথে সাথে ওর মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো। মারামারি টা অনেক তুমুলে উঠলো। শক্তি কি শুধু ওর কাছে আছে। আমার কাছে নাই। ওর প্রতিটা মার তো এখন শোধ দিতে হবে। সাথে সুদও কিছু পাবে। আমি ওর হাত ধরে ধাক্কা দিলাম। পাথরের গা থেকে মাটিতে গিয়ে পরলো ও। ওর হাতের লাঠিটা দূরে গিয়ে পরলো। আমি মাটিতে আমার তলোয়ারটা গেথে দিলাম। তারপর ওর পা টা ধরলাম। সাথে সাথে এলোপাথারি আঘাড়। আমাকে আঘাড় দিছিলা না চান্দু। এবার বুঝো কেমন লাগে।। 

ওকে দাড় করালাম। বুকে কতোগুলো ঘুসি মারতে ছিলাম বক্সারদের মতো। তারপর ডানহাত দিয়ে একটা এনার্জি বল বানালাম। সেটার আকার অনেক ছোট ছিলো। কিন্তু যখন সেটাকে আমি মারলাম হিগমার বুকে হিগমা দূরের পাথর ভেদ করে অন্য পাশে চলে গেলো। আমিও সাথে সাথে অন্য পাশে উড়ে চলে আসলাম। ওর মুখের একটা ঘুসি দিবো এমন সময় ও ওর হাত বাড়িয়ে হাতের কাছে লাঠিটা নিয়ে আসলো। একদম আমার ট্রিশুলের মতো ওর লাঠিও উড়ে আসলো। আমার ঘুসিটা ওর লাঠিতে লাগলো। অনেকটা কট করে আওয়াজ হলো। 

আসলে ওর লাঠি ভাঙে নাই। ভেঙেছে তো আমার হাতের আঙ্গুল মনে হয়। এই হালার এই লাঠি আমি এখন ভাঙতেছি দ্বারা। আমি ওর থেকে কিছুদূরে চলে আসলাম। ও দেখি এবার ব্লাক এট্যাকের ব্যবস্থা করতেছে। বুঝলাম এতোক্ষনো ও এই কেরেলার শক্তির ব্যবহার করতে শিখে নাই। সাধারন জিনিস গুলোই ব্যবহার করতে ছিলো। তারমানে আরো লুকায়িত শক্তি আছে। 

হিগমাকে সেগুলো ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। তার আগেই আমাকে কিছু একটা করতে হবে। নাহলে হিগমা আরো শক্তিশালী হয়ে যাবে। হিগমা একটা ব্লাক এনার্জি বল বানালো। এবং সেটাকে আমার দিকে মারলো। আমিও হাত বারালাম। একদম Thor এর হ্যামার এর মতো আমার তলোয়ারটা চলে আসলো আমার হাতে। বাম হাত বারালাম চলে আসলো আমার ট্রিশুল। আমি দুটোকে একসাথে করলাম। একসাথে করার সাথে সাথেই দেখলাম দুটো মিলে একটা হয়ে গেছে। ট্রিশুলের পুরো শক্তি তলোয়ারের মাঝে চলে আসছে। আর ট্রিশুল হাওয়া হয়ে গেছে। আমি তলোয়ারটা হাতে নিলাম। শক্ত করে ধরলাম। হিগমার ব্লাক বল আমার দিকে আসার সাথে সাথে আমি সেটাকে মাঝ থেকে কোপ দিলাম। ব্লাক বল আমার আগুনের তলোয়ারের কোপ খেয়ে দু টুকরো হয়ে আমার দু দিক দিয়ে চলে গেলো।

.

--আমি আর সময় নষ্ট করতে চাই না।(আমি)

....

....

আমি তলোয়ারটা পিছনে রাখলাম মাথার উপরে। বাম পা টা বাড়িয়ে দিলাম সামনে। এবং সমস্ত ভর আমার বাম পায়েই রাখলাম। এর পরে তলোয়ারটা শক্ত করে ধরলাম। হাত দিয়ে সামান্য মোচর দিলাম সেটাকে। তারপর পরাপর ২৫ টা কোপ দিলাম হিগমার দিকে। ২৫ টা বিশাল বিশাল তরঙ্গ হিগমার দিকে যাচ্ছিলো। হিগমা এবার একটা ঢাল বানালো ওর লাঠিটা দিয়ে।  হিগমা অনেকটা ধরাশায়িত হলো। ও অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। ওর নাক দিয়ে শক্ত ঝরতেছিলো। বুঝতে পারলাম আমার আঘাত এবার কাজে দিয়েছে। সব কিছুরই শোধ নিতে হবে। ওর ই মতো আমি ঝাপিয়ে পরলাম ওর উপরে। ওর হাতের লাঠিটা দিয়ে আমার আঘাত রুকতে চেস্টা করলো। আমি তলোয়ার দিয়ে আমার শরীরের সমস্ত জোর দিয়ে আঘাত করলাম সেটাতে। এবার বিশাল বিকট একটা আওয়াজ হলো। মনে হলো ভূমিকম্প হয়ে গেলো একটা৷ পুরো পাতালপুরী কেপে উঠলো। আর চারিদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ায় তেমন কিছুই আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। তবে যেটা আন্দাজ করেছিলাম সেটা হলো আমার হাতের তলোয়ারের আঘাতে হিগমার লাঠি ভেঙে দুখন্ড হয়ে গেছে। আর তলোয়ারের আঘাত এতোই শক্তিশালী ছিলো যে সেটা হিগমার মাথায় দিয়ে ঢুকে হিগমার শরীরকে দুখন্ড করে দিয়েছি। আমি তাকিয়ে ছিলাম এক নজরে সেদিকে। কালো ছায়াটুকু ওর শরীর আর লাঠির ভেতর থেকে আমার শরীরের মধ্যে ঢুকে গেলো। আমি নিজেকে আরো অনেক শক্তিশালী অনুভব করলাম। আস্তে আস্তে আমার শরীরের সব ক্ষত গুলো মিলিয়ে যেতে লাগলো। আমার শরীর আবার পূর্বের মতো হয়ে গেলো। আমার শরীর দেখলে কেউ বলবে না একটু আগে মরার মতো অবস্থা করেছিলো হিগমা আমার। কিন্তু  এখন আমাকে দেখলে তেমন মনেই হবেনা।

আমি হাত থেকে তলোয়ারটা ফেলে দিলাম। তলোয়ার ট্রিশুল দুটো আলাদা হয়ে গেলো আমার হাত থেকে পরার পরে। আমি তাকিয়ে ছিলাম যেখানে হৃদিতা শেষ আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো সে জায়গায়। মেয়েটার মাঝে অনেক রহস্য ছিলো। ওর থেকে অনেক কিছু আমার জানার ছিলো। অনেক অজানা জিনিস আমি না জেনেই ওকে হারালাম। ওকে কি আমি হারাতে চেয়েছিলাম। হয়তো নিয়তি আমার এমনি। কিন্তু ওকে কি আমি এখানে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু কেনো এলো ও এখানে। আর কিভাবে ও এই জায়গাটা চিনলো। আমার এই প্রশ্নের উত্তর হিগমা আর সে ছাড়া কেউ দিতে পারবে না। এখন তো দিজনেই পরপারে চলে আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দিবে?

আমি একটু এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে। দেখলাম হৃদিতার শরীর পুরে ছায় হয়ে গেছে। কিছুই তো করার নেই আমার আর। আমি ওর পুড়ে যাওয়া ছাই গুলোতে কিছুক্ষন হাত বোলাতে লাগলাম আমি সেখানে। দুচোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো আমার। আমি একটা মাটি খুরলাম। এবং সেখানে ওর শরীরের ছাই গুলোকে পুতে রাখলাম। আমি হিগমার দিকে একবার তাকালাম। অনেকক্ষন বসে ছিলাম আমি সেখানে। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। নিজের মনকে শান্ত করতে পারছিলাম না। শেষ একটা কথাও আমি ওর সাথে বলতে পারলাম না। আর আমার জন্যই ওকে ওর জীবন হারাতে হলো।

আমি সেখান থেকে চলে আসলাম অনেকক্ষন বসে থাকার পর। আমি সেই গর্ত থেকে যখন বের হলাম তখন দেখতে পেলাম আমার সামনে সব ধরনের জল প্রানী দাড়িয়ে আছে। সবগুলো আমার সামনে মাথা নিচু করে রইলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এরা আমাকে তাদের রাজা মানছে। আগে এমন হতো না। আগে তো শুধু এদেরকে আমি ডাকতে পারতাম। তখন শুধু এরা আমার কথাগুলো শুনছে। কিন্তু এখন যে আমি এদের রাজা হয়ে যাবো সেটা ভাবতে পারি নি। আমি ট্রিশুল আর তলোয়ার দুটোই সেই জায়গায় ফেলে রেখে আসছি। সে দুটোর আমার আপাতোতো কোনো প্রয়োজন নাই। যখন হবে তখন সে দুটো ব্যবহার করা যাবে। 

আমি একা একাই মন খারাপ করে দাড়িয়ে ছিলাম। আমি যে এই নতুন ক্ষমতা পাবো সেটা কল্পনাও করি নি। আমি যে উড়তে পারবো ডানা ছাড়াই সেটা কখনো কি ভেবেছি আমি। তখন হিগমাকে ঔভাবে উড়তে দেখে অনেক হিংসা হয়েছিলো আমার। তবে মনের মধ্যে এখন আর কোনো হিংসা নাই। এখন এই শক্তি গুলোও আমার কাছে ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে এসবের কিছুই না থাকলে হয়তো এমন দিন আমার আসতো না। আমি তো সাধারনই ভালো ছিলাম। কেনো এভাবে আমাকে এতো কিছু করতে হচ্ছে। 

আমি উড়তে ছিলাম এতোক্ষন সেটা খেয়াল করি নি। পানির মাঝেও আমি উড়তে পারছি। কারন সোজা দাড়িয়েও আমি পানির উপরে চলে আসলাম। পানির উপরে চলে আসার পর আর কিছুই ভালো লাগছিলো না। আমি হৃদিতার বাবাকেই বা কি বলবো সেটা বুঝতে পারছিলাম না। তাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার কাছে নাই। আমার সাথে আগে কখনো এমন হয়নি। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো আমি। আমার যে রাজ্য ছিলো সেটা পুরো তলিয়ে গেছে। রাজ্যের সব মানুষ তো মেরে দিয়েছে আকাশপুরীর সেনারা। যে কয়জন বেচে ছিলো তাদের সংখ্যা ও খুব কম। আমার রাজ্য বলতে নতুন যে রাজ্য দখল করেছিলাম তারাও সাহায্যের জন্য আসার পর তাদের সবাইকেও মেরে ফেলে আকাশপুরীর সেনা। এক কথায় আমার শক্তি ব্যবহার করতে দেখেছে তার ৯৯%লোকই মারা গিয়েছে। তাই তো বলি পৃথিবীর মানুষের কাছে হারকিউমাসের কোনো ইতিহাস নাই কেনো?

আমি চলে আসলাম হিরোনাসের রাজ্যে। মনে হচ্ছিলো এই রাজ্যে সেই রকম পাহাড়া চলছে। কোনো রূপে আকাশসেনাকে তারা ভিতরে ঢুকতে দিবে না। আরে গাধারা তোরা সবাই মানুষ। একজন আকাশসেনা তোদের ১০০ জনের মানুষের সমান সেটা কি তোরা জানোস। আমি রাজ্যের গেইটের কাছে আসলাম। আমাকে দেখে সেনা গেইটের দরজা খুলে দিলো। আমি ভিতরে ঢুকলাম। একজন আসলো একটা ঘোড়া নিয়ে। সেটাই বসলাম আমি। তারপর সোজা রাজ প্রাসাদের দিকে চললাম। এই রাজ্যে আমার এই প্রথমই আসা হলো। ভেবেছিলাম বউকে নিয়ে আসবো শ্বশুর বাসায়। কিন্তু আজকে বউই তো নাই।

আমি ভিতরে ঢুকলাম। দেখলাম হিরোমাস সিংহাসনের আশেপাশ দিয়ে হাটাহাটি করছিলেন। বাকি সবাই বসে আসেন বিভিন্ন আসনে। আমাকে দেখেই রাজা হিরোনাস বলতে লাগলেন।

.

--হারকিউমাস বাবা তুমি ঠিক আছো তো?(রাজা)

.

--হ্যা মহারাজ। আমি ঠিক আছি।(আমি)

.

--কিন্তু হৃদিতাকে দেখছি না যে। সে তো তোমাকে বাচাতে গিয়েছিলো?(রাজা)

.

--হ্যা গিয়েছিলো৷ তবে আমাকে বাচাতে গিয়ে সে নিজের জীবন।(আমি আর বলতে পারলাম না। চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো)

।।।

।।।

রাজাও স্তব্ধ হয়ে গেলো। কোনো কথাই বললেন না তিনি।।।। আমাকে ও কোনো কথা বলতে দিলেন না তিনি। দেখলাম তার চোখ দিয়েও পানি পরতে ছিলো। মেয়ে হারানোর শোকে সব বাবারাই কাদে। তাই তিনি ও কাদছেন। এ কষ্ট যে অনেক বড় কষ্ট। 

আমাকে তার মন্ত্রী নিয়ে আসলেন একটা কক্ষে। আমাকে সেখানে বিশ্রাম করতে বললেন। আমি শুয়ে পরলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম। এখানের সব কাজ তো শেষ। তাহলে আর কি করবো আমি এখানে। আমাকে তো ফিরে যেতে হবে। ফিরে যাওয়ার কথা মনে পরেই আমার টাইমমেশিনের কথা মনে পরে গেলো। আচ্ছা আমি তো পুরো রাজ্য পানিতে তলিয়ে দিয়েছিলাম। তাহলে তো টাইমমেশিনও এখন  পানির নিচে আছে। oh my god... তাহলে তো টাইমমেশিনের নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা এতোক্ষনে। আমাকে পানি সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু আমি এখন কিছুই করতে পারছি না আর। কারন ঘুমে আমার চোখ বুঝে আসছিলো। এমন মনে হচ্ছিলো কেউ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো কিন্তু আমি কাউকে দেখতে পারছিলাম। কোনো পরীও হবে না। কারন কোনো পরী হলে তাদের থেকে সুগন্ধী পেতাম। কিন্তু মনে হচ্ছিলো কেউ আমার মাথায় হাত বোলাতে ছিলো। আমি ঘুমিয়ে পরলাম তার হাত বোলানোতে। 

সারাদিনের ক্লান্ত শরীর এখন বিশ্রামে চলে গেলো। 

।।।।।

।।।।

।।।

।।

(((চলবে)))

।।

।।।

।।।।

।।।।।

অপেক্ষা করুন ২৭ তম পার্টের জন্য।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.