#সিজন_3#
পার্টঃ০৫
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমাদের দিনগুলো ভালোই কাটছিলো। জলপুরীতে আস্তে আস্তে বাড়ি ঘর বড় হচ্ছিলো। কিন্তু সময় তো বেশী কাটছে না। এতো কম সময়ের মধ্যে তো আর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। তাই বেশী উন্নতি হতে সময় লাগবে এখনো অনেক। তবে আমার নিজের অবস্থা অনেক উন্নতি হয়েছে। আমি হৃদিতার কাছ থেকে অনেক স্পেল জেনেছি এবং সেগুলোর প্রয়োগেও দক্ষতা অর্জন করেছি। প্রশিক্ষনের জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে পাতালপুরী। সেখানে রোজই আমার জাদু এবং তলোয়ারের ভয়াবহতা লক্ষ করা যায়। কেউ আমাকে সেভাবে দেখলে তো নিশ্চয় ভয়ে স্টোক করবে। পাতালপুরী আগের থেকেও অনেকটা বড় হয়ে গেছে। কারন আমার জাদু আর তলোয়ারের আঘাতে পাশের পাথরের দেওয়াল গুলো ভেঙে গেছে। আর এতে করে পাতালপুরীর অনেকটা আয়তন এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনে মনে হয় আরো বৃদ্ধি পাবে।
।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমি টাইম লক বানানো শিখে গেছি। জিদানের যে এমন ক্ষমতা থাকবে সেটা আমি আগে কখনো কল্পনা করে নি। কিন্তু হৃদিতার কাছ থেকে শোনার পরে আমি অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম সেটা করার জন্য। কিন্তু প্রতি বারই ব্যর্থ হতাম। কিন্তু শেষ মেষ আমি টাইম লক বানানো শিখে গেছি। টাইম লক অনেক বড় একটা অস্ত্র। এতে করে আমি সময়কে ১ মিনিটের জন্য আটকে রাখতে পারি। অবাক করার বিষয় হলেও এটা সত্য। তবে এটা আধা ঘন্টা পর পর একবার ব্যবহার করতে পারি আমি। টাইম রিলেটেড আরো অনেক স্পেল আছে যেগুলো শুধু জিম্বার কাছেই। যদি তার দাফন করার জায়গাটা পেতাম তাহলে সেই সব শক্তির মালিকও আমি হতে পারতাম। এমন আরো কত শক্তি পৃথিবীতে আছে সেগুলো জানতে পারলে খুবই ভালো হতো। কিন্তু আমার এখন সেসব জানার সময় নেই। আমি শুধু আছি সেই এলিয়েনদের অপেক্ষায়। কবে তারা পৃথিবীর দিকে আসবে।
।
এই অতীতের সময়ে আমার ১ টা বছর সময় কেটে গেছে। আমার নিজের কাছেও অবাককর বিষয় লাগে যখন আমি ভাবি যে আমি এক বছর কাটিয়ে দিয়েছি এই অতীতে। এতোদিনে তো আমার বর্তমানের তিন রানীর কোলে রাজসন্তান চলে আসতো😂 কিন্তু আমি আছি এই অতীতে পরে এখনো। হয়তো হৃদিতা আমার পাশে না থাকলে আমি থাকতেই পারতাম না এতদিন। কিভাবে এতোগুলো দিন কেটে গেছে আমি কিছুতেই বুঝতে পারি নি। অবশ্য এই একটা বছরে আমি হৃদিতাকে পাগলের মতো ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে ছাড়া আমি কিছুই বুঝি না।
।
ভালোবাসবোই না কেনো। কারো বউ যদি তার সাথে পুরো দিনের পর দিন সব সময় লেগেই থাকে তাহলে তার প্রতি আলদা একটা টান তৈরী হবে। আর আমার বউ তো অশরীরি হওয়ার পরে কোনো কাজ করতে পারে না। তাই সব সময় আমার সাথেই থাকে। সব সময় গল্প করে আমার সাথে। রাতের বেলা কোনো একটা ছোট দ্বীপে বসে দুজনে হাতে হাত রেখে কখনো বা ওর কোলে মাথা রেখে চাদ দেখতে দেখতে আমাদের কত জানা অজানার গল্প করে রাত পার হয়ে যায়। দিনের পর দিন শুধু আমাদের একে অপরের প্রতি টান বেরেই যাচ্ছে। আমি জারা, নিলা, মোহনা ওদের থেকে ওকেই বেশী ভালোবেসে ফেলেছি। কারন আমার জন্য ও ওর নিজের জীবন দিয়েছে। অন্য কেউ দিলে তার জন্যও আমার এই একইরকম টান অনুভব হতো মনে হয়। কি আর করার ভেবেছিলাম হয়তো দিন গুলো কাটবে না। কিন্তু কিভাবে যে সময় কেটে গেলো নিজেও জানি না। টাইমমেশিনের অপেক্ষায় আমার গোফ দাড়িও বড় হয় গেছে। বলতে গেলে আমাকে দেখতে অনেকটা এক্স ম্যান এর লোগ্যানের মতো লাগে এখন। কাছে তো আর জিলেইট নাই যে সেফ করবো। আর যে ধারালো তলোয়ার আছে সেটা আমার মুখে ধরলেই তো আমার মুখের সব দাড়ি চুল পুরে যাবে।
।
তো দিন চলতে চলতে একদিন আমি ভাবলাম আজ নাহয় আমি একটু সিগমার রাজ্য থেকে ঘুরে আসি। হৃদিতা তো রোজই যায় ওর বাবা আর বোনকে দেখে আসার জন্য। মাঝে মাঝে কারো শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে কথাও বলে আসে তাদের সাথে। কিন্তু কখনো পরিচয় দেই নি। কিন্তু আমার সেই এখানে আসার পর থেকো আর ওদের সাথে দেখা হয় নাই। ঔখানে যাওয়াও হয় নি৷ তাই আজকে ভাবলাম একটু ঘুরে আসি সেখান থেকে। যেই ভাবা সেই কাজ। চলে আসলাম আমি সিগমার রাজ্যে। অনেক ভালো লাগছে কারন এক বছরে এই রাজ্য অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে সিগমা ভালোই পরিবর্তন করেছে এই রাজ্যে। আমি সিগমার সাথে দেখা করতে চাচ্ছিলাম। তাই উড়তে উড়তে রাজপ্রাসাদের দিকে চলে আসলাম। ভিতরে ঢুকবো তার আগেই আমি কিছু আশ্চর্যকর বিষয় দেখলাম আকাশে। মনে হচ্ছিলো কিছু একটা নিচের দিকে আসছিলো। এমনিতেও এটা রাতের সময়। আর এই সময়ে আকাশ থেকে কি আসবে। প্রথমে ভেবেছিলাম আকাশপুরীর কেউ হবে হয়তো। পরে বিষয়টা একটু বড় বুঝতে পারলাম। যেটা আসছে সেটার আকার অনেক বিশাল। আমার মনে একটা কট করে আওয়াজ হলো। তাহলে এটার অপেক্ষায় ছিলাম আমি এতোদিন। এটার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম আমি। এটাই সেই এলিয়েনদের স্পেশশীপ। যাক তাহলে এটারই পিছু নিতে হবে। কিন্তু এটার পিছু নিলে তো এটা আমাকে সন্দেহ করে চলে যেতে পারে। তার চেয়ে বরং এটা কোথায় যায় আমি দূর থেকেই দেখি।
.
দেখতে পেলাম জিনিসটা অনেক দূরে আকাশ থেকে মাটিতে নামছিলো। আমি তাকিয়ে ছিলাম। আস্তে আস্তে নিচের দিকে আসছিলো। এটা আগের এলিয়েনদের মতো স্পেশশীপ না। এটাকেই তাহলে ফ্লায়িং সসার বলা হয়। পুরো চ্যাপ্টা ফ্রিজবীর মতো এই আকাশযানটা। মনে হয় এটা আগে কার মডেল ছিলো এলিয়েনদের। আমাদের সময়ে সেটা আপগ্রেড হয়ে আরো উন্নত স্পেশশীপ বানাতে সক্ষম হন তারা। তাই তো বিশাল মহাকাশের পথ তারা চোখ বুঝতেই পারি দিতে পারে। আমি আর কি করবো। যেটার অপেক্ষায় আমি এতো দিন বসে ছিলাম। সেটা আমার পাশেই আছে। হৃদিতা আমার কাছে নাই ও দুদিন হলো ওর বোনের কাছে গেছে। ওর বোনের তো অবস্থা টাইট। মা নেই এ সময়ে। তাই হৃদিতা একটা মেয়ের মাঝে ঢুকে ওর কাছে গেছে। হৃনিতার পুরো খেয়াল রাখছে ও এখন। আমিও এজন্যই এখানে আসলাম আজকে। শত হলেও নিজের শালিকার সন্তান হবে। তাকে দেখতে না আসলে কেমন দেখাই। আর ভাগ্যে তাকে দেখা নাও তো থাকতে পারে। তাই আমি আসলাম আজকে। কিন্তু এখন যা দেখলাম তাতে কি আর শালিকার কাছে যাওয়া যায়?
।
এখন তো আমাকে যেতে হবে এই এলিয়েনদের সাথে। আমার ভবিষ্যতের আমি বলেছি যে এলিয়েনদের সাথে আমার ভালোই বন্ধুত্ব হবে। তাই কোনো চিন্তা নাই। আর ওরা চালাকি করলে তো ওদের মৃত্যু হবে সেটা আমি জানিই। এখন আর কাউকে দেখেই আমার ভয় হয় না। কারন আমি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি। আগে শুধু ট্রিশুল নিয়েই সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি দাবি করতাম আমি। কিন্তু এখন আমার কাছে সব ধরনের জাদুর শক্তি রয়েছে। এগুলোর সঠিক প্রয়োগ ও আমি শিখেছি। কিভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হয় সব গুলো আমার জানা হয়ে গেছে। আমি এখন আমার জাদু দিয়ে নতুন নতুন জিনিস বানাতে পারি। এটা ভাবলেও আশ্চর্যকর তবে হ্যা এটাই সত্য।
।
স্পেশশীপটা একটা সাগরের তীরে নামলো। সেখানে নেমে তারা পানির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আমিও এখন দূর থেকে উড়ে আসলাম। তারা আমাকে দূর থেকে দেখতে পাবে না। কারন তারা পানি দেখা নিয়ে ব্যস্ত। আমি তাদের এই ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলাম। দুজনের একজন মেয়ে আরেকজন ছেলে মনে হচ্ছে। আমি নিরবে তাদের পিছনেই এসে দাড়ালাম। উড়ে এসেছি বলে হয়তো তারা খেয়াল করে নি। কিংবা এখানের আবহাওয়ায় তারা একটু কমই শুনতে পাচ্ছে না অনুভব কমই করতে পারছে। আমি তাদের পিছনে দাড়িয়ে একটা কাশি দিলাম। দুজনেই ভয়ে পানির মাঝে পরে গেলো। কোনোরকম ছেলে এলিয়েনটা উঠে তার কোমরে থাকা প্লাজমা বন্ধুকটা উঠিয়ে আমার দিকে আঘাত করতে চাইলো। আর মেয়েটা ভয়ে পানিতেই পরে রইলো
.
--ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। আমি কোনো ক্ষতিই করবো না।(আমি)
.
--......(দুজনেই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। মনে হচ্ছিলো ওরা আমার ভাষা বুঝতে পারে নাই। আর ওদের কাছে তো আমি এলিয়েন তাই হয়তো আমাকে ভালো করে দেখে নিচ্ছে)
।।।।।
।।।।।
আমিও ওদের দুজনকেই ভালো করে দেখে নিলাম। ছেলে যেটা সেটার গায়ের রং নীল। আর মেয়ে যেটা সেটার রং লাল। ওদের জামা কাপড় আর চুল দেখেই বুঝতে পারলাম কোনটা মেয়ে আর কোনটা ছেলে। তাছাড়া ওদের বাকি সব গুলো দেখতে হুবুহু মানুষের মতোই। আশ্চর্যের হলেও আমি মোটেও অবাক হয়নি। কারন এর আগেও আমি এমন পরিস্থিতির স্বিকার হয়েছি। তাই এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। ওরা হয়তো আমাকে নিয়ে গবেষনা করছে। ছেলেটা ওর বন্ধুক নামিয়ে দিলো। আমি আমার ডান হাত ওর দিকে বারিয়ে বল্লাম।
.
--আমি হারকিউমাস টিটান। এই যে পানি দেখছেন। এই পানির রাজা।(আমি)
.
--আমি নং ইন। আর ও আমার স্ত্রী নিং পং।(ইন আমার হাতে হাত মিলিয়ে বললো)
।।।
।।।
দুজনের নাম কিন্তু অনেক হাস্যকর। পৃথিবীর জাপান কিংবা চাইনাতেও হয়তো এমন নাম পাওয়া যাবে না। এজন্যই তো তারা এলিয়েন। আমি ওদের সাথে গল্প শুরু করে দিলাম।
।
--তাহলে আপনার কোথা থেকে এসেছেন?(আমি)
.
--আমরা এই,সৌরজগতের শেষ গ্রহ নিপারুন থেকে এসেছি।(ইন)
।।।।
।।।।
এই সৌরজগতের শেষ গ্রহ তো নেপচুন। তাহলে ওদের দেওয়া নাম হয়তো নিপারুন।
.
--তাহলে আপনারা আমাদের গ্রহটাকে কি নামে ডাকেন?(আমি)
.
--প্লিরুন।(ইন)
.
--তো এখানে এসেছেন কেনো?(আমি)
.
--আমাদের এখানে আসার দুটো কারন। এক হলো এখানের পানি আমাদের ঔখানের থেকে অনেক স্বচ্ছ আর দুই হলো কিছুদিন যাবৎ আমরা এই গ্রহ থেকে অনেক বিরাট একটা এনার্জি অনুভব করতে পারতেছি। আমাদের বিজ্ঞানীদের বানানো এনার্জি মিটারে আমরা প্রায় রোজই দেখতে পায় কোনো বিশাল একটা এনার্জি রোজই এই গ্রহ থেকে নির্গত হচ্ছে। সেটা আগেও হয়েছিলো। কিন্তু অনেক বছর সেটা বন্ধ ছিলো। কিন্তু এবার আবার শুরু হয়েছে। আমাদের সকল বিজ্ঞানীরা এটার রহস্য জানার জন্য এখানে আসতে চাই কিন্তু তাদের মতে এই এনার্জির অনেক ক্ষমতা। যদি কোনো এলিয়েন এটার ব্যবহার জানে তাহলে তাদের ক্ষতি হবে।(ইন)
.
--তাই তারা আসে নাই?(আমি)
.
--হ্যা। কিন্তু আমরা দুজনও বিজ্ঞানী। আমরা সকল ভয় ত্যাগ করে চলে আসলাম। আপনি কি কোনো আশ্চর্যকর শক্তির সম্পর্কে জানেন?(ইন)
.
--না আমি তেমন কিছুই জানি না। আমি তো এই পানির রাজা। পানির মাছগুলো মেরে সেগুলো খেয়ে বেচে থাকি।(আমি)
.
--ওওওও।(ইন)
.
--আপনার স্ত্রী কথা বলছে না যে?(আমি)
.
--ও কথা বলতে পারে না(ইন)
.
--ওওও বোবা।(আমি)
.
--বোবা মানে?(ইন)
.
--কিছু না। আচ্ছা আপনারা মানুষ মাত্র দুজন কিন্তু এতো বড় একটা যানে আসলেন?(আমি)
.
--এর ভিতরে আমাদের প্রয়োজনীয় সব কিছুই আছে। যদি কোনো ভুল করি তাহলে সেটাকেও ঠিক করার যন্ত্রপাতি আমাদের এই যানের মধ্যে আছে।(ইন)
।।।।
।।।।
বুঝতে পারলাম এদের সাথে জোর খাটিয়ে লাফ নেই। কারন এলিয়েন হলেও এরা অনেক ভালো মনের মানুষ। তাই আমাকে বুদ্ধি খাটাতে হবে। কি করবো সেটাও ভাবা হয়ে গেছে আমার। আমি তো যা করবো তা এদের ভাবার বাইরে। দেখা যাক কি হয়।
.
--আপনারা যে আশ্চর্যকর শক্তির কথা বললেন এমন একটা শক্তি আমি একটা জায়গায় দেখেছি। তবে সেটা পানির নিচে।(আমি)
.
--সমস্যা নাই আমাদের এই যান পানির নিচেও যেতে পারবে।(ইন)
.
--আচ্ছা তাহলে চলুন। আমি নিয়ে যাচ্ছি।(আমি)
.
--চলুন আমাদের সাথে যানে।(ইন)
।।।
।।।
দুজনের সাথে আমি তাদের স্পেশশীপে উঠলাম। ভিতরে একটা টাইম লক ব্যবহার করলাম। একটা হাতের তালুর উপরে আরেকটা হাতের তালু রেখে দিলাম পাচটা ঘসা। সাথে সাথে লাল আলো দিয়ে সব কিছু থেমে গেলো। সময় আমার জন্য থেমে গেছে। পুরো একমিনিট সময় পাবো পুরো যানের মধ্যে ঘুরে দেখতে। অবশ্য এই সময়ই আমার জন্য যথেষ্ট। আমি সব রুম গুলো মুখস্ত করে নিচ্ছিলাম। কোথায় টাইমমেশিন আছে সেটাও দেখে নিলাম। সব দেখার শেষে আমি আবার যেখানে দাড়িয়ে ছিলাম সেখানেই এসে দাড়ালাম। এতোক্ষন যা যেভাবে ছিলো সেভাবেই আছে। এক মিনিট হয়ে যাবার পর আবার আগের মতো চলতে লাগলাম। এখন আমাকে এদের আধা ঘন্টা ঘোরাতে হবে। কারন আধা ঘন্টা সময় লাগবে আমার আবার টাইম লক বানাতে। আমি ওদেরকে ইচ্ছে মতো ঘুরালাম। তারপর নিয়ে আসলাম সেই জায়গাতে
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ৬নং পার্টের জন্য।