পার্টঃ০২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
আমার বাসায় আসাতে অথয় বাদে হয়তো সবাই খুশি। আমি রাগ করেছি কেনো সেটা বাসার সবাই জানে। কিন্তু সে ব্যাপারে হয়তো তারা কথা বলবে না। কারন ভুল তাদেরই ছিলো। আমি যেহেতু রাগ কমিয়ে বাসায় এসেছি তাই তারা আর এই ব্যাপারে কিছুই বললো না। আমি বাসায় আসার পরই আমার ছোট বোন হৃদিতা আমাকে পেয়ে পাগল হয়ে গেলো। ভাই বোনের ভালোবাসা যেটাকে বলে। আমি ভিতরে গিয়ে রেষ্ট নিতে লাগলাম একটু। শান্তির ঘুম হয়না অনেক দিন। ক্যাম্পেই থাকি কিংবা ব্যারেটে সব জায়গায় রাত ১২ টাই ঘুমাও আর সকাল ভোর তিনটাই উঠো। আর সারাদিন তো বিভিন্ন ধরনের দৌড় ঝাপ আছেই। শুধু ব্যারেটে থাকলে শুক্রবারের দিনটা ফ্রি পাওয়া যায়। তাছাড়া পুরো বছরই একই রকম থাকে। খারাপ হলেও সেই জীবনটাই আমার ভালো লাগে। কারন এটার মধ্যে একটা মজা পেয়ে গেছি আমি। ছোট থেকেই সুটিং গেমস গুলো আমার কাছে ভালো লাগতো। আর নিজেরও এসব বন্ধুক দিয়ে মারামারি করার ইচ্ছা ছিলো অনেক আগে থেকেই। এখন যখন সেই সুযোগ আমার হয়েছে তখন তো ভালো লাগবেই। আমি ঘুমিয়ে পরলাম ফ্রেস হয়ে। অনেক দিন পর বাসায় আসছি আজকে। বন্ধু বলতে তেমন কেউ আমার এখানে ছিলো না। একদম আলাদা টাইপের ছিলো ছিলাম বলে কেউ প্রথমে আমার সাথে মিশতে চাইতো না। অবশ্য আমি সবার থেকে আলাদা ছিলাম বলেই অথয় আমার সাথে রিলেশন করে। একই ক্লাসের ছিলাম আমরা দুজনে। আমাদের রিলেশনটা দু বছর ছিলো তারপর এসএসসি পাশ করার পর যখন কলেজে উঠলাম প্রথম প্রথম তখনি ব্রেকআপ করে অথয় অথয়ের মতো চলে গেলো।
।
আচ্ছা এসব কথা বলে গল্পটা বোরিং করবো না। পুরানো কথা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। আমরা একটু হোল্ডার গ্রুপের দিকে ফিরে আসি। হোল্ডার গ্রুপের বর্তমান লিডার মিস জাবিন। সে বিষন্ন মনে বসে আছে। খুব মন খারাপ তার। কয়েকমাস আগে তার বাবা মারা গেছে এই দুঃখে তার মন খারাপ না। বরং তার মন খারাপ এটা ভেবে যে আজ চার মাস হয়ে যায় সে তার স্বপ্নে কিছু আজব আজব জিনিস দেখতেছে। অনেক হুজুর উলামা যারা স্বপ্নের ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারে তাদের দিয়েও কোনো সঠিক ব্যাখ্যা পাচ্ছে না জাবিন। কি করবে বুঝতে পারতেছে না সে। এতো অদ্ভুদ জিনিস দেখার মানে কি আছে। তখনি তার সামনে তার একজন কর্মী এসে বললো।
.
--ম্যাডাম বোম রেডি হয়ে গেছে।(লোকটা)
.
--well done।।।। এখন কিছু মানুষ খুজো যারা টাকার বিনিময়ে নিজের জীবন এই বোম ফাঠিয়ে দিবে। You know what I mean. I need some suicide sqaud।(জাবিন)
.
--ম্যাডাম আমাদের কাছে দুটো লোক আছে। আরো খোজ করছি আমরা।(লোকটা)
.
--দুটোতে হবে না। আগের বার বাবা পুরো বাংলাদেশেই বোম ব্লাস্ট করেছিলো। কিন্তু এবারে আমার প্লান একদমই আলাদা।(জাবিন)
.
--কি প্লান?(লোকটা)
.
--আমরা এবার দুটো বড় সেতু, সব বিমানবন্ধর এবং স্টুডেয়ামে বোমা ব্লাস্ট করাবো। সেই বোমাতে থাকবে আমার ইনভেনশন করা ভেক্স ডি ভাইরাস।(জাবিন)
.
--মানে আপনি বায়োবোম ব্লাস্ট করতে চান?(লোকটা)
.
--হুমমম। এবার হাজার না এবার লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।(হাহা হাহা করে হেসে উঠলো জাবিন আর তার লোকেরা)
।।।।
।।।।
মেয়েটার এই কথাগুলো তো আমার অজানা থাকবেই। সেদিকে তারা বায়োবোম ব্লাস্ট করার প্লান করছে আর এদিকে আমি চোখ বন্ধ করে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি। ঘুম শেষ করে আমি উঠলাম। কারন আমাকে বের হতে হবে। এখানের অনেক খোজ খবর নিতে হবে আমার। এখানের মিশনটা তো মাত্র শুরু। আমি নিচে নামলাম। তখন শুনতে পেলাম আম্মু ভাইয়া আঙ্কেল আর বাবা কথা বলতেছে। আমি চুপি চুপি শোনার চেষ্টা করলাম।
.
--ওকে সেনা থেকে বের করে দিতে পারবি না তুই যে কোনো ভাবে?(বাবা)
.
--আরে তোর ছেলে সেনাবাহিনী আছে আর তুই বের করে দিতে বলতেছিস।(আঙ্কেল)
.
--আমি চাই আমার ছেলেটা আমাদের কাছেই থাকুক। ওর দাদার অবস্থা তো দেখেছিসই। আর রাহাতের জন্য তো টেনশন সব সময়ই হয় আমার। আর হৃদয়ের জন্য তো টেনশন করতে করতে মনে হয় দ্বিতীয় স্টোকটাও করবো।(বাবা)
.
--আরে চুপ করতো। একজন সেনাবাহিনীর জন্য কেউ এতো টেনশন করে না। হৃদয় পুলিশ না যে তার কেউ ক্ষতি করবে এটা ভেবে তুই চিন্তা করবি। ও একজন সৈনিক। ওর কিছু হলে ও শহীদ হিসাবে গন্য হবে।(আঙ্কেল)
.
--তারপরও চিন্তা হয় আমাদের অনেক। কারন এখনো ওর পড়ার সময় গেলো না। আর ও সেনাতে চলে গেছে। তাউ আবার অনেক রিক্সি মিশন ও কমপ্লিট করতেছে ও।(ভাইয়া)
.
--তোমার ভাই আমাদের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে well trained সৈনিকের মধ্যে একজন। আমি ওর মতো কাউকে দেখি নি। ওর বয়স অনুযায়ী সব কিছ ও বাকি সবার থেকে আগেই শিখে। আর কখনো কোনো জিনিসে ও অস্থির হয় না। আর ওর ট্রেনিং রেকর্ড শুনলে হয়তো তোমরাই অবাক হয়ে যাবে। তাই বলতেছি ওকে নিয়ে চিন্তা করে লাভ নাই।(আঙ্কেল)
।।।।
।।।।
সবার কথার ইতি ঘঠালাম আমি গিয়ে। আমাকে দেখেই সবাই চুপ হয়ে গেলো।
.
--ভাইয়া চল বাইরে যাবো একটু ঘুরতে।(আমি)
.
--এসে সারতে পারলি না এর মধ্যেই বাইরে।(বাবা)
.
--কাজ আছে তাই যেতে হবে।(আমি)
.
--কিছু খেয়ে যা।(মা)
.
--বাইরে থেকে কিছু খেয়ে নিবো আমরা।(আমি)
.
--আচ্ছা চল।(ভাইয়া)
।।।।
।।।।
দেখলাম এর মাঝেই অথয় আর হৃদিতাও রেডি হয়ে চলে আসছে।
.
--কি হলো তুই যাচ্ছিস কোথায়?(আমি হৃদিতাকে বললাম)
.
--কেনো ভাবি বললো শপিং করতে যাবে নাকি। তুই ও যাচ্ছিস আমাদের সাথে?(হৃদিতা)
.
--ভাইয়া শপিং পরে করলে হয় না। গুরুত্বপূর্ন কাজ ছিলো।(আমি)
.
--আরে চল তো তুই। দেখবি ভালো লাগবে। অনেকদিন হলো আমরা একসাথে শপিং করি না তিন ভাইবোন। ওদের শপিং করিয়ে দিয়ে বাসায় দিয়ে তোর গুরুত্বপূর্ন কাজ করবো।(ভাইয়া)
.
--আচ্ছা চল।(বিরক্ত হয়ে বললাম)
।।।।
।।।।
কেনো জানি অথয়কে যত দেখছি তত বিরক্ত হচ্ছি আমি। বাসার সবাই অবাক হচ্ছে কারন সবাই জানতে আমি আর অথয় অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলাম। কিন্তু এখন সে আমার ভাবি হওয়ায় আমি কোনো কথা বলছি না তার সাথে কিংবা অথয় ও আমার সাথে কোনো কথা বলছে না। আমি আগে থেকেই সবার সাথে কম মিশতাম তাই অথয় যে বাবার বন্ধুর মেয়ে ছিলো আমি সেটাও জানতাম না। তবে এখন জানতে পেরেছি। যাক ভালোই হয়েছে জেনে। আমাকে কষ্ট দিয়েছে মেয়েটা এটা হয়তো আমার ভাগ্যে ছিলো। কিন্তু সেটা আমি জমা রেখেছি। আমার চোখ দিয়ে যতটা পানি পরেছে আমি তো নিজে থেকে ওর চোখ থেকে এক ফোটা হলেও পানি ফেলবো।
।
অনেক দিন হলো তিনজনে শপিং এ যাওয়া হয় না। আগে কত মজা করে তিন ভাই বোন শপিং করতাম। আবারো দুই বছর পরে হয়তো শপিং করতে যাচ্ছি তিনজনে। অবশ্য তিনজন না এবার চারজন। ভাইয়া বাবার গাড়িটা ড্রাইভ করছে। আমি ওর পাশে বসে আছি। পিছনে হৃদিতা আর অথয় বসছে। দুজনে গল্প করছে টুকটাক। কিন্তু অথয় বেশী কথা বলছে না। হয়তো আমাকে দেখে ও নিজেকে এখন আনইজি ফিল করতেছে। গল্প করতে করতে ঠিক সেই সময় ভাইয়া গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে পার্ক করলো৷ অনেক বড় একটা রেস্টুরেন্ট। এখানে অথয় আমাকে অনেক বার নিয়ে আসছিলো। ওর নাকি ফেবারিট এই রেস্টুরেন্টটা।
.
--অথয় নিলা কি আমাদের এখানেই আসতে বলেছে?(ভাইয়া)
.
--হ্যা। ও তো বললো বেল পিয়াটো তে আসতে। ভিতরে মনে হয় ওর বন্ধুদের নিয়ে বসে আছে ও।(অথয়)
.
--চল হৃদয় ভিতরে যায়। প্রথমে পেট ভরে আসি। পরে শপিং করতে যাবো।(ভাইয়া)
.
--আচ্ছা তোর যা ইচ্ছা কর।(আমি)
.।।।।
।।।।।
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম কথাটা। আমার মোটেও ভালো লাগছে না ওর এসব কাজ। ভালো লাগতো যদি আমার ভাবীর জায়গায় অথয় না হয়ে অন্য কেউ হতো। থাক নিজের কপালে যেটা ছিলো সেটা হয়েছে। সেটা নিয়ে রাগ করলে তো এখন সমাধান হবে না। তাই আমাকেও স্বাভাবিক হতে হবে। আমি তিনজনের সাথে করে বেল পিয়াটোতে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকার পরেই একটা টেবিল থেকে দুজন মেয়ে উঠে আসলো ভাইয়া আর অথয় এর দিকে।
.
--দুলাভাই কেমন আছেন?(একটা সুন্দরী মেয়ে বললো ভাইয়াকে)
.
--এইতো ভালো।(আমি)
।।।।
।।।।
আমার ওদের কথা বার্তা শোনার ইচ্ছা ছিলো না। তাই আমি একটা সোফায় বসে পড়লাম। এই রেস্টুরেন্ট এর একটা জিনিসই ভালো লাগে এখানে বসার জন্য ভিআইপি সোফা আছে। এমনিতেও ভাইয়া এসপি তাই রেস্টুরেন্টে যারা ছিলো তারা আমাদের সার্ভ করার জন্য অস্থির হয়ে গেলো। আমি চুপচাপ বসে ওদের কথা শুনতেছিলাম ঠিক এমন সময় আমার চোখ পরলো সামনে রাখা একটা নিউজপেপারে। আমি সেটা আমার কাছে নিয়ে পড়তে লাগলাম। হেডলাইনে উঠেছে বিশিষ্ট শিল্পপতি মোতালেব মিয়া কিডন্যাপ হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে সেটা কেউই বলতে পারছে না। একদম অদ্ভুদ ভাবেই তিনি নিজের বাসার টাইট সিকিউরিটি থেকে কিডন্যাপ হয়ে গেছেন। ব্যাপারটা অনেক আশ্চর্যজনক। কারন কিছুদিন আগে আমি নিউজে দেখেছিলাম তিনি একটা সংলাপে বলেছিলেন তার এতো শক্তিশালী সিকিউরিটি রয়েছে যে তাকে কিডন্যাপ করাটা অনেকটা ইমপসিবল। কিন্তু এই কাজটা আবার কারা করলেন। থাক এটা আমার কাজের মধ্যে নই। আমাকে তো আমার মিশন শেষ করতে হবে। এগুলো ভাইয়ার পুলিশ দেখে নিবে।
.
--কিরে হৃদয় তুই খবরের কাগজে ঔভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?(ভাইয়া)
.
--না এমনি।(আমি)
.
--ও পরিচয় করিয়ে দি তোকে। এ হলো আমার শালিকা। মানে তোর ভাবীর ছোট বোন নিলা।(ভাইয়া)
.
--হাই।(নিলা)
.
--হাই।(আমি)
.
--আপনি মনে হয় খুব কথা বলেন?(নিলা)
.
--হুমমম।(আমি)
.
--ওও আপনি তো লন্ডনে পড়ালেখা করছেন তাইনা?(নিলা)
.
--মানে?(এই মেয়ে পাগল নাকি। আমি আবার কবে লন্ডনে গেলাম)
.
--আরে হ্যা এই তো কালকেই এসেছে বাসায়।(ভাইয়া)
.
--তাই তো আপুর বিয়েতে আপনার সাথে আর পরিচয় হতে পারি নাই। আপনি আসলেন না কেনো?(নিলা)
.
--অনেক চাপ ছিলো তাই আসা হয় নাই।(বুঝলাম এখানের সবাইকে আমার সম্পর্কে এই রচনাই ছড়ানো হয়েছে। তাহলে কেউই জানেনা আমি আর্মির কেউ)
.
--ওওওও। নাম ছাড়া তো আপনার ব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না আমি।(নিলা)
.
--আরে মাত্র তো আমার ভাইটা আসলো। আস্তে আস্তে সব জানতে পারবে ওর ব্যাপারে।(ভাইয়া)
.
--ও দুলাভাই এ হলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড দোলা।(নিলা)
.
--কেমন আছো দোলা?(ভাইয়া)
.
--এইতো ভাইয়া ভালো।(দোলা)
.
--আচ্ছা কে কি খাবে বলো।(ভাইয়া)
।।।।
।।।।
সবাই কি খাবে সেটা নিয়ে ভাবছে। অথয় এর সাথে এখানে আসতে আসতে থাই সুপটা অনেক ভেবারেট হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমি থাই সুপের অর্ডার দিতে যাবো তখনি। ভাইয়া ওয়েটারকে বলে উঠলো,
.
--আমাদের দুজনের জন্য দুটো থাই সুপ আর ওরা কে কি খাবে সেটা নিয়ে আসুন। হৃদয় কি খাবি?(ভাইয়া তো আমার অর্ডার দিয়ে দিলো। বুঝলাম অথয় ভাইয়ারও পছন্দের খাবার বানিয়ে দিয়েছে এই থাই সুপ।)
.
--কি খাবো সেটাই ভাবতেছি।(আমি)
.
--তুই ও তো থাই সুপ পছন্দ করোস। ওয়েটার আরেকটা..... (ভাইয়াকে বলতে দিলাম না)
.
--ব্রো আমার জন্য একটা বড় লেগ পিচ দিয়ে কাচ্চি নিয়ে আসুন। সাথে দুটো কোকাকোলার বোতল আর কয়েকটা সসের প্যাকেট।(আমি)
.
--জ্বী স্যার।(ওয়েটার বয়)
।।।।
।।।।
যাক পুরানো অভ্যাসে ফিরতে ভালোই লাগলো।
.
--ওয়েটার আমার থাই সুপটা ক্যান্সেল আমার জন্যও পুরো কাচ্চি।(ভাইয়া)
.
--তোরা দুজন কি আগের মতো খাবি?(হৃদিতা)
.
--হ্যা। কেনো নয়। দুই ভাই অনেক দিন পর খাবো একসাথে।(ভাইয়া)
.
--ভাবি,নিলা,দোলা তোমরা একটু সরে বসো।(হৃদিতা)
.
--কেনো?(নিলা)
.
--একটু পরেই বুঝতে পারবা।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
এতোক্ষন হৃদিতা আমার কাছেই বসে ছিলো। কিন্তু এখন ও একটু সরে বসেছে। বসবে না কেনো আমরা দুই ভাই তো বাচ্চাদের মতো কাচ্চি খাই। আশেপাশে যে থাকবে হয়তো লেগ পিচটা যখন টান দিয়ে ছিড়তে যাবো তখন সেটা তার শরীরে গিয়ে লাগবে। কিংবা সস বের করতে গেলেও সেটা অন্যের শরীরে গিয়ে লাগবে। হৃদিতার কথা মতো সবাই সরে বসলো। নিলা,দোলা আর হৃদিতা পাস্তা অর্ডার করলো। আমাদের খাবার চলে আসলো। সবাই আমাদের দুই ভাইয়ের খাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কারন এভাবে কাউকে হয়তো খাওয়া দেখে নাই। এতো সভ্য ছেলে হওয়ার পরও আমরা হাত দিয়ে বাচ্চাদের মতো কাচ্চি খাচ্চি সেটা দেখে ওরা খাওয়া বন্ধ করে আমাদের দেখছে।
.
--তো নিলা তুমি কোনো সিকিউরিটি ছাড়ায় একা একা বের হয়েছো কেনো এবার বলো।(ভাইয়া)
.
--দুলাভাই। সাধারন একটা কিডন্যাপের হুমকিতে তো আর আমি ভয় পেতে পারি না। আর সিকিউরিটি আমার একদমই ভালো লাগে না সেটা তো আপনি জানেনই।(নিলা)
.
--হ্যা কিন্তু এখন কিন্তু অবস্থা তেমন ভালো না। আশেপাশের সবাই এক এক করে কিডন্যাপ হয়ে যাচ্ছে।(ভাইয়া)
.
--হ্যা নিলা তোর দুলাভাইয়া ঠিকই বলেছে এখন অবস্থা বেশী ভালো না। তোর এভাবে বের হওয়া ঠিক হবে না।(অথয়)
.
--আপু তুই ও ভাইয়ার মতো বলোস।(নিলা)
.
--আরে এতো ছোট বিষয়ে ভয় পাওয়ার কি আছে। আর তাছাড়া আজকাল যে ভয় পাই সেই হেরে যায়।(আমি)
.
--একদম ঠিক বলেছেন। দুলাভাই দেখেছেন আপনার ছোট ভাই বুঝে আপনি বুঝেন না।(নিলা)
।।।।।।
।।।।।।
হ্যা আমি তো এখন ভালোই বুঝতে পারছি। জেনারেল সাহেব আমাকে দ্বিতীয় মিশন কেনো দিয়েছেন। খবরের কাগজেই সেই রহস্য আমি পেয়ে গেছি। শুধু এখন সেটাকে সলভ করতে হবে। কড়া সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও শহরের নামকরা মানুষেরা কিডন্যাপ হয়ে যাচ্ছে। আর সেটার ভয়েই আমাকে জেনারেল আঙ্কেল তার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য এখানে এনেছেন। সব মানুষেরই স্বার্থ থাকে। তার মেয়ের বিষয়টা না হলে হয়তো আমাকে আসতে দিতে চাইতেন না তিনি। কারন আমাকে যত ফ্যামিলি থেকে দূরে রাখতে পারবেন ততোই তাদের জন্য ভালো হবে। আচ্ছা দেখি সব গুলো কেস মনে হয় আমাকেই সলভ করতে হবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করবেন পরের পার্টের জন্য। আর ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।