ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ২ পর্বঃ ২০

Bangla Dub Novels

 


#জলপরীর_প্রেমে#

#সিজন_2#

পার্টঃ২০

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী 

।।।।।।

।।।।।।

।।।।।।

আমাকে অনেকটা শক্ত করেই বেধেছে শিকল দিয়ে। এই সিগমা যদি এখন না আসে তাহলে তো আমার জীবন মনে হয় শেষ। শালার এমন প্যাচে কখনো পড়ি নাই। একবার শুধু মুক্ত হলে দে আমাকে পুরো জলপুরী ধ্বংস করে দিবো আমি। আমাকে তো এরা চিনে না আমি কি করতে পারি। আচ্ছা দেখা যাক কি হয়। আমি ভাবলাম হয়তো এরা অপেক্ষা করবে। কিন্তু না একজন তো একটা বল্লম আমার দিকে ছুড়ে মারলো। আমি চোখ বন্ধ করে ছিলাম। যাক নিশানা খারাপ ছিলো তাই হতো আমি বেচে গেছি। কিন্তু পরের টা এসে লাগলো আমার ডান হাতের কব্জায়। এতো ব্যথা লাগলো যে বলে বোঝাতে পারবো না। এবার কিছুটা ভয় হতে লাগলো কারন এর পরের টা যে কোথায় লাগবে তার ঠিক নাই। আমি চোখ বন্ধ করে ছিলাম। পালোয়ানের মতো একজন জলমানব আমার দিকে বল্লম ছুরতে যাবে এমন সময় সিগমা আসলো অক্টোপাসের আকারে। আমি খেয়াল করি নি ঔদিকে। কারন আমার চোখ বন্ধ ছিলো। সিগমা এসে যে কয়টা আমার দিকে বল্লম ছোড়বার জন্য দাড়িয়ে ছিলো সব কয়টাকে গিলে নিলো। আরো অনেক জলমানব আসছিলো সিগমাকে আটক করার জন্য। কিন্তু সিগমার আকার দেখে তারা আসলেই ভয় পেয়ে গেছে। মুহুর্তেই সিগমা বিশাল একটা হাঙর হয়ে গেলো। এটা দেখে সবাই খুব আতঙ্কিত হয়ে গেলো। সিগমা তার লম্বা নাক দিয়ে আমাকে যে লোহার শিকল দিয়ে বাধা হয়েছে সেটাই আঘাত করলো। সাথে সাথে শিকল ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। এবার বিশাল হাঙর হয়ে সিগমা এক একটাকে মারতে শুরু করলো।

আমার হাতের কব্জায় এখনো বল্লমটা গেথে আছে। আমি সেটাকে বাম হাত দিয়ে টেনে তুললাম। অনেক কষ্ট হলো। কিন্তু এটা নিমিষের জন্য সেটা আমি বুঝতে পারলাম। আমি কোমড় থেকে ট্রিশুলটা বের করলাম। অনেক রেগে গিয়েছি আমি। সঙ্গে সঙ্গে ছোট ট্রিশুলটা বড় হয়ে গেলো। ট্রিশুলটা থেকে সাদা আলো বের হতে লাগলো। বুঝলাম না তলোয়ার দিয়ে লাল আলো বের হলো আর ট্রিশুল দিয়ে সাদা আলো। তাহলে কি এই লাল আর সাদা এই দুই জাদু কি ট্রিশুল আর তলোয়ারের মধ্যে আছে। 

আমি অনেক রেগে গেছি তখন আশে পাশে কি আছে জানি না। আমার চোখ দুটো সাদা হয়ে গেলো রাগে। আমার শরীর থেকেও কেমন জানি একটা সাদা আলো বের হতে লাগলো। আমি ট্রিশুলের শক্তিটাকে এখন কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো এই জিনিসটা এখন আমাকেই কন্ট্রোল করছে। আমাকে বলছে আশেপাশের সব কিছু ধ্বংস করে দিতে। আমি ভেবেছিলাম তলোয়ারের থেকে মনে হয় এটার ক্ষমতা কম হবে। কিন্তু কোনো দিক থেকেই আমি কম দেখছি না উল্টো এই ট্রিশুল আগের থেকে ৫০ গুন শক্তি শালী। তাহলে প্রথমে যে ট্রিশুল আমার কাছে ছিলো ঔটাই তো এটা। তাহলে সেটা এতো কম ক্ষমতাসারী কেনো ছিলো বুঝলাম না। আমি কিছু বোঝার আগেই ট্রিশুল টা দিয়ে জোড়ে মাটিতে আঘাত দিলাম। আমি নিজের চোখে প্রথম এতো ধ্বংস দেখলাম। মনে হলো আমার সামনেই কয়েক টা পারমানবিক বোমা ফেলানো হয়েছে এখানে। নিজের রাগকে আমি কন্ট্রোল করতে না পেরে পুরো জলপুরীর পুরোটাই ধ্বংস করে দিলাম আমি। এবার আমার নিজের রাগ আস্তে আস্তে কমতে লাগলো। আমি চারিদিকে তাকালাম কি করলাম আমি। পুরো জলের মানব আমি ধ্বংস করে দিলাম। সবাই কি মারা গেছে। আমি আশে পাশে তাকালাম। দেখলাম যে জায়গা দিয়ে আমাকে দেখতে আশা জলমানব গুলো দাড়িয়ে ছিলো সেগুলোর উপরে একটা প্রতিরক্ষা ঢালের মতো কিছু একটা বানানো হয়ছে জাদু দিয়ে। আমি বুঝতে পারলাম কাজটা কে করেছে। সিগমা ছাড়া আর কেউ কাজ টি করে নি। আমি আশে পাশে দেখলাম সিগমা রাজা বংশের সবাইকেও বাচিয়েছে ওর জাদু দিয়ে। শুধু আশে পাশে যারা ছিলো তাদেরকেই বাচিয়েছে ও এই পুরো ধ্বংস থেকে। কিন্তু পুরো জলপুরী একদম ছাই হয়ে গেছে। শুধু এই স্টুডিয়ামই দারিয়ে আছে এটার জায়গায়। আমি খেয়াল করলাম আমি মাটি থেকে পানিতে ভাসছি। নিজের কাছে আমার নিজেরই এখন খারাপ লাগছে। আমি ট্রিশুলের ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখলাম। এতো শক্তিশালী জিনিস নিজের আয়ত্বে আনা এতো সহজ হবে না। আমি সিগমার দিকে একবার তাকালাম। অনেক দুর্বল হয়ে আছে এখনো ঢাল বানিয়ে রেখেছে। আমি ওর দিকে তাকানোর পরে ছোট করে একটা হাসি দিলো সিগমা। তারপর ওর ক্লান্ত শরীর পরে গেলো নিচে। আমি দেখতে পেলাম এতোক্ষন ঢালের ভিতরে থাকায় কিছুই হয় নাই ওর। কিন্তু দুর্বল হওয়ার কারনে ও আর জাদু করে কোনো প্রানী হতে পারলো না। তাই পানিতে সাতার না জানা মানুষের মতো করতে লাগলো। আমি তারাতারি সাতার কেটে ওর দিকে গেলাম। ওকে ধরেই ট্রিশুল দিয়ে আমি গোল একটা ঢাল বানালাম। তারপরে ওকে কাধে নিয়ে আমিও পানি থেকে উপরের দিকে যাচ্ছিলাম। সিগমার অবস্থা অনেক শোচনীয় হয়েছে। কারন ও অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে। ওকে বিশ্রাম নিতে হবে এখন থেকে। আমি বুঝলাম না আমি কি করে ফেললাম। জলপুরীকে এভাবে ধ্বংস করে দেওয়া কি কোনো মানে হলো। আমার মাথায় কিছুই ঢুকতে ছিলো না। সিগমা সমুদ্রের বালির উপরে শুয়ে পরলো। আমি ট্রিশুলটা মাটিতে গেথে রেখে চুপ করে বসে রইলাম।

.

--মহারাজ হঠাৎ কি এমন হলো যে পুরো জলনগরী আপনি ধ্বংস করে দিলেন?(সিগমা)

.

--জানি না আমি বুঝলাম না কিছুই। আমি ট্রিশুলটাকে নিজের আয়ত্বেই আনতে পারলাম না। এমন মনে হচ্ছিলো এই ট্রিশুলই আমাকে কন্ট্রোল করছিলো।(আমি)

.

--মহারাজ আপনার মনে হয় এই অস্ত্র ব্যবহার ঠিক হবে না। কারন রেগে গেলে আপনি নিজের রাজ্যেরই ক্ষতি করতে পারেন।(সিগমা)

.

--না সিগমা। অনেক কিছুই আমার মাথায় ঢুকেছে।(আমি)

.

--কি মহারাজ।(সিগমা)

.

--সেটা আপনি বুঝবেন না সিগমা।(আমি)

.....

।।।।

আমি বুঝতে পেরেছি কেনো বর্তমান সময়ে বলে হারকিউমাস এর ট্রিশুলের মধ্যে সৃষ্টি এবং ধ্বংসের শক্তি রয়েছে। খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি কেনো এইসব ভিন্ন প্রানীদের আমি বর্তমান সময়ে দেখতে পারি নি। এখন তো বেচে আছে সামান্য কিছু জলমানব এবং জলপরী। এরা বংশবিস্তার করে আবার এদের নতুন সূচনা করবে। তবে এতো শক্তির ট্রিশুলের ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে গিয়েছিলো কিভাবে। নাকি আমিই কোনো না কোনো ভাবে কমিয়ে দিয়েছিলাম যাতে আমি এটাকে কন্ট্রোল করতে পারি। হয়তো এমন কিছুই হবে। হ্যা এটাই হবে। আমি ও সিগমার পাশে শুয়ে পরলাম। এতোক্ষন খেয়াল করি নি রাত হয়ে গেছে। আমাদের দুজনের উপরেই আকাশের বিরাট চাদ দেখা যাচ্ছে। অনেক বড় একটা চাদ। আমি আর সিগমা চুপ চাপ তাকিয়ে আছি সেটার দিকে।

.

--মহারাজ আস্তে আস্তে চাদের আলোটা কমে যাচ্ছে কেনো?(সিগমা)

।।।

।।।

হ্যা আমিও দেখলাম চাদের আলো হঠাৎ কমে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা চাদকে ডেকে দিচ্ছে। আমি দেখেই বুঝলাম। প্লেন তো এখনো তৈরী হয়ই নাই। তাহলে আকাশপুরীর আকাশ মানব কিংবা আকাশপরীর কেউ হবে। কিন্তু একজন না সেটা আমি হলফ করে বলতে পারি। অনেকে হবে। নাহলে পুরো চাদকে এভাবে ডেকে রাখা সম্ভব নয় কোনো ভাবেই। আমার এখন কোনো ইচ্ছাই নাই আকাশপুরী ধ্বংস করার। তাই আমি এখানেই শুয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। দেখি যা হওয়ার হবে।

সিগমা আর আমি শুয়ে শুয়ে দেখতে লাগলাম। এক একজন আকাশমানব নিচে নামছে। তবে ওরা মাটিতে নামছে না। সবাই পানিট একটু উপর থেকেই ডানা উধাও করে পানিতে লাফ দিচ্ছে। সবাই পানির নিচে যাচ্ছে। একজন নয় দুজন নয়। পুরো একটা সেনা পানির নিচে যাচ্ছিলো। আমি বুঝতে পারলাম এরা পানির ভিতরে জলপুরীর সাথে যুদ্ধ করতে যাচ্ছে। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব কোনো রকম জাদু ছাড়া আকাশপুরীর জ্বীন গুলো পানিতে কিভাবে যাচ্ছে। ওরা তো পানিতে শ্বাস নিতে পারে না আমি দেখেছি। 

আমি তারাহুরো করে পানিতে হাত দিলাম। অনুভব করতে লাগলাম পানিকে। দেখতে লাগলাম সবাই পানির নিচেই শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু কিভাবে সেটা আমি কোনো মতেই বুঝতে পারলাম না। বিষয়টা খুবই আশ্চর্যের। আমি সিগমাকে বলতে যাবো কিছু তখন সিগমাও দেখি অবাক হয়ে আছে।

.

--কি হলো আপনি অবাক হয়ে গেলেন কেনো?(আমি)

.

--আমি কি এসব সত্য দেখেছি সব।(সিগমা)

.

--হ্যা। কেনো কি হয়েছে?(আমি)

.

--শুধু কাহিনীতেই পরে গেছি ডানা ওয়ালা ফেরেস্তা আছে। আজকে নিজের চোখে দেখলাম।(সিগমা)

।।।।

।।।।

আমি সিগমার কথা শুনে হাসবো না কাদবো সেটা বুঝতেছিলাম না। তবে এটা বুঝতেছিলাম জলপুরীতে এখন যারা বেচে আছে তারা নিশ্চয় বিপদে আছে। আমি কি যাবো তাদের কাছে। তারচেয়ে তাদের কাছে আমি একটা বার্তা পাঠিয়ে দি। আমি আমার এই ক্ষমতার কথা আগে উল্লেখ করেছি অনেকবার। কিন্তু এটা কেমন সেটা বলছি। আমি পানিতে হাত দিলেই চোখ বন্ধ করে আশে পাশের সব দেখতে পাই। হয়তো অনেক জলপরী পারে এটা করতে। আর আমি যেকোনো জলের প্রানীদের কে দূর থেকেই থাকতে পারি। তাদের সাথে কথা বলতে পারি। এটা নিশ্চয় জেনে গেছেন আগেই।

আমি আমার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবো। জানি না হবে কি না।। কিন্তু চেষ্টা করি তাদের এতো বড় ক্ষতি করলাম আর তো ক্ষতি করতে চাই না আমি। আমি জলপুরীর রাজাকে দেখতে পেলাম এখনো বসে আছে স্তব্ধ হয়ে সেখানেই। আমি তাকে তাদের উপরে আসন্ন সামনের বিপদের কথা বল্লাম। তার রিয়েকশন দেখে বুঝতে পারলাম সে আমার কথা বুঝতে পেরেছে। তারা কিভাবে বাচতে পারবে আমি এটা রাজাকে বলে দিলাম।

.

--চলুন সিগমা এবার আমরা আমাদের রাজ্যে ফিরে যায় রাত তো অনেক হলো।(আমি)

.

--কিন্তু মহারাজ পানির ভিতরে তো ব্যাপারটা ভালো হবে না সামনে।(সিগমা)

.

--সিগমা আপনিই ভাবুন তো। তাদের রাজ্য কি আমাদের ভিতরে পরে। আর তাদের রাজ্যের রাজা কি আমরা। কিংবা তারা কি কোনো সাহায্য আমাদের চেয়েছে। আর তারা কি করেছে আমি তাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম খুশি মনে উল্টো তারা আমাকে বন্ধী করে মারতে গিয়েছিলো।(আমি)

.

--কিন্তু মহারাজ তাদের পুরো রাজ্য ধ্বংস করা কিন্তু আমাদের ঠিক হয় নি। শুধু যারা এই আদেশ করেছিলো তাদেরকেই শাস্তি দিলে হতো।(সিগমা)

.

--আমিও এটাই করতে চেয়েছিলাম সিগমা। কিন্তু কেনো জানি না ট্রিশুলটা আমাকে সেটা না করতে দিয়ে ওর হুকুম মতো কাজ করালো।(আমি)

.

--কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে এই ডানা ওয়ালা ফেরেস্তা গুলো ওদের মেরে ফেলবে।(সিগমা)

.

--ওরা কিছুই করবে না সিগমা। ওরা যাচ্ছে আমাদের ধ্বংস করা জলপুরীকে ঠিক করে দিতে।(আমি)

.

--ওওওও।(সিগমা)

.

--হ্যা এবার চলুন প্রাসাদে যাওয়া যাক। আপনিও আহত। আমিও আহত হয়েছি। আমাদের দুজনের বিশ্রাম করতে হবে।(আমি)

।।।।

।।।।

আহত কথাটা বলার পর আমি ডান হাতের কব্জা দেখলাম। একদম ঠিক হয়ে গেছে কব্জাটা। বুঝলাম না কি হলো। ট্রিশুল কি আমাকে ঠিক করে দিলো। আগে তো এমন হতো না। হলেও নিজের শরীরের ক্ষত গুলো সাধারন সময়ের থেকে একটু তারাতারি ঠিক হতো। কিন্তু এখন তো দেখছি সাথে সাথেই ঠিক হয়ে গেলো। না আমার এভাবে ট্রিশুল ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আমাকে এটার পুরো ব্যবহার শিখতে হবে। 

আমি আর সিগমা দুজনেই রাজ্যের দিকে হাটতে লাগলাম। রাজ্যের কাছে আসতেই দেখতে পেলাম ঘোড়া নিয়ে বের হচ্ছে গেইট থেকে কিছু সৈনিক। আমাদেরকে দেখেই দুজন সৈনিক আমাদের দুজনকে ঘোড়ায় উঠালো। আমি আর সিগমা ঘোড়ায় বসে রাজ্যের দিকে চলে আসলাম। কোনো সৈনিকই কিছুই বললো না। আমি আর সিগমা দুজনেই কোনো কথা না বলে সোজা আমাদের কক্ষে চলে আসলাম। মন্ত্রীও আজকে কোনো কথা বললো না। অনেকটা ভয়ে আছে আজকে আমাকে নিয়ে। কারন শুনেছে হয়তো আমি কি করেছিলাম। আর সিগমাকে তো এখন অনেক ভয় পাবেই। কারন প্রথম প্রথম তো ওকে দেখতে পারতো না মন্ত্রী। কিন্তু এখন তো জানতে পেরেছে সে জাদুকর। আমিও আর বেশী কথা না বারিয়ে আমার কক্ষে ঢুকলাম। ঢোকার সাথে সাথেই দেখতে পেলাম হৃদিতা দৌড়ে আমার কাছে আসলো।

.

--আপনার কিছু হয় নি তো?(হৃদিতা)

.

--আমার কি হবে। শুনেন নি যুদ্ধের কথা?(আমি)

.

--হ্যা শুনেছিলাম। অনেক শান্তি লেগেছিলো যে কোনো রক্ত ছাড়াই যুদ্ধ জিতে গেছেন। কিন্তু পরে শুনতে পেলাম আপনি পানিতে ঝাপ দিয়েছেন আর উঠেন নি। সব সেনাকে দেখলাম যখন আপনাকে ছাড়াই ফিরে আসতে। তখন আরো চিন্তিত হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর একটু আগেই আপনাকে খোজার জন্য সেনা পাঠালাম আমি।(হৃদিতা)

.

--বাবা।।। একদিনেই স্বামীর জন্য এতো দরদ হয়ে গেছে। প্রথম প্রথম তো দেখতেই পারতেন না।(আমি হৃদিকে টেনে কাছে নিয়ে আসলাম)

.

--পরে কোথায় গিয়েছিলেন?(হৃদিতা)

.

--বলবো। আগে একটু বিশ্রাম নিয়ে নি।(আমি)

.

--আপনি যান গোসল করে আসুন।(হৃদিতা)

.

--আর কতো গোসল করবো। এতোক্ষন তো পানির নিচেই ছিলাম।(আমি)

.

--দেখছেন না আপনার সাথে বালি লেগে আছে। যান গোসল করে আসুন।(হৃদিতা)

.

--ঠিক আছে।(আমি)

।।।।

।।।।

আমি চলে গেলাম গোসল করতে। তারপর এসে হৃদিতাকে সব খুলে বল্লাম। ও অনেকটা কষ্ট পেয়েছে আমার কার্য শুনে। 

কিন্তু যা করেছি হয়তো ভালোর জন্যই করেছি। এমনই লেখা ছিলো কাহিনীতে তাই এমনই হবে। আমার ভবিষ্যতের আমি যা যা করে গেছে তাই তো আমি করছি। কিন্তু আমার বর্তমানের কথা খুব মনে পরে যাচ্ছে। এলিয়েনটা কি কি করছে সেটা কে জানে। কবে যে আমি এখান থেকে যেতে পারবো। তবে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগতকছে সেটা হলো এই টাইম মেশিন কোথা থেকে আসলো। এটা কিভাবেই বা আমি পেলাম। আমি তো পেয়েছি আমার ভবিষ্যতের আমার জন্য আচ্ছা আমি আরে সামনে গেলেই বুঝতে পারবো কিভাবে কি হলো।

।।।

।।।

আমি নিজেও অনেক ক্লান্ত ছিলাম। ঘুম আসছিলো খুব। গভীর ঘুমে তলিয়ে পরলাম আমি।

।।।।।

।।।।

।।।

।।

(((চলবে)))

।।

।।।

।।।।

।।।।।


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.