পার্টঃ১২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।
।।।।
।।।।
বুঝতে পারছি নিলা আমার ঘোরের মধ্যে পরে যাচ্ছে। ভালোবাসার অভিনয়টা আমি ঠিকই করে যাচ্ছি। যদি সে নির্দোশ হয় তাহলে এভাবেই চালিয়ে যাবো। আর যদি ঔ করে থাকে এসব তাহলে তো কি করবো নিজেও জানি না। আমার প্রত্যেকটা কাজ কর্মে নিলা শুধু ভালোবাসা খুজে পায়।
।
পরের দিন নিলা ওর বাবার অফিসে যাবে। তাই রেডি হচ্ছিলো সকাল সকাল। আমিও অফিসে যায়নি আগের দিন। আজকে আমাকেও যেতে হবে। নিলা আয়নার সামনে দাড়িয়ে ওর চুল আচড়াচ্ছে। আজকে পরনে শাড়ি। অনেক সুন্দর লাগছে ওকে। পুরো একটা মায়াবতীর কম নয়। আমার দেখা কয়েকটা মেয়ের মধ্যে এই নিলা একটা যাকে শাড়িতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। হৃদয় বেচে থাকলে বেচারার যে কি হতো যখন আমি ওর জায়গায় ওর বউ এর সাথে দুষ্টুমি করতাম। হৃদয় এর কথা ভেবে আবারো কষ্ট পেলাম। কিন্তু কিছুই করার নেই। একরাশ কষ্ট নিলাম মনে। আর মাথায় শয়তানি নিলাম। আমি উঠে গিয়ে নিলাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। ও কিছু বললো না। আমি হাতটা ওর কোমরে শক্ত করে ধরলাম। কানের কাছে একটা চুমু দিয়ে বল্লাম।
.
--আজকে তো দারুন লাগছে তোমাকে।(আমি)
.
--থাক পাম দিতে হবে না আপনার!(নিলা)
.
--সত্যি বল্লাম। যে দেখবে সেই তোমার প্রেমে পরে যাবে। দারাও।(আমি)
.
--কি করছেন।(নিলা)
.
--চুপ চাপ দারাও তো।(আমি নিলাকে সামনের দিকে ঘুরালাম। তারপর ওর কাজল থেকে কিছুটা কালি হাতের আঙ্গুলে নিয়ে ওর কপালের পাশে দিয়ে দিলাম)
.
--কি করলেন এটা?(নিলা একটু রেগে)
.
--কারো নজর যাতে না লাগে তাই একটু কালি দিয়ে দিলাম।(আমি)
.
--আপনি পারেন ও বটে।(নিলা)
.
--কোথায় যাওয়া হচ্ছে এখন?(আমি)
.
--কোথায় আর যাবো। বাবার কম্পানি আমাকে দেখতে হচ্ছে। ভাইয়া তো এক মাস পর দেশে ফিরবো।(নিলা)
.
--তোমার স্বামী আছে এখন সেটা কি ভুলে যাচ্ছো।(আমি)
.
--ভুলবো কেনো। কিন্তু আপনি ও বুঝেন আম্মু এখন কম্পানিটা দেখতে পারে না। আগে তো একই কম্পানি ছিলো কিন্তু আম্মু পরে নিজে একটা খুলে ফেললেন।(নিলা)
.
--সেটার কি কোনো দরকার ছিলো। এতোদিন একই সাথে একই কম্পানিতে ছিলো আর তারপর হঠাৎ।(আমি)
.
--ভাগ কারোই ভালো লাগে না এটা হয়তো জানেন আপনি।(নিলা)
.
--হুমমম।(আমি)
.
--তাহলে তো জিজ্ঞাসা করার কিছুই থাকে না। আপাতোতো আমাকে মানা করবেন না প্লিজ। ভাইয়া আসবে ১ মাস পর তখন থেকে আর আমার কষ্ট করতে হবে না।(নিলা)
.
--হুমমম। ঠিক আছে যাও।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি নিলার কপালে একটা চুমু দিলাম। নিলা বেরিয়ে গেলো। বেলকনিতে এসে দেখলাম নিলা গাড়িতে উঠে চলে যাচ্ছে। আমি গাড়ির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমার ও কি কাজ নাই। রেডি হয়ে আমিও নাস্তা করে আম্মু আর বাবার থেকে বিদায় নিয়ে অফিসে চলে আসলাম। অফিসে আসার পর।
.
--স্যার ঔ লেখিকা ম্যাডাম তো আবার আসছেন। আপনার গল্পটা শোনার জন্য।(ম্যানেজার)
.
--ওনাকে বসতে বলেন। আমি আসছি।(আমি)
....
।।।
আমি আবারো গেলাম দেখা করতে। দেখি আজকে ভালোই সেজে গুজে এসেছে লেখিকা ম্যাডাম।
.
--কেমন আছেন হৃদয় চৌধুরী?(ইনা)
.
--আলহামদুলিল্লাহ। আপনি?(আমি)
.
--আছি ভালোই। তবে আপনার কাহিনীটা পুরো না শোনা পর্যন্ত মনে হয় ভালো থাকবো না।(ইনা)
.
--কেনো আপনাকে কুড়ে খাচ্ছে কাহিনীটা?(আমি)
.
--জ্বী।(ইনা)
.
--ওওও।(আমি)
.
--আপনি আর অপেক্ষা না করিয়ে বলুন তো। কি হবে পরের কাহিনী।(ইনা)
।।।।
।।।।
আমিও বলতে লাগলাম পরের জানা টুকুর কাহিনী। তবে তাকে বলা কাহিনীর মধ্যে আকাশ নামের কোনো চরিত্র নেই। গল্পটা sad ending টাইপের হবে।
.
--আপনার কাহিনীটা ভালোই লাগলো। কিন্তু কষ্ট লাগলো এখানে হৃদয় জানতে পারলো না তাকে কেনো হত্যা করা হয়েছে।(ইনা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--প্রথমে তো বললেন আপনার জীবনের গল্প। তারপরে তো আপনি কাল্পনিক জীবনে চলে গিয়েছিলেন।(ইনা)
.
--হ্যা আমার সাথে যতটা হয়েছে তার সাথে কিছুটা শুধু যোগ করে আপনাকে বললাম।(আমি)
.
--কাহিনীটাতে অনেক রহস্য রয়েছে। তবে আশা করবো সুন্দর করে লেখার।(ইনা)
.
--তাহলে লেখবেন?(আমি)
.
--হ্যা কাহিনী যখন পেলাম লেখে দেখি। আশা করি ভালোই হবে।(ইনা)
.
--হুমমম।(আমি)
.
--বই বের করলে প্রথমটা আপনিই পাবেন।(ইনা)
.
--ধন্যবাদ।(আমি)
.
--তাহলে আজকে উঠা যাক। আপনার সময় নষ্ট করলাম।(ইনা)
।।।।
।।।।
আমি তো সবার কাছেই এখন হৃদয়। সবার কাছে আকাশ নামের বান্দা কেউ ছিলো না। ছিলো না বললে ভুল হবে। আকাশ নামের অনেকে আছে। তবে আমি ছিলাম না। আমি এখন থেকে হৃদয়। সবাই আমাকে এই নামেই জানবে।
।
আমি আমার কেবিনে চলে আসলাম। এসে চেয়ারে বসলাম। তখনি আমার সেক্রেটারি আসলো। আসলে আমার না। আমার আম্মুর সেক্রেটারি ছিলো। তাই এখন আমার ও।
.
--May I come in sir?
.
--Yes.(আমি)
.
--স্যার আমি ললনা জাবিন। আপনার পার্সোনাল সেক্রেটারি।(ললনা)
.
--ওওও এতোদিন কোথায় ছিলে?(আমি একবার তাকালাম। দেখলাম অনেক স্টাইলিস্ট। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমার উপরে লাইন না মেরে ছারবে না। আর আমি ও কম কিসের)
.
--স্যার আমি ছুটিতে ছিলাম।(ললনা)
.
--কেনো বিয়ে করতেছিলেন নাকি?(আমি)
.
--স্যার কি যে বলেন না। আমার কি এখনো বিয়ের বয়স হয়েছে। আম্মু অসুস্থ ছিলো তাকে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। কালকে এসেছিলাম কিন্তু আপনি তো আসেন নি?(ললনা)
.
--তো এসব ছুটি পুটি বাদ দিয়ে কাজের কথায় আসা যাক। নতুন কোনো প্রজেক্ট এর কোনো খবর কি আছে?(আমি)
.
--নো স্যার। আজকে সিঙ্গাপুরের এক বড় ব্যবসায়ী যাবেন খান গ্রুপের সাথে মিটিং করতে।(ললনা)
.
--কি????(তাইতো বলি সকাল সকাল কেনো নিলা রেডি হয়ে চলে গেলো)
.
--জ্বী স্যার।(ললনা)
.
--তারা কিভাবে কনট্রাক করে।(আমি)
.
--স্যার তারা অনলাইনেই সব করে থাকে।(ললনা)
.
--ওকে তাদের ইমপ্রেজ করার দায়িত্ব আমার। আপনি এক কাজ করুন আমাদের অনলাইনে কন্ট্রাক স্কেলটা ৫.৮% আর রেটিং স্কেল ১২.২% বাড়িয়ে দিন।(আমি)
.
--কিন্তু স্যার তাতে তো লস হওয়ার আশংকা রয়েছে।(ললনা)
.
--আমি যা বল্লাম সেটাই করুন।(আমি)
.
--জ্বী স্যার।(ললনা)
।।।।
।।।।
ললনা বের হয়ে গেলো। নামটাও চেহারার সাথে মিলে যায়। ললনা জাবিন। যাক আমি একটু শেয়ার বাজারে ঢুকলাম। দুইদিন আগে কয়েকটা শেয়ার কিনেছিলাম। সেটার দাম দেখলাম ১৫% বেড়ে গেছে। ভাবলাম বিক্রি করে দেওয়া যাক। আমি যেটা ভেবেছিলাম একটু পর ফোন আসলো সিঙ্গাপুরের সেই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তার সাথে ইংরেজিতে কথা হলো। তার বাংলা কথা এমন ছিলো।
.
--আপনার কম্পানির কন্ট্রাক স্কেল দেখলাম। আর সাথে স্কেল রেটিং ও দেখলাম। এটা দেখে আপনার কম্পানির সাথে আমরা কন্ট্রাক করতে ইচ্ছুক।
।।।
।।।
যাক এক দিক দিয়ে মেরে দিয়েছি। সিঙ্গাপুরের সেই ব্যবসায়ী নিমান হিল এসেছিলো আমার কাছে। এসে পুরো ৫০০ কোটি টাকার একটা বিশাল কন্ট্রাকে তিনি চুক্তি বদ্ধ হলেন। প্রথম ডিলটা ঠিক মতো করতে পারলে এরপরে আরো ডিল দিবে তারা। এতো খুশি দেখে কে। সন্ধায় ভাবলাম নিলাকে নিয়ে ডিনারে যাবো। তাই ওর অফিসে গেলাম ওকে পিক করে নিয়ে আসতে। দেখলাম মুখটা শুকিয়ে গেছে ওর। শুকাবেই তো। এতো বড় একটা কন্ট্রাক শেষে হাতছাড়া হয়ে গেলো। আমি তো জানতাম যদি ভালো রেটিং দেখে তাহলে যে কেউ আমাদের সাথে কন্ট্রাক করবে। আর এখানে তো আমাদেরই লাভ হলো কারন আমরা ৫.৮% লাভ করতে পারবো বেশী। নিলা চুপচাপ বসে ছিলো গাড়িতে কোনো কথায় বলছে না। আমি একটু পর পরই ওর দিকে তাকাচ্ছিলাম। মনে হয় রেগে যাচ্ছে। ভালো একটা রেস্টরেন্টে ঢুকালাম। সুন্দর একটা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। কোথায় একটু রোমান্স করবো তা রেখে মন খারাপ করে বসে আছে নিলা।
.
--কি হয়েছে মুখ ফুলিয়ে ঔভাবে বসে আছো কেনো।(আমি নিলার হাতটা ধরে)
.
--কেনো বসে আছি নিশ্চয় জানেন।(নিলা)
.
--কোথায় আমি তো কিছুই জানি না।(আমি)
.
--নাটক করবেন না। আপনি চিটিং করে আপনার কম্পানির রেটিং বারিয়ে দিয়েছেন। আর তাই আমার হাত থেকে এতো বড় একটা কন্ট্রাক আপনার কাছে চলে গেছে।(নিলা)
.
--দুর আমরা কিভাবে রেটিং বারাবো। সেটা তো অন্য কম্পানি গুলো দিয়ে থাকে।(আমি)
.
--একদম মিথ্যে বলবেন না। আমি খোজ নিয়ে জেনেছি সার্ভার হ্যাক হয়েছিলো। আর সেটা কেনো হয়েছে সেটা তো বলতেই চাই না।মুহুর্তের মধ্যে আমাদের থেকে কিভাবে আপনারা টপে চলে যান।(নিলা)
.
--সেটা আমি কি করে বলবো। হয়তো কোনো ষড়যন্ত্র করছে কেউ।(আমি)
.
--আমাকে বোকা পাইছেন। আপনি খুব পচা।(নিলা)
.
--আচ্ছা অফিসিয়াল কথা বার্তা অফিসে হবে। এখানে তুমি আমার বউ। সো এখানে শুধু রোমান্স হবে।।।।(আমি)
।।।।
।।।।
।।।।
দিন যতই যাচ্ছিলো নিলার ভালোবাসা আস্তে আস্তে বারতে ছিলো। আমি ওর চোখের প্রতিটা ভাষা বুঝি। শুধু ওর না সবারই চোখ দেখলে বোঝা যায় সে কি ভাবতে পারে। হয়তো এটা কোনো ক্ষমতা না। এটা আসলে সাইকাইট্রিজের একটা বিষয়। যেখানে শুধু ধারনা করা হয়। যদি মিলে যায় তাহলে তো ভালোই। নিলার চোখে শুধু আমার জন্য ভালোবাসাই দেখতে পাই আমি আর কিছু না। খুশসুটিতে চলতে ছিলো আমাদের জীবন। সেদিন ছিলো শুক্রবার। এখন নিলা আর অফিসে যায় না কারন ওর ভাই আবিদ এসেছে বিদেশ থেকে। ঔ কম্পানি দেখাশোনা করে। আমি নিলার সাথে গল্প করছিলাম।
.
--জানো আমি কিন্তু মানুষকে সম্মোহন করতে পারি।(আমি)
.
--সেটা আবার কি?(নিলা)
.
--সেটা কি বুঝে না। হিপ্লোটিজম সম্পর্কে শুনেছো?(আমি)
.
--হ্যা ঔযে ঘড়ি দেখিয়ে কি করে ঔটা।(নিলা)
.
--হ্যা আমি করতে পারি সেটা জানো।(আমি)
.
--আমার বিশ্বাস হয় না। আপনি ধপ মারছেন।(নিলা)
.
--মোটেও না।(আমি)
.
--তাহলে দেখান তো করে।(নিলা)
.
--ওকে যাও করে দেখাবো। দেখবো তো শিওর।(আমি)
.
--হ্যা দেখবো।(নিলা)
।।।।
।।।।
আমি সারারুম অন্ধকার করে দিলাম। জানালার পর্দা লাগিয়ে দিলাম। একটা ডিম লাইট ছিলো যেটা জ্বালিয়ে দিলাম। তারপর বেলকনি থেকে রোলিং চেয়ারটা নিয়ে আসলাম। সেটা এনে সেটাই বসিয়ে দিলাম নিলাকে। সাথে হাল্কা নারা দিলাম চেয়ারটা।
.
--দেখো সম্মোহন এর জন্য আগে তোমাকে প্রস্তুত হতে হবে। তুমি কি রাজি আছো সম্মোহন হওয়ার জন্য। তুমি রাজি না থাকলে আমি কিছুই করতে পারবো না।(আমি)
.
--আপনি এই মজা বাদ দিন তো। আপনি কি ডাক্তার নাকি এসবের?(নিলা)
.
--মজা না। দারাও ভিডিও করতেছি। তোমাকে দেখাবো আমি পারি কিনা।(আমি)
.
--ওকে ঠিক আছে করেন। আমি রাজি আছি।(নিলা)
.
--ঠিক আছে তাহলে তোমার মাথা থেকে সকল চিন্তা বাদ দিয়ে দাও। আশে পাশের কোনো শব্দে কান দিয়ো না। শুধু আমার ফোনের এই দৃশ্যটার দিকে তাকাও। একদম নিজেকে শান্ত করে ফেলো। দেখবে তোমার চোখ ভারী হয়ে যাচ্ছে। আস্তে করে চোখদুটো বন্ধ করে দাও। তোমার ঘুম পাবে। তুমি ঘুমিয়ে যাবে কিন্তু আমার তিনবার ডাক দেওয়ার পরে তুমি জাগ্রত হবে ঘুম থেকে নয় স্বপ্ন থেকে।(আমি)
।।।।
।।।।
নিলা কোনো কথা বলছে না। ও চোখ বুঝে শুয়ে রইলো। আমি তাকিয়ে রইলাম ওর নিষ্পাপ মুখের দিকে। মায়াবী লাগছে ওকে। দেখা যাক আজকে রহস্য বের করতে পারি কিনা। আমি ওকে ডাকতে লাগলাম।
.
--নিলা।(আমি)
.
--....
.
--নিলা।(আমি)
.
--....
.
--নিলা।(আমি)
.
--হুমমম।(চোখ বোঝা অবস্থায় নিলা উত্তর দিলো। এখন শিকারী আমার হাতে। শুধু এখন শিকার করার অপেক্ষায়)
.
--নাম কি তোমার?(আমি)
.
--নিলাঞ্জলা নিলা।(নিলা)
.
--স্বামীর নাম কি?(আমি)
.
--হৃদয়। না আকাশ চৌধুরী।(নিলা)
.
--প্রথমে যে হৃদয় বললে সে কে?(আমি)
.
--সে আমার প্রথম স্বামী ছিলো। আর এখন কার স্বামীর ছোট ভাই।(নিলা)
.
--তাহলে আগের স্বামী রেখে তার বড় ভাইয়ে বিয়ে করলে কেনো?(আমি)
.
--হৃদয় মারা যায় আর বাসায় থেকেই আমাকে তার বড় ভাই আকাশের সাথে বিয়ে দিয়ে দেই।(নিলা)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ১৩ তম পার্টের জন্য।