ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ২ পর্বঃ ২৩

Bangla Dub Novels

 


#জলপরীর_প্রেমে#

#সিজন_2#

পার্টঃ২৩

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী 

।।।।।।

।।।।।।

।।।।।।

কোথায় ভাবলাব এখান থেকে বের হয় হিগমার পিছনে যাবো। কিন্তু এখানেই মনে হচ্ছে বন্ধী হয়ে থাকতে হবে আমাদের।

.

--সিগমা কিছু একটা করুন। আমাদের তো হিগমাকে যেভাবেই হোক আটকাতে হবে।(আমি)

.

--হ্যা মহারাজ কিন্তু আমি এখন কিছুই করতে পারবো না।(সিগমা চুপ হয়ে বললেন)

.

--কেনো সিগমা?(আমি)

.

--হিগমা আমার সব ক্ষমতা ওর করে নিয়েছে। ও আগের থেকে অনেক শক্তির অধিকারী হয়ে গেছে। ও শক্তি শোষনের মন্ত্র ও নিজের আয়ত্বে করে নিয়েছে।(সিগমা)

.

--কি?(আমি)

.

--হ্যা মহারাজ। এখন ও যদি কালো জাদুও নিজের করে নেই তাহলে পুরো দুনিয়াই ওর। আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না।(সিগমা)

।।।

।।।

দেখলাম সিগমা অনেক ভয় পেয়ে গেছে এখন। এমন ভয় ওর চোখে আমি আগে কখনো দেখি নি। আসলেই শক্তি থাকলে মানুষ কতই না সাহসী হয়ে যায়। কিন্তু সেই শক্তি চলে গেলে মানুষ একদম ভীতু হয়ে যায়। সিগমাকে আমি বোঝাতে চেষ্টা করলাম না। কারন আসলেই ওর মাঝে আর কোনো ক্ষমতা নেই। সিগমাও অনেক ক্ষমতার অধীকারী ছিলো। কিন্তু অনেক অজ্ঞ ছিলো তার ক্ষমতার ব্যাপারে। যেমন আমি ও অজ্ঞ। আমি মাটিতে বসে পরলাম। 

কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। মাথা কাজ করতে ছিলো না। না এভাবে হতে দিলে চলবে না। আমাকে মাথা শান্ত করে ভাবতে হবে। আমি আমার চোখ বন্ধ করলাম। আশে পাশে পানি আছে কিনা অনুভব করতে লাগলাম। আমাকেও আমার পুরো শক্তি ব্যবহার করতে হবে। আমি আর এই ছোট খাটো ক্ষমতা নিয়ে ওদের সাথে যুদ্ধ করতে চাই না। 

.

--মহারাজ আপনি নিচে বসেছেন কেনো? আমি আমার জামা খুলে দিচ্ছি সেখানে বসুন।(মন্ত্রী)

.

--এখন রাজার স্টাইলে বসার সময় নেই মন্ত্রী। অনেক হয়েছে বাচ্চা বাচ্চা খেলা। আমি চাইনি কারো বেশী ক্ষতি করতে এই সময়ে। কিন্তু এখন দেখছি কিছু না করলে আমারই ভুল হবে।(আমি)

.

--কি করতে চাচ্ছেন?(হ্যারি)

.

--সবাই তো সাতার কাটতে পারেন?(আমি)

.

--কেনো?(হৃদিতা)

.

--কারন সুনামি হবে এখন।(আমি)

।।।।।।।।।

।।।।।।।।।

।।।।।।।।।

আমি বলার সাথে সাথেই সমুদ্রের পানি আছড়ে পরলো পুরো রাজ্যের উপরে। পানি আস্তে আস্তে আমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে লাগলো। এটাই তো আমি চাচ্ছিলাম। আমার শুধু পানি দরকার ছিলো। আমি পানিতে হাত দিলাম। আমার কোনো জলমানব কিংবা মানব সৈন্যের দরকার নেই এখন। এই পানির সৈন্যরাই আমাকে এখন সাহায্য করবে। আমার ক্ষমতাই তো এই একটা। আমি এটাকেই ব্যবহার করি। এটা কি কোনো জাদুর শক্তির থেকে কম। আশে পাশে যত সামুদ্রিক প্রানী ছিলো আমি সব গুলোকে ডাক দিলাম। এবার খেলা হবে। 

পানি আস্তে আস্তে আমাদের কক্ষে বারতে লাগলো। সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেলো।

.

--মহারাজ এসব কি হচ্ছে?(মন্ত্রী)

.

--আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। আপনি সেই ইতিহাসের জলের দেবতা?(হ্যারি)

.

--আমি কোনো ইতিহাসের দেবতা নই। আমি হারকিউমাস। এখন থেকে জলের নতুন রাজা হারকিউমাস টিটান।(আমি)

.

--জ্বী মহারাজ।(হ্যারি কুর্নিশ করলো আমাকে। সেই সাথে সবাই কুর্নিশ করলো আমাকে)

.

--মহারাজ এই ঘর তো পানিতে ভরে যাচ্ছে।(সিগমা)

.

--চিন্তা কিসের আমার সেনা এখনি চলে আসবে?(আমি)

.

--মহারাজ আমাদের সব সেনাদের ওরা মেরে ফেলেছে।(মন্ত্রী)

.

--আরে।

।।।

।।।

আমার আরে বলার সাথে সাথেই বিশাল একটা তিমি মাছ ধাক্কা দিলো দেওয়ালের সাথে। আমাদের যে কয়েদখানায় রাখা হয়েছে তার দেওয়াল ঝুর ঝুর করে ভেঙে গেলো। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। বাড়িরে পানি বেশী ছিলো তাই ভিতরে সেটা ঢুকতে লাগলো। 

.

--নিন আমার সৈন্য চলে আসছে।(আমি)

.

--এসব তো জলের প্রানী।(হৃনিতা)

.

--হ্যা এসব মানুষের থেকেও বেশী ক্ষতিকর।(আমি)

।।।।।।

।।।।।।

সবাই এক এক করে একটা ডলফিনের উপরে উঠতে ছিলো। হঠাৎ একটা আকাশপুরীর সেনা উড়ে আসলো আমাদের উপরে হামলা করার জন্য। সে হৃদিতা ধাক্কা দিয়ে ডলফিনের উপর থেকে ফেলে দিলো। ফেলে দিয়ে পানির মধ্যে নিয়ে গেলো। হৃদিতা সাতার কাটতে পারে না তাই আমি লাফ দিলাম পানিতে। আমি দূর থেকেই দেখতে পেলাম হৃদিতা কষ্ট পাচ্ছে। কেমন জানি করছে ও। ওর শরীর থেকে কেমন একটা লাল আলো বের হয়ে যাচ্ছে। 

আমার পাশে থাকা হাঙরকে ইশারা করলাম আকাশপুরীর সেই সেনাটাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে। ওদের কিছু মুখ দিয়ে বলতে হয় না। মনে মনে যেটা বলি ওদের ওরা আমার চোখ দেখেই বুঝে যায় সেটা। আমি খুব তারাতারি হৃদিতার কাছে চলে গেলাম। ওর কাছে ফিরতেই একটা আলোর ঝলক হয়ে গেলো যেটার জন্য আমি কিছু দেখতে পেলাম না আমি চোখ খোলার পর অবাক হয়ে হৃদিতার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। অনেক অবাক করার বিষয় হয়ে গেলো।

.

--ঠিক আছেন ?(আমি হৃদিতাকে জিজ্ঞেস করলাম)

.

--হুমমম।(হৃদিতা)

.

--তাহলে চলেন।(আমি মুচকি হেসে বল্লাম)

.

--আমি পানিতে কথা বলতেছি কিভাবে?আর কিভাবেই শ্বাস নিচ্ছি?(হৃদিতা)

.

--কারন আপনি একজন জলপরী।(আমি মুচকি হেসে বললাম)

.

--কি?(হৃদিতা এবার ওর পায়ের দিকে তাকালো। একদম অবাক হয়ে গেলো ওর পা না দেখে মাছের লেজ দেখে)

.

--হ্যা।(আমি)

.

--কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?(হৃদিতা)

.

--সেটা হয়তো আপনার বাবা ভালো করে বলতে পারবেন। কিংবা অন্য কোনো রহস্য থাকতে পারে। থাক এই বিষয় পরে দেখা যাবে।(আমি)

.

--হুমমম।(হৃদিতা)

।।।।

।।।।

বুঝলাম না ও জলপরী হলো কিভাবে। সেদিনও তো পানিতে পরেছিলো সেদিন ও শ্বাস নিতে পারছিলো না। তাহলে আজকে হঠাৎ এটা হলো কেনো। নাকি অন্য কিছু আছে এটার মাঝে সেটা আমি বুঝলাম না। আমি হৃদিতাকে নিয়ে উপরে উঠলাম। সবাই অবাক হয়ে গেলো হৃদিতাকে দেখে। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো সময় এটা না। কারন আকাশপুরীর বিশাল একটা সেনা আমাদের সামনে চলে এসেছে। 

.

--হ্যারিকাস।(আমি)

.

--জ্বী মহারাজ?(হ্যারি)

.

--আপনি ওদের নিয়ে একটা নিরাপদ জায়গায় চলে যান।(আমি)

.

--জ্বী মহারাজ।(হ্যারি)

.

--কিন্তু আপনি একা লড়বেন এদের সাথে?(হৃদিতা)

.

--আমি একা কোথায়?(আমি হাত উচু করলাম সাথে সাথেই জলের বিশাল একটা সেনা আমার পিছনে উপস্থিত হয়ে গেলো)

.।।।।

।।।।।

এবার হবে আসল মজা।।। ঝুকি না নিলে নাকি কিছু শেখা যায় না। তাই আমি ও নিচ্ছি আমার জীবনের ঝুকি। হ্যারি সবাইকে নিয়ে পিছনের দিকে চলে যাচ্ছিলো। আমার সামনে বিশাল সেনা যারা ডানা দিয়ে উড়তে ছিলো। আমি অনেকটা ভয় পাচ্ছি তারপরও ভয় আমাকে কাটাতে হবে। এদের সাথে আমাকে একাই লড়তে হবে। নাহলে আমি কিভাবে শক্তিশালী হবে। এখানে তো হিগমাকে হারাতে হবে। আবার সেখানে সেই এলিয়েনটাকে। কিছুই করার নাই এখন। এই রাস্তাই আমাকে আমার ভাগ্য নিয়ে আসছে। এখন শেষ তো দেখতেই হবে। কিছু সেনা উড়তে উড়তে হৃদিতাদের পিছু নিতে লাগলো। 

আমি পানির বিশাল সুনামি ফেললাম তাদের উপরে।।। তারা পানিতে তলিয়ে গেলো। অবশ্য মরবে না তাই আমি কিছু হাঙর পাঠালাম তাদেরকে মেরে ফেলার জন্য। বাকি বিশাল সৈন্য আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। আমিও দাড়ালাম একটা বিশালাকার তিমির উপরে। দেখলাম সৈন্য গুলো উড়ে হামলা করার জন্য আমার দিকেই আসছিলো। আমিও প্রস্তুত হলাম। জানি না কি হতে চলেছে কিন্তু যা হবে ভালোই হবে। ডানা ওয়ালা সেনাদের হাতে রয়েছে বল্লম,তলোয়ার। আমাকে একটা আঘাত করলেই আমি মারা যাবো হয়তো। সব গুলো সেনারা আমার কাছেই চলে আসলো। আমার সাথে যুদ্ধ করতে তারা চলে এসেছে। আমি তাদের কাছে আসতে দেখেই পানিতে ঝাপ দিলাম। পানির নিচে আমি চলে গেলাম। তারাও আমার পিছনে চলে আসলো। প্রায় পাচশত সৈনিকের মতো হবে। একেকটা তাউ আবার আকাশমানব। এটা চিন্তা করা যায়। তাদের শক্তির সাথে আমি একা মানুষ কিভাবে পারবো। অবশ্য ওদেরকে পানিতে আনার পর আমার প্লাস পয়েন্ট বেড়ে গেলো। কারন পিছনে থেকে এক একটাকে মেরে ফেলছিলো আমার পানির সেনারা। আমিও সাতার কেটেই যাচ্ছিলাম। আমি সামনে যাবো এমন সময় আমার সামনে ১০ জন এসে দারালো। বুঝলাম এদের সাথে আমার নিজেরই লড়তে হবে। আমার হাতে কিছুই নাই আর তাদের হাতে তলোয়ার রয়েছে। কিন্তু আমার যে এই পানিই অস্ত্র। পুরো রাজ্যে আমি তো পানির বন্যা করে ফেলেছি।

আমি পানিতে হাত ঘোরাতে লাগলাম। সারা পানিতে আলোড়ন উঠে গেলো। আমি নিজেই জানতাম না আমি কি করতেছিলাম। কেনো জানি মাথায় চিন্তা আসলো এটা করতে তাই করতে লাগলাম। আমি দেখতে পেলাম চোখের সামনেই পানির ঘূর্নিঝড় তৈরী হচ্ছিলো। খুব ভয়ানক একটা জিনিস এই ঘূর্নিঝড়। আমি ঘূর্নিঝড়টা নিক্ষেপ করলাম সেই ১০ জন সেনার উপরে। সেই টর্নেডোর আঘাতে ১০ জনই অনেক দূরে ছিটকে পরলো। আমি আবারো সাতার কাটতে লাগলাম। আমি কিছুতেই বুঝতে পারতেছি না এদের কোন মন্ত্রে পানির নিচে থাকার ক্ষমতা দিলো হিগমা। 

আচ্ছা আমার যে এসব শক্তি এই শক্তি গুলো ও কি তাহলে এই জাদুর মধ্য থেকে পেয়েছি আমি। কি জানি সঠিল ধারনা করতে পারছি না আপাতোতো। আমি সাতার কাটতে ছিলাম। হঠাৎই চারজন আকাশসেনা আমাকে ধরে ফেললো আমি কিছুতেই ছারাতে পারলাম না তাদের থেকে নিজেকে। আমাকে নিয়ে তারা পানির উপরে চলে আসলো। তারপর ডানা মেলে উপরে উড়তে লাগলো। আমাকে চারজন ধরে রাখলো। আমি ওদের থেকে নরতেও পারতেছি না। দুজন আমার দুই হাত আর দুজন আমার দুই পা ধরেছে। আমাকে উপরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ওদের কার্যক্রম দেখেই বুঝলাম উপর থেকে ওরা আমাকে মাটিতে ফেলে দিবে। যেটা ভাবলাম সেটাই হলো ওরা আমাকে উড়িয়ে যেখানে মাটি আছে সেখানে নিয়ে আসলো তারপর উচু থেকে ফেলে দিলো।

এতো উচু থেকে পরলে যে কেউ মারা যাবে। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হবে। আমিও মারা যাবো। আমি প্যারাসুট ছাড়াই নিচে পড়তে লাগলাম। এবার আমি একটু জোড়ে চিল্লিয়ে উঠলাম। আমার জীবন যে এখানেই শেষ আমি বুঝতে পেরেছি। নিজের চোখ দুটি বন্ধ করে আমি আমার কাছের সবাইকে মনে করতে লাগলাম। অনেকটা বোকামি করেছি জীবনে। যার জন্য আমার এমন দিন এসেছে। যাইহোক চোখ বন্ধ করে সবাইকে ভাবতে ছিলাম। এমন সময় আমার চোখের সামনে দুজন মানুষ চলে আসলো অচেনা মানুষ। 

আমার কাছে এমন মনে হচ্ছিলো আমার আশে পাশের সময় সব থেমে গেছে। আমার সামনের দুজন মানুষ দাড়িয়ে আছে। একজন মহিলা আরেকজন পুরুষ। মহিলা পুরো সাদা একটা জামা পরে আছে আর পুরুষ লাল একটা জামা পরে আছে। আর দূরেই আমি কালো জামা পরা আরেকজন মানুষকে দেখতে পেলাম যে কিনা দূর থেকেই লাল চোখে আমাকে দেখে যাচ্ছে কিন্তু কাছে আসছে না। আমাকে দেখেই লাল জামা পড়া লোকটা বলতে শুরু করলো,

.

--এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা অনেকদিনের। তবে এমনটা আশা করি নি কখনো। চেয়েছিলাম নিজের বংশধরেরই কেউ আমাদের এই ক্ষমতাগুলোর অধিকারী হবে। হয়েছে ঠিকই কিন্তু যে সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী হলো তার আবারো নিয়ত ভালো না।(লাল লোকটা)

.

--ছেলেটা যে এমন কিছু করবে আমি ভাবতেও পারি নাই।(মহিলাটা)

.

--কিন্তু কি করার। এখন ওকে মুক্ত করে ফেলবে।(কালো লোকটার দিকে তাকিয়ে বললো লাল লোকটা).

.

--আপনারা কারা। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনারা আমার সামনে আসলেন কেনো?(আমি)

.

--আমরা? আমাদের পরিচয় জানার সময় হয়তো তোমার কাছে নেই। মনে করো আমরা দুজন হলাম তোমার কাছে যে ক্ষমতা গুলো আছে সেগুলোর বন্ধী রূপ।(লোকটা)

.

--মানে?(আমি)

.

--তুমি নিশ্চয় ভাবতেছো তোমার মধ্যেও তো লাল ও সাদা জাদুর ক্ষমতা রয়েছে তাহলে তুমি ব্যবহার করতে পারো না কেনো সেগুলো তাই না?(মহিলা)

.

--হ্যা।(আমি)

.

--কারন তোমার সেই ক্ষমতা গুলো আমরা দুজনই। আর আমরা দুজনই এই কালো জাদুর সাথে বন্ধী।(মহিলা)

.

--তাহলে সেই দুজন কিভাবে ব্যবহার করে?(আমি)

.

--তারা আমাদের বংশধর তাই তাদের ক্ষেত্রে এসব সমস্যা হবে না। কিন্তু তোমার।(লোকটা)

।।।।

।।।।

দুজনেই দেখলাম পিছনে তাকালো।।। দেখলাম কালো লোকটা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। অবাক হলাম দেখে।

.

--হিগমা নিশ্চয় সেই গুহা থেকে কেরেলাকে মুক্ত করে দিয়েছে।(মহিলা)

.

--হ্যা। এবার আমাদের ও পালা।(লোকটা)

.

--বালক তুমি সময় নষ্ট কইরো না। যদি আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করতে চাও তাহলে এখনি তলোয়ারের কাছে চলে যাও। সেখানে গিয়ে যে ক্রিসটলটা আছে সেটাকে পুরো ভেঙে দাও। আমরা মুক্ত হয়ে যাবো। আমাদের সব শক্তি তখন তোমার মাঝে চলে যাবে।(মহিলা)

.

--কিন্তু আমি তো এখন কিছুক্ষন পরেরই মারা যাবো।(আমি)

.

--হাসালে তুমি। তুমি জানোই না তোমার কাছে এখন কেমন শক্তি আছে। তুমি হিরান আর হিয়ানার বংশধর। তাদের সকল ক্ষমতা তোমার মাঝে।(লোকটা)

.

--সে দুজন আবার কে?(আমি)

.

--তোমার আদি পিতা মাতা। তোমার কাছে যার ট্রিশুল আছে সেটা হলো হিয়ানার। যাকে সমুদ্রের রানী বলা হতো। আর হিরান যে ছিলো আগুনের রাজা। যার তলোয়ার তুমি ব্যবহার করো।(লোকটা)

.

--কিন্তু আমি তো এখন আকাশ থেকে পড়তেছি।(আমি)

.

--এতো চিন্তা কিসের বৎস। তোমার কাছে দুজনের শক্তি রয়েছে। তারা তো আমাদের মতো বন্ধী নয়। শুধু বিশ্বাস রাখো নিজের মনে।(মহিলা)

।।।।।

।।।।।

সাথে সাথেই দুজনে অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি চোখ খুল্লাম দেখলাম যেখানে শেষ ছিলাম আকাশে সেখান থেকেই আবার পড়তে শুরু করলাম। মানে এতোক্ষনের সময় আটকে ছিলো। কি অদ্ভুদ বিষয় হলো। এমন কিছু একটা হবে ভাবতেও পারি নি। এটা নিয়ে পরেও গবেষনা করতে পারবো। দুজনের কথা এখন ভাবতে লাগলাম। আমার কাছে এতো ক্ষমতা আছে আর আমি শুধু ভাবতাম আমার কাছে শুধু পানির শক্তি আছে। আমি চোখটাকে বন্ধ করলাম।। 

এখন আমার সব ভয় হারিয়ে গেছে। আমি চোখ বন্ধ করার পরই। আমার ট্রিশুলটাকে অনুভব করতে পারলাম। মনে হলো সেটা আমার কাছেই আসছে খুব তারাতারি। আমি যখন মাটি থেকে অনেকটা উপরে তখনি ট্রিশুলটা আমার হাতের মুঠিতে চলে আসলো। সেই সাথে দেখলাম ট্রিশুলটা সাথে করে বিশাল পানিও নিয়ে আসছে। যেখানে নামলাম সেখানে এখন নদী হয়ে গেছে। 

এবার আসো চান্দু কে আসবে। আমার হাতে এখন আমার ট্রিশুল চলে আসছে। আমি এখন পুরো আকাশপুরী ধ্বংস করে দিবো। আমি কাউকে ছারবো না এখন। আমি চোখটাকে বন্ধ করলাম। এবার আমি একটা মহিলাকে দেখতে পেলাম। যে ট্রিশুলের জায়গায় দাড়িয়ে আছে। আমি তার হাতের ট্রিশুলে হাত দিয়েছে। সে আমার হাতের উপরে হাত রাখলো। 

.

--এখন থেকে এই ট্রিশুল তোমার। শুধু এটা নয়। এই সমুদ্রের যা দেখছো সব তোমার। সব তোমার আদেশ শুনবে।(মহিলাটা)

.

--আপনি কে?(আমি)

.

--হিরানা।(মহিলাটা)

।।।।

।।।।

এটা বলেই সে অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম না কি হলো। আমি পানির উপরে দাড়িয়ে আছি হাতে ট্রিশুল নিয়ে। আমি শক্ত করে ধরলাম ট্রিশুলটা। আমার শরীর সাদা হয়ে উঠলো। আমি নতুন কোনো শক্তি অনুভব করলাম আমার মাঝে। এটা আমার কাছে নতুন৷ কিন্তু এমন মনে হচ্ছিলো এসব আমার অনেক আগে থেকেই ছিলো।

আমি পানির বিশাল সুনামি তুললাম। সেটার উপরে দাড়ালাম আমি। আর পানি আমাকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। সুনামি আমাকে সামনে নিয়ে যাচ্ছিলো খুব শীঘ্রই। এবার একটা একটাকে আমি ধরে মারবো। এদের সাইজ করে আমাকে হিগমার বারোটা বাজাতে হবে।

।।।।।

।।।।

।।।

।।

(((চলবে)))

।।

।।।

।।।।

।।।।।

অপেক্ষা করুন ২৪ তম পার্টের জন্য।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.