ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ৩ পর্বঃ ১৩

Bangla Dub Novels
 #জলপরীর_প্রেমে#
#সিজন_3#
পার্টঃ১৩
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি উড়তে ছিলাম পানির উপরে। অনেকে আমাকে পাগল ভাববে যে পানির মধ্যে উড়ার কথা বলতেছি। আরে পানির মধ্যেও নিউটনের সূত্র কাজ করে। আপনাকে পানির মধ্যেও নিচে নামিয়ে ফেলবে যদি না আপনি হাত পা দিয়ে সাতার না কাটেন। তাই আমাকে কিছুই করতে হচ্ছে না। কারন আমি উড়তেছি। রাজা রুদ্রিস এর সেনা আমার দিকেই আসছে। কারন তারা নতুন শত্রুর আগমন দেখেছে। তারা এটা ভেবে পাচ্ছে না আমি এখানে আসলাম কিভাবে আর কে আমি সেটা তাদের মাথায় ঢুকছে না। এখন ই সময় এদেরকে কিছু উচিত শিক্ষা দেওয়ার। আমি উড়তে ছিলাম আর পুরো একটা সেনা আমার দিকে চলে আসলো। আমাকে নিচ থেকে এমনকি চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলো সেনারা। হঠাৎ সেনাপতি চলে আসলো আমার সামনে এসেই বলতেছে
.
--কে আপনি আর কিভাবে জলরাজ্যে প্রবেশ করেছেন?(সেনাপতি রুদিন রুদ্রিসের ছোট ভাই)
.
--আমি এখানে আসছি রাজা হৃদয় টিটানের কাছে।(আমি)
.
--আপনি ভুল সময়ে চলে আসছেন। রাজা হৃদয় টিটান মারা গিয়েছে। জলপুরীর নতুন রাজা এখন রুদ্রিস টিটান।(সেনাপতি)
.
--হাহাহা হাসালেন আমাকে। আপনার কি মনে হয় রাজা হৃদয় টিটান এতো সহজেই মারা গিয়েছে?(আমি)
.
--হ্যা।।। আপনি কে আর এখানে কোন কাজে এসেছিলেন?(সেনাপতি)
.
--আমি রাজা হৃদয় টিটানের ছোট ভাই সিগমা।(😂🤣)
.
--মিথ্যা কেনো বলতেছেন হৃদয় টিটানের কোনো ভাই ছিলো না তার শুধু একটা জমজ বোন ছিলো।(সেনাপতি)
.
--আপনাদের মনে হয় DNA রিপোর্ট দেখাতে হবে।(আমি)
।।।।
।।।।
লোকটা আমার কথা শুনে ফোন করলো কাকে যেনো। হয়তো রুদ্রিসের সাথে কথা বলবে। একটু পরই রুদ্রিস চলে আসলো আমার সামনে।
.
--তাহলে তুমিই হৃদয় এর ছোট ভাই।(রাজা)
.
--হুমম।(যে সব সময় হুজুর বলে কথা বলতো সে আজ নাম ধরে বলতেছে তাই রাগ হচ্ছিলো)
.
--এখানে কেনো আসছো?(রাজা)
.
--আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলতে।(আমি)
.
--তোমার ও তাহলে তোমার ভাইয়ের মতো ক্ষমতা আছে।(রাজা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--তবে একটা জিনিসের অভাব আছে তোমার ভাইয়ের কাছে তার ট্রিশুল ছিলো কিন্তু তোমার কাছে নাই।(রাজা)
.
--আমি এতো কথা বলতে চাই না আমার ভাই কোথায়?(আমি)
.
--সে আর বেচে নাই।(রাজা)
.
--এটা কখনো হতে পারে না। সে মরতে পারে না।(আমি)
.
--এটাই সত্য বাচ্চা। যাও এবার এখান থেকে নাহলে?(রাজা)
.
--আমি তার স্ত্রী জারার সাথে কথা বলতে চাই?(আমি)
।।।
।।।
।।।
আমার কথাটা শুনেই রাজা সাহেব খুব রেগে গেলেন।
.
--তোর এতো বড় সাহস তোর মতো ছোট একটা মানুষের মুখে আমার রানীর নাম নিলি। সেনাপতি একে এখনি শেষ করে দাও।(রাজা)
.
--জ্বী হুজুর।(সেনাপতি)
।।।
।।।
সেনাপতি আমার দিকে আসছিলো তেড়ে। আমিও হাত মুঠ করে  রাখছিলাম। কারন একটা ফায়ার punch দিবো। কিন্তু তার আগেই কোথা থেকে জারা চলে আসলো এসেই
.
--সেনাপতি থামুন।(জারা)
.
--জ্বী মহারানী।(সেনাপতি)
.
--আমি যতদূর জানি হৃদয় এর কোনো ভাই ছিলো না। তাহলে কোন হিসাবে তুমি তার ছোট ভাই দাবী করো?(জারা)
.
--আমাকে রাখা হয়েছিলো পুরো রহস্যজনক ভাবে। হৃদয় ভাইয়া আর হৃদি আপুর জন্মের পরে আমার জন্ম হয়। ঠিক তাদের উপরে বিপদ আসার এক বছর পরে আমার জন্ম হয়। আমার জন্মের ছয় মাস পরেই আমাকে আমার ছোট মামার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাদের কোনো সন্তান ছিলো না তাই। আমি লন্ডনেই বড় হয়েছি।(আমি)
.
--এ সম্পর্কে তো হৃদয় কখনো আমাকে কিছু বলে নাই।(জারা)
.
--আমার জন্মের সময় তারাও অনেক ছোট ছিলো। তাদের কাছেও আমার কথা গোপন রাখা হয়।(আমি)
.
--ওওও তো এখানে কি করতে আসছো?(জারা)
.
--আমার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে আসছি। আমি ছোট থেকেই আমার শক্তি গুলো ব্যবহার করতে পারতেছি কিন্তু এটা কিভাবে পেলাম সেটা আমার ভাইয়ের থেকে জানার অনেক ইচ্ছা।(আমি)
.
--এসব আমার বাবা দিয়েছে তোমার ভাইকে।(জারা)
.
--তাহলে আমাকে কে দিয়েছে?(আমি)
.
--সেটা আমি জানি না।(জারা)
.
--আমার ভাই এখন কোথায় আছে?(আমি)
.
--সে আর নেই এই দুনিয়ায়।(জারা)
.
--এটা কিভাবে তার কাছে এতো ক্ষমতা থাকার পরও সে কিভাবে মারা গেলো?(আমি)
.
--উপরের এলিয়েন রা তাকে মেরে ফেলছে।(জারা)
.
--আর আপনি এতো সহজে আমার ভাইয়ে ভুলে বিয়ে করে নিলেন রাজ্যের লোভে?(আমি)
.
--এতে তোমার কোনো প্রশ্ন করার অধিকার নাই। হৃদয়ের ভাই বলে তোমাকে আমি এখান থেকে মুক্ত করে দিচ্ছি। কিন্তু আবার আসলে নিজের জীবন হারাবে।(জারা)
.
--অনেক ভালো প্রমান পেলাম ভালোবাসার।ভালোবাসা যে এমন হবে সেটা ভাই মনে হয় বুঝতে পারে নাই। আমার মনে হয় আপনারাই আমার ভাইকে মেরেছেন। কিংবা আটক করে রেখেছেন আমার ভাইকে তারাতারি বের করে দিন এখান থেকে।(আমি)
.
--সেনাপতি এটা এভাবে মানবে না একে মেরে এর লাশ পুতে আশো মাটির উপরে গিয়ে।(রাজা রেগে বললেন।)
।।।।
।।।।
জারা আর রুদ্রিস দুজনে দুজনের হাত ধরে চলে গেলো আমার সামনে থেকে। আমার মনের সব সন্দেহ দূর হয়ে গেছে। আচ্ছা এতোক্ষনের নাটক তো দূর হলো। আর নাটকের কোনো দরকার নাই। আসো বাবা দেখাচ্ছি তোমাদের। সেনাপতি আসলো তার হাতের কারেন্ট এর তলোয়ারটা নিয়ে আমাকে আঘাত করার জন্য। প্রথমে সবাই ভেবে নিয়েছে যে আমি এক আঘাতেই মারা যাবো। প্রথমেই আমি ওর হাতের তলোয়ার ফেলে দিলাম এক লাথি দিয়ে। পরে ও আমাকে কিছুক্ষন মারতে লাগলো। মুখ বুঝে সহ্য করলাম।
.
--অনেক ইচ্ছা ছিলো হৃদয় টিটানকে নিজের হাতে মারার। একজন মানুষ হয়ে ট্রিশুলের জোরে আমাদের উপরে রাজ করেছে। কিন্তু সে ভাগ্য হলো না। কিন্তু আজ তোকে মেরে সে আশাটা পূরন করবো।(সেনাপতি)
।।।
।।।
সেনাপতির কথায় আমার মুখ গেলো লাল হয়ে। রেগে আগুন হওয়ার মতো অবস্থা হলো আমার। নিজের মাঝে টগবগ করতে লাগলো ফুটন্ত আগুন। শুধু এখন দেখাতে বাকি। আমি আমার হাত দুটোকে আগুন করে দিলাম। এবার একটা মেগা ফায়ার punch দিবো। নক ডাউন করবো না। সোজা ভোগে পাঠাবো। ওর বুকে একটা ঘুসি দিলাম্ সাথে সাথে ঔ পাশ দিয়ে আমার হাত বেরিয়ে গেলো। রাজা আর জারা দুজনেই সেনাপতির আর্তনাথ শুনে ফেরত আসলো। রাজা সাহেব রাগে তার বিশাল সেনাকে আমাকে মারতে আদেশ দিলেন।
আমি দাড়িয়ে পড়লাম। নিজের চেহারায় ফিরে আসলাম আমি নিজে। সবাই আগাচ্ছিলো আমার দিকে তবে এবার কিছুটা থেমে গেলো। জারার মুখে আমি অবাক হওয়ার দৃশ্য দেখলাম। শুধু সে না পুরো সেনায় অবাক হয়ে গেছে। শুধু রাজায় রাগে কটমট করতেছে। কারন সে তার ছোট ভাই হারিয়েছে। হারানোর কষ্ট তো অনেক হয়। তাই ভাইয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবছে সে।
আমি হাত মুঠো করে তলোয়ার নিয়ে আসলাম আর সেটা হাতে নিয়ে বলতে শুরু করলাম
.
--নিজের রাজ্যের প্রজা সেনারাই যদি তাদের রাজার বিরুদ্ধে যায় তাহলে কি করতে হয় জানেন সবাই পুরো প্রজা আর রাজাকে ধ্বংস করে দিতে হয়। এখানে কে আমার সাথে যুদ্ধ করতে আসবেন আসেন দেখি কতটা পারেন।(আমি)
।।।
।।।
আমার হাতে জলন্ত তলোয়ার দেখে কেউই আগাচ্ছে না। পুরো হাজার হাজার সেনা আমার সামনে। তারা সবাই ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু রাজা রুদ্রিসের মনে হয় হুস ছিলো না। সে আমাকে একটা বন্ধুক দিয়ে হামলা করলো। আমি পিছন ফিরে ছিলাম যার জন্য সেটা আমার পিঠে লাগলো। কিছুটা ব্যথা লেগেছে। যার কারন আমার রাগটা এবার চরমে পৌছে গেলো। সাথে সাথে আমার হাত থেকে কালো ছায়া বের হয়ে গেলো। এবং সেটা রুদ্রিসকে পিষে ধরলো। খুব শক্ত করে ধরে রাখলো সেটাকে। ওর হাড় থেকে করমর আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো। ব্লাক ম্যাজিক যে এমন আরো কতো কিছু করতে পারে তার কোনো ঠিক নাই। জারা ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। আমার মাঝে নতুন শক্তি দেখে সে আঘাতেও সাহস পাচ্ছে না। একটু আগে যা বলেছে এখন সে আর কি বলবে।
আমি ওর পাশে আসতে লাগলাম আস্তে আস্তে।
.
--দেখো হৃদয় আমার কোনো দোষ নাই। এই শয়তান তাই আমাকে জোর করেছে। বলেছে ওকে বিয়ে না করলে তোমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলবে ও। তোমার পরিবারকে বাচানোর জন্য আমাকে এসব করতে হয়ছে।(কেদে দিয়ে বললো ও)
।।।।
।।।।
আমি তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলাম সাথে সাথে দু টুকরো হয়ে গেলো 
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.