#সিজন_২#
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
.
শুয়ে আছি আমার রাজ্যে। শান্তির ঘুম দিচ্ছিলাম। তবে পাশে কেউই নেই। বিয়ে অবশ্য তিনটা করতে হয়েছে। করলেও কি সমস্যা। রাজাদের তো অনেকগুলো বউই থাকে। আর আমার তো শুধু তিনটা। নিজের এই রাজ্যটার মতো সুখের জায়গা আর একটা থাকতে পারে না। অবশ্য এটা জলপুরী ও নয়,আকাশপুরী ও নয়,পাতালপুরী ও নয়, আবার দানব রাজ্য ও নয়। এটা তো আমার সেই ছোট বাসাটা। যেখানে আমি বাবা আম্মু আর আমার যমজ বোনটা ছিলাম। সেই সুখের পরিবার যেখানে আমার ১৭ টা বছর কেটেছিলো। তাদেরকে তো আর ভুলতে পারি না। জীবন এভাবে বদলে গেলেও আমার কাছে সবচেয়ে সুখের জায়গা এটাই। আমার আসাতে আমার পছন্দের সব ধরনের খাবার রান্না করতে ব্যস্ত হয়ে গেছে আম্মু আর হৃদি। আর বাবা তো বাজার করতে করতেই ক্লান্ত। আর অন্যদিকে আমার তিন রাজ্য পরিচালনা করছে আমার তিন রানী। তবে আমার মনে হয় আরেকটা বিয়ে করলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। রাতে চারজন একসাথে খেতে বসলাম তখন আমি আমার মনের কথা বল্লাম।
.
--আমাদের রাজা টিটানের কি খাবারটা পছন্দ হয়েছে।(হৃদি)
.
--তুই রান্না করছোস পছন্দ না করে উপায় আছে।(আমি)
.
--বুঝলি কি করে আমি গরুর গোস্ত টা আমি রান্না করেছি।(হৃদি)
.
--সহজ। আম্মুর রান্না এতো খারাপ না।(আমি)
.
--কি বললি তুই। আমার রান্না খারাপ। দারা তোকে মেরেই ফেলবো।(হৃদি)
.
--হুমমম আসছে এই মানব রাজ্যটা যদি আমি দখল করে নিবো যখন তখন তোকেই আমার বউদের দাসী বানাবো।(আমি)
.
--বললেই হলো। তোর বউদের এক একটার ঘাড় আমি মটকাবো।(হৃদি)
.
--সবাই পরী তুই ওদের সাথে পারবি কি করে।(আমি)
.
--তোরা কি শুরু করলি রে।(আম্মু)
.
--আরে কতদিন পর আসছে। একটু ঝগড়া করতে দাও তো ওদের।(বাবা)
.
--হুমমম করুক। কিন্তু আগে বল বউমাদের নিয়ে আসলি না কেনো? বিয়ে করছোস আমাদের ছাড়াই। তারপর সবার সাথে তেমন ভাবে কথাও বলতে পারি নি।(আম্মু)
.
--তোমার বউমাদের এক একজনকে রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছি। আর আমি পুরো পৃথিবীটা ঘুরে বেরায়। তার এতো ব্যস্ত কিভাবে আসবে বলো।(আমি)
.
--আর তো কোনো বিপদ নাই এখন?(বাবা)
.
--না তবে তোমাদেরকে একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম আমি।(আমি)
.
--কি কথা?(বাবা)
.
--দানবের রাজ্যেই আমার আদিপত্য একটু বেশী। ওরা সবাই আমার অনুরাগী একটু বেশীই। আমার উপরে হয়তো সামনে অনেক বড় বিপদ আসতে পারে। তাই তোমাদের আমি গোপন রাখতে চাই।(আমি)
.
--কি বিপদ সব তো শেষ।(আম্মু)
.
--উহু এখনো শেষ হয়নি। মাত্র শুরু হয়েছে। সেদিন দানব রাজ্যের সবচেয়ে বড় তান্ত্রিকের সাথে কথা হয়েছিলো। তিনিই আমাকে সামনে বিপদের কথা বলছেন। তাই তোমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না।(আমি)
.
--আমরা আবার কোথায় যাবো।(হৃদি)
.
--আমার পুরো সম্রাজ্যের সবচেয়ে সংরক্ষিত জায়গা দানবরাজ্য। আমার দানব সেনারা নিজেদের জীবন দিয়ে দিবে তাও তার রাজার পরিবারকে যেভাবেই হোক কিছুই হতে দিবে না।(আমি)
.
--আমাদের কিছুই হবে না তুই শুধু শুধু চিন্তা করিস না।(বাবা)
.
--দেখো এমন বইলো না। আমার এখানে আসার উদ্দেশ্য এইটাই। আজকে রাতেই তোমরা যার যার ব্যাগ গুছিয়ে নিবে। তোমাদের নিয়ে আমি কাল সকালে দানব রাজ্যে যাবো। আমি চাইবো না তোমাদের কোনো ক্ষতি হোক।(আমি)
.
--তুই যেটা ভালো বুঝোস কর।(বাবা)
.
--তোমাদের কিছু হলে যে আমি বাচবো না।(আমি)
।।।।
।।।।
আমার মনের কথাটা তো বল্লাম। আসলে নিজেই জানি না কিসের বিপদ আমার সামনে আসবে। তবে হলফ করে বলতে পারি এই বিপদের কথা রাজা হারকিউমাস খুব ভালো করেই জানতেন। তাইতো যখন খুব বড় বিপদে পরবো। কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না৷ ভাবার কোনো বিষয় থাকবে না। তখন সেই বইটার কাছে যেতে বলেছে। সব রহস্য মনে হয় সেই বইটাতে নিহীত রয়েছে। আমি অনেকটা তাৎপর হয়ে উঠলাম। কিন্তু আমাকে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। আপাতোতো আমার পরিবারটাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেদিন সেই দেওয়ান দে তান্ত্রিকই বলেছিলো আমার পরিবারের সবাইকে গোপন করে ফেলতে। নাহলে কেউ আমার উপরে টোপ ব্যবহার করবে। আর সেটা হবে আমার পরিবার দিয়েই৷ তাই আগের ভাগে তাদেরকে লুকিয়ে ফেলবো। রাতের খাওয়া দাওয়া করে আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে আকাশ দেখছিলাম। তিনজনের কথায় খুব মনে পরতেছে। কিন্তু কিছুই তো করার নাই। ভিতরে হৃদি ওর জামা কাপড় গোছাচ্ছে। আমি নিলা,জারা,মোহনা কাউকেই এই বিষয়ে জানাতে চাই না। তাই আমি তাদের বলে আসছি আমি বড় একটা সফরে যাচ্ছি। তাই কেউ কোনো খোজ নিচ্ছে না। তবে এটা আমি জানি খোজ না নিয়ে ওরা পারবে না। নিশ্চয় খোজ নেওয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছে আমাকে। রাতের মতো শুয়ে পরলাম। সকালে আমার দানব সেনাপতি কে আদেশ দিলাম পোর্টাল খুলতে৷ সে পোর্টাল খুললো। বাসার সামনে দিয়েই আমরা পোর্টালে ঢুকে সোজা চলে গেলাম দানব রাজ্যে। আমার দানব সেনা আর প্রজারা সবাই তাদের রাজার পরিবারকে সম্মান দেখানোর জন্য দাড়িয়ে ছিলো। আমরা পোর্টালে ঢুকতেই সবাই কুর্নিশ করলো আমাদের। সেটা দেখে তো বাবা আম্মু আর হৃদি অবাক।
.
--তোমাদের ভয় পেতে হবে না। ওরা সবাই বন্ধুর মতো।(আমি)
.
--তুই কি এদের সাথে ও লড়েছিলি?(হৃদি)
.
--হ্যা লড়তে হয়েছিলো।(আমি)
.
--ভাই কিভাবে লড়লি এদের সাথে? তোর সাইজ আর ওদের সাইজ দেখ।(হৃদি)
.
--বলে না ছোট লঙ্কার ঝাল বেশী। আমার কথাটা ও তেমনি। আচ্ছা চলো তোমাদের রাজ্যটা দেখানো যাক। ঔটা তোমাদের রাজ হংস। ঔটায় যাওয়া আসা হবে তোমাদের।(আমি)
।।।
।।।
একটা হাসের মতো গাড়ি যেটা পাতালপুরী থেকে বানানো হয়েছে। এটা অটোমেটিক ভাবে চলে। ভিতরে একবার যেখানে যেতে বলা হবে সেখানেই যাবে এটা। আমি সেটাই উঠিয়ে দিলাম তিনজনকে। ওদের সোজা নিয়ে যাওয়া হবে রাজ প্রাসাদে। আর আমি আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সেনাপতি রনইক দের সাথে কথা বলতে লাগলাম।
.
--মহারাজ আপমার আদেশ মতো পোর্টাল এর দরজা লক করে দেওয়া হয়েছে। জনইক দের সেই দরজা গুলোও তালাবদ্ধ করা হয়েছে। আর এই রাজ্যে আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টেলিপর্টার মেশিনের ওয়েভ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কেউ চাইলেও পাতালপুরী থেকে এখানে আসতে পারবে না এখন।(সেনাপতি)
.
--হুমমম গেইটের নিরাপত্তা বারিয়ে দিন। আমি কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা চাই না। সামনে কি হতে চলেছে সেটা আমাদের সবারই অজানা। কিন্তু ভয়ানক কিছু একটা হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ আমি গেইটের নিরাপত্তা এখন আরো ৫ গুন বারিয়ে দিচ্ছি। তবে আমার মনে হয় আপাতোতো আপনার এখানে থাকা ঠিক হবে না।(সেনাপতি)
.
--হ্যা আপনি ঠিকই বলেছেন। আমাকে সব জায়গায় নিরাপত্তা বারাতে হবে। বিকালেই আমি জলপুরীতে যাচ্ছি।(আমি)
.
--হুমমম কিন্তু তার আগে আপনি আমাদের আপনার বাবা,আম্মা আর রাজকুমারীকে একটু বুঝিয়ে দিয়ে যান। হয়তো তারা ভয় পেতে পারে আমাদের দেখে।(সেনাপতি)
.
--আমি মানুষ,জ্বীন চিনতে ভুল করলেও আমার দানব বন্ধুকে চিনতে ভুল করি নাই। জানি আপনি পারবেন ওদের ভয় দূর করতে।(আমি)
.
--হ্যা পারবো তবে আপনি কিছুটা সাহস দিয়ে যান ওদেরকে।(সেনাপতি)
.
--হুমমম। যাবো।(আমি)
।।।।
।।।।
আমাকে সেনাপতি নিলো তার কাধে। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের কাধে নিয়ে যেভাবে ঘুরে সেভাবেই আমাকে নিয়ে ঘুরে সেনাপতি। ঘুম ভালো বন্ধুত্ব আমাদের মাঝে। আগের জন তো ঠকালো আমাকে। কিন্তু আশা করছি রনইক দে কিছুই করবেন না। আশা করা যাচ্ছে বাকি টুকু সামনেই দেখা যাবে। রনইক দে আমাকে কাধে নিয়ে দৌড় দিচ্ছে। অনেক অভ্যাসের পরে আমি শিখেছি এভাবে তার কাধে থাকতে। অবশ্য এর মাঝে নিজের ট্রিশুলটাকে ছোট করে রাখা শিখে গেছি। একদম একটা পেন্সিলের মতো করে রাখতে পারি। যখন এটাকে শক্ত করে মোচড় দিবে তখনই এটা বড় হয়ে যায়। তাই আমার যাতায়াতের বেশী সমস্যা হয় না। রাজ প্রাসাদে চলে আসলাম। রাজ প্রাসাদটা অনেক অদ্ভুদ। কারন সব ঘর গুলোই বিশাল বিশাল। কিন্তু শুধু আমাদের জন্য ছোট করে বানানো হয়েছে কিছু রুম। আমি বাবা,আম্মু আর হৃদির সাথে কথা বলতে লাগলাম।
.
--তুই কি আমাদের এখানে রেখে চলে যাবি।(বাবা)
.
--তাছাড়া কিছুই করার নাই। আমার যে সব রাজ্যকেই বাচাতে হবে।(আমি)
.
--তাহলে আমাদের ও সাথে করে নিয়ে যা।(আম্মা)
.
--পাগল হয়েছো। আমার চার রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে এই রাজ্য। কেউ হামলা করলেও সেনাপতি তোমাদের সবচেয়ে নিরাপত্তার জায়গায় পাঠিয়ে দিবে।(আমি)
.
--সামনে কি হবে।(হৃদি)
.
--হয়তো ভয়ানক কিছুই হবে। তোমরা কেউ চিন্তা কইরো না। আমাদের কিছুই হবে না।(আমি)
.
--আমাদের সাথেই এটা হচ্ছে কেনো?(বাবা)
.
--হয়তো ভাগ্য এমনি ছিলো। তাই তো সব দুঃস্বপ্ন সত্য হয়ে যাচ্ছে।(আমি)
.
--সাবধানে থাকিস।(আম্মু)
.
--তোমরা ভয় পেয়ো না। দানবদের যা বলবে তাই শুনবে। যদি না শুনে সেনাপতিকে বলবে। এই রাজ্যে আমার পরে সেনাপতির ক্ষমতা।(আমি)
.
--তোর মন্ত্রী নাই।(হৃদি)
.
--আছে তো। কিন্তু তার ভূমিকা সেনাপতির পরে।(আমি)
.
--ওওও।(হৃদি)
.
--হুমমম।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি ওদের থেকে বিদায় নিলাম বিকালে। পোর্টাল খুলতে বল্লাম সেনাপতিকে৷ যোগাযোগের জন্য এখানেও আধুনিকতার অভাব নেই। এক ধরনের বিশেষ ফলন ব্যবহার করে যেটা আমাদের উচ্চতার অর্ধেক আমার মনে হয়। কিন্তু পাতালপুরীর বিজ্ঞানী আমার জন্য বিশেষ ফোন তৈরী করেছে এটা দিয়ে আমি যে কাউকে যখন ইচ্ছা ফোন করতে পারি। শুধু নাম বললেই ফোন চলে যাবে। নাম্বার না জানলেও হবে। বলতেই হবে টেকনলজির দিক থেকে পাতালপুরী অনেকটা এগিয়ে গেছে। আমি পোর্টাল দিয়ে চলে আসলাম জলপুরীতে। অবশ্য জলপুরীতে আসি নি। আটলান্টিক মহাসাগরের একটা দ্বীপে এসে পৌছালাম। পানির কাছে গেলাম। একটা হাত নামিয়ে দিলাম পানিতে। অনুভব করতে লাগলাম পানিকে। অনুভব শক্তি দিয়ে দেখতে লাগলাম আশে পাশে কি আছে। একটা বড় শার্ক দেখতে পেলাম একটু দূরেই। ঠান্ডা পানির হাঙর। আমি যদি সাধারন মানুষ হতাম তাহলে নিশ্চয় ভালো জিনিস হতো না এই হাঙরের কাছে। হার ভেঙে চুরে খেয়ে ফেলতো। কিন্তু তা হলো না। আমি হাঙরটাকে ডাকলাম। সে চলে আসলো আমার কাছে। পানির মজা নিতে নিতে যাবো আজ আমার জল রাজ্যে। তাই হাঙরের উপরে চড়ে বসলাম। মজাই লাগছিলো।
।।
।।
আর এদিকে যে জিনিসটা আমাদের অজানা ছিলো সেটা হলো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির আমাদের থেকে একদম বিপরীত দিকে আমাদের মতোই একটা সৌরজগৎ রয়েছে যেটাকে আমাদের বিজ্ঞানীরা কি নাম দিয়েছে জানি না বাট তারা সেটাকে লুয়াইন বলে থাকে। সেটাতে গ্রহ রয়েছে ৩২ টা। সূর্য রয়েছে ৪ টা। প্রথমে একটা গ্রহতেই জীবন শুরু হয়। কিন্তু আস্তে আস্তে সেখানের বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারনে ৩২ টা গ্রহতেই তারা থাকে। তাদের ও আমাদের মতো অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেখতে এক রকম না আমরা। আকৃতিতে তো ভিন্ন হবেই। খাবার ও এক রকম না। তবে এক রকম হচ্ছে তাদের জনসংখ্যা ও খুব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে এক গ্রহের রাজার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্য গ্রহের রাজার ঝগড়া। তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে তাদের মাঝেও। তাদের এই যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে শক্তি শালী যে রাজা লু চিন সেই পুরো সৌরজগতের রাজা হয়ে যায়। পুরো সম্রাজ্য তার হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা বেধে গেলো যুদ্ধে ফলে তাদের জনসংখ্যা ৮০% কমে গেছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা লক্ষ করতে পেরেছে লু চিন। সেই সাথে এটাও লক্ষ করেছে তাদের একটা গ্রহও বসবাসের জন্য উপযোগী নয়। তাই তারা আশে পাশের গ্রহের সন্ধানে সেনা পাঠাতে লাগলো। তাদের বিজ্ঞান আমাদের থেকে ১০০% উন্নত। তাদের অস্ত্রের সাথে ধরতে গেলে আমরা কিছুই না। লু চিন অনেক গুলো স্পেসশীপ পাঠিয়ে দিলো চারিদিকে। শুধু মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি না আশেপাশের বেশ কিছু গ্যালাক্সিও খোজ নিতে লাগলো। এমন সময় লু চিন এর কাছে খবর আসলো,
.
--Lord লু চিন। আমাদের দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আমার ১৫ টা গ্রহ সনাক্ত করতে পেরেছি।(লু চিনের সেনাপতি সেপাই)
.
--এটা তো চরম খবর।(লু চিন)
.
--My lord। এর থেকেও খুশির সংবাদ হলো এই গ্রহটাকে দেখুন একবার।(সেপাই)
.
--এগুলো কি পানি?(লু চিন)
.
--Yes. My lord। পানির কোনো অভাব নেই গ্রহটাতে। আর সব জায়গায় শুধু গাছ আর গাছ।(সেপাই)
.
--বেশ এতো সুন্দর জায়গাটাতেই আমাদের ক্যাপিটাল হবে। নাম কি গ্রহটার?(লু চিন)
.
--এটাকে earth বা পৃথিবী বলা হয়।(সেপাই)
.
--ওকে ঠিক আছে। রাজকুমার লু চেইন কে এখনি পাঠিয়ে দিন ঔখানে এখনই। ঔখানের সব খবর আমরা পেয়ে যাবো।(লু চিন)
.
--My lord প্রিন্স লু চেইন যদি ঔখানে যায় তাহলে নিশ্চয় তারা বুঝে যাবে যে আমরা তাদের উপরে আক্রমন চালাবো। কারন রাজকুমার তাদের থেকে দেখতে আলাদা।(সেপাই)
.
--তাহলে।(লু চিন)
.
--রাজকুমারী লু সাইনাকে পাঠিয়ে দিন।(সেপাই)
.
--হ্যা ঠিক বলেছেন। আজই পাঠিয়ে দিন রাজকুমারীকে। আর কালকের মধ্যেই আমাদের সব শীপ গুলো রেডি করেন। কাছ থেকে আমরাও দেখতে চাই কেমন গ্রহটা।(লু চিন)
।।।
।।।
এতো বড় বিপদ যে অপেক্ষা করছে সেটা কে জানতো। এই বিষয়ের উপরে তো পুরো অজ্ঞই ছিলাম। আমরা। বাইরের গ্রহে যে প্রান আছে সেটা নিয়ে শুধু আমাদের মানুষদের বিজ্ঞানীরাই খোজ করেছি শুনেছি। কিন্তু কোনো লাভ তো করতে পারে নি। এখনো মঙ্গলগ্রহেই লোক পাঠাতে পারে নি। তবে জ্বীনদের বিজ্ঞানীরা এটা বের করেছে নাকি সেটা ও আমার অজানা।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ২য় পর্বের জন্য। ভাবলাম এলিয়েন নিয়ে আসি। একটু ক্রিটেভলী চিন্তা ভাবনা করে লেখতে মন চাইলো। ভালো না লাগলে পড়বেন না আর খারাপ লাগলে এড়িয়ে চলতে পারেন আমার গল্প।।