#জলপরীর_প্রেমে#
#সিজন_2#
পার্টঃ২৫
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
আমি কেরেলার শক্তির ভয়াবহতা দেখলাম। এতো শক্তিশালী হবে কেরেলার কালো শক্তি সেটা হয়তো কল্পনাও করি নি। তারপরও আমি যদি ক্রিসটলের কাছে যেতে পারি তাহলে হিগমাকে হারানো সহজ হয়ে যাবে। দেখা যাক কি হয়। যে গর্তে সেই ক্রিসটল টি রয়েছে সেটা আর তার আশেপাশের অনেকগুলো গর্ত এখনো কিছুই কিছুই হয় নি। হিগমা হয়তো এখন একটু রেস্ট নিচ্ছে। আমাকে এই সু্যোগের ব্যবহার করতে হবে। একবার তলোয়ারটা পেয়ে যায়। আর যদি ক্রিসটলটাকে ভাঙতে পারি তাহলে তো কথায় নাই। তবে আমার মনে একটা কথা সব সময় ঘুরতেছে আচ্ছা জলপুরীতে প্রথম যাওয়ার পরেই তো আমাকে কিছু ঔষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। যার জন্য আমি পানির ক্ষমতা গুলো ব্যবহার করতে পারি। তাহলে ঔটাই কি এই আপেলের মতো জিনিস ছিলো নাকি অন্য কিছু। এই জিনিস টা আমি বুঝতে পারতেছি না। থাক এতো বোঝার জন্য আরো সময় পরে আছে। আমাকে আগে হিগমাকে হারাতে হবে।
।
আমি সাতার কেটে গর্তের মাঝে ঢুকতে যাবো তখন হঠাৎ মনে হলো কেউ কিছু একটা আঘাত করেছে আর সেই আঘাতে গর্তের মুখটা বন্ধ হয়ে গেলো। আমি পিছনে তাকালাম দেখলাম একজন লোক দাড়িয়ে আছে। এটা নিশ্চয় হিগমা ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। আমি সিওর এটা হিগমা। দেখতে অনেকটা সিগমার মতোই। কিন্তু একে দেখলেই বোঝা যায় এর মাঝে শয়তানী কিছু একটা আছে। শরীর দিয়ে কালো ছায়া বের হতে ছিলো হিগমার। বুঝতেই পারলাম এটা কালো শক্তির জন্য।
।
আমি কত বড় গাধা। কালো জাদুর নকসা আমার গলাতেই ছিলো। কিন্তু আমি সেটাকে গলায় নিয়ে ঘুরেছি কিন্তু কখনো খেয়াল করি নি সেটা কি ছিলো। কিন্তু সেটা তো রানীর গলায় ছিলো। তাহলে কি শেষ মেষ রানী জলপুরীতে গিয়ে পৌছায়? এটা এখনো রহস্যের। বিষয়টা খোলাসা করতেই হবে। আর আমি কিভাবে এই রকেট সংগ্রহ করে আমার কাছেই রেখেছি সেটাও আমাকে খোলাসা করতে হবে। আর টাইমমেশিনই বা আমি পেলাম কোথায়। অনেকটা জিনিস আমার জানার আছে। আমি ভবিষ্যৎ আর বর্তমান আমি এ দুটোর অনেক প্যাচ বুঝতে পারতেছি না। যাক আস্তে আস্তে বুঝে যাবো। আগে আমাকে এই হিগমার কিছু একটা করতে হবে। হিগমার হাতে একটা লাঠির মতো কিছু একটা। বুঝলাম হয়তো এটা কেরেলার লাঠি হবে। কারন লাঠি দিয়ে কালো ছায়া বের হচ্ছিলো।
.
--তো আপনিই তাহলে রাজা হারকিউমাস।(হিগমা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আপনিও তাহলে আমাদের মতোই?(হিগমা)
.
--আপনাদের মতো মানে?(আমি)
.
--এই পরম শক্তিধরদের বংশধর।(হিগমা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আচ্ছা আপনি কার বংশধর?(আমি কৌতহল ভাবে জিজ্ঞেস করলাম)
.
--আমি এই যে কেরেলা দেখছেন। আমি এর বংশধর।(হিগমা)
.
--কি এটা কিভাবে সম্ভব। সে লোকটা আর মহিলাটা তো বললো আপনি তাদের বংশধর।(আমি)
.
--তারা ভুল বলেছে। আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না। আর হ্যা জানবেনই বা কিভাবে। আপনি তো এসেছেন আরো সময় পরে। আপনার সময়ে এসব জিনিসকে কেউই বিশ্বাস করবে না।(হিগমা)
.
--আপনি কিভাবে জানলেন?(আমি)
.
--আমি সবারই অতীত পড়তে পারি। আপনার টা ও পড়েছি। তাতেই বুঝতে পেরেছি আপনি কে? আর কেনো আসছেন?(হিগমা)
.
--সব যখন জেনেছেন তাহলে তো আর লড়াই করতে হলো না। এলিয়েনটাকে হারাতে আমাকে কেরেলার শক্তিটা দিয়ে দিন।(আমি)
.
--সব যদি এতো সহজ হতো তাহলে এতো কিছু করে আমি এসব শক্তি সংগ্রহ করতাম না।(হিগমা)
.
--তাহলে আমাকে আপনার সাথে লড়তেই হবে?(আমি)
.
--হাহা। আমি আপনাকে একটা রাস্তা দিতে পারি। আপনার সব শক্তি আমাকে দিয়ে আপনি আপনার সময়ে ফিরে যান। এতে করে আপনি আপনার জীবন ফিরে পাবেন।(হিগমা)
.
--সেটা কখনো সম্ভব নয়। আমাকে সেই এলিয়েনটাকে যেভাবেই হোক হারাতে হবে। নাহলে সেটা পুরে পৃথিবী ধ্বংস করে দিবে।(আমি)
.
--পরে কি হবে আমি সেই চিন্তা করি না। এখন কি হবে আমি সেটার চিন্তা করতেছি।(হিগমা)
.
--তাহলে তো লড়তেই হয়।(আমি)
।।।।
।।।।
হিগমা এতক্ষন শান্তই ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে তার লাঠি তুলে আমার দিকে এক সেকেন্ডেই এসে হামলা করলো। ওর লাঠি দিয়ে বারি দিলো। আমি বারিটা আটকাতে আমার ট্রিশুল ধরলাম সামনে।
.
--ও তাহলে এটাই হিয়ানার ট্রিশুল।(হিগমা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আজকে এটাকে গুড়ো গুড়ো করে দিবো।(হিগমা)
.....
।।।।
আমি দাড়িয়ে ট্রিশুল দিয়ে ওর আঘাত ফিরিয়ে রাখছিলাম। হিগমা আরো জোর দিলো। আমি তা ও ফিরিয়ে রাখছিলাম। হঠাৎ হিগমা ওর ডান হাত দিয়ে মুহুর্তের একটা কালো ছায়ায় ঘনীভূত বল বানালো আর সেটা দিয়ে আমাকে আঘাত করলো। আমি দূরের পাথরের সাথে বারি খেলাম। মনে হচ্ছে হাড় একটা দুইটা ভেঙে গেছে। তবে এখন সেটা দেখার সময় নাই। আমি একটা এনার্জি বল মারলাম হিগমার দিকে। সে লাঠি দিয়ে বাড়ি দিলো সেটাকে। আর সেটা আমার দিকেই আসছিলো। আমি হাত দিয়ে আমার সামনে ঢালের মতো বানালাম। এবার আমি পাথরের ভিতরে অনেকটা গেড়ে গেলাম।
।
আমি শুধু হিগমার শক্তি দেখছিলাম। আমার এনার্জি বলকে ওর লাঠি দিয়ে মনে হলো ক্রিকেট খেললো। আর আমি বল ধরতে গিয়ে বলের সাথে উড়ে গেলাম। হায় আল্লাহ ওর সাথে পেরে উঠতে হলে আমাকে ক্রিসটলের কাছে যেতে হবে। আর হিরানের শক্তিও আমার দরকার। সেটার জন্য তলোয়ার আমার দরকার। কিন্তু আমাকে তে আগে সেখানে যেতে হবে। আমি আঘাতে পাথরের গায়ের গর্তে ঢুকে গেছি।
।
ভিতর থেকে বের হবো এমন সময় আবার হিগমা ওর লাঠিটা দিয়ে আমার বুকে আঘাত করলো। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও আঘাতটা করে দেই। যার আঘাতে আমি আরো অনেকটা ভিতরে ঢুকে যায়। এই এক আঘাতে আমার অর্ধেক আয়ু মনে হচ্ছে শেষ হয়ে গেলো। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। নাক দিয়ে রক্ত পরছিলো। আমি অনেক দমে গেলাম। মনে হচ্ছে এভাবে যদি আর একটা আঘাত আমার লাগে তাহলে আমি শেষ হয়ে যাবো। আমি কেরেলার শক্তি বুঝে গেলাম। এটা এতটাই শক্তিশালী যে এই শক্তি দিয়ে হয়তো মারভেলের সবচেয়ে শক্তিশালী থেনুসের সাথে খুব সহজেই লড়াই করতে পারবো আমি। জানি না সেটা পারবো কিনা। তবে আমি বুঝতে পারতেছি আমার জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
।
এবার দেখলাম হিগমা শক্ত করে লাঠিতা ধরলো। ধরার ফলে লাঠিতা আরো কালো হয়ে গেলো। এবার আমাকে ওর গায়ের পুরো জোরেই মনে হয় মারলো। আমি এই আঘাতকে ট্রিশুল দিয়ে আটকালাম। কিন্তু বিপরীত মুখী বল তো ঠিকই অনুভব করবো। এবারে আমি পাথর গর্ত করতে করতে একদম অন্যপাশে চলে আসলাম পাথরের দেওয়ালের। আমি পিছনে তাকিয়ে দেখলাম ক্রিসটল আর আপেল গাছ দুটো দেখা যাচ্ছে। যাক তাহলে আমি ক্রিসটলটাকে এখন ভাঙতে পারবো। এখন আমাকে হিগমা আসার আগেই তারাতারি করে ক্রিসটলটা ভাঙতে হবে। আমি পানির মধ্য দিয়ে সাতার দিয়ে মাটিতে উঠে আসলাম। পিছন থেকে হিগমা ওর লাঠি দিয়ে আমার পিঠে একটা এনার্জি বল মারলো মনে হয়। আমি দূরে গিয়ে পরলাম সাথে সাথেই। পিঠে অনেকটা কেটে গেছে। অনেকটা জ্বলতেছেও। বাচ্চা একটা ছেলেকে যদি এভাবে মারে তাহলে কিভাবে হয়৷ এদের কি দয়ামায়া হয় না। আমি দাড়ালাম নিজের পায়ে। হিগমা আমার সামনে দাড়ালো।
.
--তাহলে সিগমা এখানে এনে রাখছে এই গাছ দুটো?(হিগমা)
.
--......
.
--ভাবলাম অনেক বিধ্বংসী রাজা আপনি। কিন্তু কি আমার সাথে তো টিকতেই পারতেছেন না। এমন রাজা হওয়ার থেকে তো না হওয়ায় ভালো।(হিগমা)
.
--আমি এটা সারাদিনই করতে পারবো।(😁😁😁😁ক্যাপ্টিন আমেরিকার ডাইলোগ দিলাম দাড়িয়ে)
.
--নিজের মৃত্যুকে দেখেও তার থেকে পালানো থেকে তার সামনে দাড়িয়ে আছেন।(হিগমা)
।।।।
।।।।
আমি এবার শক্ত করে ট্রিশুলটা ধরলাম। এতোক্ষন কিছু বোঝার আগেই সে আমাকে হামলা করেছিলো। কিন্তু এখন আমাকেও কিছুটা করতে হবে। ট্রিশুলের সাথে সাথে আমার শরীর ও সাদা হতে লাগলো। সাদা আলো বের হতে লাগলো আমার শরীর থেকে। আবারো সাদা হয়ে গেলো আমার চোখ। এবার আমি অনেকটা রেগে গেছি। আমি হালকা করে ট্রিশুলটা মাটিতে আঘাত দিলাম। সাথে সাথে পুরো মাটি কেপে উঠলো।
.
--এবার মনে হয় কিছুটা মজা হবে খেলার মাঝে।(হিগমা)
.
--হ্যা কিছুটা কষ্ট বাদ দিয়ে মজা করা যাক।(আমি)
।।।।
।।।।
হিগমা ওর শক্তির রূপে আসলো না। এভাবেই রইলো আর আমি ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। দক্ষ সেনার মতোই আমি লড়াই করতে ছিলাম হিগমার সাথে। এবার কিছুটা ধরাশায়িত হলো হিগমা। কারন আমার যুদ্ধের কৌশলের সাথে ও পেরে উঠতে পারছিলো না। আমি একজন দক্ষ ট্রিশুলবাজের মতো ওর সাথে লড়তে ছিলাম।
।
হঠাৎ আমি একটা বিশাল এনার্জি বল বানিয়ে সেটা মারলাম হিগমার উপরে। এবার হিগমা অনেকটা দূরে গিয়ে পরলো। পাথরের গায়ে আঘাত খেলো খুব জোরে। গায়ের জামা ছিড়ে গেলো আমার মতোই। আমাকে আঘাত করার পর ও আমার গায়ের জামাটা ছিড়ে যায়। ভাগ্য ভালো ছিলো প্যান্ট ঠিক ছিলো নাহলে সর্বনাশ হয়ে যেতো। আমি আর হিগমার কাছে গেলাম না। আমি ক্রিসটলের কাছে গেলাম। আগে তলোয়ারটা বের করবো। তারপর ক্রিসটলটা ভেঙে দিবো। তলোয়ারে হাত দিতে যাবো এমন সময় আমার উপরে একটা বিশাল পাথরের টুকরা আসতে ছিলো। আমি লাফ দিয়ে সরে গেলাম সেখান থেকে। হিগমা এবার উড়ে আস্তে ছিলো আমার কাছে। ওর উড়ে আসা দেখে আমার ড্রাগন বল জি কার্টুনের কথা মনে পরে যেতেছে। যেভাবে উড়ে আসতেছে তাতে তো ভয়ই করতেছে। আমি দেখলাম পুরো কালো ছায়ায় ঘীরে গেছে হিগমা। ওর চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। ওর হাতের লাঠির রং ও এবার গাড় কালো হয়ে গেছে। শক্তি গুলো অনেকটা সুপার সাইয়ানের মতো। শক্তির ক্ষমতা এবং রূপ দুটোই বদলাই। আসলেই অনেক অবাক করার বিষয়। আমি দারানোর আগেই আমার সামনে চলে আসলো হিগমা।
.
--এতোক্ষন তো আপনার নিজের পুরো শক্তি দেখলেন। এবার তো আমার টাও দেখাতে হয় কি বলেন?(হিগমা)
.
--.....(আমি ঢোক গিললাম।)
।।।।
।।।।
হিগমা আমার মুখে একটা ঘুসি দিতে চাইলো আমি হাত দিয়ে আটকালালাম। কিন্তু অনেকটা পিছনে চলে আসলাম ওর শক্তির জন্য। এবার এক হাত দিয়ে আমার পা টা ধরলো। ধরেই ডানে বামে দুটো আছাড় দিলো আমায়। মনে হচ্ছিলো ভিতরে যা আছে সব কিছু বের হয়ে যাবে। আর ব্যথায়ও চিৎকার দিয়ে উঠলাম। এবার ওর গায়ের শক্তি অনুভব করলাম। এতো শক্তি হঠাৎ করেই পেয়ে গেলো ও। একটা বিশাল এনার্জি বল বানিয়ে সেটা আমার উপরে মারলো। আমি ঢাল বানালাম। কিন্তু সেটাই থাকার পরও আমি অনেক পিছনে চলে গেলাম। ঢালে ওর আঘাত রক্ষা করতে গিয়ে আমার নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ছিলো৷ মনে হচ্ছে এখন বেশীক্ষন টিকতে পারবো না। কারন জুঙ্গির মতো আমাকে মারবে ও হাতে পেলে। ২০ হাত দূর থেকেই হিগমা দিলো বিশাল লাফ। হাতের লাঠি তুলে আমার উপরে আক্রমন করার জন্য। আমি হাতের ট্রিশুলটা হাতে নিয়ে ওর আঘাত ফেরালাম। সাথে সাথেই কট করে একটা বিকট আওয়াজ দিলো। বুঝলাম না কিসের আওয়াজ তবে এমনি একটা আওয়াজ আমার সেই এলিয়েনের সাথেও হয়েছিলো লড়াই এর সময়। যখন আমার ট্রিশুলটা ভেঙে যায়। তাহলে এবারো আমার ট্রিশুল ভেঙে গেলো নাকি।
।
আমি ট্রিশুল দিয়ে আটকিয়ে রাখলাম ওর আক্রমন। আমাকে এবারো একটা লাথি দিয়ে দূরে ফেলে দিলো ফুটবলের মতো। আমি দূরে গিয়ে পরলাম। ট্রিশুলটাকে দেখতে লাগলাম। মাঝখানে যেখানে আঘাত করছে হিগমা সেখানে অনেকটা ফেটে গেছে। আরেকটা এমন বিশাল আঘাত করলে হয়তো ভেঙে যাবে ট্রিশুলটা। তখন আমাকে মেরে ফেলবে মুহুর্তেই। আমাকে তো তলোয়ারের কাছেও যেতে সময় দিচ্ছে না হিগমা। আমি ট্রিশুল হাতে দাড়ালাম। হিগমা আবারো প্রস্তুত আমাকে আক্রমন করার জন্য। কিন্তু এবার আর হাত দিয়ে না। এবার একটা এনার্জি বল বানালো বিশাল। এবারের এনার্জি বলের আকারটা অনেকটাই বিশাল। আর এটাই হিগমা ব্যবহার করেছে কালো আর লাল দুই শক্তিই। আমার দিকে ছুড়ে মারলো এনার্জি বলটা। আমি নিষ্পাপ ছেলের মতো দাড়িয়ে ছিলাম। নড়ার শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ট্রিশুলের সাথে মনে হচ্ছেছিলো আমার মাঝেও ফাটল ধরেছে। হঠাৎ কেউ আমাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দিলো।
।
আমাকে ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথেই আমি গিয়ে পড়লাম ক্রিসটলের উপরে। আর হাতের ট্রিশুল গেথে গেলো ক্রিসটলের মাঝে৷ আমি পিছনে তাকালাম একবার শুধু হৃদিতার শেষের মায়া ভরা মুখটা দেখতে পেলাম। পুরো ছায় হয়ে গেলো সাথে সাথেই। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ও আমার জীবন তো বাচিয়ে দিলো। কিন্তু নিজের জীবন দিয়ে দিলো। শেষের ওর মুচকি হাসিটাই শুধু আমি দেখতে পেলাম। বাকিটুকু আর দেখতে পেলাম না৷ চোখ দিয়ে আমার পানি ঝরতে লাগলো। এর থেকে কষ্টের দিন মন হয় আমার কাছে আর কখনো আসে নি। ভাবতেও পারি নি এমন কিছু একটা হবে। আমার হাতের ট্রিশুলটাকে আমি জোরে মোচর দিলাম। সাথে সাথে ট্রিশুলটা ভেঙে গেলো।
।
দুটো আপেল গাছের সব আলো আস্তে আস্তে কমতে লাগলো। আমার মাঝে সব চলে আসছিলো। আমি হাটু গেড়ে বসে কাদতে লাগলাম। চোখ দিয়ে অনোবরত পানি পরতে লাগলো। এই কয়েকদিনেই যে আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি অনেক। সবার থেকে অধিক ছিলো ও আমার মনে। কিন্তু আমাকে এভাবে বাচাতে গিয়ে ও নিজের জীবন দিয়ে দিবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারি নি।। আমি কাদছিলাম বসে বসে। কাদার সময় না এটা জানি। ক্রিসটলটা ভাঙার পরই তলোয়ারটা নিচে পরে আছে আমার পাশে। আমার ডান হাত দিয়ে আমি তলোয়ার ধরলাম আর বাম হাত দিয়ে ট্রিশুলটা ধরলাম শক্ত করে। সাথে সাথেই আবার সেই জায়গায় চলে আসলাম আমি। আমি দেখতে পেলাম এবার চারজনকেই। হিরানকেও আমি চোখে দেখলাম। অনেকটা আমার চেহারার সাথে মিল রয়েছে। এবার চারজনেই আমার কাছে আসলো। আমার ডান হাতে রয়েছে তলোয়ার টা। প্রথমেই সেখানে হাত দিলো হিরান। হিয়ানা আমার বাম হাতের ট্রিশুলের ফাটা জায়গার দিকে তাকিয়ে ছিলো। হয়তো আমি এটায় দক্ষ হলে এটার এমন অবস্থা হতো না। চারজনেই এখন আমার তলোয়ারের উপরে হাত দিলো। তারা একত্রে বললো।
.
--আমাদের দোয়া সব সময় তোমার সাথেই থাকবে।।।(একত্রে)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষায় থাকুন ২৬ তম পার্টের জন্য।