পার্টঃ২১(শেষ)
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
রনইক তার পা টা সরালো। নিরাম্বার পুরো ভর্তা হয়ে গেছে। তারপরও সে হাসতে লাগলো।
.
--বিপদ এখনো শেষ হয় নি। আমি তো একজন soul হান্টার। আমাকে তো সহজেই হারিয়ে দিলে এবার। কিন্তু পরের বার এতো সহজ হবে না। আমি আবারো আসবো তোমাদের জন্য।(নিরাম্বা)
.
--আগে নিজের অবস্থা সামলাও এখন।(হৃদয়)
.
--তোমার জন্য আমি একটু স্পেশাল ভাবে যাবো। তোমার ইউনিভার্সেই তোমাকে মারবো।(নিরাম্বা)
.
--অপেক্ষা করবো। আচ্ছা বুঝতে পারছি না তোমার আলু ভর্তা হয়ে গেছে তারপরও তুমি কথা বলতেছো কিভাবে?(হৃদয়)
.
--ওর কিছু সংখ্যক সেনা মনে হয় এখনো বেচে আছে। তারা যেসব মানুষকে ফিড করছে তাদের থেকেই এনার্জি নিচ্ছে ও।(অনু)
.
--তাহলে তো এনার্জি সোর্চ তাকেই শেষ করে দিতে হবে।(হৃদয়)
।।।।
।।।।
হৃদয় ওর তলোয়ার টাকে শক্ত করে ধরলো। এতে ওর তলোয়ার আরো লাল হয়ে জ্বলতে শুরু করলো। শুধু তাই নয় এবার হৃদয় এর পুরো শরীরও জ্বলতে লাগলো। আগুনের মতো জ্বলছে হৃদয় এর শরীর। এবার হৃদয় ওর তলোয়ার দিয়ে একটা কাট দিলো নিরাম্বাকে লক্ষ করে দূর থেকেই। সাথে সাথে তলোয়ার থেকে একটা আগুনের কম্পন বের হলো। যেটা নিরাম্বার শরীরটাকে কয়েক টুকরাতে কেটে দিলো। এরপর হৃদয় একটা এনার্জি বল বানালো হাত দিয়ে। বিশাল একটা এনার্জি বল বানিয়ে সেটা নিরাম্বার দিকে মারলো। নিরাম্বার বাকি শরীরের অংশ এবারের আঘাতে পুরে গেলো।
.
--হিমারো তুমি কাজটা শেষ করো। ওকে যতই মারবে তারপরও ও আবার ফিরে আসবে।(অনু)
.
--হ্যা ওর ক্ষমতা একদম নেই এখন। কিন্তু ও আস্তে আস্তে এবজোর্ব করা শুরু করে দিবে। তারপর আবারো আস্তে আস্তে শক্তিশালী হয়ে যাবে। ওর ক্ষমতাগুলো এবজোর্ব করে নিয়ে নাও। তারপর ও এমনিতেই মারা যাবে।(গুয়েন)
.
--ঠিক আছে।(হিমারো)
।।।।
।।।।
এবার হিমারো এবজোর্ব করা শুরু করে দিলো নিরাম্বার ক্ষমতাগুলো। হিমারোর কাছে ক্ষমতা আছে সব ডার্ক এনার্জি ফিড করার। আর হিমারো সেটাই করছে। আস্তে আস্তে নিরাম্বার পুরো শরীর উদাও হয়ে গেলো। পুরো প্যারিস শহরটা এখন নিরাম্বার কবল থেকে মুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ তো আর তো এখন ঠিক করা যাবে না।
.
--তাহলে শেষ এতো তারাতারি। এই ছোট খাট কাজের জন্য আমাকে নিয়ে আসতে হলো।(হৃদয়)
.
--তুমি সত্যিই অনেক বেশী বকবক করো।(অনু)
.
--হ্যা এটা সবাই বলে। আমি একটু বক বক টাইপের রাজা।(হৃদয়)
.
--উহু।।। এবার কিন্তু তোমার নাক ফাটিয়ে দিবো আরেকবার নিজেকে রাজা বললে।(অনু)
.
--কুল কুল রাখার কিছু নাই। এমনিতেও রাখলে মেয়েদের নাকি অনেক কিউট লাগে সেটা তোমাকে দেখেই বুঝতে পারলাম।(হৃদয়)
.
--হাহাহা।(অনু)
।।।
।।।
শালা হৃদয় এর বাচ্চা তো আমার বোনটাকে ইমপ্রেস করা শুরু করে দিয়েছে। ওর না দেখলাম তিনটা বউ আছে তারপরও অনুকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছে ও এখন। অনেক বড় লুচু তো ও সেইটা বোঝা যাচ্ছে।
.
--তো নিরাম্বার বিপদ শেষ। এখন কি করবে তোমরা?(হৃদয়)
.
--ডার্ককিউমকে হারানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।(আমি)
.
--ওওও আর এসব ভাঙাচুরার ব্যবস্থা নিবে না তোমরা?(হৃদয়)
.
--আমাদের এইসব আগের মতো ঠিক করার ক্ষমতা নাই।(অনু)
.
--তাহলে আমাকেই করতে হবে।(হৃদয়)
.
--তুমি পারবে?(মিচেল)
.
--দেখি কি করা যায়। সেনাপতি কোথায় তুমি। জিতে তো গেলাম আমরা। এখন উড়তে উড়তে আমি ক্লান্ত। আমাকে একটু ঘাড়ে নাও তো।(হৃদয় রনইক দে কে বললো)
।।।
।।।
রনইক দে হৃদয়কে তার ঘাড়ে নিলো। আমার হিলিং ক্ষমতা আবার কাজ করতে শুরু করেছে। আমি আস্তে আস্তে নিজের শরীরটা হিল করতে শুরু করলাম। আর অনু বাকি সবাইকে হিল করছে। হৃদয় দানবের ঘাড়ে বসলো। এরপর নিজের হাত থেকে অসংখ্যা লাল, সাদা, আর কালো রঙের ছায়া বের করলো। এবার হৃদয় এর শরীরটা পুরো সাদা হয়ে গেছে। সবাই হৃদয় এর দিকে তাকিয়ে আছি আমরা এখন। কারন ও এখন নিজের আসল রূপে ছিলো। এতোক্ষন সে আরেকজনের রূপে ছিলো। সবাই অবাক হলো হৃদয়কে এখন দেখে। কারন আমাদের টিমের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হৃদয়কে আগে দেখে নি। হৃদয় এর হাত থেকে তিন রঙের ছায়া গুলো বের হয়ে সেগুলো সব ধ্বংস হওয়া জিনিসের মধ্যে যেতে লাগলো। সাথে সাথে সে জিনিসগুলো নরতে লাগলো।
.
--আমার প্রজারা তোমরা সবাই যে জায়গায় ছিলে সব আবার সেই জায়গায় চলে যাও।(হৃদয়)
।।।।
।।।।
হৃদয় এর কথা বলার সাথে সাথেই দেখতে পেলাম আশে পাশের প্রত্যেকটা জিনিসই উড়ে তার আগের জায়গায় চলে যেতে শুরু করলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই দেখতে পেলাম পুরো প্যারিস শহরটাই আনবার আগের মতো হয়ে গেলো। আইফেল টাওয়ারটা আবার আগের জায়গাতেই চলে আসলো। শুধু সমস্যা হচ্ছে কোনো প্যারিস এখন জনশূন্য হয়ে গেছে। লোকজন তো দেখাই যাচ্ছে না। নিরাম্বা সব মানুষকেই মেরে ফেলছে। এখনো অনেকে আছে যারা পালিয়ে বেচে আছে। তারা বিভিন্ন রকম জায়গা থেকে বের হবেএখন হয়তো। হৃদয় এর এই কাজটা দেখে শুধু আমি না সবাই অবাক হলাম।
.
--এটা কিভাবে করলে?(আমি)
.
--কি?(হৃদয়)
.
--এইযে পুরো শহর আবার আগের মতো করে দিলে?(অনু)
.
--ওওওও এইটা। আমি তো...(হৃদয় কিছু বলবে তখনি)
.
--জানি তুমি এই সব সেই সবের রাজা। এই রাজা বলা বাদে বলো কি করলে?(অনু)
.
--আমি বলতে যাচ্ছিলাম আমি যেকোনো জড়বস্তুর মাঝেই জীবন দিতে পারি সাময়িক সময়ের জন্য।(হৃদয়)
.
--অবিশ্বাস্য।(ডুইন)
.
--হ্যা।(হৃদয়)
.
--তোমার পিঠ দিয়ে রক্ত ঝরছে। আমি হিল করে দিচ্ছি।(অনু)
.
--উহু।।। তোমার হিলে আমার কিছুই হবে না। আমার শুধু বিশাল একটা সমুদ্র লাগবে। পানি পেলেই আমি ঠিক হয়ে যাবো। কিংবা আগুনের দরকার পরবে কিছুটা আমার?(হৃদয়)
.
--আচ্ছা আমি আমাদেরকে একটা সমুদ্রে টেলিপোর্ট করতে পারবো।(সুজেন)
.
--ঠিক আছে করো।(অনু)
।।।।
।।।।
সাথে সাথে আমরা টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলাম বিশাল একটা দ্বীপে। মনে হচ্ছে এটা প্রশান্ত মহাসাগর হবে। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে একটা দ্বীপে আমরা দাড়িয়ে আছি। সামনেই পানি। রনইক দে তো বিশাল মনের মধ্যে চলে গেলো।
.
--ওর চিন্তা করো না। সেনাপতি কলা খেতে গেছে।(হৃদয়)
.
--এটা কোন জায়গা সুজেন? অনেক সুন্দর এইটা।(হায়ান)
.
--এটা ভারত মহাসাগরের মধ্যে একটা দ্বীপ। আমার পৃথিবীতে এই জায়গায় আমার একটা বাড়ি আছে। অনেক স্মৃতি আছে এখানে আমার।(হৃদয়)
.
--তুমি কিভাবে বুঝলে এটা কোথায়?(অনু)
.
--পানি আর আগুন এই দুটোই আমার ক্ষমতার সোর্চ। এই দুইটা দিয়ে আমি যেকোনো জিনিসই করতে পারি।(হৃদয়)
.
--ওওওও(অনু)
.
--ডলফিন তো সবারই ভালো লাগবে তাই না?(হৃদয়)
.
--এতো ডলফিন আসলো কিভাবে?(আমি)
.
--তোমাদের হাঙর লাগলেও সেগুলো আমি এনে দিতে পারবো।(হৃদয়)
.
--না আপাতোতো তেমন কিছুর দরকার পরবে না।(আমি)
।।।।
।।।।
আমাদের এখন বিশাল একটা রেস্ট নিতে হবে। কারন এরপর আমরা আমাদের সমান একটা শত্রুর সাথে লড়বো না। বরং পুরো প্লানেটের সমান একটা শত্রুর সাথে লড়বো। যে কিনা পুরে একটা প্লানেটই ধ্বংস করে দিবে। কিন্তু সামনের লড়াই এর জন্য আমার খুব ভয় হচ্ছে। আমি নিজের সাহস আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলতেছি। আমার কাছে এতো ক্ষমতা আছে তারপরও আমি কিছুই করতে পারলাম না। উল্টো নিরাম্বার হাতে সেই লেভেলের মাইর খেলাম আমি। জানি না পরের বার আমি জীবন্ত থাকবো কিনা। এবার জিতে গেলেও আমার সারা জীবন মনে থাকবে। কারন আমি তো এবার হেরে গিয়েছিলাম। হয়তো হৃদয় এবার না আসলে আমরা মারা যেতাম সবাই। আমার এখন মন চাচ্ছে আমি যদি অন্য সবার মতো সাধারন জীবন যাপন করতে পারতাম তাহলেই ভালো হতো। হঠাৎ আমি সেখানেই বেহুস হয়ে গেলাম। অনেক গভীর স্বপ্নে চলে গেলাম আমি।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((শেষ)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।