#ডাইভার্স#
#সিজন_2#
.
পর্ব:০১
.
.
লেখক:হৃদয় বাপ্পী
.
.
মাল্টিভার্স এতো বিশাল হবে সেটা আমি কখনো চিন্তাও করি নি। একজন সাধারন মানুষ কখনোই চিন্তা করতে পারবে না একটা ইউনিভার্স কতটা বড়। সৌরজগতের পর সৌরজগৎ নিয়ে একটা ইউনিভার্স তৈরী। লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটি, বিলিয়ন-বিলিয়ন সৌরজগৎ নিয়ে একটা ইউনিভার্স দাড়িয়ে আছে। আর এরকম অজানা সংখ্যক ইউনিভার্স নিয়ে আবার মাল্টিভার্স দাড়িয়ে আছে। আমি নিজেও চিন্তা করতে পারবো না কতটা বড় এই মাল্টিভার্স হবে। যায়হোক বসে ছিলাম ছোট একটা ক্যাফেটেরিয়ায়। অনেকদিন হলো কফি পান করার ইচ্ছা জেগেছে। এখন হাতে সময় পাওয়া যায় না কারন নিরাম্বার সাথে লড়াই এর সময় অনেকটা বাজে অবস্থায় পরেছিলাম আমরা। তখন অন্য ইউনিভার্স থেকে আমার মতো দেখতে আরেকটা হৃদয় না আসলে নিরাম্বাকে কখনো হারাতেই পারতাম না আমরা। নিরাম্বার সাথে লড়াই এ কিছু করতে না পারায় লজ্জা এখনো আমার রক্তে রক্তে বইয়ে। এজন্য আজ ছয় মাস হলো আমি ট্রেনিং করছি ডার্ককিউমের সাথে লড়ার জন্য। অবশ্য আরো ছয় মাস সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ডার্ককিউমকে হারাতে হলে। আপাতোতো আজকে আমি আমার মতো দেখতে অন্য ইউনিভার্সের হৃদয় বাপ্পীর সাথে ছোট একটা ক্যাফেটেরিয়ায় এসেছি। অবশ্য আমাকেই নিয়ে এসেছে ও এখানে জোর করে। আমি কফির কাফে চুমুক দিচ্ছি আর এই আশ্চর্যজনক লোকটার কথা ভাবছি। ছেলেটা আমাদের সবার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। সে একসাথে পানি, আগুনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে, আবার তার কাছে একটা আশ্চর্যজনক তলোয়ার আছে। যেটার সাথে আমার কেনো জানি পরিচিত মনে হয় নিজেকে অনেক। তারপরও তার কাছে জিজ্ঞেস করি নি সেটা সম্পর্কে। আমি হৃদয়ের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম,
.
--তো রাজা হারকিউমাস, ওরফে হৃদয় টিটান এখানে আনলে কেনো, আরো ভালো একটা জায়গায় যেতে পারতাম আমরা।(আমি)
.
--আমি আর তোমার বোন তো এই জায়গাতেই আসি প্রতিদিন কফি খেতে, কফির সাথে বাইরের ফুলের বাগান দুটোই এখানে অনেক সুন্দর।(হৃদয়)
.
--কি তুমি অনুর সাথে রোজ আসো এখানে?(আমি)
.
--হ্যা তোমার বোনই রোজ নিয়ে আসে আমাকে।(হৃদয়)
.
--আমি বুঝতে পারছি না একটা জিনিস, আমার আর তোমার চেহারা এখন একই যেহেতু তুমি রিয়েল ফর্মে আছো তাই, তাহলে আমার বোন আমাকে ঝোকার বলে তোমার সাথে ডেট করে কিভাবে?(আমি)
.
--তোমাকে একটা স্পেশাল কথা বলি আমার সম্পর্কে।(হৃদয়)
.
--হ্যা বলো?(আমি)
.
--আমার কাছে এরকম ক্ষমতা আছে যেটা যে কোনো মেয়ের মনকে গলিয়ে দিতে পারে। তাই যে মেয়ের সাথে আমি কথা বলি সে পটে যায়।(হৃদয়)
.
--এটা কোনো কথায় না। তুমি মিথ্যা বলছো। মেয়ে পটানো কারো ক্ষমতা না।(আমি)
.
--ঠিক আছে বিশ্বাস হচ্ছে না তো?(হৃদয়)
.
--না হচ্ছে না।(আমি)
.
--তাহলে এই ক্যাফেতে যে প্রথম মেয়েটা আসবে এখন আমি তাকে পটাবো, এবং দেইখো তার থেকে কিসও নিবো।(হৃদয়)
.
--প্রথম দেখাতে কিস না ঠাপ্পর পাবা।(আমি)
.
--ঠিক আছে তাহলে দেখে যাও কি হয়।(হৃদয়)
।।।
।।।
আমরা দুজনেই বসে ছিলাম। কিন্তু কোনো মেয়ে আর আসলো না। তবে হঠাৎই একটা মেয়ে আসলো একটা বাচ্চা নিয়ে। তারা সোজা কাউন্টারে চলে গেলো যেখানে খাবার সাজানো রয়েছে, আমরা একটু পিছনে থাকায় তাদের দেখতে পাই নি কে তারা। তবে পিছন থেকেই তাদের অনেক পরিচিত মনে হচ্ছিলো আমার।
.
--দেখো কিভাবে পটায় আমি।(হৃদয়)
.
--পারবে না কখনো, কারন মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে বিবাহিতা এবং তার সাথে ঔটা তার মেয়ে।(আমি)
.
--দেখে যাও। তুমি প্রেম গুরুর সাথে বসে আছো এখন।(হৃদয়)
।।
।।
হৃদয় পুরো কনফিডেন্স হয়ে উঠে গেলো। তাদের সামনে গিয়ে প্রথমে পিছন থেকে ছোট মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলো এবং মেয়েটাকে হাই বললো। আমি ভাবলাম মেয়েটার ছোট বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার কারনে সে হৃদয়কে ঠাপ্পর দিবে, কিন্তু না সেরকম কিছু হলো না। বরং উল্টো মেয়েটা কান্না করে দিয়ে হৃদয়কে জরিয়ে ধরলো। মেয়েটা হৃদয়কে জরিয়ে ধরার পর আমি তার চেহারা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। এটা আর কেউ না বরং নিলা। সেই নিলা যে আমার বিয়ে করার বউ। আমার অস্তিত্ব ত্যাগ করার ফলে সে আমাকে চিনতে পারে না। যার কারনে আমার তার কাছে আমি যেতে পারবো না। যেহেতু আমি আমার এই পৃথিবীর অস্তিত্ব হারিয়েছি বেঁচে থাকার ফলে, তাই আমাকে এই পৃথিবীর কেউ আর চিনতে পারবে না। আমি বিষয়টা বুঝতে পারলাম এখন। শুধু আমি আমার অস্তিত্ব হারানোর ফলে আমাকে কেউ চিনতে পারবে না। কিন্তু হৃদয় তার অস্তিত্ব হারায় নি, কারন সে অন্য গ্রহ থেকে এসেছে অন্য ইউনিভার্সের। আর সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো সে আমার মতোই দেখতে, যেটার কারনে নিলা তাকে তার স্বামী মানছে,
.
--কোথায় ছিলেন আপনি, জানেন আমি কত খুজেছি আপনাকে, আপনার কি কোনো ধারনা আছে কতটা কষ্টের মধ্যে আমাকে আর আপনার মেয়েকে থাকতে হয়েছে।(নিলা)
।।।
।।।
হৃদয় প্রথমে কোনো কথা বললো না। আমার রাগ উঠে আসলো। কারন নিলা হৃদয়কে জরিয়ে ধরেছে আমাকে ভেবে। যদিও আমি তাকে ছাড়াতে পারতাম কিন্তু কেনো জানি পারছি না। হৃদয় কোনো কথা না বলে সোজা নিলার ঠোটে একটা চুমু দিয়ে দিলো। এবং বলতে লাগলো,
.
--সরি আপনি আমাকে অন্য কাউকে দিয়ে ভুল ভাবছেন। আমি আপনার হৃদয় না। আমার নাম হারকিউমাস। আর আমি ঔযে দেখতে পারছেন ঔ ছেলেটার সাথে বাজি ধরেছিলাম যে এই ক্যাফে তে যে মেয়ে প্রথমে আসবে তাকে আমি কিস করবো। তাই আপনাকে কিস করতে হলো, আপনি হয়তো আমাকে অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলছেন।(হৃদয়)
.
--ও আমি সরি।(নিলা)
।।।
।।।
আমি দেখলাম হৃদয় একটা স্পেল ব্যবহার করেছে নিলার উপরে, আমি জানি না স্পেলটা কিসের। তবে আমি চাই না হৃদয় কোনো খারাপ কিছু করুক নিলার সাথে। নিলা মেয়েটার সাথে একটা আইসক্রিম কিনে চলে গেলো। হৃদয় এসে আমার পাশে বসলো
.
--দেখছো আমাকে এমনিতেও কিছু করতে হয় নি, সে আমাকে তার স্বামী ভেবে ভুল করে জরিয়ে ধরে বিষয়টা সহজ করে দেই। অবশ্য আমি একটা স্পেলের সাহায্যে ভুলিয়ে দিয়েছি এখানে কি হয়েছে, তাই এসব নিয়ে সে কখনো ভাববে না। এখন দেখলে তো আমার উপরে সব মেয়েরাই পাগল হয়ে যায়।(হৃদয়)
।।।
।।।
এতোক্ষনে আমি একটু কন্ট্রোলে ছিলাম কারন এখান থেকে নিলা চলে গেছে। আমি চাই না এখানে কোনো ধ্বংসের মাঝে তারা দুজন ভেসে যাক। আমি এখন এই হৃদয়ের বাচ্চাকে না মেরে ছারবো না। ওর সাহস হলো কিভাবে আমার নিলাকে চুমু দিলো। এতো দিনে আমি আমার সমস্ত ক্ষমতার উপরে পুরো নিয়ন্ত্রন করতে শিখে গিয়েছি, যেটার কারনে আমি আর কাউকে ভয় পাই না। আর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো আমার রাগ, যেটা আমার কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেছে এখন। আমি সোজা হৃদয় এর গলা ধরলাম। এবং তাকে সুপার স্পিডে আমি ফ্লোরে ফেলে দিলাম বাম হাত দিয়ে। যেটার কারনে পুরো ক্যাফে ভেঙে গেলো। আমার অন্যদিকে নজর নাই। হৃদয়ও জানে একবার আমি রাগ কনট্রোল না করতে পারলে পুরো মনস্টার হয়ে যায়। আর এখন তো রাগই আমাকে কনট্রোল করছে।
।
আমি হৃদয়কে নিচে ফেলে দিলাম এবং আমার ডান হাত দিয়ে হৃদয় এর বুকে আঘাত করলাম। ডান হাতকে পুরো আগুনের করে দিলাম যেটার ফলে আমার ঘুষির ক্ষমতা আরো বেড়ে গেলো। আমি সেটা দিয়ে ঘুষি মারতে লাগলাম হৃদয়কে। হৃদয় তার হাত দিয়ে আমার ঘুষি গুলো আটকানের চেষ্টা করছে। শক্তিশালী হলেও আমার হঠাৎ আঘাতে সে বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে। তাই আমার ঘুষি খেতে লাগলো।
.
--রাগ কন্ট্রোল করো নিয়াক, নাহলে ব্যাপারটা তোমার জন্য ভালো হবে না শেষমেষে।(হৃদয়)
।।।
।।।
আমি কোনো কথা না বলে আমার হাইপার কিক দিলাম একটা যেটার আঘাত খেয়ে মাটির কয়েক মিটার নিচে গর্ত করে ঢুকে গেছে সে। এবারের আঘাত টা অনেক গুরুতর লেগেছে, আমি আমার দ্রুতগতির ক্ষমতার সাহায্যে নতুন একটা ক্ষমতা তৈরী করেছি যেটা হলো হাইপার কি। আমার পাকে আগুনের মতো লাল করে তারপর হাই স্পিডে সেটা দিয়ে কিক দিলেই হয়ে যায় হাইপার স্পিডের। স্পিডের কারনে কিকটাও মারাত্মক হয়। এভাবে হাইপার পান্সও রয়েছে। আমি এবার একটা ড্রপ কি দিতে গেলাম উপর থেকে, তবে সেটা কাজে দিলো না, বরং এবার হৃদয় আমার পা ধরে ফেললো এবং সোজা ডান হাত দিয়ে একটা ঘুষি মারতে যাবে তখনি আমি আমার গোস্ট ফর্মে চলে আসলাম, যেটাকে ভুতুরে ফর্মও বলা হয়। হৃদয়ের আঘাত আমার শরীরের আরপার হয়ে গেলো। কিন্তু আমার কিছুই হলো না। আমার কাছে ট্যালিপ্যাথি ক্ষমতা থাকার কারনে আমি হৃদয় এর প্রত্যেকটা মুভ দেখতে বুঝতে পারছিলাম আগেই। দুজনেই উঠে একে অপরের সাথে লড়তে লাগলাম, কিন্তু সেটা হৃদয়ের জন্য কাজে দিচ্ছিলো না।
.
--তোমার ক্ষমতা গুলো দিয়ে তুমি অনেক শক্তিশালী হয়েছো সেটা বলা যাচ্ছে, কিন্তু এতোটাও হও নি যে আমার সাথে লড়বে তুমি।(হৃদয়)
।।।
।।।
হৃদয় আমার মুখ ধরলো। এবং আমার গোস্ট ফর্মে যাওয়ার পূর্বের তার হাত দিয়ে পানি বের করে আমাকে পানি খাইয়ে দিলো। বুঝতে পারলাম সে নিচে মাটিতে থাকা পাইপ থেকে পানি ব্যবহার করেছে। অনেকটা পানি আমার মুখের মধ্য দিয়ে ঢুকে যাওয়ার ফলে আমার পেট ফাটার মতো অবস্থা প্রায়।
.
--দেখো আমি চাই না কোনো বাজে জিনিস হোক এখানে। চাই শান্ত হয়ে কথা বলি আমরা।(হৃদয়)
.
--গো টু হ্যাল।(আমি)
.
--এতো রাগ কেনো? ও তাহলো আমি বুঝতে পেরেছি ঔ মেয়েটা তাহলে তোমারই স্ত্রী। অনু আমাকে বলেছে তুমি তোমার অস্তিত্ব হারিয়েছো, এজন্যই তো তোমাকে তারা চিনতে পারছে না সামনে থাকার পরেও।(হৃদয়)
.
--আরেকবার ঔ মুখে নিলার নাম নিলে আমি তোমার জিভ কেটে নিবো।(আমি)
.
--দেখো আমি দুঃখিত। শুধু একটা কিসই তো। আর আমি জানতাম না যে সে তোমার স্ত্রী। আমাকে বলতেই পারতে তুমি, তাহলেই করতাম না।(হৃদয়)
।।।
।।।
আমি হৃদয় এর কাছেই ছিলাম। সে ভেবেছে আমি রাগ কমিয়ে দিয়েছি, কিন্তু না, সোজা মাথা দিয়ে হঠাৎ করে আমি ওর নাকে জোরে গুতো মারি, যেটার ফলে ওর পুরো নাক ফেটে যায়।
.
--যদি একটুও দুঃখিত ফিল করো তাহলে এই ক্ষত পানি কিংবা আগুন দিয়ে হিল করবে না।(আমি)
.
--ওকে ম্যান যাস্ট কুল। এতো রাগ স্বাস্থের জন্য ভালো না। আমি তোমার বোনকে প্রমিজ করেছি যে তোমার খেয়াল রাখবো যতদিন এখানে আছি, তাই কিছু করছি না।(হৃদয়)
।।।
।।।
আমি আর কোনো কথা বললাম না। সোজা এই জায়গা থেকে চলে আসলাম টেলিপোর্ট হয়ে। আমাদের ক্যাম্প বানানো হয়েছে হোল্ডার গ্রুপের আন্ডারগ্রুাউন্ড ফ্লোরে। যেখানে আমাদের ট্রেনিং এবং থাকার জায়গার ব্যবস্থা করেছে হায়াকা ওরফে আমার বোন অনু। অনু অনেক আগে থেকেই প্লান করেছিলো এসবের। তাই সবকিছু সে রেডি রেখেছিলো। আমার অস্তিত্ব হারানোর পর থেকে আমি প্রিন্স নিয়াকের অস্তিত্ব আপন করে নিয়েছি। যদিও সেটা আমার আসল পরিচয় না। প্রিন্স নিয়াক অনেক আগেই মারা গিয়েছিলো তার ক্ষমতা গুলো আলাদা হওয়ার ফলে, কিন্তু ক্ষমতা গুলো একত্রিত হওয়ার ফলেও নিয়াকের জন্ম নেই নি। বরং তখন জন্ম নিয়েছে যখন আমি আমার অস্তিত্ব হারিয়েছি। মূলত এখানে সে জন্ম নেই নি। বরং আমার মাঝে সে বেঁচে আছে স্মৃতি হিসাবে। হৃদয়ের উপরে আমার রাগ কমে নি এখনো। আমি জানি না কিন্তু এই পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমার মন চাইছে আমার অস্তিত্ব ফিরে নিলা এবং আমার পরিবারের কাছে যেতে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় এখন। আমাকে অপেক্ষা করতে হবে সব কিছু শেষ হওয়ার পর। তারপর এই ক্ষমতা এই শক্তি আমি সব কিছু ত্যাগ করে আমার অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনবো শুধু আমি।
.
--এতো রাগী লাগছে কেনো তোমাকে? আর তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে মারামারি করেছো তুমি?(ডুইন হঠাৎ আমাকে দেখে বললো)
.
--হ্যা হৃদয়কে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়ে আসছি।(আমি ডুইন যে টেবিলে বসে ছিলো সেটার উপরে থাকা একটা কোল ড্রিঙ্কস খুলে খেতে খেতে)
.
--কি তুমি হৃদয়কে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছো? ঔ মনস্টার টাকে?(হিমারো)
.
--এখানে মনস্টার সে নয়, বরং তুমি। তুমি তো পুরো নিরাম্বাকে খেয়ে ফেলেছো?(সুজেন)
.
--আমি তো ওর সামান্য পরিমান অংশকে আমার ভিতরে এবজোর্ব করেছি, যাতে ও কখনো পালিয়ে যেতে না পারে।(হিমারো)
.
--যায় বলো হৃদয়ের নাক ফাটিয়ে তুমি একদম ঠিক করো নি। অনু জানতে পারলে তোমার বারোটা বাজিয়ে দিবে।(মিচেল)
.
--তোমাদের কারো ফালতু কথা শোনার মুড নেই আমার। তাই আমাকে যেতে দাও এখান থেকে।(আমি যাওয়ার সময় হাতের ড্রিঙ্কসের বোতলটাকে ব্লাস্ট করে দিলাম তাদের ঔখানেই)
.
--ওর আবার কি হলো এতো রাগে আছে কেনো আজকে?(সবাই)
।।।
।।।
আমহ চলে আসলাম একদম নিজের ফ্লোরে, ট্রেনিং করতে। হৃদয়কে আমার আগে থেকেই ভালো লাগতো না। তার কারন সে আমার মতো দেখতে, আমার নামও আছে তার এবং সে অনেকটা শক্তিশালী। আবার তার বিশাল রাজ্য আছে, তিনটা বউ আছে, তারউপরে অনুর উপরে লাইন মারছে। আবার আজকে নিলার সাথে যা করলো। সব কিছু মিলিয়ে একদমই ভালো লাগে না তাকে। কথায় কথায় সে কতটা শক্তিশালী, সে কি করতে পারে এইটা সবার সামনে তার বলতে হবে। এটা করে সে নিজেকে বড় বানায় অন্যের কাছে, কিন্তু সে হয়তো জানে না সেটার জন্য অন্যরা কতটা দুর্বল এবং লজ্জিত বোধ করে। ওর এই নিজের প্রশংসনিয় করার ক্ষমতা আমি একদিন ওর থেকে কেড়ে নিবো। জানি সেটার জন্য আমাকে অনেক শক্তিশালী হতে হবে। আজকে হৃদয় ওর কোনো ক্ষমতা ব্যবহার করে নি বলে আমার আমার ক্ষমতা দিয়ে ওকে কিছুটা আহত করতে পেরেছি, কিন্তু এরকম সবসময় আমার জন্য হবে না। আমাকে ওর থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে। যদি শুধু আমার কাছে লাল কলমটা থাকতো। তাহলে নিশ্চয় আমি অনেকটা শক্তিশালী হয়ে যেতাম।
।।।
।।।
আমি ট্রেনিং করতে লাগলাম আবারো। শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে খুব শীঘ্রই। কারন তাছাড়া সামনের লড়াই তে জিততে পারবো না কখনো। আমি জানি আমাদের আসল শত্রু ডার্ককিউম নয়। বরং ডার্ককিউমের থেকে শক্তিশালী ব্লাক নাইটের রাজা, যে কিনা পুরো ডাই এ্যাস্টার ইউনিভার্সকে নিজের কনট্রোলে করে ফেলেছে। একটা পুরো ইউনিভার্স যে দখল করতে পারে, সে কতটা শক্তিশালী হবে সেটা আমি ভাবতেই পারছি না। আর আমাদের বাবা নিজে যার সাথে হেরে গিয়েছেন তার সাথে লড়াই এর কথা ভাবতেই ভয়ে পা কাপছে আমার এখনি। নিরাম্বা কোনো কিছুই না তাদের কাছে, যেখানে আমরা নিরাম্বাকে হত্যার পরে খুশি করছি সেখানে ডার্ককিউমের মতো মারাত্মক একটা প্রানী আমাদের দিকে চলে আসছে। ডার্ককিউম মূলত ভয়ের রাজা। যে প্লানেটে ভয় বেশী থাকে সেখানে ডার্ককিউম গিয়ে পুরো প্লানেটকে ধ্বংস করে দেই। আর নিরাম্বা এখানে আসার পর থেকে পুরো পৃথিবী ভয়ের মুখে চলে যায়। যদিও আমি এবং হৃদয় দুজনে দুটো ক্ষমতা ব্যবহার করি, হৃদয় মাইন্ড চেন্জ স্পেল ব্যবহার করে। আর আমি আমার ইলুশন ক্ষমতার সাহায্যে পুরো নিরাম্বার জিনিসটাকে একটা স্বপ্নের মতো বানিয়ে দেই, যেটার কারনে আপাতোতো কোনো ব্যক্তির মাঝে তার ভয় নেই। কিন্তু ভয় দূর হলেও ডার্ককিউম এখানে আসবে, কারন একবার কোনো প্লানেট থেকে ভয়ের সোর্চ পেলে সে ভয় কেটে গেলে ডার্ককিউম সেই প্লানেটকেই ধ্বংস করে। ডার্ককিউম চাই ভয় থাকুক পুরো ইউনিভার্সে, কিন্তু সেই ভয় দূর হয়ে গেলে সে বসে থাকবে না। গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সি সে পারি দিবে সেই প্লানেটকে ধ্বংস করার জন্য।
এখন আমাদের এই ডার্ককিউমের বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
গল্পটা বেশী বড় হবে না। ছোট করে শেষ করবো, তাই বেশী পার্ট দেখতে পারবেন না।