ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ২১

Bangla Dub Novels

#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ২১
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

ডার্ক বার্ড ওরফে ফায়ার ব্লাক ড্রাগন টি তাঁর নিজের জায়গা থেকে লাফ দিয়ে সামনের সেই দৈত্যের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এবং সেই দৈত্যটিকে কোনো সুযোগ না দিয়ে তাঁর মুখটা খুলে নিজের ধারালো দাঁত দিয়ে দৈত্যটার মাথা চেপে ধরে একটা আছাড় মারে এবং সেটাকে পুরো হিংস্রতার সাথে নিজের ধারালো নখ দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। সবশেষে নিজের মুখটা হা করে,ঠিক তখনই তাঁর মুখ থেকে আগুন বেরিয়ে আসে। আগুনের তাপে দৈত্যটার পুরো শরীর সাথে সাথে গলে যায়। শুধু তাই-না সাথে দৈতটার শরীরের হাড্ডি গুলো পর্যন্ত পুড়ে ছায় হয়ে যায়। 
ঠিক তখনই ডার্ক বার্ড ওরফে ফায়ার ব্লাক ড্রাগন টি আকাশের দিকে মুখ তুলে বিশাল বড় একটা আওয়াজ করে। 
,

,
সেনাপ্রধান সহ জাহিদও হা করে ডার্ক বার্ড ওরফে ফায়ার ব্লাক ড্রাগন টির দিকে তাকিয়ে আছে। 
,

,
ঠিক তখনই আশেপাশের সব এলাকা কোনো এক কারনে অনবরত কাঁপতে থাকে। যেনো ভূমিকম্প হচ্ছে এখানে,মাটি শুদ্ধ কাঁপতে থাকে।
,
জাহিদ,সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ডটি সামনের দিকে তাকিয়ে অবাক না হয়ে পারে না।
,
হোয়াইট ড্রাগন দের রাজ্য থেকে ব্লাক ড্রাগন দের হাজার হাজার সৈন্য বেরিয়ে আসছে। তাঁদের একেকজনের শরীরের গঠন আগের দৈত্যটির মতোই। যাদের হাতে নেই কোনো অস্ত্র নেই কোনোকিছুই। একটু আগে একটা দৈত্যই জাহিদের যে অবস্থা করেছে,আর এখানে তো হাজার হাজার। ডার্ক বার্ড টি তাঁর নিজের ডার্ক পাওয়ারের সাথে জাহিদের ড্রাগন পাওয়ার একসাথ হওয়ার কারনে সে ফায়ার ব্লাক ড্রাগন হয়েছে। সে ব্লাক ড্রাগন দের সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করলে বা কতক্ষনই করতে পারবে। তাঁদের সামনে একজন নয়,দু'জন নয় হাজার হাজার দৈত্য সৈন্য তাঁদের দিকে এগিয়ে আসছে। 
,

,
ডার্ক বার্ড টি নিজের পজিশন নিয়ে নিলো,কেননা তাঁকে যে তাঁর সামনের ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের একে একে সবার ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করতে হবে। সেই সাথে তাঁদের শরীর আগুনে পুড়িয়ে পুরো ঝলসে দিতে হবে।
,
ডার্ক বার্ড টির প্রস্তুতি দেখে সেনাপ্রধান জাহিদকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, 
মহারাজ আপনি আপনার পুরো শক্তি না পাওয়া পর্যন্ত,আমার মনে হয় না আপনি এদের সাথে লড়াই করতে পারবেন। তাই বলি কি আমি আপনার সামনে থেকে লড়াই করবো,আর আপনি আমার পেছন পেছন আসবেন,যতোক্ষন পর্যন্ত না আপনি ওই বইটি স্পর্শ না করতে পারেন। বইটি স্পর্শ করার সাথে সাথে আপনি আপনি আপনার সব শক্তি সহ আরো একজনের শক্তি পাবেন,যেটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন। সেই সাথে আপনি আপনার ড্রাগন ফর্মেও যেতে পারবেন(সেনাপ্রধান)!
,
আর এদিকে জাহিদ সেনাপ্রধানের কথা শুনে রাগে ফুঁসছে,কেননা সে তাঁর পুরো শক্তি ছাড়া নাকি ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের সাথে লড়াই করতে পারবেনা। সে তাঁর রাগকে কন্ট্রোল করতে পারছেনা,কেননা তাঁকে সহ তাঁর শক্তি কেও অপমান করা হচ্ছে। রাগের কারনে তাঁর চোখ দু'টো পুরো আগ্নেয়গিরির মতো দেখা যাচ্ছে। 
,

,
আর এদিকে সেনাপ্রধান জাহিদের সাথে কথা বলে সামনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়। কেননা তাঁর কাজ ছিলো জাহিদ কে একটু রাগানো,আর সেটা সে করে দিয়েছে।
,
সেনাপ্রধান এবার আর কোনো সময় নষ্ট না করে,
আকাশের দিকে মুখ করে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার দেয়। আর সাথে সাথে তাঁর শরীরের 
চামড়ার মধ্যে ফাটল ধরতে থাকে। 
আর সেই সাথে তাঁর শরীর থেকে প্রচন্ড রকমের সাদা আলো বের হতে থাকে। আলোটা আবার কিছুক্ষনের মধ্যেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। 
আর সেনাপ্রধানের জায়গায় দেখা যায় এক বিশাল বড় হোয়াইট ড্রাগন।। 
হোয়াইট ড্রাগন টি উড়তে উড়তে গিয়ে ডার্ক বার্ড টির একদম শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে যায়। 
আর এদিকে ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যরা তাঁদের থেকে মাএ দশ - বারো হাত দূরে আছে। দেখতে দেখতে সব সৈন্যরা তাঁদের একদম কাছে চলে আসে। আর ঠিক তখনই ডার্ক বার্ড এবং সেনাপ্রধান(হোয়াইট ড্রাগন) দু'জনে আকাশের দিকে মুখ তুলে ভয়ংকর এক হুংকার ছাড়ে।
অতঃপর তাঁরা দু'জনে নিজেদের বিশাল বড় পাখার সাহায্যে একটু ওপরে উঠে নিজেদের মুখ থেকে আগুন নিক্ষেপ করতে থাকে ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের দিকে।
,

,
আর এদিকে জাহিদের চোখ দু'টো দিয়ে যেনো অনবরত আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে। আর তাঁর শরীর থেকে হাল্কা হাল্কা সাদা এবং লাল রঙের আলো বের হতে থাকে। সেই সাথে জাহিদের পুরো শরীর কাঁপতে থাকে,কাঁপতে কাঁপতে একসময় হঠাৎ করে জাহিদের পুরো শরীর অদৃশ্য হয়ে যায়। আবার মাঝে মাঝে জাহিদের শরীরের কিছু অংশ মাএ দেখা যায়,কিন্তু সেটা পুরো ভাবে না। 
,

,
রাগের কারনে আমার পুরো শরীর আগুনের ন্যায় হয়ে গেছে। এবং শরীরে প্রচুর পরিমানে শক্তি অনুভব করতে পারছি। সেই সাথে আমি আমার শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রতঙ্গ এতো দ্রুত নড়াচড়া করতে পারছি যে,যেটা আমার স্পিড মোডেও করতে পারিনা আমি। সবমিলিয়ে নিজেকে অনেক শক্তিশালী মনে হচ্ছে। 
,

,
কিছু একটা ভেবে নিজের হাত দু'টো মুঠি বদ্ধ করলাম। আর সাথে সাথে আমার পিঠ চিড়ে বেরিয়ে এলো,একজোড়া ডানা। যাঁর রঙ একদম গাড়ো লাল। ডানার সাহায্যে আগের থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে গেলাম। নিজের স্পিড টা আরো বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে। 
,
মনে মনে নিজেকে নিজে বললাম যে,যাইহোক না কেন ওই বইটির শক্তি ছাড়ায় ব্লাক ড্রাগনের সকল দৈত্য সৈন্যদের মাথা তাঁদের ঘাড় থেকে আলাদা করে ফেলবো।
,
সময় নষ্ট না করে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। চোখের পলকে ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। নিজের স্পিড দেখে নিজেই অবাক হলাম,স্পিড হবে কিন্তু এতোটা স্পিড হবে এটা ভাবতেও পারিনি। 
,

,
যাই হোক নিজের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য ভালো একটা বুদ্ধি পেলাম। প্যান্টের পিছনের পকেট থেকে একটা কয়েন বের করলাম। এক টাকার কয়েন,কয়েনটি নিজের ডান হাতের বুড়ো আঙুলের উপর রেখে আরেকটা আঙুল দিয়ে কয়েন টিকে উপরের দিকে ঠেলে দিলাম। 
কয়েনটি আস্তে আস্তে উপরের দিকে যাচ্ছে,কিছুক্ষনের ভেতর কয়েন টির গতিবেগ কমে গিয়ে নিচের দিকে আসতে লাগলো। যখন কয়েন টির অবস্থান আমার মাথার একটু ওপরে দেখলাম,তখন এটা দেখে একটা মুচকি হাসি দিলাম।
,

,
নিজের সর্বোচ্চ শক্তি একত্র করে সামনের দিকে দৌড় দিলাম। 
সবকিছু তাঁর নিজ নিজ জায়গায় থেমে গিয়েছে,শুধু আমি বাদে। ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের একেক টার মাথায় ঘুসি দিতেই তাঁদের মাথা গুলো ঘাড় থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এখানে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে,ব্লাক ড্রাগন দের সবগুলো সৈন্যদের মুখ মন্ডল সহ পুরো মাথা লৌহের তৈরী হেলমেটের মতো কিছু একটা দিয়ে ঢাকা রয়েছে,তাদের চোখ গুলোও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। যদি না তাঁরা দেখতেই না পায় তাহলে তাঁরা চলাফেরা করছে কি করে। এটার প্রতি এতো টাও খেয়াল করলাম না। আমি আছি সবার ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করার কাজে।
একেকটাের সামনে গিয়ে তাঁদের ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করাটা খুব একটা মজা লাগছে না। ঠিক তখনই হঠাৎ করে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি চলে এলো,
আকাশের দিকে নিজের ডান হাতটা বাড়িয়ে দিতেই আমার হাতে চলে আসলো একটা জ্বলন্ত আগুনের রশি। যেটা দেখতে আগ্নেয়গিরির মতো লাল টকটকে,সেটা দেখতে অনেকটায় ওয়ান্ডার উম্যান মুভির নায়িকা ডায়ানার কাছে যে রশিটা থাকে,সেটার মতো দেখতে। 
,
আমি রশি টার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম। তারপর সেটা নিজের ডান হাতে ভালোভাবে পেঁচিয়ে নিলাম।
সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি তাঁদের ড্রাগন রূপে থাকার কারনে তাঁদের ডানা সাহায্যে যেহেতু আকাশে উড়ে উড়ে আক্রমন করছিলো,সেজন্য তাঁরা দু'জনে ওখানেই আটকে আছে।
আর রাজ্যের সামনে বিশাল বড় খোলা মাঠের মতো জায়গায় ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যরা দাঁড়িয়ে আছে। 
তাই আমি নিজের বুদ্ধি টাকে আবারও কাজে লাগালাম,
মাটি থেকে লাফ দিয়ে একটু ওপরে উঠে গেলাম,কেননা ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যরা আমার থেকে প্রায় অনেক টায় বড়সড়। আর ডান হাতে যেহেতু আগুনের রশিটা আছে,তাই আর দেরি না করে আমি ডান হাতটা একটু পেছনের দিকে নিয়ে সামনের দিকে অনেক স্পিডে ছোড়ে দিলাম,রশিটা ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় আকার ধারন করতে লাগলো। যেহেতু ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যরা সব রাজপ্রাসাদের গেঁটের সাথে দেয়ালের ভেতরে ছিলো তাই আমার কাজটা আরো সহজ হয়ে গেলো। রশি টা দেয়ালের একদম কোনা ঘেঁষে অনেক স্পিডে যাচ্ছে,এবং সেটা রাজপ্রাসাদের সামনের যতোগুলো সৈন্য ছিলো তাঁদের সবগুলো সৈন্যের মাথার পেছন দিয়ে গিয়ে রশি টা একদম আমার সামনে এসে যায়। আর ওমনি আমি আমার বাম হাতটা বাড়িয়ে রশি টার অপর মাথা ধরে ফেললাম। এরপর বাম হাতের রচি টা ডান হাতে নিয়ে দু'টো রশির মাথা একসাথ করতেই রশি দু'টোর মাথা আপনা-আপনি জোরা লেগে যায়। সেই সাথে আমার মুখে ফুটে ওঠে এক শয়তানি হাসি।
,

,
ডান হাতের রশি টা নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিজের দিকে টান দিতেই রশি টা আস্তে আস্তে আমার দিকে আসতে থাকে এবং ধীরে ধীরে রশি টা তাঁর আগের রূপে ফিরে আসতে থাকে,মানে প্রথমে যে রকম ছোট অবস্থায় ছিলো সে রকম হয়ে একদম আমার সামনে এসে যায়। 
,

,
ডান হাতের মুঠোটা খুলতেই হাতের রশি টা মাটিতে পড়ে যায়। আর সেই সাথে সেই কয়েন টিও মাটিতে পড়ে যায়,এবং ঘুরতে থাকে মাটির ওপরেই,ক্ষনিকের মধ্যেই সেটা মাটিতে একদম পড়ে থাকে।
,
সামনের দিকে তাকাতেই দেখলাম যে,ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্যে সৈন্যদের মধ্যে কয়েককজন আমাকে ধরার জন্যে এগিয়ে আসছে। আর আমি সেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম। আমার থেকে একহাত সামনে আসতেই তাঁদের সব-কটার মাথা ঘাড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। রাজপ্রাসাদের সামনে ব্লাক ড্রাগন দের যতোগুলো সৈন্য ছিলো তাঁদের প্রত্যেকের মাথা একে একে তাঁদের নিজেদের ঘাড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। সেই সাথে মাটিতে লুটিয়ে তাঁদের বিশাল বড় আকারের দৈত্যাকার শরীর,এতে করে একেরপর এক ধুপধাপ ধুপধাপ শব্দ হতে থাকে। যেটা শুনতে আমার কাছে খুবই মজা লাগছে।
,

,
আর এদিকে সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টি অবাক চোখে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। কেননা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কি এমন হয়ে গেলো যে,যাঁর কারনে ব্লাক ড্রাগন দের দু'একজন সৈন্য না বরং কয়েক হাজার সৈন্যদের মাথা তাঁদের ঘাড় থেকে নেমে যাচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব।
এগুলো ভাবতে ভাবতে সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি নিচের দিকে তাকাতেই জাহিদ কে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পায়।
এসে করে তাঁরা দু'জন বুঝে যায় যে,কে এই কাজ করেছে। তাই তাঁরা দু'জন তাঁদের ডানার সাহায্যে নিচে নেমে আসতে থাকে। তাঁরা নিচে নেমে আসতেই জাহিদ আস্তে আস্তে তাঁদের দু'জনের কাছে যেতে থাকে। তাঁদের কাছে যেতেই সেনাপ্রধান তাঁর ড্রাগন রূপে থাকতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে যে, 
মালিক আপনার পিঠের ডানা গুলো তো আগের থেকে অনেক বড়ো হয়েছে,আর ডানা গুলো থেকে তো প্রচুর পরিমানে লাল রঙের আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে। আর এই ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের এই অবস্থা কি আপনি করেছেন,এই কাজটা যদি আপনি করে থাকেন,তাহলে সেটি কি করে করলেন,সেটাও আবার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। আমার জানামতে এটাতো কোনোভাবেই সম্ভব না(সেনাপ্রধান)!
,
সেনাপ্রধানের কথা শুনে জাহিদ তাঁর মুখে সেই ছোট্ট হাসি বজায় রেখে সেনাপ্রধানের উওরে বললো যে,
সেনাপ্রধান আপনি ভালো করেই জানেন যে,অসম্ভব বলতে আমার কাছে কোনো কিছুই নেই,অসম্ভব কে সম্ভব করাই হলো আমার কাজ। আর আপনি হয়তো-বা এটাও ভালো করে জানেন যে,রাগের কারনে আমার শক্তি আগের থেকে আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়। এতে করে আমার স্পিড আগের থেকে আরো দ্বিগুণ হয়ে গেছে,যাঁর কারনে ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের কে শেষ করতে আমার মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লেগেছে(আমি)!
,
হুম সেটা তো আমি আগে থেকেই জানতাম,কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি যে,আপনি আপনার বাবার থেকেও হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। কিন্তু সেটা যে করতেই হচ্ছে,কেননা এর জলজ্যান্ত প্রমান আমি একেরপর এক পেয়েই যাচ্ছি। এরপরও যদি বিশ্বাস না করি তাহলে যে আমি নিজেকে আর কখনোই ক্ষমা করতে পারবোনা(সেনাপ্রধান)!
,
সেনাপ্রধানের কিছু কথা আমি স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারলাম না,যাঁর কারনে আমি কিছু বললাম না। আমি কিছু বলছিনা দেখে সেনাপ্রধান আমাকে উদ্দেশ্য করে আবারও বললো যে,মালিক আমরা তো ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদেরকে কেবল শেষ করলাম,কিন্তু ব্লাক ড্রাগন কিং কোথায়,তাঁকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না(সেনাপ্রধান)!
,
সেনাপ্রধানের কথা শুনে আমি বললাম যে,হুম আমিতো এতোক্ষন ব্লাক ড্রাগন কিং এর কথা ভাবিনি,সে কোথায় তাঁকে তো দেখছি না,নাকি সে তাঁর সৈন্যদের এই অবস্থা দেখে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু এটাতো হওয়ার কথা না,কেননা আমার জানামতে তো ব্লাক ড্রাগন কিং অনেক শক্তিশালী,ব্লাক ড্রাগনরা এমনিতেই অনেক শক্তিশালী তাঁরওপর আবার সে হলো তাঁদের সবার ওপরে,নিজের শক্তির সাথে ব্লাক ম্যাজিকের দ্বারা অনেক শক্তি পেয়েছে। আর একমাত্র সেই নাকি স্বয়ং লুসিফারের পুরো শক্তিকে কন্ট্রোল করতে পারবে,আর লুসিফার হলো শয়তানের দেবতা,তাঁর শক্তি তো অতুলনীয়। সবমিলিয়ে তো দেখা যাচ্ছে সে আমার থেকেও কয়েকগুন বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়। নাহ্ সে যতোই শক্তিশালী হোক না কেন,তাঁকে আমার হাতে মরতে হবে(আমি)!
,
এ-সব কথা বলার সময় আমার ডার্ক বার্ড টির কথা মনে হলো তাই আমি আমার কথা শেষ করে যখনি আমি ডার্ক বার্ড টির দিকে তাকালাম তখন দেখলাম যে,ডার্ক বার্ড টি তাঁর বিশাল বড় মুখটা একটু হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এতে করে ডার্ক বার্ড ওরফে ফায়ার ব্লাক ড্রাগনটির মুখখানা দেখে আমার একটু হাসি পেলো। একটু হেঁসে ডার্ক বার্ড টিকে উদ্দেশ্য করে বললাম যে,
যেভাবে হা করে তাকিয়ে আসিস এভাবে থাকলে তোকে সেই লাগে এককথায় পুরো মফিজ। ও তুই তো আবার এগুলো বুঝিস না। যাইহোক এভাবে হা করে থাকলে কিন্তু গলা দিয়ে মাছি ডুকে যাবে তখন আবার তোর সমস্যা হতে পারে(আমি)!
,
আমার কথাটি মনে হয় ডার্ক বার্ড টি বুঝতে পেরেছে,যার কারনে সে তাঁর মুখটা চুপসে নিলো। 
আর এটা দেখে আমি আর সেনাপ্রধান একটু হেসে উঠলাম।
,

,
আচ্ছা সেনাপ্রধান আমি একটা জিনিস কিন্তু এখনো ভালোভাবে বুঝতে পারলাম না,
সেটা হলো,আমাদের সামনে ব্লাক ড্রাগন দের যে দৈত্য সৈন্য গুলো ছিলো। তাঁরা সবাই মিলে প্রায় কয়েক হাজার সৈন্য ছিলো,আর তাঁরা সবাই রাজপ্রাসাদের ভেতর থেকে বের হলো দেখলাম। কিন্তু রাজপ্রাসাদটা দেখে তো মনে হচ্ছে এটার ভেতরে এতো সৈন্য থাকার কথা নয়,না মানে এতো সৈন্য কি একটা রাজপ্রাসাদের ভেতরে থাকতে পারে,আর থাকলেও সেটা কিভাবে। কেননা আমার বাবা তো ব্লাক ড্রাগনদের অর্ধেক সৈন্য একাই শেষ করে দিয়েছিলো। আর যতোগুলো সৈন্য জীবিত ছিলো,তাঁরা তো তাদের আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো। তাহলে এতো সৈন্য ব্লাক ড্রাগন কিং কোথায় পেলো,তাও আবার কোনো সাধারণ সৈন্য না,দৈত্য সৈন্য। এদের শক্তি তো মুটামুটি ভালোই(আমি)!
,
আমার কথা শুনে সেনাপ্রধান বললো যে,
সত্যি কথা বলতে,রাজপ্রাসাদে যদি মানুষ বসবাস করে তাহলে তাঁরা সর্বোচ্চ এক-দু'হাজার মানুষ বসবাস করতে পারবে। আর এই দৈত্য সৈন্যরা বাস করলে সর্বোচ্চ পাঁচশোর মতো বসবাস করতে পারবে। কিন্তু এরা তো ছিলো চার-পাঁচ হাজারের কাছাকাছি। আর আপনার বাবা ব্লাক ড্রাগন দের প্রায় সব সৈন্যদের কেই শেষ করে ফেলে,শুধু মাএ কিছু সৈন্য ছাড়া। তাহলে এতো সৈন্য কোথা থেকে এলো,সবমিলিয়ে আমার মাথা একদম গুলিয়ে যাচ্ছে মালিক,কিচ্ছু বুঝতে পারছি না আমি(সেনাপ্রধান)!
,
সেনাপ্রধানের কথা শেষ হতেই আমি চিন্তা ভাবনা করলাম যে,বইটির কাছে যেতে হবে আমাকে। তাই আর দেরি না করে আমি বইটির দিকে যেতে লাগলাম। ব্লাক ড্রাগন দের দৈত্য সৈন্যদের বিশাল বড় আকারের দেহ সবদিকে ছড়িয়ে থাকার কারনে,আমি আমার শক্তি ব্যবহার করে হাওয়ার ওপর ভর করে একদম সিন্দুক টির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সিন্দুক টির সামনে নিজের হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়তেই সিন্দুক টি আপনা-আপনি খুলে গেলো। সিন্দুক টি যেনো অনেক বসৎর পর তাঁর নিজের আসল মালিক কে খুঁজে পেয়েছে। আমিও আর দেরি না কটে নিজের বাম হাতটা বাড়িয়ে দিলাম,কেননা সিন্দুক টির ওপরে নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে। আর ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলাম সিন্দুক টির ভেতরের সোনালী রঙের বইটিকে স্পর্শ করতে। সিন্দুক টিকে স্পর্শ করার সাথে সাথে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেলো সেখানে আমার সাথে।  
,

,
সিন্দুক টিকে স্পর্শ করার সাথে সাথে সিন্দুক টি সহ সেই সোনালী রঙের বইটি গায়েব হয়ে গেলো। আর এতে করে আমি আমার ভারসাম্য হারিয়ে ফেললাম,যার কারনে আমি মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেলাম। 
,
অবাকের একদম চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেলাম আমি,এটা কি করে হতে পারে। দূর থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো,হঠাৎ করে সিন্দুক টি উধাও হয়ে যেতেই তাঁরা দু'জনে বড়োবড়ো চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। তাঁরাও অনেক অবাক হয়েছে,কেননা এমনটা তো কখনোই হওয়ার কথা ছিলোনা। 
,

,
মাটি থেকে উঠে দাঁড়াতেই আশেপাশে প্রচুর পরিমানে বাতাস বইতে লাগলো,সেই সাথে রাজপ্রাসাদের গেঁটের সামনের গাছপালা সহ দূরের জঙ্গলটার গাছপালা সবগুলো প্রায় ভেঙে যেতে লাগলো। এটা দেখে খুব একটা অবাক হলাম না,অবাক হলাম কিছুক্ষন পরের একটা ঘটনা দেখে। 
,
হঠাৎ করে আমাদের চারপাশ ঘিরে প্রচন্ড পরিমানে বাতাস বইতে লাগলো,সেই সাথে কোথা থেকে যেনো কালো ধোঁয়া আসতে লাগলো। আশেপাশের কোনো কিছুই খুব একটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। এসবের মধ্যে আবারও হঠাৎ করে ব্লাক ড্রাগন দের মরা দৈত্য সৈন্যদের সবগুলো দেহ একসাথে হাওয়ার ওপরে ভাসতে লাগলো। একটু অবাক হলাম এটা দেখে। পেছনে দিকে তাকাতেই দেখলাম যে,এসব দেখে সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি হা করে সবকিছু দেখে যাচ্ছে,তাঁদেরকে দেখে মনে হচ্ছে তাঁরা Avenger End Game এর মতো কোনো হিট মুভি দেখছে,যেটা খুবই মনোযোগ সহকারে দেখে যাচ্ছে। আবারও নিজের চোখ দু'টো সামনের দিকে নিয়ে নিতেই দেখলাম যে,
মরা দেহ গুলো হাওয়ার ওপর ভাসমান অবস্থায় সবগুলো দেহ একসাথ হতে লাগলো। এমন করতে করতে সবগুলো দেহ মিলে একটা বিশাল বড় আকারের দৈত্য তৈরী হলো।
যাকে দেখে শুধু সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি না আমি নিজেও হা করে দেখছি। কেননা তাঁর যে শরীরের গঠন সেটা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে লাগলো,কিছুক্ষন পরে ওটার বৃদ্ধি পাওয়া একদম  থেকে গেলো। এটাকে দেখতে সেইম একদম একটু আগের সেই দৈত্য সৈন্য গুলোর মতো। আগের গুলোর সাথে এটার পার্থক্য হলো,আগের গুলো আমাদের চাইতে একটু বড়ো,আর এটা হলো আমাদের থেকে হাজার গুণ বড়ো। একে দেখে মনে হচ্ছে এই দৈত্যটার মাথা একদম আকাশের সাথে ঠেকে যাবে হয়তো। 
,
আমার মনে একটা জিনিস নিয়ে সন্দেহ হতে লাগলো সেটা হলো এই যে,এতো বড়ো দৈত্য কি আমাদের মতো ছোট্ট পিঁপড়াকে দেখতে পারছে,নাকি। আমার তো মনে হচ্ছে আমাদের তাঁর চোখেই পড়ছে না। 
হঠাৎ করে সিন্দুক টির কথা মনে হতেই হাত দু'টো আপনা-আপনি মুঠি বদ্ধ হয়ে গেলো,সেই সাথে মুখের চোয়াল টাও একদম শক্ত হয়ে গেলো। 
,

,
অনুভব করতে লাগলাম যে,নিজের চোখ দু'টো আগের মতো একদম সেইম আগ্নেয়গিরির মতো হয়ে গেলো। নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে সমস্যা হচ্ছিলো,তাই সেটা নিজের মনের উপর ছেড়ে দিলাম। নিজের সর্বোচ্চ সুপার স্পিডে সামনের (আল্ট্রা ম্যাক্স প্রো দৈত্যেটিকে) উদ্দেশ্য করে দৌড় দিলাম। দৈত্যটির সামনে চলে যেতেই নিজের শরীরের সবটুকু ভর মাটির উপরে রেখে দিলাম এক লাফ। এতে করে আমি উড়তে উড়তে ওপরের দিকে যেতে লাগলাম,যেতে যেতে কিছুক্ষন সময় পর পৌঁছে গেলাম নিজের গন্তব্যস্থলে। হ্যা আমি দৈত্যটির একদম মুখের সামনে বাতাসের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছি। রাগের কারনে শরীর একটু পরপরই মৃদুভাবে কেঁপে উঠছে।
,
ডান হাতটার ওপর হাল্কা একটু ভর দিয়ে আমার সামনের দিকে একটু হেলে দিয়ে নিজের পেছনের দিকে টান দিলাম এতে করে আমার শরীরের সবটুকু শক্তি আমার ডান হাতে চলে আসলো। তারপর ডান হাতটা শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সামনের দিকে ঠেলে দিলাম। আমার টার্গেট হলো,দৈত্যটার বিশাল বড় কপাল টা। ধুপ করে একটা শব্দ হলো।
,

,
হ্যা নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দৈত্যটার মাথা বরাবর লক্ষ্য করে একটা ঘুসি দিতেই ধুপ করে একটা শব্দ হয়। ঘুসি টাতে এতোটাই পাওয়ার ছিলো যে,যাঁর কারনে আমার হাজার ফুট নিচের মাটি টাও মৃদুস্বরে কেঁপে ওঠে,মাটির ওপরে অবস্থানরত সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টির কাছে মনে হলো যেনো তাঁদের এখানে ভূমিকম্প হয়ে গেলো। আর এদিকে ঘুসি খেয়ে বিশাল বড় আকারের দৈত্যটা নিজের ভারসাম্য আর ঠিক রাখতে পারেনা। যার কারনে সে তাঁর বিশাল বড় দেহ নিয়ে ধীরে ধীরে মাটির দিকে পতিত হতে লাগলো। দৈত্যটা যেহেতু রাজপ্রাসাদের সামনে খোলা মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলো এবং আমার ঘুসি টা সামনে থেকে খেয়েছে,সেহেতু সে তাঁর পেছনের দিকে পড়বে। 
,

,
বিশাল বড় দেহের দৈত্যটা নিজের বড় আকারের শরীর নিয়ে তাঁর পেছন দিকে পড়তে লাগলো। হ্যা দৈত্য টা রাজপ্রাসাদের একদম ওপরে পড়তে লাগলো। দৈত্য টা হঠাৎ করে এক বিশাল আওয়াজ করে মাটির উপরে হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যের উপরে গিয়ে পড়ে। হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটা মনে হয় দৈত্যটার এতো বড় শরীরের ভারটা নিতে পারলোনা। যাঁর কারনে দৈত্য টির বিশালাকৃতির শরীরের নিচে হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটা চাপা পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
,

,
এটা দেখে সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টি পর্যন্ত বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে তাঁদের সামনের ভেঙে যাওয়া হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটার দিকে।
,
মাটি থেকে হাজার ফুট ওপরে হাওয়ার মধ্যে ভাসমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৈত্যটার পড়ে যাওয়া দেখছিলাম। কিন্তু যখনই দেখলাম যে,দৈত্য টা গিয়ে একদম সোজা হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটার ওপরে গিয়ে পড়ছে। আমার বাবা-মা,দাদা-দাদীর স্বপ্নের হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটা যদি দৈত্য টার নিচে একবার পড়ে তাহলে হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যের কোনো চিহ্নই ওখানে থাকবে না।
,
যেভাবেই হোক দৈত্যটিকে রাজ্যটার ওপরে পড়তে দেওয়া যাবে না। এসব ভাবতে ভাবতে আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে লাগলো,নিকের শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে নিচের দিকে নামতে লাগলাম। মাটি থেকে এখনো প্রায় কয়েকশো ফুট ওপরে আছি। ঠিক তখনই দেখলাম যে,দৈত্যটা আমার স্বপ্নের হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটাকে তাঁর নিজের বিশালাকৃতির শরীরের নিচে চাপা দিয়ে ফেলেছে।
,
এটা দেখার পরে ততক্ষনাৎ আমার শরীর কাজ করা বন্ধ করে দিলো,আকাশে ভাসমান অবস্থায় যেখানে আছি সেখানেই আমার শরীর থেমে গেলো। এবং ধীরে ধীরে আমার শরীর নিচের দিকে নামতে লাগলো। আর আমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি,আমার স্বপ্নের ভেঙে যাওয়া হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটার দিকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই শরীরটা আপনা-আপনি মাটিতে নেমে এলো,আর জ্বলজ্বল করা পিঠের ডানা দু'টো আপনা-আপনি পিঠের ভেতরে ঢুকে গেলো,এখন আমি একদম রাজ্যটার সামনে দাঁড়িয়ে আছি,আর আমার চোখ দিয়ে অনবরত টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো। নিজের ওপর থেকে মনে হচ্ছে নিজের সবটুকু কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি। মাথাটা কাজ করা একদম বন্ধ করে দিয়েছে,কি করা উচিত এখন আমার সেটাও আমি ভেবে পাচ্ছি না। 
,

,
বুঝতে পারলাম যে, বুকের বাম'পাশটা ব্যথায় চিনচিন করছে। ঠিক তখনই ভাঙা রাজ্যটার ওপর থেকে দৈত্য টা তাঁর বিশালাকৃতির দেহ নিয়ে ধীরে ধীরে মাটির উপরে উঠে দাঁড়ালো। এবং সে তাঁর নিজের শরীর টা ঝাড়া দিলো,আমাকে মনে হয় সে দেখতে পেয়েছে,কেননা দেখলাম যে,সে ধীর পায়ে আমার দিকে আসতে লাগলো। তাঁর পায়ের নিচে হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটা সেখান থেকে নিজের পা'টা সরিয়ে যখনই সামনে বাড়ালো তাঁর পা টা  গিয়ে পড়লো রাজ্যের চারপাশে যে ওয়াল গুলো  ছিলো সেগুলোর ওপর। ওয়াল গুলো দৈত্য বিশালাকৃতির দেহের ভার সহ্য করতে পারলোনা। যাঁর কারনে ওয়ালের অর্ধেক অংশ মাটিতে ধসে পড়লো,আর অর্ধেক টুকু মাটির ভেতরে চলে গেলো। 
,
আর এদিকে আমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ভাঙা পড়ে যাওয়া রাজ্যটার দিকে,ভাবতেও পারিনি বাবা-মার স্বপ্নের রাজ্যটা আমার সামনে এভাবে ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আমার দিকে দৈত্যটা আসছে এটা দেখার পরে যখনই কিছু একটা বলতে যাবো তখন দেখলাম যে,শরীরের সবটুকু শক্তি যেনো উধাও হয়ে গেছে,কোনো কথা বলতে পারছিনা আমি,না পারছি কোনো কথা বলতে,না পারছি নড়াচড়া করতে। 
,

,
সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি যখনই দেখলো যে,জাহিদ কোনো কথা বলছে না এমনকি কি কোনো নড়াচড়াও করছে না। আর এদিকে দৈত্য টা জাহিদের একটু সামনে রয়েছে,দৈত্য টার একটা পা যদি জাহিদের ওপরে পড়ে,তাহলে তো জাহিদের শরীর একদম আচারের মতো চেটকে যাবে। অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক না,যাঁর কারনে সে তাঁর ডানার সাহায্যে জাহিদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে,আর তাঁর পেছন পেছন ডার্ক বার্ড টি আসতে থাকে। ড্রাগন ফর্মে থাকার কারনে তাঁদের উড়তে কোনো ঝামেলা করতে হলো না। 
,
সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টি জাহিদের সামনে যাওয়ার আগেই তাঁরা দু'জন দেখলো যে,দৈত্য টা তাঁর বিশালাকৃতির ডান পা বাড়িয়ে দিয়েছে জাহিদ কে পিষে ফেলার জন্য। আর জাহিদের মাথার ওপর থেকে দৈত্য টার পা মাত্র এক'হাত দূরে। এটা দেখার পর সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টিও দূর থেকে তাঁদের মুখ থেকে একেরপর এক আগুনের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে দৈত্যটার পা উদ্দেশ্য করে। এতে করে দৈত্য টার ডান পা জাহিদের শরীরের ওপরে পড়ার আগেই পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়। যাঁর কারনে দৈত্যটা ততক্ষনাৎ তাঁর পা টা নিজের দিকে সরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু সেই পোড়া জায়গা'টা কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনা-আপনি সেরে উঠে। 
,
এটা দেখে সেনাপ্রধান ডার্ক বার্ড টিকে উদ্দেশ্য করে বললো যে,তুমি গিয়ে দৈত্য টাকে একটু ব্যস্ত রাখো,এতে করে আমি কিছু সময় পাবো,এই সময়ের মধ্যে মহারাজ কে তাঁর স্বজ্ঞানে ফিরিয়ে আনতে পারি'কিনা। 
,
ডার্ক বার্ড টি সেনাপ্রধানের কথা বুঝতে পেরে দ্রুত গতিতে ছুটে যায় বিশালাকৃতির দৈত্য টার দিকে। দৈত্য টার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই দৈত্যটা তাঁর হাত দু'টো দিয়ে ডার্ক বার্ড(ওরপে ফায়ার ব্লাক ড্রাগন)টিকে ধরতে গেলো। কিন্তু ডার্ক বার্ড টি খুব সহজেই নিজেকে দৈত্যটার হাতে পড়ার আগেই এঁকেবেকে ওপরের দিকে ওঠতে থাকে। এমন করতে করতে ডার্ক বার্ড টি সোজা গিয়ে দৈত্যটার মুখের সামনে চলে যায়। এরপর ডার্ক বার্ড টি তাঁর শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে মুখ থেকে আগুন নিক্ষেপ করতে থাকে দৈত্যটার বাম চোখ বরাবর,কিছুক্ষন বাম চোখে দেওয়ার পর আবার মুখ ঘুরিয়ে ডান চোখ টাকে উদ্দেশ্য করে আগুন নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে করে দৈত্য টা একটু শক্তিহীন হয়ে যায়। চোখে দেখতে না পারার পরেও দৈত্য তাঁর হাত দু'টো তাঁর নিজের চারপাশে আওরাতে থাকে। যদি কোনো একবার তাঁর হাতটা ডার্ক বার্ড টিকে আঘাত করতে পারে এই আশায়।
আর এদিকে সেনাপ্রধান জাহিদের কাছে সামনে এসে দাঁড়াতেই সে তাঁর ড্রাগন ফর্মে থেকে মানুষ ফর্মে চলে আসে। তারপর জাহিদের সামনে গিয়ে বলে যে,মালিক কি হয়েছে আপনার,আপনি কোনো কথা বলছেন না কেন। রাজ্যটা ভেঙে গেছে এটা নিয়ে এখন মাথা ঘামালে সমস্যা হবে। কেননা এটা নিয়ে আপনি একটু চিন্তা করতেই আপনার মন একদম নরম হয়ে গেছে। আর এই সুযোগ'টাই ব্লাক ড্রাগন কিং সুযোগ নিবে। কিন্তু আপনাকে সেটা করতে দেওয়া যাবে না। তাঁরাতাড়ি নিজের স্বজ্ঞানে ফিরে আসুন মালিক। 
সেনাপ্রধান আমাকে যে কথা গুলো বলছিলো,সেগুলো আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম সাথে তাঁকেও দেখতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি আমার শরীর কে নাড়াতে পারছি না কেন। এসব ভাবছিলাম ঠিক তখনই কিছু ভাঙা ভাঙা চিত্র আমার সামনে চলে এলো। আবার হঠাৎ করেই সেগুলো কোথায় যেনো উধাও হয়ে গেলো। 
নিজের চোখ খুলতেই দেখলাম যে,মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছি,আর আমার পাশেই পড়ে আছে সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড।
,

,
মাটি থেকে উঠে দাঁড়ালাম। হ্যা আমি এখন নিজের হাত-পা চালাতে পারছি,এবং কথাও বলতে পারছি দেখছি। একটু সময় নিলাম বুঝতে যে,এখানে আসলে একটু আগে কি হয়েছিলো যাঁর কারনে আমি এবং সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টি মাটিতে পড়ে আছে। চোখ বন্ধ করতেই দেখলাম যে,সেনাপ্রধান যখন আমার সাথে কথা বলছিলো তখন আমি কিছু ভাঙা ভাঙা চিত্র দেখতেছিলাম ঠিক তখনই ভুল বসত কারনে দৈত্যটার একটা হাত ডার্ক বার্ড টির ওপরে পড়ে যায়। যাঁর কারনে সে তাঁর ভারসাম্য হারিয়ে নিচে সোজা আমাদের দিকে আসতে থাকে। সেনাপ্রধান কিছু একটা ভেবে পেছনের দিকে তাকাতেই দেখে যে ডার্ক বার্ড টি যে কিনা তাঁর ফয়ার ব্লাক ড্রাগন ফর্মে আছে,তাঁর বিশাল বড় শরীর নিয়ে তাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে। মনে হয় সে তাঁর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে,এটা মনে করে সেনাপ্রধান ততক্ষনাৎ তাঁর ড্রাগন ফর্মে চলে আসে। সেনাপ্রধান ড্রাগন ফর্মে আসার পরেই পেছনের দিকে ঘুরে আমাকে ধাক্কা দেয়,এতে করে আমি তাঁর থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়ি,এতে করে ভাঙা চিত্রের কোনোকিছুই ভালোভাবে দেখতে পারিনি আমি। আর সেনাপ্রধান আমাকে বাঁচাতে গিয়ে সে নিজেকে আর বাঁচাতে পারেনা,ডার্ক বার্ড টি তাঁর সাথে প্রচন্ড স্পিডে সংঘর্ষ করে। যাঁর কারনে তাঁরা দু'জন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে একটু দূরে পড়ে রয়েছে।
,

,
,

,
চোখ দু'টো খুললাম,আমার চোখ দু'টো আবারও আগের ন্যায় লাল টকটকে হয়ে গেছে,চোখে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। নিজের উপর এখন আমার সম্পূর্ণ কন্ট্রোল রয়েছে,শরীরের সম্পূর্ণ শক্তি মনে হচ্ছে কন্ট্রোলে এসে গেছে। সামনের দৈত্য টার দিকে ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে লাগলাম। এরমধ্যেই দৈত্য টা আমার দিকে তাকালো,তাঁর চোখ দু'টো আপনা-আপনি ঠিক হয়ে গেছে। তাঁর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি,এটা দেখার পর সেও আমাকে উদ্দেশ্য করে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমার সামনে আসা মাত্রই দৈত্য টা তাঁর ডান হাতটা উঁচু করে দ্রুত গতিতে উঠিয়ে আমাকে আঘাত করার জন্য বাড়িয়ে দিলো। এটা দেখে আমি মুখে কিছু বললাম না,
দৈত্যটার ডান হাতটা যখনই আমার একদম সামনে তখনও আমি তাঁর দিকে ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে লাগলাম। আর ঠিক তখনই দৈত্যটার বিশালাকৃতির হাতটা আমাকে ঘুসি দিলো। 
,

,
চারপাশটা এমনিতেই একটু স্তব্ধ ছিলো,আর আমাকে আঘাত করার পর মনে হলো যে,সবকিছুই একদম স্তব্ধ হয়ে গেছে। আমাকে আঘাত করার পরপরই মড়মড় শব্দ হতে লাগলো,শব্দ টা আসছিলো আমার ওখান থেকে।
,

,
ঠিক এমন সময় এক গগন কাঁপানো চিৎকারের আওয়াজ আমার কানে এসে ঠেকলো। হ্যা এটা ওই দৈত্যটার কান্নার আওয়াজ,হাতের ব্যথার চোটে সে একেরপর এক গগণ কাঁপানো চিৎকার দিচ্ছে তো দিচ্ছে,থামার কোনো নাম গন্ধই দেখতে পাচ্ছি না। আমাকে আঘাত করার পর আমার তো কোনো কিচ্ছু হয়নি বরং এতে দৈত্যটার ডান হাতের হাড্ডি গুলো মড়মড় শব্দে ভেঙে গেছে,যাঁর কারনে সে চিৎকার করছে। 
,
দৈত্যটার এইটুকু কষ্ট দেখে খুব একটা সুখ পেলাম না। আরো আরো বেশি যন্ত্রণা দিতে চাই একে আমি। নিজের ডান হাতটা আকাশের দিকে উঁচু করে ধরতেই আকাশে মেঘ না থাকা সত্ত্বেও বিকট শব্দে আকাশ থেকে এক বিজলী এসে পড়লো একদম আমার হাতে। এটা দেখার পর আমার মুখে ফুটে উঠলো এক নিষ্ঠুরতার হাসি। যে হাসির মানে আমি নিজেই জানি না,আর অন্য কেউ সেটা কি করে বুঝতে পারবে। বিজলী টা আমার হাতে রয়েছে,এটাকে দেখতে একদম ধবধবে সাদা,কারেন্টের সর্বোচ্চ হাই বোল্টেজের যতোটুকু না শক্তি আছে তার চেয়েও হাজার গুন বেশি শক্তি এই বিজলী টার মধ্যে রয়েছে। এটা দেখতে যেমন সুন্দর দেখা যাচ্ছে তাঁর চাইতেও হাজার গুণ খারাপ জিনিস এটা।
,

,
সামনের দিকে তাকাতেই দেখলাম যে বিশালাকৃতির দৈত্যটার ভেঙে যাওয়া হাতটা আপনা-আপনি ভালো হয়ে যাচ্ছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে,ডান হাতের বিজলী টা ছুড়ে মারলাম দৈত্য টার বুকের একদম বা'পাশের যে জায়গাটায় হার্ট(♥)থাকে সেই জায়গা উদ্দেশ্য করে। বিজলী টা চোখের পলকে গিয়ে দৈত্য টার বুকের বাম পাশ দিয়ে ঢুকে বুকের অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। 
,
দৈত্যটা নিজের ডান হাতটা নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকার কারনে এই আক্রমন'টার সামনা করতে পারলোনা। যখন সে বুঝতে পারলো যে,তাঁকে আক্রমন করা হয়েছে,তখন সে তাঁর বুকের বাম পাশের ফুটো হয়ে যাওয়া জায়গা দেখে সামনের দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখার পর-ই তাঁর দেহটা একদম নিস্তেজ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে তাঁর বিশালাকৃতির দেহটা মাটিতে পড়তে থাকে। 
,

,
এটা দেখে আমি চিন্তা করলাম যে,দৈত্য টাতো মাটিতে পড়লে সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টির উপরেও পড়বে। এতে করে তাঁদের দু'জনের মধ্যে কারোরই চিহ্ন থাকবেনা,তাই যা করার আমাকেই করতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা প্লান চলে আসলো,নিজের ডান হাতটা একটু ওপরে উঠিয়ে একটা চুটকি বাজালাম। আর সাথে সাথে বিশালাকৃতির দৈত্য টার শরীর পুড়ে ছায় হয়ে উড়ে যেতে লাগলো।
,

,
পেছনের দিকে তাকাতেই দেখলাম যে,ডার্ক বার্ড টি তাঁর ড্রাগন ফর্ম ছেড়ে তাঁর ছোট্ট ডার্ক বার্ড ফর্মে মাটির উপরে দাঁড়িয়ে আছে,আর এদিকে সেনাপ্রধান ব্যথার চোটে মাটিতে শোয়ে শোয়ে কাতরাচ্ছে। সেনাপ্রধানের কাছে গিয়ে তাঁকে আমার শক্তি দিয়ে হিল করে দিলাম কয়েক সেকেন্ডের ভেতরে।
এরপর তিন জনে মিলে নিজেদের পিঠ থেকে দু’জোড়া ডানা বের করে উড়াল দিলাম ব্লাক ড্রাগন কিং এর উদ্দেশ্যে।
,

,
ধুপ করে আওয়াজ তুলে মাটিতে এসে দাঁড়ালাম আমরা তিনজন। সামনের দিকে তাকাতেই দেখলাম যে,পাহাড়ের একদম চূড়ায় একখানা ছোট্ট বাড়ি'টা ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে পিনপিন নিরবতা বিরাজ করছে,আর আমাদের আগমনে মনে হয় চারপাশটা আরো বেশি নিরবতা বিরাজ করছে। এমনিতেই চারদিকটা অন্ধকারে ছেয়ে আছে,তারই মধ্যে এই বাড়িটা দেখতে একদম ভূতূড়ে টাইপের মনে হচ্ছে। 
,

,
ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি সামনের ঘরটার দিকে,ঘরটার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সবার সামনে যেহেতু আমি ছিলাম সেহেতু আমাকেই দরজাটা খুলতে হবে। নিজের ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলাম দরজা'টার দিকে,দরজার ওপরে আমার হাতটা পড়তে দেরি কিন্তু দরজাটা খুলতে দেরি না। আপনা-আপনি দরজাটা খুলে যেতেই,এমন কিছু হবে এটা জানা স্বত্তেও সবাই হাল্কা একটু অবাক হলাম। দরজার অপর পাশে শুধু ঘন অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। তারপরও নিজের ডান পা'টা বাড়িয়ে দিলাম দরজার অপর পাশে,আর আমার পিছু পিছু সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টিও আসতে লাগলো। দরজার অপর পাশে নিজের ডান পা'টা দিতেই বুঝতে পারলাম যে,পায়ের নিচে কোনো মাটি নেই,কিন্তু যখন এটা বুঝতে পারলাম তখন অনেক'টা দেরি হয়ে গেছে। সেনাপ্রধান সহ ডার্ক বার্ড টিও আমার মতো ফেঁসে যায়,দরজার অপরপাশে সেনাপ্রধান যখনই তাঁর পা'টা রাখে তখনই সে নিচের দিকে নামতে থাকে,আর ডার্ক বার্ড টি সেনাপ্রধানের কাঁধের উপরে ছিলো। যাঁর কারনে তাঁর সবকিছু বুঝতে একটু সময় লাগে,যখন সে বিষয়'টা বুঝতে পারলো তখন সে তাঁর ডার্ক বার্ড ফর্ম থেকে ড্রাগন ফর্মে চলে আসে। আর এদিকে আমি দরজার অপর পাশে নিজের পা'টা রাখতেই বুঝতে পারলাম যে,আমি অনেক দ্রুত গতিতে নিচের দিকে পড়তে লাগলাম। এর মধ্যেই আমার চোখ দু'টো আগুনের ন্যায় লাল টকটকে হয়ে গেলো। এতো গারো অন্ধকার থাকা স্বত্বেও আশেপাশের সবকিছু খুবই স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারছিলাম আমি। আমি আমার দু'পাশে শুধু পাহাড়ের দেয়াল দেখতে পেলাম,আর এই পাহাড়ের দেয়ালের ভেতর দিয়ে এক বিশাল বড় একটা সুরঙ্গের মধ্যে আমি রয়েছি,আমার ওপরে হয়তো-বা সেনাপ্রধান এবং ডার্ক বার্ড টিও রয়েছে। সুরঙ্গটির আগাগোড়া কোনো কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না আমি,যাঁর কারনে ভালোভাবে দেখছি সবকিছু। এসব কথা ভাবছিলাম,ঠিক তখনই আমার মনে হলো আগের থেকে অনেক ধীর গতিতে নিচের দিকে নামছি,এমন সময় আমার নিচে কোনো শক্ত জিনিস অনুভব করলাম। নিচের দিকে তাকাতেই দেখলাম যে,ডার্ক বার্ড টি তাঁর ড্রাগন ফর্মে চলে এসে তাঁর পিঠের ওপর বসিয়েছে আমাকে এবং সেনাপ্রধান কে। 
,

,
কিছু একটা ভেবে ছোট্ট করে একটা শীষ বাজালাম। আর সাথে সাথে আমার ডান হাতে একটা ছোট্ট বলের মতো কিছু একটা এসে যায়। ওটাকে হাল্কা একটু চাপ দিতেই সেটা হঠাৎ করে প্রচন্ডভাবে আলো ছড়াতে থাকে চারদিকে। এতে করে ডার্ক বার্ড টির পথ চলা একটু সহজ হয়ে যায়। এই সুরঙ্গ টি যেনো আজ শেষ হবার নয়,কিছুক্ষনের মধ্যেই সুরঙ্গ টির একদম শেষ মাথায় এসে গেলাম। 
অবশেষে মাটিতে এসে দাঁড়ালো ডার্ক বার্ড টি। আমি সহ সেনাপ্রধান ডার্ক বার্ড টির পিঠের ওপর থেকে ফাল দিয়ে নেমে গেলাম। আর সাথে সাথে ডার্ক বার্ড টি তাঁর ড্রাগন ফর্ম থেকে বার্ড ফর্মে চলে আসে। আর আমি সামনের দিকে তাকাতেই অবাক না হয়ে পারলাম না।
,
কেননা আমাদের থেকে একটু সামনেই দেখতে পাচ্ছি বিশাল বড় আকারের একটি রাজপ্রাসাদ। এই অন্ধকারের মধ্যেও কলো রঙের রাজপ্রাসাদ টিকে একদম স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। মনে হয় রাজপ্রাসাদ টি এভাবেই বানানো হয়েছে। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়টা হচ্ছে,রাজপ্রাসাদ টা আমাদের হোয়াইট ড্রাগন রাজ্য থেকে প্রায় তিন গুণ বড়,আর এই প্রাসাদ টির একদম মাঝখান বরাবর ওপরে বিশাল বড় একটা কালো কুচকুচে ড্রাগনের মূর্তি বসানো। এর মানে বুঝাই যাচ্ছে যে,এটা ব্লাক ড্রাগন দের রাজ্য। 
,

,

চলবে,
  

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.