ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ০৯

Bangla Dub Novels
 

#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ৯ম(বিশেষ পর্ব)
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

সে যা-ই হোক,আমাকে এ-সব বিষয়ে চিন্তা করা যাবেনা এখন,আমাকে শুধু কালকের যুদ্ধের কথা ভাবতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে এবলিং ঘুমিয়ে গেল।
,
,
চারদিকে এ-তো এ-তো মানুষ,আর তাদের সবার কাছেই রয়েছে বিশাল বড় বড় অস্ত্র,মনে হচ্ছে একটু পরেই এখানে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে।
বিশাল বড় একটা খোলা মাঠের দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে দুই রাজ্যের কিং,,,,
,
,
একজন ব্লাক ড্রাগন কিং,আরেকজন হোয়াইট ড্রাগন কিং,,,,
,
,
আজকে তোদের সবার জীবনের শেষ দিন,আজকের পর থেকে আমি দুই রাজ্যের কিং হবো,আহা আহা আহা(ব্লাক ড্রাগন কিং)!
,
আজকে এখানে কার জীবনের শেষ সময় হয়,সেটাতো একটু পরেই দেখা যাবে(হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং)!
,
তাহলে খেলা শুরু করা যাক(ব্লাক ড্রাগন কিং)!
,
হুম,স্টার্ট,,,,,,,,,
,
আক্রমন(ব্লাক ড্রাগন কিং)!
এ-ই বলে ব্লাক ড্রাগন কিং তার মানুষ ফর্ম ছেড়ে ড্রাগন ফর্মে চলে আসল। বিশাল বড় দেহ,তার সামনে সব সৈন্যদেরকে ছোট ছোট খেলার পুতুল বলে মনে হচ্ছে। ব্লাক ড্রাগন কিং তার মুখ দিয়ে বিশাল বড় একটা হুংকার ছাড়ল। এতে যেন সবার মনে হলো সেখানে বিশাল বড় একটা ভূমিকম্প হয়ে গেল। 
,
,  
হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং এটা দেখে হাল্কা একটু ভয় পেল ঠিকই,কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে বুঝতে দিল না। সে নিজেও তার মানুষ ফর্ম চেঞ্জ করে ড্রাগন ফর্মে চলে গেল। সে তাঁর ড্রাগন ফর্মে আছে বলে,সে সবার পাওয়ার অনুভব করতে পারছিলো,কিন্তু একটা জিনিস সে বুঝতে পারছে না,সেটা হলো কারো ম্যাজিকাল পাওয়ার যে এখানকার সবার থেকে বেশি সেটা সে অনেক ভালোভাবেই অনুভব করতে পারছে। কিন্তু সেটা কার হতে পারে,সেটা সে ভেবে পাচ্ছে না। ব্লাক ড্রাগন কিং এর পাওয়ার অনুভব করে দেখল যে,ওই পাওয়ার ওর ও না। 
,
  
,
হঠাৎ করে কিছু একটা মনে পড়ে গেল তার,তখনই তাঁর মুখে একটা হাসির রেখা দেখা দিল। সে আর দেরি করল না,সে নিজেও অনেক জোড়ালো একটা হুংকার ছাড়ল। এতে তার সব সৈন্যরা একসাথে চিৎকার দিয়ে বলে ওঠল,আক্রমণ। হোয়াইট ড্রাগন কিং এবলিং তার সৈন্যদের সবার সামনে,আর ব্লাক ড্রাগন কিং তার সব সৈন্যদের সামনে। সব সৈন্যরা তাদের মানুষ ফর্ম থেকে ড্রাগন ফর্মে চলে যেতে লাগল,আর যে যেভাবে পারে আক্রমন করতে লাগলো তাদের বিপরীত দলদের। 

  
,
হোয়াইট ড্রাগনদের সৈন্যরা তাদের মুখ থেকে আগুন নিক্ষেপ করতে লাগলো ব্লাক ড্রাগনদের সৈন্যদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ব্লাক ড্রাগনদের সৈন্যরা সবাই খুবই দক্ষতার সাথে সেগুলো এরিয়ে যাচ্ছে। আর তাঁরা সবাই তাদের মুখ থেকে বিজলি নিক্ষেপ করতে লাগলো হোয়াইট ড্রাগনদের সৈন্যদের উদ্দেশ্যে। চোখের পলকে বিজলি গুলো হোয়াইট ড্রাগনদের সৈন্যদের শরীরে লাগার সাথে সাথে তাঁরা তাদের ড্রাগন ফর্ম ছেড়ে মানুষ ফর্মে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। যাঁরা যাঁরা জ্ঞান হারিয়েছে তাঁদের সবার শরীর থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে। 
,
  
,
আর এইসব দেখে হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং এর অনেক রাগ হয়। সে ব্লাক ড্রাগন কিং এর দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই ব্লাক ড্রাগন কিং তাঁকে বলে যে,,,,,
,
এবলিং তোমার সাহসের প্রসংশা না করে আমি পারছি না। প্রথমত আমার কাজে বাঁধা দিলে,তারপর আবার আমার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলে,আমার শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত সব কিছুই তো তুমি জানো,আমার সামনে তুমি তো একটু সময়ও টিকতে পারবেনা(ব্লাক ড্রাগন কিং)!
,
,
আমি নাহয় নাই টিকলাম,কিন্তু এখানে এমন একজন আছে যাঁর সামনে তুমি সামান্য সময়ও টিকতে পারবেনা(হরলিং)!
,
হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং এর কথা শুনে,ব্লাক ড্রাগন কিং রাগে গরগর আওয়াজ করতে করতে বলল যে,কে সে,কোথায় সে,তাকে আমি দেখতে চাই,সাহস থাকলে তাকে সামনে আসতে বলো হরলিং(ব্লাক ড্রাগন কিং)!

বললাম তো তুমি তার সামনে একমুহূর্তও টিকতে পারবেনা,আর তাঁকে তুমি দেখতে পারবেনা(হরলিং)
,
এই বলে হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং হাসতে লাগলো। আর এ-ই কথা শুনে ব্লাক ড্রাগন কিং নিজেকে আর দমিয়ে রাখতে পারলোনা,সে তাঁর ডার্ক পাওয়ার দিয়ে বিশাল বড় হাই লেভেলের পাওয়ার ওয়ালা, ফুটবলের মতো কিছু একটা বানালো,সেটা থেকে প্রচন্ড পরিমানে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছে,দেখেই বুঝা যাচ্ছে সেটা অনেক পাওয়ার ফুল। এটা যদি হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং এর উপরে পরে তাহলে হয়তো তার চিহ্ন টুকুও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
,
,
ব্লাক ড্রাগন কিং সেটা হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং এর দিকে ছোরে মারল। সেটা এতো স্পিডে যেতে লাগল যে,হরলিং কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারলনা। যাঁর কারনে সেটা তাঁর শরীরের সাথে স্পর্শ করার সাথে সাথে বিশাল বড় একটা শব্দ হলো।
,
,
ব্লাক ড্রাগন কিং তাঁর আশেপাশে একবার নিজের চোখটা বুলিয়ে নিল,হোয়াইট ড্রাগনদের কোনো সৈন্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলনা সে। যেখানে তাঁর চোখ দুটো যাচ্ছে সেখানেই শুধু তাঁর সৈন্যরা দাঁড়িয়ে ছিলো। আর হোয়াইট ড্রাগনদের সব সৈন্যরা তাদের জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছে। 

আর এ-সব দেখে ব্লাক ড্রাগন কিং অনেক জোরে জোরে হাসতে লাগলো। হঠাৎ করেই সে আকাশের দিকে মুখ করে ভয়ংকর ভাবে গর্জন শুরু করে দিল।
,
,
এ-ই আস্তে আস্তে,সবই তো বুঝতে পারলাম,কিন্তু তুই কার ঘটনা বলছিস,সেটাতো একটু বল ভাই।
কে এই হোয়াইট ড্রাগন কিং আর কে তাঁর পুএ,আর কে সেই ব্লাক ড্রাগন কিং। 
হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং কে তো মেরে দিল ব্লাক ড্রাগন কিং। তাহলে হরলিং এর পুএ এবলিং কোথায় গেল। আর তাদের সাথে আমার সম্পর্ক কি(আমি)!
,
আমার কথা শুনে নেকড়েটা যে-ই কিছু বলতে যাবে,ঠিক তখন-ই আমি তাঁকে বললাম যে,তুই এতো সব কিছু কিভাবে জানিস আগে সেটা বল,আমার তো তোকেই সন্দেহ হচ্ছে(আমি)!
,
আমি হলাম আপনার বাবার পালিত নেকড়ে,সে যেখানেই যেতো তাঁর সঙ্গী হিসেবে আমাকেও তিনি তাঁর সাথে করে নিয়ে যেতেন। আস্তে আস্তে সব কিছু আপনাকে আমি খোলে বলছি মহারাজ(নেকড়েটা)!
,
  
,
ওয়েট ওয়েট,তুই আমাকে মহারাজ বলছিস কেন(আমি)!

আপনার বাবা ছিলেন আমার মালিক,তাঁর অবর্তমানে আপনি এখন আমার মালিক,মানে মহারাজ(নেকড়েটা)!
,
ওহ্ আচ্ছা(আমি)!
,
পরের কাহিনী বলা শুরু করে দিলাম মালিক(নেকড়েটা)!
,
আরে না না,একটা জিনিস এ-তো তারাতাড়ি শেষ করলে সেটার মধ্যে কোনো রকম মজাই থাকে না(আমি)!
,
ওহ্ আচ্ছা,,তাহলে এখন কি করবেন শুনি(নেকড়েটা)!
,
পেটের ভিতর ক্ষুধার জ্বালায় আগুন ধরে গেছে,এখন না খেলে হয়তো আর কোনোদিন খাওয়ার মতো অবস্থায় থাকব না(আমি)!

আপনার ক্ষুধা লেগেছে সেটা আগে বললেই তো পারতেন,আমি এক্ষুনি আপনার জন্য কিছু নিয়ে আসছি মালিক,আপনি একটু অপেক্ষা করুন। যাব এক সেকেন্ডে আসব পাঁচ মিনিটে(নেকড়েটা)!
,
তাঁর কথা শেষ হওয়ার মাএই সে নিজেও হাওয়ার বেগে কোথায় জানি চলে গেল,তাঁর শেষের কথাটা মনে পড়তেই হাল্কা একটু হেসে দিলাম। আর মনে মনে বলতে লাগলাম,,,, 
,
  
,
শরীরটা খুবই ক্লান্ত লাগছে,দু'দিন ধরে কিচ্ছুটি খাওয়া দাওয়া হয়নি,আবার এই নেকড়েটার সাথে লড়াই করে সব শক্তি মনে হয় চলে গেছে। কালকে রাতে থেকে এই সকাল পযন্ত শুধু ওর কাছে থেকে কাহিনীই শুনে যাচ্ছি। তারপরও ও বলছে যে,কাহিনী কেবল নাকি শুরু হলো। আরো অনেক কিছু বাকি আছে।
,
  
,
আমার এতো পরিমান ক্ষুধা লেগেছিল যে,ক্ষুধার  জন্য আমার অবস্থা পুরাই খারাপ হয়ে গেল। ঠিক তখনই আমার কান দুটো খাঁড়া হয়ে গেল,আমার সামনেই যেন কে দাঁড়িয়ে আছে,তাঁর নিশ্বাসের শব্দও আমি খুব ভালোভাবে অনুভব করতে পারছিলাম। কিন্তু আমার চোখ দুটো যে বন্ধ ছিলো। মনে মনে আমি একটা জিনিস ভাবতে লাগলাম,আমার সামনে কি সেই নেকড়েটা দাঁড়িয়ে আছে নাকি অন্য কোনো জীবজন্তু,নেকড়েটা এখান থেকে গেছে হয়তো মাএ ১-২মিনিট সময় হয়েছে,সে আমাকে বলছিল যে তাঁর ফেরত আসতে মাএ ৫মিনিট সময় লাগবে। তাহলে সে এতো তারাতাড়ি কি করে আসলো,সেটা দেখার জন্য আমি আমার চোখ দুটো অনেক কষ্টে খুললাম। আমি আমার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। এ আমি কি দেখছি,আমার সামনে এটা কি দাঁড়িয়ে আছে। আমার সামনের জিনিসটা দেখে আমি যে পরিমান অবাক হয়েছি,তাঁর থেকে অনেক বেশি ভয়ই পেলাম,,,,,,,,,,,
,
,
আমি আমার চোখ দুটো খোলেই দেখলাম যে,আমার সামনে বিশাল বড় একটা দানবীয় আকারের একটা পশুর মতো কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে,জিনিসটা কি সেটা আমি ভালোভাবে দেখতে পারছি না,তাঁর কারন হলো আমি আমার চোখ দিয়ে যে জিনিসটাই দেখছিলাম সবকিছু ঘোলাটে দেখছিলাম শুধু। আমি ওটাকে দেখে একটু ভয় পেলাম ঠিকই,কিন্তু তারপরও কষ্ট করে তাকে উদ্দেশ্য করে বললাম যে,,,,,
,
কে ওখানে(আমি)!
,
আমর কথার প্রতি উত্তরে কোনো জবাব পেলাম না সামনের জনের কাছ থেকে। যার জন্য একটু রাগ  হলো,তাই সামনের জনকে উদ্দেশ্য করে আবারও চেচিয়ে বললাম যে,
,
কে ওখানে(আমি)!
,
আগের বারের মতো এবারও তার কাছ থেকে কোনো উওর পেলাম না। খুব রাগ হলো তাতে,ঠিক তখনই সেই আগের বারের মতো গোঙানির আওতাজ পেলাম। খুবই ভয়ানক আওয়াজ,আমি এবার একটু বেশিই ভয় পেয়ে গেলাম,তাঁর কারন হলো সামনের জন্তুটা যদি আমাকে আক্রমন করে দেয় তাহলে আমার মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমার শরীরে যুদ্ধ করার মতো একটু শক্তিও আর অবশিষ্ট নেই। নেকড়ে টাও কাছে নেই,সে থাকলে হয়তো কিছু একটা করতো সে। সে আসতে আরো অনেক দেরি আছে,সে এখান থেকে গেছে প্রায় ২-৩ মিনিট হয়েছে। আর এই দু'মিনিটের মধ্যে আমাকে ও-ই জন্তুটা ছিড়েখুঁড়ে খেয়ে চলে যেতে পারবে।
,
,
এ-সব কথা ভাবতে ভাবতে মাথার মধ্যে একটা জব্বর প্লান এসে গেল। অনেক জোরে চিৎকার দিয়ে নেকড়েটাকে ডাক দিলাম,এতে কোনো কাজ হতে পারে এই ভেবে,
,
এতো জোরে চিৎকার দিলাম,তাতে মনে হলো যেন,আমার কান পর্যন্তও সেই আওয়াজ টা যাইনি,আর নেকড়ে আওয়াজ টা শুনতে পাবে,কল্পনাও করা যায় না।
,
আমার এই দশা দেখে সামনের জন্তুটা আমার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগল। আর এদিকে আমার পরান যায় যায় অবস্থা। 
,
মূলত আমি একটা নাম না জানা বিশাল বড় একটা গাছের গোড়ায় শোয়ে আছি,
,
জন্তুটা এসে প্রায় আমার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। ৫-৭ হাত দূরে হবে হয়তো। আর সে তার বিশাল বড় মুখটা হা করে আমাকে খেতে আসতে লাগল। 
,
ভয়ে আমার পুরো শরীর কাঁপতে লাগলো,আজকের মতো ভয় মনে হয় আমি আর কোনোদিনও পাইনি,
ভয়ে আমি আমার চোখ দুটো বন্ধ করে নিলাম। 
আর মনে মনে আল্লাহর নাম স্বরন করলাম,তখনই আমার মাথায় একটা কথা এসে যায় আপনা-আপনি। কথাটা এই হলো যে,,,,,,,
,
আফসোস আমি এতো শক্তিশালী হওয়ার পরও কিচ্ছুটি করতে পারছিনা আমার নিজের জন্য।
ইস আমি যদি ভ্যাম্পায়ার থাকতাম তাহলে সামনের জন্তুটার পুরো রক্ত খেয়ে নিতাম,আর জন্তুটা রক্ত শূন্যতার অভাবে নিজে থেকেই মারা যেতো। 
যদি এখন ভ্যাম্পায়ার হতে পারতাম। 
এই কথাটা মনে মনে ভাবা মাএই আমার সামনে কোনো এক ভ্যাম্পায়ারের চেহারা চলে আসলো।
তাঁর চেহারাটা খুবই ভয়ংকর লাগছিল তখন আমার কাছে। বড় বড় চোখ যেটা দিয়ে আগুনের মতো ফুলকি বের হচ্ছে,ধবধবে সাদা মুখ তার  ঠোঁটের মধ্যে লেগে আছে শয়তানি হাঁসি,ঠোঁটের দু কোনা দিয়ে দুটো বিশাল আকারের দাঁড়ালো দাঁত বের হয়ে আছে। সেই সাথে বিশাল দেহের অধিকারি,এককথায় আমার দেখার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ভ্যাম্পায়ার এটা।
,
,
চেহারাটা চেনা চেনা লাগছিলো,হয়তোবা এর আগেও বারবার কোথাও এই চেহারাটা দেখেছি বলে মনে হচ্ছে। একটু ভালোভাবে খেয়াল করতেই আমি একটা বিরাট আকারের ধাক্কা খেলাম। প্রচন্ড পরিমানে অবাক না হয়ে পারলাম না,সেই সাথে ভয় তো ফ্রী হিসেবে আছেই। তখন আমি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম যে,
,
এটা কিভাবে সম্ভব,নাকি এটা আমার চোখের কোনো ভ্রম। 
এই কথা গুলো চিন্তা করছিলাম,তার কারন হলো সামনের ভ্যাম্পায়ারটাকে চেনা চেনা লাগার কারন হলো,সে আর কেউ নয় আমি নিজেই। আমি নিজেই আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি,তাও আবার সম্পূর্ন ভ্যাম্পায়ার রুপে। 
,
,
আমি আর কিছু চিন্তা করতে পারলাম না,মাথা পুরো গুলিয়ে গেছে আমার। তা-ই আমি আমার মাথাটা কয়েকবার এদিক-ওদিক ঝাঁকি দিলাম।
,
,
তখনই আমি বাস্তবে ফিরে আসলাম। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম যে,সবকিছু আমি পুরো ভালোভাবে দেখতে পারছি। মানে আগের বারের চাইতে অনেক স্পষ্ট দেখতে পারছি সবকিছু।
,
সামনের দিকে তাকিয়ে আরেক দফা অবাক হলাম,
কেননা সামনের জন্তুটাকে আমি এখন একদম ভালোভাবে দেখছি,এটা হলো একটা ব্লাক প্যান্থার। আগে শুধু নাম-ই শুনেছি,কিন্তু আজকে দেখেও নিলাম। 
,
ব্লাক প্যান্থারটা হা করে এগিয়ে আসছে আমার দিকে,এটা দেখে আবারও অবাক না  হয়ে পারলাম না। তার কারন হলো,একটু আগে যখন আমি ভয়ে আমার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলেছিলাম,তখন ব্লাক প্যান্থারটা যে জায়গায় আছিলো,এখনও সে সেই জায়গাতেই অবস্থিত আছে। তাহলে এর মধ্যে যে এতোক্ষন সময় চলে গেল,নাকি শুধু আমি আমার কল্পনায় থাকার কারনে সময় আটকে গেছিলো। কিচ্ছু মাথায় ঢুকছে না আমার।
,
আমি তখন ভ্যাম্পায়ার হয়ে গেছিলাম এটা কি আদৌ সত্যি না-কি এটা দেখার জন্য আমি আমার শরীরের দিকে তাকালাম। অবাকের পর অবাক না  হয়ে পারলাম না,আমি ভ্যাম্পায়ার হয়ে গেছি,মুখের ওপর হাতটা রাখতেই বুঝতে পারলাম যে,দু'টো দাঁত আছে ভ্যাম্পায়ারদের মতো। এটা ভেবেই আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম।
সাথে একটা লুঙ্গি থাকলে লুঙ্গিটা পড়ে একটু লুঙ্গি ডান্স দিতে পারলে,মজা হতো অনেক। 
,
তখনই আমার ব্লাক প্যান্থারটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,সে প্রায় আমার একদম সামনে এসে পড়েছে। তখন নিজের শক্তিটা পরীক্ষা করতে,অনেক জোরে দৌড় দিলাম,দৌড়ে যে এতো স্পিড হবে কল্পনাও করিনি। আমি গিয়ে সোজা ব্লাক প্যান্থায়টার চোয়াল বরাবর একটা ঘুসি দিলাম। 
,
,
আমার এক ঘুসিতে ব্লাক প্যান্থারটা অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এটা দেখে তখন আমি আরো খুশি হলাম।
,
ঘুসি খেয়ে ব্লাক প্যান্থারটা অনেক দূরে ছিটকে গিয়ে পড়েছে। চোখের পলকে আমি ছুটে তাঁর কাছে গেলাম,আর তার বিশাল দেহটার সামনে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মুভির মতো তাঁর ঘাড়ের কাছে আমি আমার মুখটা এগিয়ে নিলাম,আর আমার দাঁত দু'টো সেখানে আস্তে করে বসানোর পরেই ব্লাক প্যান্থারটা একটু গুঙিয়ে উঠলো,একটু পরেই একদম চুপ হয়ে গেল। আর আমি আমার মনের সুখে রক্ত খাওয়া শুরু করলাম। প্রথমে মনে করেছিলাম রক্ত খেতে হয়তোবা অনেক তেতো হবে,কিন্তু না এতোটাও না হাল্কা একটু। রক্ত পেট ভরে খাওয়ার পরে ব্লাক প্যান্থারের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,তাঁর শরীর একদম শুকিয়ে গেছে রক্তের অভাবে,তাই আর দেরি না করে দেহটাকে একহাত দিয়ে উঠিয়ে সামনের দিকে ছুঁড়ে মারলাম। 
,
,
পেছনে দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,সেই নেকড়েটা হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। 
,
নাম নেকড়েটার এ-ই অবস্থা দেখে আমি অনেক উচ্চ স্বরে হেঁসে উঠলাম। আর নেকড়েটা আমার হাঁসি দেখে সে নিজেও আকাশের দিকে মুখ করে ভয়ংকর ভাবে গর্জন শুরু করল।
,
,
আর আমি আমার হাসি থামিয়ে আস্তে আস্তে বললাম যে,,,,,,,,,,,ড্রাগন কিং,,,,,,,,,,,

।।
।।।
।।।।
।।।।।
পার্টটা অনেক বড় করে দিলাম। ৯ম পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। 
★হ্যাপি রিডিং★

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.