#সিজন_৪#
পার্টঃ০৬
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
দুদিন পরের ঘঠনা। আজ সকালেই আমার হাতে রকেট এবং দুটো মোবাইল এসে পৌছাইলো। আমি মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম। কালকে আমার আর হৃদির জন্মদিন। কালকের দিনটাই হৃদিকে মোবাইলটা গিফট করতে হবে। আজকে বিকালে গিয়ে মোবাইলের বক্সটাকে সুন্দর করে র্যাপিং করতে হবে। একটা আইফোন দিলে মেয়েরা অনেক খুশি হয়। কিন্তু আমার বোন পুরো উল্টা। যে জিনিসে আমার ইন্টারেস্ট সেটাই তারও ইন্টারেস্ট পারুক কিংবা না পারুক সেটা। আমি মোবাইলের মধ্যে কালো কালারের টা বের করলাম এবং সেটাই আমার পুরানো সিম কার্ড ভরে নিলাম। এবং আরেকটা ফোনের বক্স আমি পাশে রেখে দিলাম। এবার হাতে ছোট একটা প্যাকেট। এটার মধ্যে সেদিনকার দেখা আমার রকেটটা। আমি সেটাকে আস্তে আস্তে বের করলাম। বের করে আমি সেটাকে হাতে নিলাম। হাতে নেওয়ার সাথে সাথে আমার চোখ আটকে গেলো জিনিসটার মধ্যে। জিনিসটা কি সেটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না। কিন্তু এই রকেটটা আমাকে আকর্ষন করছে ঠিকই। এই রকেট আমাকে ঠিকই কিছু বলতে চাচ্ছে। আজব করার বিষয় হলো একটা রকেট কিভাবে আমাকে বলবে। এই জিনিসটা আমার মাথায় ঢুকছে না। আমি এটা নিয়ে ভাবনা বাদ দিয়ে রকেটটা আমার গলায় পরে নিলাম। রকেটটা গলায় পরে নেওয়ার পর আমি আমার নতুন ফোন নিয়ে গেমস খেলা শুরু করে দিলাম। অবশ্য প্যারা নেই এখন। একটা বউ আছে এখন। সারারাত তার সাথে চুটিয়ে প্রেম করা যায়। সেদিন রাতেই হৃদির থেকে নাম্বার নিয়ে ওর সাথে কথা বলা শুরু করি। অনেক ক্লোজ হয়ে গেছি দু দিনেই। অবশ্য সম্পর্কটা এখনো বন্ধুত্বের মতো। কিন্তু সেটা আগাতে তো আর বেশী সময় লাগবে না? একটা জিনিস আমি খেয়াল করেছি এর আগে কোনো মেয়েকে ইমপ্রেস না করলেও এই গুনটা আমার মধ্যে ঠিকই আছে। একটা মেয়ের সাথে কিছুক্ষন কথা বললে সে মেয়ে এমনিতেই ইমপ্রেস হয়ে যায়। কালকের দিনটা শুক্রবার। সারাদিন সময় আছে কালকে। হৃদি অনেক আগেই কলেজে চলে গেছে। আমার আজকে ভালো লাগছিলো না বলে কলেজে আর যাওয়া হয় নি আমার। এমনিতেও রাতে অনেক দেরী করে ঘুমানো হয়েছে বলে আমি একটু দেরী করে ঘুম থেকে উঠেছি। আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম। নিচে এসে নাস্তা করে নিলাম।
.
--কিরে তোর নাকি আজ শরীর খারাপ।(বাবা)
.
--একটু শরীর দুর্বল।(আমি)
.
--রেস্ট নে আজকে কোথাও যাওয়ার দরকার নাই।(আম্মু)
.
--হুমমম। হৃদি কি একা কলেজে গেছে?(আমি)
.
--না জারা আসছিলো। দুজনে একসাথে গেছে।(আম্মু)
.
--ওওওও।(আমি)
.
--হ্যা।(বাবা)
.
--কিছু লাগলে বলিস।(আম্মু)
.
--ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমি সাধারনত বেশী অসুস্থ হই না। কিন্তু মাঝে মাঝে সকালের সময়টা খারাপ লাগে অনেক। আয়নায় গিয়ে নিজেকে দেখতে লাগলাম। বয়স অনুযায়ী আমার শরীরটা অনেক বেড়ে গেছে। সেই সাথে অনেক সুন্দর একটা বডির অধিকারীও হয়েছি। আমার এইটুকু মনে আছে এক সময়ে আমার এসবের কিছুই ছিলো না। আমি দেখতেও অনেক পিচ্চির মতো ছিলাম। কিন্তু কিছুদিন হলো আমার শরীর বেড়ে গেছে। এখন নিজেকে দেখতেও ভালো লাগে। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠলো।
.
--হ্যালো কে বলছেন?(আমি)
.
--জ্বী আমি ডক্টর সুচিরান। আপনার পেইন্টিং কিনেছিলাম।(সুচি)
.
--জ্বী বলুন।(আমি)
.
--আপনার পেইন্টিং এর ব্যাপারে আমি কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে।(সুচি)
.
--হ্যা বলুন।(আমি)
.
--এভাবে নই। সেটার জন্য আপনাকে জাপানে আসতে হবে।(সুচি)
.
--জাপানে?(আমি)
.
--হ্যা আপনার বাসায় আজ বিকালেই একটা মেইল চলে যাবে। সেখানে আপনার ভিসা আপনি পেয়ে যাবেন।(সুচি)
.
--কিন্তু কি কথা যেটার জন্য আমাকে জাপানে যেতে হবে?(আমি)
.
--অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা। যেগুলো এভাবে বললে আপনি কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না।(সুচি)
.
--বিশ্বাস করবো না এমন কি কথা?(আমি)
.
--বেশী কথা এভাবে বলা ঠিক হবে না। আপনি এক কাজ করুন। শীঘ্রই জাপানে চলে আসুন। আর জাপানে আমার সাথে দেখা করতে আসবেন পেইন্টিং এর ব্যাপারে এই কথাটা গোপন রাখবেন।(সুচি)
.
--কেনো?(আমি)
।।।।
।।।।
হঠাৎ ফোনটা কেটে গেলো। বুঝলাম না এই সুচির আবার কি হলো। আমাকে জাপানে নিয়ে আটকে রাখবে না তো আবার। দেখা গেলো আমাকে আটকে রেখে আমার সব টাকা নিয়ে নিলো। হতেও পারে এটা। আবার সেটা নাও হতে পারে। হয়তো ছবিটা নিয়ে কোনো কথা আছে। কিংবা লোকটা ছবিটার রহস্য বুঝতে পেরেছে। ছবিটার রহস্য জানতে হলে আমি জাপান কেনো মঙ্গলেও যেতে রাজি। জাপান অনেক সুন্দর দেশ। বিদেশ ভ্রমনের এতো সুন্দর সুযোগ কি আমি বাদ দিতে পারি। ফ্রিতে আমি ভিসা পাচ্ছি জাপানে যাওয়ার জন্য। লোকটা বললো আজ বিকালে ভিসা আসবে আমার কাছে। ফ্রিতে বাঙালি কি কোনো জিনিস মিশ করে। আমিও করবো না। আমি নিচে আসলাম। একটা মিথ্যা কথা তো বলতেই হবে। এমনিতেও বাড়ি ছাড়া আমাকে বাইরে কোথাও একা যাওয়ার অনুমতি দেই নি কখনো। জাপানে যাওয়ার অনুমতি কি দিবে সেটা বুঝতে পারছি না। আমি নিচে এসে বাবার সাথে কথা বলতে লাগলাম। বাবা রেডি হচ্ছে। তার অফিসে যাবে সে।
.
--বাবা একটা কথা ছিলো।(আমি)
.
--কি?(বাবা)
.
--আসলে আজকে বিকালে আমার ভিসা আসবে।(আমি)
.
--ভিসা কিসের?(বাবা)
.
--আমি যে পেইন্টিং বানিয়েছিলাম। যে লোকটা কিনেছিলো সে পেইন্টিং বিশাল একটা এক্সিবেশনে রাখা হয়েছে। আর সব বড় বড় মানুষ যারা ঔ পেইন্টিংটা কিনবে তারা ঔটা যে আকছে তার সাথে দেখা করতে চাই। তাই আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা ভিসা পাঠিয়েছে।(আমি)
.
--কোন দেশ?(বাবা)
.
--জাপান।(আমি)
.
--কখনো তোকে আমরা ঢাকা একা যেতে দি নাই। জাপানে কিভাবে একা যেতে দিবো?(বাবা)
.
--কিছুই হবে না। এক্সিবেশন শেষ হলে আমি চলে আসবো।(আমি)
.
--না সেটা হবে না। কাউকে নিয়ে যেতে হবে। যদি কাউকে নিয়ে যেতে পারোস তাহলে যাবি। নাহলে না।(বাবা)
.
--আমার একার জন্যই তো ভিসা আসবে।(আমি)
.
--সেটা আমি জানি না। জিসানকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলে যাবি। নাহলে যাওয়ার দরকার নাই।(বাবা)
.
--হুর আবার ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে একটার তাহলে।(আমি)
.
--সেটা আমি বুঝি না। একা তোকে কোথাও যেতে দিতে পারবো না আমি।(বাবা)
।।।।
।।।।
আমি বাবার রুম থেকে চলে আসলাম। দুর এখন আরেকটা ভিসার ব্যবস্থা করবো কিভাবে। দেখা গেলো লোকটাকে বল্লাম আরেকটা ভিসার কথা আর সে বললো আমার ও যেতে হবে না। দেখি লোকটাকে একটা টেক্সড করে। ফোন দিলে অনেকটা টাকা কাটবে আমার ফোন থেকে। তাই টেক্সড করলাম একটা। লোকটা একটু পরই উত্তর দিলো। লোকটার উত্তর দেখে আমি জিসান ভাইকে ফোন দিলাম।
.
--ভাইয়া।(আমি)
.
--হ্যা শালাবাবু বলো।(জিসান)
.
--রাখো তোমার শালাবাবু। তোমার বউ আমার ছোট। তাই বড় ভাইয়া বলো আমাকে।(আমি)
.
--আমি কিন্তু তোমার বউ এর বড় ভাই। সেই হিসাবে তোমার বড় কিন্তু আমি।(জিসান)
.
--আচ্ছা বড় বড় বাদ দাও। আসল কথা হলো।(আমি)
.
--তারাতারি বলো আমি তোমার বোনের সাথে গল্প করছিলাম।(জিসান)
.
--সব সময়ই কি গল্প করো নাকি? আচ্ছা কথা হলো একটা ট্রিপ দিতে হবে আমার সাথে।(আমি)
.
--ট্রিপ। wow I love trip। কোথায় যেতে হবে বলো।(জিসান)
.
--জাপান।।(আমি)
.
--কি জাপান?(একটু ধোক গিলে জিসান বললো)
.
--হ্যা। আমার বিক্রী করা পেইন্টিং এর এক্সিবেশন হবে। সেখানে আমার থাকতে হবে।(আমি)
.
--বউ কে নিয়ে যাও তোমার।(জিসান)
.
--উহু।। বাসায় থেকে অনুমতি দিবে না। বিয়ে আর পুরা হইলো কোথায়। আর আমাদের কিন্তু ভালো একটা সময় যাবে।(আমি)
.
--তুমি তো জাপানের কথা বলেই আমার এডভেঞ্চারাল মনকে জাগিয়ে তুলেছো।(জিসান)
.
--হ্যা। তো শবিবার রাত নয়টাই আমাদের ফ্লাইট। শনিবার দুপুরে আমরা যাবো ঢাকায়। তারপর ফ্লাইট।(আমি)
.
--থাকবো কতদিন?(জিসান)
.
--পুরো এক মাস।(আমি)
.
--সত্যিই?(জিসান)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আমি রেডি। আজকের প্লান চেন্জ। একটু পরই আসছি তোমার বাসায়।(জিসান)
.
--কেনো?(আমি)
.
--শপিং করতে হবে না?(জিসান)
.
--ও হ্যা ভালো জিনিস মনে করিয়ে দিছো।(আমি)
.
--আচ্ছা রেডি থাকো আসছি আমি রিক্সা নিয়ে।(জিসান)
।।।।
।।।।
জিসান ভাই নিজে একজন এডভেঞ্চারাল মানুষ। ওনার সাথে একবার আমি স্কুল ট্রিপে সিলেট গিয়েছিলাম। হৃদি তখন অসুস্থ ছিলো। বাসায় ওকে দেখার জন্য বাবা আর আম্মু আমার সাথে যেতে পারে নাই। তখন জিসান ভাই আমার সাথে যায়। সেই ট্রিপে অনেক মজা হয়েছিলো। এখনো মনে পরে সেই কথা গুলো। দুজনে ঘুরতে ঘুরতে জুম বাগানে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের হোটেল বের করতে পুরো ১ দিন লেগে গিয়েছিলো। অবশ্য জিসান ভাইয়া আগে থেকেই জানতো হোটেল কোথায়। কিন্তু আমাকে ভয় আর মজা দুটো দেওয়ার জন্যই তিনি আমাকে নিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন। ভাইয়ার সাথে সেই ট্রিপে অনেক মজা হয়েছিলো। ভাবতেছি এবার এমনি কোনো মজা করবো ভাইয়ার সাথে। আমি তো আর আগের মতো পিচ্চি ছেলে নেই। এখন কিছুটা হলেও বড় হয়েছি। জিসান ভাইয়া বললো সে নাকি আমার বোনের সাথে গল্প করছে। তাহলে তো জারাকেও একটা মেসেজ দেওয়ার দরকার। জারাকে মেসেজ দিলাম।
.
--হাই।(আমি)
.
--এতোক্ষনে মনে পরলো আমাকে।(সাথে সাথে রিপ্লাই)
.
--হুমমম পরলো মনে একটু।(আমি)
.
--একটু কেনো?(জারা)
.
--বেশী মনে পরলে তো কষ্ট হয়।(আমি)
.
--থাক আর পাম দিতে হবে না। কলেজে আসলে না কেনো?(জারা)
.
--তোমার রূপের আগুনে আমার মন পুড়ে গেছে তাই সেই পোড়া মনটাকে আমি ঠান্ডা করতেছি।(আমি)
.
--বাবা মন আবার পুড়েও যায়?(জারা)
.
--হুমমম পুড়ে তো জানো না?(আমি)
.
--তোমার মেসেজ গুলো পরে তোমার বোন শুধু হাসছে।(জারা)
.
--কি???? ও পরছে কেনো আমার মেসেজ। তুমি সরে বসো ওর থেকে।(আমি)
.
--উহু। সরে বসলে তুমি এরকম মেসেজই লেখবা জানি।(জারা)
.
--আচ্ছা কি করো?(আমি)
.
--এই তো বসে আছি কমনরুমে।(জারা)
.
--ওওওও। আচ্ছা আজকে শপিং এ যাবে আমার সাথে?(আমি)
.
--হঠাৎ শপিং এ কেনো?(জারা)
.
--মন চাইলো। কেনো তোমাকে নিয়ে কি একটু শপিং এ যেতে পারবো না?(আমি)
.
--হুমমম পারবে। তবে আজকে পারবো না।(জারা)
.
--ওওওও। আচ্ছা।(আমি কয়েকটা কাদার ইমোজি দিয়ে)
.
--ওওও যেতে পারবো। ভাইয়া আর হৃদিও নাকি শপিং এ যাবে। একসাথে যাওয়া যাবে।(জারা)
.
--ওওও আচ্ছা কলেজে থাইকো। আমি পিক করে নিবো তোমায়।(আমি)
.
--বাইক নিয়ে আসবে?(জারা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আচ্ছা।(জারা)
।।।।।।
।।।।।।
।।।।।।
একটু পরই জিসান ভাই চলে আসলো।
.
--কিরে এখনো রেডি হস নাই?(জিসান)
.
--আরে হচ্ছি। কতক্ষন লাগবে আর রেডি হতে।(আমি)
.
--পাসপোর্ট বানিয়ে তো কাজেই দিয়েছিলো। নাহলে এতোবড় সুযোগ মিস হয়ে যেতো।(জিসান)
.
--হ্যা।।(আমি)
।।।।।।
।।।।।।
রেডি হয়ে নিলাম আমি। এরপরে আমার বাইকটার পিছনে বসলাম। ভাইয়া চালাচ্ছে। দুজনে কলেজে চলে আসলাম। ভিতর থেকে হৃদি আর জারা বের হলো। এমনি সময় দারোয়ান আসতে দিতো না। কিন্তু আজকে বুঝলাম না শুধু দাড়োয়ান না। সেখানে স্যাররাও বসে ছিলো কিন্তু তাদের সামনে দিয়ে ওরা দুজনি চলে আসলো। আমি বাইক থেকে নামলাম। ভাইয়া তো হৃদিকে আসতে দেখে নিজের চুলটুল ঠিক করতে শুরু করলো। এখন এতো স্টাইল করে লাভ আছে। আমি তো এমনিতেই ভালো আছি। না চাইতেও আমার হাত চলে গেলো আমার চুলে। এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করে নিলাম। এবার ভাইয়া বলতে শুরু করলো।
.
--তাহলে তোমরা দুজন বাইক নিয়ে আসো আস্তে আস্তে। এখনো তো অনেক দেরী আছে। মাত্র বাঝে ১১ টা। তোমরা কোথাও থেকে ঘুরে আসো এক ঘন্টা। তারপর ১২ টার সময় বেল পিয়াটো তে দেখা করো।(বেল পিয়াটো একটা রেস্টুরেন্ট এর নাম)
.
--ঠিক আছে।(জারা)
।।।।
।।।।
জিসান ভাইয়া আর হৃদি দুজনে একটা রিক্সা নিয়ে চলে গেলো। কোথায় গেলো বুঝলাম না। হয়তো আলাদা সময় কাটাতে গেছে। জানি না একটু সময় সবারই দরকার। আমাদেরও একটু সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
.
--তো কোথায় যাবে তুমি?(আমি)
.
--হৃদি তো গেলো Waterworld এ।(জারা)
.
--তুমিও যাবে?(আমি)
.
--উহু। শুনেছি এসি রোর্ডটা নাকি অনেক রোমান্টিক একটা জায়গা?(জারা)
.
--হ্যা। হঠাৎ রোমান্টিক জায়গায় যেতে মন চাইলো তোমার?(আমি)
.
--জানি না এমনিই।(জারা)
.
--আচ্ছা চলো।(আমি)
।।।।
।।।।
জারাকে আমার হেলমেটটা দিলাম। ও সেটা পরে নিলো। আমি বাইকে বসে সেটা স্টার্ট দিলাম। ও পিছনে বসলো। প্রথমে আমার কাধে হাত রেখে বসলো। পরে যখন জোরে চালাতে শুরু করলাম তখন ও আমাকে জরিয়ে ধরলো। এখন গন্তব্য এসি রোর্ড।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
নতুন রহস্য পেইন্টিং এর কাহিনীটা। কেউ কি বলতে পারবেন কি আছে পেইন্টিংটাই। জাপানী লোকটা কি বলবে হৃদয়কে?