ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ৪ পর্বঃ ১৭

Bangla Dub Novels
 #জলপরীর_প্রেমে#
#সিজন_৪#
পার্টঃ১৭
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
কিছুটা খারাপ লাগলেও জিনিসটা স্বাভাবিক। এরচেয়ে আরো ভালো রাস্তা ছিলো হয়তো। কিন্তু আমাকে এটাই নিতে হয়ছে। আমার কাছে রিয়েলিটির ক্ষমতা আছে আমি সেটাকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করতে পারি। আমার অতীতের রিয়েলিটিকে মারা হয়তো একটু ভুল হয়ছে কিন্তু তাছাড়া আমি কেরেলাকে হারানোর কোনো উপায় খুজে পাচ্ছিলাম না। আমার হাতের তলোয়ার আমার কাছে। হ্যা এটার পূর্ব মালিক আমাকে বলেছিলো শুধু তলোয়ারের নামটা মনে করে হাত মুঠো করলেই হাতে তলোয়ারটা চলে আসবে। আমি সেটাই চেষ্টা করলাম। অতীতের হৃদয় থেকে আমি তলোয়ারটা নিয়েছিলাম। সেটাকে আমার অদৃশ্যও করে দিয়েছিলাম। আমি মনে মনে তার নামটা ভাবলাম এবং হাত মুঠো করলাম। সাথে সাথে তলোয়ার আমার হাতে চলে আসলো। আমি এখন প্রস্তুত। আমার অনেক সেনা কেরেলার কাছে আছে। অনেকে না বুঝে আবার অনেকে কেরেলার ভয়ে। হয়তো তারা আমার ভয় পাচ্ছে। কিংবা অন্যকিছু ও হতে পারে। অনেকের হয়তো কেরেলার সেই রূপ ভালো লাগছে। কিন্তু আমি জিনিসটাকে এতো সহজে শেষ করতে চাই না। যুদ্ধ যখন একটা হতেই চলেছে আমি সেটাকে চেন্জ করতে পারবো না। কিন্তু এই যে ধ্বংসগুলো হলো আমি এটাকে ঠিক করতে পারবো। পুরো জাপান আর চীন এখনো কেরেলার হাতে। অধিকাংশ জায়গা সে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কেরেলাকে হারালেও এই জিনিসটা স্বাভাবিক হবে না। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই একটা ভয় নিয়ে ছিলো তাদের উপরে যে এলিয়েনরা হামলা করলো সেটা নিয়ে তারা এখনো চিন্তায় আছে। তাদের মাথায় এলিয়েনদের চিন্তা এখনো আছে। তারা সেই ভয়ে আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিন্তু এখন তাদের উপরে এলিয়েন না বরং একটা পাগল কালো জাদুকর হামলা করবে। আর ব্যাপারটা মোটেও সুবিধার হবে না। আমি চাই না মানুষজন জানুক পৃথিবীতে কিছু এমন শক্তি আছে যা তারা ইচ্ছা করলেই পেতে পারে। আমি চাই না সবাই জাদুর সম্পর্কে জানুক। আমি চাই না তারা জানুক কিছু আশ্চর্য ক্ষমতা সম্পূর্ন মানুষও তাদের মাঝে বাস করে। 
আমি কোনো টেলিপ্যাথিক না যে সবার মন ভুলিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু এটা সিওর বলতে পারি এই যুদ্ধের পর অনেকের উপরে কড়া একটা প্রভাব পরবে। আমি এই বর্তমানের রিয়েলিটি বদলে দিবো। মানুষ সব ভুলে যাবে। তাদের মনেই থাকবে না কোনোদিন পৃথিবীতে এলিয়েন এসেছিলো। তাদের মনেই থাকবে না জাপান আর চীনকে ধ্বংস কে করেছে? তাদের মনে থাকবে সারা পৃথিবীতে একটা ঝড় আসছিলো আর সেটাতেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
।।।
।।।
অবশ্য আমার মাথায় আরেকটা প্লান ও ছিলো। সেটা হলো আমি বর্তমানের রিয়েলিটিটাই ধ্বংস করে দিবো। তাতে করে মিয়ারা যে সময়ে আমার ক্ষমতা নিলো আমি তো এখন সেই সময়ে আছি এখানের হৃদয়ও মারা গেছে। আমি এখান থেকেই নতুন রিয়েলিটি তৈরী করতে পারতাম। কিন্তু তাতে করে আমার অনেক স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাবে। সব কিছু একটা কালো স্বপ্নের মতো হয়ে যাবে। আমি সেটা চাই না। আমি চাই একটা যুদ্ধ করতে। সামনা সামনি যুদ্ধ।
।।।।
।।।।
আমি বর্তমান সময়ে চলে আসলাম টাইম ট্রাভেল স্পেল ব্যবহার করে। আর বর্তমানে আমি এসেছি ঠিক একটা যুদ্ধ ক্ষেত্রের সামনে। যেখানে প্রাচীন সময়ে যেমন যুদ্ধ হতো সেভাবেই দু পক্ষের সেনা দাড়িয়ে আছে। এক পাশে কেরেলা আমার সমস্ত সেনা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। অন্য পাশে আমার দানব সেনারা যারা আমার পক্ষে তারা দাড়িয়ে আছে। আমি সেখানে আসার পর কেরেলার কাছে থাকা আমার সেনারা অনেক অবাক হয়ে যায়। কারন তারা এতোক্ষন কেরেলাকেই রাজা হারকিউমাস মনে করছিলো। কারন কেরেলা তো আমার কপি। আমার মতোই দেখতে একদম। আমি সেখানে আসার পর।
.
--মহারাজ আপনাকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আদেশ করুন আমরা এখনি এই পিপড়া গুলোকে মেরে ফেলি।(রনইক দে)
.
--দাড়াও সেনাপতি। ঔখানে আমার মতো দেখতে ঔটা হচ্ছে কেরেলা। ওর কাছে আমার মতোই ক্ষমতা আছে। আমার মতোই সব কিছু ওর কাছে। তাই ব্যাপারটা আমি দেখছি।(আমি)
।।।।।
।।।।।
রনইক দে আর কথা বললো না। আমি আস্তে আস্তে উড়ে সামনের দিকে চলে আসলাম। সেটা দেখে এখন কেরেলাও আসতে লাগলো। আমি তখন বলতে লাগলাম।
.
--আমার সকল সেনাবৃন্ধ। তোমরা সবাই ভুল রাজার পিছনে দাড়িয়ে আছো। নিজেদের ভালো চাও তো আসল রাজাকে এখনি চিনে ফেলো।(আমি)
.
--ওরা কেউই তোমার সেনা হবে না। হলে প্রত্যেকটাকে আমি মেরে ফেলবো। আর কি ভাবছে সামান্য কয়েকটা দানব নিয়ে এসে আমাকে হারিয়ে ফেলবা? সেদিন তো একটুর জন্য বেচে গেছিলা।(কেরেলা)
.
--সেদিন মানে? কবে বেচে গেছিলাম।(আমি)
.
--চারদিন আগে।(কেরেলা)
.
--তাহলে চারদিন পরের সময়ে এসে গেছি।(আমি)
.
--সময়ের ক্ষমতা আছে তোমার কাছে? মিয়ারাকে কি করেছো?(কেরেলা)
.
--কিছুই না। আমাকে আর আমাদের মেয়েকে বাচাতে গিয়ে মিয়ারা নিজের জীবন দিয়ে দিছে।(আমি)
.
--তোমার এতো বড় সাহস হলো কি করে?(কেরেলা)
।।।।
।।।।
কেরেলা এবার রাগে আগুন হয়ে গেলো। আমার দিকে তেড়ে আসলো আগুন সহ শরীর নিয়ে। আমাকে সাথে সাথে মাটিতে ফেলে দিলো। আমার মুখে এলো পাথারি ঘুসি মারতে শুরু করলো। আমি তাকে বাতাসের সাহায্যে দূরে ফেলে দিলাম। নাকটা ভেঙে দিছে। রক্ত পরছে নাক দিয়ে। ঠোটও কেটে গেছে। ব্যথা করছে কিন্তু নিজের ক্ষমতাগুলো থাকায় একটু কম করছে। আর এটা তো একবার হিগমার সাথে লড়তে গিয়েও হয়েছিলো। তাই warm আপ হচ্ছে কিছুটা। কেরেলা দূর থেকে তলোয়ার দিয়ে এবার আমার উপরে ঝাপিয়ে পরলো। আমি দেখলাম ব্যাপারটা ভালো নয় তাই তলোয়ার আমিও হাতে নিয়ে নিলাম। সেটাকে শক্ত করে ধরলাম। সাথে সাথে আমার পুরো শরীরও লাল হয়ে গেলো। এবার আগুনে জ্বলছে না। বরং লাল হয়ে গেছে পুরো শরীর। তলোয়ার নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছিলো কেরেলা। আমি এক হাত দিয়ে পাশে থাকা নদীর পানি নিয়ে এসে মারলাম কেরেলার দিকে। কেরেলা পানির আঘাতে দূরে গিয়ে পরলো। কেরেলা দূর থেকেই আমার দিকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলো। একটা আগুনের তরঙ্গ আসতেছে আমার দিকে। আমি সাথে সাথে আমার চারিদিকে একটা ঢাল বানিয়ে নিলাম। ঢালটায় আমাকে সুরক্ষিত রাখলেও কেরেলা দ্রত উড়ে এসে আমার কলার ধরে আমাকে ফেলে দেই নিচে এবং আবার আমার মুখে ঘুষি মারতে শুরু করে। লড়াইটা আমার খুব ভালোই লাগছিলো। কিন্তু জিনিসটা সমানে সমান না হয়ে বেশী হয়ে যাচ্ছিলো। কেরেলা আস্তে আস্তে শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছিলো বেশী আমি ওর সাথে পেরে উঠতে পারছিলাম না। পুরো ৪ ঘন্টা টানা লড়াই চলছে আমাদের মাঝে। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ে কেরেলাই আমাকে গুরুতর আঘাত করেছে। কেরেলা পুরাতন সময়ের রাজা ছিলো। তাই ও পুরানো যুদ্ধের নিয়ম ফলো করে। হঠাৎ ও থেমে বলে,
.
--আজকের জন্য অনেক হয়েছে। আমাদের বিশ্রাম নেওয়ার দরকার। আজকের জন্য লড়ায়ের বিরতী। আবার কালকে লড়াই হবে।(কেরেলা)
.
--মাত্র তো শুরু হলো আমি তো এটা সারাদিন করতে পারবো।(আমি)
.
--না যুদ্ধের কিছু নিয়ম আছে। আমরা রাজা রাজা যদি যুদ্ধ করি তাহলে আমাদের সে নিয়ম মানতে হবে।(কেরেলা)
।।।।
।।।।
যাক কেরেলা ভালোই করলো। আমাকে ভাবার সময় করে দিলো একটু। আমি আমার সেনাদের কাছে চলে আসলাম। আসলেই আমার ক্ষমতা দিয়েও কোনো কাজে আসলো না। আমি ঔখানে আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি পারি নাই। টাইম স্পেলের ব্যবহার আমি করি নি কারন সেটা করলে মাথা কিছুক্ষন হ্যাং হয়ে যায়। আর যুদ্ধ যখন হচ্ছে সমানে সমান তো হতেই হবে। কিন্তু সামান্য চিটিং তো ঠিকই করা যায়। কারন ওরাও আমার সাথে চিটিং করেছিলো। আমার সেই স্পেলে নিরাম্বা এসেছিলো এই দুনিয়ায়। জানি না সেই কুৎসিত চেহারার লোকটা কে? কিন্তু তার চোখে আমার চোখে ঠিকই রাগ দেখেছি। আর সে আমাকে মারতেই এসেছিলো। তাকে এখানে নিয়ে আসলে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আর তাকেও মারা আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.