#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ৭
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
তলোয়ারটা নেকড়েটার গলা ছোঁয় ছোঁয় ভাব। নেকড়েটার মুখে ড্রাগন কিং নামটা শুনা মাএই আমি আমার তলোয়ারটা ততক্ষনাৎ সেখানেই থামিয়ে দিলাম। আরেকটু হলেই নেকড়েটা তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতো।
আমি তার উদ্দেশ্য দমক দিয়ে একটা প্রশ্ন করলাম। প্রশ্নটা হলো এই যে,
,
,
আমি যে ড্রাগন কিং সেটা তুই কি করে বুঝলি,আর আমার ব্যপারে তুই কি কি জানিস সব কিছু খুলে বল নয়তো তোর সমাধি আজকে এখানেই করে দেব(আমি একটু রাগী গলায় বললাম)!
,
বলছি মালিক বলছি,আমি আপনাকে সবকিছু খুলে বলছি। দয়া করে আমাকে তার আগে আমাকে ঠিক করে দিন,আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে মালিক(নেকড়েটা অনুরোধ করে বলল)!
,
তোকে আমি কিভাবে ঠিক করব,এই বিষয়ে তো আমি কোনো কিছুই জানিনা,আর আমি কি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে সুস্থ/হিল করতে পারি নাকি(আমি)!
,
হ্যা আপনি চাইলে,যে কাউকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সুস্থ করে দিতে পারবেন। আর আপনি মনে হয় আপনার ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু এখনও জানেন না। আপনি যদি কাউকে সুস্থ করতে চান তাহলে তাকে আপনার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন। এখন আপনি আপনার ডান হাতটা দিয়ে আমাকে একটি স্পর্শ করুন,তাহলেই হবে। কিন্তু সেটা মন থেকে মেনে নিতে হবে,যে আপনি আমাকে অথবা অন্য কাউকে সুস্থ করতে চান(নেকড়েটা)!
,
আমি তার কথা শুনে একটু অবাকই হলাম। তার কারন হলো,সে কথায় কথায় আমাকে মহারাজ বলছে কেন। আর সে নিজেই তো ঠিক হতে পারে তাহলে,আমাকে কেন বলছে। নাকি তার হিলিং পাওয়ার কম,আর আমার হিলিং পাওয়ার বেশি বলে,আমাকে বলছে। বুঝতে পারছিনা কিছুই,আবার মনে হলো যে হয়তো আমাকে ফাঁসাতে চাইছে। নিজের মাথাটা নিজেই পুরো গুলিয়ে ফেললাম। আর কিছু ভাবতে পারলাম না।
আমার যেন কি হলো,আমি তাঁকে বিশ্বাস করে,তাঁর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। আমি আমার শরীরকে কনট্রোল করতে পারছিনা।
আমি তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম এবং আমার ডান হাতটা তার দিকে বাড়িয়ে দিলাম। আমার হাত তার শরীরের সাথে স্পর্শ করানোর সাথে সাথে আমার শরীর সহ নেকড়েটার শরীর দিয়েও লাল আলো বিচ্ছুরিত হতে লাগল। কিছুক্ষন পরেই সেই আলো আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগল,আর তখনই খেয়াল করলাম যে,নেকড়েটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,সে একদম সুস্থ আছে। একটু আগে যে সে মরার মতো পড়ে আছিল,সেটা কেও না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করতো না।
সে যা-ই যা-ই হোক,আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে,এবার যা যা জানিস সবকিছু খুলে বল আমাকে,আমাকে তুই তুর মালিক কেন বলছিস,কে আমি,কি আমার পরিচয়,আমি ড্রাগন কিং হলে আমি এখানে কেন,কিভাবে আমি এখানে এলাম(আমি)
,
,
আমার কথা শুনে নেকড়েটা তার মাথাটা উপর উপর নিচ করল,সে বেশি কিছু জানেনা আর যা যা জানে সবকিছু আমাকে খুলে বলবে,এই বলে সে সবকিছু বলতে লাগল।
,
,
আকাশের পানে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি দেখা যাচ্ছে,না পাখি না,এদের প্রত্যেকের পিঠে দু'টো করে ডানা রয়েছে ঠিকই,সেই সাথে তাদের বিশাল বড় শরীরও রয়েছে,তাদের প্রত্যেকের পিঠের ডানা দুটোর মধ্যে দিয়ে বড় বড় কাটার মতো কিছু একটা দেখা যাচ্ছে,আর তাদের সবার মাথার মধ্যে ছোট ছোট দুটো শিং রয়েছে,আর অবাক করার বিষয় হচ্ছে তাদের প্রত্যেকের শরীর পুরো সাদা রঙের। আর তাদেরকে বলা হোয়াইট ড্রাগন,সবার জানামতে এটা রুপ কথার গল্পে আছে,বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। আর সব হোয়াইট ড্রাগনরা একটা মাঠের মতো খোলা স্থানে মাটির মধ্যে নেমে আসে,আর সাথে সাথে তাদেরই প্রত্যেকের শরীর দিয়ে সাদা আলো বিচ্ছুরিত হতে থাকে,সাদা আলোটা ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার পরই দেখা গেল যে,সব ড্রাগনরা তাঁদের ড্রাগন ফর্ম থেকে মানুষ ফর্মে চলে এসেছে। তারা কেউ কোনো কথা না বলে সামনের দিকে হাঁটা শুরু করে দেয়,
,
,
রাজসভায় ভেতর হঠাৎ করে কয়েকজন প্রহরী আসে,এসেই সামনের বড় একটা সিংহাসনের সামনে এসে হাটু গেঁড়ে সম্মান জানায়,আর বলতে শুরু করে যে,
মহারাজ কুইন আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই,আপনাকে তার সাথে এখনি দেখা করতে বলেছে(১মপ্রহরী)!
কিসের জন্য(সিংহাসনের ওপরে বসা লোকটি গম্ভীর কণ্ঠে বললো)!
সেটা বলতে পারবোনা,কিং(২য় প্রহরী)!
ঠিক আছে,তোমরা এখন যেতে পারো(কিং)!
কিং য়ের আদেশ পাওয়া মাএই সব প্রহরীরা তারা তাদের কাজে চলে গেল।
আর এদিকে হোয়াইট ড্রাগনদের কিং হরলিং মনে মনে ভাবতে লাগলো,কিসের এতো জরুরী বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে কুইন,বিষয় টা একবার দেখে আসাই ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে। সে তার সিংহাসন থেকে দাঁড়িয়ে যায়,তার দাঁড়তে দেরি কিন্তু তার সামনের সবার দাঁড়াতে দেরি নেই। এটা দেখে কিং হরলিং বলতে শুরু করল যে,আপনাদের ব্যবহারে আমি সত্যিই অনেক অবাক হয়ে যাই,আমাকে এতো সম্মান জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই,এটা আমি আগেও বলেছি আর এখনও বলছি।
আর আজকের মতো রাজসভা এখানেই সমাপ্ত।
এই বলে কিং হরলিং তার নিজ কামরার দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। আর রাজসভায় উপস্থিত সবাই যে যার মতো চলে যেতে লাগল।
,
,
আর এদিকে নিজ কামরায় বসে আছে,ড্রাগন কুইন এলিহা। সে তার নিজের কামরার মধ্যে পালংকে বসে আছে,আর শুধু ঘেমে অস্তির হয়ে যাচ্ছে। আর এটা দেখে কুইনের খাজ দাসীরা সব ভয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিছে। তাঁরা যথেষ্ট চেষ্টা করছে কুইনকে শান্ত রাখতে। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না বলেই সব দাসীরা ভয় পাচ্ছে।
,
,
কিং হরলিন তার নিজ কামরায় সামনে আসার সাথে সাথে কামরার ঠিক সামনের একটি খাঁচা থেকে মধুর কন্ঠে বলল যে,সাবধান কিং তার কামরায় যাচ্ছে। এই বলে সেই কন্ঠটা চুপ হ'য়ে গেল। কিং হরলিন এটা শুনে সেদিকে তাকাল,তাকিয়ে দেখল যে খাঁচার ভেতর খুব সুন্দর একটা টিয়া পাখি বসে আছে। সেই একটু আগে সাবধান হওয়ার কথা বলল। কিং হরলিন পাখিটার দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে তার কামরার দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।
,
,
আর এদিকে কুইন এলিহার দাসীরা টিয়া পাখিটার বার্তা শুনা মাএই সবাই হাওয়ার বেগে ঘর থেকে বের হ'য়ে গেল।
আর কিং হরলিং কামরায় ঢুকার সাথে সাথেই কামরাটির দরজা আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায়।
কিং হরলিং ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে লাগল কুইন এলিহার দিকে,
কিন্তু কুইন এলিহার সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই,সে তাঁর নিজ ইচ্ছেমতো কিছু একটা ভেবে বারবার উত্তেজিত হচ্ছে।
কিং হরলিন তাঁর ডান হাতটা কুইন এলিহার কাঁধে রাখার সাথে সাথে আঁতকে উঠে আর পালংক থেকে পরে যেতে লাগে কুইন এলিহা,এটা দেখে কিং হরলিং হাওয়ার বেগে গিয়ে কুইনকে তার বাহুতে নিয়ে নিজ ঠোঁট দুটো এগিয়ে নিয়ে ছোট্ট করে স্পর্শ করে কুইন এলিহার ঠোঁটে।
,
,
আর এটা কুইন এলিহা যখন বুঝতে পারল,তখনই তার মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেল। এমনিতেই কোনো পরীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় কুইন এলিহা। আর লজ্জায় মুখটা আরো লাল হ'য়ে যাওয়াতে অসম্ভব সুন্দর দেখা যাচ্ছে কুইন এলিহাকে। তার ওই সুন্দর মুখখানার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে কিং হরলিং।
এতে যেন আরো লজ্জা পেল কুইন এলিহা।
পরক্ষনেই কুইন এলিহা নিজেকে সামলে নিয়ে কিং হরলিং কে বলল যে,
,
,
কি করছেন টা কি কিং,আমার বুঝি লজ্জা করে না(কুইন এলিহা)!
কুইন এলিহার কথা শুনে কিং হরলিং একটু বাকা হেঁসে বলল যে,
আমি আমার কুইনকে আদর করছি,সো এখানে লজ্জা পাওয়ার তো কোনো কারনই দেখছি না(কিং হরলিং)!
কুইন তার চোখ দুটো হাল্কা ছোট ছোট করে বলল ওহ্ আচ্ছা,তাই বুঝি(কুইন এলিহা)!
হুম,আমি আমার যা ইচ্ছে তাই করব আমার কুইনের সাথে,এখানে আমি কারো কথা শুনতে রাজি নয়(মুখের মধ্যে হাসি রেখে কথাটা বলল কিং হরলিং)
হুম(একটু লজ্জা পেয়ে
বলল কুইন এলিহা)!
তো আমার কুইন টা কি নিয়ে এতো চিন্তিত,যে আমাকেও জরুরী তলব পাঠায়,এর আগে তো কোনো সমস্যা হলে তুমি একাই সেটার সমাধান করেছো,তো আবার কি এমন হলো যে আমাকেও এর মধ্যে টেনে আনলে(কিং হরলিং)!
হুম এটা ঠিক যে,এর আগে কোনো সমস্যা হলে আমি একাই সেটার সমাধান করতে পেরেছি,কিন্তু এবারের সমস্যা নিয়ে আমি অনেক চিন্তিত আছি(কুইন এলিহা)!
কুইন এলিহার কথা শুনে,কিং হরলিং কুইনের আরেকটু কাছে ঠিকভাবে এসে বসে পড়ে,তার আগ্রহটা যেনো আগের থেকে আরো দ্বিগুন হয়ে যায়।
আপনি হয়তো এটা জানেন যে,ব্লাক ড্রাগনদের কিং অনেক ভয়ংকর,সে শয়তানের দেবতাকে কোনোভাবে খুশি করে তার কাছ থেকে বর পায় এবং সেই বরে তার পুএকে অনেক শক্তিশালী করে দেওয়ার কথা বলেছে। আর ব্লাক ড্রাগনদের কিং সে অনেকদিন ধরে পৃথিবীতে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে বেড়াচ্ছে,সে যদি পৃথিবীতে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পায় তাহলে সে পৃথিবীর সবাইকে তার গোলাম বানিয়ে ফেলবে,এতে কোনো সন্দেহ নেই,আর পৃথিবীর মানুষরা ব্লাক ড্রাগনদের সামনা করতে পারবে না,তারা ব্লাক ড্রাগনদের সামনে একমুহূর্তও টিকতে পারবেনা(কুইন এলিহা)!
কুইন এলিহার কথা শুনে কিং হরলিংয়ের চোখ দুটো বড় বড় হ'য়ে যায়। আর সে কুইনকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করে যে,
,
,
কিহ্ ,এটা কিভাবে সম্ভব,ব্লাক ড্রাগনদের কিং কি করে পৃথিবীর কথা জানতে পারল,এটাতো আমি আর তুমি ছাড়া আর কেও জানেনা,তাহলে এই খবর ও কি করে জানতে পারল,আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এটা তুমি কি করে জানো যে ব্লাক ড্রাগনদের কিং পৃথিবীতে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে বেড়াচ্ছে(কিং হরলিং)!
,
,
অনেক আগেই ওদের রাজ্যে আমি আমার একজন বিশ্বস্ত সৈন্য পাঠিয়েছিলাম,তার কারন হলো ওরা কোন সময় কি করে,কোথায় যায়,কি প্লান করে,সেইসব কিছু আমাদের জানা দরকার। আর কালকে রাতে যখন আপনি গভীর ঘুমে তলিয়ে ছিলেন,তখন সে আমাকে আমাদের রাজ্যের বাহিরে একটা জঙ্গলে যেতে বলে,আর আমি তার কথামতো সেখানে যা-ই,সেখানে গিয়েই আমি জানতে পারলাম সবকিছু। সে আমাকে তখন সবকিছু খুলে বলল,
,,,,,,,,,,,,,অতীত,,,,,,,,,,,,,
কি খবর এনেছো,যার জন্য এতো জরুরী তলব পাঠালে(কুইন এলিহা)!
কুইন,খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানাতে আপনাকে জরুরী তলব পাঠিয়েছিলাম(গুপ্তচুর)!
ওহ্ আচ্ছা,তো বলো কি সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়(কুইন এলিহা)!
কয়েকদিন ধরে আমি লক্ষ্য করেছি যে,ব্লাক ড্রাগন কিং ব্লাক ম্যাজিক(কালো জাদু)করে,এর জন্য তারা সবাই অনেক শক্তিশালী,ব্লাক ড্রাগন কিং ব্লাক ম্যাজিকের মাধ্যমে কোনোভাবে শয়তানের দেবতাকে খুঁশি করে দেয়,যার জন্য শয়তানের দেবতা ব্লাক ড্রাগনদের কিং কে দুটো বর দেয়।
আর এই সুযোগ সে তার কাজে লাগায়,সে তার পুএকে অনেক বেশি ভালোবাসত। যার কারনে সে,প্রথম বরে তার পুএকে ড্রাগনদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বানাতে বলে,তার কথার জবাবে শয়তানের দেবতা তাকে বলে যে,
,
,
এই যদি তোর মনের ইচ্ছে হয়,তাহলে তোর মনের ইচ্ছে পূরন হবে। তোর পুএের বয়স বতমানে ১৫ বছর,যখন তোর পুএের বয়স ১৮ বছর পূর্ন হবে,তখন সে ড্রাগনদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার অধিকারী হবে,তাঁর জন্য তোর ছেলেকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিতে হবে,সে তাঁর সম্পূর্ন শক্তি অর্জন করার আগে যেন,এই রাজ্যে পা না রাখে। তাহলে তার অনেক বড় ক্ষতি হবে।
,
এটা হলো প্রথম বর,আর শয়তানের দেবতার কথামতো ব্লাক ড্রাগন কিং ততক্ষনাৎ তাঁর পুএকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়,কোথায় পাঠিয়েছে সেটা সেটা ব্লাক ড্রাগন কিং ছাড়া কেও জানেনা। দ্বিতীয় বর কি,সেটা আমি এখনও জানতে পারিনি(গুপ্তচুর)!
কি বলছো কি,এটাতো তাহলে খুবই ভয়ংকর খবর,ব্লাক ড্রাগনরা এমনিতেই আমাদের থেকে অনেক শক্তিশালী,আর দ্বিতীয় বরে কি চেয়েছে সেটা যদি জানতে পারো তাহলে ততক্ষনাৎ আমাকে জানাবে(কুইন এলিহা)!
জি কুইন(গুপ্তচুর)
আচ্ছা তাহলে আমি রাজ্যের দিকে যাচ্ছি,তুমি তোমার কাজে যা-ও,নয়তো ওরা তোমাকে সন্দেহ করতে পারে(কুইন এলিহা)!
এই ব'লে,সে তার রাজ্যের দিকে যখনই পা বাড়াবে,তখন-ই কিছু একটা মনে করে গুপ্তচুর টা আবারও কুইনকে ডাক দেয়।
,
কুইন(গুপ্তচুর)!
তার কথা শুনে সে পিছনে ঘুরে তাকায়,আর বলে যে,কিছু বলবে(কুইন এলিহা)!
হ্যা,বর চাওয়ার পরের দিন থেকেই আমি আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছি যে,ব্লাক ড্রাগন কিং তার সব সৈনকে এক জায়গায় জড়ো করে তাদের উদ্দেশ্য বলে যে,সে নাকি পৃথিবী নামক একটা গ্রহের খবর পেয়েছে,তারা নাকি খুবই দূবল। আর সে চায় সেখানে গিয়ে তাদের সবাইকে গোলাম বানিয়ে তারা সেখানে রাজ্য চালাবে। আর তার জন্য তাঁদেরকে আগে সেখানে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। আর সেই রাস্তা নাকি দুই রাজ্যের মধ্যের কোনো একটা জায়গায় আছে। তারা সবাই এখন সেই রাস্তা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
আমার মনে হচ্ছে যে,পৃথিবীর কথা হয়তোবা সেই শয়তানের দেবতা তাকে বলে দিয়েছে দ্বিতীয় বর হিসেবে,এটা আমার ধারনা মাএ,সঠিকভাবে জানিনা এখনও। কিন্তু খুবই তারাতাড়ি জানতে পারব(একনিশ্বাসে কতগুলো বলে থামল,গুপ্তচুর)!
,
,
এটদ যদি সত্যি হয়,তাহলে খুবই খারাপ হবে। এই বলে কুইন এলিহা তার রাজ্যের দিকে চলে গেল। আর গুপ্তচুরটা তার কাজে চলে গেল।
তারপর থেকেই কুইন এলিহা তার নিজ কামরায় বসে বসে এসব কথা ভাবছিল,আর ঘামছিল। তখন প্রায় সকাল হয়ে গিয়েছ।
,
,,,,,,,,,,,,,,,বর্তমান,,,,,,,,,,,,
,
ওহ্ আচ্ছা,তাহলে এই ব্যপার। এটাতো তুমি অন্য কাউকে বলনি(কিং হরলিং)!
না,আপনাকে ছাড়া আমি আর কাউকে এই ব্যপারে কিচ্ছু বলিনি(কুইন এলিহা)!
ভালো করেছ কাউকে না বলে,এটা যদি বাহিরের কেউ জানতে পারতো,তাহলে হয়তো তারা সবাই ভয়ে কাঁপা-কাঁপি শুরু করে দিত। ব্লাক ড্রাগনদের কিং এমনিতেই অনেক শক্তিশালী,তার সাথে আমাদের সৈন্য কেন,আমি নিজেও তার কিছু করতে পারব না। কিন্তু তার মোকাবেলা করার জন্য একজন আছে,সেটা হলো এবলিং। ভবিষ্যৎ হোয়াইট ড্রাগন কিং। আমার পুএ,তাকে এমনিতেই আমি আমার রাজ্যের বাহিরে রাখিনি,তার শক্তি সম্পর্কে আমি আর তুমি ছাড়া হয়তো আর কেউ জানেনা। এবলিং নিজেও হয়তো জানেনা। যতো তারাতাড়ি সম্ভব এবলিং কে এখানকার সব খবর পাঠাও,আর সে যেন তারাতাড়ি এখানে চলে আসে। নাহলে এখানকার সবকিছু আমি একা সামলাতে পারব না।
আর ব্লাক ড্রাগনদের কিং কে এখনই আমি খবর পাঠাচ্ছি,সে যেন পৃথিবীর দিকে চোখ তুলে না তাকায়,নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে,তাঁদের সাথে যুদ্ধে নামতেও আমরা পিছুপা হবোনা।
→→শব্দ সংখ্যা(২০৬৬)←←
।
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
৭ম পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
★হ্যাপি রিডিং★