#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ৩
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
হঠাৎ করেই আমি আমার চোখের সামনে প্রচুর পরিমানে আলোর ঝলকানি পেলাম,যার কারনে আমি আমার চোখ জোড়া না চাইতেও খোলে ফেললাম,তখনি আবারও আমি আমার চোখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে খোললাম। একি এ আমি কোথায়,আরে এটাতো হাসপাতাল,আমি এখানে কি করে এলাম,আর আমার কিছু মনে পড়ছে না কেনো,কি হয়েছিল আমার সাথে। আমার সাথে কি হয়েছিল,সেটা মনে করার অনেক চেষ্টা করলাম,কিন্তু আমার কোনো কিছুই মনে পড়ছে না,আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না। আর আমার শরীরে এতো আগাতের চিহ্ন কেন,,কি হয়েছিল আমার সাথে। আমার আশেপাশে আমি কাওকে দেখতে পেলাম না,যার কারনে আমি আস্তে আস্তে হাসপাতালের বেড থেকে ওঠলাম,তারপরে বাহিরের দিকে যেতে লাগলাম। হাসপাতাল থেকে বাহিরে বের হয়েই আমি অবাক,কেননা আমি দেখলাম যে,এখন রাত আমিতো সেই সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম,তারপরে যেন কি থেকে কি হলো,আমার কিচ্ছু মনে পড়ছে না,কিন্তু কেনো মনে পড়ছে না। না,না,না,আগে আমাকে বাসায় যেতে হবে না জানি বাবা-মা আমার জন্য কতো চিন্তা করছে। তখনই মনে হলো আমার চোখের সামনে ঝাপসা ঝাপসা কিছু চিএ ভেসে ওঠছে,ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছে না কিছুই। এসব ভাবতে ভাবতে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আমি জঙ্গলের ভেতরের রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে এগুচ্ছি সেটা পরক্ষনে বুঝতে পেরে আমার খুবই ভয় হলো,আমি তাও আবার একা এই জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কিভাবে যাব,সেটা ভেবে আমি আমার হাঁটা বন্ধ করে দিলাম। তখনই মনে হলো আমার সামনের ঝোপটা নড়ে উঠল,আমার যেন প্রান যায় যায় অবস্থা,ঠিক তখনি আমার সামনে দিয়ে একটা শিয়াল দৌড়ে চলে গেল। এটা দেখে ভয়ে আমি তখনই অজ্ঞান হয়ে গেলাম,কিছুক্ষন পড়েই আমার জ্ঞান ফেরার সাথে সাথেই আমি লাফ দিয়ে মাটির উপরে দাঁড়িয়ে গেলাম।
আমার সব কিছু মনে পড়ে গিয়েছে,তাহলে কি সেই মেয়েটা আর নেই নাকি,ও মনের দুঃখে আত্মহত্যা করেনি তো আবার। এগুলো ভেবেই আমার শরীরের সবকটা লোম দাঁড়য়ে গেল,রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে,কি করব আমি কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা,তখনই আমি আমার সব রাগ সামনের গাছের ওপরে ঝাড়লাম,এতো রাগ আমার জীবনে কোনোদিনও হয়নি,রাগের কারনে আমি কি করছি সেটা আমি নিজেও জানি না।
পরক্ষনে আমার মনে হলো যে,আমি তো গাছের মধ্যে এতক্ষন রাগ ঝাড়লাম,এটা ভেবে আমি গাছের দিকে তাকালাম। তাকিয়েই আমি ভূত দেখার মতো চমকে গেলাম,কেনানা আমি এতোক্ষন যে গাছের ওপরে সব রাগ ঝাড়লাম,সেই গাছটি ভেঙে গেছে। এটা আমি কোনো ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না,আমি একবার আমার নিজের হাতের দিকে তাকাই,তো আবার গাছের দিকে তাকাই। তারপর মনকে শান্তনা দিয়ে আরেকটা গাছের সামনে গিয়ে দাড়ালাম,তারপর গাছের মধ্যে কিছুক্ষন হাত বুলিয়ে নিলাম,আর আমার শরীরের সব শক্তি দিয়ে গাছের মধ্যে আঘাত করলাম।
ওরি মাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাা
এই বলে আমি আমার হাত চেপে ধরে ধরলাম,আমার মনে হচ্ছে যে,আমার হাতের হাড্ডি সব গুড়ো গুড়ো হয়ে গেছে। এতে আবারও অনেক রাগ হলো,রাগ সামলাতে না পেরে আমারও ওই গাছের মধ্যে একটা ঘুসি দিলাম।
এবার তো আমার অসম্ভব অবাক হওয়ার পালা,কেননা যেখানে আমি আমার ২য় ঘুসিটা দিয়েছি সেখানে ফুটো হয়ে,তার অপর পাশ দিয়ে বের হয়েছে। আমার হাতের কথা মনে পড়তেই তাকিয়ে দেখলাম যে আমার হাত একদম পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে। এটা দেখে ধুপ করে আমি মাটিতে বসে পরলাম,আমার মাঝে এতো শক্তি কোথা থেকে এলো,আর এই শক্তি আমি আগে কেনো অনুভব করিনি,আর এই শক্তি আমি রাগ ছাড়া ব্যবহার করতে পারিনা এইসব প্রশ্ন আমার মাথাই ঘুরপাক খাচ্ছে। নিজের মনকে শান্তনা দিয়ে নিজেকেই নিজে বলতে লাগলাম,যদি ওই মেয়েটার কিছু হয়,,তাহলে কাওকে ছাড়ব না আমি কাওকে না,এখন আমার প্রথম কাজ হলো বাড়িতে যাওয়া।
,
,
আর আমার মাঝে কি কি রকম ক্ষমতা আছে এবং সেটার সঠিক ব্যবহার শিখতে হবে,সেটার জন্য জন্য আগে আমকে বাড়িতে যেতে হবে। আর আমি কি কোনো সাধারন মাুনষ নাকি,অন্য কিছু কিছু,নাকি আমার মতো আরও অনেকের কাছেও এমন সুপার পাওয়ার আছে। হয়তোবা থাকতেও পারে,এসব ভাবতে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখি যে আব্বু-আম্মু তারা দুজনেই শোফার মধ্যে বসে বসে ঝিমাচ্ছে,আমি গিয়ে আম্মুকে ডাক দিলাম,তখনি তারা দুজনেই আমার দিকে দৌড়ে আসে। আর আম্মুকে কিছু বলার আগেই সে আমার গালে একটা থাপ্পড় মেরে বলে যে,এই তোর আসার সময় হলো,জানিস আমরা দুজনেই তুর জন্য কতোটা চিন্তিত ছিলাম। আর তুর শরীরে ব্যান্ডেজ কেন,কি হয়েছে কি তুর। উওরে আমি বললাম যে,
এতোগুলো প্রশ্নের জবাব একসাথে দেওয়া সম্ভব না,আগে তো একটু বসতে দাও,তারপর বলা শুরু করলাম যে,কলেজ থেকে আসার পথে আমি এক্সিডেন্ট করি,তারপরে কেও একজন আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। তারপর যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন সোজা বাড়িতে চলে আসি। সবাইকে মিথ্যা বললাম কেননা সত্যিটা বললে এতোক্ষনে আব্বু সবকিছু তোলপার করে দিত। সে যাই হোক,হাল্কা খেয়ে আমি আমার রুমে গিয়ে বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে পড়লাম। আর তখনই আমার সেই মেয়েটার কথা মনে পড়ে গেল,খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছিল যে,তার এখন কি অবস্থা। যদি ওর কিছু হয় তাহলে কাওকে আমি ছাড়ব না কাওকে না। আর এটা আমার প্রতিজ্ঞা।
সেই মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে আমি ঘুমিয়ে পড়েছি,সেটা টেরই পাইনি।
,
,
হঠাৎ করে কোনো কিছুর শব্দে আমার ঘুমটা ভেঙে গেল,আমি আমার বারান্দায়ই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম,যার কারনে আমি আমার রুমের মধ্যে আসলাম,দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,রাত ২ঃ৪৯ বাজে। আমি আমার বিছানার মধ্যে যখনি শোয়ার জন্য যাব,ঠিক তখনি সেই একই রকমের আওয়াজ শোনতে পেলাম,ধুপধাপ ধুপধাপ,আমার কাছে আওয়াজ টা মোটেও সুবিধার মনে হলো না। যার কারনে বিছানার দিকে না গিয়ে,বারান্দায় দিকে চলে গেলাম,সেখানে গিয়ে জালানার পর্দাটা একসাইডে সরিয়ে নিচের দিকে তাকালাম। একি এ আমি কি দেখছি,আমি এতো পরিমান ভয় পেলাম যে যার কারনে আমার পুরো শরীর ঘেমে একাকার,নিচের জিনিসটা দেখে আমি ভয়ে দুপা পিছিয়ে গেলাম।
কেননা নিচে তাকানোর পরে দেখলাম যে, অনেক অনেক বড় ভূত,না,না,ভূত না অনেক বড় বড় দৈত্য ভূত,ওদের দেখার পর আমার তো পরান যায় যায় অবস্থা। ওরা মোট ৪-৫ জন হবে,আর ওদের মধ্যে কয়েকজন হাওয়ার ওপরে ভাসছে তো আবার কয়েকজন রাস্তার মধ্যে চলাফেরা করছে,যার কারনে ধুপধাপ ধুপধাপ আওয়াজ হচ্ছিল। আগেই বলে রাখি যে,আমাদের বাড়ি থেকে কিছু দুরে থেকেই জঙ্গল শুরু। আমি মনে অনেক সাহস জুগিয়ে দেখতে লাগলাম যে ওরা কি করে,দেখলাম যে ওরা সবাই আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে জঙ্গলের দিকে যেতে লাগল। এতে যেন আমার নিশ্বাস নিতে একটু ভালো লাগছে,কারন এতোক্ষন পরে দীর্ঘ নিশ্বাস টা ছাড়লাম। আমি অনেক ভয়ের মধ্যে ছিলাম যদি ওদের মধ্যে কেও আমাকে দেখে ফেলতো,তাহলে তো সেখানেই আমাকে মেরে ফেলত। ওদের দেখে মনে হচ্ছে অনেক শক্তিশালী হয়তো,কেননা ওদের একেক জনের শরীর বিশাল বিশাল,আমার মনে হচ্ছে ওরা জঙ্গলের বনমানুষ এর চাইতেও ২গুন বড়,যার কারনে আমি আরো বেশি রকমের ভয় পেয়েছি। পরক্ষনেই মনে হলো যে,আমার নিজের মধ্যেও তো অনেক পাওয়ার আছে। তাহলে ওদের দেখে ভয় পাওয়ার কি আছে,আমারও তো ওদের চাইতে কম পাওয়ার না। কিন্তু ওদের মধ্যে অনেকেই তো উড়তে পারে,আমিতো সেইটা পারি না। আর এখানেই ওরা এতো না জানি ওদের টিম মেম্বারে আরো কতজন সদস্য আছে,যাই হোক আমার কাছে সবকিছু রূপকথার ভিন্ন জগৎ এর মতো লাগছে। যতই শক্তি থাকুক না কেন,ওদের সাথে আমি কোনোদিনও শক্তিতে পারব না মনে হয়।
,
,
মনের মধ্যে প্রচন্ড রকম ভয় কাজ করছে,সেই সাথে কৌতুহল তো আছেই। তারপরে চিন্তা করতে লাগলাম যে কি করব,ওরাতো আমাকে মারার সুযোগ না দিয়েই,ওদের পায়ের নিচে পিসে মেরে ফেলবে,ওদেরকে দেখে আমার বাংলার কিং কং মুভির কতা মনে পরে গেলো। অনেক চিন্তা ভাবনার পরে আমি সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছি আমি।
আমি ওই জঙ্গলের ভেতরে যাব,আমি এমনিতেই মরে গেছি,কেননা যেখানে আমার ভালোবাসার মানুষটি নেই,সেখানে তো আমি একটা মরা মানুষ ই। মেয়েটার কথা মনে পড়তেই আমার শরীরের মধ্যে অসম্ভব শক্তি অনুভব করলাম। আমাকে আমার কথা রাখতে হবে,শুভ এবং ওর চামচিক্কা সবাইকে ওদের শাস্তি পেতে হবেই হবে। প্রতিশোধ নিব আমি প্রতিশোধ নিব,এগুলো ভাবতে ভাবতে রাগে আমার পুরো শরীর কাপতে লাগল। আমি আর কিছু না ভেবে জানালার গ্রিলের দিকে দৌড় দিলাম,একি আমি আমার শরীরকে কন্ট্রোল করতে পারছি না কেন। জানালার গ্রিলের কাছাকাছি আসতেই আমি আমার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললাম। তখনই আমি কিছু ভাঙার আওয়াজ পেলাম,চোখ খোলেই আমি অবাকের পর অবাক,আমি মাটির উপরে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছি,উপরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম যে আমার রুমের বারান্দার গ্রিল সব ভেঙে কোনোরকম ভাবে ঝুলে আছে। এতে যেন আমি আরো মজা পেলাম,আমার মধ্যে এতো শক্তি আছে,সেটা আমি নিজেও জানতাম না। আমি আমার শরীরের ওপরে আবারও কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি,কেননা আমি কোনোকিছু না ভেবেই জঙ্গলের দিকে দৌড় দিলাম,এতো স্পিডে দৌড়াছি যে,আমি আমার চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাতাসের তীব্রতার কারনে,আল্লাহ জানে আজকে আমার কি হবে।
,
,
ঠিক তখনই আমার মনে হলো যে আমি আবারও আস্তে আস্তে দৌড়াচ্ছি,আমি আমার চোখটা খোললাম তখন আবারও অবাক,কেননা আমি আস্তে আস্তে দৌড়াচ্ছি নাকি আমার স্পিডের কারনে সব কিছু আস্তে আস্তে চলছে। আমার স্পিডের কারনে এসব হচ্ছে,সেটা বুঝতে পেরেই আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম। কিন্তু সমস্যা একটাই আগে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে,তা নাহলে যেকোনো সময় আমার বিপদ হতে পারে।
আমি আমার শরীরকে হাজারবার চেষ্টা করেও নিজের কন্ট্রোলে আনতে পারলাম না,যেটার কারনে আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। এ আমি কোথায় যাচ্চি,আমিতো যাব ওই বড় বড় দানবের সাথে লড়ায় করার জন্য,আমাকে দেখতে হবে আমার পাওয়ার কতো আর সব পাওয়ার গুলো আমি ব্যবহার করতে পারি কিনা। কিন্তু আমিতো যাচ্ছি জঙ্গলের আরো ভিতরে। আরেকটা জিনিস আমি কেবল খেয়াল করলাম যে,অন্ধকারের মধ্যেও আমি সবকিছু স্পষ্টভাবে দেখতে পারছি। খুব ভালো লাগছে এখন,নিজেকে সুপার হিরো মনে হচ্ছে।
,
,
আরো কিছুক্ষন জঙ্গলের মধ্যে ঘুরাঘুরি করলাম,কিন্তু ওই ইয়া বড় বড় দানবের দেখা পেলাম না। মনে হয়,আমার আসার কথা জানতে পেরে সবাই পালিয়েছে। যাই হোক,অবশ্য আমি নিজেকে কিছুটা হলেও কন্ট্রোল করতে পারছি এখন,আমি জঙ্গলের ঠিক কোথায় আছি বলতে পারব না,যার কারনে আমি থেমে গেলাম,এবং একটা গাছের নিচে বসে পড়লাম। এবং ভাবতে লাগলাম যে,আমার কাছে কি আরো কোনো ক্ষমতা আছে নাকি। আর যদিও থাকে তাহলে সেটা পরে বুঝা যাবে। এসব ভাবতে ভাবতে অনেক সময় কেটে গেল,কিন্তু দানবদের দেখা আর পেলাম না।
যখনি গাছের গুঁড়ির উপর থেকে উঠতে যাব,তখনি আমার কানটা খাঁড়া হয়ে গেল। কেও একজন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। আমি আর সাত-পাচ না ভেবে যে দিক থেকে চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসছে সেদিকে আমি আমার সুপার স্পিড ব্যবহার করে দৌড়ে গেলাম। তারপর দেখলাম যে,ইয়া বড় বড় সব দানব বেটারা একটা মেয়েকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।
আর ওদের সবার মাঝখানে মাঠির মধ্যে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে ওই মেয়েটা,মানে সে মাটিতে পড়ে কান্না করে সাহায্য চাইছে। আহারে বেচারি,কার না জীবনের ভয় নেই। আমি আমার সুপার স্পিড মোডে আছি বলে,সব কিছু আমার কাছে স্লো-মোশনের মতো লাগছে,আর আমি সবার থেকে ফাস্ট। আমি সুপার স্পিড মোডে থাকার কারনে আমার অনেক ভালোই লাগছে,এই ক্ষমতাটা আমি আমার নিজের কন্ট্রোলে আনতে সক্ষম হয়েছি,যার কারনে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
,
,
আমি একটা দানবের সামনে গেলাম,তাদের সবার সাথে আমি নিজের মাপ দিলাম,আমি তাদের সবার হাঁটু পযন্ত হই,নিজেকে এখন মুরগীর ছানার মতো লাগছে। সে যাই হোক,আমি কোনো কিছু না ভেবেই আমার সামনের দানবটার পায়ের মধ্যে একটা ঘুসি দিলাম,সেই সাথে আমার স্পেশাল কিকটাও দিয়ে দিলাম। এতে যেনো আমার পরান যায় যায় অবস্থা, ওরি মাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাা
আমি আমার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,আমার ডান হাত পুরোপুরি ভাবে ভেঙে একদম থেঁতলে গেছে,আর আমার স্পেশাল কিক দেওয়ার পা টাতো এক্কেবারে গেছে,ওরি মাাা,এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না,যার কারনে আমি মাটিতে শোয়ে মেয়েটার মতো একটু গড়াগড়ি খেয়ে নিলাম। তারপর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,সে আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে,শুধু মেয়েটা নয় দানব গুলোও আমাকে দেখে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন। তারপরেই সব দানবরা তাদের মুখ দেখাদেখি করে কিছু কথা বলে সবাই হাসতে শুরু করে দিল,তাদের কথাটা ছিল এইরকম যে : £v*0^f•k°q',। আমিও কিছুই বুঝতে পারিনি, আপনাদের মধ্যে কেও বুঝতে পারলে আমাকে বলবেন প্লিজ।
,
,
আর এদিকে আমার অবস্থা তো পুরো নাজেহাল,ব্যথায় আমার পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে। আমি আর ওদের হাসি সহ্য করতে না পেরে ওদের বলে ফেললাম যে,আরে এই সালারা তোদের শরীর কি দিয়ে তৈরি হয়েছে রে লৌহ নাকি অন্য কিছু দিয়ে। আমার এক হাত এবং এক পা নষ্ট করে খুব মজা পাচ্ছিছ তাই না,আমাকে আগে ভালো হতে দে,তারপর তোদের সবকটার ব্যবস্থা করছি আমি। আমার কথা শুনে সব দানবরা তাদের হাসি থামিয়ে দিয়ে আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে আগের বারের মতো তাকিয়ে আছে। দানবের হাসি থামতেই আমার পেছনের দিক থেকে হাসির শব্দ পেলাম,পেছনে তাকিয়ে আমিতো পুরাই অবাক,যে মেয়েটা একটু আগে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল,সে নিজেই এখন খিলখিল করে হাসছে,তার হাসি যেন আমি সহ দানবরাও উপভোগ করতে লাগলাম। আমি হঠাৎ করেই সেি মেয়েটার হাসির মাঝখানে বলে ফেললাম যে,হেসে নাও যতো পারো হেসে নাও,কেননা আজকের পর থেকে আর হাসবার মতো অবস্থায় থাকবে না।
এই কথাটি শুনার পরে মেয়েটার মুখ দেখার মতো হয়েছিল,হঠাৎ করেই মেয়েটা আবার কান্না শুরু করে দিয়ে বলা শুরু করল যে,
,
,
আপনি যে ওদেরকে এভাবে বকছেন,তাতে ওদের কিচ্ছু যায় আসে না,তার কারন হলো ওরা কেউই আমাদের কথা বুঝতে পারবেনা। ওরা মানুষ খেকো দানব(মেয়েটা)!
ওহ্,সেটাতো আমি আগে থেকেই জানতাম,শুধু পরিক্ষা করছিলাম একটু। কিন্তু আপনি কে,আর এদের পাল্লায় কিভাবে পড়লেন?এতোক্ষন কান্নার পরে হাসি,তারপরে আবার কান্না, বুজলাম না কিছুই,সমস্যা কি আপনার(একটু ভাব নিয়ে আমি)?
বলছি বলছি সব বলছি,আমি তাসলিমা সিকদার(Facebook Id Name:Taslima Shikder,কলিজার আন্টি আমার😌)। আমাদের বাসা জঙ্গলের শেষে নদীর তীরে,আমি একটু বাজারে গিয়েছিলাম কিছু জিনিস এর জন্য,আসার পথে কারো চিৎকারের আওয়াজ পায়,আওয়াজের পিছু নিতে নিতে এখানে এসে পড়ি। তারপর দেখলাম যে,এইসব মানুষ খেকো দানবরা সবাই মিলে একটা ছেলেটাকে জীবিত ছিঁড়েখুঁড়ে খাচ্ছে। এটা দেখার পর আমি অনেক ভয় পাই,যার কারনে আমি চিৎকার দিয়ে ফেলি,আর সবাই এখন আমাকে তাদের খাদ্য বানানোর জন্য তৈরি হয়ে আছে। আর কান্নার পরে হাসি তারপরে আবার কান্না সব বুঝিয়ে বলি আপনাকে(তাসলিমা)!
,
,
আমি প্রথমে অনেক ভয় পেয়ে কান্না শুরু করে দেয়,এদের খাদ্য হতে চায়না,যার কারনে প্রথমে কান্না করি,তারপর যখন আপনাকে দেখি তখনি আমি অবাক হয়ে যায়,আপনি কোন সময় এখানে আসলেন আর কোন সময় মাটিতে শুয়ে পড়লেন,আর দানবদের বকা দেওয়াতে আমার অনেক হাসি পায়,যার কারণে আমি আমার হাসিটা কোনো ভাবেই থামাতে পাছিলাম না বলে হেঁসে ওঠি। আর ঠিক তখনি আপনি আমাকে মৃত্যুর কতা মনে করে দিলেন,যার কারনে আমার আবারও অনেক কান্না পায়,আর আমি কান্না করে দেয়। আর আমি এখনি মরতে চাইনা, আমার সপ্ন টা-ই তো পূরন হলো না(তাসলিমা)!
ওহ্ আচ্ছা,তাহলে এই কথা,আর আপনার মনের ইচ্ছেটা কি জানতে পারি,যার কারনে আপনি এখনই মরতে চাচ্ছেন না(আমি)!
আমার মনের ইচ্ছে হলোঃকোনো একদিন নিরিবিলি জায়গায় আমার সাথে থাকবে একজন রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার,সে থাকবে আমার অধীনে,সে থাকবে আমার জন্য পাগল(তাসলিমা)!
কিহ্,ভ্যাম্পায়ার তাও আবার আপনার মনের রাজা। আরে আপনি নিজে এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারলে বাপের নাম নিবেন(আমি)!
,
,
হঠাৎ করে আমার দানবের কথা মনে হলো,এতোক্ষন হলো ওরা কেও কিছু বলছে না কেন?ওদের দিকে তাকিয়েই আমি আরেকদফা অবাক হলাম,কেননা ওরা সবাই আমাদের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে,যেন এখানে ওরা সিনেমার শুটিং দেখতে আসছে। আমরা কথা বলা থামাতেই দানবের মধ্যে একজন হুংকার দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল,মনে হচ্ছে এদের মধ্যে এই লিডার। আমার সামনে আসার পর সে আমাকে তার দুিহাত দিয়ে ধরে ফেলল। এতে যেন,আমার পরান পাখি যায় যায় অবস্থা তখনই আমার অনেক বিরক্তি লাগলো দানবটাকে। রাগে আমার শরীর থরথর করে কাঁপছে,ঠিক তখনই আমি খেয়াল করলাম যে,আমার হাত এবং পা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এতে আমি অনেক খুশি হলাম,সাথে অনেক রাগও হলো,তখন এই শালার জন্য আমার হাত আর পা টা ভেঙেছিল। এটা ভেবেই আমার রাগ আরো একধাপ এগিয়ে গেল,আমি একটা ডেবিল মাকা হাসি দিলাম,হাসিটা দিয়েই,আমি অনেক জোড়ে একটা চিৎকার দিলাম,চিৎকারটা এতোটাই জোরালো ছিল যে,শুধু তাসলিমা মেয়েটা বাদে সব দানবরা তাদের কানে হাত দিয়ে বসে পড়েছে,তাসলিমা মেয়েটা আমার পেছনে থাকার কারনে তার কোনোরকম সমস্যা হইনি।
,
,
আর আমাকে যে দানবটা তার হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল সে এখন মনে হয় একেবারে বয়রা(গ্রামের ভাষায় বয়রা বলা হয়,যারা কানে শুনতে পায় না)হয়ে গেছে,তার কান থেকে কালো রক্ত বের হচ্ছে ,শুধু ও নই সব দানবের কান থেকে কালো রক্ত বের হচ্ছে। এতে যেন সবগুলো দানব পাগলা কুকুরের মতো আরো ক্ষেপে গেলো,এবং তারা সবাই একজোট হয়ে আমার দিকে তেরে আসতে লাগলো।
,
,
এমনিতেই আমার রাগ হচ্ছিল অনেক,তার ওপর ওরা সবাই আমাকে মারার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে। যেটা আমাকে আরো রাগিয়ে দিল,যার কারনে আমার শরীর থেকে হাল্কা লাল আভা বেরুতে লাগল,ওরা আমার কাছাকাছি আসেতেই,আমার চোখ,মুখ,পুরো শরীর থেকেই তিব্রভাবে লাল আভা বেরুতে লাগল,আমি আবারও অনেক জোড়ে চিৎকার করে ওঠলাম।
আমার শরীর থেকে লাল আলো আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগল,যখনই লাল আলো পুরোপুরি ভাবে চলে গেল,নিজেকে একদমই অন্যরকম লাগছিল। আমি আমার শরীরে অনেক পাওয়ার অনুভব করলাম। আমার শরীর পুরোপুরি আগুনের হয়ে গেছে। যার কারনে আমার শরীর থেকে ভীষণ ধোঁয়া বেরুচ্ছে। আমি আমার পিঠের মধ্যে কিছু একটা অনুভব করলাম। এবং সেখানে হাত দিয়েই আমি পুরো অবাকের পর আরো অবাক,তার কারন হলো আমার পিঠ চিড়ে লাল রঙের দুটো ডানা বের হয়েছে। নিজেকে সুপারম্যান এর থেকেও আরো বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে।
,
,
আরেকটা জিনিস খেয়াল করে আবারও অবাক হলাম,আমার চারপাশের সব কিছু সেই কখন থেকে দেখছি আটকে রয়েছে,এটাও কি আমার পাওয়ারের মধ্যে কোনো একটা নাকি। সে যাই হোক আমি আমার ডানা দিয়ে উড়াল দিয়ার চিন্তা করলাম,আমার ডানাটা হাল্কা একটু ওপর নিচ করলাম, আর তাতেই আমি যে,রকমভাবে ওপরের দিকে যাচ্ছিলাম তাতে মনে হচ্ছে কোনো রকেটের গতির চাইতেও কয়েকশো গুন বেশি স্পিড আছে আমার ডানার মধ্যে। আমি আবারও নিচের দিকে মাটির ওপরে নেমে সেই দানবের সামনে গিয়ে দারালাম,ঠিক তখনই আমি ওদের শক্তি অনুভব করতে পারলাম,ওদের শক্তি আমার পাওয়ারের ১০০ ভাগের ১ ভাগ,এটা দেখেই আমি হাসতে লাগলাম। আমি সবগুলো দানব গুলোকে এক জায়গায় জড়ো করলাম। এবং আমি না চাইতেও আমার ডান হাতটা নিজে থেকেই ওপরে ওঠে চুটকি বাজালো। আর সাথে সাথে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল,দানব গুলো তো আমাকে যতো দেখতে আরো ততই অবাক হচ্ছে,সবাই যেনো বোকা বনে গেলো,কি থেকে কি হয়ে গেল কেউ কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা।
,
,
আবারও আমি না চাইতেও আমার ডান হাতটা আপনা আপনি দানবদের দিকে আঙুল তুলল,এবং আমার আঙুল থেকে কারেন্টের একটা লেজা রশ্মি বের হয়ে ওদের দিকে যেতে লাগল। যেটা থেকে আমি খুবই মারাত্মক রকমের পাওয়ার অনুভব করলাম। এটা দেখে হঠাৎ করে দানবের লিডার বলল যে,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ড্রাগন কিং,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আর কোনো কথা বলার সুযোগ পেলো না সে,তার আগেই লেজার রশ্মিটা তাদের আঘাত করল,আর বড়সড় একটা ব্লাস্ট হলো। তারপরে আর ওই দানবদের কোনো চিহ্নও পেলাম না। আমি পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,তাসলিমা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
,
,
আরে আরে কি করছেন কি আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছেন কেন,আমাকে কি দেখতে ভূতের মতো লাগছে নাকি। ওহ্ নো, তখনি আমার মনে পড়ল যে,আলোর ঝলকানির পরে আমার পিঠ চিড়ে ডানা বের হওয়ার কারণে আমার টি-শাটটি নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারনে আমার বডি দেখা যাচ্ছে,মনে হচ্ছে কেও জিম করেও এতো সুন্দর বডি বানাতে পারবেনা(আমি)!
তাসলিমা মেয়ে টার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে,সে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। বেচারি এতোকিছু মাথার মধ্যে নিতে পারেনি মনে হয়, যার কারনে অজ্ঞান হয়ে গেছে,এই সাধারণ জিনিসই দেখে অজ্ঞান হয়ে গেল আর ভ্যাম্পায়ার সামনে আসলেতো একে খোঁজেই পাওয়া যাবে না। সময় নষ্ট না করে আমি আমার সুপার স্পিড ব্যবহার করলাম সাথে ডানা দুটোও চোখের পলকে জঙ্গলের শেষে নদীর তীরে তাসলিমা মেয়েটার বাড়ির সামনে এসে পড়লাম,তাকে বাড়ির বারান্দায় দরজার সামনে রেখে,দরজায় কড়া নাড়লাম(আমি)।
মা তুই এসেছিস,তুর আসতে এতো দেরী হলো কেন(তাসলিমার আম্মু)?
কিছু বলছিস না যে,এই বলে সে দরজা খুলে বাইরে বের হলো,একি কি গেলি তুই,পায়ের কাছে আবার কি,পায়ের দিকে তাকিয়েই একি তুই এখানে এমনভাবে শোয়ে আছিস কেন,কি হয়েছে তোর(তাসলিমার আম্মু)?
দেখলাম যে,তাসলিমাকে অর আম্মু টেনেটুনে ঘড়ের মধ্যে নিয়ে গেলো। আমার কাজ আপাতত এখানেই শেষ,আবার চোখের পলকেই আমি আমার রুমের বারান্দায় উপস্থিত হলাম। বারান্দার জানালার গ্রিলের দিকে তাকিয়ে কি মনে করে যেন আমি আমার ডান হাতটা সেদিকে তাক করলাম,অতঃপর হাতটা সবকিছু আগের মতো ঠিক হয়ে গেল,যেটা দেখে আবারো আরেকদফা অবাক হলাম। তারপরে আমি জব্বার ঘুম দিলাম,আরামের ঘুম,এই ঘুমটা যে,কবে ভাঙবে কেও সেটা জানে না।
আর ঠিক তখনি মনে হলোঃআমার কানে কানে কেও বলে গেল,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ড্রাগন কিং,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
(শব্দ সংখ্যা৩২৫৪)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
পার্টটা অনেক বড় করে দিলাম। তৃতীয় পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
★হ্যাপি রিডিং★