পার্টঃ০৭
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
কোলবালিশকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। তখনি ভাইয়ার ডাক শোনা গেলো দরজার ওপার থেকে। আমি চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুলে দিলাম।
.
--কিরে আর কত ঘুমাবি? নিলা কখন থেকে বের হবে বলে রেগে আছে কিন্তু আমি ওকে একা বের হতে দিতে সাহস পাচ্ছি না।(ভাইয়া)
.
--আরে চিন্তা করিস না। সিকিউরিটি পাঠিয়ে দে ওর সাথে।(আমি)
.
--আমি ওকে সে কথা বলেছিলাম। কিন্তু রাগে লাল হয়ে বসে আছে এখন। ও কোনো গার্ড ছাড়াই ওর বন্ধুদের সাথে ওর বার্ড ডে টা উৎযাপন করবে।(ভাইয়া)
.
--আচ্ছা দেখি আমি যাচ্ছি ওর সাথে।(আমি)
.
--এজন্যই তো তোকে ডাকলাম। তোর সাথে তো দেখছি ভালোই ভাব হয়ে গেছে।(ভাইয়া)
.
--বাদ দে তো। আজকের পরে থেকে তো আর কথা বলতেই দেখবি না ওর সাথে।(আমি)
.
--আচ্ছা তারাতারি ওকে নিয়ে একটু বের হ। আমার তো খুব ভয় লাগছে কি হয় আজকে।(ভাইয়া)
.
--কিছুই হবে না। চিন্তা করিস না।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি রেডি হয়ে নাস্তা শেষ করে নিলার সাথে বের হয়ে গেলাম। আমি সাথে আশায় নিলা কিছুটা খুশি হলো। আমি গাড়ি ড্রাইভ করে ওর কলেজের সামনে চলে আসলাম। যেখানে ওর বন্ধুরা দাড়িয়ে আছে। ওর সব ফ্রেন্ডই মেয়ে তবে দুটো শুধু ছেলে। দুজনকেই দেখেই আমি চিনে ফেললাম তারা কালকের ছেলে দুটো।
.
--কিরে শুভ তোর হাতে কি হয়ছে?(নিলা)
.
--তেমন কিছু না ফল কাটতে গিয়ে হালকা কেটে গেছে।(শুভ)
.
--একটু সাবধান থাকতে পারোস না?(নিলা)
.
--সাবধানই ছিলাম। উনি কে? তোর বয়ফ্রেন্ড নাকি?(কিছুটা মজা করেই বললো শুভ)
.
--আরে না কি যে বলিস।(নিলা কিছুটা লজ্জা পেয়ে উত্তর দিলো)
.
--উনি আমার দুলাভাই এর ছোট ভাই।(নিলা)
.
--হাই আমি শুভ।(হাত বারিয়ে দিয়ে)
.
--আমি হৃদয়।(আমি হাত মিলিয়ে)
.
--কি করেন আপনি?(শুভ)
.
--এসব কথা পরে হবে। আগে চল ভিতরে যায়।(নিলা)
.
--হুমমম চল।(শুভ)
।।।
।।।
সবার সাথে আমিও ভিতরে গেলাম। মাঠের মাঝে গিয়ে ওরা বসলো। আমিও বসলাম। শুভ ব্যস্ত আছে নিলার সাথে কথা নিয়ে। বিভিন্ন কথা দিয়ে হাসানোর কথা বলতেছে। আর অপরদিকে আমার নজর যাচ্ছে শুভ এর দিকে। ওকে দেখে মনে হয় না কালকে নিলাকে কিডন্যাপ করতে আসছিলো। আর যেভাবে কথা বলতেছে দুজনে মনে হয় না দুজনে শুধু ফ্রেন্ড। তবে একটু পরেই আমি বুঝতে পারলাম পুরো ব্যাপারটা কি। কারন কলেজ গেইটে দাড়িয়ে ছিলো পুরো ২০ জনের মতো গুন্ডা টাইপের ছেলে। মোটর সাইকেলে করে আসছিলো তারা আমাদের দিকে। ব্যাপারটা আরো ক্লিয়ার হলো আমার কাছে যখন শুভ ছেলেটা উঠে গেলো ঔ লোকগুলোর সাথে কথা বলতে। অনেকটা কথা বলতে না। মারামারি করতেই গেলো। কিন্তু দুটো ঘুসি খেয়ে আবার চলে আসলো। ঘুসি দুটো তেমন মহামারী ছিলো না। কারন যে জোরে দেখিয়ে ঘুসি মারলো তাতে নাক ফেটে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কিছুই হলো না। আমাদের দিকেই আসছে লোকগুলো। আমার হাতে তো আরেকটা জিনিস লেগেছিলো। আমি মুচকি মুচকি হাসলাম সেটাকে হাত থেকে ফেলে দিয়ে। উঠে আসলাম লোকগুলোর লিডারের সামনে।
.
--কি চাই?(আমি)
.
--ভাই যেয়ো না এমন মাইর দিবে মনে থাকবে চিরজীবন।(শুভ)
.
--কি চাই আপনাদের আর ওকে মারলেন কেনো?(আমি)
.
--সেটা কি তোকে বলতে হবে।(লোকটা আমার কলার ধরে)
.
--আর যা করার করুন। কলারটা ছেড়ে দিন।(আমি)
.
--না ছারলে কি করবি।(লোকটা)
.
--ভুল মানুষের সাথে পাঙ্গা নিয়ে ফেলছিস।(আমি)
.
--কি?
।।।।
।।।।
লোকটা আমাকে একটা ঘুসি মারতে গেলো ডান হাত দিয়ে। আমি ওর হাতের ঘুসি আটকে দিলাম আমার ডান হাত দিয়ে। ওর মুঠো করা হাতটা শক্ত করে ধরে রাখলাম। এবং সেটাকে চাপ দিতে লাগলাম। আস্তে আস্তে মর মর আওয়াজ হয়ে সেটা ভাঙতে লাগলো। লোকটা চিৎকার করে বললো ছেড়ে দে আমায়। এরপর পাশে থাকা একটা লোক আমার ডান হাতের কব্জিতে চাকু দিয়ে আঘাত করে কিছুটা কেটে দিলো।
.
--এবার আমি সত্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছি। কারো সম্পর্কে না জেনে তার সাথে লড়তে আসা বড় বোকামি। আর তাকে চাকু দিয়ে আঘাত করা মানে আবালের কাজ একটা।
।।।
।।।
আমি লোকটাকে ছেড়ে দিলাম যেটার হাত মুঠো করে রাখছিলাম। এবার একটা ব্যাক পুশ কিক দিলাম যেটা আমাকে চাকু দিয়ে আঘাত করছে সেটাকে। আর ওর হাতের চাকু পরে গেলো নিচে। আমি সেটাকে হাতে নিয়ে সব কয়টার হাত পা কাটতে শুরু করলাম। সব গুলো আমার পাগলামী দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেলো। এক একজনের শরীরে ১৫ টার উপরে চাকুর আঘাত লেগেছে। আর সেটা দিয়ে বেশ ভালোই রক্ত ধরছে।
.
--চাইলে তোদের সবাইকে আমি আরো কিছু কাট দিতে পারি। কিন্তু যে হারে তোদের রক্ত বের হচ্ছে তাতে আধা ঘন্টার বেশী তোরা কেউ বাচতে পারবি না। তাই সময় নষ্ট না করে তারাতারি হাসপাতালে যা।(আমি)
।।।।
।।।।
সব গুলো আমার দিকে তাকিয়ে বাইক দিয়ে দৌড় দিলো। আমি এমন এমন জায়গায় কাট দিয়েছি যে সেখানে গুরুতর ব্যথা হবে না কিন্তু রক্তক্ষরন বেশী হবে। এতে করে মানুষ অবহেলা করেই মারা যায়। কমবেটের সময় এটা অনেক কাজে লাগে। যখন বন্ধুকের গুলি শেষ হয়ে যায় তখন কোনো শত্রুকে এভাবে শাস্তি দিয়ে মারা যায়। আমি আবারো আসলাম।
.
--এভাবে ওদের কিভাবে মারলেন?(নিলা অনেক অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো)
.
--সেটা জানতে হবে না। এখান থেকে এখন আমাদের যেতে হবে।(আমি)
.
--যাবো মানে। মাত্রই তো আসলাম।(নিলা)
.
--কোনো কথা নয়। যা বলছি সেটাই করো। নাহলে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে বাধ্য হবো।(আমি)
।।।।
।।।।
আমার কথা শুনে নিলা বলে উঠলো।
.
--যাবো মানে। মাত্রই তো আসলাম।(নিলা)
.
--বলছি যখন যেতে হবে তখন যেতে হবে।(আমি)
।।।।
।।।।
নিলা আর কিছু বললো না। আমার সাথে চলে আসলো গাড়িতে। আমি গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলাম। নিলা আমাকে অবাক হয়ে দেখছে। দেখারই কথা কারন নতুন আমাকে দেখছে ও। আমি এতো তারাতারি চেন্জ হয়ে যাবো সেটা কখনো ভাবতে পারে নি নিলা। আমি পৌছে গেলাম আমার বাসায়। যেখানে জেনারেল মানে নিলার বাবাও এসেছে।
.
--তো বাপ্পী সব ঠিক ঠাক আছে তো?(আঙ্কেল)
.
--জ্বী আঙ্কেল। সব ঠিক ঠাক আর ভয় নেই।(আমি)
.
--বাবা তোমরা কি নিয়ে কথা বলতেছো?(নিলা)
.
--ও কিছু না। তুই রেডি হয়ে নে আমার কিছু স্পেশাল গেস্ট আসবে আজকে।(আঙ্কেল)
.
--এজন্য আমাকে এখানে আসতে হলো। বাবা তুমিও না। আমার বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটাচ্ছিলাম। আর তুমি সেটাও ঠিক মতো করতে দিলে না। ওরা রাগ করছে আমার উপরে।(নিলা)
.
--বন্ধুদের সাথে তো সময় পরেও কাটানো যাবে। কিন্তু আজকের মতো সময় তো আর পরে পাবি না মা। অথয় মা কোথায় তুই?(আঙ্কেল)
.
--হ্যা বাবা।(অথয়)
.
--নে তোর ছোট বোনটাকে নিয়ে একটু সুন্দর করে সাজিয়ে দে। আজকে বড় একটা অনুষ্ঠান হবে তো।(আঙ্কেল)
।।।।
।।।।
আমি আর কিছু বললাম না। আমি আমার রুমে চলে গেলাম। হাতে কব্জায় হালকা একটা কাট লেগেছে যেটার রক্তে শার্টের অনেকটা লাল হয়েছে। আমি আমার ওয়াসরুমে এসে সব পরিস্কার করতে লাগলাম। এবং আমার ব্যাগ থেকে একটা ব্যান্ডেজ বের করে সেটা হাতে লাগিয়ে নিলাম। এবার বিছানায় শুয়ে একটা ঘুম দিলাম। দুপুরে ভাইয়ার ডাকে ঘুম ভাঙলো।
.
--কিরে তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস। কতো ঘুমাবি তুই?(ভাইয়া)
.
--গাধাটা এখনো ঘুমাচ্ছে নাক ডেকে। ঔ উঠবি নাকি আম্মুকে ডাক দিবো।(হৃদি)
.
--ঘুমাইলেই তোদের সব সমস্যা। এতো আরামের দিন কি আমি আর পাবো?(আমি)
.
--পাবি না মানে সামনে আরো আরামের দিন আসবে দেখিস।(ভাইয়া)
.
--মোটেও না। আমার আরামের দিন আসবে না আর।(আমি)
.
--তুই রেডি হয়ে নে তো।(ভাইয়া)
.
--রেডি হয়ে নিবো মানে? কোথায় যাবো?(আমি)
.
--নিলার জন্মদিন উৎযাপন করা হবে কমিউনিটি সেন্টারে। আর সেখানেই যেতে হবে আমাদের।(ভাইয়া)
.
--নে ভাইয়া সেদিন তোর জন্য এই ব্লেজার আর পেন্টটা কিনেছিলাম পরে নে গোসল করে এসে।(হৃদি)
.
--এগুলো কখন কিনলি?(আমি)
.
--তুই তো ভিডিও গেমস খেলছিলি দেখবি কেমনে?(হৃদি)
.
--হয়ছে কথা না বলে ৫ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নিচে আয়। আমরা গাড়িতে অপেক্ষা করছি তোর জন্য। বাবা আম্মু আঙ্কেল কিন্তু আগেই চলে গেছে।(ভাইয়া)
.
--আচ্ছা।(আমি)
।।।
।।।
গোসল করে এসে আমি বিছানায় রাখা নীল ব্লেজার আর নীল প্যান্টটা পরলাম। বুঝলাম আমার বোনের চয়েজ আছে। ম্যাচিং করেই কিনেছে সব। সু টাও নীল। আয়নায় দেখে নিজেকে নিলু লাগছে আমার কাছে। যদি আমিও হুমায়ন আহমেদের মতো একটা উপন্যাস লেখতে পারতাম তাহলে সেটার নাম দিতাম আমি নিলু। গরমের সিজন হলে তো আমার অবস্থা টাইট হয়ে যেতো ঘেমে। কিন্তু ঠিক আছি আপাতোতো। আমি বাইরে বের হলাম। গাড়ির পাশেই দাড়িয়ে ছিলো নিলা,ভাইয়া,অথয় আর হৃদি। অথয় আর ভাইয়া দুজনেই কালু হয়ে আছে। মানে ভাইয়া কালো ব্লেজার আর কালো প্যান্ট পরেছে। আর অথয় কালো শাড়ি পরেছে। হৃদি একটা লাল শাড়ি পরে আছে। আর নিলা তো ওর নামের সঙ্গে মিল রেখেই নীল শাড়ি পরে আছে। হাতে নীল চুরি। কপালে একটা নীল টিপ ও আছে। ঠোটে হালকা গোলাপী লিপস্টিক দেখা যাচ্ছে। যে কোনো ছেলে একবার দেখলেই পাগল হয়ে যাবে সেটা আমি বলতে পারি। একবার দেখলে মন ভরে না। মন চাই আবারো দেখি। এমনিতেও অনেক সুন্দর। আবার হালকা মেকআপে আরো সুন্দর হয়ে আছে নিলা। আমার দিকেও কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলো নিলা। হয়তো কালার মেচিং হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবছে। আসলেই তো এটা তো আমি ভাবি নি। নিশ্চয় এটা হৃদি আর ভাইয়ার কাজ। আমি তো নিলাকে নীল জামা আর নীল শাড়ি কিনতেই বলেছিলাম। কিন্তু আমার জন্যও যে নীল ব্লেজার কিনবে সেটা কে জানতো।
।।।
।।।
আমি আর ভাইয়া সামনে বসলাম। আর ওরা তিনজন পিছনে বসলো। সোজা কমিনিউটি সেন্টারে চলে আসলাম আমরা। এখানে এসে তো আমি পুরো অবাক। ছোট একটা জন্মদিনে এতো গেস্ট আসছে। এখানে আমাদের সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা আছে। সেই সাথে আমার সহকর্মীদের মধ্যেও অনেকেই আছে। সবার সাথে আলাপ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম আমি। খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম সবার সাথে। ঠিক সন্ধার দিকে নিলাকে দিয়ে কেক কাটানো হলো। একটু ভালোই লাগছিলো কারন অনেক দিন পর আমি সুন্দর একটা দিন কাটালাম। কিন্তু একটু পরের নিউজে আমার কান বেজে উঠলো। কারন নিলার আব্বু মানে জেনারেল স্যার ভাষন দিলো এবং তার ভাষনে তিনি শেষে বললেন।
.
--আজ আমার কাছে সবচেয়ে খুশির একটা দিন। কারন সব মেয়ের বাবাই চাই তার মেয়েকে সঠিক ছেলের হাতে তুলে দিতে। আপনারা সবাই জানেন আমার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু আহতাব চৌধুরীর বড় ছেলে রাহাত চৌধুরীর সাথে। যে কিনা এই ফরিদপুর সদর উপজেলার একজন এসপি। আর আজ অত্যন্ত খুশির সাথেই আমি বলতে যাচ্ছি যে আমার ছোট মেয়ের বিয়েও আজ এই সময়ে আমার কলিজার বন্ধু আহতাব চৌধুরীর ছোট ছেলে হৃদয় চৌধুরী ওরফে কর্নেল হৃদয় বাপ্পীর সাথে হবে। আপনাদের সবাইকে এজন্যই এখানে ইনভাইট করা হয়েছে। আমি তো সবাইকে একটি সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছিলাম।
।।।।
।।।।
জেনারেলের কথা শুনে সবাই আমার দিকে চলে আসতে লাগলো। আমার সব মেটরা আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে লাগলো। একসাথে দুটো জিনিসের। ক্যাপ্টেন থেকে সরাসরি প্রমোশন পেয়ে কর্নেল হওয়ার সাথে সেই সাথে আমার বিয়েটা হওয়ার শুভেচ্ছাও দিচ্ছে। এক হিসাবে একটু খুশি লাগলো যে আমি কর্নেল হয়ে গেছি। আবার অন্য দিকে কষ্ট লাগলো এই ভেবে আজকে আমার বিয়ে। তাও আবার একটা চিমকু মেয়ের সাথে। এতো দুঃক কোথায় রাখবো আমি।
।
নিলা ও কথাটা শুনে অনেক অবাক হয়েছে। কিন্তু এখানে দুজনেরই পাগলামী করার কোনো সুযোগই নাই। নিলা কিছুটা রেগে আছে সেটা ওর মুখ দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু এতো মানুষের সামনে ও কিছু করতে বা বলতে পারছে না। আবার আমার অবস্থাও তেমনি। আমি প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগই পাচ্ছি না। দেখতে দেখতেই কাজী সাহেব এসে বিয়ে পরানো শুরু করে দিলেন। আমার ক্যাম্পের সব বন্ধুরা আমার পাশেই ছিলো। কানে এমন মন্ত্রনা দিলো যে কবুল না বলে থাকতে পারলাম না। সেই সাথে বিয়েটাও সম্পূর্ন হয়ে গেলো। শুধু বাসায় যাওয়ার সময় এখন। সব গেস্টদের বিদায় দিয়ে দিলাম। বন্ধুদেরও বিদায় দিলাম। বাসায় যাওয়ার জন্য সামনে বসতে যাবো গাড়ির কিন্তু ভাইয়া এসে আটকে দিলো
.
--সামনে কি। সামনে তোর ভাবী বসবে। তুই আর নিলা পিছনে বসবি।(ভাইয়া)
.
--বললেই হলো। আমি সামনেই বসবো।(আমি)
.
--অথয় বসো তো ওর আগে।(ভাইয়া আমার হাত ধরে রাখলে সেই সুযোগে অথয় সামনে বসলো। আর আমাকে বসতে হলো পিছনে)
।।।।।
।।।।।
হৃদি নিলাকে জোর করে উঠিয়ে দিলো আমার পাশে। আর ও নিজে নিলার পাশে বসলো। পিছনে এখন আমরা তিনজন। আর ভাইয়া আর অথয় সামনে বসে আছে। কেউ কোনো কথা বলছে না। আমি দেখলাম ভাইয়া গিয়ার দিতে গিয়ে অথয়ের হাতবার বার ধরছে। মাঝে মাঝে হাত হাত মুঠো করে রাখছে দুজনে। আমারো মন চাচ্ছিলো নিলার হাতে হাত রাখতে। কিন্তু ভয় হচ্ছিলো।ভয় পাচ্ছিলাম খুবই আমি। আচ্ছা সবারই তো এমন দিন আসবে। সবাইকেই তো এই দিনটা পার করতে হয়। তাহলে আমি ভয় পাচ্ছি কেনো। আমাকে তো ভয় শেষ করতে হবে। যা হওয়ার হয়ে গেছে। যেভাবে চলছিলো সেভাবেই চলতে দিতে হবে সব।
।।।।
বসে বসে বিভিন্ন জিনিস ভাবছিলাম। ঠিক তখনি ফোনে মেসেজ আসলো। হোল্ডারের সার্ভার থেকে। কালকে ইমার্জেন্সি একটা মিটিং এর ব্যবস্থা করেছেন অনু ম্যাম। তাই সবাইকে ম্যানেজার ৯ টাই দেখতে চান অফিসে। যা রে আজকে পুরো দিনে এই হোল্ডার নিয়ে একবারও ভাববার সময় পাই নি। আসলেই এই মেয়েরা প্যারাময়। এরা লাইফের বারোটা বাজিয়েই ছাড়ে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।