ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ১৯

Bangla Dub Novels
 

#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ১৯
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

আর এটা দেখে আমি আরো জোরে জোরে কাঁদতে থাকলাম,কেননা আমি যে চাইলেও কিছু করতে পারছিনা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,

,
আমি কান্না করছিলাম,আর মনে মনে ভাবছিলাম যে,কাউকে ছাড়বোনা আমি কাউকে না,সবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিব আমি,সবার। এই বলে আমি আরো জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম। ঠিক তখনই আমার মাথায় একটা জিনিস নাড়া ওঠে। যাঁর কারনে কান্না বাদ দিয়ে আমি কিছুক্ষন নিজ জায়গায় নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলাম। এর কিছুক্ষন পরই আমার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে। 
সব সমস্যার সমাধান আমি পেয়ে গেছি। যা করার সব আমাকেই করতে হবে। 
এই বলে আমি আমার চোখ দু'টো বন্ধ করলাম।  আবার কিছুক্ষন পরে চোখ দু'টো খুলতেই নিজের সামনে নেকড়ে টা কে দেখতে পেলাম। 
অধীর আগ্রহে সে আমার মুখের পানের দিকে চেয়ে আছিল। আর আমি চোখ খোলছি এটা দেখে সে খুশিতে আমার ঘা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে বিশাল বড় একটা গর্জন ছাড়লো,তাঁর গর্জনের কারনে আশেপাশের জঙ্গল মৃদু কেঁপে উঠল।
আর এটা দেখে আমি নেকড়ে টার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম,আর আমাকে অনুসরণ করে নেকড়ে টা আসতে লাগলো।

,

,

বিশাল বড় একটি রাজপ্রাসাদের ভেতরে কোনো এক অন্ধকার যুক্ত রুমের মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল বড় একটি সিংহাসন রয়েছে। সিংহাসন টির ওপরে কেউ একজন আরাম করে বসে রয়েছে। আর সেই লোকটির সম্পূর্ণ শরীর একদম অন্ধকারে ডাকা পড়ে আছে। যাঁর কারনে বুঝতে পারা একদম মুশকিল যে,কে সেই সিংহাসন টির ওপরে বসে আছে।
,
হঠাৎ সেই অন্ধকার রুমে একটি কালো ছায়া প্রবেশ করে আগে সিংহাসনের ওপরে বসে থাকা লোকটিকে হাঁটু গেড়ে সম্মান জানিয়ে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,
,
মহারাজ আমরা আমাদের সেই কাঙ্খিত জিনিসটি খুঁজে পেয়েছি ঠিকই কিন্তু সেটার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় সেটা আমাদের মধ্যে কেউই জানেনা।
আশা করি সেই জিনিসটার ব্যবহার একমাত্র আপনার খাঁজ মেহমান রাই করতে পারবে(ছায়া টি)!
,
ছায়া টির কথা শুনে সিংহাসনের ওপরে বসে থাকা লোকটির মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠল।
যেই হাসি টার অর্থ কেউই জানেনা। 
সিংহাসনের ওপরে বসে থাকা লোকটির মুখে হাসি দেখতে পাওয়া মাএই ছায়া টি আবারও তাঁকে হাঁটু গেড়ে সম্মান জানিয়ে রুমের বাহিরে বের হয়ে গেলো।
,

,
আজকের রাতটা দিয়ে ১১ দিন যাবৎ জাহিদ সহ নেকড়ে টা এই পাহাড়ি জঙ্গলে অবস্থান করছে। কিন্তু এখানে আর নয়,কেননা তাঁদের দু'জনকে যে তাঁদের কর্তব্য পালন করতে যেতে হবে। যাঁর কারনে তাঁরা দু'জন জঙ্গলের একদম শেষ সীমানায়,মানে যেই হাসপাতালের সামনে থেকে জঙ্গলের রাস্তায় ঢুকেছিল বাড়িতে তাঁরাতাড়ি যাওয়ার জন্য সেই রাস্তাটি একদম জাহিদের বাড়ির কাছাকাছি গিয়েছে,মানে জঙ্গলের রাস্তা এখানেই শেষ। জঙ্গলের শেষ মাথায় যেখানে পাকা রাস্তার শুধু সেখানে জাহিদ একটু থামলো ওর সাথে নেকড়ে টাও থামলো,জাহিদ পেছনের জঙ্গলের দিকে ঘুরে তাকিয়ে আবারও সামনের দিকে হাঁটা শুরু করে দিলো  তাঁর সাথে নেকড়ে টাও।
,
চারদিকে শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। আর ওই পূর্ব আকাশে সূর্যের কোনো দেখাও মিলেনি এখনো,মানে হলো এখনো সকাল হওয়ার অনেকটা সময় বাকি আছে রাস্তা পুরো অন্ধকারে ডেকে আছে,কিন্তু তারপরও জাহিদ সহ নেকড়ে টা এই অন্ধকার রাস্তার মধ্যে দিয়ে দিব্যি হেঁটে চলেছে তাঁদের নিজ গন্তব্যে।
,
হঠাৎ করে তাঁরা দু'জন একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যায়,হ্যা এটাই হলো জাহিদের সেই চিরচেনা বাড়ি। যেখানে কিনা জাহিদ সেই ছোট্ট বেলা থেকে এই পর্যন্ত বড় হয়েছে। 
জাহিদ কোনো কিছু না ভেবে বাড়ির মেইন গেইটের ওপর দিয়ে লাফ দিয়ে একদম দরজার কাছাকাছি চলে আসে,
কিছু একটা ভেবে সে ঘরের দরজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তাও আবার দরজা বন্ধ থাকা সত্যেও। কোনো রকম দ্বিধাবোধ ছাড়াই জাহিদ দরজা ভেদ করে ঘরে ডুকে যায়। মানে হলো,জাহিদ দরজার সামনে আসা মাএই তাঁর নিজের শরীরকে অদৃশ্য করে ফেলে যার কারনে জাহিদের দরজা ভেদ করে অপর পাশে যেতে কোনো সমস্যা হয়নি। 
,
আর এদিকে নেকড়ে টা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জাহিদের কাজকর্ম সবকিছু হা করে দেখতেছিলো। এখনো সে তাঁর নিজ জায়গায় হাবার মতো দাঁড়িয়ে আছে,কেননা সে যে তাঁর মালিকের গোলাম।। 
,
জাহিদ ঘরের দরজা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে ঢোকার সময়ই নেকড়ে টার কথা মনে পড়ে যায়। 
যাঁর কারনে সে আবারও দরজার এপাশে চলে আসে। 
,
জাহিদ কে বাহিরে বের হতে দেখেই নেকড়ে টা বাড়ির সামনে থেকে গেটের ওপর দিয়ে লাফ দেয় এবং সোজা জাহিদের সামনে এসে যায়।
জাহিদ ভাবতে লাগলো যে,নেকড়ে টার কি ব্যবস্থা করা যায়। এসব ভাবতে ভাবতে প্রায় সকাল হয়ে যাওয়া যাওয়া ভাব।
জাহিদ তাঁর মাথাটা তাঁরাতাড়ি ঘাটানোর চেষ্টা চালাতেই জাহিদের মুখে আপনা-আপনি এক চিলতে বাঁকা হাসি ফুটে ওঠে। 
,

,
ঠক,ঠক,ঠক শব্দে জোসনা বেগমের ঘুম ভেঙে গেলো। আনমনা হয়ে সে ভাবতে লাগলো যে,কে এতো সকালে দরজায় কড়া নাড়ছে। এদিকে হানিফ মিয়াও তো সোফায় শোয়ে শোয়ে ঘুমোচ্ছে। আজ ১১ দিন যাবৎ তাঁদের সন্তান নিখোঁজ। তাঁদের সন্তানকে তাঁরা এই কয়েকটি দিন যে কতো খুঁজাই খুজেছে। কিন্তু তাঁরপরও সন্তানের কোনো হদিস ও পাওয়া যায়নি,এই নিয়ে তাঁদের দুশ্চিন্তার কোনো অভাব নেই। যেমন এই-যে কয়েকদিন যাবৎ তাঁরা কেউই ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেনা,কালকে অনেক রাত করে তাঁরা পুলিশ স্টেশন থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছে। পুলিশ এই কেসের কোনো কূল কিনারাও খুঁজে পায়নি। বাড়িতে এসেই তাঁরা দু'জন সোফায় নিজেদের গা এলিয়ে দিতেই ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়। আবার এতো সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় কারনে জোসনা বেগম টলতে টলতে ঘরের দরজাটা খুলে দিল,
,

,
ঘরের দরজাটা খুলতেই জোসনা বেগম দেখলো যে,
তাঁর সামনে তাঁর ছেলে দাঁড়িয়ে আছে,হ্যা জাহিদ দাঁড়িয়ে আছে। জাহিদ কে দেখে জোসনা বেগমের চোখের ঘুম যেন ততক্ষনাৎ উড়ে গেলো।
,
জোসনা বেগম কি চোখে ভুল দেখছে নাকি সঠিক,সেটা সিউর করার জন্য সে তাঁর চোখ দু'টো বন্ধ করে আবারও ঝট করে খুলে নেয়। এবং সামনে জাহিদ কে দেখতে পায়,,এতে যেন তার খুশির আরন শেষ নেই। জাহিদকে ঝাপটে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেয়। 
,

,
আর এদিকে হানিফ মিয়া সোফায় ঘুমে বিভোর ছিলো,হঠাৎ করে তাঁর কানে বারবার কারো কান্নার শব্দ ভেসে আসতে থাকে। যার কারনে এই শব্দে ততক্ষনাৎ হানিফ মিয়ার ঘুম উড়ে যায়। শোয়া থেকে লাফ দিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে যায়,তাঁর পাশে তাঁর বিবি জোসনা বেগম কে দেখতে না পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যায়। 
তিনি মনে করতে থাকেন যে,তাঁদের ঘরে কি চুর,ডাকাত হামলা করলো নাকি। এসব কথা ভাবতে ভাবতে আবারও আগের বারের মতো তাঁর কানে কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কান্নার শব্দ টা ঘরে ঢুকার দরজার ওখান থেকে আসছিল,এটা বুঝতে পেরে হানিফ মিয়া তাঁর ক্লান্ত শরীর নিয়ে দৌড়ে যায় দরজার দিকে,সেখানে গিয়ে সে অবাক না হয়ে পারে না। 
,

,
সে দেখতে পায় যে,
তাঁর বিবি জাহিদকে ঝাপটে ধরে কান্না করে যাচ্ছে,শুধু কান্নাই করা যাচ্ছে মুখে কিছু বলতেছেনা। আর হানিফ মিয়া তো একদম অবাক জাহিদ কে দেখে। সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা,দৌড়ে গিয়ে বিবি এবং সন্তান দু'জন কে-ই একসাথে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে। 
জাহিদ ও নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনা,সেও সবার সাথে নিজের দুঃখ টা ভাগ করে নেয়। 
মন ওঝার করে কান্না করতে থাকে সবাই। 
,

,
তো এবার কি আমি একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য আপনাদের হাত থেকে ছাড়া পেতে পারি(আমি)!
এই বলে একটু জোরে হেঁসে দিলাম।
আমার কথা শুনে আব্বু-আম্মু দু'জনেই মনে হয় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। তাঁরা দু'জনে আমার দিকে তাকিয়ে অনেক জোরে শব্দ করে হেঁসে দিলেন। তারপর তাঁরা দু'জনে আমাকে আর বেশি প্রশ্ন না করে সোজা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিতে বললো। আর এটাও বললো যে,সকালের নাস্তা নাকি সবাই আজকে একসাথেই খাবে,এই  বলে আম্মু নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে ওয়াশরুমের দিকে চলে গেলেন। আম্মুর সাথে সাথে আব্বুও ওয়াশ রুমের দিকে চলে গেলেন। 
তাঁদের কে দেখে মনে হচ্ছে যে,তাঁরা অনেক খুঁশি হয়েছেন আমাকে দেখে। 
আমিও আর দেরি না করে সোজা সিড়ি দিয়ে ওঠে আমার রুমের দিকে চলে গেলাম।
,
ঝর্ণা ছেড়ে দিয়ে সেটার নিচে আমি আমার মাথা দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আর মনে মনে ভাবছি যে,কি কি করবো এখন,কালকের  মধ্যেই আমাকে সবকিছু কমপ্লিট করতে হবে,আর পরশুদিন থেকে শুরু হবে আমার অভিযান। 
আর হ্যা নিজেকে ভালোভাবে তৈরী করতে হবে সবকিছুর মোকাবেলা করার জন্য,কেননা আমি আমার শক্তি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত সবকিছু জানিনা।।।
,

,
অনেক দিন পরে আজকে বাহিরে হাঁটতে বের হলাম। বাহিরের আবহাওয়া টা সত্যিই আজকে অনেক সুন্দর,যেটা বলে বুঝানো যাবে না। 
বিকেলের সময় যেহেতু তাই হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকে চলে গেলাম,সেখানে গিয়ে অবাক না হয়ে পারলাম না। 
কেননা আমি দেখলাম যে,মাঠের মাঝখানে অনেক মানুষ,আর তাঁরা সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু একটা দেখছে। যেটা আমার কাছে মোটেও সুবিধাজনক মনে হচ্ছিল না,তাই আমি আস্তে আস্তে মাঠের ভেতরে প্রবেশ করলাম। লোকজনের ভির ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলাম এবং সফলও হলাম এগিয়ে যেতে। সামনে গিয়ে আরেক দফা অবাক হলাম,
কেননা আমার সামনে দেখতে পেলাম যে,অদ্ভুত রকমের একটি পাখি মাটিতে পড়ে আছে। অদ্ভুত বললাম তাঁর কারন হলো,এমন পাখি আমি আমার জীবনেও দেখিনি কেননা পাখিটির গায়ের রং হলো  ব্লাক কালার,এর মধ্যে আবার কিছু কিছু জায়গায় হোয়াইট কালার দিয়ে কিছু একটা লিখা রয়েছে যেটা কোনো দেশের ভাষা আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো,পাখিটির পালকের উপর দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট কাঁটার অভাব নেই। পাখিটি মুখ থোবরে পড়ে  আছে। তাঁর মানে হয়তো-বা পাখিটি অসুস্থ নয়তো এটা মারা গেছে। কাঁটার ভয়ে এবং সবার কাছে এই পাখিটি অচেনা বলে একে কেউ স্পর্শ করতে পারছেনা। সবাই ভয় পাচ্ছে এটার কাছে যেতেও।
পাখিটিকে দেখে কেন যেন আমার খুব মায়া হলো,যাঁর কারনে আমি স্পিড মোডে চলে গেলাম,সবকিছু স্লো-মোশন হয়ে গেলো। আমি এবার পাখিটির একদম কাছে চলে গেলাম,তাঁকে স্পর্শ করতে গিয়েও আবার কেন যেন স্পর্শ করলাম না,আমি আমার ইচ্ছা শক্তিতে কাজে লাগিয়ে হাতের ইশারায় পাখিটিকে মাটি থেকে তুলে নিলাম এবং আকাশ দিয়ে উড়তে উড়তে চলে আসলাম আমার রুমে। ভেতরে আসতে এতো টাও কষ্ট হয়নি আরকি,রুমে আসার সাথে সাথে আমি নরমাল মোডে চলে আসলাম। সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেলো। আমি সেই অদ্ভুত পাখিটিকে আমার টেবিলের ওপরে আস্তে করে রেখে দিলাম। 
আমি বুঝতে পারছিলাম না যে,কিভাবে এটাকে বাঁচাবো কি করবো আমি আমার মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। হঠাৎ করে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি চলে আসলো। 
,

,
আমি লাফ দিয়ে হাওয়ার মধ্যে ভেসে রইলাম,এবং নিজের হাত দু'টো দু'দিকে প্রসারিত করে কিছুক্ষন মন্ত্র আওরাতে লাগলাম,

,,,,,,,,,(ও্রঁধ্রল্মঁস্রাহ্রঁ),,,,,,,,,

হঠাৎ করেই ঘরের ভেতরে তীব্র বেগে ঝড়ো বাতাস বইতে লাগলো। এতো প্রবল বাতাস বইতে লাগলো যে,কোনো মানুষ এখানে থাকলে সে এইসব কান্ড দেখে ভয়েই তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলতো।
আবার হঠাৎ করে সব ঝড়ো বাতাস বইতে বন্ধ করে দিলো। আর সেই বাতাসের মধ্যে থেকে ছোট্ট একটা বাতাসের কুন্ডলী তৈরী হলো এবং সেটা ভেতর থেকে একটা আওয়াজ ভেসে আসলো।
,
হুকুম করুন মালিক(বাতাসের ভেতর থেকে বলে উঠলো)!
,
এই অদ্ভুত পাখিটির পরিচয় কি তুমি আমাকে দিতে পারবে। আর এর হয়েছে টাকি সেটা আমাকে বলো(আমি)!
,
তারপর সেই ছোট্ট বাতাসের কুন্ডলীটা আস্তে আস্তে টেবিলের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো,টেবিলের কাছে যেয়ে পাখিটিকে ভালোভাবে দেখতে লাগলো বাতাসের কুন্ডলীটা।  
কিছুক্ষন পর বাতাসের কুন্ডলীটা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো যে,
আমার মালিক। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন এই পাখিটি কে আর এই পাখিটি কি কি করতে পারে।  কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছিনা এটি এখানে কি করে এলো।
,
এই পাখিটির নাম হলো,ডার্ক বার্ড । 
এই পাখিটির বাসস্থান কোথায় সেটা আজপর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। আর এই পাখিটির পালকের উপরে যে হোয়াইট কালার রঙ দিয়ে কিছু লিখা আছে,সেটা হলো এই পাখিটির বাসস্থান সম্পর্কে কিছু ধারণা মাএ। কিন্তু এই লিখা গুলো আজপর্যন্ত কেউই পড়তে পারেননি,কেউই না। আর এই পাখিগুলোর সরদার ছাড়া তাঁরা কেউই তাঁদের বাসস্থানে পৌঁছাতে পারে না। আর এই পাখিটি মনে হয় নিজেদের দল থেকে আলাদা হয়ে গেছে কোনো এক কারনে,যাঁর কারনে সে তাঁর সঙ্গিদেরকে হারিয়ে ফেলেছে।  আর তাঁদেরকে খুঁজতে খুঁজতে সে এই পৃথিবীতে এসে গেছে ভুলে। আর সে যখন পৃথিবীতে অবতরণ করে তখন ছিলো রাত আর আজ সকালের আবহাওয়া তো খুবই ঠান্ডা ছিলো,মানে রোদের ছিটি ফোটাও ছিলো না,কিন্তু দুপুরে যখন রোদ উঠে তখন সেই রোদের আলোটা পাখিটির শরীরে লাগার সাথে সাথে পাখিটির ছটফটানি শুরু হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে পাখিটির দমবন্ধ হয়ে যায়। এদের মৃত্যু নেই সহজে কিন্তু তাঁরা নিজেরা চাইলে নিজেদের কে মারতে পারবে,কিন্তু সেটা করতে হলে তাঁদেরকে অনেক কাজ এবং সেই সাথে কিছু নিয়মও পালন করতে হবে। 
এই পাখিটির শক্তির একমাত্র উৎস হলো,অন্ধকার,এরা আলোতে একমুহূর্তও টিকতে পারেনা কোনো তীক্ষ্ণ আলো এদের শরীরে স্পর্শ করার সাথে সাথে এদের দম বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে এই পাখিদের নাম ডার্ক বার্ড দেওয়া হয়েছে। 
আর  এদের শরীরের পালকের উপরে যে ছোট্ট ছোট্ট কাঁটা রয়েছে ওগুলোতে খুবই মারাত্নক রকমের বিষ থাকে। এই বিষের পরিমান এতোটাই শক্তিশালী যে,আপনি পর্যন্ত এই বিষে কাহিল হয়ে যেতে পারেন,আর মানুষের কথা নয় বাদই দিলাম। 
আর এই পাখিটিকে বাঁচানোর উপায় বলতে কোনো উপায়ই আমাদের হাতে নেই এখন। 
,
এতোক্ষন নিজের বিছানায় বসে বসে হাওয়ার কুন্ডলীর কথা খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। কিন্তু যখনই শুনতে পেলাম যে,এই পাখিটিকে নাকি বাঁচানো যাবে না,এটা শুনে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেলো। আর আমি একটু জিদ নিয়ে তাঁকে বললাম যে,
এটা কি করে হতে পারে,একে বাঁচানোর কোনো না কোনো উপায় তো নিশ্চয়ই আছে,থাকলে তারাতাড়ি বলো(আমি)!
,
উপায় বলতে,হ্যা একটা উপায় আছে, যে একটা উপায় আছে সেটার মধ্যে খুবই মারাত্মক রকমের ঝুঁকি আছে,আপনার জীবনও যেতে পারে এতে। 
,
যেমন(আমি)!
,
আপনি হয়তো-বা জানেন যে,কোনো ড্রাগনরা তাঁর পাওয়ার দিয়ে অন্য কাউকে ঠিক করতে গেলে আগে তাঁর শরীরে নিজের হাত রেখে কাজটি করতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে এখানেও এই পাখিটির ওপরে হাত রেখে একে আপনার কিছু শক্তি দিতে হবে আলোর মধ্যে সবসময় টিকে থাকার জন্য। এতে করে সে আপনার গোলামত্বও স্বীকার করতে পারে। এর শক্তির কোনো সীমা নেই আপনার মতো,এরা এদের মালিকের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে। শেষ পর্যন্ত এরা এদের মালিকের জন্য নিজের জীবন দিয়ে হলেও কাজ করে। কিন্তু আফসোস কেউই এদের একজনকে কন্ট্রোল করার চিন্তা তো দূরের কথা কল্পনাও করতে পারে না,কিন্তু আপনি চাইলে যে সব করতে পারেন। আর একে যদি আপনি কন্ট্রোল করতে পারেন মালিক,তাহলে আপনি মনে হয় না ব্লাক ড্রাগননের সাথে যুদ্ধে হারবেন। 
আর এই ডার্ক বার্ডের উপরে হাত রাখতে গেলে তো ওই বিষাক্ত কাটা গুলো আপনার হাতে ঢুকে যাবে এবং সেই সাথে আপনার মরনের ঝুঁকিও আছে(হাওয়ার কুন্ডলীটা)!
,
আমি কোনো কিছু না ভেবেই বলে দিলাম যে,আমি মরলে মরলাম কিন্তু আমি এই নিরপরাধ পাখিটিকে মরতে দিতে কখনোই পারিনা। মহান আল্লাহ তায়া’লা আমাকে শক্তি দিয়েছেন শুধু মাএ নিজেকে বাঁচানোর জন্য না সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্যও। আর আমার জন্য যেহেতু একটি অমূল্য পাখির জীবন বেঁচে যায় তাহলে এতে আমার কোনো আফসোস নেই(আমি)!
এই বলে আমি বিছানা থেকে উঠতে যাবো,তখন হাওয়ার কুন্ডলীটা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
,
মালিক কাজটা কিন্তু অত্যন্ত বিপদজনক + ঝুঁকিপূণ। বিষয় টা যদি একটু ভালোভাবে ভেবে দেখতেন,তারপর না-হয় আপনার যেটা মন চায় সেটাই করবেন(হাওয়ার কুন্ডলীটা)!
,
আমি যখন বলেছি ওই পাখিটিকে বাঁচাবো,তো অবশ্যই বাঁচাবো(আমি)!
এই বলে আমি আমার বিছানা থেকে উঠে আস্তে আস্তে টেবিলটির দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। 
,

,
মহারাজ আমরা আমাদের রাজ্যের সামনের জঙ্গলের শেষ সীমানায় একটা গুহার খোঁজ পেয়েছি কিন্তু আমরা কেউই বুঝতে পারতেছিনা যে,সেটা কিসের গুহা। আর এটাও বুঝতে পারছিনা যে,গুহাটি আসলে কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে,গুহার পথ ভালোভাবে দেখে সেটার ব্যপারে জানার জন্য আমরা দু'জন প্রহরীকে গুহার ভেতরে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তাঁরা কেউই এখনো ফিরে আসেনি। এখন কি করবো আমরা(লাল টকটকে দু'টো চোখের মালিক)!
,
সামনের জনের কথা শুনে সিংহাসনে বসা লোকটির মুখে এক শয়তানী হাসি দেখা গেলো।
এবং সে নিজেকেই নিজে বললো যে, 

,,,,,,অবশেষে তাহলে পেয়েই গেলাম,,,,,, 

,

,
আমি গিয়ে টেবিলের একদম কাছে দাঁড়িয়ে গেলাম। এবং নিজের মুখটি একদম পাখিটির সামনে নিয়ে গেলাম,ভালোভাবে পাখিটিকে দেখতে লাগলাম এবং মনে মনে ভাবতে লাগলাম যে,এই ছোট্ট একটি পাখির নাম নাকি ডার্ক বার্ড,আবার এই পাখিটির শক্তির নাকি কোনো সীমা নেই। আবার নাকি এর কাটা গুলো এতোটাই মারাত্মক যে,আমার মতো একজন ভবিষ্যৎ ড্রাগন কিং কেও কাবো করতে ফেলতে পারে।
কেম্নে সম্ভব এগুলো,কেম্নে। 
এসব কথা ভাবতে ভাবতে নিজের ডান হাত টা আস্তে আস্তে পাখিটির সামনে নিয়ে নিলাম,মনে মনে আল্লাহ কে স্বরন করছি বেঁচে থাকবো কিনা মরে টরে যাবো বুঝতে পারছিনা। ভয় যে করছেনা তাও কিন্তু না হাল্কা একটু ভয় করছে আরকি। ভয় কে দূর করে পাখিটিকে ধরতে নিলাম। সর্বোচ্চ এক চুল পরিমান ডিফারেন্ট আমার হাতের আঙুলের মধ্যে এবং পাখিটির মধ্যে ঠিক তখনই আমার কান দু'টো খাঁড়া হয়ে গেলো।
সিঁড়ি দিয়ে ওপরে আমার রুমের দিকে আসছে কেউ,আমি তারাতাড়ি আমার হাতটা পাখির ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে পেছনে বাতাসের ছোট্ট কুন্ডলী টির দিকে তাকালাম আর সাথে সাথে বাতাসের কুন্ডলী টা গায়েব হয়ে গেলো। আর আমি ততক্ষনাৎ সামনের দিকে পাখিটির দিকে তাকালাম শুধু আর ওটাও ততক্ষনাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলো নিজ জায়গায়ই।
আর সাথে সাথে আম্মু আমার রুমের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো। এবং আমাকে বললো যে,
,
তুই না একটু আগে বাহিরে বের হয়ে গেলি আবার এতো তারাতাড়ি বাড়ি ফিরে এলি যে। যাই হোক একটু নিচে আয় তো,তোর আব্বু নাকি তোর সাথে কিছু জরুরি কথা বলতে চায়(আম্মু)!
,
আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু,আপনি নিচে যান আমি এখুনি নিচে আসছি(আমি)!
,
আচ্ছা ঠিক আছে,তাহলে আমি গেলাম,তারাতাড়ি আসিস(আম্মু)!
,
আম্মু আমার রুম থেকে চলে যেতেই বুক ভরা নিশ্বাস নিলাম,এবং আমিও নিচে গেস্টর রুমের দিকে যেতে লাগলাম। 
গেস্ট রুমে ঢুকতেই দেখলাম যে আব্বু খাটে বসে বসে টিভি দেখছে আর আম্মু সোফায় বসে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। হঠাৎ করে আব্বু আমাকে বললো যে,
,
ওখানে দাঁড়িয়ে রইলে যে,ভেতরে আসোনা কেন(আব্বু)!
,
আমি গিয়ে আম্মুর সাথে এক সোফায় বসে পড়লাম। আর রেডি হলাম আব্বু যা বলে সেগুলো নিজের কান দিয়ে ভালোভাবে ঢুকাতে।
,
আমি জানিনা তুমি এতোদিন কোথায় আছিলে,আর জানতেও চাইনা সেই সব কথা। আমি জানি যে,তোমার উপর দিয়ে এই কয়েকটি দিন প্রচুর পরিমানে ধকল গেছে তাই বলছিলাম কি এই কয়েকটি দিন তুমি কোথাও ঘুরতে যাও। এতে করে তোমার মনটাও অনেক ফ্রেশ হবে এবং তোমার নিজেরও অনেক ভালো লাগবে,আর সেই সাথে নতুন অভিজ্ঞতাও হবে(আব্বু)!
,
আব্বুর কথা শুনে মনটা আনন্দে ভরে গেলো,আর সেই সাথে নিজের মুখ দিয়ে আপনা-আপনি বলে ফেললাম যে,
আমিও এটাই ভাবতেছিলাম(আমি)
,
আমার কথা শুনে আব্বা-আম্মু দু'জনেই আমার দিকে ভূরু কুচঁকে তাকালো,,আর এতে আমি একটু সমস্যায় পড়ে গেলাম।। তখনই আব্বু বলে ফেললো যে,
তো কোথায় যাবে,কবে যাবে,কিভাবে যাবে,সাথে কে কে যাবে কিছু কি চিন্তা ভাবনা করে রেখেছো নাকি(আব্বু)!
,
হু চিন্তা তো করে রেখেছিলাম আরকি। 
যাবো তো পাহাড়ি কোনো এলাকায়,কালকে যাবো,আর গাড়িতে করে যাবো গাড়ির ব্যবস্থা আমি করে নিবোনি,আর আমার সাথে দু'জন যাবে,তাঁরা আমার খুব কাছের ফ্রেন্ড(আমি)!
,
ছেলে ফ্রেন্ড নাকি মেয়ে ফ্রেন্ড(আব্বু আর আম্মু একসাথে বলে ফেললো)!
,
তাঁরা যেভাবে বললো যেন মনে হলো,মেয়ে ফ্রেন্ড হলে আমাকে চিবিয়ে খেতো নয়তো তাঁদেরকে দেখতে চাইতো। যাইহোক আমি একটু ভাব নিয়ে বললাম,
মেয়ে ফ্রেন্ড আমার কপালে নেই(আমি)!
এই বলে আমি আমার রুমে চলে আসলাম।। 
আর এদিকে আব্বু আম্মু কিছুই বুঝতে পারলোনা আমার কথার। তাই তাঁরা তাঁদের নিজেদের কাজ করতে চলে গেলো।
,

,
নিজের রুমে এসে টেবিল টির দিকে তাকাতেই সেখানে সেই ডার্ক বার্ড পাখিটি আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হতে লাগলো।
,
আমিও আর দেরি না করে ঘরের দরজা জানালা সব ভালোভাবে আটকে দিয়ে,পাখিটির একদম সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম।
,
পাখিটির ওপরে নিজের ডান হাতটা রাখলাম,আর সাথে সাথে পাখির পালকের কাঁটা গুলো নিজের হাতে ঢুকে গেলো। নিজের চোখ দু'টো বন্ধ করতেই আমার শরীর থেকে পাখিটির শরীরে লাল রশ্মিগুলো একে একে  প্রবেশ করতে লাগলো। আর এদিকে আমার ডাব হাতটাতে অসহ্য যন্ত্রনা শুরু হতে লাগলো আস্তে আস্তে যন্ত্রনার পরিমান টা বাড়তে শুরু করে দিলো,প্রথমে যন্ত্রনাটা হাতে করছিলো কিন্তু যন্ত্রনাটা এখন ধীরে ধীরে আমার পুরো শরীরে ছড়াতে লাগলো। যন্ত্রনাটা এতোটাই হতে লাগলো যে আমার মনে হচ্ছে আমার শরীর কিছুক্ষনের ভেতরেই আগুনে পুড়ে পুরো ঝলছে যাবে।
হঠাৎ করে আমার হাতটা আপনা-আপনি পাখিটির ওপরে থেকে সরে এলো,আর সাথে সাথে আমি রুমের ফ্লোরের মধ্যে ধপাস করে পড়ে গেলাম। 
,

,
বিশাল বড় একটা জঙ্গলের মধ্যে একটা উঁচু ঢিবির মধ্যে অন্ধকার একটা গুহার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাহিদ এবং তাঁর সাথে কেউ একজন। আর তাঁদের দু'জনের ওপর দিয়ে একটা বিশাল বড় পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে,আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে। পাখিটির শরীর থেকে এতো পরিমানে কালো ধোঁয়াটা বেরুচ্ছে যে,সেটা এই অন্ধকারের মধ্যেও পুরো স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। 
,
হঠাৎ করেই আমি আমার পাশের লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বললাম যে,
তাহলে মৃত্যুর পুরির যাএা শুরু করা যাক।
কি বলেন,সেনাপ্রধান(আমি)!
আমার কথার উওরে সে শুধু একটি মুচঁকি হাসি ফেরত দিলো।
,

,
                ,,,,,,,,,,,,,,প্রশ্ন,,,,,,,,,,,,,,, 

১ঃ ধোঁয়ার কুন্ডলীটা আসলে কে ছিলো,আর কেনই বা আমাকে তাঁর মালিক বলছিলো???

২ঃ জাহিদের কি এমন হলো যার কারনে সে ফ্লোরের মধ্যে পড়ে গেলো,সে কি ডার্ক বার্ডকে জীবিত করার জন্য যেটুকু শক্তি দরকার সেটুকু দিতে পেরেছি নাকি সেটুকু শক্তি দেওয়ার আগেই ফ্লোরে পড়ে গিয়েছে??? 

৩ঃ আর সেনাপ্রধান এখানে কোথা থেকে আসলো। আর মৃত্যু পুরী বলতে উপরে কোন স্থানের কথা বুঝানো হয়েছে???
,

,

,,,,,,,,,,,,,,,,,,শব্দ সংখ্যা(৩২৩৫) ,,,,,,,,,,,,,,,,

,

,

।।
।।।
।।।।
।।।।।
১৯ পার্টটা অনেক বড় করে দিলাম। কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। 
★হ্যাপি রিডিং★

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.