ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ৩ পর্বঃ ১৬(শেষ)

Bangla Dub Novels
#জলপরীর_প্রেমে#
#সিজন_3#
পার্টঃ১৬
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমার কথা শুনে লু চিন অনেক রেগে গেলো। কিন্তু আমি বুঝলাম তিনি অনেক শান্ত দেমাকের এলিয়েন। আমি তার অবস্থায় হলে হয়তো নিজের কাবু হারিয়ে এখনি যুদ্ধ করতাম। কিন্তু সে হয়তো আমার দুর্বলতার খোজ করবে এখন। আর আমি নিজেই জানি আমার দুর্বলতা গুলো কি কি? এমনিতেও মুভি এবং বিভিন্ন কমিকস এ আমার ফেবারিট ক্যারাক্টার হলো ভিলেন। তাদের সব গুলো মুভই আমার সুন্দর করে জানা আছে। যখন হিরোকে হারাতে পারে না তখন তারা হিরোদের দুর্বলতা খুজে। আর বেশীরভাগ হিরোদের দুর্বলতাই থাকে তাদের আপন জন। আর আমার আপনজন সবাই এখন সুরক্ষিত আছে। তাছাড়া লু চিনের কোনো বুদ্ধিই এখন কাজে দিবে না। কারন আমার এই শক্তি আর ক্ষমতা সম্পর্কে কেউই জানে না। না জানলে তারা আমার দুর্বল পয়েন্ট ও ধরতে পারবে না। আর এতে করে তারা হেরেই যাবে। আমার শক্তি সম্পর্কে লু চিন হয়তো এখন ধারনা পেয়ে গেছে কারন আমি একাই কোনো অস্ত্র ছাড়া তার পুরো স্পেসস্টেশন ধ্বংস করে দিয়েছি এতে করে লু চিন হয়তো কিছুটা ভয় পেয়েছে। কিন্তু পুরো ভয় পাবে তো সে যুদ্ধের ময়দানে। দেখা হবে যুদ্ধের ময়দানে। 
আমি সেখান থেকে টেলিপোর্ট হয়ে সোজা হৃদিতার কাছে চলে আসলাম।
.
--মহারাজ সব নষ্ট পার্টস এবং ধ্বংস হওয়া স্পেসশীপ সবগুলো পানিতেই পরতেছে।(জিনিয়া)
.
--আমার বলা কাজ করেছেন না আপনারা?(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ। একটা বিশাল হোল করে দিয়েছি আমরা। আর সব পানি পাতালপুরীতে চলে গেছে। সেখানের রাজা সবাইকে টেলিপোর্ট করে নিয়ে লু চিনের নতুন রাজ্যে নিয়ে গেছে।(জিনিয়া)
.
--তাহলে এখন কি সুনামি হওয়ার ভয় আছে?(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ এখনো সুনামির ভয় আছে।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
আমি আর এখানে থাকলাম না। কারন এখনো অনেক জিনিস পানিতে পরতেছে। আর এই সব কিছু তেমন waterproof ও না যে এগুলোকে আমার রক্ষা করতে হবে। আমার তো রক্ষা করতে হবে মানুষদের। সুনামি হলে বিশাল সংখ্যক মানুষের প্রান চলে যাবে। আর সেটা আমি হতে দিতে পারি না। আমি একদম টেলিপোর্ট হয়ে যে জায়গায় এই জিনিস গুলো পরতেছে সেই জায়গায় গেলাম। আর দেখতে পেলাম আর কিছু জিনিস পানিতে পরলে প্রথমে ছোট খাটো একটা সুনামির তৈরী হবে পরে এটা বিশাল হয়ে যাবে। আমি মুচকি হাসলাম। কারন পানি আমার হুকুমের বিনা একটা সুনামির তৈরী করতেই পারবে না। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। আশে পাশের সব পানিকে এক সাথে অনুভব করতে লাগলাম। পুরো পানিকে প্রথমে শান্ত করে দিলাম। তারপর আমার লাল জাদু দিয়ে একটা জাল বানালাম। সেটা আমি এই পুরো অঞ্চলের মধ্যে ঘিরে দিলাম। এবার পানি আর এই অঞ্চলের বাইরে আসতে পারবে না। জিনিসগুলো পরলে এর ভিতরেই পানির আকার বড় হবে কিন্তু বাইরে আসবে না। যখন সব পরা শেষ হয়ে যাবে তখন এটা আস্তে আস্তেই পানি বের করে দিবে। সুনামির আর কোনো ভয় নাই। হঠাৎই আমার মাথায় একটা খেয়াল আসলো। খেয়ালটা খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিলো। এমন খেয়াল আমি আগে করতে পারি নাই। আমি যেভাবে হারার পর টাইমমেশিন দিয়ে পুরাতন সময়ে চলে আসছি। ঠিক এভাবেই তো লু চিন ও টাইমমেশিনের ব্যবহার করতে পারে। টাইমমেশিন তো আর একটাই তৈরী হয় নাই। এটা এলিয়েনরাই তৈরী করেছে। আর এটা লু চিনের কাছে থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। কারন তারা হয়তো এটাও তৈরী করে ফেলছে। কারন তাদের বিজ্ঞান অনেক উন্নত আমাদের থেকে। আমি আর এখানে সময় নষ্ট করলাম না। আমি সোজা সোজি চলে আসলাম হৃদিতার কাছে। আমি কারো সাথে সেখানে কথা বললাম না। এই জিনিসটা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে শুধু। আসলেই তো তারা এটার ব্যবহার ঠিক আমার মতোই করতে পারে। যদি তারা সেটা ব্যবহার করে আমার এসব শক্তি পাওয়ার আগেই আমাকে মেরে নতুন ভবিষ্যত তৈরী করে তাহলে কি হবে? আমার মতে এটা সম্ভব না। কিন্তু যাদের থেকে এই টাইমমেশিন নিয়েছিলাম সে তো ঠিকই বলেছিলো এসব আবার বদলানো যাবে। তাই তারা ভয় পেতো না। তাহলে কি লু চিন ও এটা ব্যবহার করে আমাকে হারাবে। এই জিনিসটা নিয়ে এখন আমিই অনেক ভয় পাচ্ছি। আমি লিফট নিয়ে উপরে উঠে গেলাম। চলে আসলাম বিশ্রাম করতে একটু৷ আমার সাথে সাথে হৃদিতাও চলে আসলো
.
--কি হলো আপনাকে চিন্তিত লাগছে।(হৃদিতা)
.
--একটা বিষয় নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত।(আমি)
.
--কোন বিষয়?(হৃদিতা)
।।।
।।।
আমি হৃদিতাকে আমার কথাগুলো বলে দিলাম। এগুলো শুনে ও কিছুক্ষন চুপ রইলো তারপর বলতে শুরু করলো।
.
--আপনার চিন্তার কোনো কারন নাই। আপনাকে কাউকে কিছু করতে হলে প্রথমে আমাকে মোকাবেলা করতে হবে। লু চিন যদি পুরাতন সময়ে যেয়েও থাকে তাহলেও কিছুই করতে পারবে না কারন আপনার পাশে সব সময় আমি থাকবো।(হৃদিতা)
....
।।।
ওর কথাটা শুনে আমি কিছুটা শান্ত হলাম। আসলেই তো আমার ভয়ের কারন কি। আমি তো আর লু চিনের মতো ভুল করবো না। যে কিনা অনেক ইনোসেন্ট এলিয়েনদের জীবন নিয়েছে এখন চোখ দিয়েছে আমার পৃথিবীর উপরে তাকে তো আর আমি বাচিয়ে রাখবো না। এক কোপেই তার মাথা আমি আলাদা করে দিবো। সামনে যুদ্ধটা বেশী ভয়ানক হবে না। কারন আমি বেশী সময় নষ্ট করবো না এটা শেষ করতে। কারন সময় নষ্ট করলেই হয়তো লু চিন সুযোগ পেয়ে যাবে তার সেনা নিয়ে চলে যাওয়ার। আচ্ছা দেখা যাক কি হয়। আমাকে তিন দিনের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তার আগে আমাকে কালকে দানব রাজ্যে যেতে হবে। দানব রাজ্যের টেকনোলজি তেমন উন্নত না হলেও একটা জিনিস সেখানে উন্নত কারন কোনো ধরনের টেলিপোর্টেশন ডিভাইস দিয়ে ওটার মধ্যে যাওয়া যাবে না যদি না দানবরা না চাই। তবে আমাকে এখন একটু দানব রাজ্যে যেতে হবে৷ অনেকদিন হলো আমি বাবা মা আর আমার বোন হৃদিকে দেখি না৷ তার সাথে নিলাকে দেখার অনেক ইচ্ছা জাগতেছে। আকাশপুরী থেকে চলে আসলাম কিন্তু মোহনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। ঔটাকে কিছু করতে চাইছিলাম তবে দেখাই হলো না। আচ্ছা দেখা না হলেও পরে ওর কিছু একটা করতে পারবো। আগে আমাকে দানব রাজ্যে যেতে হবে। কিন্তু আমি সেখানে যোগাযোগ করবো কিভাবে। আমার আগের স্যাটালাইট ফোনটা এখন আর নাই। সেটার সাহায্যে আমি যে কাউকেই ফোন দিতে পারতাম। সেখানে আমার দানব রাজ্যের সেনাপতি রনইক দের নাম্বারও ছিলো। কিন্তু এখন আপাতোতো সেটা আমার কাছে নাই। এখন কার মতো আমাকে রেস্ট নিতে হবে। কারন পাওয়ার ব্যবহার করলে অনেক ঘুম আসে আমার। আর একটু আগে আমি যে ধ্বংস করে আসলাম তাতে ঘুমে আমি চোখে কিছুই দেখতে পারতেছি না। হৃদিতা একবার আমার বুকের দিকে তাকালো শার্টের বোতাম খুলে। কামড়ের দাগ একদম কালো হয়ে গেছে। আর আশে পাশের জায়গা সহ আমার গলার অনেকটা জায়গা কালো হয়ে গেছে। হৃদিতা আমার গলায় কিছুক্ষন হাত বোলাতে লাগলো। তারপর আমার বুকের উপরে শুয়ে রইলো। আমি আস্তে আস্তে ওর চুল নিয়ে খেলা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম। 
আমার ঘুম ভাঙলো ঠিক তিনদিন পর। আমি নিজেও কনফিউজড ছিলাম এত বড় ঘুম আমি দিয়েছি বলে। তবে এই জিনিসটা হৃদিতা আমাকে বলেছে। যখন আমি কালো শক্তির ব্যবহারের মাত্রা বাড়িয়ে দিবো তখন এটা রেস্ট নেওয়ার জন্য কিছু সময় নেই। তখন আমাদের শরীরের সাথে এই শক্তিও গভীর ঘুমে থাকো। এতে করে দুটোই আবার নতুন ক্ষমতা ফিরে পাই। আমার মাথায় এখন নতুন চিন্তা চলে আসলো। কারন এরমাঝেই হয়তো লু চিন কোনো প্লান করে ফেলছে। আর সেটা সম্পর্কে আমি হয়তো কিছুই জানি না। 
আমি সেখান থেকে উঠলাম। এবং উঠার পরই আবার নিচের সেই জায়গায় চলে আসলাম। এটার নাম দেওয়া আছে একটা এখন খেয়াল করলাম। এরা এটার নাম দিয়েছি p sector। আমি এখানে আসতেই বললাম।
.
--আমাকে কি ডাক দেওয়া উচিত ছিলো না?(আমি)
.
--আপনার অনেকটা এনার্জি ব্যবহার করা হয়েছিলো তাই আমরা ভেবেছিলাম সেটার একটু রেস্ট দেওয়ার দরকার ছিলো।((জিনিয়া)
.
--এর মাঝে তো তারা নতুন কোনো প্লান ও করে ফেলছে হয়তো।(আমি)
.
--উহু তারা কোনো রকম প্লান করে নি। বরং তারা তাদের সেনা নিয়ে সাহারায় দাড়িয়ে আছে।(হৃদিতা)
.
--কি সাহারা?(আমি)
.
--হ্যা। তারা যুদ্ধের দরুন কোনো কিছু নষ্ট করবে না তাই একটা বিরান মরুভূমির বেছে নিয়েছে।(জিনিয়া)
.
--ওকে তাহলে কমান্ডার আপনি আপনার সেনাকে নিয়ে এখনি পৌছে যান সেখানে।(আমি)
.
--আমি আপনারই অর্ডার এর অপেক্ষা করছিলাম। কিছু না করতে করতে পুরো বোর হয়ে গিয়েছি মহারাজ।(জিনিয়া).....।।।
।।।।
।।।।
জিনিয়া আর কোনো কথা বললো না। ও ওর কানে থাকা ব্লুটুথ ডিভাইস দিয়ে ওর সব সেনাকে অস্ত্র হাতে নিতে বললো। এমনিতেও ওদের অস্ত্রের কি প্রয়োজন ওরা এক একজন নিজেরাই অস্ত্র। তারপর জিনিয়া একসাথে সবাইকে টেলিপোর্ট করে নিয়ে গেলো সাহারাই। 
.
--আমাকে তাদের সেনাকে দেখান তো।(আমি একজনের উদ্দেশ্যে বললাম)
।।।।
।।।।
পুরো স্ক্রিনেই দেখতে পারছিলাম লু চিনের সেনা। সেখানে বেশীর ভাগই এলিয়েন আর বাকি সব পাতালপুরী আর আকাশপুরীর সেনা। তবে এরা আমাকে দেখলে পিছনে চলে যাবে সেটা আমি জানি। কিন্তু আমি আজকে এদের কাউকে রেহাই দিবো না। পুরো সেনাকে আজকে মেরে ফেলবো আমি। আকাশপুরী আর পাতালপুরীর সাধারন জনগনদের আমি কিছুই করবো না। কিন্তু এসব সেনাদের মধ্যে যারা আমার সাথে যুদ্ধ করতে রাজি হবে তাদের সবাইকে আমি মেরে ফেলবো আজকে।।।।
।।।
।।।
আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম এখন আমার ও যাওয়া যাক। আমিও পৌছে গেলাম সাহারায়। অনেক গরম বলতে হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই এটার অনুভূতি আমার এখন আর নেই এতো গরম আমার কাছে স্বাভাবিকই লাগছে। আমার হারকিউমাস সেনারা একটা বিশেষ ধরনের পোশাক পরে ছিলো যেটার জন্য তাদের শরীরও স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু বুঝতে পারলাম এলিয়েনদের অবস্থা টাইট হয়ে গেছে। আমাকে সেখানে সামনে থেকে দেখে আমার পুরানো সেনাগুলো ভয় পেয়ে গেলো। আমি তাদের দিকে একবার তাকালাম। আস্তে আস্তে উড়তে উড়তে মাঝে চলে আসলাম। কারন যেখানে ছিলাম সেখান থেকে কিছু বললে তারা কেউ শুনতো না।
.
--আমার পুরাতন সেনাদেরকে আমি বলতেছি। আমার ক্ষমতা সম্পর্কে তোমাদের কোনো ধারনাই নাই। যদি আমার থেকে মরতে না চাও তাহলে আমার সাইডে চলে আসো।(আমি)
.
--আপনার সাহস বেশী হয়ে গেছে। রুদ্রিসকে মেরেছেন বলে মনে করবেন না আমাদের কেও মেরে ফেলবেন। আগের বার তো খুব বার বেচে গেছিলেন। নাহলে আমাদের হাতেই মরতেন।(হিতান)
।।।।
।।।।
আমি আর কিছুই বললাম না। একটা ফায়ার স্লাইস বানালাম আর সেটা মারলাম হিতানের দিকে। সাথে সাথে হিতান দু টুকরো হয়ে গেলো। সবাই ভয় পেয়ে গেলো। আমার সেনার বেশীর ভাগ সেনারাই তাদের জীবন বাচাতে চলে আসলো আমার পাশে। বাকি কিছু যারা আমাকে দেখতে পারতো না তারাই শুধু ঔখানে দাড়িয়ে রইলো। 
.
--ওকে আমার পুরানো সেনারা আপনাদের কিছুই করতে হবে না। দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুধু সো টা ইনজয় করুন।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি আমার হারকিউমাস সেনাকে হুকুম দিলাম সামনে বারার জন্য। তারা সমান তালেই এগিয়ে গেলো। শুরু হয়ে গেলো প্লানেট ওয়ার। আমার সেনার কাছে এলিয়েনরা কিছুই না। কারন আমার সেনারা আমার থেকেও অনেক দক্ষ ফাইটার। সেই সাথে আবার হলুদ জাদুর অধিকারী। একটা এনার্জি বল মারলেই একটা এলিয়েন নাই হয়ে যাবে। যুদ্ধে লু চিনের সেনা খুব সহজেই হেরে যাচ্ছিলো। আমিও এবার লু চিনের কাছে চলে গেলাম। এতোক্ষন জিনিয়া লড়তে ছিলো লু চিনের সাথে আমাকে কিছুই করতে হয় নাই। আমি ভাবলাম শুরু করবো কিন্তু জিনিয়ার মারামারি একটু দেখতে চেয়েছিলাম তাই দাড়িয়ে ছিলাম। যেভাবে সে লু চিন কে হারিয়ে দিলো সেটা দেখার মতো। আমি ওর ফাইট এর দৃশ্য দেখে মনে পরলো একদম কালো বিধবার মতোই সে ফাইটে দক্ষ। এমন একটা ব*।।।। না আর এটা ভাবা যাবে না। এখন যা আছে আমি তাতেই খুশি। আমি হাটতে হাটতে লু চিনের কাছে চলো আসলাম। আসে পাশে এক বার তাকালাম দেখলাম আমার সেনারা প্রায় অনেক শত্রুদেরই মেরে ফেলছে। এখনো অনেক বাকি আছে তবে বেশীরভাগই তাদের জীবন নিয়ে পালাচ্ছে। আমি লু চিনের কাছেই আসলাম। আমার হাতে তলোয়ার নিয়ে নিলাম আমি। প্রথমে একবার ভাবলাম হয়তো মাফ করে দি। পরে আবার আমার ভিতরে ভিতরেই কেরেলা বলতে লাগলো মাফ কেনো করবি তলোয়ার তোর হাতেই আছে নে এবার গলা কেটে ফেল।
আমি তলোয়ার উঠিয়ে লু চিনের দিকে তুললাম তখনি সাইনা চিল্লিয়ে উঠলো।
.
--প্লিজ আমার বাবাকে মাফ করে দাও দরকার পরলে তুমি আমাকে মারো।(সাইনা ওর বাবার সামনে এসে বললো)
।।।।
।।।।
আমি তলোয়ার টা ফেলে দিলাম সাথে সাথে। আর সেটা অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমমার এবার সত্যি সত্যি দয়া হলো। কারন সাইনা কেদে দিয়েছে। আর লু চিনের মায়াবী চেহারা দেখে আমিও গলে গেছি। কিন্তু কে জানে মায়াবী চেহারায় হয়তো ভয়ঙ্কর কোনো প্লান ছিলো। আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ লু চিন আস্তে আস্তে হাসতে লাগলো।
.
--আমাকে তোমার মেরে ফেলা উচিত ছিলো। আমি এই বদনাম নিয়ে কখনোই বেচে থাকতে পারবো না। তাই আবারো ফিরে আসবো আমি। এবং এরপরে বড় সড় কিছু অপেক্ষা করবে তোমার জন্য। তবে সেটার জন্য তোমার কাছে আমার মেয়েটাকে রেখে যাচ্ছি। সত্যিই ভালোবাসে সে তোমাকে। তাই তার খেয়াল রাইখো।(মুচকি হাসি দিয়ে সাথে সাথে টেলিপোর্ট হয়ে গেলো লু চিন)
।।।
।।।
কোথায় গেলো মাথায় কিছুই ঢুকলো না। তবে যেখানেই যাক না কেনো অনেক বড় সড় কিছু একটা করবে পরের বার আর এটা আমি সিওর। কারন আমিও একবার পরাজিত হয়ে অনেক বড় সড় কিছুই করেছি। আর সেও এমন কিছুই করবে হয়তো। দেখা যাক কি করে সে। আশে পাশে দেখলাম লু চিনের সব এলিয়েন সেনারাও টেলিপোর্ট হতে শুরু করেছে। শুধু সাইনা বাদে সবাই টেলিপোর্ট হয়ে চলে গেলো। সাইনা হাটু গেড়ে বসে আছে। কি করবে বুঝতে পারতেছে না। কান্না করতেছে ও। আমি আমার নিজের হাত বাড়িয়ে দিলাম। 
.
--মন থেকে দুটো জায়গা কেটে গেছে। তোমার জন্য অনায়াসেই জায়গা বেড়ে যাবে।(হাত বাড়িয়ে বললাম)
.
--এছাড়া আমার আর কিছুই নাই।(আমার হাত ধরে বললো সাইনা)
।।।।
।।।।
আমি আপাতোতো একটা তৃপ্তির হাসি দিলাম। যাক আরেকটা যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলো। তবে এবার আমাকে কিছুই করতে হলো না। আমার সেনা এতোটাই শক্তিশালী যে বেশীক্ষন লাগলোও না জিততে আমাদের। আমি ফিরে আসলাম দ্বীপ রাজ্যে সব কিছু নিয়ে। আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করতে হবে। কারন একটা রাজ্য আপাতোতো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সাথে পৃথিবীর অনেক অংশ মেরামত করতে হবে। সব মিলিয়ে অনেক কাজ। দানব রাজ্যে গিয়ে নিজের পরিবার ও আনতে হবে। সব কিছু এখন আস্তে আস্তে করা যাবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(সমাপ্ত)
।।
।।।
।।।।
।।।।।
ধন্যবাদ সিজন ৩ এর সাথে থাকার জন্য। কালকে কিংবা পরশুদিন থেকে পাবেন আমার লেখা #ডাইভার্স গল্পের প্রথম সিজন। সেটার প্রথম সিজন শেষ হলেই এই গল্পের পরের সিজন পেয়ে যাবেন।😍😊

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.