ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ১৪

Bangla Dub Novels
 

#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ১৪
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

আর এদিকে এবলিং তাঁর নিজ জায়গা থেকে একটা লাফ দিয়ে অন্ধকারে বুকে হারিয়ে যায়। 
ম্যারি অনেক খোঁজাখোজির পরেও যখন সে এবলিং কে না পায় তখন সে শুধু একটা কথায় বলে,,,,,

,,,,,,,,,,আমার এবলিং,,,,,,,,,,

কি হয়েছে বাবা,আমাকে এতো জরুরী তলব পাঠালেন কেন(এবলিং)!
,
সেটা একটু পরেই বুঝতে পারবে কেন তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছি,তারাতাড়ি আমার সাথে আসো,তোমাকে একটা জিনিস দেখানোর বাকি আছে,যেটা দেখলে তুমি অনেক অবাক হবে(হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং)!
,
হ্যা চলেন তাহলে(এবলিং)!
,

,
,,,,,,,,,,,,,,আর এদিকে,,,,,,,,,,,,,,, 
,

,
বন্ধু তোর বাবা এবং তোর রাজ্যসহ সবকিছু তাঁরা সবাই মিলে ধংস করে দিয়েছে,কাউকে রেহাই দেয়নি তাঁরা কাউকে না। যাঁরা বেঁচে আছে তাদেরকে বন্ধি করে রেখেছে,এবং তাঁদের কে নানান ভাবে অত্যাচার করছে। তাঁদের কে গোলাম বানিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন তুই কি করবি(১ম ব্যক্তি)!
,
কিহ্ এটা তুই কি বলছিস,এটা কি করে সম্ভব,নাহ্ এ আমি বিশ্বাস করিনা,বিশ্বাস করিনা। আগে তুই এটা বল যে,তুই এসব কিছু কি করে জানলি(২য় ব্যক্তি)!
,
আমার শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত সব কিছু কিন্তু তুই জানিস,কোথায় কি হয় না হয় সেটা আমি মূহুর্তের মধ্যে জানতে পারি,আর তোর ব্যপারটাও আমি এভাবেই জানতে পেরেছি(১ম ব্যক্তি)!
,
এটা যদি সত্যি হয়,তাহলে কাউকে ছাড়বোনা আমি,কাউকে না(২য় ব্যক্তি)!
,
এই বলে ২য় ব্যক্তিটি আকাশের দিকে মুখ করে অনেক জোরে একটা হুংকার ছাড়ল,হুংকার দেওয়ার সাথে ওপর থেকে তাঁদের আশেপাশে প্রচুর পরিমানে ব্রজপাত পড়া শুরু করলো।
,

,
হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং এর পিছনে পিছনে তাঁর পুএ এবলিং যাচ্ছে তাঁকে ফলো করতে করতে। কোথায় যাচ্ছে সেটা এবলিং জানেনা,তাঁরা দু'জনে মিলে তাঁদের রাজ্য পারি দিয়ে অনেক দূরে একটা জঙ্গলের দিকে যেতে লাগলো,জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে বলে এবলিং এর মনে একটু সন্দেহ হলো তাঁর বাবাকে নিয়ে,কেননা সে তাঁর নিজের রাজ্য ছেড়ে সহজে কোথাও যায়না কিন্তু আজকে বের হয়েছে ঠিকই কিন্তু সে তাঁকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কেন,কি এমন জিনিস দেখাবে যেটা ওই জঙ্গলের ভেতরে আছে। বিষয় টা নিয়ে এবলিং মনে হয় একটু বেশিই সিরিয়াস ভাবে নিয়ে ফেলেছে,যার কারনে তাঁর মাথায় এই বিষয় নিয়ে নানান কথা ভাবছে।  
,

,
তাঁরা দু'জন যখন জঙ্গলের একদম একদম সামনে এসে যায়,ঠি তখনই এবলিং তাঁর বাবা হরলিং কে জিজ্ঞেস করে যে,
,
আচ্ছা বাবা আমরা জঙ্গলের দিকে কেন যাচ্ছি,আপনি তো বলেছিলে যে আমাকে অবাক  করার মতো কিছু একটা দেখাবেন,সেটা দেখানো বাদ দিয়ে আপনি আমাকে সাথে নিয়ে জঙ্গলের দিকে কেন যাচ্ছেন,বিষয় টা যদি আমাকে একটু খুলে বলতেন(এবলিং)!
,
তোমাকে কিন্তু আমি আমার পেছন পেছন আসতে বলেছি কোনো রকম কথা ছাড়া,তুমিতো জানোই যে আমি বেশি কথা বলা পছন্দ করিনা। আমার পেছন পেছন আসতে থাকো বাকিটা তুমি নিজে থেকেই বুঝতে পারবে(হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং)!
,
আচ্ছা ঠিক আছে,বাবা(এ-ই বলে এবলিং তাঁর নিজের মুখ টা একদম বন্ধ করে রাখল)!
,
তাঁরা দু'জন যেতে যেতে জঙ্গলের অনেক গভীরে চলে গেল,সেখানে অনেক বড় বড় গাছ রয়েছে যেগুলো গাছ দেখতে প্রায় একইরকম। আর তারপরেই কিছুক্ষন এগিয়ে গিয়ে হঠাৎ করে হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং বিশাল আকারের বড় নাম না জানা একটা গাছের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে,সেই গাছটি দেখতে অন্যসব গাছের চাইতে একটু ভিন্ন রকমের,গাছটার মধ্যে ভৌতিক ভৌতিক ভাব রয়েছে।  হরলিং এর থামার কারনে তাঁর সাথে সাথে তাঁর পুএ এবলিংও দাঁড়িয়ে যায়।
,
এবলিং কিছু একটা বলতে যাবে,ঠিক তখনই তাঁর মনে পড়ে যায় তাঁর বাবার আদেশের কথা। তাঁর বাবা তাকে কথা বলতে না করেছে,যতক্ষন পর্যন্ত না সে নিজে বলছে। 
,
এখন সামনে কি থেকে কি হয়,সেটা দেখার জন্য এবলিং সামনের দিকে তাকালো।
,
সামনের দিকে তাকিয়ে এবলিং অবাক হয়ে যায়।। 
এবলিং এর অবাক হওয়ার কারন হলো, 
,
এবলিং যখন সামনের দিকে তাকায়,তখন সে দেখে যে তাঁর বাবা হরলিং তাদের সামনের সেই নাম না জানা বড় গাছের নিচে বসে গাছের গোড়ালির কোনো একটা শিকড় আস্তে করে টান দিতেই,এবলিং কে অবাক করে দিয়ে সেই বড় গাছের নিচের অংশটুকু তে একটা দরজা তৈরি হয়েছে। যেটা দিয়ে তাঁরা দু'জনে অনায়সে ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। আর এটা দেখেই এবলিং প্রচন্ড রকমের অবাক হয়েছে। 
,
হরলিং কোনো কিছু না বলেই সেই গাছের তৈরী হওয়া অদ্ভুত দরজাটা পারি দিয়ে ওপাশে চলে যায়।
আর এবলিং এটা দেখে সে নিজেও দরজাটা পারি দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছিল,ঠিক তখনই দরজার ওপাশে থেকে বিদ্যুৎ গতিতে দু'টো হাত এসে এবলিং কে দরজার ওপাশে নিয়ে যায়। 
ঘটনাটা এতো তারাতাড়ি ঘটে গেল যে,এবলিং কোনো কিছুই বুঝতে পারলোনা।
,
ভেতরে প্রবেশ করার পরেই এবলিং অবাক চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলো,তাঁরা বিশাল বড় একটা রুমের মধ্যে অবস্থান করছে,এতোবড় একটা রুমের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপএ দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে,যার  কারনে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। একটু পরেই তাঁর সেই হাতের কথা মনে পড়তেই সামনে তাকিয়ে দেখল যে,তাঁকে যে দু'টো হাত টান দিয়েছে সেটা তাঁর বাবা এবলিং এর হাতই ছিলো। তাই সে তাঁর বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
,
আপনি তো আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে,আমি তো ভেতরে আসছিলামই তারপরও এভাবে ভয় দেখিয়ে ভেতরে নিয়ে আসলেন কেন। যাই হোক এবার বলেন যে,এই গাছের মধ্যে কিভাবে দরজাটা এলো,আবার দরজার ভেতরে দেখতেছি বিশাল বড় একটা রুম,এর ব্যপারে তো আগে আমাকে কেউ কোনো সময় কিচ্ছু বলেনি। আপনিও না আর আম্মুও না(এবলিং)!
,

,
এই গোপন দরজার কথা আমি ব্যতীত আর কেউই জানেনা,এমনকি তোমার আম্মুও না। আজকে তোমাকে এটা দেখানোর প্রয়োজন মনে হলো তাই দেখানোর জন্য নিয়ে আসলাম। আমি রাতে মাঝে মাঝে এখানে আসি,একটা সমস্যার কারনে। যেটার সমাধান আমি আজও বের করতে পারি নি। তাই ভাবলাম যে,তোমাকে বলে দেখি যদি কোনো সমাধান বের করতে পারো কিনা(হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং)!
,
কি সেই সমস্যা,যেটার সমাধান আপনি পর্যন্ত পারলেন না। বলেন দেখি সেই সমস্যার কথা,দেখি  কোনো সমাধান দিতে পারি নাকি(এবলিং)!
,
এর মাঝেই হঠাৎ করে হরলিং বলে যে,দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা না বলে চলো ওই সামনের চেয়ারটাতে আরাম করে বসে কথা বলি। তাহলেই বেশি ভালো হবে।
হরলিং এর কথায় এবলিং নিজেও সায় দিয়ে সামনের একটি চেয়ারে আরাম করে বসে পড়ে। আর তাঁর বিপরীত পাশে তাঁর বাবা হরলিং বসে পড়ে। এবার হরলিং বলতে শুরু করলো যে,
,
আমার বাবার বাবা,মানে তোমার দাদার বাবা ছিলেন একজন শক্তিধর গোল্ডেন ড্রাগন। সে কিছু সময়ের জন্য ভবিষ্যৎ দেখতে পারতো। ঠিক তেমনি ভাবে সে কোনো একটা ভবিষ্যৎ দেখে অনেক চিন্তিত হয়ে যায়,তারপরেই সে তাঁর নিজের প্রায় সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে একটা বই তৈরী করে। যেটার নাম হলো,,,

,,,,,,,,,,,,,,,,,(ড্রাগন পাওয়ার বুক),,,,,,,,,,,,,,,,,,

তিনি এই বইটা তৈরী করার কয়েকদিন পরেই শক্তির অভাবে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তখন সে তাঁর ছেলেকে(আমার বাবা মানে তোমার দাদাকে)বলেন যে,আমার সময় প্রায় ফুরিয়ে গেছে,আর বেশিক্ষন আমি জীবিত থাকতে পারবোনা,তাই আমি যা বলছি সেটা মন দিয়ে শুনে রাখো,ভবিষ্যতে তোমার নাতিনাতনি দের সময় বিশাল বড় একটা যুদ্ধ হবে। যেই যুদ্ধে তাদের রাজ্য ধংস হয়ে যাবে,তখন এই বই ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবেনা। এই বইটির মধ্যে আমি আমার প্রায় সম্পূর্ণ শক্তি দান করেছি। এই বইটি সহজে কেউই খুলতে পারবে না। যদি না সে আমাদের বংশের না হয়,তাহলে তো অসম্ভব। এই বইটি একমাত্র সেই খুলতে পারবে যার কাছে রয়েছে ড্রাগনদের ১ম তম শক্তি,কিন্তু সে তাঁর পুরো শক্তি সহজে ব্যবহার করতে পারবেনা। যার কারনে ২য় স্তরের শক্তি ব্যবহার করার পরেও সেটা তাঁর কাছে মনে হবে যে,সে ১ম স্তরের শক্তি ব্যবহার করছে। 
,
যে এই বইটি খুলতে সক্ষম হবে,সে তাঁর নিজের শক্তির সাথে আমার শক্তি পেয়ে যাবে বইটি খোলার সাথে সাথে। এই বইয়ের মধ্যে সব সমস্যার সমাধানের কথা লিখা রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এই বইটা সুরক্ষিত কোনো একজায়গায় রেখে যাবে।
এই কথাটা বলার সাথে সাথে তিনি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। আর তাঁর পরেই তোমার দাদা এই বইটি একটি সিন্দুকের ভেতরে খুবই যত্ন করে রেখে দেয়। আর সেটা বর্তমানে আমার কাছে আছ। আর এটার ব্যপারে জানানোর জন্য তোমাকে এখানে নিয়ে আসা(হরলিং)!
,
ওহ্ আচ্ছা(এবলিং)!
,
হুম,,দাঁড়াও তোমাকে সেই বইটি দেখাচ্ছি(হরলিং)!
,
এই বলে হরলিং চেয়ারে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল এবং রুমের একটা কর্নারে যেতে লাগলো। কর্নারে যাওয়ার পরে সে তাঁর ডান হাতের একটা আঙুল দিয়ে রুমের একদম কর্নারের নিচে দেয়ালের সাথে আঙুল টা কিছুক্ষন যাবৎ চেপে ধরতেই,আশেপাশের সবকিছু অন্ধকারের মধ্যে ঢেকে যায়। আবার কিছুক্ষন পরেই সবকিছু আগের মতো হয়ে যায়,শুধুমাএ একটি জিনিস বাদে। আর সেই জিনিসটা হলো রুমের মধ্যে ছোট্ট একটা টেবিল ছিল। কিন্তু সেখানে টেবিলের জায়গায় অন্যকিছু দেখা যাচ্ছে। সেটা হলো একটা সিন্দুক। 
,

,
আর এদিকে এবলিং তাঁর বাবা হরলিং এর কথা শুনে অবাক হলো একটু,কেননা তাঁর বাবা তাকে বলছে যে,সেই বইটি নাকি তাঁর বাবার কাছে আছে,আর সেটা নাকি এখন তাকে দেখাবে,এই কথা শুনতেই সেই বইটির প্রতি তাঁর আগ্রহটা আগের চাইতে আরো কয়েকগুন বেশি বেড়ে গেলো। সে দেখল যে তাঁর বাবা হরলিং তাঁর নিজের চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়াল,এবং রুমের একটি কর্নারে গিয়ে তাঁর নিজের হাতের একটা আঙুল দেয়ালের একদম নিচে কিছুক্ষন যাবৎ চেপে রাখতেই রুমের মধ্যে হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন অনেক ধোঁয়া এসে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লো। এখানে যেন স্বয়ং অন্ধকারের বাদশা হাজির হয়েছে,ঠিক এমনটা মনে হচ্ছে এবলিং এর। আস্তে আস্তে অন্ধকার টা কেটে যেতেই সেখানে আগের মতো সবকিছু পরিষ্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে। তখনই সে খেয়াল করল যে,রুমের টেবিলের জায়গায় সুন্দর করে কারুকাজ করা একটা সিন্দুক রাখা আছে,যেটা থেকে হাল্কা হাল্কা গোল্ডেন কালারের আলো বের হচ্ছে। জিনিসটা দেখে এবলিং একটু অবাক হয়ে যায়।
,

,
হরলিং তার নিজ জায়গা থেকে ওঠে আস্তে আস্তে সেই অদ্ভুত রকমের সিন্দুকের দিকে যেতে লাগলো। তারপর এবলিং কে তার নিজের কাছে ডেকে নেয়। 
হরলিং এবলিং কে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
তুমি চেষ্টা করে দেখতে পারো সিন্দুক টা খুলতে পারো নাকি। আমিতো হাজার চেষ্টা করার পরেও এই সিন্দুকটি খুলতে পারিনি,এখন দেখি তুমি পারো নাকি(হরলিং)!
,

,
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো,
(এবলিং কি পারবে সেই অদ্ভুত রকমের সিন্দুক টা খুলতে)???

,

,
[শব্দ সংখ্যা(১৭৫৮)]

।।
।।।
।।।।
।।।।।
১৪ পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। 
★হ্যাপি রিডিং★

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.