#সিজন_৪#
পার্টঃ১৯(শেষ)
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
কেরেলার জন্য বানানো ক্লোনটার শরীরের অস্থি ময় পরে আছে আমার পাশে। আমি সেগুলোর দিকে তাকালাম। হ্যা স্পেলটা কেরেলার সাথে কোনো ক্ষমতা নিতে পারে নি। সেটা শুধু কেরেলার যে অস্তিত্ব ছিলো সেটা নিয়ে গেছে। মানে এক হিসাবে বলতে গেলে কেরেলার আত্মাকে নিয়ে গেছে সাথে করে। এর ফলে কেরেলার শরীরে যত ক্ষমতা ছিলো তা ঠিকই পরে আছে। কিন্তু সেগুলো কোনো কাজে না। কারন নিরাম্বা ওর শরীরের ৯৫% ক্ষমতা শুষে নিয়েছে। অনেক ক্ষমতাশালী এই নিরাম্বা মানতেই হচ্ছে। কিন্তু ও যে ভবিষ্যতের। হয়তো আমার বড় একটা শত্রু হবে😊😊😊। আমি তো ভেবেছিলাম সব কাহিনী শেষ এখানেই। কিন্তু না সামনে আরো রোমাঞ্চকর কাহিনী আমার অপেক্ষায় আছে। আর আমি সেগুলোর অপেক্ষায়। আমি নিরাম্বাকে আপাতোতো কিছু করতে চাই না। কারন আমার ভবিষ্যৎ এর সময় ঠিকই আসবে একদিন। আর সেটার অপেক্ষায় আছি আমি😊। আমি আমার তলোয়ারটা মাটিতে গেথে দিলাম। আর সেটার ভর করে আমি বসলাম মাটিতে। এতোক্ষন পর একটু শান্তি হলো। আমাকে একটা ভালো সময় কাটাতে হবে কিছুদিনের জন্য।😊 অনেক ভালো একটা সময়। কারন ভবিষ্যতের এমন কিছু দৃশ্য আমি এখন থেকেই দেখে রেখেছি যেটা ভুলবার নয়। একটা গ্রহের সমান রাক্ষস পুরো তিনটা চাদকেই খেয়ে ফেলছিলো। এর থেকে ভয়ঙ্কর জিনিস আর কি হতে পারে। তবে আমি এখন কিছুটা উৎসাহিত। কারন আমার থেকে বেশী শক্তিশালী কারো সাথে লড়তে আমার ভালোই লাগে😊😊😊। আর সেটা যদি হয় কোনো গ্রহ খাওয়া এলিয়েন🙄🙄🙄। দেখা যাক কি হয় আমার সাথে। তবে এখন আপাতোতো আমাকে একটা স্পেল পড়তে হবে। পুরো রিয়েলিটি বদলে দেওয়া একটা স্পেল পড়তে হবে। জাপান আর চীনের যে অবস্থা করেছিলো কেরেলা। তাতে এই দু দেশের নেতারা আমাকে দেখলেই বোমা মারবে😊। তখন তাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে আবার। তাই আমি ব্যাপারটা রাশিয়া আর আমেরিকার উপরে ফেলে দিতে চাই। রিয়েলিটি প্রিজমের ক্ষমতা দিয়ে যে কারো মন ভোলানো যায়। সেই সাথে তার নিজের রিয়েলিটিও পাল্টে দেওয়া যায়। যেমন মিয়ারা করেছিলো। আমিও তেমনি রিয়েলিটি বদলে দিবো। আর সবাই ভাববে জাপান আর চীনের উপরে হামলা আমেরিকা আর রাশিয়া করেছে🙄🙄🙄। এতে করে তাদের মাঝে একটা দাঙ্গা উঠে আসবে। কিন্তু লড়াই এর মনোভাব কারো হবে না সেটা আমি জানি। ব্যাপারটা তারা বসেই ঠিক করে ফেলবো। রাশিয়া আর আমেরিকা দুজনেই ক্ষতিপূরন দিবে চীন আর জাপানকে🙄🙄🙄। এতে দুই দেশের কিছুটা অহংকার হলেও কমবে😊।
।।।।
।।।।
আমি স্পেল পড়তে লাগলাম। পড়েও ফেললাম। জানি না আদৌও কাজে দিয়েছে কিনা। তবে আমাকে ফিরতে হবে। আমি রনইক দে এর কাছে গেলাম।
.
--সেনাপতি হৃদিতা কোথায়?(আমি)
.
--মহারাজ। মহারানী তো আপনার দ্বীপ রাজ্যে আছে। আর আপনার সব রাজ্যের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করছেন(রনইক)
.
--ওওওও।।। তাহলে তোমার পোর্টাল খুলো অনেক দিন হলো দানব রাজ্যে যাওয়া হয় না। একটু ঘুরে আসা যাক।(আমি)
.
--হ্যা চলুন।(রনইক)
।।।।।
।।।।।
বাস্তবের সময়। মানে গল্পের শুরুর যে সময় সেটা😊😊😊।
।।।।।
।।।।।
কথাগুলো আমি সবাইকে শোনাচ্ছিলাম। আর তখনি নিয়াক প্রশ্ন করে উঠলো।
.
--তাহলে তুমি আগে থেকেই নিরাম্বাকে জানতে?(নিয়াক)
.
--হ্যা। খুব ভালো করেই তাকে চিনতাম। তাইতো খুব সহজে হারাতে পেরেছি তাকে।(আমি)
.
--কিন্তু তুমি আমাদের কাছে মিয়ারার পুরো ব্যাপারটা মিথ্যা বলেছো।(হৃদিতা)
.
--তাছাড়া কোনো উপায় ছিলো না। মিয়ারাকে যতটা খারাপ তোমরা মনে করে ও তার থেকেও ভালো ছিলো। শুধু ও ওর বাবার জন্য কিছুটা খারাপ হয়েছিলো।(আমি)
.
--উপায় ছিলো না মানে। তুমি আমাদের কাছে কি সত্যটা বলতে পারতে না। আমরা কি মিয়ারার মেয়েটা মায়ের আদর দিতে পারতাম না?(নিলা)
.
--পারতে হয়তো। কিন্তু আমি মিয়ারাকে প্রমিজ করেছিলাম যে আমি আমাদের মেয়েটাকে আমার কাছে রাখবো না। কখনোই রাখতে পারবো না তাকে আমি কাছে।(আমি)
.
--তাই বলে তুমি নিজের মেয়েটাকে নিজের থেকে দূরে কিভাবে রাখলে?(হৃদিতা)
.
--কিভাবে রাখলাম সেটা আমি নিজেই জানি। কষ্ট হলেও দূর থেকে ওকে দেখলে নিজের মনটা একটু শান্ত হতো সবসময়।😊(আমি)
.
--কিন্তু তুমি ওকে একজন বাবা মা ছাড়া জীবন কেনো দিচ্ছো?(হৃদিতা)
.
--হৃদিই ওর মা। হৃদিই ওর বাবা ওর কাছে। এখন বড় হয়েছে ও। বুঝবে সব কিছুই।(আমি)
.
--কিন্তু।(হৃদিতা)
.
--আমি বুঝতে পারতেছি হৃদিতা তোমার মায়া বেরে যাচ্ছে ওর জন্য। কিন্তু কিছু করার নাই। আমি আমার কথা রাখতেছি শুধু।(আমি)
.
--আমি কোনো কথা শুনতে চাই না। আমাদের এতোদিন তোমাদের পরিবার থেকে দূরে রেখেছো। কিন্তু আর নয়। আমরা সবাই যাচ্ছি তোমার বাসায় আজই।(হৃদিতা)
.
--কিন্তু।(আমি)
.
--কোনো কিন্তু নয়। আমার মনে হয় হৃদিতা আপু ঠিকই বলছে। আমাদেরও একটু দেখার ইচ্ছা আমাদের সবচেয়ে বড় মেয়েটাকে।(অনু)
.
--ঠিক আছে।(আমি)
.
--তাহলে কি আমাদের ভ্রমন এখানেই শেষ?(নিয়াক)
.
--না ভ্রমন তো মাত্র শুরু হলো😊😊😊 আরো অনেক পথ চলা বাকি।(আমি)
।।
।।
সাইনা আমাদের টেলিপোর্ট করে নিয়ে আসলো আমার বাসায়। একদম বাসার সামনে। বাসাটা সুন্দর করেই সাজানো হয়েছে। অনেক দিন পর আশা হলো আমার এই বাসায়। জানি না আরো কতো পথ চলবো। সব পথ চলা তো শেষই। নিরাম্বা কে শেষ করলাম। ডার্ককিউমকে শেষ করলাম। হারালাম ব্লাক নাইটকে। আমাদের পথ চলা হয়তো এখানেই শেষ। কিন্তু কিছু রহস্য তো এখনো বাকি। যেগুলো পাওয়া যাবে অন্য কোনো জায়গায়। কারন মাত্র তো রাজ্যের উত্তরাধিকারীরা জন্ম নিলো। নতুন কাহিনী নিয়ে আবার আসবে নতুন কাহিনী
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((সমাপ্তি)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
গল্পের সমাপ্তি টা হয়তো একটু অন্য রকম হয়েছে। কারন এটা সমাপ্তি নয়। গল্পের মাত্র শুরু। অনেক রহস্য আছে যেগুলো ডাইভার্সে খুলবে। আর কিছু রহস্য আমি জলপরীর প্রেমের পরের গল্পের মধ্যে খোলাসা হবে। আবার ভাবছেন সিজন ৫ করবো কিনা? আসলে সেটা নয়। এরপর পাবেন বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে একটা গল্প🙄🙄🙄🙄🙄বাই দ্যা ওয়ে কেমন লাগলো গল্পটা একটু বলবেন? আর পার্টটা লেখতে পারি নাই ভালো ভাবে। কারন নানা বাসায় আছি আজকেও। খালাতো ভাইয়ের চিল্লানী আর বক বকে গল্প লেখা যায় না।😊😊😊😊😊 আর দেরী করার জন্য দুঃখিত। সামনের গল্প থাকছে ডাইভার্সের সিজন ২
😊😊😊