পার্টঃ১৭
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
ম্যারি তাঁর সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলো যে,২য় জন্তুটার রক্ত খাওয়া শেষ,তাও আবার এতোটা তারাতাড়ি ভাবা যায় এগুলা।
২য় জন্তুটা তাঁর রক্ত খাওয়া শেষ করে ১ম জন্তুটার লাশটা দূরে ছিটকে মারলো।
২য় জন্তুটা এবার আস্তে আস্তে ম্যারির দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো,আর এটা দেখে ম্যারির পরাণ যায় যায় অবস্থা।
ম্যারির এইরকম অবস্থা দেখে ২য় জন্তুটা তাঁর নিজের আসল ফর্মে চলে আসে।
২য় জন্তুটা ভয়ংকর জন্তুর রূপ থেকে বেরিয়ে মানুষ ফর্মে চলে আসল।
ম্যারি সেই লোকটার দিকে ভালোভাবে তাকাতেই তাঁর নিজের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে।
ম্যারি দৌড়ে গিয়ে সেই লোকটাকে ঝাপটে ধরে বলে যে,
,
,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমার এবলিং,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,
,
তাঁরা একে অপর কে যে কতক্ষন ধরে এমনভাবে জরিয়ে ধরে রেখেছিল সেটা তাঁরা নিজেরাও জানে না।
,
,
একটা অন্ধকার ঘরের মধ্যে বসে আছে কতোগুলো টকটকে লাল চোখের জন্তুরা,হঠাৎ করেই সবাই একসাথে তাঁদের সবার সামনের জনকে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
মহারাজ আমরা যে আর অপেক্ষা করতে পারছিনা,আমরা যে এই অন্ধকারে আর থাকতে চাই না,এই যন্ত্রনা আর সহ্য করতে পারছিনা আমরা কেউ। আমরাও মুক্ত পাখিদের মতো সবজায়গায় যেতে চায়(সবাই একসাথে)!
,
তোরা আরেকটু সবুর কর,তারপরেই তোরা সবাই চিরদিনের মতো মুক্ত হতে পারবি। মুক্ত করে দিব তোদের সবাইকে,আর সেই সাথে হবি তোরা কালো শক্তির দ্বারা প্রচন্ড শক্তিশালী।
আমি আমার পুরো শক্তিটা হাসিল করা মাএই সবার আগে শেষ করবো আমার চির শএুকে।
তারপরেই আমি আমার প্রথম চালটা চেলে দেব।
এই বলে সে এক গগণ কাঁপানো হাঁসি দিল।
,
,
আচ্ছা ম্যারি তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে চাও(এবলিং)!
হঠাৎ করে এবলিং এর মুখে বিয়ের কথা শুনে ম্যারি অবাক চোখে এবলিং এর দিকে তাকালো।
ম্যারি তোমাকে আমি কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু এতে তুমি এতো অবাক কেন হলে বুঝতে পারছিনা বিষয় টা(এবলিং)!
তুমি যেটা বলছো সেটার ব্যপারে তুমি কি একবারও ভেবে দেখেছো,এটাতো কেউ মেনে নিবেনা(ম্যারি)!
হ্যা আমি ভেবেই বলেছি এই কথা। আর এই বিষয় টা নিয়ে তোমার কোনো চিন্তা করতে হবে না আমার। এটার সর্ম্পূন দায়িত্ব আমার(এবলিং)!
সত্যি তো(ম্যারি)!
হ্যারে আমার পাগলি-টা(এবলিং)!
এই বলে এবলিং ম্যারির কপালে একটা ছোট্ট চুমু একেঁ দিলো।
,
,
এ ভাই এ,,,,,
সমস্যা কি তোর।
প্রায় এক-সপ্তাহ সময় কেঁটে গেলো অতীত শুনতে শুনতে। আর এদিকে আমি তো পুরো পাগলের মতো দেখতে হয়ে গেছি,আমারও তো দাঁড়ি-মোচ চুলকায় নাকি। সেলুনে যাওয়া হয়না কতোদিন হয়ে গেছে।।।
তুই-তো দেখছি আমাকে অতীত শুনাতে শুনাতেই মেরে ফেলবে(আমি)!
আরে এই-গুলো আপনি কি বলেন মালিক(নেকড়েটা)!
আমি তোকে কতোবার বলেছি যে আমাকে মালিক বলবি না। আমাকে আমার নাম ধরে ডাকলেই আমি খুশি হবো(আমি)!
আমি অত্যন্ত দুঃখিত মালিক,আমি এটা করতে পারবোনা না(নেকড়েটা)!
আচ্ছা তোর যখন চাচ্ছিস না তাহলে থাক,তুই আমাকে যেভাবে ডাকতে পারিস সেভাবে ডাকিস।
আমি বেশি দেরি করতে চাই-না,এমনিতেই আমার অনেক সময় অপচয় হয়েছে,আমি আর চাইনা যে আমার মূল্যবান সময় নষ্ট হোক।
তুই কাহিনীটা একটু ছোট্ট করে বলে তারাতাড়ি শেষ করে দিতে পারলে দু'জনের জন্যই ভালো হতো অনেক(আমি)!
যথাআজ্ঞা মালিক(নেকড়েটা)!
,
,
তাঁরপরের কাহিনীটা খুব একটা বড় না।
,
,
→→সংক্ষিপ্ত আকারে অতীত←←
,
,
এবলিং অনেক কষ্টে তাঁর বাবা হোয়াইট ড্রাগন কিং হরলিং কে এই বিয়েতে রাজি করে। আর এবলিং এর মা কুইন এলিহারও এই বিয়েতে কোনো অমত না থাকার কারনে এবলিং এর সাথে ম্যারির বিয়েটা খুব তাঁরাতাড়ি হয়ে যায়। ম্যারির বাবা-মা না থাকার কারনে সে একাই ছোট বেলা থেকে বড় হয়েছে,যার কারনে তাঁর বিয়েতে কারো অনুমতি লাগেনি।
আর তাঁর পরেই সব হোয়াইট ড্রাগনরাই সেখানে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।
আর এর মধ্যেই হরলিং তাঁর রাজসিংহাসন ছেড়ে দিয়ে এবলিং কে রাজসিংহাসনে বসিয় দেয়। সে অনেক সুন্দর ভাবে তাদের হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যটা পরিচালনা করতে থাকে।
আর এভাবেই কেটে যায় দু'টো বৎসর।
হঠাৎ করে একদিন ম্যারি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। তাঁরপর তাঁকে কবিরাজ দেখানো হলে কবিরাজ তাঁদেরকে একটি খুশির খবর দেয়।
খুশির খবর টা হলো এই যে,ম্যারি মা হতে চলেছে,আর এবলিং তুমি বাবা হতে চলেছো।
আর হরলিং তুমি দাদা এবং এলিহা তুমি দাদী হতে যাচ্ছো। এ-ই খবরটা শুনা মাএই সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। আর তাঁর একবৎসর পরেই ম্যারির একজন পুএ সন্তান হয়। রাজপরিবারে পুএ সন্তান হওয়ার কারনে হোয়াইট ড্রাগনরা সবাই খুশিতে ঢাক ঢোল পিটিয়ে নাচ-গান করছে। আর এদিকে এবলিং তাঁর সন্তানকে পরম আদরে তাঁর বুকে টেনে নেয়। আর তারপরে হরলিং তাঁর দাদু ভাইকে তাঁর নিজের কোলে নিয়ে অনেক নানানরকম কান্ড করছে,আর কুইন এলিহা এগুলো দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
এ-র ঠিক দু'দিন পরেই হোয়াইট ড্রাগনের নতুন কিং এবলিং তাঁর রাজ্যে বিশাল বড় একটা অনুষ্ঠান রাখে তাঁর পুএের নামকরন করার জন্য।
এই অনুষ্ঠানে অনেক জায়গা থেকে অনেক লোকজন আসে।
অনুষ্ঠানের মধ্যে সবাই অনেক খুশি ছিল। যে যাঁরযাঁর মতো মজা করছিলো।
নামকরনের অনুষ্ঠানে হঠাৎ করে এবলিং বলে যে,আমি আমার পুএের নাম অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম। জানি না আপনারা কিভাবে নিবেন এই নামটা,আপনারা এই নামটা আগে কখনোই শোনেননি। এই নামটা আপনাদের কাছে সহ আমার কাছেও একদম অদ্ভুত একটা নাম(এবলিং)!
আমার পুএ,মানে ভবিষ্যৎ হোয়াইট ড্রাগন কিং এর নামটা হলোঃজাহিদ।
নামটা শুনা মাএই সবাই হা হয়ে যায়,কেউ কেউ তো হতোবাক হয়ে গেছে এটা আবার কেমন নাম। আর সবচেয়ে অবাক হয়েছে ম্যারি এবং কুইন এলিহা। আর তাঁদের এরকম কান্ডকারখানা দেখে এবলিং মুচকি মুচকি হেঁসে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু মুখে কিছু বলছে না সে।
জানি আপনারা সবাই অবাক হয়েছেন অনেক,আমার পুএ সন্তান যেমন অদ্ভুত তাঁর সাথে তাঁর নামটাও অনেক অদ্ভুত।
আমার পুএের নাম এটাই নামকরন করা হলো(এবলিং)!
হঠাৎ করে প্রজাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন চিৎকার করে একটা নাম উচ্চারন করে।
জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ
আর তারপরেই সব প্রজারা একসাথে একটিমাত্র নাম উচ্চারন করতে থাকে,জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ,জাহিদ।
,
,
এ-ই ওয়েট ওয়েট,,,,,,
এখানে আমার নাম আসল কোথা হতে,তাঁর মানে কি আমি,,,,,,,,
এই বলে আমি আমার চোখ দু'টো বড়বড় করে ফেললাম।
,
হ্যা সেই ছেলেটা আর কেউ না আপনি নিজেই। আপনিই হলেন সেই মহাশক্তির অধিকারী হোয়াইট ড্রাগন কিং সহ পুরো মহাবিশ্বের বাদশা(নেকড়েটা)!
,
,
তাঁর মানে আমার বাবা হলো এবলিং,মা হলো ম্যারি। আর দাদা হলো হরলিং,দাদী হলো এলিহা তাইতো(আমি)!
,
হ্যা মালিক(নেকড়েটা)!
,
তারপরের কাহিনীটা বল(আমি)!
,
,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অতীত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,
,
সবাই অনেক খুশি,কেউ কেউ খাবার খাচ্ছে,আবার কেউ মদ্য পান করছে,কেউবা তাঁর প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে নাচ-গান করছে। এককথায় সবাই অনেক মজা করছে।
,
আর এ-সব কিছু রাজ মহলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এবলিং আর ম্যারি এবং সাথে ছোট্ট বাচ্চা জাহিদ।
উপরওয়ালার কাছে দোয়া করি আমাদের রাজ্যে যেন সবসময় এইরকম খুশি থাকে(ম্যারি)!
এবলিং তাঁর পুএ জাহিদ কে এক হাত দিয়ে ধরে আরেক হাত দিয়ে তাঁর ম্যারিকে ধরে। দু'জনকেই নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে ম্যারিকে উদ্দেশ্য করে বলে যে,উপরওয়ালা যেন তোমার কথাটি কবুল করে।
,
,
উপরওয়ালা মনে হয় তাঁদের কথাটি কবুল করেনি,বরং তাঁদের কথায় একটু নারাজ হয়েছেন,কেননা কিছুক্ষন বাদেই অনুষ্ঠানের নাচ-গানের জায়গায় একেরপর এক বর্জ্যপাত হতে লাগলো। মনে হচ্ছে কয়েক হাজার বর্জ্যপাত ঘটলো সেখানো।
অনুষ্ঠানের কোনো চিহ্ন এখন সেখানে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না। আর সেখানে উপস্থিত সাধারন প্রজাদের কথা নয় বাদই দিলাম। সবমিলিয়ে হোয়াইট ড্রাগন রাজ্যের জনসংখ্যা হলো প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার লোক আর বাহিরে থেকে কিছু লোক সেখানে অনুষ্ঠানে আসে। সবমিলিয়ে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ থেকে ত্রিশ হাজারের মতো লোক,তাঁরা সবাই এখন এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছে বললেই চলে। তাঁদের নাম নিশানা সহ সবকিছু মাটির সাথে ধোলিসাৎ হয়ে গেছে।
,
রাজ মহলের বারান্দার উপর থেকে এসব কিছু এবলিং এবং ম্যারি দু'জনেই দেখে। ম্যারি এটা দেখা মাএই ভয়ে চিৎকার দিয়ে এবলিং এর বুক থেকে তাঁর পুএ জাহিদ কে নিয়ে কয়েকপা পিছিয়ে যায়। আর জাহিদ যে কিনা একটা বাচ্চা শিশু সে এই ঘটনা দেখে অদ্ভুত ভাবে খিলখিল করে হাসতে থাকে।
আর এদিকে এবলিং ওই দৃশ্য দেখামাএই একদম অবাক হয়ে যায়,কিন্তু যখন বুঝতে পারে যে তাঁদের রাজ্যে আক্রমন করা হয়েছে তখন রাগে তাঁর শরীর থরথর করে কাঁপতে থাকে প্রচন্ড পরিমানে রাগের কারনে এবলিং এর শরীর থেকে ধোঁয়া বেরুতে থাকে।
,
,
হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন সেনাপ্রধান দৌড়ে এবলিং এর সামনে হাঁটু গেড়ে সম্মান জানিয়ে বলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে যে,
মহারাজ আমাদের রাজ্যে আক্রমন করা হয়েছে(সেনাপ্রধান)!
,
সেটা তো বুঝতে পারলাম ঠিকই,কিন্তু কে বা কারা এরা কিছু কি জানতে অথবা বুঝতে পারলে কি কিছু(এবলিং)!
,
হ্যা মহারাজ কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছি আমি। যাঁরা আক্রমন করেছে তাঁরা সবাই ব্লাক ড্রাগন(সেনাপ্রধান)!
,
এটা কিভাবে সম্ভব,এতোদিন পর ব্লাক ড্রাগনরা হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হলো। আর ব্লাক ড্রাগনরা তো এখন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কথা নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো,ব্লাক ড্রাগনদের কিং কে তো আমি অনেক আগেই মেরে ফেলেছি,আর ওরা তো ওদের কিং ছাড়া একদম অচল,তাহলে কিভাবে ওরা আমাদের ওপর আক্রমন করার সাহস পেলো। তাহলে কি ওদের মধ্যে কেউ নিজ যোগ্যতায় কিং হয়েছে নাকি। আর আমার জানামতে তো ব্লাক ড্রাগনদের কিং হতে গেলে আগে ওদের মধ্যে সবার থেকে শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। তাঁরপরে সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে তাঁকে কিং বানানো হয়। আমার তো মনে হয়না যে ব্লাক ড্রাগনদের কিং হওয়ার যোগ্যতা বর্তমানে কারো কাছে আছে। তাহলে কি ওরা অন্য কোনো চাল চেলেছে নাকি(এবলিং মনে মনে ভাবছে)!
,
এবলিং এর ভাবনার ছেদ পড়লো সেনাপ্রধানের ডাকে।
,
মহারাজ,মহারাজ(সেনাপ্রধান)!
,
হু হ্যা বলো,সেনাপ্রধান(এবলিং)!
,
এখন আমরা কি করবো মহারাজ(সেনাপ্রধান)!
,
যুদ্ধের জন্য এখুনি প্রস্তুতি নাও,তারাতাড়ি যাও(এবলিং)!
,
সেনাপ্রধান রাজার আদেশ মোতাবেক সেখান থেকে জলদি চলে আসলো যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।।
আর এবলিং ম্যারিকে বলছে,
ম্যারি তুমি জাহিদ কে নিয়ে ভেতরে যাও,যা-ই হয়ে যাক না কেন তুমি ভুলেও রাজপ্রাসাদের বাহিরে বের হবে না,বাকিটা আমি দেখছি(এবলিং)!
এই বলে এবলিং ম্যারি এবং জাহিদের কপালে ছোট্ট করে একটা চুমু একে দেয়। এতে করে ম্যারির কোলের বাচ্চা জাহিদ খিলখিল করে হাসতে শুরু করে দেয়। এবলিং সেদিকে অবাক চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে। আর তাঁর কিছুক্ষন পরেই এবলিং রাজপ্রাসাদের বারান্দা থেকে লাফ দেয়।
আর এটা দেখে ম্যারি জাহিদ কে নিয়ে দৌড়ে রাজপ্রাসাদের ভেতরে প্রবেশ করে।
,
,
এবলিং মাটিতে নামতেই ধুপ করে শব্দ হয়ে ওঠে। আর যেখানে সে নেমেছে সেখানকার মাটি প্রায় একহাত ভেতরে চলে যায়।
আর এবলিং কে দেখতে এখন একদম অন্যরকম লাগছে। কেননা তাঁকে দেখে কোনো ভয়ংকর জন্তুর চেয়ে কম মনে হচ্ছে না।
,
,
এবলিং যখন তাঁর সামনের দিকে তাকালো তখন সে অবাকের পর অবাক হলো,
কেননা এবলিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর থেকে কয়েকগুন বিশাল দেহের একজন মানুষ। মানুষ বললে ভুল হবে কেননা তাঁকে দেখে কোনো ভয়ংকর জন্তুর চেয়ে কম মনে হচ্ছে না,তাঁর সামনে এবলিং এর জন্তুরূপ কিছুই না। এবলিং শুধু হা করে তাকিয়ে তাঁর সামনের জনকে দেখে যাচ্ছে।
আর সেই বিশাল দেহের মানুষটির শরীর একটা কালো কাপড়ে ডাকা রয়েছে,যার কারনে তাঁর মুখ মন্ডল এবং শরীর পুরোপুরি ভাবে ঢেকে আছে।
কিন্তু আরেকটা জিনিস দেখে এবলিং অবাকের পর অবাক না হয়ে পারলোনা। কেননা তাঁর শরীর দিয়ে প্রচন্ড পরিমানে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছে।
এবলিং এটা থেকে প্রচুর পরিমানে ম্যাজিক পাওয়ার ফিল করছে।
,
,
কে তুই,আর তোর কাছে এতো শক্তি কি করে এলো,আর সবচাইতে বড় কথা হলো আমার রাজ্যে আক্রমন করার সাহস কি করে পেলি তুই।
এই বলে এবলিং তাঁর নিজ জায়গা থেকে লাফ দেয় সেই অচেনা ব্যক্তির উদ্দেশ্যে।
,
,
এবলিং লাফ দিয় যখনই সেই অচেনা ব্যক্তির একদম সামনে চলে আসে ঠিক তখনই,সেই অচেনা ব্যক্তিটি তাঁর ডান হাত দিয়ে খপ করে এবলিং এর গলার মধ্যে ধরে ফেলে,যাঁর কারনে এবলিং নড়াচড়াও করতে পারেনা।
,
তাঁর এই অবস্থা দেখে সেই অচেনা ব্যক্তিটি বলতে শুরু করে,
হোয়াইট ড্রাগন কিং এবলিং,যে কিনা ড্রাগনদের মধ্যে সেরা শক্তিশালী। মনে করেছিলাম যে,তোমার দিয়ে একটু নিজের শক্তিটা পরীক্ষা করে নেওয়া যাক,কিন্তু তুমিতো দেখছি প্রথমেই শেষ হয়ে যাচ্ছো,আহারে বেচারা এবলিং।
না থাক তোমাকে এখুনি মারা যাবে না,খেলা শুরু করার আগেই তো আর খেলা শেষ করা যায় না তাই-না এবলিং।
এই বলে অচেনা লোকটি তাঁর ডান হাতটা একটু উপরে উঠিয়ে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এবলিং কে একটা আাছাড় দেয়।
এতে করে এবলিং যেখানে পড়েছে সেখানে প্রায় সাত থেকে আট ফুট গর্ত হয়ে যায়।
গর্তের ভেতরে এবলিং তাঁর গলা ধরে কতক্ষন সময় নিয়ে ঠিক করে নিল। আর সে এখন শুধু ঘামছে আর মনে মনে ভাবছে যে এটা কি করে সম্ভব।
,
,
তখনই এবলিং এর মুখ দিয়ে ভয়াস্তৃত কন্ঠে অস্পষ্ট সূরে আপনা-আপনি বেরিয়ে এলো,
,
,
,,,,,,,,,,,,,,ব্লাক ড্রাগন কিং,,,,,,,,,,,,,,,
,
,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এই যে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমাকে বকাবকি করে কোনো লাভ নেই,আমি সময় পেলেই গল্প লিখার চেষ্টা করি। সত্যি কথা বলতে আইডির রিচ বর্তমানে একদম কমে গেছে যার কারনে গল্প লিখতে খুব একটা মন চাই না।
আপনারা যাঁরা পাঠক/পাঠিকা। দয়া করে তাঁরা সবাই দু'একটা করে কমেন্ট করে যাবেন। আর আপনারা আপনাদের বন্ধু বান্ধবীদের মেনসন দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ইনস্আল্লাহ পরবর্তী পার্টটি তারাতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো।
,
,
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
১৭ পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
★হ্যাপি রিডিং★