#সিজন_৪#
পার্টঃ১৬
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি বসে ছিলাম সুচিরান বক্তব্য দিচ্ছিলো।
.
--তাহলে মিয়ারা মারা গেছে। এখন কি আমরা এই রিয়েলিটি এমনি রেখে দিবো?(সুচি)
.
--তোমার কাছে তো রিয়েলিটি প্রিজমের ক্ষমতা আছে তুমি এই রিয়েলিটিটা ধ্বংস করে দাও।(জেরোন)
.
--আমি দু্ঃখিত সেটা আমি পারবো না। এই রিয়েলিটি ধ্বংস করে দিলে এখানে অজস্র মানুষের জীবন চলে যাবে। তারচেয়ে বরং এই রিয়েলিটি চলুক নিজের মতো করে।(আমি)
.
--কিন্তু টাইম স্পেশে এটা অনেক বড় ধরনের প্রতিকূলতা সৃষ্টি করবে। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে এই সময়ে দুটো ইউনিভার্স তৈরী হয়ে যাবে।(জেরোন)
.
--যা হওয়ার হবে। কিন্তু আমি এই সময়টাকে আলাদাই চলতে দিতে চাই। এখন চলো তোমাদের সেই টাইম ট্রেনে আমি সুস্থ হয়ে ভ্রমন করতে চাই।(আমি)
।।।।
।।।।
আমরা হোটেল থেকে বের হলাম। এবং সুচিরান তার মেয়ের কাছ থেকে বিদায় হলো। বুঝলাম সুচিরানের মতো শুধু ওর মেয়ের কাছেই ক্ষমতা আছে। কিন্তু সুচিরানের ছেলেরা একদম নরমাল। আমরা সবাই আবার সেই স্টেশনে চলে আসলাম। সেখানে আসার সাথে সাথে এবার সব খেয়াল করলাম। একটা ট্রেন দাড়িয়ে ছিলো। কিন্তু আমাদের সেটার যাওয়ার অপেক্ষা করতে হলো। যখন সেটা চলে গেলো তখন হঠাৎ করেই সব কিছু থেমে গেলো। দেখলাম জেরোন একটা ডিভাইসে কি জেনো করতে ছিলো। বুঝলাম টাইম ট্রেন আসলে সেটার যাত্রী বাদে সবাই থেমে যায়।
.
--আচ্ছা তোমরা বুঝলে কিভাবে আর আমাকে নিয়ে গেলে কিভাবে ভিন্ন রিয়েলিটিতে থাকার পরেও?(আমি)
.
--এটা আসলে একটু বুদ্ধিমানের কাজ। দুটো রিয়েলিটি তৈরী হয়েছে এটা আমি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। কারন আমার টাইম ট্রেনে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিলো সেটা শুধু এই সময়ে আসছিলো বার বার। অন্য কোনো সময়ে সেটা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিলো না। তখনি ভাবলাম হয়তো এই সময়ে একটা রিয়েলিটি তৈরী হয়েছে আর সেটাতে আমার ট্রেনের টাইম লক হয়ে আছে। আর যখন জাপানে তোমার ক্লোনটা আক্রমন করলো তখন ডক্টর সুচিরান আমাকে বললো যে তোমার ক্লোনের সাথে আমরা পারবো না।কিন্তু অতীতের তোমাকে এখানে এনে যদি মেরে ফেলা যায় তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।(জেরোন)
.
--আমরা তো তখনো সিওর ছিলাম না যে মিয়ারা অতীতের এই সময়কে আলাদা চলাচ্ছে। ভেবেছিলাম হয়তো রিয়েলিটি চেন্জ করেছে কিন্তু সেটার সাথে সময়ের কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু পরে তোমাকে নিয়ে এখানে আসার পর আমরা বুঝতে পারলাম।(সুচি)
.
--ওওওও। আচ্ছা হৃদি বর্তমানে আমার ক্লোনটা শুধু জাপান আর চীনের উপরে হামলা করেছে কেনো?(আমি)
.
--কারন।(হৃদি বলতে যাবে তাকে সুচিরান আটকে দিয়ে বলতে শুরু করলো)
.
--আমি বলতেছি। অনেক পূর্বে পুরো চীন আর জাপান মিলে একটা রাজ্য ছিলো। আর সেই রাজ্যে বাস করতো একটা যুবক। যার ভালোবাসা হয়ে যায় কেরেলার বড় মেয়ে ডায়ানার সাথে। কেরেলাই তখন এই বিশাল রাজ্যের রাজা ছিলো। এবং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাদুকরদের মধ্যে একজন ছিলো। তার রাজ্যে ছিলো শুধু জুলুম আর অত্যাচার। সেই যুবকের সাথেই কেরেলা তার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই কারন বড় মেয়েটাকে বেশী ভালোবাসতো কেরেলা। কিন্তু সেই যুবক যে কিনা কেরেলার মেয়ের জামাই ছিলো সে যুবকই কেরেলার বুকে ছুরি মেরে তাকে নিহত করে। কেরেলার রাজ্যে তখন সে নিজে বসে যায়। রাজ্যকে তখন একজন নিষ্টবান রাজার মতো শাসন করতে থাকে সে।(সুচিরান)
.
--ওওও এই তাহলে ঘঠনা। কেরেলা শুধু নিজের রাজ্যই ফিরে পেতে চাই আর কিছু না?(আমি)
.
--হ্যা। আর এটা আমি বেচে থাকতে কোনো দিনও হতে দিতে পারবো না। কারন সেই যুবক যে কিনা কেরেলাকে মেরে রাজা হয়েছিলো আমি সেই যুবকের বংশধর।(কেরেলা)
.
--কেরেলা জানতে পারলে তো আমার তলোয়ার দিয়ে তোমার দু টুকরো করবে।(আমি)
.
--আমাদের যেভাবেই হোক কেরেলাকে আটকাতে হবে।(সুচিরান)
.
--হ্যা। তা নাহলে সে আমার ক্ষমতাগুলোকে দিয়ে মাছবাজার বানিয়ে ফেলবে।(আমি)
.
--তোমার তলোয়ার তোমার কাছে আসলেই তো হলো।(জেরোন)
.
--এতো সহজ না। আমার কাছে আগুনের ক্ষমতা না থাকলে আমি কখনোই সেই তলোয়ার উঠাতে পারবো না। এক হিসাবে thor এর হাতুড়ির মতো মনে করো।(আমি)
.
--কিন্তু আগুনের ক্ষমতা তুমি কিভাবে পাবে?(জেরোন)
.
--আমার সব ক্ষমতা কেরেলার কাছে তাই না। আমার উপরে ছেড়ে দাও সব কিছু। মাথায় নতুন বুদ্ধি এসেছে।(আমি)
.
--কি সেটা।(হৃদিতা)
.
--সেটা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না। তুমি শুধু বর্তমানে ফিরে আমার সেনা গুলো জোগাড় করে নিয়ে আসো।(আমি)
.
--শুধু দানব রাজ্য ছাড়া তোমার সব সেনা কেরেলার কাছে। আর যারা শুনতেছে না কেরেলার কথা তারা সবাই বন্ধী।(হৃদিতা)
.
--কি?(আমি জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম)
.
--হ্যা। ওরাই বা কি করবে। কারন ওদের মহারাজই তো করতেছে। ওরা ভাবতেছে ঔটা তুমি।(হৃদি)
.
--তাহলে তো বেশ খারাপ। কিন্তু দানব রাজ্যের সেনারা যোগ দেই নি কেনো?(আমি)
.
--কারন কেরেলার বিষয়টা ওরা আগেই বুঝে গেছে। আর রনইক দে অনেক আগেই সব পোর্টাল আর গেইট বন্ধ করে রেখেছে রাজ্যের সুরক্ষার জন্য।(হৃদিতা)
.
--তাহলে তুমি রনইকের কাছে আমার বার্তা পাঠিয়ে দিয়ো। একটা দানব সেনা লাগবে আমার।(আমি)
.
--তুমি কোথায় যাচ্ছো।(হৃদিতা)
.
--একদম কেরেলার কাছে। একটু পিটানি খেতে মন চাচ্ছে। আমি দেখতে চাই কত টুকু শিখেছে আমার ক্ষমতার ব্যবহার ও।(আমি)
.
--ও তো তোমাকে মেরে ফেলবে।(হৃদিতা)
.
--ভয় পেলে কি হবে? সব সময় সাহস রাখতে হবে।(আমি)
.
--তাহলে তোমরা যাও। আমি আমার টাইম ট্রাভেল স্পেল ব্যবহার করছি।(আমি)
।।।
।।।
আমার মাথায় অন্যরকম একটা বুদ্ধি চলে আসলো। একদম নতুন একটা প্লান। এমন প্লান হয়তো কেউই করতে পারবে না। প্রথমে আমাকে দেখতে হবে কেরেলা আমার ক্ষমতার কতটুকু ব্যবহার শিখেছে। তাই বুঝে আমার কাজ করতে হবে। আমি একদম আমার টাইম ট্রাভেল স্পেল ব্যবহার করে কেরেলার সামনে পৌছে গেলাম। আমি দূর থেকে আমার ক্লোনটা দেখেছিলাম। কিন্তু কাছ থেকে থেকে একদম আমার মতোই মনে হচ্ছিলো। কেরেলা আমাকে দেখে খুবই অবাক হয়ে গেলো। কিন্তু পরক্ষনেই আবার মুচকি হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকালো।
.
--তুমি এতো উপর থেকে পরে গিয়েও বেচে গেছো?(কেরেলা)
.
--হুমমম অবশ্য সেটার জন্য তোমার মেয়েকে ধন্যবাদ।(আমি)
.
--ও মিয়ারাকে বলেছিলাম তোমাকে মেরে ফেলতে। কিন্তু মেয়েটা কোনো কাজেরই না।(কেরেলা)
.
--কে বললো ও কাজের না। অনেক কাজের ছিলো মিয়ারা।(আমি)
.
--ভাগ্যের জোরে একবার বেচে গেছো। কিন্তু এবার আর বাচবে না।(কেরেলা)
।।।।।।
।।।।।।
কেরেলা রেগে আমার দিকে উড়ে আসতে লাগলো। আমি আমার বাতাসের ক্ষমতা দিয়ে ওকে একটা দেওয়ালের দিকে ছুড়ে মারলাম। দেওয়াল ভেঙে ও ঔ পাশে চলে গেলো।। কিন্তু পরক্ষনেই ওর শরীরের সাথে আগুন নিয়ে আমার দিকে আসতে লাগলো। হাতে এখন ওর আমার তলোয়ার। সেটা দিয়ে একটা কাট দিলো দূর থেকেই। আমি জানি এতে কি হবে। এখানে দাড়িয়ে থাকলে আমার দু টুকরো হয়ে যাবে। আমি বাতাসের ক্ষমতা দিয়ে ওর কাট দেওয়ার ফলে যে আগুনের তরঙ্গ আসতে লাগলো সেটাকে পাশ দিয়ে কাটিয়ে দিলাম। এবার ও পুরো স্পিডে উড়ে এসে আমার গলা ধরে ফেললো। এবং আমাকে উচু করতে লাগলো। আস্তে আস্তে সেই জায়গায় পানি চলে আসতে লাগলো। আমার গলা আটকে ধরায় আমার শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিলো। কিন্তু সেখানে সেই সাথে পানিও আসতে শুরুকরে দিলো। দেখতে দেখতে আমার বুক পর্যন্ত পানি হয়ে গেলো। আমি জানি কেরেলার কাছে আমার পানির ক্ষমতা রয়েছে তাই এই পানিতে ও শ্বাস নিতে পারবে। কিন্তু আমি পারবো না। আমি এভাবে থাকলে মারা যাবো। আর আমি এখন মারা গেলে আর কখনোই জীবিত হতে পারবো না সেটা আমি নিশ্চিত। কারন আমি মারা যাওয়ার পরই হৃদিতা মুক্তি পেয়ে যাবে। আর আমাকে বাচানোর মতো তখন কেউই থাকবে না। পানি আমার নাক পর্যন্ত হয়ে গেলো। তখনি আমি আমার টাইম ট্রাভেল স্পেল পড়লাম। এবং সাথে সাথে সেই সময় থেকে আমি চলে আসলাম আরেক সময়ে। একদম নিরাপদ একটা সময় মনে হচ্ছিলো আমার কাছে কিন্তু কে জানে নিরাপদ কতক্ষনের জন্য। এমনি সময় আমার ঠান্ডা গরমের কোনো অনুভূতি হয় না। কিন্তু এখন একটা মরূভূমির মধ্যে পরে আছি। আমি চিৎ হয়ে শুয়ে পরলাম আমার গলা ধরে। আরেকটু হলে তো আমাকে মেরেই ফেলতো কেরেলা। যাক আমাকে এই সময়ে আসল একটা কাজ করতে হবে। আর সেটা হলো এই সময়ের রিয়েলিটি চেন্জ করে দিতে হবে। সময়ের সাথে পুরো রিয়েলিটি আমাকে বদলে দিতে হবে। যাতে এই অতীতে আমার ভবিষ্যতের সাথে কোনো পরিবর্তন না হয়। স্পেলটা কাজে দিয়েছে। কাজটা এর প্রথমে মিয়ারাও করেছে। পুরো একটা আলাদা টাইমলাইন বানিয়ে ফেলেছিলো। আমি সেটা পুনরায় করলাম। কিন্তু আমি এটা মাত্র ক্ষনিকের জন্য বানিয়েছি। বেশী ক্ষন আমি এটাকে বানিয়ে রাখবো না। কারন তাতে এই নতুন রিয়েলিটির অনেক কিছু ভবিষ্যতের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু মানুষের স্বপ্নে নতুন রিয়েলিটিতে করা কাজ গুলো আসবে তখন। আর সেটা ভয়ঙ্কর হবে বলে মনে হয় আমার। যাক আমি আমার কাজ করে ফেলছি। এখন শুধু আমাকে হৃদয়কে খুজতে হবে এই রিয়েলিটির। দেখি ওকে কোথায় পাওয়া যায়। বেশীক্ষন খুজতে হলো না। কারন জাপানের বাশবাগানে সে লড়ছিলো কিছু নিন্জাদের সাথে। হ্যা আমি সেই সময়ে আসছি যেদিন মিয়ারা সব কিছু স্বাভাবিক করেছিলো আর ক্ষমতাগুলো কেড়ে নিয়েছিলো। এই সময়ে আমি হৃদয় এর সামনে গেলেও সেটা আমার বর্তমানে বা ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন করবে না। কারন এটা সম্পূর্ন নতুন রিয়েলিটিতে হচ্ছে। বরং আমার বর্তমান আর এটার বর্তমান সম্পূর্ন আলাদা হবে। হৃদয় যখন শান্ত হয়ে বসে ছিলো পাথরের উপরে। তখন আমি গেলাম ওর সামনে। আমাকে দেখা মাত্রই তলোয়ার ধরলো।
.
--শান্ত হও। আমি তোমারই একজন। নিজে টাইম ট্রাভেল করেছো এটা তো বোঝা উচিত।(আমি)
.
--অতীত থেকে তো তোমার আসার কথা না। কারন আমি কোনোদিন অতীতে ভবিষ্যতে আসে নি।(অতীতের হৃদয়)
.
--হ্যা আমি ভবিষ্যৎ থেকে এসেছি। আর খুব বিপদে পরে এসেছি।(আমি হৃদয়কে সব খুলে বল্লাম)
.
--আমি এতো সহজে তোমাকে কেনো বিশ্বাস করবো। দেখা গেলো আমাকে ধোকা দিচ্ছো। তুমি অন্য একজন।(অতীতের হৃদয়)
.
--আচ্ছা আমি যদি সেই গোপন কথাটা বলি যেটা শুধু তুমিই জানো?(আমি)
.
--বলো।(অতীতের হৃদয়)
.
--আমার পায়ের হাটুর উপরে পাচটা তিল আছে এক জায়গায়। আর হৃদির সাথে একবার বাজি জিততে গিয়ে ঔখানে কলম দিয়ে আরো একটা বানিয়ে ছিলাম।(আমি)
.
--হয়ছে বুঝেছি কি সাহায্য লাগবে তোমার?(হৃদয়)
.
--কিছু না। শুধু চোখ বুঝো।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি ক্ষমতা নেওয়ার স্পেলটা ব্যবহার করলাম অতীতের এই হৃদয় এর উপরে। জানতাম কিছু একটা হবে। কারন আমার কাছে কিছুটা কালো ক্ষমতা ছিলো। আর সেটার স্পেলই আমি মিয়ারার কাছ থেকে শিখেছিলাম। হৃদয় এর সমস্ত ক্ষমতা আমার কাছে চলে আসলো কিন্তু একটা জিনিস হলো এখানে সেটা হলো হৃদয় মারা গেলো। হ্যা হৃদয় মারা গেছে। এটা আলাদা রিয়েলিটির মধ্যে হয়েছে। নাহলে এতোক্ষনে হৃদয়ের সাথে আমিও মারা যেতাম। এখন এই রিয়েলিটি ধ্বংস করে দিলে হৃদয় আবার সেই পাথরের উপরেই বসে থাকবে। আর আমার আলাদা রিয়েলিটির হৃদয় এর সমস্ত ক্ষমতা থাকবে। বিষয়টা আমার কাছে ঠিক মনে হলো না। তারপরও আমি এটা না করলে কখনোই কেরেলাকে হারাতে পারবো না। আর কেরেলার মধ্যে থাকা আমার ক্ষমতা গুলো এখন আর আমার দরকার পরবে না। কারন আমার সমস্ত ক্ষমতা আমি একটু বুদ্ধি দিয়েই পেয়ে গেছি। এখন সময় এই রিয়েলিটি ধ্বংস করে দিয়ে বর্তমানে ফিরার। যুদ্ধ হলে একটু সমানে সমানে যুদ্ধ করতে হয়। এখন আর আমার কোনো ভয় নেই। কারন আমাকে মেরে ফেলার পরও কেউ আমার ক্ষমতা নিতে পারবে না কোনো স্পেল দিয়েই। এবার কেরেলার সাথে একটা মহাযুদ্ধ হবে যেমনটা হয়েছিলো হিগমার সাথে। একদম সমানে সমান।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।