#সিজন_3#
পার্টঃ০৮
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি এই রাজ্যটাকে দেখে পুরাই অবাক। আমার সময়ে আমি উন্নত কোনো শহর দেখবো সেটা ভাবি নি। চারিদিকে সবগুলো বাসার রংই সাদা। সাদা মনে হয় এদের প্রিয় রং। তাইতো সব কিছু সাদা রেখেছে। আমি তাকালাম হৃদিতার দিকে।
.
--এই জায়গাটা কোথায়?(আমি)
.
--আপনিই ধারনা করেন।(মুচকি হেসে বললো হৃদিতা)
.
--আমি বলতে পারছি না। এর আগে তো কখনো আমার দেখা হয় নি এমন জায়গা।(আমি)
.
--মনে আছে আপনার যেখানে বসে আপনি আর আমি সারারাত চাদের আলো উপভোগ করতাম।(হৃদিতা)
.
--মানে সেই দ্বীপ এটা?(আমি)
.
--হ্যা। এটা সেই দ্বীপ।(হৃদিতা)
.
--wow.... কিন্তু এতো সুন্দর জায়গা অন্য কারো নজরে আসলো না কেনো?(আমি)
.
--আপনি হয়তো দেখেছেন জলপুরী,আকাশপুরী এবং পাতালপুরীর টেকনোলজি কতটা উন্নত হয়েছে। তারা নিজেদেরকে সব দিক দিয়ে গোপন রাখতে সক্ষম। ঠিক তেমনি তাদের থেকে আমাদের বিজ্ঞান অনেক উন্নত। আমাদের রাজ্যের চারদিক দিয়ে আছে নেচারাল ওয়েব ফিল্ড। যেটা এই রাজ্যকে বাইরে থেকে একটা সাধারন দ্বীপই দেখাই।(হৃদিতা)
.
--ও সেটা তো ভালো খবর।(আমি)
.
--হ্যা আপনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সেনারা আপনার অপেক্ষা করতেছে। চলুন সবাইকে দেখবেন।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
হৃদিতা আমাকে নিয়ে নিচে যেতে লাগলো। না ভালোই লেগেছে আমার রাজ্যটা। আগে এই রাজ্যের খবর জানলে তো এখানেই এসে থাকতাম। থাক সেটা নাহয় পরে ভাবা যাবে। আমি আগে আমার সেনাদের সাথে দেখা করে আসি। আমি হৃদিতার সাথে রাজ প্রাসাদের বাইরে বের হলাম। এখানে অনেকটা জায়গা আছে। আর আমার সামনে দাড়িয়ে আছে পুরো ১ হাজারের মতো সেনা। তার অর্ধেক হলো নারী আর অর্ধেক হলো পুরুষ। বেশ অবাক করার বিষয় হলো এদের কমান্ডার সেই মেয়েটা মানে জিনিয়া। যাক ভালোই প্রথম কোনো মেয়ে সেনাপতিকে দেখলাম। আমি আসার পরেই পুরো ১ হাজার সেনা আমার সামনে কুর্নিস করলো।
.
--মহারাজ আমি আপনার সেনার কমান্ডার জিনিয়া তাবাসসুম।(জিনিয়া এগিয়ে এসে আমার সামনে কুর্নিশ করে বললো)
.
--কত সেনা আছে আমার কাছে?(আমি)
.
--পুরো ১ হাজার সেনা।(জিনিয়া আমার দিকে তাকিয়ে এবার অবাক হলো কারন আমি আমার নিজের চেহারায় আছি এখন তাই)
.
--ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
জিনিয়া যেখানে দাড়িয়ে ছিলো সেখানেই গেলো। আমি দাড়ালাম লম্বা একটা ভাষন দিতে।
.
--আমি মনে করি আমাদের এই ১০০০ সেনাই যথেষ্ট বাইরের গ্রহের লু চিনের সেনা এবং পৃথিবীর মাঝেই ক্ষমতা লোভী কিছু পাপীকে শেষ করে দেওয়ার জন্য।(আমি)
.
--মহারাজ আমরা হামলা করবো কবে?(জিনিয়া)
.
--সময় হোক। লু চিন এখানে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করতে আসে নাই। শুধু পৃথিবীর মানুষগুলোর অর্ধেক শেষ করে দিবে তারপর বাকি গুলোকে তারা বন্ধী রাখবে। কারন এখানেই তারা নিজেদের নগর গড়ে তুলবে।(আমি)
.
--আপনি এটা কিভাবে বলতে পারেন তারা কোনো ক্ষতি করবে না?(জিনিয়া)
.
--কারন আমার যখন যুদ্ধ হয়েছিলো তার সাথে আমি একটা গাছ কেটে দিয়েছিলাম তাকে হামলা করতে গিয়ে। আর তাতেই সে অনেকটা রেগে যায়। তার মানে সে পৃথিবীর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই এসেছে। আর এসবের কোনো ক্ষতি সে করবে না।(আমি)
.
--তাহলে আমরা কি করবো মহারাজ?(জিনিয়া)
.
--কিছুইনা। তার কাজের উপভোগ করবো। হৃদিতা এখানে কি পপকোন পাওয়া যাবে। এক সপ্তাহ পর তো ফ্রিতে সো উপভোগ করতে হবে।(আমি)
.
--হ্যা। পাবেন।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
দেখলাম আমার কথায় জিনিয়া মেয়েটা অনেক উদাস হলো। বুঝালাম এই যুদ্ধের জন্য সে আমার থেকেও বেশী উৎসাহিত। কিন্তু আগে আগে তো কিছুই করা যাবে না।
.
--আপনাদের মধ্যে সেরা ব্যক্তি কে যার সাথে আমি লড়াই করতে পারবো।(আমি)
।।।।
।।।।
সবাই দেখলাম জিনিয়ার দিকে হাত তুলে দিলো।
.
--আমি মেয়েদের সাথে লড়াই করতে পারবো না। কোনো পুরুষ থাকলে আসেন। অনেক দিন কোনো লড়াই হয় না। কিছুটা warm up ও হয়ে যাক।(আমি)
।।।।।।।
।।।।।।।
দেখলাম একজন ২১ বয়সী যুবক আমার দিকে এগিয়ে আসলো। শরীর স্বাস্থ ও ভালো। এমনিতে এর সাথে মনে হয় না আমি কিছুতেই পেরে উঠতে পারবো। তবে জাদুর সাহাযে এ আমার কাছে কিছুই না। ছেলেটার হাতের অস্ত্রটা অনেক অদ্ভুদ। শুধু তার হাতের না। সবার হাতের অস্ত্রই অদ্ভুদ। অনেক আধুনিকতার ছোয়া সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি কোনো জাদুর স্কিল ছাড়াই এর সাথে লড়াই করার চেষ্টা করবো। দেখা যাক hand to hand কেমন লড়তে শিখেছি। লোকটা প্রথমে আমি রাজা দেখে হয়তো কিছুই করার সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু আমি একটা ব্যাক টার্ন কিক দেওয়ার পরেই সে কিছুটা রেগে যায়। আর একটা এনার্জি বল আমার দিকে ছুড়ে। আমি একটা ঢাল বানালাম। যার জন্য আমার কিছুই হলো না। আমি জানতাম না এদের জাদুর এতো উন্নত হয়েছে। এরা ছোট ছোট জিনিসটাকে টেলিপোর্ট করতে পারে। আর এটা অনেক বড় অস্ত্র। ছোট একটা এনার্জি বল মারলো। আমি সেটা হাত দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলাম। কিন্তু পরেরটা আমার সামনে থেকেই উদাও হয়ে গেলো আর পিছন দিয়ে এসে আমার পিঠে লাগলো। কিছুটা ব্যথা লাগলো। অনেকদিন পর একটা এনার্জি বল লেগেছে তো তাই ব্যথা পেলাম। আর অনেক শক্তিশালী হয়েছে সেটা আমি বুঝতে পারলাম। এক হিসাবে ভালোই লাগলো শক্তিশালী কিছু লোক আছে যাদের সাথে এভাবে যুদ্ধ করা যাবে। আমি সামনে গিয়ে হাতাহাতি শুরু করলাম। মানে হ্যান্ড ফাইট। বেশীরভাগ আমিই রাজত্ব করলাম সেটাই। কিন্তু ওর হাতে একটা লাঠির মতো অস্ত্র ছিলো। সেটা দিয়ে আমাকে কোনো রকম একটু ছোয়া দিতেই আমি ওর থেকে ২০ হাত দূরে গিয়ে পরলাম। বুঝতে পারলাম হাইপার সনিক ব্যবহার করা হয়েছে এটাই। ওর অস্ত্র যখন ব্যবহার করলে আমিও কিছু ব্যবহার করি। আমি উঠে চোখ দুটো বন্ধ করলাম আর হাত তুললাম দুটো। আমি শূন্যে উড়তে শুরু করলাম। পাশে পানির ছোট নালা ছিলো যেটা প্রাসাদের সৌন্দর্যের জন্য রাখা হয়েছে। আমি সেটার সব পানি তুলে ওর উপরে ফেললাম। যাস্ট দেখানোর মতো হামলা হয়েছে। ওর কিছুই হলো না। ওর লাঠিটা সামনে ধরে রাখায় একটা ঢাল হয়েছে যেটা ওকে সুরক্ষা করেছে।
।
তখনি হৃদিতা আমার দিকে হেসে দিয়ে বললো।
.
--এদেরকে আমি এমন ভাবে ট্রেনিং দিয়েছি যাতে এর আপনার সব হামলায় প্রতিহত করতে পারে। তাই চেষ্টা করে দেখেন সব।(হৃদিতা)
।।।
।।।
হৃদিতা যখন বলেছে তখন তো আর এসবে লাভ নাই। কারন বেশীর ভাগ ক্ষমতাই হৃদিতা জানে। কিন্তু তার থেকেও তো আমার কাছে আরো জিনিস আছে। আমার কাছে কি শুধু পানির রানীর শক্তি আছ নাকি। আমার কাছে আগুনের রাজার শক্তিও আছে। দেখা যাক এগুলো কিভাবে সামলাবে। আমি হালকা একটা মুচকি হাসি দিলাম। হাত মুঠো করার ফলেই হাতে তলোয়ারটা চলে আসলো। তলোয়ারটা হাতে নেওয়ার পরই সেটাই চাপ দিলাম শক্ত করে পুরো তলোয়ার আগুন হয়ে গেলো। আমি অস্ত্র ব্যবহার করতে চাই না। তাই এটাকে আবার অদৃশ্য করে দিলাম। এবার খেলা হবে আসো বাবা।
।
আমি উপড়ে উড়তে ছিলাম। ছেলেটাও আমার দিকে তেড়ে আসছিলো। আমি হাত দুটো নিচ থেকে উপরের দিকে টান দিলাম। এতে করে আমার হাত থেকে আগুনের কুন্ডুলী বের হয়ে গেলো। হাত দুটোই আগুন হয়ে গেলো। কেউ দেখলে বলবে আগুনে আমার হাত পুড়তেছে। কিন্তু আগুনে আমার হাত না বরং হাত আগুন পুড়তেছে আমার হাতে।
।
আমার হাতে এখন ফায়ার গ্লোভস আছে। দেখি কেমন পারো পাবা এখন। এখনো আমার পুরো শক্তি দেখো নাই। আগুনের রাজা ইজ ব্যাক। আমি আমার হাত দিয়ে একটা ঘুষি দিলাম সাথে সাথেই সে নক ডাউন। ভাবলাম আরো আগুনের রাজার কিছু ক্ষমতা আমি দেখবো। কিন্তু সেটা হলো না। পুরো সেনা স্থির হয়ে গেলো ভয়ে। কারন এখানে তো আমার হিরোনের ক্ষমতা আগে কেউ কখনো দেখে নাই। সবাই তো শুধু শুনে এসেছে হিরানার আর জিদানের ক্ষমতার কথা। বাকি ছিলো ব্লাক ম্যাজিক। সেটা তো ব্যবহারই বেশী করা হয় না। কারন সেটা ব্যবহার করলে এই ছেলে আর জীবিত থাকতো না। ছেলেটা মাথা ঘুরিয়ে পরে গিয়েছিলো। দুই মিনিট পরে আবার ঠিক হয়ে গেলো। আমি দেখতে পেলাম এরা অনেক শক্তি শালী হয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর এসব দেখার সময় নাই। আমি রাজ্য ঘুরে দেখতে চাই। তাই হৃদিতার সাথে একটা গাড়িতে বসে চলতে শুরু করলাম।
.
--আপনার জন্য একটা ভালো কথা আর একটা খারাপ খবর আছে।(হৃদিতা)
.
--আগে ভালোটাই বলো।(আমি)
.
--ভালোটা হলো জিম্বার কিছু রহস্যময়ী স্পেলের সম্পর্কে জানতে পেরেছি।(হৃদিতা)
.
--সেটা তো ভালো সংবাদ। আর খারাপ খবরটা কি?(আমি)
.
--খারাপ খবরটা হলো কেউ আমাদের আগেই জিম্বার খবরটা খুড়ে লাশসহ তার পুরো ক্ষমতা হাতিয়ে নিয়েছে।(হৃদিতা)
.
--কি? কিন্তু কে করলো এটা?(আমি)
.
--সেটাই তো বড় আশ্চর্যের কথা। কে করেছে সেটা এখনো আমরা বের করতে পারি নাই। কিন্তু সে অনেক শক্তি শালী। এবং বিপদজনক।(হৃদিতা)
.
--দূর শুধু জিম্বার ক্ষমতা নিয়ে কি সে ভয়ের কিছু হতে পারে?(আমি)
.
--জিম্বার ক্ষমতা পাওয়া মানে আপনার এই পুরো শক্তির অর্ধেক হয়ে যাওয়া। কারন সে সময়কে নিজের আয়ত্বে করতে পারবে।(হৃদিতা)
.
--কবে করেছে সে এই কাজ?(আমি)
.
--আজ থেকে প্রায় ১ হাজার বছর আগে।(হৃদিতা)
.
--তাহলে ভয় পাওয়ার দরকার নাই। সে যদি খারাপ কেউ হতো তাহলে কিছু একটা করতো এর মাঝে। করে নাই যেহেতু তাই সে হয়তো মারা গেয়ে ভূত হয়ে গেছে।(আমি)
.
--হয়তো।(হৃদিতা)
.
--আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলোতো। এই যে এসব ক্ষমতা আমাদের। আমরা বংশের মাধ্যমে যেটা পেয়েছি। যেমন আমি মাঝে জল রানী আর আগুনের রাজার বংশধর ছিলাম কিন্তু আমাদের এই ক্ষমতা গুলো আমরা প্রথমে ব্যবহার করতে পারি না কেনো?(আমি)
.
--এই ক্ষমতা গুলো এক একটা গিফট। কোথা থেকে এগুলো এসেছে সেটা আমরা কেউই জানি না। তবে এটা ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমে এটার যোগ্য হতে হবে। পৃথিবীতে এসব ক্ষমতাবান মানুষদের অনেক বংশধররাই আছে। কিন্তু তারা যদি এগুলোর ব্যবহারের যোগ্য না হয় তাহলে কখনোই ব্যবহার করতে পারবে না। ঠিক আপনিও প্রথম প্রথম এগুলো ব্যবহারে যোগ্য ছিলেন না। কিন্তু যখন যোগ্য হলেন তখনি ব্যবহার করতে পারলেন।(হৃদিতা)
.
--ও।(আমি)
.
--আরেকটা কথা জানেন?(হৃদিতা আমার বুকে মাথা দিয়ে)
.
--হুমমম।(আমি)
.
--আমার আম্মার সাথে দেখা হয়েছিলো আমার।(হৃদিতা)
.
--কি?(আমি)
.
--হ্যা। আপনার হাতে ছোয়ার পরেই আমি আমার আম্মার মুখের ছবি দেখতে পেয়েছিলাম। আপনি চলে যাওয়ার ১৫ বছর পরেই আমার আম্মার সাথে দেখা হয়েছিলো এই দ্বীপেই।(হৃদিতা)
.
--কি বলো।(আমি)
.
--হ্যা।(কিছুটা হতাশ হয়ে বললো হৃদিতা)
.
--কি হলো?(আমি)
.
--আমার আর আমার বোনের মতো কেউ মনে হয় ছিলো না। আর এই পুরো রাজ্যে যত মানুষ আছে এদের মতো ভাগ্যমান মনে হয় না কেউ আছে।(হৃদিতা)
.
--কেনো?(আমি)
.
--আমার আম্মার বাবা ছিলেন জলমানব আম্মা ছিলেন একজন আকাশপরী। আমার আম্মা ছিলেন দুই ধরনের অদ্ভুদ DNA এর মিশ্রনে এবং আমি আর আমার বোন দুজনে হলাম তিন ধরনের DNA এর মিশ্রনে। আর হৃনিতার বংশধররাই সব হারকিউমাস সেনা এখন। এদের মাঝে শুধু তিন ধরনের অদ্ভুদ DNA নেই সেই সাথে রিয়ানার সাদা শক্তির ক্ষমতাও আছে।(হৃদিতা)
.
--হুমমম। আচ্ছা সিগমার তো আরো বংশধর আছে। যারা সাধারন মানুষ। ওদের মধ্যেও তো সাদা জাদুর শক্তি যাওয়ার কথা। তারা কি ব্যবহার করতে পারবে না এই শক্তি?(আমি)
.
--উহু।।। আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমরা জন্মের আগে এই শক্তিটাকে কন্ট্রোল করতে পারি। কিন্তু জন্মের পরে আর পারি না। যাদের মধ্যে জিদান আর রিয়ানার ক্ষমতা আছে তাদেরকে আমরা খুজে খুজে অনেক আগেই একটা ইনজেকশন পুশ করে দিয়েছিলাম। এতে করে তাদের বংশধর যদি কখনো এই শক্তির যোগ্যও হয় তাহলেও ব্যবহার করতে পারবে না।(হৃদিতা)
.
--ওওও।(আমি)
.
--তবে চাইলে কিন্তু এটাকে ভাঙা ও যায়। যেমন আপনারটা ভাঙা হয়েছিলো। সঠিক সময়ে আপনার শক্তি আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এবং আপনি হিরানার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পেরেছিলেন।(হৃদিতা)
.
--কখন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন?(আমি)
.
--ঔ যে যেদিন প্রথম পুকুরে নামলেন মনে আছে? সেদিন আমি আপনার গাড়ে একটা ইনজেকশন পুশ করেছিলাম। এতে করে আমি হিরানার শক্তি ব্যবহার করতে পেরেছিলেন। পানিতে শ্বাস নিতে পারছিলেন।(হৃদিতা)
.
--মানে তার আগে পানির নিচে গেলে মারা যেতাম।(আমি)
.
--হ্যা।(হৃদিতা)
....
।।।
এতো দেখতেছি পুরো ইতিহাস পাল্টে দিচ্ছে। কি ভেবে আসছিলাম এতো দিন আর এখন সেসব কি বের হচ্ছে। আরো কতো কিছু জানবো তার নাই ঠিক। কিন্তু আমি জিম্বার স্পেল নিয়ে অনেক উত্তেজিত। এটা আমার ব্যবহার করতে। হবে। রাত্রে শাহী ভোজনের পরেই শিখে ফেললাম কিছু স্পেল হৃদিতার থেকে। এগুলো হৃদিতা ব্যবহার করতে পারবে না। কারন ওর মাঝে জিদানের ক্ষমতা নাই। থাকলে হয়তো ব্যবহার করে ওর সময় কাটাতো। একটা স্পেল আমার খুব ভালো লেগেছে। স্পেলটা দিয়ে সময় কাটানো যায়। সময় কাটানো যায় বলতে সময় সময়ের মতোই থাকে। শুধু আমি আটকে থাকবো। এটার নাম টাইম টেবিল। অসাধারন লাগলো আমি চেষ্টা করে দেখবো। কারন এক সপ্তাহ সময় আমার কাছে এখনো অনেক। আমি সরাসরি ১ মাস সময় কাটিয়ে দিবো। হৃদিতা বললো এটা ব্যবহার করে রাতে ঘুম দিবো পুরো একমাস পরে আমি ঘুম থেকে উঠবো। টাইম ট্রাভেলের মতোই কিন্তু সেটার মতো সুবিধা নাই। কারন এতে আমার নিজের বয়সও বারতে থাকবে। আসল ক্ষমতা গুলো তো কে জানি চুরি করে নিয়ে গেছে। থাক নকলটা দিয়েই শুরু করা যাক। জিম্বা আর জিদান কি ভাই ভাই ছিলো নাকি একজনের স্পেল আরেকজন ব্যবহার করতে পারে। সেটা পরে জানতে পারবো। আগে স্পেলটা বলে নি। আপনারা অপেক্ষা করুন।
.
--চুচুক ফু হু টা লো সু জু পাইয়েট।(বলার সাথে সাথেই আমি ঘুমিয়ে পরলাম)
।।।।
।।।।
বুঝলাম না কিসের স্পেল এটা। মনে হচ্ছে ভুলে ঘুমের স্পেল বলে ফেলছি। আচ্ছা দেখা যাক কি হয়। এক সপ্তাহের জন্য ব্যবহার করেছি। কারন আমি নিজের যুদ্ধটা লু চিনের সাথে দেখতে চাই। ভালোই লাগে কারন এসব স্পেলে সময়ের কথা ভাবলেই হয়। সব স্পেলেই শুধু কল্পনা করলেই হয়। জাদু জিনিসটাই এমন। সব কল্পনার জিনিস বাস্তব করে। আচ্ছা যাই হোক। এখন থাকেন এক সপ্তাহ পর ঘুম থেকে উঠবো।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।