ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ৪ পর্বঃ ১৩

Bangla Dub Novels
 #জলপরীর_প্রেমে#
#সিজন_৪#
পার্টঃ১৩
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি হৃদি আর জারা তিনজনেই একটা মুভি দেখছিলাম। মুভির নাম আর কি বলবো ভারতের এমন একটা মুভি যেটার নাম সব বাচ্চাও জানে। মুভিতে বাইরে থেকে এলিয়েন আসে আর নায়ককে ক্ষমতা দেই। তারপর বোকা ছেলে থেকে হয়ে যায় সে একজন প্লেবয়। অবশ্য জিনিসটা আমার ফন্দির জন্য সে রকম কাজে দিবে। কারন এটাই সময় জারার থেকে ক্ষমতা নেওয়ার। আমি আমার পুরাতন সব স্পেল ভুলে গিয়েছি। একটা স্পেলও আমার মনে নাই। কারন নিজের ক্ষমতা না থাকলে স্পেলগুলোও কোনো কাজের হয় না। আমি জিসান ভাইকে মেসেজে বল্লাম হৃদিকে ফোন করতে। কারন হৃদি তার ফোনের অপেক্ষায় করছে। জিসান ভাইয়া ফোন করলে হৃদি ফোন নিয়ে ওর রুমের বেলকনিতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে গল্প শুরু করে এই দেখে আমিও জারাকে বলতে লাগলাম।
.
--আচ্ছা তুমি আর কি কি করতে পারো?(আমি)
.
--ঔ রোমান্টিক দৃশ্য দেখেছিলে টিভিতে?(জারা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আবার দেখবে?(জারা)
.
--দূর এই মুভিতে আর আসবে না।(আমি)
.
--দারাও আমি দেখাচ্ছি।(জারা)
।।।।
।।।।
এই বলেই জারা মুখ দিয়ে একটা স্পেল পরলো। এবং হাত দিয়ে টিভির দিকে ইশারা করলো। সাথে সাথে হাতটা বাম দিকে একটু বাকাও করলো। আমি দেখতে পেলাম টিভির সেই দৃশ্য আবার চলে আসলো। সময়ের দিকেও খেয়াল করলাম। জারা পুরো সময়কে পিছনে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি অবাক হওয়ার অভিনয় করে জারার দিকে তাকালাম। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি জারা টাইম স্পেল ব্যবহার করেছে। আমাকে শুধু জারার থেকে ক্ষমতা নেওয়ার স্পেলটা জানতে হবে। আমি এইটুকু তো সিওর বলতে পারি যে মিয়ারা এবং কেরেলা কেউই নিজেদের ক্ষমতাগুলোকে লক করে রাখতে পারে নি। কারন সেই স্পেলটা অনেক রেয়ার। খুব বেশী মানুষ সেটার সম্পর্কে জানে না। আর মিয়ারা যদি সেই বুড়িকে মেরে রিয়েলিটি প্রিজম এর ক্ষমতা নিয়ে থাকে তাহলেও এসব স্পেল সম্পর্কে সে জানতে পারে নাই। তাই এটা এখন আমার কাজে দিবে। আমি জারাকে বলতে শুরু শুরু করলাম।
.
--তোমার কাছে তো মনে হয় আরো অনেক ক্ষমতা আছে।(আমি)
.
--হুমমম।(জারা)
.
--এসব কোথায় পেয়েছো? এলিয়েনরা কি তোমাকে দিয়েছে?(আমি)
.
--আরে না। আমার জন্ম থেকেই আমি পেয়েছি।(ডাহা মিথ্যা কথা। মিয়ারা মিথ্যা বললে তুতলে যায় সেটা আমি খেয়াল করেছি। অবশ্য ওকে জারা বলবো কি মিয়ারা বলবো মাঝে মাঝে এটা নিয়ে আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যায়)
.
--ওওওও তাহলে তুমি কি এলিয়েনদের মতো ঔভাবে ক্ষমতা দিতে পারবে? জানো আমার না অনেক ইচ্ছা আমার কাছেও স্পেশাল কিছু ক্ষমতা থাকবে।(আমি)
.
--এই ক্ষমতা থাকা ভালো না। তুমি অনেক মানুষের ক্ষতি করে দিতে পারো।(জারা)
.
--কিন্তু লোকে তো আমার ক্ষতি করে। আমি তো নিজেই নিজের সুরক্ষা করতে পারি না। তুমি যদি তখন না আসতে তাহলে ঔ শুভ তো মনে হয় আমাকে মেরেই ফেলতো।(আমি)
.
--আমি থাকতে সেটা কখনো হবে না।(জারা)
.
--যদি হয়ে যায়।(আমি)
.
--তাহলে আমার কাছে সময়ের ক্ষমতা আছে আমি সেটা দিয়ে তোমাকে বাচিয়ে ফেলবো।(জারা)
.
--দূর তুমি নিজেই মজা করতে চাও এসব নিয়ে।(আমি মুখ ফুলিয়ে ঔদিক ঘুরে বসলাম)
.
--আচ্ছা যাও ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে প্রমিজ করতে হবে কারো সামনে তুমি ব্যবহার করবে না।(জারা কিছুক্ষন ভাবার পর আমাকে বললো)
.
--হুমমম। কি ক্ষমতা দিবে আমাকে?(আমি)
।।।।
।।।।
জারা কিছু বললো না। আমার কপালে হাত দিলো। আর স্পেলটা পড়তে লাগলো। এবার মনে পরে গেছে স্পেলটা আমার। আমি চাইলে এখনি জারার মধ্যে থাকা সমস্ত ক্ষমতা নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু তাতে জারা মারা যাবে। আমি ওকে মারতে চাই না। ওর স্পেল আর আমার স্পেলের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এখন এই স্পেলটাও ওর। কারন আমার সব স্পেল কেরেলার কাছে। ওর দেওয়া কিছু স্পেল যেগুলোর সবই ব্লাক ম্যাজিক এর সাথে সম্পর্কিত। এসব স্পেলে শুধু ধ্বংস আর ক্ষতি ছাড়া কিছুই হয় না। আমি দাড়িয়ে পরলাম। হাত পায়ের দিকে দেখতে লাগলাম। কিছু কালো ছায়া বের হতে চাইলো। কিন্তু পরক্ষনেই সেটা শরীরের ভিতরে চলে গেলো। নিজেকে এখন একটু শক্তিশালী মনে হচ্ছিলো। আমার মধ্যে জারা কিছুটা ক্ষমতা দিয়েছে। আমার এইটুকুই দরকার। আমি নিজেই বুঝতে পারছি আমার কাছে কিসের স্পেল আছে। আমি সময়ের বেশ কয়েকটা স্পেল পেয়েছি। একটা জিনিস খুব ভালো লাগে। ক্ষমতা থাকলে স্পেল মুখস্ত করতে হয় না। সেগুলো এমনিতেই মাথায় ঢুকে থাকে সব সময়। আর যখন সেগুলো ব্যবহার করবো তখন সেগুলো সাথে সাথেই বলা যায়। কিন্তু ক্ষমতা না থাকলে এসব স্পেল ভুলে যেতে হবে। আমি তো বুঝতে পেরেছি কোনটা কিসের স্পেল তারপরও আমি জারাকে বলতে লাগলাম
 
.
--আমাকে কি ক্ষমতা দিয়েছো?(আমি)
.
--হ্যা।(জারা)
.
--কোথায় আমি তো আমার মাঝে কোনো পরিবর্তন পাচ্ছি না।(আমি)
.
--পাবে আগে ব্যবহার করে দেখো।(জারা)
.
--আচ্ছা আমার মাথায় কিসব মন্ত্র যেনো ঘুরে বেরাচ্ছে এগুলো বললে কি জাদু হবে?(আমি)
.
--হ্যা। একটা বলে দেখো।(জারা)
.
--ওকে চেষ্টা করি।(আমি)
।।।।।
।।।।।
আমার মাথায় একটা আজব রকমের স্পেল ঘুরে বেরাচ্ছিলো। যেটার নাম মূলত টাইম স্পেস স্পেল। এমন স্পেল এর কথা আমি কোনোদিন শুনি নাই। ভাবলাম ঔটাই করা যাক। হঠাৎ করেই সব কিছু নিরব হয়ে গেলো। আশে পাশের সব আটকে গেছে। এমনকি জারা নিজেও। আমার মাথায় একটা আওয়াজ আসলো শুধু।
.
""অপেক্ষা করো। আমি তোমার জন্য তোমার ইউনিভার্সে আসবো। এবং তোমাকে মারবো তোমার ইউনিভার্সে।""
.
কথাটা আমার কানে কিছুক্ষন যাবৎ শুনতে পেলাম। এরপর আস্তে আস্তে সব আবার ঠিক হয়ে গেলো। কি হলো কিছুই বুঝলাম না। 
.
--সব হঠাৎ থেমে গিয়েছিলো(আমি অবাক হয়ে একটু জোরে বল্লাম জারাকে)
.
--সময়ের স্পেল ব্যবহার করেছিলে তাই।(আমি)
.
--wow আমি তো এটা ভেবেই উত্তেজিত যে আমি আরো কি করতে পারবো।(আমি)
.
--বেশী কিছু করতে পারবে না। কারন তোমাকে আমার ক্ষমতার আংশিক কিছু দিয়েছি।(জারা)
.
--তাতেই খুশি আমি।(জারাকে আমার খুশি বোঝানোর জন্য একটা চুমু দিলাম)
।।।।
।।।।
মেয়েটা আসলেই অবুঝ। আমার একটু রোমান্সে পুরো গলে যায়। আমার তো ভাবলেই অবাক লাগে যে মিয়ারা এমন বলদ হবে। আমার একটা জিনিস ঠিক লাগছে না কারন একটু আগে আমার কানে লাগা শোনা শব্দটা আমার মোটেও ভালো লাগছে না।জিনিসটা কি হতে পারে সেটার তো সঠিক ধারনা আমি দিতে পারতেছি না। কিন্তু আমার মন বলতেছে খারাপ কিছু হবে সামনে। আমি উপরে চলে গেলাম জারার সাথে। আমার এখন একটু ভালো লাগছে কারন কিছুটা ক্ষমতা তো অন্তত আমার কাছে আছে। এতেই কাজে দিবে। আর মূল কথা হলো আমার সময়ের কিছু স্পেল আর ক্ষমতা নেওয়ার স্পেলটা লাগবে। আর সেটা আমি পেয়ে গেছি। এখন আর কি লাগে। আমি জারাকে নিয়ে ছাদে চলে আসলাম। কারন রুমের মধ্যে হৃদি এখনো জিসান ভাইয়ের সাথে গল্প করছে। সে কি গল্প। আশে পাশের কোনো জিনিসের খেয়াল নাই তার। আমি তো জারাকে নিয়ে ছাদে চলে আসলাম। আমাদেরও তো গল্প করতে মন চাই তাই না। আমি আর জারা ছাদের একটা কোনে বসে ছিলাম। জারা ওর বাতাসের ক্ষমতা দিয়ে ঝোড়ালো বাতাস আনতে শুরু করলো। দুজনেই হাতে হাত রেখে গল্প করছিলাম। একটা নিরবতা ছিলো চারপাশে। যেমন ঝড় আসার পূর্বে নিরবতা হয় তেমনি। মনে হচ্ছে বিশাল একটা ঝড় আসবে। ঠিক সেটাই হলো। একটু পরই একটা কালো মেঘ আমাদের সামনে চলে আসলো। দেখতে অনেকটা অবাককর বিষয় ছিলো। জারা নিজেও অবাক হয়ে গেলো সামনের মেঘটা দেখে। সামনের কালো মেঘটা হঠাৎ করেই মানুষের রূপ নিতে শুরু করলো। দেখতে দেখতেই সেটা একটা ভয়ঙ্কর মানুষের রূপ নিলো। যার চেহারা অনেক ভয়ানক হয়ে গেছে। 
.
--অনেক খোজার পর শেষ মেষ পেলাম আমি তোমাকে।(ভয়ঙ্কর লোকটা)
.
--কাকে খুজছিলেন?(আমি)
.
--তোমাকে।(লোকটা)
.
--আমাকে কেনো?(আমি)
.
--তোমাকে মারার জন্য।(লোকটা)
.
--আমাকে মারার জন্য? কে আপনি? আমি আপনার কি করেছি?(আমি)
.
--আমার নাম নিরাম্বা। মনে হয় ভুলে গেছো আমাকে?(নিরাম্বা)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।
নতুন রহস্য নিরাম্বা কে? যারা ডাইভার্স গল্পটা পড়েছেন তারাই চিনতে পারবেন নিরাম্বা কে। তো নিরাম্বা কিভাবে আসলো এখানে সেটাও বলে দিবো পরের পার্টে।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.