পার্ট: ০৯ (শেষ)
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
।।
।।
সবাই মেনে নিয়েছে বিয়েটা।সবার মুখেই হাসি।দেখে মনে হচ্ছে আগে থেকেই জানতো বিয়ে আমাদেরই হবে।সবাই খুশি।কিন্তু আম্মুর মুখে হাসি নাই।হয়তো আম্মু কখনো মন থেকে মেনে নিবে না মেঘলা কে।সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে আমি চলে গেলাম বাসর রাতে।এখন তো আর অপেক্ষা হচ্ছে না।ভালোবাসার মানুষটাকেই পেয়েছি।যাইহোক মেঘলাকে বাসায় এনে সাজানো হয়েছে।আমার কাজিনরা সব ওর পাশেই ছিলো।
.
--কি ভাইয়া এখন আর দেরী সহ্য হচ্ছে না।(নিলা মামাতো বোন)
.
--না বউ পাইলে কি আর সহ্য হয় নাকি।(আবির)
.
--ঔ তোরা থামবি।যা তোরা এখন বাইরে যা।(আমি)
.
--বাইরে যাবো মানে কত কষ্ট করে ভাবিকে সাজালাম টাকা না পাইলে তো যাবোই না আর তোমাকে ও ভাবির কাছে ঘুমাতে দিবো না।(দিয়া)
.
--কিসের টাকা।কোনো টাকা দিবো না।(আমি)
.
--না না ৫ হাজার দাও তারপর বাসর করো ভাবির সাথে।টাকা না দিলে ভাবি ও নাই আজকে।(দিয়া)
.
--দিবো না টাকা।(আমি)
.
--তাহলে বাইরে যাও আজকে সারারাত ভাবির সাথে গল্প করবো।(দিয়া)
.
--আচ্ছা দিচ্ছি যা এখন।(আমি)
।।।।
কি আর করার টাকা নেওয়ার পর ওরা চলে গেলো।আমিও দরজা আটকিয়ে দিলাম।খুব ভয় লাগছে।মেঘলা আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে কাছে পেলে আমাকে কাচা খেয়ে ফেলবে।আমি ওর কাছে গেলাম।
.
--এই তুই একদম আমার কাছে আসবি না।(মেঘলা)
.
--তুমি আমাকে তুই করে বলতেছো কেনো।(আমি)
.
--তুই করে বলতেছি তোর ভাগ্য।এখনো মাথা ফাটায় নি তো।(মেঘলা)
.
--এমনে বলতেছো কেনো।(আমি)
.
--ও তাহলে কিভাবে বলবো।(মেঘলা)
.
--তুমি করে বলো না আমরা তো এখন স্বামী স্ত্রী।(আমি)
.
--রাখ তোর স্বামী।তোর মায়ের ভয়ে আমাকে ফেলে চলে এসেছোস।বিয়ের পরে আমাকে তালাক দিবি না তার কোনো গ্যারান্টি আছে নাকি।(মেঘলা)
.
--এমন কথা বলতে পারলা তুমি।আমি তোমাকে কেনো তালাক দিবো।(আমি)
.
--দেখছোস বলার সাথে সাথে আমাকে এক তালাক দিয়ে দিলি।(এই বলে কান্না শুরু করলো মেঘলা)
.
--আমি কখন তালাক দিলাম তোমাকে।(আমি)
.
--এইযে দুই তালাক ও দিয়ে দিলি।(এবার বেশী কান্না করলো)
.
--কি মেয়েরে আমি কি দিছি নাকি।বললেই কি হয়ে যাবে নাকি)
.
--আমি কিছুই জানি না তুই আমার কাছে ঘুমাতে পারবি না।(মেঘলা)
.
--তাহলে আমি ঘুমাবে কোথায়।(আমি)
.
--তুই নিচে ঘুমাবি।(মেঘলা)
.
--আমি নিচে ঘুমাইতে পারি না।(আমি)
.
--তাহলে সোফায় ঘুমা কিন্তু আমার কাছে আসতে পারবি না তুই।(মেঘলা)
.
--এমন করতেছো কেনো আমি তো তোমাকে ভালোবাসি।(আমি)
.
--ভালোবাসলে আর আমাকে বিয়ের কথা বলে পালিয়ে এখানে এসে বিয়ে করতি না।(মেঘলা)
.
--আমার তো কোনো দোস নাই আম্মু যাতে কষ্ট না পাই তাই আমি বিয়ে করতেছিলাম।কিন্তু আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।(আমি)
.
--তোর ঔ ভালোবাসা লাগবো না আমার তোর মায়ের জন্য আমাকে এত বড় কষ্ট দিলি।কই তোর মা তো তোর কষ্ট টা বুঝলো না।নিজের টা নিয়েই বেশী বুঝে।(মেঘলা)
.
--দেখো আমি মানতেছি আমার ভুল হয়েছে তুমি এমন করো না প্লিজ।আমি আমার ভুল স্বিকার করছি আমাকে মাফ করে দাও।(আমি)
.
--না।
.
--কেউ ক্ষমা চাইলে তাকে মাফ করতে হয় জানো না।(আমি)
.
--বাবা ঔ নিধিটা দেখছি তোমাকে কথা ও শিখিয়ে দিয়েছে।--বাবা ঔ নিধিটা দেখছি তোমাকে কথা ও শিখিয়ে দিয়েছে।(মেঘলা)
.
--আমি যা করেছি খুব লজ্জিত তার জন্য।তোমাকে খুব ভালোবাসি আমি।চলো না এই রাগারাগি বাদ দিয়ে নতুন করে শুরু করি।(আমি)
.
--না তোমার সাথে আমি সংসার করবো না।(মেঘলা)
.
--তাহলে আমি নিধির কাছে যাই।(আমি)
.
--এই পা ভেঙে দিবো এখন আর ওর কথা বললে।(মেঘলা)
.
--তাহলে আমাকে আদর করো।(আমি)
.
--না পারবো না।(মেঘলা)
.
--তাহলে থাকো আমি যাচ্ছি।(আমি)
.
--আরে আমার লজ্জা করে না বুঝি।(মেঘলা)
.
--বিয়ের আগে তো কেনো লজ্জা পেলে না আজকে কেনো এতো লজ্জা পাচ্ছো।(আমি)
.
--এখন তো বিয়ে হয়েছে তাই।(মেঘলা)
.
--ও তাহলে আদর করবে কে।(আমি)
.
--কেনো নিজের জিনিস নিজেই নিয়ে নেওয়া যাই না।(মেঘলা)
.
--ও আগে বলবা তো এটাই তো চেয়েছিলাম।
।।।।।।।
তারপরে তো কিছু একটা হয়ে গেলো।।।সেটা না জানলে ও ভালো হবে।
।।।
।।
।
(সমাপ্তি)