ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ডাইভার্স পর্বঃ ১০

Bangla Dub Novels
 #ডাইভার্স#
পার্টঃ ১০
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
গল্প শুরুর আগেই কিছু বলে রাখি। অনেকে এই ১৫ জন ক্যারেক্টার নিয়ে কনফিউজড। তাদেরকে বলতেছি এই ১৫ জন ক্যারেক্টার জন্ম নেওয়া অবস্থায় মৃত ছিলো। আর আলাদা ডাইমেনশন থেকে যে রাজকুমার এসেছিলো তার ক্ষমতাগুলো সেই রাজকুমারের সেনাপতির স্পেলের সাহায্যে পুরো ১৫ জন মৃত বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে এবং জাদু আর ক্ষমতা দুটোর সাহায্যেই ক্ষমতা গুলো এক একটা প্রান পেয়ে যায়। ক্ষমতাগুলো সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে সামনে পড়তে থাকুন জানতে পারবেন। এ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আপনারা ভিতরেই জানতে পারবেন।
।।।।।
।।।।।
।।।।।
সবার ভয় পাওয়া চেহারা দেখে আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
.
--এই ডার্ক প্রিন্স কি?(আমি)
.
--এটা আমাদের সবার মাঝেই থাকে। সবার মাঝেই যতগুলো ক্ষমতা থাকে তার উল্টা বা খারাপ ক্ষমতাও ভিতরে থাকে। এ খারাপ ক্ষমতাকে dark power বলা হয়। এটা সবাইকে খারাপ কাজ করতে অনুপ্রেনিত করে।(হাসান)
.
--তুমি কি শিওর আমাদের সবার ক্ষমতা সম্পর্কে এই শেষের জনই জানে?(আশা)
.
--হ্যা আমি এটা সম্পর্কে একদম সিওর। কিন্তু আমি তো একজন ডার্ক প্রিন্সকে আমার ভাইয়ের পুরো ক্ষমতা দিতে পারি না।(অনু)
.
--আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন আছে?(আমি)
.
--হুমমম কি প্রশ্ন?(হাসান)
.
--আচ্ছা আমাদেরকে জীবন্ত করা হয়েছে তো একজনের সোর্স দিয়েই। তাহলে আমাদের একত্রিত করলে তো তাকেই আবার পাওয়া যাবে। তাহলে সেই ছোট বাচ্চা যে কিনা রাজকুমার ছিলো আমাদের একত্রিত করলে তো সেই রাজকুমারকেই আবার পাওয়া যাবে।(আমি)
.
--হুমমম এটা একদম সঠিক। ম্যাজিক এভাবেই কাজ করে। কিন্তু সেটা করলে আমাদের প্রিন্স আবারো সেই অবস্থায় থাকবে যেমন সে সেই সময় ছিলো। তাই আমাদের আরেকটা রাস্তা অবলম্বন করতে হবে।(অনু)
.
--সেটা কি?(আমি)
.
--এটা একটা গোপন বিষয়।(অনু)
.
--ওওও এখন তো মনে হয় রাত হয়ে গেছে। আমাকেও তো বাসায় যেতে হবে।(আমি)
.
--কোথাও যাওয়া হচ্ছে না তোমার। এখানেই থাকছো তুমি।(হাসান)
.
--এটা কোনো কথা হলো। সদ্য বিয়ে করেছি বাসায় বউ আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর আমি এখানে থেকে কি করবো।(আমি)
.
--আচ্ছা যেতে পারো। কিন্তু খবরদার যদি কোনো চালাকি করে থাকো তাহলে কিন্তু এসবের মতো তোমাকেও পুতুল বানিয়ে রাখবো।(পিছনে দাড়ানো ছেলেদের দেখিয়ে অনু আমাকে বললো)
.
--আচ্ছা আমি জেনারেলকে কি বলবো এই মিশন সম্পর্কে।(আমি)
.
--তোমাকে কিছুই বলতে হবে না। এসব আমাদের উপরে ছেড়ে দাও।(অনু)
।।।।
।।।।
আমি আর কিছু বললাম না। আমার উপরে কম আক্রমন পরে নি। জায়গায় জায়গায় কেটে ছিড়ে গেছে। তবে একটু আগে আমি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে গেছি। সব গুলো ক্ষত না ভরলেও অনেক ক্ষত ঠিক হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারলাম এটা তাদের মধ্যে থাকা কোনো একজনের ক্ষমতা। এগুলো নিয়ে ভাবলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে। কি দিনটাই না গেলো। জীবনে কোনো দিন আমি পরাজিত হয় নি। আজকে আমি পরাজিত হয়ে গেলাম। হঠাৎ আমার মাথায় হালকা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। বুঝলাম আমার মনের কথা গুলো কেউ পড়ার চেষ্টা করছে। এতোদূর থেকেও তাহলে ওরা ওদের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে। আচ্ছা অনু বললো আমার কাছে টেলিপ্যাথি ব্লোক করার ক্ষমতা আছে। একটু চেষ্টা করেই পারা যাবে। একটু মনোযোগ দিতে লাগলাম। কিছুক্ষন পরেই আস্তে আস্তে আমার মাথা ব্যাথা কমতে লাগলো। রাত এখন ৯ টা বাজে। আর আমি হেটে হেটে বাসার দিকে যাচ্ছি। কেনো জানি নিজেকে আজকে অসহায় মনে হচ্ছে। তাহলে এই শরীরে আমি কিছুদিন পর আর থাকবো না। এটা কিভাবে সম্ভব হয় যে আমার শরীর আর থাকবে না কিছুদিন পর। এটা তখন অন্য কারো দখলে থাকবে তখন। না এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমাকে তো কোনো না কোনো জিনিস বের করতেই হবে। তবে আপাতোতো সময়ের জন্য আমি অনেক ক্লান্ত। আমাকে যেভাবে ধরে রাখা হয়েছিলো তাতে আমার হাড় ভেঙে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো। 
।।।।
।।।।
আমি বাসার দিকে হাটতে লাগলাম। পুরো এক ঘন্টা লাগলো বাসায় পৌছাতে। বাসায় আসার পর কলিং বেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলো আম্মু।
.
--এতোক্ষম বাইরে কি করতেছিলো। আর তোর মোবাইলের কি হয়েছে?(আম্মু)
.
--চুরি হয়ে গেছে মোবাইল। চোরের পিছনেই ছিলাম এতোক্ষন।(আমি)
.
--আয় তারাতারি ভিতরে। সবাই কত চিন্তা করছিলো।(আম্মু)
.
--আমাকে নিয়ে চিন্তা করে লাভ কি আমি তো একজন সৈনিক।(আমি)
.
--ভিতরে আয়। তোর আঙ্কেল কখন থেকে বসে আছে কিছু কথা বলার জন্য।(আম্মু)
।।।।
।।।।
আমি ভিতরে গেলাম। ভিতরে দেখতে পেলাম সবাই একসাথে বসে ছিলো। আমার দিকে তাকিয়ে সবাই অবাক হলো। কারন আমার শরীরে বেশ কিছু জায়গায় ব্যান্ডেজ এবং সেই সাথে রক্তও দেখা যাচ্ছে। দরজার ঔখানে অন্ধকার ছিলো বলে আম্মু খেয়াল করে নি। আমার এই অবস্থা দেখে নিলা সাথে সাথে কেদে দিলো আর আমাকে কোনো রকমে ধরে সোফায় বসিয়ে দিলো।
.
--কি হয়েছে তোর সাথে?(আমি)
.
--কিছুই হয় নাই। শুধু কয়েকটা লোক আমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিলো। তারপর ইচ্ছা মতো পিটাইলো। কিন্তু পরে ওদের অবস্থা টাইট করে দিয়ে চলে আসলাম।(আমি)
.
--তোমাকে কত বলেছি কোনো ঝামেলা করো না। এখন কিন্তু তুমি আর একজন সৈনিক না এই কথাটা মাথায় রাইখো। একজম নর্মাল লাইফ শুরু করো আমার মেয়েটার সাথে।(আঙ্কেল)
.
--হঠাৎ কি হলো আঙ্কেল আপনার। এমন কথা বলতেছেন কেনো?(আমি)
.
--কালকেই কিন্তু আমাদের ভিতরে কথা হয়েছে এই ব্যাপারে। তুমি আর এখন থেকে এই মারামারি করবে না।(আঙ্কেল)
।।।।।।।।
।।।।।।।।
আমার মাথা পুরো হ্যাং হয়ে গেলো। সাথে সাথেই আমি আওয়াজ পেলাম আমি কিছু আওয়াজ শুনতে পেলাম।
.
--এখন থেকে কোনো কাজই করতে হবে না তোমার। সবার মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তুমি সেনাবাহিনীতে আর নেই আর তুমি হোল্ডার কম্পানিতে কাজ করছো একজন জুনিয়র ম্যানেজার হয়ে।(অনু)
.
--কাজটা কিন্তু ঠিক করলে না তুমি।(আমি মনে মনে বললাম)
.
--এটাই করতে হবে। সবাইকে তো ভোলাতে হবে জিমিসগুলো আস্তে আস্তে। আর সব এক সাথে ভোলাতে গেলে একটু গরমিল তো হয়েই যায় সব সময়।(অনু)
।।।।
।।।।
আর কোনো আওয়াজ পেলাম না আমি অনুর। এই জিনিসটা আমার অনেক ভয়ের লাগছে। কারন যখন তখন এই মেয়েটা আমার মাথায় চলে আসে। কোনো কাজ কাম নাই অন্যের মাথায় কি চলছে সেটা নিয়েই পরে থাকে মনে হয় সব সময় এই মেয়েটা। আচ্ছা আমাকে এখন পরিস্থিতিটা একটু সামলে নিতে হবে। কারন একটু ব্যাকা করে দিছে অনু।
--নতুন চাকরী পেয়েছো এখন সেটা নিয়েই নিজের জীবনটা সুন্দর করো। কেনো আবার মারামারি করো।(আঙ্কেল)
.
--মারামারি?(আমি)
.
--কালকে সকালেই তো মারামারি করলে নিলার কলেজে গিয়ে। এসব থেকে কিন্তু দূরে থাকতে বলেছি তোমায় অনেক আগেই।(আঙ্কেল)
.
--আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে। আর হবে না এমন।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি সেখান থেকে চলে আসলাম নিলার কাধে ভর করে। বিশাল রাস্তা হেটে আমি অনেক ক্লান্ত। আর সারাদিনে কিছুই খাওয়া হয়নি। এজন্য শরীর এখন নারাতেও সমস্যা হচ্ছে। আমি রুমে আসার পর গোসল খানায় এসে গোসল করে নিলাম। নিলা বিছানায় আমার জামা কাপড় রেখে নিচে গেছে। আমি বাইরে এসে জামাকাপড় চেন্জ করে নিলাম। তখনি দেখতে পেলাম নিলা আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে।
.
--সারাদিনে মনে হয় কিছুই খাওয়া হয় নি আপনার। নিন আমি খাইয়ে দিচ্ছি।(নিলা)
.
--কিভাবে বুঝলে আমি খাই নি কিছু?(আমি)
.
--আপনার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি সারাদিন কিছুই খাননি। নিন হা করুন।(নিলা)
.
--হুমমম।(আমি হা করলাম। নিলা আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো)
।।।।
।।।।
মেয়েটার কেয়ারিং দেখে নিজের কাছেই অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই আমাকে ওকে একা করে দিতে হবে। ভাবলেই গা কেমন কাটা দিয়ে উঠে। আমাদের ১৪ জনকে মেরে একজনই সেই জায়গা নিবে। তাদের কথা মতো তো বুঝতে পারলাম ডার্ক প্রিন্সই সবার ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানে। কিন্তু তাদের মুখে যে ভয় আমি দেখেছি তাতে তো মনে হয় না তাকে সব ক্ষমতা গুলো দিবে। কারন এতে করে একজন ক্যারেক্টারই জীবন্ত থাকবে তার জীবন নিয়ে। আর আমরা সবাই মারা যাবো। সবাইকে কোনো না কোনো জাদু হয়তো ঔ দুটো টেলিপ্যাথিক করে রেখেছে। নাহলে মৃত্যুতেও তারা ভয় পাচ্ছে না। কিন্তু আমি মরতে চাই না। মরবো কেনো আমি। আমার তো সময় হয় নি এখনো। আমাকে এই অনু মেরে ফেলবে।
।।।।
।।।।
নিলা আমাকে খাইয়ে দেওয়া শেষ করে দিলো। এরপরে আমি শুয়ে পরলাম। কারন অনেক ক্লান্ত ছিলাম আমি। আস্তে আস্তে আমি ফিল করতে পারছিলাম আমার শরীরের সব অংশই হিল হতে শুরু করেছে। এটা আগে কখনো হয় নি। বেলকনিতে আমি দুজন মানুষকে দেখতে পেলাম। কিন্তু নরাচরা করার ইচ্ছা মোটেও আমার ছিলো না। তাই ঘুমিয়ে পরলাম আমি। পরের দিন আবার আমাকে আসতে হলো হোল্ডার কম্পানিতে। প্রথম ফ্লোরে গিয়ে লিফটে উঠলাম। কোনো বাতন চাপ দিতে হলো না এমনি এমনিই আমাকে নিচে নিতে লাগলো। মনিটরে দেখতে লাগলাম মাইনাস ১০ উঠে আছে। মানে আমাকে মাটির ১০ তলা নিচে নিয়ে আসা হয়েছে। ভাবতেই অবাক লাগছে কিন্তু কালকে তো আমি ২য় ফ্লোরে ছিলাম যতটুকু আমার মনে আছে। দূর কি যে চিন্তা করছি। প্রথমেই আমাকে মনোযোগী হতে হবে। কাউকে আমার মাইন্ড পড়তে দেওয়া যাবে না। আমি একটা রুমে পৌছে গেলাম যেখানে সবাই বসে আছে। কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় দেখা গেলো সেটা হলো আমাকে কালকে যেভাবে বেধে রাখা হয়েছিলো সেভাবেই আরেকটা লোককে বেধে রাখা হয়েছে। তাহলে নিশ্চয় এটা ১৫ নম্বর। 
.
--এটাকে ধরলে কিভাবে তোমরা?(আমি)
.
--সবারই একটা দুর্বল জায়গা থাকে। আর এই শক্তিশালী জানোয়ারটারও কিছু দুর্বল জায়গা আছে।(আশা)
.
--জানোয়ার বললা যে ওকে।(আমি)
.
--কারন ও আমাদের সবার থেকে ভয়ঙ্কর। তোমার আন্দাজ ও নেই কালকে আমাদের সবাইকে কতটা আঘাত দিয়েছিলো। একটুর জন্য আমরা বেচে গিয়েছিলাম। নাহলে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতো।(তিথি)
.
--অনু আর হাসানকে দেখতে পাচ্ছি না যে।(আমি)
.
--ওরা জরুরী কিছু কথা বলছে।(সাদি)
.
--ওওওও। আচ্ছা টয়লেটটা কোন দিকে একটু বলা যাবে?(আমি)
।।।।
।।।।
আলিফ এক সেকেন্ডেই আমার হাত ধরে পুরো আল্ট্রা গতিতে আমাকে টয়লেটের সামনে নিয়ে আসলো। আমি হালকা হয়ে নিলাম কিছুক্ষন। যাক কালকে আমি ছিলাম না তাদের সাথে। নাহলে আমাকে আগেই জীবন দিতে হতো। এমনিতেও ছেলেটার চেহারা দেখেই আমার ভয় লাগছে। হঠাৎ ই আমি টয়লেটের দরজা খুলতে যাবো তখনি আমার হাত দরজার ভিতরে চলে গেলো। হঠাৎই আমার এই ক্ষমতাটা আমি ব্যবহার করতে পারতেছি। আচ্ছা এই ক্ষমতাটা আমি দেখেছি অনুর কাছে। আর সবার কাছে যখন এক এক ক্ষমতা আছে তাই মনে হয় না আর কারো কাছে এই ক্ষমতা আছে।
আমি দরজার ভিতর দিয়ে চলে যেতে পারলাম। নিজের কাছে ভালোই লাগছিলো। আগে এটা ব্যবহার করতে পারলে কালকে আমার এতো মাইর খেতে হতো না। আর এমনিতেও আমি তাদের সাথে পারতাম না। মাত্র দুজনকেই আমি হারাতে পারি নাই। আর পুরো ১৪ জন যখন আমার উপরে হামলা করতো তখন আমার কি হতো? আমি ডান পাশের দেওয়ালের ভিতরে ঢুকে গেলাম। সাথে সাথেই আমি একটা আলমারির ভিতরে চলে গেলাম। আর বের হতে পারলাম না। কারন আমার পাওয়ার আর ব্যবহার করতে পারছি না আমি। কিন্তু রুমের মধ্যে আমি দুজনের কথা বলার শব্দ শুনলাম। আলমারির ফুটো দিয়ে আমি দেখতে লাগলাম।
.
--এখন কি করবো অনু আমরা?(হাসান)
.
--দেখো আমি চাই না। আমার ভাইয়ের জীবন ফিরে আসুক তার ব্লাক পার্টের উপরে। তাই আমি চাই আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত মানুষটাই আমার ভাইয়ের পাওয়ারটা পাক।(অনু)
.
--কিন্তু এতে তো ওরা প্রতিবাদ করতে পারে?(হাসান)
.
--ওরা বুঝতেও পারবে না। ওদেরকে বলে রেখেছি কিছুদিন পরে এই কাজটা করতে হবে। কিন্তু আমরা কাজটা আজকেই শেষ করে ফেলবো।(অনু)
.
--কিন্তু কিভাবে?(হাসান)
.
--ম্যাজিক স্পেল টা আমি অনেক আগে থেকেই শিখে রেখেছি। সবার রক্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে এখন শুধু সে রক্ত গুলো খেতে হবে তোমাকে(অনু)
.
--সেটা খেলেই কি কাজ হয়ে যাবে?।(হাসান)
.
--হ্যা সেটা খেলেই সব ক্ষমতা তোমার মধ্যে চলে যাবে।(অনু)
.
--আচ্ছা সেটা তৈরী করো।(হাসান)
।।।।
।।।।
একটা গামলা নিয়ে আসলো অনু। আর সেটায় কিছু স্পেল পড়তে লাগলো অনু। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম শুধু কি করে তারা।
.
--নাও এবার এটা খেলেই সব তোমার।(অনু)
.
--আচ্ছা তার আগে আমরা সবাইকে শেষ বারের মতো একবার দেখে আসি।(হাসান)
.
--ঠিক আছে চলো।(অনু)
।।।।।
।।।।।
দুজনে বের হয়ে গেলো সেই রুম থেকে। আর আমি আলমারির মধ্যে। তাহলে আমাকে এই রক্ত গুলো খেতে হবে এগুলো খেলেই সব আমার। আমি হুট করেই আবার আমার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলাম। আলমারী থেকে বের হয়ে গেলাম আমি। আমি গামলাটার পাশে এসে দারালাম। কিন্তু কিছু একটা আমার কাছে ঠিক লাগছে না। কারন অনু একজন টেলিপ্যাথিক। আর আমার উপস্থিতি খুব সহজেই বুঝতে পারবে সে। এটা সব পাওয়ার উপায় না। বরং নিজেকে হারানোর উপায়। আমাকে এখান থেকে যেতে হবে। আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। সবার সামনে চলে আসলাম আমি।
.
--তোমার অপেক্ষায় করছিলাম। কেমন লাগছে নিজেকে এখন?(অনু)
.
--অনেক ভালো।(আমি)
.
--এটা সম্ভব না। তারমানে তুমি ঔ ঔষধ খাও নি।(অনু চিন্তিত হয়ে)
.
--আমি এতোটাও বলদ না যে ওটা খাবো এবং তোমার আদেশ মতো চলতে শুরু করবো। আমি এটা জানি যে তুমি টেলিপ্যাথি ক্ষমতা দিয়েও আমাকে কন্ট্রোল করতে পারবে না।(আমি)
.
--তুমি আসলেই কাটার মতো কাজ করতেছো। সাদি ওকে কালকের মতো বেধে রাখো দেওয়ালে।(অনু)
.
--ঠিক আছে।(সাদি)
।।।।
।।।।
সাথে সাথে সাদি আমাকে উড়িয়ে দেওয়ালের সাথে আটকে দিলো যেখানে আমি নরতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু সেই সুযোগে অনু ওর ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাকে বেহুস করে দিলো। কাজটা দ্বারা আমার জন্য ভালো কারন আমি স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। আজকে বয়স্ক লোকটা আমার সামনে আসলো। আমি তাকে আজকে স্পষ্ট দেখতে পেলাম। এটা সেই লোক যে কিনা রাজকুমারকে ১৫ অংশে ভাগ করে দিয়েছিলো। কিছু একটা বললো আমাকে লোকটা। তার কথাই আমি শুনলাম শুধু। 
আমি আর কিছু বলতে যাবো তার আগেই আমি জেগে গেলাম। এবং সামনে সবাইকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখলাম।
.
--তোমাকে কন্ট্রোল করতে না পারলেও আটকে তো আমি রাখতেই পারবো।(অনু)
.
--চেষ্টা করে দেখো।(আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে দিলাম)
।।।।
।।।।
সাথে সাথেই আমি আবার ভুতুরে ফর্মে চলে আসলাম। মানে সব কিছু আড় পাড়ে যেতে পারবো সেই রূপে। এই রূপে আমি অনেকটা ঝাপসা হয়ে গেলাম।
.
--তাহলে এই ক্ষমতাটা তোমার কাছে আছে। প্রশংনীয়।(অনু)
।।।।
।।।।
আমি সাথে সাথে জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম যেটার জন্য সবাই কান ধরে বসে পরলো। ১০ জনের মতো অজ্ঞান হয়ে গেলো। কিন্তু অনুর কিছুই হলো না কারন ও আমার মতোই ভুতুরে রূপে ছিলো। আর সবার কান দিয়েই রক্ত পরছিলো। আমার বুদ্ধি ছিলো সাদিকে ঘায়েল করা যেটা আমি করে দিয়েছি। আর এতে করে The dark prince মুক্ত হয়ে গেছে। অনেক রেগে আছে। আমি আমার ভুতুরে রূপ বাদ দিয়ে দিলাম। এই রূপে সবাই আছে কিনা দেখে নিলাম আমি। সেই সময়ে পিছন থেকে জানোয়ার টা এসে আমার মাথায় শুধু দু হাত দিয়ে একটা জোরে ঠাপ্পর দিলো এবং আমার মাথা আলু বর্তা হয়ে গেলো। আমি সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পরলাম। আমার মৃত্যু হয়ে গেলো।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.