ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জেদি বউ ৩ পর্বঃ ১১

Bangla Dub Novels
 #জেদি_বউ_3#
পার্টঃ১১
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি গোসলটা শেষ করলাম। টাওয়েল টা পরে বের হলাম। দেখলাম নিলা আমার জামা কাপড় গুলো বিছানায় রেখে গেছে। সেগুলো পরে নিয়ে আমি নিচে আসলাম। আমি এসে বসে পরলাম একটা চেয়ারে। নিলা এতোক্ষন আম্মু আর বাবাকে খাবার বেড়ে দিচ্ছিলো। এবার আমার পাশে এসে বসলো তারপর আমার প্লেটে খাবার উঠিয়ে দিতে লাগলো। নিলাও নিলার প্লেটে খাবার নিয়ে খেতে বসলো। আমি বসে খেতে লাগলাম। হঠাৎ ভাবলাম একটু মজা করে দেখি নিলা কি বলে। নিলা খাচ্ছিলো আর আমি আমার একটা পা ওর পায়ের উপরে দিলাম। দেখলাম চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। কিন্তু বাবা মা পাশে থাকায় আর কিছু বলছে না। আমিও মজা নিতে থাকলাম। তখনই জোরে করে একটা চিমটি দিলো আমার হাতে। ব্যথা পেলাম একটু। কারন একটু বড় বড় নখ ওর। সেটা দিয়ে যে চিমটি দিলে ব্যথা লাগবেই। আমি খাবারটা শেষ করলাম। তারপর চলে আসলাম আমার রুমে। এসে বসে ছিলাম। তখনই নিলা রুমে আসলো।
.
--শুনেন আমার সাথে আমাদের বাসায় যেতে হবে আপনাকে একটু।(নিলা)
.
--উহু আমার ভালো লাগছে না।(আমি)
.
--ভালো লাগছে না বললেই হলো নাকি। আমার অনেক কিছু রয়েছে সেখানে সেগুলো নিয়ে আসতে হবে তো।(নিলা)
.
--সেটা তুমি গিয়ে নিয়ে আসো। আমার শরীর ভালো লাগছে না।(আমি)
.
--ঠিক আছে আপনি রেস্ট নিন আমিই নিয়ে আসছি।(নিলা)
।।।।
।।।।
নিলা রেডি হয়ে তারাহুরা করে বেরিয়ে পরলো। আমি সাথে গেলাম না এমনিতেই। ভালো লাগছে না। মনটা খারাপ লাগছে আমার ছোট ভাইয়ের কথা ভেবে। খুব তো ভালোবেসেছিলো। এখন তো তার ভালোবাসাকেই বিয়ে করতে হলো আমাকে। রাত কাটাতে হলো তার ভালোবাসার সাথে। এটা তো কখনোই কল্পনা করি নি। নিলা বের হওয়ার পর। আমি আমার ডয়ারের লকটা খুলে সেখান থেকে ডাইরীটা বের করলাম। এই সেই ডাইরী যেটাই হৃদয় ওর সব কথা লেখেছিলো। এটা সেই ডাইরী যেটা লেখে হৃদয় এর মৃত্যুর একদিন আমাকে পাঠিয়েছিলো। আমি অনেকবার ওদের ভালোবাসার কাহিনীটা জানতে চেয়েছিলাম কিন্তু হৃদয় বলতো একদিন একটা ডাইরী পাঠাবে আমার কাছে। এই ডাইরীটা পরেই আমি বুঝতে পারছি কতটা ভালোবাসতো হৃদয় নিলাকে।
।।
।।
অবশ্য আপনারা ভাবছেন আমি এখানে নিলাকে নিয়ে আসলাম কেনো। জারা তাহলে কোথায় গেলো। এই নিলাই ছিলো জারা। আগেও নিলার পুরো নাম বলেছি নিলাঞ্জলা জারা। তাহলে চলেন এই কাহিনী বলার আগে আবারো এই ডাইরীতে লেখা কাহিনীতে ফিরে আসি। যেখান থেকে শেষ করেছিলাম সেখানে ফিরে যাওয়া যাক।
।।।
।।।
।।।
আমি হৃদয় যাচ্ছিলাম আমার সদ্য বিয়ে করা বউ জারার সাথে হানিমুনে কক্সবাজারে। যেখানে আমাদের দিন গুলো কাটবে শুধু ভালোবাসায়। জারা আমার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো আর আমি ওর দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলাম। পুরো রাত আমার ঘুম হলো না কারন জারা আমার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। যদি আমি ঘুমিয়ে যেতাম তাহলে ওর ঘুমাতে সমস্যা হতো। তাই আমার ঘুমটা বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। সকালে আমরা কক্সবাজারের একটা হোটেলের সামনে নামলাম। যেহেতু এটা কাপলদের বাস ছিলো তাই আমাদের সোজা যে হোটেলে রুম ঠিক করা হয়েছে সেখানেই নামিয়ে দিলো। ভেবেছিলাম সব আমাকেই করতে হবে। কিন্তু না জারা যে সব ব্যবস্থা করে আসছে। জারার সাথে আমাদের রুমে ঢুকলাম। বিশাল একটা রুম। আবার এতোটাও বিশাল না যে ফুটবল খেলা যাবে। তবে ভালো লেগেছে বেলকনিটা। সেটা পিছনের দিকে হওয়ায় সমুদ্রের সব হাওয়া এসে লাগে। আর সবচেয়ে মুগ্ধকর জিনিস হলো বেলকনিটাই দাড়ালে সমুদ্র দেখা যায়। জারা তো অনেক খুশি আমার সাথে এমন একটা জায়গায় আসতে পেরে। আমি বেলকনির পাশে গিয়ে দাড়ালাম। পিছন থেকে জারাও আমাকে জরিয়ে ধরে দাড়ালো।
.
--সারারাত তো ঘুমাতে পারো নি। এখন ঘুমাও।(জারা)
.
--হ্যা কাল তো সারারাত শুধু আমিই জাগলাম। ঘুমাতে হবে এখন। আজ রাত যে দুজনের কেউই ঘুমাবো না।(আমি)
.
--ঘুমাবা না তো কি করবা?(জারা)
.
--সেটা রাতেই নাহয় বলবো।(আমি)
।।।।
।।।।
ফ্রেস হয়ে জামাকাপড় চেন্জ করে নিলাম। তারপর শুয়ে একটা ঘুম দিলাম। এক ঘুমে উঠলাম দুপুরে। উঠে গোসল করে এসে জারাকে নিয়ে নিচে আসলাম। অনেক ক্ষুদা পেয়েছে হোটেলের নিচতলাতেই এখানের রেস্টুরেন্ট। বসে অর্ডার দিলাম দুটো মিনি চিংড়ি ফ্রাই সাথে ইটালিয়ান টমেতো ছুপ। কোনো দিন ও ট্রাই করে নি ছুপটা। তবে স্বাদটা একটু বাঝেই ছিলো। তবে চিংড়ি ফ্রাইটা অস্থির ছিলো এটা বলতে হবে। খাওয়া শেষে আমি আর জারা দুজনেই বের হলাম ঘুরতে। পুরো বিকাল ঘুরলাম। কক্সবাজার যে এতোটা সুন্দর লাগছিলো আজ সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আগে ও এসেছি কিন্তু আজ সব নতুন লাগছে। দুজনে বাইরে থেকে ডিনার করে হোটেলে ফিরলাম। রাতে জারা ফ্রেস হতে চলে গেলো তখন আম্মু ফোন দিলো আমাকে।
.
--আম্মু আসলে।(আমি)
.
--আমি জানি কোথায় তুই। আর ভয় পাওয়ার দরকার নাই।(আম্মু)
.
--তাহলে তুমি জারাকে মেনে নিয়েছো?(আমি)
.
--মেনে নিবো না কেনো? তোর জন্য যে সারপ্রাইজ রয়েছে।(আম্মু)
.
--সারপ্রাইজ?(আমি)
.
--হ্যা তুই যাতে তোর ভাইয়ের মতো না হস তাই তোকে সব সময় আমি সাবধানে রাখছি। তবে জারার কথায় আর সাবধানে রাখতে পারি নি।(আম্মু)
.
--মানে বুঝলাম না।(আমি)
.
--তোর বউ এর থেকেই শুনে নে যা।(আম্মু)
.
--আম্মু।।।
.
।।।।
।।।।
যা কেটে দিলো। কিছুই তো মাথায় ঢুকছে না। কি হলো বুঝলামই না। রুমে আসলাম দেখি জারা এতোক্ষনে শাড়ি পরে বিছানায় বসে আছে। আমি রুমে ঢুকাতে জারা আমার পা ধরে সালাম করলো। আমি ওকে উঠালাম। নিয়ে বসালাম ওকে বিছানায়। ওর ঘুমটাটা সরিয়ে দিলাম। মন ভরে দেখতে লাগলাম।
.
--কি দেখছো এভাবে?(জারা)
.
--আমার বউকে?(আমি)
.
--পরে দেখো আম্মু মনে হয় ফোন দিয়েছিলো তাই না। তোমার সারপ্রাইজ কি শুনবে না?(জারা)
.
--হুমমম কি বলো।(আমি)
.
--আমিই নিলা। তোমার প্রথম যার সাথে বিয়ে হয়েছিলো আমি সেই।(জারা)
.
--মানে কি বলছো?(আমি)
.
--মানে আমার সাথে তোমার আগে বিয়ে হয়েছিলো আবারো হলো।(জারা)
.
--তাহলে এতো নাটকের কি দরকার ছিলো?(আমি)
.
--কোনো দরকারই ছিলো না। আমার আসলে এরেন্জ মেরেজের কোনো ইচ্ছাই ছিলো না। আমার লাভ মেরেজ করার ইচ্ছা ছিলো তাই তোমার লাইফে আমি নতুন হয়ে জারা নামে এসেছিলাম।(জারা)
.
--কিন্তু আমাদের ডিভোর্স।(আমি)
.
--সেটা তো নকল একটা কাগজ ছিলো। যেটা তোমার আম্মু তোমাকে দিয়েছিলো। তুমি সেটাই সাইন করেছিলো। আইনি ও ধর্মীয় কোনো ভাবেই আমাদের ডিভোর্স হয় নি। আর আমার লাভ মেরেজের ইচ্ছা ছিলো সেটা তোমার আম্মুকে বলার পর তিনি ও রাজি হয়ে গেলেন। আর আমি প্লান করে ফেললাম একটু ভালোবাসায় ফেলে দেখা যাক তোমাকে। আর এতে ভাইয়া আমাকে পুরো সাহায্য করেছে।(জারা)
.
--তাহলে আমার সাথে এতো বড় নাটক করা দারাও দেখাচ্ছি।(আমি)
.
--ভালোবাসি বলেই তো করেছি এসব। আর এতো দিন পর যখন এক হয়েছি আর আলাদা হতে দিবো না।(জারা)
.
--হুমমম কিন্তু দারাও আমাকে নিয়ে এতো খেলার মজা দেখাচ্ছি।

।।।।
।।।।
The End
।।।।
।।।।
এই ছিলো ডাইরীতে লেখা শেষ কথাগুলো। বাকি গুলো আর লেখা হয়নি। হৃদয় তো ভেবেছিলো ওর গল্পের happy ending হবে কিন্তু সেটা হলো কোথায় সেদিন ওকে শেষ বারের মতো আমি ফোন দিয়েছিলাম। কয়েকবার ফোন দেওয়ার পর ধরলো ও।
.
--ঔ হৃদয় এর বাচ্চা তুই কথা বলতেছিস না কেনো?(আমি)
.
--ভাই আমি মরে যাচ্ছি। আমার শরীরটা ভারী হয়ে যাচ্ছে।(হৃদয় কাপা কাপা কন্ঠে বললো)
.
--হৃদয় কি বলতেছোস ভাই। তুই ঠিক আছোস তো।(আমি)
.
--আমি ঠিক নাই ভাইয়া। আমি মারা যাচ্ছি। আমার বুক সোজাসোজি গুলি করা হয়ছে। আমার জান বের হয়ে যাচ্ছে।(হৃদয়)
.
--হৃদয় ভাই আমার এমন বলিস না। তোর কিছুই হবে না ভাই। কে গুলি করছে ভাই তোকে। একবার বল।(আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো। এমনিতেও ওর থেকে অনেক দূরে আছি আমি। আমি ওর কথা শুনে কেদে দিলা)
.
--জারা।(এটা ছিলো শেষ কথা হৃদয় এর)
।।।।
।।।।
ভেবেছিলাম হৃদয় আমার সাথে মজা করেছিলো। কিন্তু যখন আম্মু ওর মৃত্যুর খবরটা বললো তখন হাত পা কেপে উঠেছিলো। পুলিশ তদন্ত করে বের করেছে যে আমার আম্মুর শত্রুপক্ষই গুলি করেছে হৃদয়কে। আর নিলা বলেছে সে ও নাকি একজন মুখোস ধারী মানুষকে গুলি করতে দেখেছে। হৃদয়কে করা গুলিটা লেগেছে ওর বুকে। আর নিলা ও একটা গুলি খেয়েছিলো ওর ডান হাতে। তাই আমার ভাইকে হাসপাতালে নিতে পারে নি ও। কিন্তু আমার এখনো হৃদয় এর বলা শেষ কথাটা কানে বাজে। কিছু তো আমাকে বলতে চেয়েছিলো হৃদয় কিন্তু তার আগেই মারা যায় ও। বাকি রহস্যা তো ডাইরীতে দেওয়া নেই। এটা আমাকে নিলার থেকেই জানতে হবে। কিন্তু ওর থেকে জানাটা হয়তো এতো সহজ হবে না। ওকে আমাকে মায়াজালের মধ্যে আটকাতে হবে। কিছুতেই ছাড়া যাবে না ওকে৷ ওর থেকে যে করেই হোক আমার বের করতে হবে৷ আর সেটা তো করবোই আমি। কারন আমি যে একজন সাইকাইট্রিস। একে এতো তারাতারি আমি সম্মোহন করতে পারবো না। যদি না ও নিজ থেকে সম্মোহন হতে না চাই।।।। বসা অবস্থা থেকে উঠলাম আমি। একটু হাটাহাটি করলাম। অনেক রহস্যে আমাকে খুটিয়ে দেখতে হবে সেটা বুঝতে পারছি। কি করার আছে ভাই ছিলো আমার। তবে ও যে এভাবে একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যাবে সেটা আমি ভাবি নি। আমাদের মাঝে মিল ছিলো অনেকটা। দুজনে কোনোদিন ও কোনো মেয়ের প্রেমে পরি নি। আমি তো অন্তত পরি নি। কিন্তু অনেক মেয়েকে আমি ফেলেছি অবশ্য শুধু প্রেমে না আমার বিছানাতে যে কতগুলোকে ফেলছি তার ঠিক নেই। এই একটা বিষয়ে আমার আর হৃদয় এর পার্থক্য ছিলো ও কোনো মেয়ের সাথে প্রেম করে নি সোজা ভালোবেসেছে একটাকে। অবশ্য সেটা নিলা জোর করেই বাসিয়েছে কারন খুব জেদি সে। আর আমার কথা নাই বা বল্লাম সেটা না জানাই ভালো। আসল বিষয়টা আমার কাছে ক্লিয়ার হোক তারপর ভেবে দেখবো কি করবো। তার আগে অন্তত বিয়ে করেছি সেই বিয়ের মজাটা নিয়ে নি। আর নিলাকে আমার উপরে পাগল ও তো করতে হবে। নাহলে ও তো সেচ্ছায় সম্মোহন হওয়ার জন্য রাজী হবে না। কখনোই হবে না। 
দুপুরের দিকে নিলা আসলো বাসায়। ড্রাইভার চাচা ওর দুইটা ব্যাগ রুমে নিয়ে আসলো। মনে হচ্ছে জামা কাপড়। আবার নাও হতে পারে। চেক করতে হবে। নিলা গোসলে গেলো আবারো। এমনিতেই অনেক গরম বাইরে। ঘেমে আসছে। এই গরমে গোসলই বেস্ট জিনিস। আর আমি এদিকে নিলার ব্যাগ দুটো চেক করতে লাগলাম। অবশ্য আমি ও কম কিসের। সব জামার ব্যাগ। সেগুলো আমি আলমারিতে রাখছিলাম আর এক এক করে দেখছিলাম কিছু রয়েছে নাকি। কিন্তু কিছুই পেলাম না। নিলা বের হয়ে গেলো বাথরুম থেকে। কিন্তু এবার তার পরনে আর টাওয়েল নই। এবার একটা ছোট হাতার ট্রি-পিজ  পরে বের হয়েছে। আমি এক এক করে জামা কাপড় তুলছিলাম আলমারিতে সেটা দেখে নিলা বললো,
.
--কি করছেন আপনি। আমি থাকতে আপনি কেনো গোছাচ্ছেন?(নিলা)
.
--এখন থেকে তো নিজেরই বউ। তার কিছু কিছু কাজ তো করতেই পারি আমি তাই না।(আমি)
.
--তবে দিন আর করতে হবে না।(আমার হাতে  থেকে নিলা ওর জামা নিয়ে নিজেই গোছাতে লাগলো)
.
--কাজ তো সব করেই দিলাম। তাহলে এখন নিজের করার দরকার কি ছিলো?(আমি)
.
--আপনি আসলেই দুষ্টু। ঔগুলো কি ধরে কথা বলতেছিলেন আমার সাথে। কেউ যদি এসে দেখে ফেলতো।(নিলা লজ্জা পেয়ে বললো)
.
--কেউ তো দেখবে না। দেখলেও কি বলবে।(আমি নিলাকে টান দিয়ে আমার বুকে নিয়ে আসলাম। ভিজা চুলে ওকে অসম্ভব লাগছে সেটা আজকেই বুঝলাম। হৃদয়বকেনো পাগল হবে না ওর উপরে। বলতে হবে আমার আম্মুর পছন্দ আছে। কিন্তু এই মায়াবী চেয়ারার মাঝে যে কতটা ভয়ানক জিনিস আছে সেটা আমি আছ করতে পারছি। পারবোই না কেনো। যে তার স্বামীকে খুন করতে পারে সে তো ভয়ানক হবেই। কিন্তু আমি যে আগেই সব দোষ ওর উপরে দিচ্ছি যদি ও এসব না করে তখন। আমাকে আগে সন্দেহ করলে চলবে না। প্রমান খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবো তখনই বলতে পারবো কে আমার ভাইয়ের খুনী।
আমি আমার দেখাতে ফোকাস দিলাম। হালকা করে ছোট একটা কামড় দিতে মন চাইলো নিলার কানে। তাই ঠোট টা এগিয়ে দিলাম। নিলা ভাবলো আমি ওকে চুমু দিবো তাই ঠোট টা বন্ধ করে ফেললো কিন্তু আমি চুমু না দিয়ে ওর কানে দিলাম একটা কামড়। কি আর হবে চিমটি কাটার বদলা আমি নিলাম তখন আর কি পুরো রুম আমাকে দৌড়িয়েছে। আমি ও কম কিসের সহজে কি ধরা দি। শেষে আমাকে ধরতে গিয়ে এসে পরলো আমার উপরে। ভাগ্য ভালো ছিলো পিছনে বিছানা ছিলো তাই ওকে জরিয়ে নিয়েই পরেছি। আমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। চোখ নরছে না ওর। আমি ও চোখ নরাচ্ছিলাম না। কেনো জানি ওর উপরে হারিয়ে যেতে মন করছিলো শুধু তখন কার জন্য। ওর চোখে আমি দেখছিলাম আমার জন্য ভালোবাসা। নতুন ভালোবাসা। যেটাকে ভালোবাসা না কামনা বলবো জানিনা। তবে আমি অনেক মেয়েরই চোখে এমন দেখেছি সবার টাই ভালোবাসা ছিলো। যেটা আমি নিলার চোখে ও দেখতে পারছি। দেখা যাক যদি কামনা হয় সেটা চলে যাবে কিছুক্ষন পর। আর যদি ভালোবাসা হয় তাহলে কিছুক্ষন পর যখন ও নিস্তেজ হয়ে আমার বুকে শুয়ে থাকবে তখনও দেখা যাবে।
।।।
সাইকাইট্রিজ বলেই তো অনেক কিছু চোখ দেখেই বলে দিতে পারি। তাই মেয়েদের ফিলিংস বুঝতে আমার সময় লাগে না।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষায় থাকুন পরের পার্টের।।।।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.