পার্ট:15(শেষ)
লেখক:Hridoy Bappy।
।।।।।।
।।।।।।
নানার সাথে কথা বলতে হবে তার জন্য আমাকে নানাকে বাসায় আনতে হবে।তাই আম্মুকে ফোন দিলাম।
.
:-হ্যালো আম্মু।(আমি)
.
:-হ্যা বাবা বল।(আম্মু)
.
:-আমি ফিরে আসছি।এজন্য সবাইকে পার্টি দাও।আর সব আত্মীয়কে বাসায় আসতে বলো কালকেই।(আমি)
.
:-ঠিক আছে তোর বাবাকে আমি বলে সব ব্যবস্হা করে দিচ্ছি।(আম্মু)
.
:-ওকে তাহলে আমি রাখছি।(আমি)
।।।।।
কেটে দিলাম।এখন আমার চিন্তা একটায় নিধিকে কিভাবে বুঝাবো।সে কি মেনে নিবে আমাকে।মেঘলা আমাকে এইভাবে কষ্ট দিবে আমি ভাবি নাই।কিন্তু ওর ও তো কোনো দোষ নাই।চারবছর স্বামীর কষ্টে ছিলো।তারপর আবার কম বয়সেই স্বামিকে হারিয়েছে ও।নিধি তো তাও একটু বুঝে।কিন্তু ও তো নিধির থেকে ও ছোট।আবার নিধি ও তো একবার আমার জন্যই কষ্ট পেয়েছে।আবার যদি আমি ওর মন ভেঙে দি তাহলে মেয়েটার কি হবে তা তো আমি বুঝতেই পারছি।আমি তো নিধিকে বিয়ে করতে পারবো না।কারন আমি মেঘলা কে বিয়ে করেছি।আর এখনও ওকে আগের মতোই ভালোবাসি।তাহলে কি করা যায়।এমন সময় নিলয় এসে কেটে দিলাম।এখন আমার চিন্তা একটায় নিধিকে কিভাবে বুঝাবো।সে কি মেনে নিবে আমাকে।মেঘলা আমাকে এইভাবে কষ্ট দিবে আমি ভাবি নাই।কিন্তু ওর ও তো কোনো দোষ নাই।চারবছর স্বামীর কষ্টে ছিলো।তারপর আবার কম বয়সেই স্বামিকে হারিয়েছে ও।নিধি তো তাও একটু বুঝে।কিন্তু ও তো নিধির থেকে ও ছোট।আবার নিধি ও তো একবার আমার জন্যই কষ্ট পেয়েছে।আবার যদি আমি ওর মন ভেঙে দি তাহলে মেয়েটার কি হবে তা তো আমি বুঝতেই পারছি।আমি তো নিধিকে বিয়ে করতে পারবো না।কারন আমি মেঘলা কে বিয়ে করেছি।আর এখনও ওকে আগের মতোই ভালোবাসি।তাহলে কি করা যায়।এমন সময় নিলয় এসে বললো।
.
:-বাপ্পী ওকে মেরে মেরে অজ্ঞান করে দিছি।(নিলয়)
.
:-হুমমমম(আমি)
.
:-কি ভাবছিস(নিলয়)
.
:-না ভাবছি তোর কোনো বউ আছে নাকি।(আমি)
.
:-দুর বিয়ে করলে তোকে বলতাম না।(নিলয়)
.
:-তাহলে গফ।(আমি)
.
:-না তেমন কিছুই নাই।কিন্তু মাকে মেয়ে দেখতে বলছি মেয়ে পাইলেই বিয়ে দিয়ে দিবে।(নিলয়)
.
:-ও আমার একটা কথা রাখবি।(আমি)
.
:-বল তোর সব কথায় রাখবো।শুধু একবার বলে দেখ।(নিলয়)
.
:-প্রমিজ কর যে আমি যা বলবো সেটাই করবি।(আমি)
.
:-আমি জানি তুই খারাপ কিছু করতে বলবি না বল করবো (নিলয়)
.
:-দেখ আমার জন্য নিধি মেয়েটার কত কষ্ট হয়েছে একবার।আবার ও হবে।আমি চাই না ও জানুক যে আমি ই হৃদয়।ওর সাথে আমি বিয়ে কিভাবে করবো বল।ওকে আমি এতো বড় ধোকা দিতে পারবো না।(আমি)
.
:-তাহলে আমাকে কি করতে হবে।(নিলয়)
.
:-দেখ মেয়ে হিসাবে কিন্তু একদম ভালো মেয়ে নিধি।ওর মত মেয়ে তুই আর একটা পাবি না।আমার ই ভাগ্য খারাপ যে ওর সাথে আমার বিয়ে হয় নাই।আগে ভুল করেছিলাম।কিন্তু এখন আর কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।আমি চাই তুই নিধিকে বিয়ে করে ফেল।(আমি)
.
:-মানে।।। কিন্তু তোর কি হবে।নিধির বাবা-মা কে কি বলবি তুই।(নিলয়)
.
:-আমাকে কিছু বলতে হবে না।সব এখন রহস্যই বলে দিবে।(আমি)
.
:-মানে।(নিলয়)
.
:-মানে এই বাপ্পীর চেহারাটা আমি রাখতে চাই না।আগের হৃদয় হয়ে যাবো।এতে করে নিধির পরিবারের কাছে আমি মারা যাবো।আর মামনিকে বলে দিবো যে বিয়েটা যেনো তোর সাথে হয়।পল্িজ তুই না বলিস না।মেয়েটার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে নাহলে।(আমি)
.
:-কিন্তু তোর মৃতু্য যদি সহ্য না করে কিছু করে ফেলে নিধি।(নিলয়)
.
:-দেখ আমি নিধিকে এই কয়েকদিন দেখে ভালো করে চিনে ফেলছি।ও এখনও সেই হৃদয় এর দেওয়া কষ্ট ভুলতে পারে নাই।তাই ও অন্যরকম হয়ে গেছে।মুখে সব সময় মিথ্যা হাসি রেখেছে।সব সময় ভালো থাকার অভিনয় করে গেছে।এখন বল আমি নতুন করে ওর জীবনটা কিভাবে নষ্ট করি।(আমি)
.
:-তাও ঠিক।কিন্তু।(নিলয়)
.
:-কোনো কিন্তু না তুই প্লিজ রাজি হয়ে যা ভাই।(আমি)
.
:-ওকে।(নিলয়)
।।।।।।
নিলয় কে জরিয়ে ধরলাম খুশিতে।তারপর মামনিকে ফোন দিয়ে বলে দিলাম সব কি কি করতে হবে।আম্মুকে ও ফোন দিয়ে কিছু জানিয়ে দিলাম।এখন আর কি আমাকে আবার হৃদয় হতে হবে।মন চাচ্ছে না এই চেহারাটাকে হারিয়ে ফেলি।কিন্তু কি আর করার নিধির জন্য এইটুকু তো করতেই হবে।িওকে আমি আমার পরিচয় জানতে দিতে চাই না।জানতে পারলে ও আবার কষ্ট পাবে।ভাববে আবার ও নাটক করেছি ওর সাথে।তাই পাল্টাতে হবে আমাকে এই চেহারা।
।।।।।।।
আজকে পাচঁদিন হয়ে গেলো আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।এই পাচ দিনে কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না।শুধু জানি হাসপাতালে এসেছিলাম বাপ্পী থেকে হৃদয় হতে।সেটা হয়েছে কিনা তাও জানি না।চোখ খুল্লাম আসতে আসতে।দেখি আমার বোন নিলা আমার পাশে বসে ছিলো।ভাইয়া বলে আমাকে জরিয়ে ধরলো।
.
:-ভাইয়া তুই ঠিক আছিস।(নিলা)
.
:-হ্যারে কিছুই হয় নাই আমার।(আমি)
.
:-তোকে ফোন এ না পেয়ে তোর কাকু নিলয়কে ফোন দিলো।তখন নিলয় বললো যে তুই এইসব কেনো করতেছিস।একটা মেয়ে যাতে কষ্ট না পাই তার জন্য এত বড় রিস্ক নিলি।তোর চেহারাই একটু সমস্যা ছিলো।যার জন্য আবার প্লাস্টিক সার্জারি করলে প্রাণহানি ও হতে পারতো।ডাক্তার আমাদের সতর্ক করে দিয়েছিলো।(মামনি)
.
:-আরে কিছুই তো হয় নাই।চিন্তা করছো কেনো।আয়না দাও তো।(আমি)
.
:-না ভাইয়া আয়না দেওয়া যাবে না তোমার চেহারা টা খুবই খারাপ হয়ে গেছে দেখো না।(নিলা)
.
:-এই পাজি তুই আয়না দিবি কিনা বল।(আমি)
.
:-না সত্যি ভয় পাবা নিজের চেহারা দেখলে।(নিলা)
.
:-দে বলছি।(আমি)
.
:-ওকে নাও ভয় পেলে আমার দোস নাই।(নিলা)
।।।।।।
না নিলার কথায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু না চেহারা ঠিক মতই আছে।আবার আগের হৃদয় হয়ে গেছি।
.
:-তোর আম্মু বাবা আর মেঘলা ও এখানেই ছিলো।অনেক জোর করে বাড়িতে কিছু খাওয়া আর রেস্ট নেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।(মামনি)
.
:-ও নিলা আমি।(আমি)
.
:-থাক ভাইয়া মামনি আমাকে সব বলছে।আমি সব জানি।তাতে কি তুমি আমার আপন ভাইয়া না।তুমি তাও আমার বড় ভাইয়া।আর সবসময়ই থাকবা আমার বড় ভাইয়া।(নিলা)
.
:-হ্যা বাবা তুই তো আমাদের ই ছেলে।(কাকু;কাকি)
।।।।।।।
সবার আমার উপর এতো ভালোবাসা দেখে কান্না এসে গেলো।
.
:-মামনি নিধির কি খবর।(আমি)
.......
মামনি আমাকে একটা পেপার দিলো হাতে।এইটাই আমার মরার খবর উঠেছে।
.
:-নিলয় ব্যবস্হা করেছে।আর আমি ও তোর কাকুকে সব বলেছি।তারা কালকেই বিয়েটা দিয়ে দিবে।আর অপেক্ষা করবে না।(মামনি)
.
:-হ্যা নিলয় অনেক ভালো ছেলে তাই তো নিধির বাবা-মা রাজি হয়ে গেলো।তোর মুখে তো তারা নিলয় এর সুনাম শুনেছেই অনেক।তাই বুঝাতে সমস্যা হয় নাই।আর নিধির মামা চেয়েছিলো।নিধির জামাই জেনো পুলিশ হয়।তাই কেউ আর আপত্তি করে নাই।(কাকু)
.
:-কিন্তু এইসব যে এতো তারাতারি হয়ে যাবে আমি ভাবি নাই।(আমি)
.
:-আরে এটা কাল্পনিক দুনিয়া এখানে সবই সম্ভব।(কাকু)
.
:-হ্যা তাই তো।(আমি)
।।।।।।।
আরো অনেক কথা হতে লাগলো।তারপর সেদিনই বিকালে বাসায় চলে আসলাম।মানে হৃদয়-আমার বাসায়।আমার মানে বাপ্পীর বাসার সবাই ও এসেছে।
.
:-আম্মু আর মামনি একটা কথা শুনো।তোমরা দুজনেই কথা শুনো।(আমি)
.
:-হুমমম বাবা বল।(দুজনে)
.
:-আমি ৬ মাস ঢাকা আর ছয় মাস সিলেট থাকবো।যেহেতু তোমরা দুজনই আমার মা।দুইটাই আমার পরিবার।কারো কোনো আপত্তি থাকলে বলতে পারো।(আমি)
.
:-না কোনো আপত্তি নাই।(সবাই বললো)
.
:-আমি রুমে চলে আসলাম।মেঘলা আমার সামনেই আসলো না।নিলার কাছে শুনেছি ও নাকি সারা রাত সারা দিন না ঘুমিয়ে শুধু আমার সেবা করেছে।আর কখন আমি উঠি সেই অপেক্ষা করেছে।তাহলে এখন আসতেছে না কেনো।মনে হয় লজ্জা পাচ্ছে।একটু পর মেঘলা ঘরে খাবার নিয়ে আসলো।মনে হয় সবাই ওকে একাই পাঠিয়েছে আমার মন ভালো করার জন্য।
.
:-হুমমম তুমি এখানে কেনো।বের হও আমার রুম থেকে।(আমি)
.
:-প্লিজ এমন কইরো না আমাকে মাফ করে দাও।আর কোনোদিন ও এমন ভুল আমি করবো না।(মেঘলা)
.
:-না আমি কিছুই শুনতে চাই না প্লিজ তুমি বের হও।(আমি)
.
:-প্লিজ তুমি এমন কইরো না।তুমি এমন করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।(আমার পায়ে পরে কান্না করতে করতে বললো)
।।।।।
না ও তো আমাকে এতো তারাতারিই ইমোশোনাল করে দিলো।ভাবলাম আরো কিছু শাস্তি দিবো কিন্তু না ওর কান্নায় তো আমি আবার ওর প্রেমে পরে যাচ্ছি।
.
:-ঠিক আছে উঠো।তোমাকে মাফ করতে পারি কিন্তু আমার কিছু শর্ত আছে।(আমি)
.
:-বলো তোমার সব শর্ত মানতে রাজি আমি।(চোখ মুজতে মুজতে)
.
:-কোনো ছেলের সাথে কথা বলা যাবে না,কথায় কথায় জেদ করা যাবে না।একদম শান্ত হতে হবে।বাসার কাজ তোমাকে করতে হবে।আর আমি যখন যা বলবো তাই করতে হবে রাজি থাকলে বলো।(আমি)
.
:-হুমমমম রাজি তাও আমাকে মাফ করে দাও।(মেঘলা)
.
:-এখন আমাকে খাইয়ে দিয়ে আমার হাত পা টিপে দাও।(আমি)
.
:-হাত পা ও টিপে দিতে হবে।(মেঘলা)
.
:-হ্যা আমি যা বলছি সব করতে হবে।(আমি)
.
:-ওকে দিচ্ছি।
।।।।।
আমাকে খাইয়ে দিয়ে মেঘলা আমাকে ঔষদ দিয়ে আমার হাত পা টিপে দিলো।আ কি শান্তি বউ যখন হাত পা টিপে যেই কি যে মজাই না লাগে।না মেয়েটা কান্না করছে।ভাবছে মনে হয় আমি একটু ও ভালোবাসি না ওকে তাইতো এতো কাজ করাচ্ছি।ওর কান্না দেখে এতো গলে যাই কেনো আমি
.
:-মেঘলা।(আমি)
.
:-হ্যা বলো।(মেঘলা)
.
:-ঘুম পাচ্ছে।(আমি)
.
:-তাহলে ঘুমাও।(মেঘলা)
.
:-তোমাকে না জরিয়ে কি ঘুম আসে আমার।(আমি)
.
:-এত দিন ঘুমিয়েছো যেভাবে সেভাবে ঘুমাও।(মেঘলা)
.
:-না কোনো কথা হবে না।তুমি আসো তো আমার কাছে।
।।।।
এক টান দিয়ে মেঘলাকে আমার উপর নিয়ে আসলাম।বউ কাছে থাকলে।তাউ আবার চার বছর পর পেয়েছি।কষ্ট না হয় পরে আসতে আসতে দেওয়া যাবে।কিন্তু এখন কাছে না পেলে কি হয় নাকি।ফুটবল টিম বানাতে হবে তো।পরে চেষ্টা করলে হয়তো হেন্ড বল টিম হয়ে যাবে।
।।।।।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(সমাপ্তি)
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।।।।।।