ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ডাইভার্স পর্বঃ ০৪

Bangla Dub Novels
 #ডাইভার্স#
পার্টঃ০৪
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
আমি বাসায় এসেই আমার রুমে চলে আসলাম। ছোট একটা ঘুম ও দিয়ে দিলাম এই সুযোগে। ঘুম শেষে যখন উঠলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। হৃদিতা ডাক দিয়ে গেছে। আমি ফ্রেস হয়ে বেলকনিতে গিয়ে দারালাম। খুব ভালো একটা ফিলিংস আসলো। হালকা বাতাসে সন্ধার মজাটা নিতে পারতেছি। এমন মজা অনেক দিনই হয়েছে আমি নিতে পারি নাই। এখন এক কাপ চা খাওয়ার অনেক ইচ্ছা করছে। দেখি নিচে গিয়ে দেখি পাই কিনা।
হৃদিতার ঘরের পাশ দিয়ে যেতেই আমাকে হৃদিতা ডাক দিলো। আমিও ভিতরে গেলাম। দেখলাম হৃদিতা আর নিলা বসে আছে পাশাপাশি। দুজনে গল্প করছিলো হয়তো। 
.
--ভাইয়া তোর অপেক্ষা করছিলাম কতক্ষন জানোস। ডাক দিলাম কখন আর মাত্র আসলি তুই।(হৃদিতা রেগে বললো কিছুটা)
.
--একটু ক্লান্তির জন্য ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তাই উঠতে মন চাই নি।(আমি)
.
--এখানে বস একটু।(হৃদিতা)
.
--কেনো?(আমি)
.
--শুনলাম আপনি নাকি খুব ভালো গিটার বাজাতে পারেন। তাই আমাদেরকে একটি গান শুনাবেন।(নিলা)
.
--কি আমি আর গান?(আমি)
.
--হ্যা ভাইয়া মানা করিস না। একটাই তো।(হৃদিতা)
.
--আমার দ্বারা গান হবে না সেটা ভালো করেই জানোস। ভাইয়া গান পারে ভালো। আমি গান গাইতে পারি না।(আমি)
.
--আচ্ছা নে গিটার টা নে একটু বাজিয়ে শোনা আমাদের। গান গাইতে হবে না।(হৃদি)
.
--হ্যা এটা করা যায়।(আমি)
।।।।
।।।।
গিটার টা হৃদিতার হাত থেকে নিয়ে আমি সুর তুললাম তারে। অনেক দিন হলো গিটার বাজানো হয় না। আগে ভাইয়া গান গাইতো আর আমি গিটার বাজাতাম। ছোট থেকেই গিটারের দিকে একটু টান ছিলো। তবে আমার তো আবার জোরে কথা বললে সমস্যা হয় তাই আর গান গাওয়া হয় নি।
গিটারের মিষ্টি শব্দ পেয়ে দুজনেই চুপ করে শুনছিলো। কখন যে অথয় মেয়েটা চলে আসলো আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না। হাতে একটা ট্রে। তাতে তিনটা কাফ রয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা কফি ছাড়া আর কিছু না। 
.
--ভাবী তোমাকে অনেক ধন্যবাদ কফি আনার জন্য।(হৃদি বলেই একটা কাফ ছিলো। সাথে নিলাও একটা নিলো)
.
--কি হলো একটা নিন।(অথয় আমাকে বললো)
.
--জ্বী ভাবী আমি কফি খাই না।(আমি)
.
--এটা কফি না এটা চা।(অথয়)
.
--ওওও।(চায়ের কথা শুনে কাফটা নিলাম আমি)
.
--ভাবী তুমি জানলে কি করে ছোট ভাইয়া কফি না বরং চা খেতে পছন্দ করে।(হৃদি)
.
--মা-নে আম্মু বললো।(অথয় কিছুটা তুতলিয়ে বললো)
.
--ওওওও।(হৃদি)
.
--আপু তুই ও বস না। তোর দেবর তো অনেক সুন্দর গিটার বাজাতে পারে একটু শুন।(নিলা)
.
--হ্যা সেটা তো আমি জানিই।(অথয়)
.
--কি করে জানিস?(নিলা)
.
--শুনলাম মাত্র।(অথয়)
.
--ওওওওও।।। আপনি আরেকটু বাজান না প্লিজ।(নিলা)
।।।।
।।।।
কথা না বলে আমিও আবার গিটার বাজাতে মনোযোগ দিলাম। ভালোই লাগলো অনেকদিন পর গিটার বাজাতে। তাছাড়া অনেকক্ষন হৃদি আর নিলার সাথে গল্প ও হলো। নিলার সাথে অনেকটা ফ্রি হয়ে গেলাম। সেই সাথে ওর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেও পারলাম। এবার এসএসসি দিয়ে নতুন কলেজে ভর্তি হয়ছে। তবে এই বয়সেও অনেক জেদি মেয়ে ও। একবার যেটা বলবে সেটাই করবে। একদম ওর বড় বোনের মতোই। একবার যেটা বলতো ওর বড় বোন ও সেটাই করতো। কালকে ওকে আর হৃদিতাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ারও প্লান হলো। দুজনে একাই যেতে চাইছিলো। কিন্তু পরে কি করে যেনো নিলা আমাকে বললো সাথে যেতে। আমার তো এটাই দরকার ছিলো। কারন আমি ওর যত কাছে থাকতে পারবো তত আমি ওর নিরাপত্তা করতে পারবো। শালার কি দিন আসলো। একজন সৈনিক হয়ে আমি বডিগার্ডের কাজ করতেছি। তবে এটাও আমার কাছে একটা মিশনের মতো। কিন্তু ইদানিং আমি মিশনগুলো শেষ করে কোনো মজাই পাচ্ছি না। কারন মিশনগুলো বোরিং হয়ে যাচ্ছে। আমি চাইলে এখানে নাও আসতে পারতাম। কিন্তু যখন শুনলাম হোল্ডার গ্রুপের লিডারের কাছে কিছু নেচারাল ক্ষমতা রয়েছে তখনি আমার ইন্টারেস্ট বেরে গেলো। তাই আর মানা করলাম না। রাতে ভাইয়ার সাথে কথা বললাম।
.
--কিরে তোর সিকিউরিটির অবস্থা কত দূর?(আমি)
.
--একদম ঠিকঠাক সব কিছু। এখন শুধু কালকের অপেক্ষা। দেখি কিভাবে কিডন্যাপাররা কিডন্যাপ করে।(ভাইয়া)
.
--আমার মনে হয় না কিছু করতে পারবি তোরা। এটাও কিডন্যাপ হয়ে যাবে দেখিস।(আমি)
.
--এবার কোনো ভাবেই ওরা কিডন্যাপ করতে পারবে না। আলী মির্জার পুরো বাড়িতে তার গার্ডের বদলে আমার বিশ্বস্ত সব অফিসারদের রেখে আসছি। কোনো ভাবেই তাকে অপহরন করতে পারবে না।(ভাইয়া)
.
--আচ্ছা কালকেই বোঝা যাবে।(আমি)
....
।।।
আমি সবার সাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর অনেকক্ষন এই মিশনটা নিয়ে একটু খুটিয়ে দেখলাম। ফোনটা দিয়ে হোল্ডার গ্রুপের সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করলাম। হোল্ডার গ্রপের বর্তমান যে মালিক সে একজন মেয়ে। আর তার নাম রিয়ানা চৌধুরী। জেনারেল এর দেওয়া ফাইলটা আমি বের করলাম। সেখানে মেয়েটার কিছু ছবি রয়েছে। এতো সুন্দর একটা মেয়ের দ্বারা এতো নিকৃষ্ট কাজ আশা করা যায় না। ভালো করে ডিটেইলস গুলো পড়তে লাগলাম। তার সাথে রাশিয়ার গভর্নর এর সাথে ভালো একটা সম্পর্ক আছে। আর এর ফলেই অস্ত্রের অভাব পরছে না তার। আর ফাইল দেখে বুঝতে পারলাম গ্রুপটা অনেক বড় কিছু প্লান করছে। কিন্তু এখানেই বড় একটা প্রশ্নবোধক রয়েছে। আমাকে এটা বের করতে হবে মেয়েটা কি প্লান করছে। কিন্তু এটার জন্য আমাকে তার দলে মিশতে হবে। আর এটার জন্য প্লান আমাকেও করতে হবে। সেটা পরে দেখা যাবে। প্রথমে এই নিলার ব্যাপারটা দেখতে হবে। ওর জন্মদিনেই নাকি ওকে কিডন্যাপ করা হবে। তাই সাবধান থাকতে হবে শুক্রবার পর্যন্ত। আর তো মাত্র ৫ দিন। পাঁচ দিনে ওর অনেকটা কাছে কাছে থাকতে হবে। নাহলে মিশনটা ফেইল হয়ে যাবে। আমি জাগছিলাম। তখনি দেখলাম নিলা আমার ঘরে চলে আসলো। ঘরটা খোলায় ছিলো। আমি কোনো ভাবে ফাইলটা কাথা দিয়ে ঢেকে রাখলাম।
.
--এতো রাতে এখানে? কিছু বলবেন?(আমি)
.
--না নিচে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম। তখন দেখলাম আপনার রুমে লাইট জ্বলছে তাই ভাবলাম দেখি কি করেন আপনি?(নিলা)
.
--না রাত জেগে পড়ার অভ্যাস তো আমার তাই পড়তে ছিলাম।(আমি)
.
--ওওও কি পড়তে ছিলেন?(নিলা)
.
--ফেসবুকে কিছু গল্প পড়তে ছিলাম।(আমি)
.
--ও তাহলে গল্পও পড়েন আপনি।(নিলা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--আচ্ছা কালকে আমার কলেজে যেতে পারবেন আপনি?(নিলা)
.
--আমি আপনাদের কলেজে গিয়ে কি করবো আর সেখানে আমাকে ঢুকতে দিবে?(আমি)
.
--আমি কলেজে বেশী যায় না কারন আমার সাথে সব সময়ই বডিগার্ড যায়। আপনার সাথে গেলে মনে হয় দুলাভাই আর তার গার্ড পাঠাবে না।(নিলা)
.
--আচ্ছা যাবো।(আমি তো এটাই চাচ্ছিলাম)
.
--আচ্ছা ঘুমান তাহলে।(নিলা)
।।।।
।।।।
নিলা চলে যাওয়ার পরে আমিও ফাইল গুলো লুকিয়ে ফেললাম। তারপর ঘুম দিলাম একটা। এক ঘুমেই রাত পার হয়ে গেলো। পরের দিন তারাতারি উঠতে হলো কারন আজকে তো নিলার কলেজে যাওয়ার কথা। সকালে উঠেই ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নিলাম। এরপর নিলা আর হৃদিতা দুজনেই বের হলো। হৃদিও কলেজে যাবে। হৃদির কলেজে শুধু মেয়েরাই পরে। কিন্তু নিলার কলেজে ছেলে মেয়ে দুজনেই পরে। আমি হৃদিকে মহিলা কলেজে নামিয়ে দিয়ে নিলার কলেজের দিকে ড্রাইভ করতে ছিলাম। আসার সময় বাবার গাড়ি নিয়ে আসছি। কলেজের ভিতরে গাড়ি পার্ক করে দুজনেই গাড়ি থেকে বের হলাম। ভাইয়া আজকেও বডিগার্ড পাঠাতো ওর জন্য কিন্তু আমি আসছি বলে আর পাঠায় নি। বুঝলাম না ভাইয়া কখনো নিজের বোনের জন্য বডিগার্ড রাখলো না কিন্তু তার শালিকার জন্য তিন তিনটে বডিগার্ড রেখেছে। অনেক বদলে গেছে বিয়ের  পরে ভাইয়া বোঝা যাচ্ছে। আমি নিলার সাথে বের হওয়ার পরেই সবাই হা করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। তাকিয়ে থাকারই কথা। এতো সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে যদি একটা ছেলে থাকে তাহলে সবাই তো জ্বলবেই। এক এক করে নিলা ওর ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লাগলো। সবার সাথে পরিচিত হলাম। 
সেদিনের দিনটা নিলার সাথেই কাটলো। কলেজের পরে রেস্টুরেন্টে লান্স করলাম। তারপর সারা বিকাল ওর সাথেই সময় কাটালাম। পরে ওকে আমার বাসায় নিয়ে আসলাম আবার। রাতে ভাইয়ার সাথে কথা বলতে লাগলাম
.
--ভাইয়া তোর শালিকা কি এখন থেকে এখানেই থাকবে?(আমি)
.
--হুমমম। আমিই অথয়ের বাবাকে বলেছিলাম ওর জন্মদিন পর্যন্ত ওকে এখানেই রাখতে। আর ওকেদ দেখার মতোও বাসায় কেউ নাই তাই আঙ্কেল ওকে এখানেই আমাদের সাথে রাখবে এখন থেকে।(ভাইয়া)
.
--ওওও।(আমি)
.
--কেনো তোর সমস্যা হচ্ছে নাকি?(ভাইয়া)
.
--হবে না কেনো। যে চিমকু তোর শালিকা। সব সময় সাথে সাথেই থাকতে হয়।(আমি)
.
--সেটা তো ভালো খবর। বাবাকে তো তাহলে এ কথা জানাতে হবে। খুব শীঘ্রই বিয়েটা দিয়ে দিক তোদের।(ভাইয়া)
.
--পাগল হইছোস তুই। আমি আর বিয়ে।(আমি)
.
--কেনো আমি বিয়ে করেছি। তোর ও তো করতে হবে। আর যে কাজ করছিস তাতে তো বলা যায় না যেকোনো সময়ই কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। তাই বিয়ে করে রাখ।(ভাইয়া)
.
--থাক হয়ছে ভাষন দিতে হবে না। আমার লাইফ নিয়ে আমি বুঝবো।(আমি)
.
--আরে শুন তোকে একটা গোপন কথা বলি। যদি তোর সাহায্য প্রয়োজন হয় নিলার সাথে ক্লোজ হতে তাহলে আমি ব্যবস্থা করে দিবো।(ভাইয়া)
.
--আসচ্ছে আমার প্রেম গরু। যে কিনা জীবনে একটা প্রেম করতেও সাহস পাই নাই সে আমার সাহায্য করবে। আমার কোনো কিছু লাগবে না।(আমি)
.
--কে বলছে আমি প্রেম করি নাই। তোর ভাবীর সাথে তো প্রেম করেই বিয়ে হলো।(ভাইয়া)
.
--কি????(আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম। ঠিক তখনি অথয় চলে আসলো বেলকনিতে। এতোক্ষন বেলকনিতে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। অথয় হাতে কফি নিয়ে আসছে ভাইয়ার জন্য)
.
--হ্যা তোকে তো বলায় হয়নি। তুই চলে যাওয়ার পরেই আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়। আমি তো জানতামই না বাবা আমার আর ওর বিয়ে সেই ছোট বেলা থেকেই ঠিক করে রেখেছিলো। একদিন ওদের বাসায় যাওয়ার পর অথয় এর সাথে দেখা হলো। সেখানেই জানতে পারলাম আমাদের ঠিক করা বিয়ের কথা। আর তারপর থেকেই আস্তে আস্তে আমাদের রিলেশন শুরু হলো।(ভাইয়া)
.
--ওওওওও। ভালো তো। বেশ ভালো। দেখিস এখন কার সংসার তো আবার বেশিদিনের হয় না। সাবধান থাকিস তুই।(আমি অথয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম)
.
--মানে বুঝলাম না।(ভাইয়া)
.
--কিছু না। আচ্ছা মির্জার খবর কি?(আমি)
.
--তোকে তো এ কথা বলতেই ভুলে গেছি। আমাদের সব নিরাপত্তার পরেও আলী মির্জা কিডন্যাপ হয়ে গেছে। তার বাসার মধ্যে থেকেই কড়া নিরাপত্তার মধ্য থেকে সে হঠাৎ করেই উদাও হয়ে গেছে।(ভাইয়া)
.
--জানতাম এটাই হবে। আচ্ছা ভিডিও ফুটেজ কি আছে তোর কাছে?(আমি)
.
--হ্যা আমার অফিসে। কালকে আমার সাথে যেতে হবে।(ভাইয়া)
.
--আচ্ছা তাহলে যাবো কালকে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি ঘুমিয়ে পরলাম আমার রুমে এসে। হঠাৎ একজন অদ্ভুদ লোক আমার সামনে আসলো। বুঝতে পারলাম এটা আমি স্বপ্ন দেখছি। খুব আজব স্বপ্ন দেখলাম। এমন আগে কখনো দেখি নাই। একজন দরবেশের মতো মানুষ আমার সামনে আসলো। আমি তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম।
.
--কে আপনি? আর এভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি করছেন?(আমি)
.
--......(লোকটা কিছুই বললো না)
.
--উত্তর দিন।(আমি)
.
--অনেক কিছুই তোমার অজানা বাবা। সব কিছু জানানোর সময় তো আমার কাছে নেই। তবে একটা জিনিস তোমাকে জানাতে আসছি।(লোকটা)
.
--কি?(আমি)
.
--খুব শীঘ্রই এই পৃথিবী, এই সৌরজগৎ, এই ডাইমেনশনের বিনাশ হবে। তোমাকে যে করেই হোক এগুলোকে রক্ষা করতে হবে।(লোকটা)
.
--কিন্তু আমি একজন সাধারন মানুষ হয়ে কি করবো। আমি তো জানিই না কি হবে আর কি করতে হবে?(আমি)
.
--খুব শীঘ্রই তোমার সামনে আসবে সবই। আর হ্যা তুমি কোনো সাধারন মানুষ নও। তোমার ভিতরের তোমাকে এখনো তুমি খুজে বের করতে পারো নাই। সময় হলে নিজেই বুঝে যাবে সব। আমাকে পাঠানো হয়েছিলো এই বার্তাটুকু শুধু তোমার মধ্যে পৌছে দেওয়ার জন্য। আর আমার কাজ এখানেই শেষ।(লোকটা)
।।।।
।।।।
কথাটা বলার সাথে সাথেই পিছন থেকে দুটো কালো কঙ্কাল এর বাঘ এসে লোকটাকে খেয়ে ফেললো। সিনটা দেখে আমি এতোটাই ভয় পেলাম যে আমার স্বপ্ন ভেঙে গেলো সাথে সাথেই। আর্তনাদ এর সাথে লোকটা বলেছিলো তোমার ক্ষমতা গুলো আপন করে নাও। এগুলো দেখে কখনো ভয় পেয়ো না। সামনে সময়ে এগুলোই তোমার সাহায্য করবে। আমার চোখ দিয়ে আমি এখনো দেখতে লাগলাম বাঘ দুটোকে। একদম হাড় দেখা যাচ্ছিলো শুধু। আর সেই সাথে কালো ছায়া ছিলো দুটোর সাথেই। এমন ভয়ানক কিছু আমি আগে কখনো দেখি নাই। আমি ওয়াসরুমে গিয়ে কিছুটা পানি দিলাম চোখে। তারপর আমার বেলকনিতে এসে দারালাম। ঘুম আর আসবে না বোঝায় যাচ্ছে। লোকটার কথা শুনে আমি এটাকে সাধারন স্বপ্ন মানতে পারছি না। কারন অনেক আগে এমন কিছু একটাই হয়েছিলো আমার সাথে। স্বপ্নে এর আগে যে লোকটা এসেছিলো সে যা বলেছিলো পরের দিন একদম সেটাই ঘঠেছিলো। তাই এবারের টাও আমি মিথ্যা মানতে পারছি না। লোকটার প্রতিটি কথা এখনো আমার কানে বাজতেছে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.