ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ১৩

Bangla Dub Novels

#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ১৩
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

নাহ্ এভাবে কাজ হবেনা,কিছু একটা তো করতেই হবে। আমি যদি যুদ্ধ করি তাহলে আমি ওর সাথে পারবো না,কিন্তু যদি না করি তাহলে আমি তাঁর কাছে ভিতু হয়ে যাবো। নাহ্ আমাকে চেষ্টা করতে হবে তাঁকে হারানোর জন্য যেভাবেই হোক আমাকে যুদ্ধে জয়ী হয়ে এখান থেকে বের হতে হবে। আচ্ছা আমি যদি ওকে হারাতে না পারি তাহলে ও আমাকে দিয়ে ওর নিজের ইচ্ছা পূরন করাবে,সেটা কোনো খারাপ/অসৎ কাজ নয়তো(অচেনা মেয়েটি মনে মনে বললো)!     
,

,
হ্যা আমি যুদ্ধ করতে রাজি আছি,এবারতো আমাকে ছেড়ে দাও(অচেনা মেয়েটি)!
,

,
ছেড়ে দেওয়ার কথাটা বলার সাথে সাথে এবলিং তাকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর নিজ জায়গায় একদম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। 
,

,
আর এদিকে সেই মেয়েটা এবলিং এর হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বুক ভরে ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে লাগলো। যেনো কতোদিন ধরে কোনো এক বন্ধি কারাগারে বন্ধি অবস্থায় ছিলো,আজকে সেখান থেকে মুক্তি পেয়েছে। 
কিছুক্ষন সময় নিয়ে অচেনা মেয়েটা নিজেকে সম্পূর্নভাবে ঠিক করে নিল। তারপর সে তাঁর সামনের লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখল যে,সেখানে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে,লম্বা চওড়া, রাজ পোশাক পড়া,সাদা লম্বা লম্বা চুল,যেগুলো হাওয়ার কারনে এদিক ওদিক উড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সে তাঁর মুখটা দেখতে পারছেনা,কেননা এবলিং এর মুখে সেই অদ্ভুত রকমের একটা মাক্স পড়া,যার কারনে তাঁর মুখের কোনো অংশই ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না।
যার কারনে সে এবলিং কে উদ্দেশ্য করে বললো যে, 
কে তুমি,আর কাপুরুষের মতো তুমি তোমার মুখটা ঢেকে রেখেছো কেনো,সাহস থাকলে নিজের পরিচয় টা দিয়ে নিজের মুখটা দেখাও(অচেনা মেয়েটি)!
,
পরিচয় জানতে চাও তুমি,আমার পরিচয় জানলে হয়তো তুমাকে এখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে হবে কয়েকদিন। আপাতত এটার কথা বাদ দাও,আর আমি আমার মুখটা তোমাকে দেখানোর জন্য এখানে আসিনি,আমি আসছি আমার নিজের একটা কাজে(এবলিং)!
,
মানে টা কি হাহ্,এখানে তুমি আসছো নিজের কাজে,তাহলে আমার কাছে কেন তুমি,তুমি তোমার কাজে যাও। আর পরিচয় বলবে না সেটাতো আমি জানি,এই দাঁড়াও দাঁড়াও তোমার চুল যেহেতু সাদা কালারের তাঁর মানে তুমি হোয়াইট ড্রাগন,কি তাইতো(অচেনা মেয়েটি)!
,
হ্যা,তোমার বুদ্ধি আছে বটে সেটা মানতে হবে,কিন্তু সেটা সময়মতো খাটাতে পারোনা তুমি(এবলিং)!
,
কিহ্ তুই একজন সাধারন হোয়াইট ড্রাগন হয়ে ব্লাক ড্রাগন ম্যারি কে অপমান করিস(অচেনা মেয়েটি,যার নাম ম্যারি)!
,
ওয়াও,তোমার নাম ম্যারি। এই নামটা তো আমার ভবিষ্যৎ,না থাক কিছু না(এবলিং)!
,
এই এই তুই আমাকে কি বলতে চাচ্ছিলি,হা(ম্যারি)!
,
তোমাকে তো আমি কিছু বলিনি,আমি তো আমার ভবিষ্যৎ,,,(এবলিং)!
,
থামলি কেন বল(ম্যারি একটু রাগি ভাবে বলল)!
,
কিছু না,আর তুমি আমাকে তুই-তুকারি করে কেন বলছো,এটাতো তোমার কাছে থেকে আশা করিনি(এবলিং)!
,
তোদের মতো সাধারন হোয়াইট ড্রাগন দের কারো সাথে যে এই আমি কথা বলছি এটাই তোর ভাগ্য,আবার বলেছিস আমার সাথে নাকি যুদ্ধ করবি,আর তখন হয়তো-বা আমি আমার পুরো শক্তি ব্যবহার করতে পারিনি,যার কারনে তোর মতো একজন সাধারন হোয়াইট ড্রাগনের থেকে নিজেকে আমি মুক্ত করতে পারিনি। আমার শক্তির সামনে তো তুই একমুহূর্তও টিকতে পারবিনা(ম্যারি)!
,
ম্যারির কথায় মুচকি হাসি দিয়ে এবলিং ম্যারিকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করল যে,
ওহ্ আচ্ছা তাই নাকি,কে সাধারন আর কে অসাধারণ সেটাতো একটু পরেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাবে,সাহস থাকলে যুদ্ধ করো আমার সাথে(এবলিং)!
,
(ও হলো একজন সাধারন হোয়াইট ড্রাগন,আমার সামনে ও তো কিছুই না,আজকে ওকে জন্মের শিক্ষা দিয়ে দিব দাঁড়া,মনে মনে বললো ম্যারি)লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম তোকে কিন্তু তুই সেটা মানলিনা,এতোই যখন মরার সখ জাগলো তোর তাহলে তো তোর সখটা পূরণ করতে হবে(ম্যারি)!
,
হুম কেননয়,(এবলিং)!
,
তারপর ম্যারি কিছুক্ষন নিশ্চুপ থেকে হঠাৎ করে এবলিং কে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
,
তাহলে শুরু করা যাক(ম্যারি)!
,
এই কথা শোনার পরে এবলিং এর মুখে বিজয়ের হাসি ফুটে ওঠে। যেটা কারোরই চোখে পড়েনি,এরপর সে নিজেও বলল যে, 
,
হুম শুরু করা যাক তাহলে(এবলিং)!
,

,,,,,,,,,,,,শুরু হলো যুদ্ধ,,,,,,,,,,, 

,
ম্যারি তাঁর নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর ডান হাত দিয়ে কিছু ম্যাজিকাল বল বানালো,যেটা সে এবলিং কে উদ্দেশ্য করে ছোড়ে মারলো,যেটা অনেক দ্রুত গতিতে এবলিং এর দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।
,
কিন্তু সেটা শুধু ম্যারির কাছেই মনে হচ্ছে যে,তাঁর ম্যাজিকাল বলগুলো এবলিং এর দিকে অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। 
সেগুলো যে এবলিং এর দিকে এগিয়ে আসছে,সেদিকে এবলিং এর কোনো খেয়ালই নেই,তাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন তাঁর কোনো চিন্তাই নেই,
,

,
এবলিং এর চিন্তা করার কোনো কারনই নেই,কেননা তাঁর দিকে যে ম্যাজিকাল বলগুলো আসছে সেগুলো এবলিং এর কাছে খেলার পুতুল ছাড়া অন্য কিছুই না। এবলিং এর কাছে মনে হচ্ছে ম্যাজিকাল বলগুলো একদম তাঁর নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এটার জন্যই মনে হয় এবলিং এর কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। এবলিং সেই ম্যাজিকাল বলগুলো দেখে এবলিং এর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়,সে ম্যাজিকাল বলগুলোর পাশকাটিয়ে ম্যারির কাছে গিয়ে একদম তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। এবং সে দেখতে পায়,ম্যারির সেই রাগী লুকটা যেটা এবলিং এর কাছে খুবই ভালো লাগছে,ঠিক তখনই তাঁর চোখ দু'টো আটকে যায় ম্যারির গোলাপি রঙের ঠোঁট জোড়ার ওপর। এবলিং আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা,সে তাঁর নিজের ঠোঁট দু'টো ম্যারির গোলাপি রঙের ঠোঁট জোড়ার ওপরে চেপে ধরে। 
কতক্ষন এভাবে ছিল সেটা এবলিং নিজেও জানেনা।
যখন সে বুঝতে পারলো তখন সে নিজেকে সামলে নিয়ে তাঁর আগের নিজ জায়গায় গিয়ে একদম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। 
আর এদিকে সব কিছু আগের মতো একদম নরমাল হয়ে যায়,ম্যারির সাথে যে এতোক্ষন কিছু হয়েছে সেটা সে নিজেও জানেনা। সে শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। 
কেননা তাঁর ম্যাজিকাল বলগুলো এবলিং কে আঘাত করার সাথে সাথে সেখানে বড়সড় একটা ব্রাস্ট হয়। এবং সেখানে অনেক ধোঁয়া জড়ো হয়,সেখানে কি হচ্ছে সেটা বাহিরে থেকে কোনো ভাবে বুঝার উপায় নেই। 
,

,
আর এদিকে ম্যারি মনে মনে ভাবতে লাগলো
সালার আমার এক আঘাতেই শেষ,মনে করেছিলাম হয়তো একটু আকটু শক্তিশালী হবে কিন্তু সেটাওতো না। যাইহোক ভালোই হয়েছে আপদ বিদায় হয়েছে। এই বলে যখনই সে তাঁর নিজ গন্তব্যে রওনা দিবে ঠিক তখনই তাঁর পেছন থেকে কেউ তাঁর নাম ধরে ডাক দেয়।
,
,,,ম্যারি,,,???
,
পেছন মুড়ে ম্যারি একদম পুরো থ হয়ে যায়,একি এটা কিভাবে সম্ভব,এতো বড় একটা ব্রাস্টের পরেও সে কিভাবে বেঁচে আছে। তাও আবার পুরো অক্ষত অবস্থায়,এটাতো কোনোভাবেই সম্ভব না। একে প্রথম দেখেই এর ওপরে কোনো এক কারনে আমার সন্দেহ হয়। নাহ্ একে এভাবে শেষ করা যাবে না,অন্য কিছু চিন্তা করতে হবে(ম্যারি মনে মনে বললো)!
,
খেলাতো আমি শুরুই করতে পারলাম না,তার আগেই তুমি শেষ করে দিতে চাচ্ছো দেখি। যাইহোক তুমি আমার ছোট্ট একটা আঘাত সহ্য করো,দেখি তুমি কিরকম শক্তিশালী(এবলিং)!
,
এই বলে এবলিং তাঁর ডান হাতের দু'টো আঙুল ম্যারির দিকে তাক করে শুধুমাএ একটা টুকা দিল। আর সাথে সাথে তাঁর হাতের আঙুলের মধ্যে থেকে একটা সাদা ড্রাগন বের হয়,এবং এটা ম্যারির দিকে তাঁর ম্যাজিকাল বলের চাইতে কয়েকগুণ স্পিডে যায়। 
,
এবলিং এর কথা শুনে ম্যারি এবলিং এর দিকে তাকিয়ে দেখে যে,এবলিং তাঁর দিকে তার ডান হাতটা দিয়ে কিছু একটা করলো,এবং সাথে সাথে সেই ডান হাতের আঙুল থেকে একটা সাদা ড্রাগন বের হয়ে তাঁর দিকে আসছে,সে কোনো কিছু করার আগেই সেটা তাঁর শরীরে স্পর্শ করার সাথে সাথে তাঁর ফিল হতে লাগলো যে,তাঁর নিজের মধ্যে কোনো শক্তি নেই,সবটুকু শক্তি সেই ড্রাগন টা শুষে নিয়েছে। যার কারনে ম্যারির মাথা প্রথম পরিমানে ব্যথা করতে লাগলো,এবং সে মাটিতে পড়ে যেতে লাগলো।       
,
কিন্তু তাঁর আগেই এবলিং ম্যারি কে চুপটি করে ধরে নিজের কোলে তাঁর মাথাটা রাখে। এবং তাঁর ডান হাতটা নিয়ে ম্যারির মাথার উপর রাখতেই ম্যারির শরীর থেকে সেই সাদা ড্রাগন টা বেরিয়ে এবলিং এর শরীরের সাথে মিশে যায়। 
,

,
ধীরে ধীরে ম্যারি চোখ দু'টো খুলে দেখে যে,সে মাটিতে পড়ে আছে। আর তাঁর সামনে সেই ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে। ম্যারি এটা ভেবে অবাক হলো যে,সে যুদ্ধে হেরে গেছে,তাও আবার তাঁর সামনের একটা সাধারন হোয়াইট ড্রাগনের কাছে,না না সাধারন নয় অসাধারন। 
,

,
কে তুমি আর তোমার কাছে এতো শক্তি কিভাবে এলো,আর তোমার শর্তটা কি(ম্যারি)!
,
ম্যারির কথা শুনে এবলিং একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে বলে যে,
,
আমি হলাম ভবিষ্যৎ হোয়াইট ড্রাগন কিং এবলিং,আর আমার শক্তি কতোটুকু সেটা আমার নিজেরও জানা নেই,কিকরে এলো সেটা তো জানি না। 
,
কিহ্ ভবিষ্যৎ হো হোয়াইট ড্রাগন কিং এএ এবলিং(ম্যারি অবাক হয়ে বললো)!
,
হ্যা,আর আমার শর্ত হলো,,,(এবলিং)!
,
কি হলো বলো(ম্যারি)!
,
যখনই এবলিং কিছু একটা বলতে যাবে,ঠিক তখনই তাঁর কানে কিছু একটার শব্দ ভেসে আসে। যার কারনে সে ম্যারিকে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
পরে কোনো একসময় বলবো(এবলিং)!
,
এই বলে এবলিং তাঁর নিজের মুখের অদ্ভুত রকমের বাক্স টা টান দিয়ে খুলে ফেলে। যার কারনে ম্যারি তাঁর চেহেরাটা পুরো ভালোভাবে দেখতে পায়। এবলিং এর চেহেরাটা দেখে ম্যারি পুরো অবাকের পর অবাক হয়ে যায়,আর তাঁর মুখ দিয়ে আপনা-আপনি কিছু কথা বেরিয়ে আসে,সেটা হলো,,,
,
এটা কি করে হতে পারে,তাঁর মানে এই হলো সেই ছেলে যার জন্য আমি সেই ছোট্ট বেলা থেকে অপেক্ষা করে আসছি। হ্যা ও-ই চেহারা তো,যে আমার সাথে প্রতিদিন রাতে ঘুমের পর স্বপ্নের মধ্যে এসে দূর থেকে শুধু আমাকে একবার দেখে কোথায় যেন মিলিয়ে যেতো। হ্যা আমি আমার সেই স্বপ্নের রাজকুমার কে পেয়েছি,যেভাবেই হোক ওকে আমার মনের কথাটা বলে দিতে হবে এখনি,নয়তো সে আবার চলে যাবে(ম্যারি মনে মনে বললো)!
,
আর এদিকে এবলিং তাঁর নিজ জায়গা থেকে একটা লাফ দিয়ে অন্ধকারে বুকে হারিয়ে যায়। 
ম্যারি অনেক খোঁজাখোজির পরেও যখন সে এবলিং কে না পায় তখন সে শুধু একটা কথায় বলে,,,,,

,,,,,,,,,,আমার এবলিং,,,,,,,,,,

{শব্দ সংখ্যা(১৪৯৯)}

।।
।।।
।।।।
।।।।।
১৩ পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। 
★হ্যাপি রিডিং★

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.