ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ভ্যাম্পায়ার কুইন পর্বঃ ০৭

Bangla Dub Novels
#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ০৭
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
হ্যারি বিদুৎ এর গতিতে আমার দিকে ছুটে আসলো। ওর গতি এতোটাই যে আমি দেখতেই পেলাম না ওকে। এক সেকেন্ডের মধ্যেই ও আমার সামনে চলে আসলো। আর এসেই আমার পেটে একটা সেই লেভেলের একটা ঘুষি দিলো। এক ঘুষিতে আমি কোর্টের পাশের দেয়ালের সাথে বারি খেলাম। মনে হলো আমার পেটের মধ্যে বিশাল একটা ছিদ্র হয়ে গেলো। সারা শরীর ব্যাথায় টন টন করতে লাগলো। দুই হাত আর নরছে না। মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসলো,
.
--জেসি এই তাহলে তোমার ভাই? ওর মধ্যে তো কোনো শক্তিই নেই। আমার এক ঘুষিতেই শেষ। মনে হয় না বাঁচবে। তবে আমি একটা সুযোগ দিতে পারি।(হ্যারি কথা বলতে বলতে আমার পেটের মধ্যে ওর কাটানা ঢুকিয়ে দিলো)
।।।
।।।
আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। কারন আমার পেটের মধ্যে একটা তলোয়ার ঢুকেছে। আজব করার বিষয় হলো কোনো রক্ত বের হচ্ছে না। শুধু আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে একটা অন্ধকার রুমের মধ্যে আমি আটকা পরেছি। আমার শরীর মুক্ত কিন্ত আমি নরতে পারছি না। মনে হচ্ছে কোনো অদৃশ্য শক্তি আমাকে ধরে রেখেছে। আমার শরীরের অবস্থা বারোটা। আমার সারা শরীর ব্যাথা করছে। হঠাৎ জায়গাটাই পানি উঠতে লাগলো। আমি কিছু দেখতেই পারছি না কিন্তু বুঝতে পারতেছি পানি আমার কোমড় পর্যন্ত উঠেছে। আস্তে আস্তে পানি আমার মাথা পর্যন্ত চলে এলো। আমার শরীর আমি নারাতে পারছি না। দেখতে দেখতে আমি পানির নিচে যেতে লাগলাম। 
আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে তখনি পুরো অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ আলো দেখা যাচ্ছিলো। আলোটা আমার হাতে থাকা নেকলেস যেটাকে আমি ব্যাজের মতো পরেছি সেটা থেকে আসছে। আস্তে আস্তে পুরো নেকলেস আমার হাত থেকে উপরে উঠতে লাগলো, তারপর একটা মহিলার রূপ নিয়ে নিলো। মহিলাকে আমি আগেও দেখেছি। এটা আমার আম্মা। আমি হা করে তাকিয়ে আছি। চোখ দিয়ে আমার পানি পরছে। আম্মার পিঠে দুটো ডানা রয়েছে। দুটো ডানায় সাদা রঙের। আমার মাথায় হাত দিয়ে বলতে লাগলো আম্মা,
.
--জ্যাক জানি তুমি রেগে আছো আমার উপরে। কোনো মা তার সন্তান একা ফেলে দিতে পারে না। কিন্তু আমার আর কোনো রাস্তা ছিলো না। তোমাদের দুই ভাই বোনকে ফেলে আমার চলে যেতে হয়েছে। তোমার সাথে আমার এটাই শেষ দেখা। নিজের বোনের খেয়াল রেখো।(আম্মা আর কিছু বললো না। হঠাৎ তার উজ্জল দেহটা আমার শরীরের মধ্যে চলে আসলো। শুধু একটা কথায় শুনলাম)
.
--তোমার সব শক্তি আমি আটকে রেখেছিলাম। তোমার ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করেই তোমাকে আমি একটা সাধারন মানুষের মতো রাখার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তুমি যদি এইখানে থাকতে তাহলে তোমাকে ওরা মেরে ফেলতো। আর আজ তোমার এই অবস্থা তোমার মা হয়ে কিভাবে দেখি৷ তুমি যখন এখানে এসেই গেছো তাই আমি আর তোমার শক্তি গুলো আটকে রাখবো না। আজ থেকে তুমি তোমার নিজের অস্তিত্ব খুজে পাবে। আমি জানি তুমিই পারবে এই দুনিয়াকে সুন্দর একটা জায়গা বানাতে। তুমিই পারবে আবারো মানুষ আর মনস্টার দের একসাথে করতে। শুধু মনে রেখো নিজেকে। তুমি তোমার বাবার মতো কোনো demon না। তুমি তারচেয়েও বেশী কিছু।(আম্মা)
।।
।।।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আম্মা উধাও হয়ে গেলেন।
আমার শরীরে নতুন কিছু মনে হলো। পিছন থেকে আলো বের হতে লাগলো। পিছনে তাকালাম। সাদা দুটো পাখা আমার পিঠে। দুটোর আলোতে আমার আশেপাশের সমস্ত অন্ধকার আলোকিত হতে লাগলো। আমি জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম। সাথে সাথে হ্যারির কাটানা আমার পেট থেকে বেরেয়ি গেলো। এবং যে ক্ষত হয়েছিলো সেটা ঠিক হয়ে গেলো। সবাই অবাক হয়ে গেলো। গ্যালারীতে পুরো কলেজের সবাই বসে আছে। এবার আমার পিঠ থেকে দুটো ডানা বেরিয়ে আসলো। দুটো সাদা ডানা একা একা দুলতে লাগলো। আমার পাশের সব এলাকা আলোকিত হয়ে গেলো কিছুটা সময়ের জন্য। একটা সাদা আলো আমার মধ্য দিয়ে বয়ে গেলো কিছুক্ষনের জন্য। সবাই এবার বেশী অবাক হয়ে গেলো। তাদের অবাক হওয়ার কারন আমিও বুঝতে পেরেছি। হঠাৎ আমার ডান পাশের সাদা ডানাটা আস্তে আস্তে কালো রঙের হয়ে গেলো। এখন আমার ডান পাশের ডানাটা সাদা এবং বাম পাশের ডানাটা কালো। একটা দিয়ে সাদা আলো বের হচ্ছে আর একটা দিয়ে কালো আলো বের হচ্ছে। 
.
--এটা কিভাবে সম্ভব? একসাথে এন্জেল আর ডেভিলের ক্ষমতা আজ পর্যন্ত কোনো মনস্টারই ব্যবহার করতে পারে নি। এমনকি কখনো কোনো মনস্টারের দু রঙের ডানা হয় নি। তাহলে কে তুমি?(হ্যারি)
.
--আমি কে সেটা তো আমি নিজেও জানি না। ছোট থেকে যে পরিবারের কাছে বড় হয়েছি। যাদের নিজের বাবা মা বলে জেনেছি কিন্তু তারা আমার বাবা মা নয়। সারাজীবন নিজেকে মানুষ বলে ভেবেছি। কিন্তু আজ জানি আমি মানুষ নয়। আমার আসল পরিবারের একজন ছাড়া কেউ আমার খবরই নেই নি কখনো। তাহলে আমি কি করে জানবো আমি কে?(আমি)
।।।।
।।।।
আমি এবার পলক পরার আগেই আল্ট্রা স্পিডে হ্যারির সামনে চলে গেলাম। হ্যারি আমার স্পিড দেখে খুব ভয় পেয়ে গেলো। আমি একটা ঘুষি দিলাম ওর বুকে। এক ঘুষিতেই ও বাস্কেটবল কোর্টের দেওয়াল ভেঙে ক্যাম্পাসের মাঠে গিয়ে পরলো। যেখানে পরলো সেখানের মাটিতে অনেকটা গর্ত হয়ে গেলো। আমি এবার আস্তে আস্তে উড়ে ওর কাছে গেলাম। এনা আর জেসি দুজনেই হ্যারির ট্রাপ থেকে ছুটেছে। আমার ক্ষমতা দেখে ওরাও অবাক হয়ে গেছে। আমি হ্যারির কাছে চলে এলাম। হ্যারি কোনো রকম পায়ে ভর করে উঠেছে। মুখ দিয়ে রক্ত পরছে। মাটিতে ঘষা খেয়ে ওর মুখ ও অনেকটা কেটে গেছে।।।। 
।।।।
.
--আমি নিজেই যখন জানি না আমি কি। আমার পরিবারের কেউ যখন বলতে পারে না আমি কি। তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর আমি তোমাকে কিভাবে দিবো?(আমি)
।।।
।।।
এবার আমি হ্যারির কলার ধরলাম বাম হাত দিয়ে। তারপর উপরে উড়তে লাগলাম। এবার ডান হাত দিয়ে ওর মুখে তিনটা ঘুষি দিলাম। তিনটা ঘুষিতেই ওর মুখের অবস্থা বারোটা হয়ে গেলো। দেখলে কেউ চিনবেই না ও হ্যারি। আমি শুনেছি মনস্টারদের হার্ট ধ্বংস না করলে শারিরীক ভাবে কখনো কোনো মনস্টারকে মারা যায় না। তাই আমি কোনো ভয় না পেয়ে পিটাইতে লাগলাম। এবার ওকে ছেড়ে দিয়ে ডান পা দিয়ে একটা কিক করলাম। ও সোজা উপরে উঠতে লাগলাম। কিকটা এতো জোড়ে হয়েছে যে ও অনেক উপরে চলে গেছে। এবার আমি আমার হাত দিয়ে একটা স্পেশাল এনার্জি বিম বানাতে শুরু করলাম। দেখতে দেখতে বিশাল একটা বলের মতো একটা এনার্জি বল হয়ে গেলো। আমি সেটা হ্যারির দিকে ছুরতে যাবো তখনি জেসি পিছন থেকে আমাকে জরিয়ে ধরে বলে।
.
--ভাইয়া ও মরে যাবে। প্লিজ ওকে মারিস না।(জেসি কেদে দিয়ে বললো)
।।।
।।।
আমি পিছনে ঘুরলাম। জেসির কান্না মাখা মুখটা দেখে আমার আম্মার সাথে দেখা হওয়ার কথা মনে পরে গেলো। এতোক্ষন আমি নিজেকে আটকাতে পারি নাই। হ্যারিকে যত মারছিলাম ততই ভালো লাগছিলো। জেসির চেহারা প্রায় আম্মার মতোই। সব চেয়ে আজব বিষয় হচ্ছে জেসির ডানা দুটো। দুটোর রং পুরো সাদা। একদম আম্মার দুটো আমি যেমন দেখেছি তেমনি দুটো। আমার হাতের এনার্জি বিমের সব পাওয়ার আবার আমার শরীরের মধ্যে যেতে লাগলো। আমি আসতে আসতে জেসিকে নিয়ে নিচে নেমে এলাম। মাটিতে নামার পর দুজনের ডানায় অদৃশ্য হয়ে গেলো। আর তখনি হ্যারি উপর থেকে মাটিতে পরলো। সাধারন মানুষ হলে হয়তো গলে যেতো। কিন্তু একজন ডেভিল হওয়ায় বেচে গেছে। 
.
--তো এই হ্যারি আর তোর মধ্যে কি চলছে?(আমি)
.
--তোকে পরে বলবো আগে ওকে নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে চল। ওর অবস্থা অনেক খারাপ।(জেসি)
.
--তো কি পরে থাকতে দে। একটু পরে একাই ঠিক হয়ে যাবে।(আমি)
.
--ডেভিলরা যদি এন্জেলদের থেকে কখনো আঘাত পায় তবে সেই ক্ষত কখনো হিল হয় না। আবার যদি এন্জেলরা ডেভিলদের থেকে আঘাত পায় তাহলেও কখনো সেই ক্ষত ঠিক হয় না। কিন্তু তোমার ডানা দুটো দেখে মনে হচ্ছে তোমার শরীরে ডেভিল এবং এন্জেল দুটোর শক্তি রয়েছে। তাই বেশী দেরী করলে হয়তো হ্যারি মারা যাবে।(এনা আমাদের কাছে এসে বললো)
.
--ওকে। চলো তাহলে ওকে নিয়ে যাচ্ছি।(আমি)
।।।
।।।
আমি হ্যারিকে আমার কাধে নিলাম। এবার আমি আমার আল্ট্রা স্পিড ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসলাম। নার্সকে দেখালাম এবং কি হয়েছে খুলে বললাম। নার্স ওকে একটা বড় টিউবের মধ্যে রাখতে বললো। সেখানে রাখার পর সব টিউবের চারপাশ আটকে দেওয়া হলো। এবং টিউবের মধ্যে লাল রক্তের মতো পানি ভরতে লাগলো। 
.
--এভাবে একদিন এটার মধ্যে থাকলে ও ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি বুঝলাম না। মিস্টার হ্যারি তো একজন হাই লেভেল ডেভিল। তার এই অবস্থা হলো সাধারন একটা লড়াইয়ে।(নার্স)
.
--আমি ও বুঝতে পারছি না কিছুই।(আমি)
.
--হৃদয় জ্যাক এদিকে আসো তোমার সাথে কথা আছে।(এনা)
.
--হৃদয় জ্যাক এটা কিরকম নাম। হয়তো হৃদয় ডাকো নাহলে জ্যাক।(আমি)
.
--ঠিক আছে জ্যাক এদিকে আসো কথা আছে তোমার আর তোমার বোনের সাথে।(এনা)
.
--হুমমম।(আমি জেসি আর এনার কাছে গিয়ে বললাম)
.
--তো শুরু কর জেসি। আমাকে আগে কখনো বলিস নি তুই এন্জেল? তাহলে এতোদিন মিথ্যা বলেছিস আমার কাছে। আর এই হ্যারির সাথে তোর কি সম্পর্ক?(এনা)
.
--আচ্ছা সব কিছু প্রথম থেকে শুরু করি। আমাদের বাবা একজন হাফ ডিম্যান। আর আমাদের আম্মা ছিলো একজন হাফ এন্জেল। পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় আমাদের বাবা আর আম্মার। তারপর আমাদের জন্ম।....... (জেসি টুকটাক করে আমাদের পিছনের কথা গুলো বলতে লাগলো। শুধু আমাদের বাবা রাজা সেটা গোপন রেখে বলতে লাগলো)....আম্মা একদিন শুধু জ্যাককে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। আমাকে দাদাভাইয়ের কাছে রেখে গেলেন। তখন আমাদের বাবার ব্যবহার দেখে দাদাভাই আমাকে মানুষদের দুনিয়ায় নিয়ে গেলেন। এবং সেখানে একটা পরিবারের কাছে আমাকে দিয়ে আসলেন। আমার বয়স ১০ হওয়ার পর থেকেই আমি জ্যাকের সন্ধান করতে শুরু করলাম। যখন আমার বয়স ১৫ হলো তখন আমার সাদা ডানা বেরিয়ে আসলো। হাফ Demon দের ডানা হয় না। তাই প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। একদিন উড়তে উড়তে আমার দেখা হলো হ্যারির সাথে। হ্যারি ২ বছরের জন্য মানুষের দুনিয়াতে ঘুরতে এসেছিলো। ওর সাথে সময় কাটাতে লাগলাম প্রতি রাতে। আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমার মতো জ্যাকেরও ডানা দেখা দিয়েছে। হয়তো জ্যাকও রাতে উড়বে। প্রথমে তো হ্যারিকেই আমার ভাই মনে হয়েছিলো। কিন্তু পরে জানতে পারলাম ও কে। আস্তে আস্তে মনস্টার দুনিয়ার সব খবর নিতে শুরু করলাম হ্যারির কাছ থেকে। দেখতে দেখতে এক বছর সময় কেটে গেলো। আমি আর হ্যারি দুজনেই দুজনকে ভালোবাসতে শুরু করেছি। আর তারপর একদিন হঠাৎ হ্যারি উধাও হয়ে গেলো। আমি ৬ টা মাস প্রতি রাত ওর জন্য অপেক্ষা করেছি কিন্তু ওর কোনো খবর ছিলো না।(জেসি)
.
--বাব্বা কি লাভ স্টোরী।(এনা জেসিকে জরিয়ে ধরে)
.
--ছাড় জরিয়ে ধরছিস কেনো?(জেসি)
.
--আচ্ছা তোর ডানা দুটো সাদা আর জ্যাকের একটা সাদা একটা কালো কেনো?(আমি)
.
--সেটা জানি না। আমরা দুজন যমজ হয়েছি। আমার শরীরে ডিম্যান এবং এন্জেল এর রক্ত। তাই আমার ডানা আছে এন্জেলদের মতো। আর শরীরে ডিম্যানদের মতো শক্তি। কিন্তু জ্যাকের ক্ষেত্রে সব আলাদা। ছোট থাকতে দাদাভাই আমাকে বলেছিলো জ্যাকের আমাদের বাবার মতো কোনো ডিম্যান নয়। ও তার থেকেও বেশী কিছু।(জেসি)
.
--আম্মা ও আমাকে এই কথা বলেছে দুইবার স্বপ্নে।(আমি)
.
--কি?(জেসি)
.
--আমি আমার বাবার মতো কোনো ডিম্যান না। আমি তার থেকেও বেশী কিছু। কিন্তু কি সেটাই আমি তো বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
--সাধারনত বাবা মা দুই রকম মনস্টার হলে সন্তান যদি যমজ হয় তাহলে দুইজনের মধ্যে একজন বাবার মতো হবে আরেকজন মায়ের মতো এটাই তো হয় সব সময়। কিন্তু তোমাদের ক্ষেত্রে আলাদা কেনো?(এনা)
.
--আমি জানি না।(জেসি)
.
--আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা এখন। যা হয়ে যাওয়ার হয়েছে। আর বাকি কিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। জেসি তোরা দুজন এখন আমাকে সাহায্য করবি।(আমি)
.
--কিসের সাহায্য লাগবে?(এনা)
.
--এই পাওয়ার গুলো আমি ঠিকমতো কন্ট্রোল করতে পারছি না। যখন আমি হ্যারিকে মারছিলাম তখন আমার ভালোই লাগছিলো। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো আমার মাঝে অন্য কেউ ভর করেছিলো।(আমি)
.
--তুমি কি ওর ব্লাড দেখেছিলে?(এনা)
.
--হ্যা কালচে রঙের ছিলো।(আমি)
.
--খেতে মন চাইছিলো?(এনা)
.
--এটা আবার কেমন কথা? ওর ব্লাড আমার খেতে মন চাইবে কেনো?(আমি)
.
--ওকে দাড়াও অপেক্ষা করো একটু।(এনা আমাকে আর জেসিকে রেখে চলে গেলো)
.
--এনার আবার কি হলো?(আমি)
.
--কি জানি? আচ্ছা বাদ দে ওর কথা। শরীরে কোনো রকম পরিবর্তন মনে হচ্ছে নাকি?(জেসি)
.
--শরীর অনেক হালকা লাগছে।(আমি)
.
--ও।(জেসি)
.
--আমি এসে গেছি। জ্যাক এদিকে তাকাও তো।(এনা ওর হাতে থাকা একটা কোলড্রিক্সের ক্যান আমার হাতে তুলে দিলো)
.
--এইটা কিসের জন্য?(আমি)
.
--রক্ত এইটা।(এনা)
.
--কি কার রক্ত এইটা।(আমি ফেলে দিতে চাইলাম)
.
--আরে ফেলে দিয়ো না। খেতে হবে না তোমার। আমার হাতে দাও এইটা।(এনা)
.
--তুই ব্লাডের ক্যান এনে কি করতে চাচ্ছিস। তোর খেতে মন চাচ্ছে তুই খা।(জেসি)
.
--আরে আমি একটা জিনিস দেখতে চাচ্ছি।(এনা)
।।।।
।।।।
এনা হাতের ক্যান খুলে কিছুটা রক্ত বের করে ওর হাতের তালুতে ঢাললো। ঢেলে আমাকে দেখাতে লাগলো।
.
--হাতে রক্ত ঢেলে নষ্ট করছো কেনো?(আমি)
.
--এটা মানুষের রক্ত একটু ভালো করে দেখো?(এনা)
.
--দেখে কি করবো?(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ৮ম পার্টের জন্য।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.