ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ৩ পর্বঃ ০৭

Bangla Dub Novels
 #জলপরীর_প্রেমে#
#সিজন_3#
পার্টঃ০৭
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি আমার বর্তমান সময়ে চলে আসছি। বর্তমান বললেও ভুল হবে। কারন এটাও আমার অতীত। আমি যে সময় থেকে অতীতে গিয়েছিলাম তার ১ সপ্তাহ আগে এসেছি আমি৷ মানে পুরো বিপদ সংকেত রয়েছে পৃথিবীর উপরে। আমি এখন কিছুই করবো না। আমি আমার সব কাছের মানুষ এবং সব বিশ্বস্তদের একটু পরীক্ষা ও করতে পারবো এই সময়ে। তাদের কে আমাকে মান্য করে কে আমাকে অমান্য করে সেটাও আমি জানতে পারবো এই সুযোগে। যদি অবস্থা খারাপ দেখি তাহলে এই পুরো জ্বীন জগৎই আমি ধ্বংস করে দিবো। এদের থাকার কোনো মানে হয় না। এদেরকে কয়বার সুযোগ দেওয়া যায়। প্রত্যেকবারই কেউ না কেউ আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমি আর চাই না কেউ আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করুক। আমি চাই সবাই সবার মতো একটা সুস্থ জীবন যাপন করুক। 
কিন্তু এখানে ভাববার একটা বিষয়। সেটা হলো এই বাসার রহস্য আমি কিভাবে বের করবো। নিজেই তো বুঝতে পারতেছি না। আমারই তো কথা ছিলো এই এগুলো সব তৈরীর। কিন্তু আমি তো বানালাম না এসবের কিছুই। তবে এগুলো কি এমনি এমনিই তৈরী হয়েছে। যেভাবেই আগে তৈরী ছিলো ঠিক সেভাবেই আছে এখনো। বিষয়টা বেশ রহস্যজনক। আমার মতোই কেউ হয়তো এটা তৈরী করেছে। আচ্ছা সেই রহস্য নাহয় পরে জানা যাবে। আগে আমাকে এখান থেকে বের হতে হবে। নিজের চেহারাও এমন হয়েছে যে কেউ দেখলেই আমাকে বনমানুষ ভাববে হয়তো। আমাকে সুন্দর করে আগে নিজের রূপ পাল্টাতে হবে। এই চেহারা পাল্টানোর স্পেলটা আমি শিখেছি হৃদিতার কাছ থেকে। কিন্তু এখনো ব্যবহার করতে পারি নাই। এ কয়েকদিন আমার এই স্পেলটা অনেক কাজে দিবে। ভাবতেছি নিজের চেহারাটা কার মতো করা যায়। কার মতো করলে ভালো হয়। নিজেকে ডোনাল ট্রাম্প বানিয়ে দিলে কেমন হয়? কিংবা নিজেকে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড মেসি বানালেও খারাপ হয় না। তাতে তো মেয়েরা পাগল হয়ে যাবে আমাকে দেখলে। কিন্তু সেসব করার থেকে নিজেকে অন্য কোনো রূপে পরিবর্তন করাই ভালো৷ কারন আমাকে কেউ তখন দেখলে খারাপ হবে। কারন তখন পৃথিবীতে দুটো একই চেহারার মানুষ চলে আসবে। সেটা আমি চাই না। তার যে মৃত কারো চেহারার রূপ আমি নি সেটাই ভালো হবে। আজ থেকে তো দুই হাজার বছর পূর্বে সিগমা বেচে ছিলো। এখন তো তার হাড্ডিও মনে হয় মাটির সাথে মিশে গেছে। তার চেহারা কারো মনে রাখবার নয়। ওর চেহারা নিলে খারাপ হয় না। এমনিতেও অনেক সুন্দর দেখতে ছিলো সিগমা। ওর চেহারার অধিকারী হলে তো আমার উপরে কত মেয়ে পাগল হবে তার ঠিক নাই। আপাতোতো ১ মাসের মতো আমি ওর চেহারার মাঝেই থাকবো। তারপর আমার অতীতের আমি যখন চলে যাবে দুই হাজার বছর পূর্বে তখন আমি সবার সামনে আস্তে পারবো। 
আমি টাইমমেশিন থেকে বের হয়েই পাশে থাকা একটা আয়নায় নিজের চেহারা দেখলাম। সিগমার চেহারার কথা চিন্তা করে আমি আমার জাদুর স্পেল বল্লাম।
.
--হুজিং কু বা নু কাসা তো ফা।(সাথে সাথে একটা আলোর কুন্ডলী তৈরী হলো। আমি সিগমার চেহারা পেয়ে গেলাম)
।।।।
।।।।
নিজের মুখে কিছুক্ষন হাতালাম। কারন এতো সুন্দর হয়েছি এখন নিজের কাছেই হিংসা হচ্ছে। এমন ক্ষমতার অধিকারী যদি আমি আগেই হতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। কিন্তু আগে হইতে পারি নাই। তবে কি এখন এগুলোর মজা নেওয়া যাক। আমি সিড়ি দিয়ে উপরে যাচ্ছিলাম। ঠিক তখনি দরজার সামনে পরলাম। দরজার চোখ নাক মুখ দেখা যাচ্ছে। বুঝলাম না এটা তো বলেছিলো আমিই এটাকে বানিয়েছিলাম। তাহলে কখন বানিয়েছিলাম এটাকে তা তো আমার নিজেরই মনে নাই। আচ্ছা এটাকেই জিজ্ঞেস করি।
.
--মহারাজ আপনার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন তাই না? শুধু কি আপনিই সবাইকে রহস্যে ফেলতে ভালোবাসেন? আপনার যে স্ত্রী আছে সে ও তো আপনাকে রহস্যে ফেলতে ভালোবাসে।(দরজা)
.
--হৃদিতা?(আমি)
.
--হ্যা মহারাজ।(দরজা)
.
--সব খুলে বলো তো আমায়।(আমি)
.
--আমাকে বলতে নিষেধ করা হয়েছে। আপনি বরং মহা রানীর কাছেই গিয়ে জিজ্ঞেস করুন।(দরজা)
.
--সে কোথায় আছে?(আমি)
.
--আমার গায়ে হাত রাখুন।(দরজা)
।।।।
।।।।
আমি দরজার গায়ে হাত রাখলাম। সাথে সাথেই দরজার চোখ নাক মুখ চলে গেলো। মনো হলো সেটা তার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। দরজাটা এতোক্ষন বন্ধ ছিলো। আমি হাল্কা টান দিতেই সেটা খুলে গেলো। আমি তাকিয়ে বাইরের দিকে। কারন আমি আর সেই মন্দিরের মতো ঘরে নাই। আমি এখন আছি অন্য কোনো বাইরের জায়গায়। জায়গাটা আমার কাছে একদম অজানা। একদম নতুন একটা জায়গা আমার কাছে। চারদিক দিয়ে অনেক উন্নত জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি। পুরো ভবিষ্যতের মতো লাগছে জায়গাটা। আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম এতো আধুনিকতা দেখে। এমন জায়গা আমি পৃথিবীর কোথাও দেখি নাই। সবচেয়ে আধুনিক রাজ্য হচ্ছে পাতালপুরী তার থেকেও প্রায় হাজার গুন বেশী আধুনিক এই জায়গা। আমি বুঝতে পারতেছি না। টাইমমেশিন দিয়ে তো আমি ঠিক সময়েই এসেছি। তাহলে দরজাটাকি আমাকে আবার সময়ের সফর করাবে নাকি। আচ্ছা সেটা পরে দেখা যাবে। আমার জায়গাটা ভালোই লেগেছে। আমি এখানে কিছুক্ষন সময় কাটাবো। আমার মনে হচ্ছে হৃদিতাও এখানেই আছে। 
আমি দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। আমাকে দেখে দূর থেকেই বেশ কিছু মানুষ এগিয়ে আসছিলো। আমার প্রথমে মনে হলো এরা মনে হয় আমাকে শুভেচ্ছা দিতে আসছে। কিন্তু পরক্ষনেই যখন একজন লাফিয়ে আমার দিকে একটা এনার্জি বল ছুরলো তখন বুঝলাম এরা আমাকে শত্রু ভেবে হামলা করছে। আমি সেটা বুঝে উড়ে সেখান থেকে সরে আসলাম। তারপর কোমড়ে হাত দিলাম কোমড়ে হাত দিয়ে আমি ট্রিশুলটা পেলাম না। এই ট্রিশুল হালা আবার কোথায় গেলো। ও মনে পরেছে ট্রিশুলটা তো আমি সেই দুই হাজার বছর আগে পাতালপুরীতেই রেখে আসছিলাম। সেটা রেখেই আমি সিগমার বাচ্চাকে দেখতে যেতে ছিলাম। বেশী তারাহুরা করলে যা হয় আরকি। তবে আমার কাছে তো অস্ত্র আছেই। শক্ত করে হাত মুঠো করলাম। সাথে সাথেই আমার তলোয়ার আমার হাতে চলে আসলো৷ প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো এটাও ফেলে আসছি। কিন্তু এখন বুঝতে পারতেছি না এটা আমার হাতেই আছে। আমার হাতে লেজেন্ডারি তলোয়ার দেখে তারা তো এবার ভয় পেয়ে গেলো। সবাই আমার সামনে কুর্নিশ করলো। কারনটা আমি বুঝলাম না। কি হচ্ছে এসব। আর তাদের কাছে এমন শক্তি কিভাবে এলো। এতো কিছু নিতে গেলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে। একজন মেয়ে আমার কাছে এসে বলতে লাগলো
.
--মহারাজ আমরা এতোদিন যাবৎ আপনারই অপেক্ষা করতে ছিলাম।(মেয়েটা)
.
--কিন্তু।(আমি)
.
--রানী আপনার অপেক্ষা করছেন। চলুন যাওয়া যাক।(মেয়েটা)
।।।।
।।।।
জানি না এরা কারা। কিন্তু রানীর কথা বলার পরে আমার রানীকে খুব দেখতে মন চাচ্ছে। বিষয়টা যতটা ভেবেছিলাম তারচেয়ে রহস্যে। যখন আমি রানীর আসনে হৃদিতাকে দেখতে পেলাম তখন এতো অবাক রাখবো কোথায় আমি। কারন সে কোনো মানুষের শরীরে নাই। একদম নিজের শরীরেই মনে হচ্ছে। আর আমি যেমন তাকে দেখতে পাচ্ছি বাকি সবাইও তেমনি তাকে দেখতে পাচ্ছে। এটা সম্ভব কি করে। আমি হৃদিতার কাছে গেলে হৃদিতা আমাকে দেখে হেসে দেই।
.
--কেমন আছেন?(হৃদিতা)
.
--সেটা তো আমাকে তোমার জিজ্ঞেস করার কথা। আমি তো একটু আগেই তোমার সাথে দেখা করে আসছি। আর তুমিই তো সেই দুই হাজার বছর আমার জন্য অপেক্ষা করেছো। খোজ খবর তো আমার নেওয়ার দরকার তোমার।(আমি)
.
--আমি আর কি বলবো। দেখতেই পাচ্ছেন আপনাকে ছাড়া কেমন ছিলাম।(হৃদিতা)
.
--মনে হয় টাইম ট্রাভেল করে আমার মাথা ঠিক নাই। মাথা ঘুরাচ্ছে তাই এতো রহস্য আমার সহ্য হচ্ছে না। আমি একটু ঘুমাবো।(আমি)
.
--জিনিয়া তুমি পুরো রাজ্যে খবর পৌছে দাও মহারাজ চলে এসেছেন। আমি উনাকে নিয়ে আমার কক্ষে যাচ্ছি।(হৃদিতা)
.
--জ্বী মহারানী।(আমাকে যে মেয়েটা এখানে নিয়ে আসছে)
।।।।।
।।।।।
আমাকে নিয়ে যেতে লাগলো হৃদিতা। আমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো। আমি অবাক হলাম কারন দিনের বেলাতেই ওর হাত আমি ধরতে পারছিলাম। এটার থেকে রহস্যের আর কি থাকতে পারে। আমি যাচ্ছিলাম ওর সাথে। আমাকে নিয়ে হৃদিতা একটা রুমে নিয়ে গেলো। এটাই মনে হয় ওর রুম। আমি কোনো কথা না বলেই শুয়ে পরলাম বিছানায়। আমি শুয়ে পরলাম। সাথে সাথেই আমার বুকের উপরে শুয়ে পরলো হৃদিতা। 
.
--এখানে সিগমার চেহারায় আপনাকে থাকতে হবে না। আপনার নিজের চেহারায় থাকতে পারবেন আপনি।(হৃদিতা)
.
--এটাতেই থাকি না। ভালো লাগে সিগমার চেহারা।(আমি)
.
--একটু ও না। দেখলেন না জিমিয়া মেয়েটা কিভাবে তাকিয়ে ছিলো আপনার দিকে। আর এমনিতেও আমি আপনার সেই চেহারাটাকে অনেক মিস করি।(হৃদিতা)
.
--আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি আমার নিজের চেহারায় ফিরে আসলাম। হৃদিতার মনে জ্বলতেছে সেই বিষয়টা আমি বুঝতে পারলাম। জ্বলবেই তো। কেউ কি তার স্বামীর ভাগ দিতে। হৃদিতাও চাইবে না। এখনো অনেক রহস্য জানা বাকি। তাই একটা সুন্দর ঘুম আমার প্রয়োজন। আমি শুয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। আর হৃদিতা আমার বুকের উপরে শুয়ে পরলো।
ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরেই আমি উঠলাম। মেয়েটা এখনো আমার বুকের উপরে শুয়ে আছে। নরছে না। আমি ডাক দিচ্ছি কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ নাই। একদম মরা মানুষের মতো পরে আছে আমার বুকে। আমি একটু কাধ করে ওকে শুইয়ে দিলাম আমার বুক থেকে নামিয়ে। বুঝতে পারলাম না কিছুই। হঠাৎ কোথা থেকে হৃদিতা উড়ে আসলো আমার কাছে। এবং এসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওর পরে থাকা শরীরের দিকে একবার তাকালাম আরেকবার তাকালাম ওর অশরীরি শরীরের দিকে। ও আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে দিলো। 
.
--কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
--অবাক হওয়ার কিছুই নাই। আপনার পাশের যে শরীর দেখতে পাচ্ছে সেটা স্পেশাল একটা ধাতু দিয়ে বানানো হয়েছে। আর আমাদের বিজ্ঞানীরা সেটাকে এমন ভাবে তৈরী করেছে যে সেটা দেখতে এবং ধরতে মানুষের মতোই হবে। আর আমি অনায়াসেই এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারি। তাই এটার চেহারা আমি নিজের মতোই করে নিয়েছি।(হৃদিতা)
.
--ওওওও। তবে আমি বুঝতে পারতেছি না। ঔ মন্দির তার ভিতরের জিনিসগুলো কিভাবে তৈরী হলো?(আমি)
.
--আমাদের রাজ্যে সরাসরি আসার রাস্তার মধ্যে একটা ঔটা। মনে আছে শেষ যখন আমি আপনার হাত ধরেছিলাম। তখন আমি আপনার পুরানো সব স্মৃতিই দেখতে পেয়েছিলাম। তার মাঝে এই জিনিস গুলোও ছিলো। আমার তো কাছ ছিলো না। তাই প্রথম প্রথম সিগমার বানানো গোপন আর্মি নিয়ে আমি আলাদা রাজ্য গড়তে লাগলাম। আর তার মাঝেই এই মন্দির বানালাম। এর ভিতরে যত কিছু আছে সব আমার ই বানানো।(হৃদিতা)
.
--তুমি বানিয়েছো সব?(আমি)
.
--হ্যা তবে দরজাটা আপনার জাদুর ছিলো। আপনি যখন টাইমমেশিন দিয়ে চলে গেলেন। তখন আপনার হাত থেকে একটা আলো বের হয়ে একটা গাছে লাগে। সেই গাছ সাথে সাথে একটা দরজা হয়ে যায়।(হৃদিতা)
.
--আমার আর কিছু বুঝতে হবে না। বাকি যা জিনিস আছে সব তুমিই করছো।(আমি)
.
--হ্যা। অনেক কিছুই করেছি যেটা আপনার এখনো অজানা।(হৃদিতা)
.
--তা কি কি করছো?(আমি)
.
--শুনে অবাক হয়ে যাবেন। আপনারা দুই ভাইবোন তো জানেন হিরোমাস আপনাদের জীবন বাচিয়েছিলো আপনাকে তাদের রাজা হতে হবে এই শর্তে।(হৃদিতা)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--হিরোমাস তো তখন আকাশপুরীর সেনাপতির সাথে যুদ্ধ করতেছিলো। এবং সে যুদ্ধে সে নিজে শহীদ হন। তার এমন মৃত্যুর কথা শুনলে তো তার রাজ্যের লোকেরা দুর্বল হয়ে যাবে। আর আমি সেটা কখনো চাই নি। আমি সব সময়ই চেয়েছি আপনার রাজ্য গুলো যাতে ভালো থাকে। সেজন্য অনেক কষ্টও আমাকে করতে হয়েছে।(হৃদিতা)
.
--তাহলে আমাদের বাচালো কে?(আমি)
.
--আপনাদের কিছুই হয় নি। আপনারা দুই সন্তানই পেয়েছিলেন হিরানার শক্তি। সামান্য পানি আপনাদের কি ক্ষতি করবে। কিন্তু জিনিসটা আমাকেই সাজাতে হয়েছিলো। আমি একজন হিরোমাসের শরীরে ঢুকে আপনাদের বাবা মার কাছে যায়। আপনারা দুইজন আমার জাদুতেই বন্ধী ছিলেন। তাই নরাচরা করতে পারছিলেন না। এতে করে আপনার বাবা মা ভেবে নিয়েছিলো আপনারা মারা গেছেন। আর আমিও আপনাদের বাবা মার কাছে গিয়ে শর্তটা রাখলাম। তারা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই রাজি হয়ে গেলো।(হৃদিতা)
.
--Ohh My God.... তারপরে আর কিছু বলার দরকার নাই। আমি পুরোটা বুঝে গেছি। কিন্তু আমার পুরানো সময়ে তো কখনো তুমি ছিলে না আমার কাছে?(আমি)
.
--কে বলছে আমি ছিলাম না আপনার কাছে। আমি পুরোটা সময় আপনার কাছেই ছিলাম। তবে আপনিই আমাকে দেখতে পারতেন না।(হৃদিতা)
.
--সেটা কিভাবে। তুমি আমার পাশে থাকলেই তো আমি দেখতাম তোমাকে।(আমি)
.
--আপনার নানীকে সেই দরবেশটা কি বলেছিলো সব সময় আপনার বোনের কাছেই থাকতে তাই না?(হৃদিতা)
.
--হ্যা। ওর কাছে থাকলে নাকি আমার উপরে কোনো প্রকার জাদু হবে না।(আমি)
.
--আমি আপনার বোনের শরীরের মধ্যেই থাকতাম। আপনার পাশে কোনো জ্বীন বা পরী আমার জন্যই আসতে পারতো না। কিন্তু আমি তো আপনার ভবিষ্যৎ দেখেছিলাম। তাই সেটাকে বদলানোর ক্ষমতা আমার ছিলো না। যেদিন আপনার হাত ধরলাম সেদিনই আপনার পুরানো স্মৃতি আমি দেখেছিলাম। সেগুলো আমার কাছে তো ভবিষ্যৎ। তাই জারা নিলা আর মোহনা আর সেই এলিয়েনের মেয়েটা যখন আপনার পাশে আসতো তখন আমি আপনার বোনের মাঝে থাকতাম না আর। আমি তখন একটু নিশ্চিন্ত হতাম যে আপনি তখন আর বিপদে নাই। তবে সব সময়ই আমি আপনার পাশেই থাকতাম।(হৃদিতা)
.
--এতো কিছু যদি এখন আমাকে বলো।(আমি)
.
--আরো অনেক কিছুই জানার আছে। এখন আপাতোতো আর জানতে হবে না। চলুন আপনার এই রাজ্যটাকে দেখবেন এবার।(হৃদিতা)
.....
।।।।
আমি আর কথা বল্লাম না। কারন বাকি জিনিস আর শোনার ইচ্ছা নাই। আমি এখন বুঝতে পারছি সব রহস্য। আমাকে কিছুই করতে হয় নাই সব তো হৃদিতাই করেছে। পুরো ঘটনাটাকে সে এমন ভাবে সাজিয়েছে যে কিছুই বলার নাই এখানে আমার। আমি যেসব জিনিস বিশ্বাস করতাম বা পুরো জলপুরী যেসব বিষয় বিশ্বাস করতো তার পুরোটাই হৃদিতার সাজানো ছিলো। অবশ্য সেখানের ৭০ ভাগই সত্য ছিলো। কিন্তু বাকি টুকু ও নিজের মতো সাজিয়েছে। যা করেছে ভালোই করেছে। কারন ও আমার অতীত দেখেই করেছে এসব। বিষয়টা একটু প্যাচের। বাট যারা বোঝার তারা বুঝতে পারবে।
আমি হৃদিতার সাথে বেলকনিতে বের হলাম। অনেক সুন্দর একটা বেলকনি। দেখলেই বেলকনির প্রেমে পরে যেতে মন চাইবে। অনেকে বলবে বেলকনির প্রেমে আবার কিভাবে পরে? সেটা আমি জানি না তবে বেলকনিটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে তাকালাম আশেপাশের দিকে। অনেক বিশাল একটা রাজ্য। তবে এটা কোথায় অবস্থিত রয়েছে সেটা আমি বলতে পারতেছি না। আচ্ছা হৃদিতা তো চাদে যাওয়ার কথা বলেছিলো। এই জায়গাটা আবার চাদের মধ্যে নয়তো। কি জানি মেয়েটা তো এটাও সম্ভব করে দিতে পারবে। কিন্তু বলতে হবে এটার মতো উন্নত জায়গা আমি আগে কখনো দেখি নি। দেখে মনে হচ্ছে আমি ২৫০০ সালের পরে চলে আসছি। এতো উন্নত কিভাবে হলো সেটাও তো জানার দরকার। আচ্ছা সব জানতে পারবো আস্তে আস্তে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
(((চলবে)))
।।
।।।
।।।।
।।।।।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.