#সিজন_3#
পার্টঃ০৪
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি হৃদিতাকে জরিয়ে ধরতে চাইলাম। কিন্তু ও বাধা দিলো। তাই আমি ওর দিকে তাকালাম। একটা চুমু দিতে চাইছিলাম। কিন্তু না দিয়ে ওর দিকে তাকালাম আমি।
.
--আমাকে এভাবে পাবেন না আপনি।(হৃদিতা)
.
--মানে?(আমি)
.
--আমাকে স্পর্শ করতে পারলেও আমার শরীরের উপরে অধিকার করতে পারবেন না আপনি। তখনি পাবেন যখন আমি অন্য কারো শরীরে ঢুকে আপনার সামনে আসবো।(হৃদিতা)
.
--এটা কেমন কথা। তাতে তো আমি তোমার শরীর পাবো না। পাবো অন্য কারো শরীর। আচ্ছা থাক এসব। এসব ছাড়াই বেশ আছি। অন্তত তোমার হাত ধরে তো আমি সারারাত কাটাতে পাবো।(আমি)
.
--হুমমম।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
আমি হৃদিতার কোলে মাথা দিলাম। কিছু না পাওয়ার থেকে এটা অনেক পাওয়া। আমি ওর হাত ধরে ওর কোলে শুয়ে ছিলাম। মনটা অনেক শান্ত হয়ে গেলো। মনে হচ্ছিলো নিজের মায়ের কোলে শুয়ে আছি আমি। অন্তত এখানে কেউ আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না এমন আশা করা যায়। হৃদিতা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো। আমি ওর কোলে মাথা রেখেই শুয়ে রইলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম নিজেও জানি না। আসলেই ওর হাতে জাদু আছে। মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে পরলাম আমি। যাদের ঘুম হয় না তাদের জন্য ভালো একটা ঔষদ। সব পরীদের কাছেই এই ক্ষমতা থাকে। আর হৃদিতা তো পরীর সাথে এখন একজন অশরীরি। ও কি কি করতে পারবে তার কোনো ঠিক আছে। তবে এখনো মনে হয় ওর পুরো শক্তি ও বুঝে উঠতে পারে নি। এখনো তো ২০০০ বছর পরে আছে। ততদিনে ও পুরো জেনে যাবে। কিন্তু আমি নিজেই তো আমার কোনো ক্ষমতার পুরো ব্যবহার করতে পারতেছি না। আমাকে পাতালপুরীতে গিয়ে প্রশিক্ষন করতে হবে অনেক। কারন সেটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমি প্রশিক্ষন করলে আমার এতো ক্ষমতার সম্পর্কে কেউই জানতে পারবে না।
।
কেরেলার কথা তো আমি শুনেছিলাম। সামনে আমার উপরে আরো বড় একটা বিপদ আসবে। হয়তো সেটা খুবই ভয়ানক হবে। অনেক কিছুর বিশর্জনও দিতে হতে পারে আমাকে। তবে এখন আপাতোতো আমাকে আমার সব ক্ষমতাগুলোকে আমার নিজের আয়ত্বে আনতে হবে। কি কি করতে পারি সব আমাকে জানতে হবে। সব গুলো যুদ্ধের সময় ব্যবহার যোগ্য করতে হবে। এটা করার জন্য পাতালপুরীই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা যেখানে কেউ থাকে না। এর জন্যই তো আমি সব রাজ্য ছেড়ে জলপুরীতে যেতে চাচ্ছি। কারন সেখানে থাকলেই আমার পাতালপুরীতে যাতায়াতে সহজ হবে। আর সব কিছু রহস্য শুধু জলপুরীর মানব আর পরী গুলোই জানবে। এতে করে আমার নতুন আমির সহজ হবে। এখন বুঝতে পেরেছি আমার ভবিষ্যতের আমি কেনো আমার জন্য এতো কিছু করেছে। যাতে আমার এখানের থাকাটা একটু সহজ হয়। এই এক জিনিসই তো বার বার ঘঠবে। এটাই তো টাইম ট্রাভেল। বিষয়টা একটু প্যাচানো তবে যারা টাইম রিলেটেড কোনো আর্টিকেল পড়েছে তাদের জন্য এটা ক্লিয়ার। আমি তো বুঝতে পেরেছি আমাকে কি করতে হবে।
।
তবে একটা প্যাচ আমার কাছে আছে। সেটা হলো এলিয়েন গুলোর কাছ থেকে নাহয় টাইমমেশিনটা নিলাম। কিন্তু সেটা দিয়ে যদি আমি ভবিষ্যতে ফিরে যায় তাহলে আমি আমার পুরানো আমি যে আমার লেখা বই রাখা টাইমমেশিনে করে আবার এই পুরানো সময়ে আসবে সে তো টাইমমেশিন পাবে না। তাকে টাইমমেশিন দিতে হলে আমাকে তার সময়ে গিয়ে টাইমমেশিন রেখে আসতে হবে। সেটা করলে তো আমি তার সময়ে পুরো আটকে যাবো। কারন সে টাইমমেশিন নিয়ে এই সময়ে চলে আসলে তো আমার আর তার সময় থেকে এই টাইম মেশিন ছাড়াই ফিরে আসা হবে না।
।
আমি চিরদিনের জন্য আটকে থাকবো তার সময়ে। হ্যা বুঝতে পেরেছি তার সময়ে তো তখন সে থাকবে না। মানে আমি থাকবো না আমার সময়ে তখন। আর যেদিন আমি এখানে চলে আসছি আমাকে তার আগেই সেখানে যেতে হবে। জানি না এটা সম্ভব হবে কিনা। তবে চেষ্টা করে দেখা ভালো। কিংবা অন্য কিছু চেষ্টা করাও যায়।
।
পরের দিন আমি সকালে উঠলাম ঘুম থেকে। হৃদিতার কোলে এখন আর আমার মাথা নেই। সে আবার অশরীরি হয়ে গেছে। ও সেই অবস্থাতেই বসে আছে কিন্তু আমার মাথা পরে আছে বিছানার উপরে। হৃদিতা শুধু আমার দিকে তাকিয়েই আছে। মনে হয় সারারাত তাকিয়ে ছিলো। কিন্তু আমি তো ঘুমে পাগল ছিলাম। মেয়েটার সাথে একটু গল্প ও করতে পারলাম না। আমি যখন ওর দিকে তাকালাম অনেকটা লজ্জা পেলো ও। চোখে চোখ পরতেই ওর মুখ লাল হয়ে গেলো। লজ্জা পেয়েছে কারন হা করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
.
--আচ্ছা হৃদিতা একটা কথা বলো তো।(আমি)
.
--হুমমম জিজ্ঞাসা করেন?(হৃদিতা)
.
--আচ্ছা এই জাদু দিয়ে গিয়ে নিজে সময়ের যাত্রা করতে পারবো?(আমি)
.
--আপনি যখনি বলেছিলেন আপনি এসেছেন আরো সামনের সময় থেকে হয়তো এটা অন্য কেউ শুনলে বিশ্বাস করতো না। কিন্তু আমি প্রথম শুনেই বিশ্বাস করেছি। কারন এমন একটা স্পেল আছে যেটা দিয়ে আপনি সময়ের যাত্রা করতে পারবেন।(হৃদিতা)
.
--সত্যি।(আমি)
.
--হ্যা। কিন্তু এটা অনেক দামী একটা স্পেল ছিলো। এবং আমি শুনেছি এটা শুধু জাদুকর জিম্বাই করতে পারতেন। তার এই ক্ষমতা নেওয়ার জন্য কেরেলা তার উপরে হামলা করেন। আর কেরেলার হাত থেকে এই স্পেলটা রক্ষা করতেই নিজের সাথে দাফন করে দেন জিম্বা তার ক্ষমতাকে।(হৃদিতা)
.
--কোথায় দাফন করেছে সেটা জানো?(আমি)
.
--আমি ছোট থেকেই এই জাদুর ইতিহাস নিয়ে পড়তে পছন্দ করতাম। কারন হিগমার কিছু শক্তি দিয়েছিলো আমাকে। আমাকে ব্যবহার করার জন্যই দিয়েছিলো ও। আমি সব জাদুর রহস্য বের করতাম সব বই পড়ে। আমার বাবা রাজা হওয়ায় এসব বই অনেক কষ্টে জোগাড় করতে পারতেন আমার জন্য। আর আমি যেসব রহস্য বের করতাম জানি না কিভাবে হিগমা সেগুলো জানতে পারতো। হয়তো ওরই চাল ছিলো এটা। আমার থেকে সব জানার একটা ছোট উপহার হিসাবে ও ওর কিছুটা ক্ষমতা আমাকে দিয়ে দেই।(হৃদিতা)
.
--ওওওও। তাহলে সময়ের যাত্রার স্পেলটা অজানাই আছে এখনো?(আমি)
.
--হ্যা। অনেক চেষ্টা করেছি আমি। সব জাদুকররাই। তাদের শক্তি তাদের বংশধরদেরকে দেওয়ার জন্য একদম অন্যরকম কয়েকটা স্পেল ব্যবহার করেছে যেগুলোতে যদি তাদের বংশধর ছাড়া অন্য কেউ সেটা ব্যবহার করে তাহলে সেই শক্তি তাদের মেরে ফেলবে। আর কোনো একটা জাদুর ক্ষমতা যদি কেউ পেয়ে যায় তাহলে সব গুলোই তার আয়ত্বে চলে যাবে।(হৃদিতা)
.
--তুমি তো অনেক কিছুই জানো। আগে তোমার কাছে থেকেই তো এসব শুনে নেওয়ার দরকার ছিলো।(আমি)
.
--হুমমম। আমি হতাশ হবেন না। জাদুকর জিদানের একটা ক্ষমতা ছিলো সেটাই সে সব জাদুকর দের থেকে বেশী বেচে ছিলো।(হৃদিতা)
.
--জিদান টা কে?(আমি)
.
--এই লাল জাদু দেখতেছেন যেটা আমার মাঝে ছিলো হিগমার কাছে ছিলো। সেই ক্ষমতাটা জিদানের।(হৃদিতা)
.
--সেটা কি ক্ষমতা যেটার সাহায্যে সে বেশী বেচে ছিলো?(আমি)
.
--সে একটা স্পেল খুজেছিলো। সে সময়কে আটকে রাখতে পারতো। তার ইচ্ছে মতো সময়কে সে আটকে রাখতো।(হৃদিতা)
.
--কি তোমার মানে টাইম ব্লোক। O My God.(আমি)
.
--হুমমম।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
যাক আমি এবার মনে হয় পাগল হয়ে যাবো। সময়কে আটকে রাখার ক্ষমতাও আমার কাছে আছে তাহলে।
.
--আপনার মাঝে তো এখন জিদানের ক্ষমতা আছে আপনি চাইলে সেই স্পেলটা বয়বহার করে সময় আটকে রাখতে পারবেন।(হৃদিতা)
.
--হ্যা কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করবে। স্পেল তো আমি জানি না।(আমি)
.
--আপনার কতো ক্ষমতা আছে সেটা আপনি নিজেও জানেন না। আস্তে আস্তে আপনাকে আমার জানা সব গুলো স্পেল বলে দিবো। কিন্তু এই বেশী ক্ষমতাধর স্পেল গুলো আমার অজানা। এগুলো আপনি নিজেই বের করতে পারবেন। কিন্তু সেটার জন্য আপনাকে সেগুলোর যোগ্য হতে হবে।(হৃদিতা)
.
--আচ্ছা সব আস্তে আস্তে হবে। এখনো মনে হয় ভালোই সময় আছে আমাদের হাতে। জানি না সেই এলিয়েন গুলো কবে আসবে। এখন একটা স্পেশশীপ থাকলে নিজেই ওদের ঔখানে গিয়ে টাইমমেশিন নিয়ে আসতাম। (আমি)
.
--স্পেশশীপ কি?(হৃদিতা)
.
--এমন একটা গাড়ি যেটা দিয়ে যে চাদ দেখো না ঔটাই যাওয়া যায়। যেটা এখনো পৃথিবীতে তৈরী হয় নি। সেটার জন্য তোমাকে আরো ১৯০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।(আমি)
.
--হুমমম। সেটা দেখার অনেক ইচ্ছা আমার।(হৃদিতা)
.
--তুমি তো অশরীরি চাদে উড়ে চলে যাও।(আমি)
.
--চেষ্টা করেছিলাম কালকে রাতে। কিন্তু মেঘের হালকা উপরে যাওয়ার পর আর যেতে পারি না।(হৃদিতা)
.
--ওওও।(আমি)
.
--আচ্ছা সমস্যা নাই একদিন ঘরে বসেই দেখতে পারবে চাদকে। তখন আর সেখানে কষ্ট করে যেতে হবে না।(আমি)
.
--হুমমম।(হৃদিতা)
।।।।।
।।।।।
আজকে আমাদের জলপুরীতে যেতে হবে আমি সিগমাকে বলে দিয়েছি ওকে কি করতে হবে। পুরো পৃথিবীর মানুষ যেনো হারকিউমাসের নাম ভুলে যায়। এখন আর রাজাদের নামও হারকিউমাস হবে না কারন সেই রাজ্য এখনো পানির নিছে। আমি সেখানের পানি এখনো সরিয়ে দি নি। এই রাজ্যের সব মানুষকেই মেরে দিয়েছিলো হিগমা আর আকাশপুরীর সেনারা। তাই এই রাজ্যকে আর জিন্দা করলাম না। জানি না সিগমা আমার সব কথা রাখতে পারবে কিনা। তবে এটা জানি সবাই হারকিউমাসকে ভুলে যাবে। সবাই ভুলে যাবে একসময় আমাদের পৃথিবীতে একজন অত্যন্ত ক্ষমতাধর লোক ছিলো। সবাই ভুলে যাবে আমাকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সিগমা কি আমার নতুন সেনা বানিয়ে দিতে পারবে? সেটা তো আমি আমার সময়ে যাওয়ার পরেই দেখতে পারবো। দেখা যাক কি হয়।
।
আমরা জলপুরীতে চলে আসলাম। জলপুরীর কাউকেই হত্যা করে নি আকাশপুরীর সেনারা। তারা সবাইকে শুধু আটক করেছিলো তারা। তাদের সবাই কে নিয়ে আমি জলের কাছে চলে আসলাম। আসার সময় সিগমা আর হৃনিতাকে কিছু উদ্দেশ্যমূলক কথা বলে এসেছিলাম। আমাদের প্রয়োজনীয় সব জিনিস আমরা সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম। খাবারের সাথে সাথে নতুন রাজ্য তৈরী করতে যা যে দরকার পরবে। সব কিছু ঘোড়ার গাড়িতে সাগরের ধারে নামিয়ে দিলো। আমি তাকিয়ে রইলাম সেগুলোর দিকে।
।
এগুলো নিতে নিতে তো দম বেরিয়ে যাবে।
.
--মহারাজ এগুলো আমরা কি হাতে করে বহন করবো?(হ্যারি)
.
--দেখি কি করা যায়।(আমি)
।।।
।।।
অনেক জিনিস। হাতে করে নিলেও ৫০ দিনের মধ্যে শেষ হবে না। কারন সেখানে কাঠ আছে অনেক। এই কাঠগুলো পানির মধ্যে নস্ট হয় না। খাবারের প্রয়োজন ছিলো না। কারন অনেক মাছ আছে পানিতে আর পানিতে খাওয়া তো আমার সমস্যা হয় না। ওদের মতোই আমি খেতে পারি। হৃদিতা আমার দিকে তাকালো আমাকে জাদুর ব্যবহার করতে বললো। আমিও ওর দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম।।
।
নিজের হাত বারালাম। দেখা যাক হারকিউমাস টিটান কি করতে পারে। হাত দিয়ে কিছুটা ছায়ার মতো বের হলো। সেগুলো আমি সব জিনিসের মধ্যে ফেলে দিলাম। সাথে সাথেই সব হাওয়ায় উড়তে লাগলো। আমি তাদের আদেশ করলাম জলপুরীতে চলে যাওয়ার জন্য। সাথে সাথেই তারা আদেশ মান্য করে উড়ে পানিতে গিয়ে পরলো। তারা জলপুরীতে যেতে লাগলো। আমার এমন ক্ষমতা থাকবে সেটা তো বুঝতেই পারি নি। তাহলে তো সিজন ১ যখন আমি সেই দরজার কাছে গেলাম। সেটাও আমার জাদু দিয়ে বানানো। মানে আমার কাছে কোনো জিনিসের মধ্যে জীবন দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এতো ক্ষমতার কথা ভাবলেই তো স্টোক করতে মন চাচ্ছে। ভাবা যায় আমি জড়বস্তুর মধ্যে জীবনও দিতে পারবো। আচ্ছা সেসব না হয় পরে ভাবা যাবে। প্রথমে তো জলপুরী সুন্দর করে সাজাতে হবে। এখন বুঝলাম আগেকার জলপুরীর সব আশ্চর্যকর প্রানী কিভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমার আক্রমনে সবাই মারা গেছে শুধু কিছু জল মানব আর জলপরী যারা। বাকি কিছু বেচে ছিলো। কিন্তু তারা তো জল মানব বা জল পরীদের মতো মাটির উপরে উঠতে পারে না। তাই তারা হিগমা কিংবা আকাশপুরীর সেনাদের হাতে মারা গিয়েছে।
।
আমরা সবাই জলপুরীতে চলে আসলাম। অনেক কিছু করার আছে। কিন্তু কাউকে দিয়ে কিছুই করতে হবে না। দেখা যাক আমার শক্তি কতদূর। আমি কি রাজ্য নতুন করে বানাতে পারবো। আমি চোখ বন্ধ করলাম। দু হাত বারিয়ে দিলাম দুদিকে। আমি এখন জলের সব কিছু অনুভব করতে ছিলাম। আমার আশেপাশের থাকা পাথর গুলোকেও আমি চোখ বন্ধ করে দেখতে পাচ্ছিলাম। পূর্বের জলপুরী সুন্দর করে পাথর দিয়ে বানানো ছিলো। রাজ প্রাসাদটা হয়তো মার্বেল পাথরের ছিলো। সেই মূল্যবান পাথরের প্রাসাদ সহ আমি সব ধ্বংস করে দিয়েছি। এখন সব তো আমাকেই ঠিক করতে হবে। আর নিজের কাছে এতো ক্ষমতা থাকার পর কি এখন অন্য কাউকে দিয়ে কিছু করাতে পারি। এমনিতেও আমার বউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে্ তারপরে আবার রাজার হ্যারিকাসের মেয়েটাও সেখানে আছে। তাই তো একটু সো অফ করতেই হবে। আমি আশে পাশের সব পাথর,কাঠ এবং যা যা আরো প্রয়োজন হয় সব গুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে লাগলাম। সেগুলোকে নিজের ইচ্ছা মতো আমি নারাচ্ছিলাম। সেগুলো উড়ছিলো আমার কথা মতোই। এক এক পাথর রাখছিলাম। আর উপরে কাঠ মেরে দিচ্ছিলাম। দেওয়াল বানালাম পাথরের আর ছাদ হলো কাঠের। আপাতোতো থাকার জন্য সবার একটা ঘর তো হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে ঘরটা বানালাম সেটা হলো রাজপ্রাসাদ। সেখানেই আমরা থাকবো। আমরা বলতে আমি আর হৃদিতা। সবার কাছে তো আমি একাই। কিন্তু শুধু তো আমিই জানি আমার কাছে একজন অশরীরি আছে। যে কিনা পানির মধ্যেও অদৃশ্য।
।
।
.
--মহারাজ এটাই আপাতোতো আমাদের থাকার জন্য ভালো হয়েছে। এখন আমরা আস্তে আস্তে এটা থেকেই আমাদের রাজ্যের সমৃদ্ধি করতে পারবো।(হ্যারি)
.
--হুমমম। এখন থেকে এটাই আমাদের জলপুরী।(আমি)
.
--জ্বী মহারাজ।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
হ্যারির মাথায় কি প্রশ্ন সেটা আমি ঠিকই জানি। আমার এতো বড় বড় রাজ্য থাকতেও আমি এই কিছু মানুষের সাথে এই ছোট রাজ্যে রাজ করতে আসলাম কেনো? অবশ্য এটা যে শুনবে সবারই প্রশ্ন জাগবে। কিন্তু এটার উত্তর আমি আগেই দিয়েছি। তাই এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। সবাইকে সবার ঘর দেখিয়ে দিলাম আমি। কেউ যাতে ঝগড়া না করে তাই আমিই সবার ঘর ঠিক করে দিলাম। তারপর আমি নিজেও আমার নিজের প্রাসাদে ঢুকলাম। অনেক সুন্দর করে বানিয়েছি সেটার প্রশংসা তো করতেই হবে।
.
--বাবা আপনি তো খুব সুন্দর ঘর বানাতে পারেন।(মুচকি হেসে বললো হৃদিতা)
.
--এটা ঘর না। এটা আমাদের প্রাসাদ।(আমি)
.
--আসছে এটাকে প্রাসাদ বানানোর জন্য। এটাকে কোন দিক দিয়ে প্রাসাদ মনে হয়?(হৃদিতা)
.
--তুমি তো আছোই দেখতে পাবে এই জলপুরীর প্রাসাদটা আমার সময়ে কত সুন্দর হয়।(আমি)
.
--ওওওও।(হৃদিতা)
.
--হুমমম।(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।