#সিজন_৪#
পার্টঃ০৯
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি তো পুরো হতবাক। এরা সবাই কি বলছে কিছুই আমার মাথায় যাচ্ছে না। একটু আগে সুচিরানের কার্যে আমি 3d ইমেজে যা দেখলাম তা আমার কাছে একটা মুভির মতো মনে হচ্ছিলো। আমার তো কিছুতেই এসব জিনিসে বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশ্বাস হবেই বা কি করে হঠাৎ করে কেউ এসে যদি বলি তোমার নাম হৃদয় না বরং হারকিউমাস। তাহলে কে সেটা মেনে নিবে? আমার তো সেই লেভেলের রাগ হচ্ছে। কিন্তু নিজের রাগকে আমি কন্ট্রোলে রাখলাম। কারন এখানে অনেকগুলো নিন্জা আছে। তাদের হাতে ধারালো তলোয়ার। আমি কিছু বললেই হয়তো আমার গলা যাবে। তখনি সেখানে আশ্চর্যজনক ভাবে একটা মেয়ে চলে আসলো। যেটা আক্রমন করে দিলো সুচিরান আর সুচিরানের নিন্জাদের উপরে। মেয়েটাকে আমি ঠিক করে দেখতে পারলেও বাকি কেউ দেখতে পারছে না তাদের। মেয়েটার কাছে স্পেশাল কিছু ক্ষমতা আছে। সেগুলো দিয়ে নিন্জাগুলোকে খুব সহজেই সে হারিয়ে ফেলে। কিন্তু সুচিরান সেই সুযোগে ইয়োগা করতে বসে পরে। এবং সে হয়তো কিছু একটা করে মেয়েটাকে। যার জন্য মেয়েটা থেমে যায়। আর হাতে নিন্জাদের থেকে একটা তলোয়ার নিয়ে আমাকে বেধে রাখা শক্ত শিকল কেটে দেই। আমি নিচে পরে যেতে লাগছিলাম কিন্তু ও আমাকে ধরে ফেলে। পরলে হয়তো আমার মাথা ফেটে যেতো। আমি এবার ভালো করে লক্ষ করলাম মেয়েটা তো হৃদি। মানে আমার বোন। কিন্তু ও এখানে কি করছে। আর ও তো বাসায় আছে। জাপানে আসলো কখন? আর এভাবে মারামারিই করছে কিভাবে? হঠাৎ একটা মৃত লাশের মতো শরীর উড়ে আসলো। সেটাও দেখতে হৃদির মতোই। আমি অবাক হয়ে আছি। কিছুই বুঝতে পারছি না। তখন হৃদির শরীরও ঔ মৃত শরীরে ঢুকে যায়। এমন মনে হলো হৃদি একটা আত্মা। কিংবা অন্য কিছু। যাকে শুধু আমিই দেখলাম। কিন্তু এর কেউ দেখলো না। তখন হৃদির মতো মেয়েটা বলতে শুরু করলো।
.
--তোমাদের সাহস হলো কি করে রাজা হৃদয় টিটানকে এভাবে বন্ধী করে রাখার?(হৃদির মতো দেখতে মেয়েটা))
.
--আমরা তো শুধু জিনিস ঠিক করতে চেয়েছিলাম। এবং এটাও বের করতে ছিলাম যে কি এমন হয়েছে যার কারনে সব কিছু হচ্ছে।(জেরোন)
.
--কি বের করলে।(হৃদির মতো মেয়ে)
।।।।
।।।।
সুচিরান এতোক্ষন ইয়োগা করতেই ছিলো৷ এবার সে হৃদির মতো দেখতে মেয়েকেও দেখাতে লাগলো সব কিছু। আমার মতো মনে হলো না তাকে। কারন সে সব দেখতেই বিশ্বাস করে নিলো। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। কিভাবেই করবো এদের কাছে আছে সুপার পাওয়ার আর আমার কাছে তেমন কোনো কিছুই নাই। আমি একজন সাধারন মানুষ। আর এসব কিছুই স্বপ্ন। এমন স্বপ্ন যেটা খুবই ভয়ানক।
.
--তোমাদের সাথে আমিও যাবো।(হৃদির মতো দেখতে মেয়েটা)
.
--ঠিক আছে।(সুচি ইয়োগা বাদ দিয়ে এখন বলে উঠলো)
।।।।
।।।।
হৃদির মতো মেয়েটা আমার কাছে আসলো।
.
--ঠিক আছো তুমি?(হৃদির মতো দেখতে মেয়েটা)
.
--হ্যা কিন্তু তুমি কে? দেখতে ঠিক আমার বোনের মতো দেখতে তুমি?(আমি)
.
--আমার নাম হৃদিতা। তোমার স্ত্রী আমি।(হৃদিতা)
.
--কি।।।। তোমরা এক একজন যা বলছো তাতে আমার মাথা ঘুরে যাচ্ছে।(আমি)
.
--তুমি তোমার অতীতকে ভুলে গেছো। তাই এমন মনে হচ্ছে।(হৃদি)
.
--আমি আমার অতীতকে ভুলি নাই। আমার অতীত আমার ঠিকই মনে আছে। তোমরা সবাই ভুল করছো। আমার বোনের মতো চেহারার যদি তুমিও হতে পারো তাহলে আমার মতো দেখতে আরো লোক আছে। তোমরা হয়তো তাদের কাউকে খুজতেছো।(আমি)
.
--উহু।।। তোমাকেই আমি খুজতেছিলাম।(হৃদিতা)
.
--আমি এসবের কিছুই বুঝতে পারতেছি না। আমাকে ছেড়ে দাও তোমরা।(আমি)
.
--হারকিউমাস যে সব ক্ষমতা পাওয়ার প্রথমে এমন ছিলো সেটা ভাবতেই কেমন লাগছে।(সুচিরান)
.
--আমাদের দেরী করা চলবে না। কেরেলার সেনারা আমাদের খুজে বের করে ফেলবে এখানে বেশীক্ষন থাকলে।(জেরোন)
.
--হুমমম টাইম ট্রেনে যেতে হবে আমাদের শীঘ্রই।(সুচিরান)
।।।।
।।।।
এরপর তাদের সাথে আমি হাটতে লাগলাম। নিন্জা গুলো যেখানে ছিলো সেখানেই আছে বেশীরভাগেরই অবস্থা টাইট করে দিয়েছে হৃদিতা। আবারো স্টেশনের দিকে যেতে লাগলাম আমরা। তাদের কথা মতো আমি যে ট্রেন দিয়ে এসেছি সেটা একটা টাইম ট্রেন। সেটার সাহায্যে সময়ের আগে পিছে ভ্রমন করা যায়। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম শুনে। এমন কিছু পৃথিবীতে আছে সেটা আমি প্রথম শুনলাম। যত তাদের কথা শুনছি আমি ততই অবাক হচ্ছি। অবাক না হওয়ারই বা কি আছে। সাধারন মানুষের জীবনে হঠাৎ করে এসব ঘঠলে কে বা বিশ্বাস করবে।
.
--আমি যতটুকু ভেবেছিলাম ওর অবস্থা তার থেকে খারাপ।(হৃদিতা জেরোনের উদ্দেশ্যে বললো)
.
--আমাদের অবস্থা আরো খারাপ। যেখানে যাচ্ছি সেখানে কেরেলার মেয়ে মিয়ারা রয়েছে। ওর কোনো রকম সন্দেহ হলেই আমাদের জীবন যাবে।(জেরোন)
.
--সেটা নিয়ে তোমাদের ভয়। আমি তো মৃতই আমাকে আবার কে মারবে?(হৃদিতা)
.
--কিন্তু বড় বিপদ কিন্তু হারকিউমাসের উপরে আসতে পারে।(জেরোন)
.
--আমার তো সেই সময়ে যেতেই ভয় করছে। কারন মিয়ারা আমাকে মেরে ফেলেছে সে সময়ে। আমার তো অস্তিত্বই হারিয়ে যেতো যদি না মিয়ারা রিয়েলিটি স্পেল ব্যবহার করতো।(সুচি)
.
--তোমার ভাগ্য ভালো বলতেই হবে। আর মিয়ারা মনে হয় রিয়েলিটি স্পেলের ব্যাপারে অজ্ঞ। সে হয়তো জানে না সময়ের স্পেল আর রিয়েলিটির স্পেল একসাথে ব্যবহার করলে যে সময়ে সে যাবে সে সময়ের পুরো টাইমলাইন সে বর্তমান থেকে আলাদা করে দিবে। মানে সে অতীতে গিয়ে সে যা করবে সেটার জন্য আমাদের বর্তমানের কোনো পরিবর্তন হবে না। বরং সে অতীতের জন্য নতুন একটা বর্তমান তৈরী হবে যেটা আমাদের বর্তমান থেকে অনেক আলাদা হবে।(হৃদিতা)
.
--তুমি এতো কিছু কিভাবে জানো?(জেরোন)
.
--আমি ছোট থেকেই এসব জাদুর স্পেল নিয়ে পড়াশুনা করেছি। আর হয়তো জানলে অবাক হয়ে আমি কয়েকহাজার বছর ধরে এসব বিষয়ে অনেক কিছু শিখেছে।(হৃদিতা)
.
--তাহলে হারকিউমাসকে সাধারন করবো কিভাবে এখন?(সুচি)
.
--সে তো সাধারনই আছে। শুধু তাকে আবার অস্বাভাবিক করতে হবে আবার। এখন কার সময়ে রিয়েলিটির স্পেল জানতো যারা সবাইকেই মিয়ারা মেরে তাদের ক্ষমতা নিজের করে নিয়েছে। তোমাদের প্লান অনুযায়ীই এখন কাজ করতে হবে। আমাদের অতীতে যেতে হবে এবং সে সময়ের একজন রিয়েলিটি স্পেল জানে এমন কাউকে খুজে বের করতে হবে।(হৃদিতা)
.
--আমরা তো অন্য প্লান করছিলাম।(সুচি)
.
--তোমরা যে প্লানই করো না কেনো কেরেলাকে কোনো ভাবেই আটকাতে পারবে না। কারন কেরেলা সব কিছু ধ্বংস করে দিবে। আর আমাদের যদি এসব কাটকাতে হয় প্রথমে আমাদের হৃদয়কে আগের সব মনে করাতে হবে। কারন ব্লাক ম্যাজিকের অনেক কিছু আছে যেগুলো শুধু ও জানে। আর সময়ের স্পেল গুলো সম্পর্কে ওর জ্ঞান সবচেয়ে বেশী। আর সময়ের স্পেল আমাদের কাছে না থাকলেও তোমাদের টাইম ট্রেন আমাদের কাজে দিবে।(হৃদিতা)
।।।।
।।।।
আমি হা করে ওদের কথা শুনছিলাম। কোনো কিছুই বুঝতে ছিলাম না। হঠাৎ হৃদিতা আমার দিকে তাকালো আর আমি বেহুস হয়ে গেলাম। ব্যাপারটা বোঝার আগেই দেখলাম আমি যে ট্রেনে ছিলাম সেখানেই শুয়ে আছি। আমার ফোনটা আমার পাশেই পরে আছে। সেটার কিছুই হয় নাই। আমি আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম সব কিছুই স্বাভাবিক। ট্রেনের ভিতরে একজন যাত্রী আছে আমার সামনেই বসা উনি বললেন আমি এভাবেই ঘুমিয়ে তিন স্টেশন পার করে আবার আগের স্টেশনে এসেছি। এখন সব কিছু মাথায় ঢুকলো। আসলেই আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম সব কিছু। হৃদিতা, সুচিরান সব কিছুই স্বপ্ন ছিলো মাত্র। আমি হাটার চেষ্টা করলাম কিন্তু পায়ে ব্যথা লাগছিলো কিছুটা। মনে হলো হয়তো ট্রেনে কোনো জিনিসের সাথে আমি বারি খেয়েছিলাম। ঔদিকে নজর না দিয়ে আমি ট্রেন থেকে বের হলাম। স্টেশনের ভিতরে ভীর না থাকলেও আগের মতো একদম জনশূন্য না। আমি বাইরে বেরিয়ে সব কিছু স্বাভাবিকই দেখলাম। কোনো ধ্বংস ট্বংস কিছুই নেই বাইরে। তারপরও আমি একটু সাবধানে যেতে লাগলাম। বাম পাশে যখন আমি হোটেল দ্যা শিয়ানকে ঠিকঠাক দেখলাম তখন আমি আগে ঘঠে যাওয়া সব জিনিসকেই স্বপ্ন মেনে নিলাম। সামনে আগাতে লাগলাম। আমি হোটেলে আমাদের বুক করা রুমের মধ্যে চলে আসলাম। জিসান ভাই তো এখনো ঘুমাচ্ছে। মোবাইলের সময়টা চেক করলাম। আমার হোটেল থেকে বের হতে এবং হোটেলে ঢোকার মধ্যে পুরো ৩ ঘন্টার পার্থক্য। মানে বেশীক্ষন ঘুমাই নি আমি। কেউ যদি শুনে আমি প্রথম ট্রেনে উঠে বেহুস হয়ে গেছিলাম তাহলে হাসতে হাসতে মরে যাবে। আমি সোফায় বসে পরলাম। এখানে আসার পরই একবার ফোন দিয়েছিলাম বাসায়। সেই সুবাধে আমার নাম্বারটা তাদের কাছে আছে। তো মোবাইলে বাসার নাম্বার থেকে ফোন আসলো। মূলত তখন হৃদিকে ফোন করেছিলাম। তাই হৃদির নাম্বার থেকে ফোন আসলো।
.
--হ্যা হৃদি বল।(আমি)
.
--আমি জারা।(জারা মিষ্টি কন্ঠে বললো)
.
--ও জারা। কেমন আছো?(আমি)
.
--ঔখানে গিয়ে তো ভুলেই গেছো আমাকে।(জারা)
.
--সেটা কি করে হয়? তোমাকে কি ভুলে থাকা যায় বলো? আর তুমি বাসায় যাও নি?(আমি)
.
--উহু।।। তোমরা কেউ নাই হৃদি একা বাসায় থাকে। ওকে সময় দেওয়ার জন্য আমি এখানেই আছি।(জারা)
.
--ওওওও।(আমি)
.
--কেমন কাটছে ঔখানে? কোনো সমস্যা হচ্ছে?(জারা)
.
--সমস্যা বলতে কিছুই না। তবে ডক্টর সুচিরান আমাদেরকে এক্সিবেশনের জন্য এনেছিলেন কিন্তু তার মৃত্য হয়ে গেছে কিভাবে যেনো?(আমি)
.
--ওও তাহলে কি করবে?(জারা)
.
--ফ্রিতে জাপান ঘোরার তো এটাই সুযোগ। এই সুযোগ মিস কি করা যায় বলো? আর হ্যা তুমি এখানে থাকলে অনেক মজা হতো। তোমার ভাই তো শুধু খেয়ে দেয়ে ঘুমাচ্ছে।(আমি)
.
--ঠিক আছে হানিমুনে নিয়ে যেয়ো আমাকে?(জারা)
.
--না ভাবছি হানিমুনে ফ্রান্স যাবো। ঔটা অনেক রোমান্টিক জায়গা।(আমি)
.
--আচ্ছা তোমরা তারাতারি চলে এসো।(জারা)
.
--হুমমম।(আমি)
.
--কোনো রকম সমস্যা হলে জানাবে কিন্তু।(জারা)
.
--হ্যা জানাবো।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি সোফাতেই গেম খেলতে খেলতে রাত ১০ টার দিকে ঘুমিয়ে গেলাম। উঠলাম পরের দিন ঘুম থেকে। আজকে এক্সিবেশন। জিসান ভাই আমার আগেই উঠেছে ঘুম থেকে। অনেক বড় ঘুম দিয়েছিলো সে। আমিও হয়তো বুঝতে পেরেছি। কালকে দুপুরে খাওয়াটা একটু বেশী হয়ে গিয়েছিলো তাই ট্রেনে আমি বেহুস হয়ে গিয়েছিলাম। আমার একটু রেস্ট নেওয়ার দরকার ছিলো। কারন ওমন ভয়ানক স্বপ্ন কেই বা দেখতে চাই। আমি তো আর কখনো দেখবো না। শাওয়ার নিতে চলে গেলাম আমি। কিন্তু পায়ে এখন একটু বেশী ব্যথা অনুভব করতে পারছি আমি। প্যান্টটা উচু করলাম। যেখানে ব্যথা সেখানে হালকা একটা ক্ষতের দাগ দেখতে পারলাম। মনে হচ্ছে পুরানো কোনো ক্ষত। কিন্তু সেখানে ব্যথা করছে অনেক এখন। আমি কোনো রকম শাওয়ার নিয়ে বের হলাম। জিসান ভাই আর আমি নাস্তা করে নিচের তলায় চলে আসলাম। কাউন্টারে গিয়ে শুনতে পেলাম এক্সিবেশন নাকি একদম ছাদে হবে। আবারো লিফটের সাহায্যে আমরা ছাদে উঠে গেলাম। ছাদে উঠেই অবাক হয়ে গেলাম কারন ভেবেছিলাম ছাদটা হয়তো খোলা হবে কিন্তু না উপর দিয়ে রঙিন গ্লাস দিয়ে ঢাকা। যেটা আরো সুন্দর করে রেখেছে। চারিদিক অনেক সুন্দর করে সাজানো। এবং লাইন ধরে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র দেখতে পেলাম আমি। এক সাইটে শুধু পেইন্টিং রয়েছে। অন্য সাইটগুলোতে এক এক জিনিস দিয়ে সাজানো। আমি আর জিসান ভাই প্রথমে পেইন্টিং এর সাইট গুলো ঘুরতে লাগলাম। কিন্তু কোথাও আমার বানানো পেইন্টিং পাচ্ছিলাম না। মাথা পুরো হ্যাং হয়ে যাচ্ছিলো। গেলো কোথায় আমার বানানো পেইন্টিং। তবে কি পেইন্টিং চুরি হয়ে গেছে। দূর একটা পেইন্টিং কেনো চুরি করবে। আর আমার পেইন্টিং চুরি করতে যাবে কেনো? কারন এখানে পৃথিবীর নামি দামী পেইন্টিং গুলো আছে। এখানে আছে মোনালিসার সেই রহস্যময়ী ছবি, আছে পিকাসোর আকা ঘোড়ার মাথার মতো দেখতে মানুষের ছবি। এছাড়াও নাম না জানা অনেক দামী দামী পেইন্টিং। এগুলো বাদে কেনো আমার পেইন্টিং চুরি হবে? অবশ্য সুচিরান মারা গেছে। সব তো এখন তাদের ছেলে মেয়ে দেখছে। তাদের কাছে হয়তো আমার পেইন্টিং ভালো লাগে নাই।
.
--কিরে তোর পেইন্টিং কোথায়?(জিসান)
.
--সেটাই তো বুঝতে পারতেছি না। মনে হয় আমার টা এক্সিবেশনে চান্জ পাই নাই।(আমি)
.
--থাক মন খারাপের কিছু নাই। তুই তো তোর পেইন্টিং এর দাম পেয়েছোস। আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা জাপানে ঘোরার সুযোগও পেয়েছি।(জিসান)
।।।।
।।।।
আমরা দুজনে আলাদা হয়ে সব কিছু দেখতে ছিলাম। এখানে সব ধরনের জিনিসই পাওয়া যাচ্ছে। পুরানো টাকা থেকে শুরু করে পুরানো অস্ত্রও আছে। এমনকি ডাইনাসোর এর কঙ্কালও আছে। হঠাৎ একজন মেয়ে আমার পাশে এসে বলতে লাগলো।
.
--মনে হচ্ছে তোমার পেইন্টিং এর জন্য মন খারাপ তোমার?(অপরিচিত মেয়ে)
.
--কে তুমি? আর আমার পেইন্টিং এখানে রাখা হয় নি কেনো?(আমি)
.
--আমি লরা। ডক্টর সুচিরানের মেয়ে।(লরা)
.
--ওওওও।(আমি)
.
--তোমার পেইন্টিং এখানে রাখা হয়নি কারন বাবা বলেছিলো সেটা অনেক স্পেশাল পেইন্টিং। আর সেটা অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে এক্সিবেশনের জন্য।(লরা)
.
--ওওওও। কোথায়?(আমি)
.
--চলো আমার সাথে।(লরা)
।।।।।
।।।।।
আমি লরার সাথে চলতে লাগলাম। আমার পেইন্টিং স্পেশাল সেটা শুনে একটু ভালোই লাগলো। একটু ভাব দেখিয়ে আগাতে লাগলাম। সামনে তো মেয়ে একটু ভাব তো দেখাতেই হবে। আমাকে লিফটে নিয়ে গেলো মেয়েটা। মেয়েটা একটা আঙ্গুল দিলো স্ক্যানারের উপর। তখন লিফটে থাকা বাটনের নিচে আরো বাটন চলে আসলো। যেগুলো ০ এর নিচে থেকে মাইনাস দিয়ে শুরু হয়েছে৷ মানে বুঝলাম মাটির নিচেও ভবন আছে। জাপান তো সব দিক দিয়েই উন্নত। নিচ তলার আরো চার তলা নিচে লিফট এসে থামলো। এরপর একটা রুমে আমাকে নিয়ে আসলো। রুমটাতে ঢোকার পর দেখতে পেলাম আমার সামনে একটা পাগলের মতো একটা বুড়ি বসে আছে। হাতে নিমপাতার ডালের মতো কিছু একটা। দেখে তো মনে হচ্ছে গ্রামে যারা ভূত তারিয়ে বেরাই তাদের মতো। মেয়েটা আমাকে এখানে আনলো কেনো। নাকি আমার আজগুবি ছবি আকার জন্য আমাকে ভূত তারানো লোকের ঝাড়ু পেটা খাওয়াবে। কি হবে কি জানি?
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।