#সিজন_৪#
পার্টঃ১১
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
আমি রুম টা থেকে বের হলাম। নিজের পুরানো অস্তিত্ব ফিরে পেয়ে এখন ভালোই লাগছে। এই রিয়েলিটি জিনিসটা যে কত বড় অস্ত্র সেটা আমি হারে হারে টের পাচ্ছি। এই ক্ষমতা দিয়ে পুরো দুনিয়াকে আমি আমার মন মতো করে নিতে পারবো। শুধু দরকার পরবে কিছু ব্লাক ম্যাজিকের। আমার ক্ষমতাগুলো খুব শীঘ্রই ফিরে পেতে হবে। নাহলে কেরেলা বর্তমান সময়ে অনেক কিছুই করে ফেলবে। আমি মূলত আমার সময়ের স্পেল গুলো দরকার। আর সময়ের স্পেল গুলো আমি একবার পেয়ে গেলে সব কিছু আমি সেইদিনেই শেষ করতে পারবো। সময়ের ক্ষমতাগুলো একবার পেয়ে গেলে এ সব আর কিছুই হবে না। ভাবতেও অবাক লাগে যে সময়ের স্পেল ব্যবহার করলেও অতীতকে বদলানো যায় না। সময়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে অতীতে গেলেও যদি কোনো পরিবর্তন করা হয় তাহলে সেটা বর্তমানের কোনো পরিবর্তন করবে না বরং সেই সময় থেকে আলাদা একটা বর্তমান তৈরী করবে। মানে বর্তমান তখন দুটো হবে। সময়ের এই খেলা অনেক প্যাচানো। আমাদেরকে যদি অতীত পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আমাদেরকে টাইম মেশিন ব্যবহার করতে হবে। শুধু টাইম মেশিনেই অতীতে গেলে সেই অতীত চেন্জ করা যায়। যেমনটা আমি করেছিলাম এর আগে। অতীতে গিয়ে নিজের একটা পরিচয় বানিয়ে এসেছি। অবশ্য তাতে বেশী ক্রেডিট হৃদিতার। ও মা থাকলে অনেক কিছুই হতো না। আমি এসব চিন্তা বাদ দিলাম। আমি যে সময়ে আছি সেখানে যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। কারন এতে আমার বর্তমানের কোনো পরিবর্তন হবে না। এটার জন্যই জারা আমাকে এখানে এনেছে। কিন্তু মিয়ারার ক্ষমতা পাওয়ার পর ও আমাকে স্বাভাবিকে পাঠিয়েছি ঠিক আছে। কিন্তু ও আমার সাথে আছে কেনো? ও তো আমাকে আমি জীবিত থাকাতেই বিয়ে করে ফেলেছিলো। কিন্তু ওর চোখে আমি এখনো নিজের জন্য ভালোবাসা দেখতে পাই। একদম প্রথমে যা দেখেছিলাম। আমি লিফটে করে এক্সিবেশন এর রুমে চলে আসলাম। জিসান ভাইয়ের সাথে আমার মতো দেখতে যে রোবট ছিলো এতোক্ষন সে ও এখন চলে গেছে। তাই আমি আমার জায়গা নিলাম। হাটতে ছিলাম তখনি দেখি সুচিরান এর মেয়ে লরা আমার বানানো পেইন্টিং নিয়ে আসলো। এবং পেইন্টিং রাখার লাইনে এক জায়গায় রেখে দিলো। লিফটে আসার সময় লরার মুখেই শুনেছিলাম।
.
--আমার আকা পেইন্টিং গেছে কোথায়?(আমি)
.
--তোমার আকা পেইন্টিং মিয়ারা আমার বাবাকে মেরে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বাবা আগেই ডুব্লিকেট বানিয়ে রেখেছিলো। আর মিয়ারা সেটা নিয়ে যায়। আসলটা তো আমার কাছেই আছে।(লরা)
.
--পেইন্টিং এর রহস্যটা কি বলতে পারবে তুমি?(আমি)
.
--আমার ভবিষ্যতের বাবার থেকে শুনলেই তার কাছে ক্ষমতা কোনো জিনিসকে ধরলে সে আংশিক জিনিস দেখতে পারে অতীতের। সে এই পেইন্টিং কে ধরে আংশিক কিছু দেখেছিলো ভবিষ্যতের। মানে পেইন্টিংটার অতীতের কিছু আংশিক দৃশ্য দেখেছিলো। কিন্তু পুরোটা দেখার জন্য তোমার প্রয়োজন ছিলো।(লরা)
.
--ওওওও।(আমি)
.
--হুমমম।(লরা)
।।।।
।।।।
লরার থেকেই বুঝেছি পেইন্টিং এর মিস্ট্রি টা কি ছিলো। আমার থেকে সঠিক তথ্য জানার জন্য সুচিরান আমাকে এখানে এনেছিলো প্লান করে। কারন তার ভয় ছিলো যে সে আমার কাছে আসলে হয়তো মিয়ারা তাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু এরপরও সে বাচতে পারলো না। মিয়ারা শেষ মেষ তাকে মেরেই ফেললো। এখানে থাকার কোনো মানে হয় না। জিসান ভাইকে যেভাবেই হোক এখান থেকে দেশে ফিরতে রাজি করাতে হবে। কিন্তু কি করে? ও মনে পরেছে আমার কাছে রিয়েলিটি প্রিজম এর ক্ষমতা আছে। আমি যেকোনো সময় রিয়েলিটি স্পেল নিয়ে রিয়েলিটিকে কন্ট্রোল করতে পারবো। আমাকে শুধু এই হোটেল থেকে বের হতে হবে। এক্সিবেশন শেষ হতে হতে দুপুর হয়ে গেলো। একটা ভিআইপি লান্সের শেষে সব গেস্ট গুলো কিছু বিক্রি করা জিনিসের মূল্য পরিশোধ করতে লাগলো। আমি সেই সুযোগে বের হয়ে গেলাম এই জায়গা থেকে। জিসান ভাই ও আমার সাথে সাথে আসলেন। আমরা হোটেলের বাইরে চলে আসলাম। বাইরে এসে জিসান ভাইকে নিয়ে একটু ঘুরতে লাগলাম। এই সুযোগে আমি আমার রিয়েলিটি স্পেল ও ব্যবহার শুরু করে দিলাম। দেখতে দেখতে বিশাল একটা ঘূর্নিঝড় শহরের দিকে আসা শুরু করলো। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে। শহরের সব ভবনেই একটা করে বিশাল 3d প্রজেক্টর লাগানো আছে। সেইখানে খবর দিচ্ছে যে সবাইকে টোকিও শহর খুব শীঘ্রই ছেড়ে দিতে হবে। নাহলে সবার অবস্থায় খুব ভয়ানক হবে। আমি বিষয়টা মজা নিচ্ছিলাম। কিন্তু জিসান ভাই কিন্তু ভয় পাচ্ছিলো।
.
--হৃদয় এখন কি করবো আমরা?(জিসান)
.
--আমাদের জাপান ঘুরতে হবে না আর। জাপানে তো কিছুদিন পর পরই সব জায়গায় এমন হয়। ঝড়টা আমাদের এখানে আসার আগেই আমাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। আমাদের কাজ তো হয়ে গেছে।(আমি)
.
--কিন্তু আমরা তো ঘুরে দেখতে পারলাম না কিছুই।(জিসান)
.
--বেঁচে থাকলে আরো সুযোগ হবে ঘোরার।(আমি)
.
--আচ্ছা তাহলে চল।(জিসান)
।।।।
।।।।
।।।।
ঘূর্নিঝড় দেখে জিসান ভাই সেই ভয় পেয়ে গেছে। কারন ঝড় টা অনেক বিশাল। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো জিনিসই ঘঠছে না। আমি তো শুধু রিয়েলিটি চেন্জ করে ফেলছি। তাতেই সবার মনে ভয় চলে আসছে। রিয়েলিটি জিনিসটা এমন যেটা ব্লাক ম্যাজিক ছাড়া অনেকটা অসহায়। যদি ব্লাক ম্যাজিক আর রিয়েলিটি এক হয় যায়। তাহলে সেটা খুবই ভয়ানক হয়ে যায়। এর জন্য আমার মিয়ারাকে ভয়ও করছে। কিন্তু মেয়েদের দুর্বল জায়গা গুলো আমি জানি। মিয়ারা যেহেতু আমার সাথে সাধারন জীবন কাটাতে চাচ্ছে। তাই আমি বলতে পারি ও আমাকে ভালোবাসে। আর আমি ওকে আমার ভালোবাসা দিয়ে আক্রমন করবো। জানি এটা করা ঠিক নই। কিন্তু এটা ছাড়া উপায় নাই। কিছু না করলে এমন কয়টা রিয়েলিটি সে বানাবে তার ঠিক নাই। সময়ের স্পেলগুলো ঠিক তার কাছেই আছে। আর এবার আমি ব্যবহার করেছি এমন একটা স্পেল যেটার কারনে আমার ক্ষমতা গুলো কেউই এবজোর্ব করতে পারবে না। মানে আমার কাছে যা থাকবে সেটা শুধু আমার কাছেই থাকবে। আরো কয়েকটা মারাত্মক স্পেল সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি শুধু ঔ বুড়ির কারনে। একবার সময়ের স্পেলটা আমি জারার থেকে নিয়ে যায়। এর পর ওকে মারাটা আমার পক্ষে তেমন ব্যাপার না। কিন্তু প্রথমে আমাকে এখানের হৃদয়কেও খুজতে হবে। এই সময়ের যে হৃদয় ছিলো তাকে হয়তো জারা বন্ধি করে রেখেছে নাহলে মেরে ফেলেছে। নাহলে তাকে ভিন্ন কোনো পরিচয় দিয়ে অন্য কোনো দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই কাজটা হৃদিতা ঠিক মতোই করতে পারবে। কারন আমি যেখানেই থাকি না কেনো হৃদিতা ঠিকই আমাকে খুজে বের করবো। আর আমার অতীতের হৃদয়কে খুজেও হৃদিতার কষ্ট হবে না। কিন্তু ওদের কাজটা খুব গোপনে করতে হবে। মিয়ারার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পেরেছি সে নাকি অনেক অবুঝ। আর সিওর করে বলতে পারি যদি জারার শরীরে মিয়ারার ক্ষমতা থেকে থাকে তাহলে সেখানে জারার কোনো অস্তিত্বই নেই এখন। ওর শরীর আছে মাত্র। কিন্তু সেটা কন্ট্রোল করছে এখন মিয়ারা। আমি আর জিসান ভাই সেদিনই সুচিরানের প্রাইভেট প্লেনে বাংলাদেশে চলে আসলাম। জিসান ভাই তো হাফ ছেড়ে বাচলেন। কিন্তু আফসোস করে যাচ্ছেন ঘুরতে না পেরে। আমরা সরাসরি আমাদের বাসায় চলে আসলাম। সবাইকে আমাদের দেশে ফেরার কারন বল্লাম। এখন থেকে একদম পারফেক্ট অভিনয় করতে হবে। কারন জারার কাছে ব্লাক ম্যাজিক আছে। আর ও আমার মাথা এমনিতেই পড়তে পারবে। তখনি আমার মাথায় একটা স্পেলের কথা আসলো। বুঝলাম এটাও বুড়ির দেওয়া জ্ঞানের মধ্যে একটা। আমি স্পেলটা ব্যবহার করলাম। এই স্পেলে আমার উপরে কেউই টেলিপ্যাথি ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো ভাবেই আমার মনের কথা পড়তে পারবে না। পারবে যদি আমি তাকে পড়তে দি। আর শুধু সেটুকুই পড়তে পারবে যেটুকু আমি চাইবো। তাই একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম৷ কারন আমি কখনো অবুঝ কোনো ভয়ঙ্কর মেয়ের হাতে মরতে চাই না। এখানে আমার মৃত্য হলেও আমাকে জীবিত করার কেউ থাকবে না। কারন আমার মৃত্যুর সাথে সাথে হৃদিতার আত্মাও মুক্তি পেয়ে যাবে। আর আমার বাকি রানীদের মাঝে এমন ক্ষমতা নাই যে তারা তাদের বুদ্ধি দিয়ে আমাকে বাচাবে। তাই আমার কিছুটা ভয় হচ্ছে। আমার রুমে আমি চলে গেলাম। জিসান ভাই নিজের বাসায় চলে গেছে। জারা এখনো আমার বাসায় আছে। ও বুঝতেই পারে নাই যে আমি চলে আসছি। হয়তো হৃদির সাথে থাকার কারনে এটা হয়েছে। হৃদির সাথে থাকলে নিজের ম্যাজিক কাজ করে না। এটা আমি অনেক আগেই শুনেছিলাম। হৃদি একটা ভালো অস্ত্র আমাদের জন্য এখানে। আমার রুমেই দুজনে শুয়ে ছিলো। সময়টা রাত বারোটার। এতো রাতে আমি বাসায় আসবো তারা কখনো ভাবে নি। আর দরজা আটকিয়ে তারা ঘুমাচ্ছে। তাই আমিও পাশে থাকা আরেকটা রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম। পরেরদিন সকালেই হৃদির ডাকে আমার ঘুম ভাঙলো।
.
--কিরে তুই চলে আসছিস কালকেই। আর আসছিস ভালো কথা আমার জন্য কিছু নিয়ে আসিস নি?(হৃদি)
.
--হুমম দেখ বড় দুটো টেডি বেয়ার নিয়ে আসছি।(আমি)
.
--টেডি বেয়ার?(উল্লাসে লাফিয়ে উঠলো হৃদি)
।।।।
।।।।
আসার সময় এয়ারপোর্ট থেকে অনেক গুলো কিটক্যাট আর ক্যাটবেরী চকলেট কিনে এনেছিলাম হৃদির জন্য। সেই সাথে দুটো টেডি বেয়ার ও নিয়ে এসেছিলাম। হৃদির অনেক পছন্দের টেডি বেয়ার যার নাম আমি দিছিলাম আক্কাস পান্ডু তাকে নিজের হাতেই গলা কেটে খুন করেছিলাম এক সময়। তাই তাকে আজকে আক্কাস পান্ডুর বড় ভাই খক্কোস পান্ডু এনে দিলাম। হৃদি তো সেটা পেয়ে সেই খুশি। সেই সাথে জারাও আসলো। এবং তার পান্ডুকে দেখেও অনেক খুশি হলো। কিন্তু তার পান্ডুর আমি নাম ভাবতে পারতেছি না। যাক গে আপনারা একটা নাম বইলেই পান্ডুটার কি নাম দেওয়া যায়?
.
--তুমি কখন আসলা?(জারা)
.
--কালকে রাত ১২ টাই।(আমি)
.
--ফোন ও দিলা না। আর বললা যে একমাস থাকবে ব্যাপার কি বলো তো?(জারা)
.
--আরে বইলো না। টোকিও তে ছোট একটা ঘূর্নিঝড় হবে। সেটা দেখিয়ে জিসান ভাই আমাকে বললো যে চল বাসায় যায় নাহলে সেটা আমাদের মেরে ফেলতে পারে।(আমি)
.
--ঔখানে তো ঝড় দু একদিন পর পর ই হয়। আর সেই সাথে ভূমিকম্পও আছে।(জারা)
.
--আরে বুঝো না। বউ রেখে বউ এর বড় ভাই এর সাথে হানিমুন করতে কার ভালো লাগে?(আমি)
.
--হ নিজের মনের কথাও বলে দিলি।(হৃদি)
.
--ঔটা তো এমনি।(আমি)
....
।।।।
।।।।
আমার কথা শুনে দুজনেই নিজেদের পান্ডুকে জড়িয়ে ধরে হাসতে লাগলো। সে কি হাসা বাপ রে বাপ। মায়ায় ফেলানো হাসি৷ এই হাসিতে তো অনেক আগেই পা ফেলেছিলাম। আর পা ফেলতে চাই না এই হাসিতে। এখন অন্য কিছু ফেলতে হবে।
.
--আমি যায় ওকে ফোন করি গিয়ে।(হৃদি চলে গেলো পিছন পিছন জারাও যাচ্ছে)
.
--তুমি কোথায় যাচ্ছো।(আমি জারার হাতটা ধরে জারাকে টেনে আমার বুকের মধ্যে নিয়ে আসলাম। কিন্তু জারা মিস্টার পান্ডুকে আমাকে মাঝে রেখে দিলো)
.
--কি করছো কি? কেউ দেখে ফেলবে?(জারা)
.
--কে দেখবে আর এই পান্ডুটাকে সরাও তো। আমি তোমাকে হাগ করতে চাই।(আমি)
.
--হয়ছে। হাগ করতে হবে না। আমি বাসায় যাচ্ছি আজই। আগে জানলে তুমি আসবে তাহলে কালকেই চলে যেতাম।(জারা)
.
--তুমি ভালোবাসো না আমায়?(আমি)
.
--কি বলছো তুমি আমি তোমায় আমার জীবনের থেকেও বেশী ভালোবাসি।(বলেই জারা লজ্জা পেয়ে চুপ হয়ে গেলো। কারন এর আগে জারা ওর মনের কথা বলে নি আমাকে)
.
--তাহলে তো এই পান্ডুকে সরাতেই হয়।(আমি পান্ডুকে লাথি মারলাম)
।।।।
।।।।
পান্ডুকে লাথি মেরে আমি ফেলে দিয়ে জারার ঠোটে ঠোট রেখে ওকে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে চুমু দিতে লাগলাম। কিন্তু কে জানতো হালকা উত্তেজিত হয়ে ওর হাত থেকে কিছুটা ব্লাক ম্যাজিক ভুল করে পান্ডুর মধ্যে চলে যাবে। সাথে সাথেই পান্ডু লাফ দিয়ে উঠে আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলো। আর সেই সাথে আমার উপরে লাফ দিয়ে এসে বসলো। বসেই আমার মুখে ঠাপ্পর দিতে শুরু করলো।
.
--আহহহ বাচাও কেউ। ভূত ভূত। এই পান্ডুর ভিতরে ভূত।(আমি)
.
--তোর সাহস কি করে হয় আমার মালিককে তুই কামড় দিস। তোকে আজ মেরেই ফেলবো।(পান্ডু)
.
--আহ বাচাও আমাকে। আমি মরতে চাই না।(আমি)
।।।।
।।।।
তখনি হৃদি চলে আসলো ঘরে। আর পান্ডুটা পরে গেলো নিচে। জারাও দাড়িয়ে কিছুটা মজা নিচ্ছিলো।
.
--এইটা কি ছিলো?(আমি)
.
--কি?(হৃদি)
.
--এই পান্ডু আমাকে মারলো জীবিত হয়ে?(আমি ভয়ে ভয়ে বললাম)
.
--ভালোই করেছে। তুই আমার পান্ডা বাবুকে মেরেছিলি গলা কেটে তাই ও প্রতিশোধ নিয়েছে। আর দিনে এমন স্বপ্ন একটু কম করে দেখ তাহলে মারবে না।(হৃদি)
.
--না না এই পান্ডুর ভিতরে এনাবেল এর জামায় এর আত্মা আছে। দেখ আমার মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আর জারা তো সব নিজের চোখেই দেখেছে।(আমি)
.
--হ্যা।( এখন জারাও কিছুটা ভয়ের অভিনয় করে)
.
--তোদের ডাক্তার দেখাতে হবে।(এই বলেই হৃদি চলে যায়)
।।।।
।।।।
হৃদি যাওয়ার পর আবার পান্ডাটা জীবিত হয়ে আমার গলা টিপে ধরে। আর এবার জারা এসে একটা ঠাপ্পর দেই ওর গালে। সাথে সাথে পান্ডা দূরে গিয়ে বসে পরে আর বলতে শুরু করে।
.
--আমাকে মারার কারন জানতে পারি ম্যাডাম?(পান্ডু)
.
--ম্যাডাম কার ম্যাডাম? আর তুমিই কে?(জারা আমাকে দেখার জন্য কিছুটা ভয়ের অভিনয় করে)
.
--আমি জামায়বেল। এনাবেলের ভবিষ্যতের জামায়। আমি ভবিষ্যৎ থেকে এসেছি এনাবেলকে ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই বাচাতে। কারন ভবিষ্যতে সে আমাকে রোজ ধরে ধরে পিটাই। আমি এখানে এসেছি সে ভালো থাকা অবস্থায় তার মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করতে।(পান্ডু)
.
--তো তুমি ওকে ম্যাডাম বলতেছো কেনো?(আমি)
.
--কারন তুই আমাকে কিনে এনেছিস ওনার জন্যই। ম্যাডাম আপনি কি বলতে পারবেন এখন এনাবেল কোথায় আছে?(পান্ডু)
.
--হ্যা আমি বলতে পারবো। সে এখন লন্ডনে আছে। একটা মুভিতে দেখেছিলাম। সে লন্ডনের একটা বাড়িতে কয়েকটা লোকদের মারছে।(আমি ভয়ে তুতলিয়ে বললাম)
.
--ও নো। আমাকে এখনি যেতে হবে।(পান্ডু)
।।।।
।।।।
সাথে সাথে পান্ডু আবার নরমাল পান্ডু হয়ে গেলো। ব্যাপারটা খুব ভালোই কন্ট্রোল করেছে জারা। একটা চুমু দেওয়াতেই ও পান্ডুর জীবন দিয়ে দিয়েছে। আর বাকি কিছু করতে তো এই রুমের সব কিছুর মধ্যেই জীবন দিয়ে দিবে। আসলে ওর সম্পর্কে জানা আমার তথ্যের থেকেও অনেক অবুঝ ও। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো ওর প্রতি আমার মায়া হচ্ছে আস্তে আস্তে। কিন্তু আমি এত ভয়ানক কোনো জিনিসকে তো এভাবে রাখতে পারি না। আর মোটেও আমি মিয়ারার থেকে ওকে জারা বানাতে চাই না। কারন জারা হলে ওকে মারতে আমার বেশী লাগবে না। কিন্তু মিয়ারাকে আমার ভালোই লাগছে। ভয়ানক হলেও ওর মাঝে রয়েছে অবুঝ শিশুর স্বভাব। আর এটাই আমার কাজে দিবে। আমি ভয় পাওয়ার অভিনয় করতে লাগলাম। আর ও আমাকে এসে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। আমার মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। জারা সেগুলো মুছে দিয়ে বেন্ডেজ করতে লাগলো।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।