ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ১৮

Bangla Dub Novels

 #ড্রাগন কিং#
পার্টঃ১৮
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

তখনই এবলিং এর মুখ দিয়ে ভয়াস্তৃত কন্ঠে অস্পষ্ট সূরে আপনা-আপনি বেরিয়ে এলো,
,

,
,,,,,,,,,,,,,,ব্লাক ড্রাগন কিং,,,,,,,,,,,,,,,
,

,
এবলিং ওই কথাটি শেষ করার আগেই সে গর্ত থেকে আপনা-আপনি ওঠে এলো,আপনা-আপনি বললে ভুল হবে কেননা গর্ত থেকে সেই অচেনা লোকটি তাঁর নিজের শক্তি দিয়ে এবলিং কে বাহিরে বের করে নিয়ে আসলো। 
এটি দেখে এবলিং খুব একটা অবাক হলো না,কেননা সে একটু হলেও ধারণা করতে পেরেছিল যে এরকম কিছু হবে।
,

,
তাহলে খেলা শুরু করা যাক(অচেনা ব্যক্তি)!
,
হ্যা শুরু করা যাক(কিছু একটা ভেবে এবলিং এই কথাটি বললো)!
,
এবলিং এর কথা শুনে অচেনা লোকটির মুখে আপনা-আপনি এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে।
,
শুরু হয়ে গেলো আবারও যুদ্ধ। 
,
এবলিং চাইনা সেই অচেনা লোকটির সাথে যুদ্ধে হারতে তাই সে নিজেকে তাঁর নিজ জায়গায়ই অদৃশ্য করে নিলো তাঁরপরে সে অচেনা লোকটির উদ্দেশ্যে নিজের সর্বোচ্চ সুপার স্পিডে দৌড় দিল। 
যখনই সে অচেনা লোকটির একদম সামনে চলে যায় তখনই এবলিং লাফ দিয়ে একটু ওপরে উঠে তাঁর দু'হাত আকাশের দিকে তুলে ধরতেই এবলিং এর হাত দিয়ে বিদ্যুৎ এসে যায় তখন এবলিং তাঁর দু'হাত মিলিয়ে একসাথ করে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেই অচেনা ব্যক্তির মাথার মধ্যে একটা পাঞ্চ মারে।
,

,
ঘটনাটি এতোটা তারাতাড়ি ঘটে যে অচেনা লোকটির মনে হয় তাঁর কোনো কিচ্ছুটি বুঝে ওঠতে পারেনি। যাঁর কারনে সে তাঁর নিজ জায়গা থেকে এক ইঞ্চিও সরেনি।
যার কারনে সে এবলিং এর হাতে মার খেতে যাচ্ছে এখন। 
,

,
এবলিং এর দু'হাত যখনই সেই অচেনা লোকটাকে স্পর্শ করতে যাবে ঠিক তখনই অচেনা লোকটি তাঁর নিজ জায়গা থেকে ধোঁয়া হয়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়। যার কারনে এবলিং এর পাঞ্চটি মাটিতে লেগে যায়,আর যেখানে পাঞ্চটি লাগে সেখানের মাটি প্রায় দশ-বারো ফুট নিচে চলে যায়,আর আশেপাশের সবজায়গাসহ হোয়াইট ড্রাগনদের রাজপ্রাসাদ টাও কেঁপে ওঠে সেই সাথে আশেপাশের মাটির মধ্যে একধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়।
,

,
এবলিং অবাক চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে সেই অচেনা লোকটিকে খুঁজতে থাকে,আর মনে মনে ভাবতে থাকে যে,
কোথায় গেলো সেই শয়তান টা,আর আমিতো এখন অদৃশ্য হয়ে আছি তাহলে তাকে যে আঘাত করবো সেটা সে কি করে বুঝতে পারলো,এটাতো কোনো ভাবেই সম্ভব না,তাঁর কারন হলো আমি আমার সর্বোচ্চ সুপার স্পিড মোডে ছিলাম তখন। আর সে আমার চাইতেও এতোটা ফার্স্ট কিভাবে সরে গেলো(এবলিং)!
,
এবলিং এসব কথা ভাবছিল আর ঠিক তখনই তাঁর নিজের পেছনে কারো উপস্থিতির টের পেলো। 
এবলিং বিপদ বুঝতে পেরে সুপার স্পিডে দৌড় দিয়ে একদম সেই অচেনা ব্যক্তির সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তাঁদের দু'জনের চোখাচোখি হতেই এবলিং সেই অচেনা লোকটির চোখ দেখে অবাক না হয়ে পারে না,কেননা অচেনা লোকটির চোখ একদম কালো কুচকুচে যার কারনে তাঁকে দেখতে খুবই ভয়ংকর লাগছে। সেই অচেনা লোকটির চোখ দেখেই তাঁকে অনেক ভয়ংকর লাগছে না জানি তাঁর চেহারা টা কতোটা ভয়ংকর হতে পারে। 
,

,
এবলিং আর কিছু চিন্তা না করে সুপার স্পিডে তাঁর ডান হাত টা উঁচু করে একটা পাঞ্চমারে সেই অচেনা লোকটির বুকের  উদ্দেশ্যে।
কিন্তু আফসোস কেননা এবলিং এর পাঞ্চটি অচেনা লোকটির শরীর স্পর্শ করার আগেই সেই অচেনা লোকটি তাঁর ডান হাত দিয়ে এবলিং এর হাতটা খপ করে ধরে ফেলে। এবং অচেনা লোকটির উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করে,,,,,,,,,,,, 
তোকে তো তুমি বললে তুমি জিনিসটাকেও অপমান করা হবে। মনে করেছিলাম কিছুটা সময় হলেও আমার সামনে টিকতে পারবি,কিন্তু তুই তো আমাকে স্পর্শই করতে পারিস না।
আর সেই তুই নাকি হোয়াইট ড্রাগন কিং। 
তোকে কিং হিসেবে মানায় নারে মানায় না।
তোর বাবা-মা কে তো আমি এসেই বন্দী করে ফেলেছি। অলরেডি তোর সব প্রজাদেরকেও হয়তো-বা বন্দী করে ফেলেছে আমার সৈন্যরা।
কেমন রাজা তুই,যে রাজা কিনা তাঁর প্রজাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারিসনা। তুই তো রাজা হওয়ার যোগ্যই নস। যাইহোক আগে তোকে শেষ করে নেয়,তারপরে না-হয় একে একে সব হাসিল করবো।
,
এই বলে সেই অচেনা লোকটি এবলিং এর বুকে একটা লাথি দেয়। 
লাথিটা এতোটাই জোড়ালো ছিল যে,যাঁর কারনে এবলিং তাঁর রাজ্য ভেঙে তাঁর ভেতরে পড়ে যায় সোজা ম্যারির সামনে। 
,
ম্যারি জাহিদ কে নিয়ে নিজের ঘরে চুপটি করে বসে আছে,আর জাহিদ ঘুমের রাজ্যে চলে গেছে।
ম্যারি এবলিং এর কথাই চিন্তা করছিলো,ঠিক তখনই তাঁর ঘরের ছাঁদ ভেঙে সেখানে কেউ একজন পড়ে,ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করতেই সেখানে এবলিং কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ম্যারি।
এবলিং এর এই অবস্থা দেখে ম্যারি এবলিং বলে চিৎকার করে দৌড়ে তাঁর কাছে ছোটে যায়। এবলিং এর মাথাটা ম্যারি তাঁর নিজের কোলে নিয়ে এবলিং কে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে যে,কি হয়েছে তোমার,কে তোমার এই হাল করেছে। কথা বলছোনা কেন,এ-ই কি হলো(ম্যারি চিৎকার করে এবলিং এর উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলে)!
,
এবলিং ম্যারিকে কান্না করতে দেখে নিজেকে কোনো রকম সামলে নিয়ে ম্যারিকে বলে যে,
ম্যারি হয়তোবা ব্লাক ড্রাগন কোনোভাবে ফিরে এসেছে,আর ওর পাওয়ার এতোটাই শক্তিশালী যে,আমি ওর ধারের কাছেও যেতে পারছিনা। 
আমার মনে হয় না যে আজ আমদের মধ্যে কেউ জীবিত থাকবে। তাই আমি চাচ্ছি যে,তুমি জাহিদ কে নিয়ে পৃথিবীতে চলে যাও,নয়তো-বা ওই শয়তান টা তোমাকে সহ আমাদের জাহিদ কেও মেরে ফেলবে,প্লিজ ম্যারি তুমি তারাতাড়ি এখান থেকে জাহিদ কে নিয়ে চলে যাও(এবলিং)!
,
এসব তুমি কি বলছো,আমি তোমাকে একা এই বিপদের মধ্যে ছেড়ে চলে যাবো। না না এটা আমি কিছুতেই করতে পারবো না,দরকার হয় দু'জনে একসাথে মরবো তারপরও আমি তোমাকে একা রেখে কোথাও যাবো না(ম্যারি)!
,
তাহলে আমাদের জাহিদের কি হবে(এবলিং)!
,
তুমি কিছু একটা করো,নাহলে যে আমার অবুঝ ছেলেটার প্রানও হারাতে হবে,যেটা আমি কোনোদিনও চাইবোনা(ম্যারি)!
,
ঠিক তখনই এবলিং এর মাথায় কিছু একটা আসলল,আর সে তাঁর চোখ দু'টো বন্ধ করে কিছু একটা আওয়াতে লাগলো। 
ঠিক তখনই এবলিং এর সামনে সেনাপ্রধান উপস্থিত হয় রক্তাক্ত অবস্থায়।
আর সে এবলিং কে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে যে,
কিং আমাদের সৈন্য অর্ধেকেরও বেশি মারা গিয়েছে,আর যতোগুলো জীবিত ছিলো সবাইকে তাঁরা বন্দী করে নিয়েছে। 
শুধু আমদের শক্তিশালী কিছু সেনা এখন যুদ্ধের ময়দানে ওই শয়তানদের সাথে যুদ্ধ করছে,আমাদের হার
নিশ্চিত এখন আমরা কি করবো কিং। আর সবচাইতে বড় কথা হলো,আপনার এই দশা কি করে হলো,আপনিই যে এখন আমাদের শেষ ভরসা(সেনাপ্রধান হতাশ ভরা মন নিয়ে কথা গুলো বললো)!
,
তোমাকে আমি যেটা বলছি সেটা তুমি মনোযোগ সহকারে শুনো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(এবলিং)!
,
আমি এটা করতে পারবোনা কিং আমি এটা কোনোদিনও করতে পারবোনা। আমি আপনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে কখনোই পারবোনা কিং। আমি যদি এটা করি তাহলে আমি নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবোনা(সেনাপ্রধান)!
,
সেনাপ্রধান এটা তোমার কিং এর আদেশ। আর সবচাইতে বড় কথা হলো,আমরা মরলে কোনো যায় আসে না কিন্তু আমাদের নিস্পাপ শিশু কি করেছে,ওকে তো আমরা বিপদে ফেলতে পারি না। তাই আমি বলছি যে তোমাকে যেটা বলা হয়েছে তুমি সেটাই করো(এবলিং একটু রাগী গলায় বললো)!
,
যথাআজ্ঞা কিং,আপনার আদেশ যে আমি কখনোই অমান্য করতে পারি না। আমি তৈরী আছি(সেনাপ্রধান ছলছল চোখে বললো)!
,
এই বলে সেনাপ্রধান তাঁর নিজ জায়গায় হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে।
,
এবলিং শোয়া থেকে আস্তে আস্তে উঠে সেনাপ্রধানের দিকে যেতে থাকে,এবং সেনাপ্রধানের সামনে গিয়ে তাঁর মাথায় হাত রাখার সাথে সাথে এবলিং এর শরীর থেকে তীব্র লাল রশ্মি বের হয়ে সেগুলো সেনাপ্রধানের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। আর এদিকে সেনাপ্রধানের রক্তাক্ত শরীর আবারও আগের ন্যায় হয়ে যায়। 
কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর এবলিং কিছু একটা ভেবে সেনাপ্রধানের উদ্দেশ্য বলে যে,আমার কাজ শেষ,এবার থেকে যে তোমার কাজ শুরু। এই বলে এবলিং তাঁর গলা থেকে নিজের লকেটটা সেনাপ্রধানদের হাতে তুলে দেয়। লকেটটি থেকে লাল রশ্মি বের হচ্ছে কিছুটা। 
,
সেনাপ্রধান আর এক মূহুর্তও সেখানে দেরি না করে জাহিদ কে নিজের সাথে নিয়ে রাজপ্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে চলে যায় পাহাড়ের দিকে।
আর তাঁদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে এবলিং সহ ম্যারি তাঁরা দু'জনেই তাঁদের চোখের দু’ফোটা পানি মুছে নেয়। 
,

,
,,,,,,,এ-ই বলে নেকড়েটি থামলো,,,,,,,,
,
নেকড়ে টি জাহিদের জাহিদের দিকে তাঁকাতেই দেখতে পায় যে,
জাহিদ রক্ত লাল চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এটা দেখে নেকড়ে টা আবারও বলতে শুরু করে দেয়,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,

,
অতীত টা পাঠক/পাঠিকাদের জন্য সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হলো,,,,,
,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,পার্ট ১ সম্পূর্ণ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
https://www.facebook.com/100046550544016/posts/186311476263869/?app=fbl
,

,
কথাগুলো বলে নেকড়ে টা আবারও ভয় নিয়ে জাহিদের দিকে তাকালো এবং দেখলো যে,,,
জাহিদ তাঁর রক্ত লাল চোখ নিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে এবং তাঁর ডান হাত টা দিয়ে জাহিদ তাঁর নিজের গলার সেই অদ্ভুত ধরনের লকেটটি নড়াচড়া করছে। 
ঠিক তখনই জাহিদ হঠাৎ করে নিজ জায়গা থেকে লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়,আর আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে যে,
ছাড়বোনা কাউকে ছাড়বোনা আমি,কাউকে না। সবাই কে আমি শেষ করে দিব,জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব শেষ করে দিব আমি। 
আমি আসছি,,,,,,
কথা গুলো যখন জাহিদ বলছিলো তখন আকাশে হাল্কা একটু মেঘ না থাকা সত্যেও তাঁর আশেপাশে কতোগুলো বজ্রপাত ঘটে।
,

,
চোখ বুঁজে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম,কিন্তু পারছিলাম না ঠিক তখনই আমি কাউকে আমার সামনে দেখতে পেলাম। কি অদ্ভুত ব্যাপার তাই-না আমি আমার চোখ দু'টি বন্ধ করা সত্যেও কিভাবে কাউকে দেখতে পাচ্ছি। ভালোভাবে লক্ষ্য করতেই দেখতে পেলাম একটা মেয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,আর তাঁর মুখটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না,কেননা তাঁর নিজের লম্বা চুলের কারনে তাঁর মুখটা প্রায় ডাকা পড়ে আছে। 
আমাকে কোনো কিছু বলতে না দিয়ে সে বলতে শুরু করলো যে,
জাহিদ তুমি চাইলে কিন্তু সবকিছু করতে পারো,এমন কোনো কাজ নেই যে যেটা তুমি করতে পারোনা। কিন্তু সেগুলো করতে হলে আগে তোমাকে নিজের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল থাকতে হবে। নাহলে যে তুমি কোনো কাজই ঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারবেনা। 
এই বলে সেই লম্বা চুল ওয়ালা মেয়েটি তাঁর পেছনের দিকে ঘুরে চলে যেতে নিলো।
,
এদিকে তাঁর কথা গুলো খুবই চেনা চেনা বলে মনে হলো,তারওপর আবার সে আমাকে আমার থেকেও বেশি জানে হয়তো। নাহলে আমাকে এতো পরামর্শ কি করে দিলো,নিজের ইচ্ছে টা কে আর দমিয়ে রাখতে পারলাম না,যাঁর জন্য সেই লম্বা চুল ওয়ালা মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলে ফেললাম যে,
,

,
কে আপনি?
আর আমার ব্যপারে এ-তো কিছু কি করে জানলেন আপনি ?
,
আমার কথা শুনে মেয়েটি আমার দিকে ঘুরে তাকালো তারপর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো যে,
কি করে জানলাম সেটা না-হয় অজানাই থেকে যাক। আর কে আমি,সেটা আমি বলবো না,পারলে নিজে জেনে নাও।
এই বলে সেই মেয়েটি একটা মুচকি হাসি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।
,
মেয়েটির তখন কার কথা আমার কানে বারবার বাজতে লাগলো,
তুমি চাইলে সব করতে পারবে,সব,,,,,,,
,
হ্যা আমি পারবো,এই বলে মেয়েটির দিকে তাকালাম। আর ঠিক তখনই মেয়েটি হাঁটা বন্ধ করে দিলো এবং তাঁর মুখে ফুটে ওঠল এক চিলতে হাসি,,,,,
আমার কিছু একটা হলো বলে মনে হচ্ছে,যার কারনে আমি আমার চোখের সাহায্যে(মানে চোখের ইশারায়ই)মেয়েটিকে নিজের সামনে এনে দাঁড় করালাম। এখনো মেয়েটির মুখ তাঁর লম্বা চুল দ্বারা ডেকে আছে,এটা দেখে মনে মনে কিছু একটা বললাম,,,,,,,,,,,, 
আর ঠিক তখনই কোথা থেকে যেন এক দমকা হাওয়া আসলো,আর মেয়েটির মুখের ওপর থেকে তাঁর লম্বা চুল গুলো বাতাসে ঢেউ খাচ্ছে। মেয়েটি আমার দিকে এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে আছে।
এমন ভাবে তাঁকিয়ে আছে,যেন আমি তাঁর খুব কাছের কেউ। 
আমি একটু ভালোভাবে তাঁর মুখটা খেয়াল করতেই আতকে উঠলাম। 
এ আমি কি দেখছি।
এটা কি করে হতে পারে। 
না না এটা কোনো ভাবেই সম্ভব হতে পারে না।
,

,
তুমি কি করে বেঁচে আছো?
তুমি তো অনেক আগেই মারা গিয়েছো,তাহলে এখন আমার সামনে কি করে এলে তুমি,কি করে সম্ভব এটা(আমি অশ্রু ভরা চোখে তাঁকে বললাম)!
,
তুমি চাইলে যে,সবই সম্ভব। তুমি চাইলে সবকিছু আগের মতো করতে পারো,সব(সেই লম্বা চুল ওয়ালা মেয়েটি)
,
মেয়েটির কথা শুনে তাঁকে উদ্দেশ্য করে আমি চিৎকার করে বললাম যে,
নাহ্ এটা কোনোদিনও সম্ভব না কোনোদিনও না,চাইলেও সবকিছু করা যায় না, 
কোনোদিনও নাহ্। এই বলে আমি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলাম। 
আমার এই অবস্থা দেখে মেয়েটিও নিজেকে ঠিক রাখতে পারলোনা,সেও কেঁদে ফেললো কান্না করতে করতে হঠাৎ করে সে হাওয়ার মধ্যে মিলিয়ে যায়। 
আর এটা দেখে আমি আরোজোরে জোরে কাঁদতে থাকলাম,কেননা আমি যে চাইলেও কিছু করতে পারছিনা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

,

,

আজকের প্রশ্নটা হলোঃকে ওই মেয়েটি???
যার জন্য আমি কান্না করতে বাধ্য হলাম।
আর আমার কান্না দেখে সে নিজেও কিনা আমার জন্য কান্না করলো???

,

,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,শব্দ সংখ্যা(১৮৭৮),,,,,,,,,,,,,,,,,,,

,

,

।।
।।।
।।।।
।।।।।
১৮ পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। 
★হ্যাপি রিডিং★

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.