পার্টঃ০৯
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
গল্প শুরু করার আগেই বলে রাখি যেখানে আমি টেলিকাইনেসিস শব্দটার ব্যবহার করেছি সেটা আসলে টেলিপ্যাথি হবে। জিনিসটা এই পার্টে সংশোধন করা হয়েছে। তারপরেও কিছু কিছু জায়গায় টেলিকাইনেসিস শব্দ ব্যবহার হলে বলবেন।
।।।।।
।।।।।
আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম এমনি এমনি। আজকের দিনটা যে এমন যাবে আমি ভাবতেও পারি নাই। আমার আরো লুকিয়ে সব কিছু সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু যেভাবে আমার উপরে আজকে এরা হামলা করলো তাতে আর সেই উপায় পাবো কোথায়। কালকের দিনের জন্য যে এমন হচ্ছে সেটা তো কখনোই না। কারন অনুর কাছে টেলিপ্যাথি ক্ষমতা আছে। মানে ও যে কারো মনের কথা বার্তা বুঝতে পারবে। প্রথম দিনেই হয়তো বুঝে গেছে আমার উদ্দেশ্য কি ছিলো। অনেক আশ্চর্যের ব্যাপার তাহলে আমাকে সেদিন কিছু করলো না কেনো। বরং আজকেই হামলা করলো কেনো?
।।।।
।।।।
চোখ যখন খুললাম তখন নিজেকে দেখতে পেলাম একটা টেবিলে শুয়ে আছি আমি। শুয়ে আছি বললে ভুল হবে। টেবিলটা সোজা হয়ে আছে। মানে আমি পুরো দাড়ানো অবস্থায় আছি। আমার হাত পা কোনো কিছু দিয়ে বাধা না কিন্তু আমি সেগুলো নারাতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে হাত পা নারাতে। কেমন ভাবে আমাকে রাখা হয়েছে সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। আমি চোখটা আশে পাশে রাখলাম। তখন যে লোকটাকে আমি গায়েল করেছিলাম সে বসে আছে একটা চেয়ার নিয়ে। অনেক স্পিডে দৌড়াতে পারে লোকটা। মনে হয় দ্রুতগতিই তার ক্ষমতা। কিন্তু আমার আল্ট্রা সাউন্ডে ওর কান নষ্ট হয়েছে এটা আমি সিওর বলতে পারি। কারন ওর কানে ব্যান্ডেজ করা আছে। এরপর এক এক করে আরো অনেক লোক আমার কাছে আসতে লাগলো। তাদের দেখে বুঝলাম সবাই সাধারন কেউ নই। গুনে দেখলাম পুরো ১৩ জনের মতো হবে। সবার কাছেই কিছু ক্ষমতা আছে বলে আমার মনে হলো। এর পরেই আসলো অনামিকা। যে কিনা আমাকে দেখেই মুচকি হেসে দিলো।
.
--তাহলে ৬ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলো তোমার।(অনু)
.
--কারা এরা? আর আমাকে বন্ধী করা হয়েছে কেনো?(আমি)
.
--সেটা নাহয় একা একাই জানতে পারবে।(অনু)
।।।।
।।।।
অনু আমার মাথায় হাত দিলো। সাথে সাথেই আমি কিছু একটা দেখতে লাগলাম।
।
একটা লোক দুজন ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে হঠাৎ করেই কোথা থেকে জেনো চলে আসলো। দেখে বুঝলাম টেলিপোর্ট হয়ে আসছে তারা। জায়গাটা পরিস্কার হতে লাগলো। এটা একটা হাসপাতাল ছিলো যেখানে তারা এসেছে। এবং এমন একটা রুমে তারা টেলিপোর্ট হয়ে এসেছে যেখানে সদ্য জন্ম নেওয়া মৃত বাচ্চাদের রাখা হয়েছে। লোকটা হাটু গেড়ে বসলো এবং ছেলেটার কপালে হাত দিয়ে বললো
.
--রাজকুমার আপনি এখানেই সুরক্ষিত থাকবেন। আমার জাদুর স্পেলে আমি আপনার ক্ষমতাগুলোকে এই পরে থাকা শিশুদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে এদের জীবন্ত করবো। আপনি এসব কথা সারা জীবনের জন্য ভুলে যাবেন। ঠিক সেদিনই আপনি আপনার আসল রূপে চলে আসবেন যেদিন আপনার ক্ষমতার এই সবগুলো শরীর একত্রিত হবে।(লোকটা)
.
--কিন্তু এতে তো আমাদের রাজ্য পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে। ঔ শয়তানটা আমার পিতা মাতাকে মেরে ফেলবে।(ছেলেটা)
.
--এখন আপনার জীবন নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমাদের। আপনার মধ্যে এমন ক্ষমতা আছে যেটার জন্য আপনি যেখানেই থাকুন না কেনো আপনাকে ওরা খুজে বের করবে। এজন্য আমি আপনার ক্ষমতাগুলোকে এক একটা জীবন দিয়ে এই পরে থাকা দেহের মধ্যে ট্রান্সফার করে দিবো। এতে করে আপনার ক্ষমতা কম হয়ে যাবে এবং শত্রুরা ভাববে আপনার মৃত্যু হয়ে গেছে।(লোকটা)
।।।।
।।।।
লোকটা আর কিছু না বলেই কিছু স্পেল পড়তে লাগলো। এবং সেটার জন্য আস্তে আস্তে করে ছেলেটার শরীর আলোতে রুপান্তর হয়ে গেলো। এবং সেগুলো এক এক করে সেখানে পরে থাকা সব মরা বাচ্চাদের মধ্যে ঢুকতো লাগলো। এরপর লোকটা মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
.
--রাজকুমারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ করবেন আপনি। আপনাকে আমি এভাবেই রেখে দিবো। আপনাকেই আপনার ভাইকে আবার পুনরাবৃত্তি করাতে হবে। কারন এই শয়তান গুলো শুধু আমাদের ডাইমেনশনকে নিজের করবে না। বরং আমাদের ডাইমেনশনকে নিজেদের করে নেওয়ার পরে বাইরের ডাইমেনশনকে এরা ধ্বংস করে দিবে। আর এর ফলে পুরো মাল্টিভার্সের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাবে। আপনাদের দুজনকে যা করার এই দুই ডাইভার্সের মধ্যেই করতে হবে। কারন এই দুটো ডাইমেনশন একে অপরের সাথে সংযুক্ত। একটার ক্ষতি হলে অন্যটায় সেটার প্রতিক্রিয়া হবে। যদি মাল্টিভার্সে ব্যাপারটা চলে যায় তাহলে কিন্তু অনেক খারাপ হবে ব্যাপারটা।(লোকটা)
.
--আমি ভাইয়াকে ছাড়া একা কিভাবে করবো এসব?(মেয়েটা)
.
--সব সময়ই আমি আপনার সাথে সাথেই থাকবো নির্দেশ দেওয়ার জন্য। আপনি শুধু সে অনুযায়ী চলবেন।(লোকটা)
।।।।
।।।।
এরপর লোকটা মেয়েটাকে কিছু দেখালো টেলিপ্যাথি ক্ষমতা দিয়ে। অনু আমাকে সেটা দেখালো না। আমি দেখতে পেলাম একটা ঝুড়িতে একটা বাচ্চা শুয়ে আছে। যে তার হাত পা নারাচ্ছে। একটু আগেই সব গুলো মৃত ছিলো। কিন্তু এখন জীবন্ত হয়ে গেছে। মেয়েটা কিছুক্ষন সবগুলো বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো। তারপরে সে আর লোকটা দুজনেই চলে আসলো সেখান থেকে। এরপরেই সবগুলো বাচ্চা একসুরে কান্না শুরু করে দিলো। সাথে সাথেই আমার চোখ খুলে গেলো।
.
--কি ছিলো সেটা?(আমি)
.
--তোমার অতীত।(অনু)
.
--আমার অতীত মানে?(আমি)
.
--দেখে বুঝলে না। এতোটাই অবুঝ নাকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক।(অনু)
.
--আমি শুধু কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি।(আমি)
.
--তাহলে তুমি সেই মেয়েটা যে আমার অতীতের বোন?(আমি)
.
--বোন? আমি তোমার বোন না। আমি তোমাদের সবগুলো মিলিয়ে যে হবে তার বোন।(অনু)
.
--ব্যাপারটা অনেক প্যাচালো। এমনিতেও আমার মাথা সেই ব্যাথা করতেছে। এই সবগুলোর কাছেই কি আমার মতো ক্ষমতা?(আমি)
.
--না এদের এক এক জনের কাছে এক এক রকম ক্ষমতা। যেগুলো তুমি চিন্তাও করতে পারবে না। এরা সবাই নিজের ক্ষমতার উপরে কাবু করে নিয়েছে শুধু তুমি বাদে।(অনু)
.
--শুধু আমি বাদে?(আমি)
.
--হ্যা। কিন্তু আমাদের আরো একজন আছে যেটার খোজ আমরা অনেক আগে থেকেই করছি কিন্তু পাচ্ছি না।(আরেকটা মেয়ে আমাকে বললো)
.
--এখন এইটাও বইলো না ঔ ছেলেটার ক্ষমতা এই মেয়েটার মধ্যেও আছে।(আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম)
.
--হ্যা শুধু ওর মধ্যে না। ও বাদে আরো ৫ জন মেয়ের কাছেও আছে।(অনু)
।।।
।।।
ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম হ্যা মোট ৬ জন মেয়ে আছে আমার সামনে। ম্যানেজার ও দাড়িয়ে আছে। মানে ওর কাছেও ক্ষমতা আছে।
.
--তারমানে আমরা এখানে ১৪ জন। আরো একজনকে আমাদের খুজতে হবে।(আমি)
.
--হ্যা। আমরা শেষের জনের খোজেই ছিলাম বেশ কিছু দিন ধরে। কারন সেই আমাদের সবাইকে লিড করবে। একমাত্র তার কাছেই আছে আমাদের সব ক্ষমতাগুলোর জ্ঞান। শুধু সেই পারবে আমাদের সবার সঠিক ব্যবহার করতে।(মেয়েটা আবার বলে উঠলো)
.
--বুঝলাম। কিন্তু আমাদের সবাইকে যদি আবারো এক করা হয় তাহলে একজনই তো বেচে থাকবে তাই না? আমরা তো মরে যাবো সবাই।(আমি)
.
--পুরো দুনিয়ার জন্য তো এই টুকু কোরবানি আমাদের দিতেই হবে। যার কাছে আমাদের সবার ক্ষমতা সম্পর্কে ধারনা থাকবে সেই আমাদের সবার ক্ষমতা গুলো পাবে। আর বাকি সবার জীবনের কোরবানি দিতে হবে।(ম্যানেজার)
.
--আচ্ছা বুঝলাম। তবে আমার মাথা এতো খালি খালি লাগছে কেনো। মনে হচ্ছে আমি ভুলে গেছি কিছু???(আমি)
.
--মাথায় হালকা আঘাতের জন্য এটা মনে হচ্ছে।(অনু)
.
--আচ্ছা সব দেখে তো বুঝলাম আমি কিছুই করতে পারবো না তোমাদের বিরুদ্ধে। আর তোমরা তো আমারই অংশ। ও সরি আমরা তো একই উৎস থেকে হয়েছি। তো তোমাদের দলেই যোগ দিতে হবে আমার।(আমি)
.
--এছাড়া কোনো উপায়ও নাই। আর নতুন কোনো ফন্দি আটার চেষ্টা করেও লাভ নেই। কারন আমাদের মাঝে দুজন টেলিপ্যাথি ক্ষমতা ধারী আছে। তাই ট্রপ নিয়ে ভাবলে খবর আছে।(ম্যানেজার)
.
--আমার একটা প্রশ্ন আছে।(আমি)
.
--কি?(অনু)
.
--আচ্ছা সব যখন আমাদের খোজার ব্যাপারে তাহলে এসব কিডন্যাপিং করার কি আছে?(আমি)
।।।
।।।
আমার কথাটা শুনে সবাই সবার দিকে তাকানো শুরু করলো। বুঝলাম না।
.
--এটা কিভাবে মনে করলে তুমি?(অনু)
.
--কোনটা?(আমি)
.
--কিডন্যাপিং কথাটা?(অনু)
.
--হঠাৎ মনে হলো।(আমি)
.
--ohhh My god।(অনু)
.
--আরে এটা তো আগের পার্টের আমার শেষের লাইন ছিলো।(আমি)
.
--Guys He can block My power।(অনু)
.
--সেটাই তো দেখতেছি।(ম্যানেজার)
.
--বুঝলাম না আমি কিছুই?(আমি)
.
--ওর মাইন্ড পড়ার চেষ্টা করো তো আবার।(ম্যানেজার)
.
--না পুরো সাদা হয়ে আছে এখন।(অনু)
.
--কেউ কি বলবে কি বিষয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে এখানে।(আমি)
.
--তোমার ক্ষমতা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এখানের সবার কাছেই একটা করে ক্ষমতা আছে। বাট তুমি কিছুটা স্পেশাল। তোমার কাছে মাল্টিপাল ক্ষমতা আছে।(অনু)
.
--কি কি ক্ষমতা আছে সেটা আমার মাথায় দেখলেই তো হয়।(আমি)
.
--আগে দেখলে হয়তো পারতাম। বাট তোমার আরেকটা ক্ষমতা আছো যেটা আমার টেলিপ্যাথি ক্ষমতাকে এখন আটকে দিচ্ছে।(অনু)
.
--তাহলে তো এটা খুব ভালো জিনিস।(আমি)
.
--মোটেও না। এটা নিয়ে তোমার ব্যাপারে আমাদের ভয় আরো বেরে যাচ্ছে। একে তো তুমি নিজের ক্ষমতা কন্ট্রোল করতে শিখতে পারো নি। আবার তোমার কাছে মাল্টিপাল ক্ষমতা আছে।(অনু)
.
--তো?(আমি)
.
--আমাদের ব্যাপারে যদি কোনো প্লান করেও থাকো তাহলে কিছু কিছু সময় আমরা সেটা ধরতে পারবো না।(ম্যানেজার)
.
--ওওওও। আমি প্রমিজ করছি সেটা হবে না। কিন্তু আমাকে কিডন্যাপের ব্যাপারে সব বলতে হবে।(আমি)
.
--কিডন্যাপ তো একটা ট্রাপ ছিলো তোমাদের সবাইকে জাল থেকে বের করার জন্য।(অনু)
.
--মানে?(আমি)
.
--মানে একটা ছোট খেলা চলছিলো।(ম্যানেজার)
.
--তাহলে ঔ কিডন্যাপ হওয়া লোকগুলো কোথায়?(আমি)
.
--সব কিছু তাদের জায়গা মতোই আছে। তারা কিডন্যাপ হয় নি কখনো?(অনু)
.
--মানে বুঝতে পারছি না কিছুই?(আমি)
.
--জাদুকররা কি করে। তাদের ইলুশন দিয়ে সবাইকে জাদু দেখাই। আর তেমনি ক্ষমতা আমার ও আছে। আমি লোকজনকে এমন সব কিছু দেখাতে পারি যেটা আমি চাইবো।(ম্যানেজার)
.
--আমি পাগল হয়ে যাবো এবার সত্যি। তাহলে এতোদিন সবাই মিথ্যা ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলো যেটা কখনো হয়নি।(আমি)
.
--হ্যা। সব আগের মতোই আছে। শুধু লোকজনের মনে নতুন একটা স্বপ্ন ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম আমি।(ম্যানেজার)
.
--এসব ছিলো তোমাদের সবাইকেই বের করার জন্য। আমাদের এই সব ইলুশনের ব্যবহার আমরা অনেক আগে থেকেই করে আসছি। কারন আমার ম্যানেজার বলে যাকে জানো ওর নাম হাসান। আর ও আমার সাথে তোমাদের সবার আগে থেকেই। ওর সাহায্যেই তোমাদের সবাইকে এক এক ইলুশনের ব্যবহার করে বের করতে পেরেছি। ভেবেছিলাম এই কিডন্যাপিং এর ইলুশন ব্যবহার করে শেষ দুজনকেও বের করবো। কিন্তু বের হলো একটা। মানে আমাদের আরো একটা ইলুশন এর প্লান করতে হবে।(অনু)
.
--সেটা কি?(আরেকটা মেয়ে বলে উঠলো)
.
--তিথি তুমি এবার তোমার ক্ষমতা ব্যবহার করো। ১৪ জন তো হয়েই গেলো। শেষের জনকে খুজতে এবার তোমার ক্ষমতা ব্যবহার করতেই হবে।(অনু একটা মেয়েকে বললো)
.
--ঠিক আছে অনু। আমি চেষ্টা করছি।(হঠাৎ করেই মেয়েটার চোখ সাদা হয়ে গেলো। এবং সে হাওয়ায় বসে পরলো)
.
--আচ্ছা আমাকে কি এভাবেই রাখবে নাকি ছারবেও?(আমি)
.
--এটা তোমার শাস্তি৷ কারন খুব গুরুতর আঘাত করেছো আলিফকে তুমি। ওর কানের পর্দা দুটো ফাটিয়ে দিয়েছো। যদিও আশা সেটা হিল করে দিতে পারবে রাতে। কিন্তু এটার জন্য এভাবে এক রাত পরে থাকায় তোমার শাস্তি।(অনু)
.
--কি?(আমি রেগে গেলাম অনেকটা)
.
--ঠিক আছে আমি সবার কান ফাঠিয়ে দিচ্ছি।(আমি)
.
--আচ্ছা খুলছি।(অনু)
.
--সাদি ওকে ছেড়ে দাও।(হাসান)
.
--ঠিক আছে।(সাদি)
.
--আচ্ছা এরা সবাই চুপচাপ কেনো?(আমি)
.
--এরা আমাদের কথায় রাজি হয় নি। তাই আমি আর আশা দুজনে টেলিপ্যাথি ক্ষমতা দিয়ে এদেরকে নিয়ন্ত্রন করছি। আমরা না চাইলে এর কিছু বলবে না।(অনু)
.
--ওওওও। সেটা তো ভালো কথা। কিন্তু এই মেয়েটা এখানে বসে ইয়োগা করছে কেনো?(আমি)
.
--এটা ইয়োগা না। সে ভবিষ্যতের ভিশন দেখতে পারে। তার ক্ষমতার ব্যবহার খুবই ভয়ানক হতে পারে। এজন্য সেটা আমরা আগে কখনো ব্যবহার করি নি। কিন্তু এবার আমাদের করতেই হবে।(অনু)
.
--wow কুল জিনিসটা।(আমি)
।।।।
।।।।
কেউ আর কিছু বললো না আমায়। হঠাৎই তিথি ইয়োগা থেকে উঠে দাড়ালো। এবং বলতে শুরু করলো।
.
--অনু আমরা খুব বড় বিপদে আছি।(তিথি)
.
--কেনো কি হয়েছে?(অনু)
.
--যাকে আমরা খুজছি। সে এতোটাই ভয়ঙ্কর যে তার কাছে আমরা সবাই কিছুই না।(তিথি)
.
--মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি?(অনু)
.
--The Dark Prince।(অনু)
.
--Ohhh mY godddddd....(এবার আমি বাদে ওরা সবাই বলে উঠলো)
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।