ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ড্রাগন কিং পর্বঃ ০৮

Bangla Dub Novels
 

#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ৮ম
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।

মহারাজ আপনি ওদের প্রস্তাব না রাখার কারনে,ওরা আমাদের ওপর প্রচন্ড ভাবে ক্ষেপে আছে। যার কারনে ওরা আমাদের সাথে যুদ্ধে নামতে চাচ্ছে(সেনাপ্রতি)!
,
কিহ্ হোয়াইট ড্রাগনদের এ-তো বড় সাহস। যে আমাদের সাথে যুদ্ধে নামতে চায়,ওরা যদি আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চায়,তাহলে যুদ্ধের জন্য সব প্রস্তুতি করো। এবার ওদের বুঝিয়ে দেব যে,ব্লাক ড্রাগন কিং কি জিনিস(ব্লাক ড্রাগন কিং)!
,
,
কিং ব্লাক ড্রাগনরা আমাদের সাথে যুদ্ধে নামতে রাজি হয়েছে,তারা সবাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে(মন্ত্রী)! 
,
ওহ্ আচ্ছা ঠিক আছে। আমাদের যুদ্ধে বিজয় হওয়ার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার সবকিছু ঠিক করো(কিং হরলিং)!
,
কিং আমরা কি ওদের শক্তিশালী সৈনিকদের সাথে পারব। ওদের শক্তির কাছে তো আমাদের সৈন্যরা একমুহূর্তও টিকতে পারবেনা(মন্ত্রী)!
‌‌,
সেটাতো যুদ্ধের ময়দানেই ভালোভাবে দেখা যাবে,কে বেশি শক্তিশালী(কিং হরলিং)!
,
জি আচ্ছা কিং,যুদ্ধের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছি(মন্ত্রী)!
,
ঠিক আছে যা-ও(কিং হরলিং)!
,

,
কিং আপনি এ-তো দুশ্চিন্তা করছেন কেন(কুইন এলিহা)!
,
আমার চিন্তার মূল কারন হলো,এবলিং কে নিয়ে। কারন সে রেগে গেলে সে নিজের কন্ট্রোলের বাহিরে চলে যায়। তাই তাঁকে নিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে। যা-ই হোক এবলিং কি এসেছে নাকি এখনো আসেনি(কিং হরলিং)!
,
এইতো আমি এসে গেছি(অচেনা ব্যক্তি)!
,
তাঁকে দেখা মাএই কুইন এলিহা তার দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। তাঁর সামনে গিয়ে তাঁকে তার বুকে নিয়ে নিল। আর বলল যে,
,
বাবা তুই কেমন আছিস(কুইন এলিহা)!
,
জি অনেক ভালো আছি,তুমি কেমন আছো(এবলিং)!
,
এইতো যেমন দেখছিস(কুইন এলিহা)!
,
কুইন এলিহা তাঁর পুএ এবলিং কে ছেড়ে দিয়ে দাঁড়াল। আর এবলিং গিয়ে তাঁর পিতা হরলিং এর দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই কিং হরলিং তাঁর পুএ এবলিং কে একটানে তাঁর বুকে নিয়ে নেয়।
,

,
তারপর তাদের মধ্যে হাল্কা একটু কথাবার্তা হয়। তার পর যে যাঁর রুমে চলে যায় বিশ্রাম নিতে। কারন সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই। রাতের বেলা সবাই খাবার খাওয়ার জন্য ভোজন কক্ষে যায়। তখন তাদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা হয়।
,
আচ্ছা আব্বু আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন ছিল তোমার কাছে(এবলিং)!
,
খেতে খেতে বলল হ্যা বলো,কি সেই প্রশ্ন(কিং হরলিং)!
,
ব্লাক ড্রাগন কিং এর কোন ধরনের এট্রিবিউট সবচেয়ে শক্তিশালী(হরলিং)!
,
ডার্ক পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী,আর সবসময় এটা ইউস করতে ও বেশি ভালোবাসে(কিং হরলিং)!
,
ওহ্ আচ্ছা,ওর ডার্ক পাওয়ার যতোই শক্তিশালী হোক না কেন,আমার কাছে সেটা কোনো ব্যাপারই না(এবলিং)!
,
সেটা তো আমি জানিই। কালকে সকালে কিন্তু ওদের সাথে আমাদের যুদ্ধ ঘোষনা করেছি,আর পরের টুকু তুমার ওপর ছেড়ে দিলাম আমি(কিং হরলিং)!
,
আচ্ছা ঠিক আছে(এবলিং)!
,
আর তাদের বাবা ছেলের কথা কুইন এলিহা এতোক্ষন হা করে শুধু শুনেই যাচ্ছিল। তাদের কথা শেষ হতেই সে বলতে শুরু করল,
,
এ-ই যুদ্ধের মধ্যে কিন্তু আমাদের অনেক সৈন্যের মৃত্যু হতে পারে,সেটা কি তোমরা কেউ ভেবে দেখেছো,আমি চাইনা আমাদের সৈন্যদের কোনো ক্ষতি হোক(কুইন এলিহা)! 
,
আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু,কথা দিলাম আমাদের কোনো সৈন্যেরই কালকে প্রান দিতে হবে না (এবলিং)!
,

,
খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে সবাই যে যার মতো নিজের রুমে চলে গেল। 
,
নিজের রুমে বসে এবলিং ভাবতে লাগলো যে,কালকে যুদ্ধের ময়দানে কি করে ব্লাক ড্রাগন কিং কে তারাতাড়ি শেষ করা যাবে।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে যেন তার কি হলো,সে তাঁর বিছানা থেকে লাফ দিয়ে ওঠে জানালার দিকে দৌড় দিল। জানালার কাছাকাছি যেতেই সে লাফ দিয়ে দিল। সে তাঁর নিজের মানুষ ফর্ম ছেড়ে ড্রাগন ফর্মে চলে আসল।সে তাঁর নিজ রাজ্য ছেড়ে সামনের জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। 
,

,
এবলিং তাঁর ড্রাগন ফর্মে থাকার কারনে আকাশে উড়তে তার কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে না। সে  একটা জঙ্গলের উপর দিয়ে উড়ছে। সে আকাশে উড়া অবস্থায় নিচের জঙ্গলের ভেতর কিছু একটা খুঁজে বেড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে,সে এতো অন্ধকারের মধ্যেও সবকিছু একদম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। জিনিস টা অবাক করার মতো। সে এই ঘন জঙ্গলের মধ্যে কিছু একটা অনেক্ষন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছে,কিন্তু সেটা পাচ্ছে না।
,

,
হঠাৎ করেই সে কিছু একটা মনে করে নিচে জঙ্গলের দিকে প্রচন্ড স্পিডে নামতে লাগলো। পুরো জঙ্গলের মধ্যে শুধু মাএ একটি জায়গায় খুবই পরিষ্কার,মানে তাঁর আশেপাশে কোনো গাছগাছালির ছিটি ফুটাও নেই। এবলিং সেখানে নামতে লাগলো। যখন সে মাটির সামান্য একটু ওপরে তখনই সে নিচের দিকে না নেমে ওপরের দিকে ওঠল। ঠিক তখনই সে তার ড্রাগন ফর্ম ছেড়ে  মানুষ ফর্মে চলে আসে,সে মাটির একটু ওপরে থাকার কারনে মাটিতে নামলো। এতে ধুপ করে শব্দ হলো। সে মাটিতে নামার পর সেই খোলা স্থানের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। কিছু একটা মনে করে সেখানেই দাঁড়িয়ে গেল,তখনই তার কান দুটো খাঁড়া হয়ে গেল। কিছু একটা শুনতে পাচ্ছে সে,হ্যা কেউ একজন খুব সুন্দর করে বাঁশি বাজাচ্ছে। যেটার আওয়াজ সে তার নিজ কামরা থেকে শুনেছিল হাল্কা একটু। কে এতো সুন্দর করে বাঁশি বাজাচ্ছে,সেটা দেখার জন্যই সে এতো কষ্ট করে এই পযন্ত এসেছে। আওয়াজ টা কোন দিক থেকে আসছে সেটা বুঝতে পাওয়া মাএই সে হাওয়ার বেগে সেই দিকে যেতে লাগল। খোলা স্থানটা অনেক বড়,মানে এটাকে একটা বিশাল বড় মাঠ বলা যায়,বিশেষ করে এই জায়গাটা যুদ্ধের ময়দানের হিসেবে অনেকটাই উপযুক্ত। হয়তো-বা কালকের যুদ্ধ টাও এখানে হবে,মনে হচ্ছে। 
,

,
হাওয়ার বেগে দৌড় দিলাম আওয়াজ টা অনুসরন করে,তখনই দেখলাম যে কেউ একজন বিরাট বড় একটা গাছের নিচে বসে বসে মনের শান্তিতে বাঁশি বাজাচ্ছে। একটু ভালো করতেই খেয়াল করলাম যে,যে বাঁশি টা বাজাচ্ছে সে একজন মেয়ে। ঘন-কালো লম্বা চুল,বাতাসের কারনে চুল গুলো সব উড়ে বেড়াচ্ছে। তার শুধুমাএ একটা চোখ দেখা যাচ্ছে,আরেকটা চোখ দেখা যাচ্ছে না,তার ডান চোখটা দেখতে পেল এবলিং। গাড়ো কালো,যেটার কারনে মেয়েটাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। 
,

,
এবলিং এটা তো দেখা মাএই পুরো ফিদা হয়ে গেল তার প্রতি। সে অবাক চোখে সেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তাঁকে মন ভরে দেখতে লাগলো। সেই মেয়েটার ঠোঁট দুটো গোলাপি রঙের,কিভাবে সে ওই ঠোঁট দিয়ে বাঁশিতে সুর দিচ্ছে,এবলিং সেটা দেখতে লাগল। এভাবে কতক্ষন সে দাঁড়িয়ে ছিল,সেটা সে নিজেও জানেনা। মেয়েটাকে দেখার পরপরই সেই মধুর বাঁশির সুরের মধ্যেই তাকে নিয়ে স্বপ্নের দেশে হারিয়ে গেল। 
,

,
হঠাৎ করে বাঁশির সুর বন্ধ হয়ে গেল, তখনই তার স্বপ্ন দেখা টা ভেঙে গেল,আর তখনই সে তারাতাড়ি করে সামনের মেয়েটার দিকে তাকাল। আর সাথে সাথে প্রচন্ড রকমের অবাক হলো,তার কারন হলো সেই মেয়েটা সেখানে তখন ছিলোই না,শুধু মাএ গাছ টাকে দেখতে পেল,সেটা তার নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সে দৌড়ে সেই গাছটির কাছে চলে গেল,আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলো যে,মেয়েটা আসলে গেলো তো গেলো কোথায় এ-তো তারাতাড়ি। নাকি ভূত প্রেত ছিল,না তা হবে কেন ভূতেরা কি আর এতো সুন্দর করে বাঁশি বাজাতে পারে নাকি।
,

,
এবলিং নিজে নিজেই মেয়েটার কথা ভাবতে লাগলো। এ-তো সুন্দর করে যে কেউ বাঁশি বাজাতে পারে,সেটা এবলিং কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেনি। 
,

,
সে তাঁর আশেপাশে আরেকটি বারের জন্য তাকিয়ে দেখতে লাগলো যদি মেয়েটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায় সেই আশায়। কিন্তু সেই মেয়েটার কোনো হদিস আর পেলো না। সে তার মাথাটা নিচু করে ফেলল মন খারাপ করে। হঠাৎ ই তাঁর যেন কি হলো,সে তারাতাড়ি করে মাথাটা উঁচু করে আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগল। আশেপাশে ভালোভাবে লক্ষ্য করেনি এতোক্ষন কিন্তু এখন ভালোভাবে লক্ষ্য করে একটা জিনিস বুঝতে পেরে প্রচুর অবাক হলো। আর নিজে নিজেকেই বলল,
,
আরে আমি তো আমার রাজ্য ছেড়ে ব্লাক ড্রাগন দের সীমানায় এসে পড়েছি। আমি এতো বড় এতো বড় একটা ভুল কিভাবে করলাম। এইসব কথা সে নিজে থেকেই চিন্তা করছিল।
,

,
এ-সব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে যখনই সে আকাশের দিকে উড়াল দিবে,ঠিক তখন-ই তাঁর 
কিছু একটা মনে পড়ে গেল। ততক্ষনাৎ সে সেখানেই দাঁড়িয়ে গেল। আর ভাবতে লাগলো যে,,,,
,
কেবলমাএ আমার মাথা কাজ করছে,
এতোক্ষন যেই মেয়েটা বাঁশি বাজাচ্ছিল,সে ব্লাক ড্রাগন। তাঁর প্রমান হলো তার চুল গুলো ছিল একদম কালো(যাঁরা ব্লাক ড্রাগন তাদের সবার চুল একদম কালো,আর যাঁরা হোয়াইট ড্রাগন তাদের সবার চুল একদম সাদা)।
,

,
আমার জন্য সব হোয়াইট ড্রাগন মেয়েরাই পুরো পাগল। যেখানে আমি কাউকে পাওা দেয় না,সেই আমি কিনা শেষ মেষ একজন ব্লাক ড্রাগনের প্রেমে পড়লাম। এটা কি করে সম্ভব। না এটা আমি কোনোভাবেই মানতে পারছিনা। যাকে পুরো ভাবে না দেখে তাঁর ব্যপারে কোনো কিছু না ভেবে কি করে তাঁকে আমি পছন্দ করে ফেললাম। আমার দ্বারা এতো গুলো ভুল কি করে হলো।
,

,
প্রথম ভুল করলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে জানিয়ে নিজের ঘর থেকে বের হওয়া।   
,
দ্বিতীয় ভুল করলাম নিজ রাজ্যের সীমানা ছেড়ে শএু ব্লাক ড্রাগনদের সীমানায় প্রবেশ করা।
,
তৃতীয় ভুল করলাম নিজের জন্মগত শএু ব্লাক ড্রাগনদের কাউকে প্রথম দেখাই তার প্রতি প্রচুর পরিমানে আকৃষ্ট হওয়া। 
,
নিজেকে ভবিষ্যৎ হোয়াইট ড্রাগন কিং মনে করতে লজ্জা করছে অনেক। তাঁর কারন হলো,একজন কিং কোনো সময় ভুল করে না,আর কোনো সময় ভুল সিদ্ধান্তও নেয় না।
,

,
এসব ভাবতে ভাবতে এবলিং নিজেকে আস্ত বড় একটা গাধা মনে করছে। যা হওয়ার হয়েছে এটা নিয়ে এবলিং আর  ভাবতে চায়না। অনেক রাত হয়েছে,এবলিং আর এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে চায়না। সে তাঁর মানুষ ফর্মে আছে এখন,তারপরও এবলিং হাল্ক মুভির হাল্কের মতো বিশাল বড় একটা জাম্প দিলো,এতে এবলিং মাটি থেকে প্রায় ৫০ ফুট ওপরে ওঠে গেলো। তখনই এবলিং তার ফর্ম চেঞ্জ করে ফেললো। সে তাঁর মানুষ ফর্ম থেকে ড্রাগন ফর্মে চলে গেলো। আর ড্রাগন ফর্মে উড়তে তাঁর কোনো সমস্যা না থাকার কারনে,সে বেশ কিছুক্ষন আকাশে বুকে উড়ে বেড়াচ্ছিল।
,

,
কিছুক্ষন বাদেই এবলিং তাঁর নিজ রুমে গিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো,
আচ্ছা সেই মেয়েটা দেখতে কেমন,তাঁর চোখ আর ঠোঁট দুটো না কতোই সুন্দর,তাহলে তাঁর চেহারাটাও কি খুবই সুন্দর নাকি খুবই ভয়ংকর। 
,
সে যা-ই হোক,আমাকে এ-সব বিষয়ে চিন্তা করা যাবেনা এখন,আমাকে শুধু কালকের যুদ্ধের কথা ভাবতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে এবলিং ঘুমিয়ে গেল।

,,,,,,,,,,,,,,,,,(শব্দ সংখ্যা ১৫৪১),,,,,,,,,,,,,,,,

।।
।।।
।।।।
।।।।।

৮ম পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। হাল্কা একটু আওলা যাওলা হতে পারে,কারন পর্বটা এভাবেই সাজাতে হচ্ছে আমাকে। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। 
★হ্যাপি রিডিং★

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.