#সিজন_৪#
পার্টঃ০৭
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।
।।।।
।।।।
বেশ কিছুক্ষন ঘুরলাম জারাকে নিয়ে। এতোটা সময় একা ওর সাথে কাটানোর সুযোগ পাবো সেটা আগে ভাবতে পারি নাই। এখন অনেকটা ভালো লাগছে। দেড় ঘন্টার মতো সময় কাটিয়ে আমি জারাকে নিয়ে চলে গেলাম জিসান ভাইয়ের বলা রেস্টুরেন্টে। আগে থেকেই সেখানে জিসান ভাই আর হৃদি বসে ছিলো। আমরা দুজন যোগ দিলাম তাদের সাথে। সেখান থেকে আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। এবং সোজা শপিং মলে ঢুকে গেলাম। সেখান থেকে ইচ্ছামতো শপিং করে নিলাম। এর মধ্যে হৃদি আর জারাকেও বলা হয়েছে আমাদের জাপানে যাওয়ার কথা। হৃদি মন খারাপ করেছে কারন ওর ও যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু জারা আমাদের জাপান টুরের কথা শুনে কিছুটা ভাবনায় পরে গেলো। আমি ওকে একটু সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার পরই ও আর কিছু বললো না। সেদিনের মতো বাসায় চলে আসলাম। পরের দিন খুব সকাল সকাল আফজাল আঙ্কেলের পরিবার চলে আসলো আমাদের বাসায়। আজ যে আমার আর হৃদির জন্মদিন। তাই সবাই এসেছে। জারা এসে সেই সকাল থেকে আমার রুম খুজে যাচ্ছে। কিছু একটা মনে হয় ও খুজছে। কিন্তু কি খুজতেছে সেটা আমি বুঝতে পারতেছি না।
.
--কি খুজতেছো তুমি?(আমি)
.
--তোমার গলায় কাল একটা চেইনের মতো কিছু একটা দেখেছিলাম।(জারা)
.
--ওওও হ্যা।(আমি গলায় হাত দিয়ে দেখলাম রকেটটা নাই সেখানে)
.
--আরে আমার গলাতেই ছিলো রকেটটা। আচ্ছা তুমি খুজতেছো কেনো ঔটা?(আমি)
.
--কালকে দেখলাম তোমার গলায় সেটা। কিন্তু আজ দেখছি না তাই।(জারা)
.
--তাই বলে সেটা রুমে এভাবে খুজতে হয়?(আমি)
.
--না ঔটা ভালো লেগেছিলো আমার। তাই খুজতেছিলাম।(জারা)
.
--ওওওও। মনে হয় কালকে কোথাও পরে গেছে ঔটা। আমি নাহয় ঔটার মতোই একটা তোমাকে কিনে দিবো।(আমি)
।।।।।
।।।।।
একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে জারা শুধু মাথা নারলো। এরপর আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে ও হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে পরলো। বুঝলাম না মেয়েটা রকেটের মধ্যে কি দেখলো। আচ্ছা সেসব বাদ দি। সবার সাথে কথা বলি গিয়ে। এক মাসের জন্য আমি তো আর বাংলাদেশে থাকবো না। জাপানে যাচ্ছি অনেক ইচ্ছা মার্শাল আর্ট শিখার। দেখা যাক শিখতে পারি কিনা। এবারের জন্মদিন অনেক স্পেশাল হলো। কারন এতো মজা লাইফে করি নাই। আমার বোন তো আছে সাথে আছে আমার নিজের বউ। সেই সাথে দুলাভাইও আছে বটে।
।।।।
।।।।
।।।।
পরের দিন। আমি আর জিসান ভাই বসে আছি বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর একটা বিমানে। একটু পরই বিমানটা টেক অফ করবে। সিট বেল বেধে আমি আর জিসান ভাই মজা করছিলাম। আমাদের ভিশা কালকে বিকালে দিয়ে গিয়েছিলো একটা লোক। জাপানের ট্রিপ কেমন হবে জানি না। লোকটা কি বলবে আমাকে সেটা লোকটা ছাড়া আর কেউই হয়তো জানে না। আমরা জাপানের টোকিও শহরের এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলাম। পৌছাতে পৌছাতে পুরো ৯ ঘন্টা লেগে গেলো। পুরো ক্লান্ত আমরা এখানে এসেই। আমাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও ডক্টর সুচিরান করে রেখেছেন। উনাকে আমি আরো উনাকে ফোন করছিলাম। কিন্তু উনার ফোন বন্ধু বলছে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি তো ভেবেছিলাম আমাদের নেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে আসবে। কিন্তু সেটা হলো না।
.
--এখন কোথায় যাবো?(জিসান)
.
--একটা হোটেলে যেতে হবে।(আমি)
.
--কোন হোটেলে?(জিসান)
.
--দ্যা শিয়ান এ সুচিরান এর পেইন্টিং এর এক্সিবেশন হবে। আর আমাদের থাকার ব্যবস্থাও সেখানে করা হয়েছে।।(আমি)
.
--আচ্ছা চল।(জিসান)
।।।।
।।।।
একটা টেক্সি নিলাম আমি আর জিসান ভাইয়া। ব্যাগ শুধু আমাদের দু কাধে দুটো। এছাড়া অন্য কোনো কিছু বহন করতে ভালো লাগে না। যাওয়ার সময় ঠিকই বহন করতে হবে। আমি টোকিও শহরের সুন্দর্য দেখতে লাগলাম। চারিদিকেই উন্নত ভবন এবং সে ভবন গুলোতে বিশাল বিশাল টিভি লাগানো আছে। রাস্তার উপর দিয়ে হয়তো ঔটা ট্রেনের রাস্তা। অনেক সুন্দর লাগছে। সুচিরানের দেওয়া ভিশার সাথে দুটো টিকিট ও ছিলো। সেখানে লেখা ছিলো হোটেল দ্যা শিয়ান। আর সেখানেই বিশাল এক্সিবেশন এর কথা লেখা আছে। হয়তো আমি যে চাপা ছেড়েছি সেটার জন্যই সুচিরান আমাকে এখানে ডেকেছে। হয়তো আমার পেইন্টিং এর আসল কারিগর কে দেখানোর জন্য আমাকে এখানে আনা। জানি না তবে শুনেছি পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এক্সিবেশন এর মধ্যে এটি একটি। প্রতি পাচঁ বছর অন্তর অন্তর তিনি নাকি এক্সিবেশন এর ব্যবস্থা করে। wikipedia তে চোখ রাখার ফলে এই ছোট খাটো বিষয় গুলো আমি জানতে পেরেছি। সবচেয়ে দামী এবং রহস্যময় জিনিসই তার এক্সিবেশনে স্থান পাই। হয়তো আমার পেইন্টিং টাও রহস্য ময়। জানি না সেটা তো তার সাথে দেখা করেই বুঝতে পারবো। দেখি গিয়ে কি বলে সে। আমি আর জিসান ভাইয়া দুজনেই নামলাম দ্যা শিয়ান হোটেলের সামনে। এতোক্ষন টোকিও শহর দেখতে দেখতে চোখ ঝুড়িয়ে গেছে। টেকনোলজির দিক দিয়ে জাপান কতটা উন্নত সেটা আমি এখানে এসেই দেখতে পেলাম। এরা সব ধরনের চেষ্টা করে থাকে আরো উন্নত হওয়ার জন্য। আমরা ১৫ তলা একটা ভবনের নিচে দাড়িয়ে আছি। ভবনের তলা গুনবো কি ভিতরে যাবো বুঝতে পারছিলাম না।
.
--হৃদু এটা কিরে। হোটেল নাকি?(জিসান)
.
--হ্যা উপরে দেখো বড় করে লেখা আছে। হোটেল দ্যা শিয়ান।(আমি)
.
--এতো বিশাল।(জিসান)
।।।।
।।।।
আসলেই প্রতিটা তলা অনেক বড়। দেখে মনে হবে না একটা তলা সেটা। ভিতরে মনে হয় বিশাল বিশাল রুম থাকতে পারে। আমরা দুজন ভিতরে ঢুকলাম টেক্সির ভাড়া দিয়ে। এয়ারপোর্ট থেকেই এ দেশের কারেন্সি বের করে এনেছি। নাহলে চলবো কি করে? ভিতরে গেইটে সয়ংক্রিয় মেশিন লাগানো আছে। আমরা কাছে যেতেই সাথে সাথে সেটি খুলে গেলো। ভিতরে ঢুকতেই এসির হাওয়া খেতে লাগলাম। এতোক্ষন গাড়িতে এসির মধ্যে ছিলাম। বাইরে বের হয়ে অনেক গরম লাগছিলো। কিন্তু এখন ভালোই লাগছে। আবারো এসির মধ্যে ঢুকে পরছি। সামনেই বিশাল কাউন্টার। সেখানে জাপানি চারটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। তাদের সাহায্য করার জন্য তাদের পাশে দুটো রোবট দাড়িয়ে আছে। আমি আর জিসান ভাই এগিয়ে গেলাম কাউন্টারে একটা মেয়ের দিকে।
.
--স্বাগতম স্যার। আমি সু হো । আপনাদের কিভাবে সাহায্য করতে পারি?(সু হো)
.
--জ্বী আমরা এখানে ডক্টর সুচিরান এর এক্সিবেশন এর ইনভাইটে এসেছি।(আমি)
.
--ও তাহলে আপনারা স্যারের গেষ্ট। আপনাদের কাছে তো তাহলে দুটো টিকিট আছে সেটা আমাকে দিন।(সু হো)
.
--জ্বী।(আমি টিকিট দিয়ে)
.
--এই নিন। এই দুটো হলো আপনাদের রুমের কি-কার্ড। আপনাদের ১৪ তলায় ৭০৫ তম রুম।(সু হো)
.
--ধন্যবাদ।(আমি কার্ড দুটো নিয়ে)
.
--স্বাগতম স্যার। যেকোনো সময় কোনো সাহায্য লাগলে কিংবা খাবারের জন্য রুমে থাকা ল্যান্ড লাইন থেকে ১২৩ ডায়াল করে কল করবেন।😊😊😊😊(সু হো)
.
--ঠিক আছে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমরা কি-কার্ড নিয়ে চলে আসলাম লিফটের সামনে। সিড়ি বেয়ে উঠা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারন ১৪ তলা উঠতে উঠতে জান বের হয়ে যাবে। লিফটে উঠলাম আমরা দুজনে। এরপর সোজা ১৪ তলা। লিফট থেকে বের হওয়ার পরই চার রুম বাদে আমাদের ৭০৫ নং রুম। আমি আমার কি-কার্ড দরজার সামনে ধরলাম। সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো।
.
--জাপান কত এগিয়ে গেছে দেখছোস টেকনোলজির দিক দিয়ে।(জিসান)
.
--হুমমম। সব কিছুতেই এদের অবদান আছে।
.
--তো বিকালে কি বের হবি??(জিসান)
.
.
--হ্যা বিকালে আশে পাশের শপিং মল ঘুরে কিছু জামাকাপড় কিনে নিতে হবে। জাপানিদের জামাকাপড় দেখতে কিন্তু ভালোই লাগে।(আমি)
.
--ওওও কাল কোথাও যাবি?(জিসান)
.
--কালকে কোথাও যাওয়া হবে না। কারন কালকেই এক্সিবেশন হবে। আর আমাদের এই হোটেলেই থাকতে হবে।(আমি)
.
--ওওও। আর এটা রুম নাকি রাজমহল।(জিসান)
.....
.....
আমি এবার রুমে তাকালাম। আসলেই এতো সুন্দর কোনো হোটেলের রুম আমি দেখি নাই। এমন একটা রুমের এক রাতের ভাড়া দিতে গেলেই মনে হয় আমি ফকির হয়ে যাবো। চারিদিক আলোকিত আলোতে। সোফা গুলো সুন্দর করে সাজানো আছে। বেডরুম মনে হয় দুটো। ভাইয়া একটাতে গেলো। আরেকটাতে আমি গেলাম। প্রথমে ব্যাগটা রাখলাম। রুমের বিশাল বেড দেখে আমার কিছুক্ষন লাফাতে মন চাইলো। যেই ভাবা সেই কাজ। লাফালাফি শুরু করে দিলাম। এতো নরম আর স্প্রিং এর বিছানা আগে পাই নি। লাফিয়ে মনে হচ্ছিলো আমি ট্রাম্পোলিং এর উপরে লাফাচ্ছি। সে যায় হোক। লাফিয়ে শরীর আরো ক্লান্ত হয়ে গেলো। সময়টা সকাল ৯ টা এখন। সারারাত প্লেনে ঘুমিয়েছিলাম। তারপরও ঘুমে চোখ ঘিরে ধরছে। আজকে বিকালে বের হওয়া যাবে। কিন্তু এখন ঘুমাতে হবে। সকালের খাবার এয়ারপোর্টেই খাওয়া হয়ে গেছে। এখানের খাবার গুলোর একটু আজব। সবজি গুলো বেশী শিদ্ধ করা হয় না। একটা ভুনা মাছ দিয়ে বিশাল চাদের সাইজের দুটো রুটি খেয়েছিলাম। রুটি গুলো খেয়ে আমার ভালো লেগেছে। জানি না নাম কি ছিলো ঔটার। তবে অনেক নরম ছিলো। এখানের সব ধরনের খাবারই ট্রাই করে দেখতে হবে। কিন্তু তার আগে গোসল করে এসে ঘুম দিতে হবে। আমি চলে গেলাম ঘুমাতে। এক ঘুমে দুপুর হয়ে গেলো। ঘুম ভাঙলো জিসান ভাইয়ার ডাকে।
.
--ঔ কি খাবার খাবি?(জিসান)
.
--অর্ডার করো তোমার মন মতো।(আমি ঘুমের ঘোরে বল্লাম)
.
--ঠিক আছে আমি দুটো ইতালিয়ান খাবার অর্ডার করতেছি।(জিসান)
.
--ঠিক আছে করো। তবে সাথে দুটো ড্রিঙ্কস ও রেখো।(আমি)
.
--ঠিক আছে।(জিসান)
।।।।
।।।।
আমি উঠে গিয়ে ফ্রেস হয়ে গেলাম। হলরুমে বসে পরলাম। অনেক বড় একটা রুম। মোট তিনটা সোফা পাতা আছে। আর সামনে বিশাল সাইজের একটা টিভি। টিভির সাথে PS4 এর কানেকশন দেখে কিছুটা লোভ হলো আমার। টিভির নিচে লম্বা টেবিল আছে। সেটার ড্রয়ার খুলে পেয়ে গেলাম গেমের কন্ট্রোলার+কিছু গেমসের ডিক্স। আমাদের দুজনকে আর আটকায় কে। দুজনেই গেমে মত্ত হয়ে গেলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের খাবারও চলে আসলো। ভাইয়া নাকি ইতালিয়ান অর্ডার করেছে। দেখি কি অর্ডার করেছে। একটা গাড়ির মতো কিছু একটা দিয়ে গেছে আমাদের কাছে। সেটার মধ্যেই খাবারের সব ডিশ গুলো রয়েছে। মনে হয় খাবার গুলো খেয়ে বাইরে রেখে দিতে হবে এটা। আমি একটা ডিশ খুলেই অবাক হয়ে গেলাম। কারন ভিতরে স্যুপের মতো কিছু একটা। পাঁচ টা পরিচিত জিনিসও দেখতে পাচ্ছি। কেমন শামুক শামুক লাগছে।
.
--এইটা কি?(আমি)
.
--মেনু বুকে দেখলাম এটাকে শর্পেন স্যুপ বলা হয়।(জিসান)
.
--শামুক খেতে হবে শেষমেষ। ভালো জিনিস কি অর্ডার করতে পারো নাই? আর এটা তো স্যামপেইন মনে হচ্ছে। আমি তো সাধারন সোডা ড্রিঙ্কসের কথা বলেছিলাম। তুমি তো সোজা নেশা ধরাবা।(আমি)
.
--খেয়ে দেখ ভালো লাগবে।(জিসান ভাই)
।।।।
।।।।
এটা বলেই জিসান ভাই গপগপ করে খাওয়া শুরু করে দিলো। দুটো শামুকের মাথা খাওয়ার পর পরেরটা দিতে উনার কষ্ট হচ্ছিলো। তারপরও সম্মান বাচানোর জন্য উনি খেয়ে নিলেন। এরপর স্যামপেইন এর বোতলটা খুলে সেটা থেকে ড্রিঙ্কস করতে লাগলো। আমার দেখে ড্রিঙ্কস করতে মন চাইলো কিন্তু এই শামুক খেয়ে তো আর সেটা খেতে মন চাচ্ছে না। আমি আমার রুমে চলে আসলাম। ল্যান্ড লাইনের যে ফোন আছে সেটার পাশেই একটা বই রাখা আছে। সব খাবারের মেনু আছে সেখানে। আমি সেখানে খুজতে লাগলাম। মন মতো জিনিস পেয়ে গেলাম। কাচ্চি বিরিয়ানীর মতো একটা খাবার দেখলাম যেটাকে আমি অর্ডার করলাম। সাথে কোকাকোলার দুটো বোতল। আবারো এসে আমি গেমস খেলতে লাগলাম। জিসান ভাই কেমন জানি করছে এখন। উনার মনে হয় নেশা চরতেছে আসতে আসতে। শুনেছি স্যামপেইনে নাকি তেমন নেশা নাই। কিন্তু প্রথম প্রথম খেলে অনেকটা নেশায় পড়তে হয়। একটু পরই আবার আমার খাবার চলে আসলো। সোফায় পা দুটো ভাজ দিয়ে বসে পরলাম। এক প্লেটে মুরগীর কয়েকটা রোষ্ট করে আনা হয়েছে। আরেক প্লেটে শুধু বিরিয়ানী। জাপানী বিরিয়ানী যে এতো সুন্দর হবে আমি ভাবি নি। ভিতরে এমন মশলা ব্যবহার করা হয়েছে যেটা শুধু স্বাধ নই বরং ঘ্রানও সুন্দর করে দিয়েছে। কয়েকটা প্যাকেট সস ও রয়েছে। বিরিয়ানী খাওয়ার মজার জিনিস এই সস। অনেকেই জানে না হয়তো বিরিয়ানী সস দিয়ে অনেক মজার হয়। আমি তো পুরো ৮ টা রোষ্টই শেষ করে দিলাম। জিসান ভাইয়া শুধু তাকিয়ে দেখছিলো আমার খাওয়া। অবশেষে কোকাকোলার দু বোতলও মেরে দিলাম আস্তে আস্তে। শেষ মেষ দেখছি জিসান ভাই আমার খাওয়া দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেছে। যা শালা ভাবলাম একটু বের হবো এখন। কিন্তু জিসান ভাই তো ঘুমিয়ে পরলো। কখন উঠবে সেটার ঠিক নাই। দুটো খাবারের গাড়ি আমি বাইরে রেখে আসলাম সব ডিশ সহ। এর পর অনেকক্ষন জিসান ভাইয়ের ঘুম ভাঙার অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু কোনো কিছুই হলো না। খাটাসের মতো ঘুমাচ্ছে নাক ডেকে। শেষ মেষ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে রুমে একা রেখে আমি একাই বেরিয়ে পরলাম টোকিও শহর ঘোরার জন্য। লিফটে করে আমি পৌছে গেলাম একদম নিজের ফ্লোরে। কিন্তু এখানে লোকজন জরো ছিলো অনেক। সবার কথাবার্তাতে কিছুই শুনতে পারছিলাম না। শেষ মেষ কাউন্টারে চলে গেলাম।
.
--সু হো এখানে কি হয়েছে?(আমি)
.
-- আমাদের এই হোটেলের মালিক ডক্টর সুচিরান স্যার দুদিন হলো নিখোজ ছিলো। এমন মাঝে মাঝেই হয়। তাই আমরা চিন্তাই ছিলাম না। কিন্তু এবার উনার মৃত লাশ পাওয়া গেছে উনার নিজের গাড়ির ভিতরে।(সু হো)
.
--কি? তাহলে আমাদের এক্সিবেশন?(আমি)
.
--আপনি এসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। ডক্টর সুচিরান স্যারের দুই ছেলে আর এক মেয়ে এই এক্সিবেশনটার দায়িত্ব নিয়েছেন। এক্সিবেশন কালই হবে।(সু হো)
.
--ওওওও।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি আর কিছু বললাম না। সোজা হোটেল থেকে বেরিয়ে পরলাম। মাথায় একটা জিনিস ঢুকছে না যার জন্য আসলাম এখানল সেটাই তো হলো না। সুচিরান নাকি আমাকে কিছু বলবে। কিন্তু এখন সে তো মারা গেছে। আচ্ছা যাক তাতে আমার কি? আমি তো আমার টাকা+জাপান ঘোরার বড় সুযোগ পেয়ে গেছি। সুচিরান মরছে তো কি হয়ছে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।