ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জলপরীর প্রেমে ২ পর্বঃ ২৪

Bangla Dub Novels

 


#জলপরীর_প্রেমে#

#সিজন_2#

পার্টঃ২৪

লেখকঃহৃদয় বাপ্পী 

।।।।।

।।।।।

।।।।।

আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম আবার আমার রাজ্যের দিকে। সেদিকে গিয়ে দেখলাম আকাশসেনারা হৃদিতাদের পিছু নিচ্ছে। আমি তাদের পিছনে বিশাল সাগরের ঢেউ নিয়ে আগিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা পানি থেকে কিছুটা উপর দিয়ে উড়ে বন্ধীদের আবার বন্ধী করতে চাইছিলো। কিন্তু আমি থাকতে সেগুলো হয় কিভাবে। আমি পানির ঢেউ ওদের উপরে ফেলে ওদেরকে তলিয়ে দিলাম পানির মধ্যে। ওরা সবাই পানির নিজ দিয়ে সাতার কেটে উপরে উঠার চেষ্টা করতে ছিলো।। 

এবার হবে আসল খেলা। এদের বেশীর ভাগ সেনাই আমার সেনা দ্বারা আহত হয়েছে। অনেকে নিহত ও হয়েছে। কিন্তু বেশীর ভাগই এখন আমাকে ঘিরে ধরেছে। আমার চারপাশ দিয়ে শুধু আকাশসেনায়। তবে একটা আকাশ না যে এরা আমার উপরে কিছু করবে৷ এটা পানি। আমি ট্রিশুলটা জোরে শক্ত করে ধরলাম। আমার চারপাশের সেনারা আমার কাছে চলে আসলো আমাকে আক্রমন করার জন্য। এবার সাথে সাথেই আমার পুরো শরীর সাদা হয়ে গেলো। আমার শরীর দিয়ে সাদা আলো বের হতে লাগলো। আমার চোখ দুটোও সাদা হয়ে গেলো। আমি এবার ওদের দিকে তাকালাম। হ্যা আসো এবার চান্দুরা। আমার কাছে এখন সমুদ্রের রানীর শক্তি রয়েছে। তার পুরো শক্তি আমি ব্যবহার করতে পারবো এখন। দেখা যাক সমুদ্রের মাঝে এখন তোমরা নতুন সমুদ্রের রাজাকে হারাতে পারো কিনা।

আমি ট্রিশুল দিয়ে একটাকে আঘাত করলাম। ট্রিশুল দিয়ে যাকে আঘাত করলাম তার পেটে ট্রিশুলটা ঢুকে গেলো। সাথে সাথেই বড় সড় একটা ব্লাস্ট হলো। ধামাকাটা অনেক বড় ছিলো। এবং বুঝলাম আমার ট্রিশুল একটা এনার্জি বল তৈরী করেছিলো ওর পেটে ঢোকার পর। যেটার জন্য আমার সামনে অনেক আকাশসেনা নিহত হয়। এবার পিছন থেকে একজন এগিয়ে আসলো। আমি আমার ট্রিশুলটা দিয়ে তার গলায় চালিয়ে দিলাম। পাশে আরেক জন আসলো আমি সেটাকে আমার বাম হাত দিয়ে ধাক্কা দিলাম সাথে সাথেই হাত থেকে মনে হলো কিছু একটা বের হলো আমার। আমি নিজেও ভাবি নি আমার হাত থেকেও একটা এনার্জি বল বের হবে। এই এনার্জি বল অনেক কাজের জিনিস। একটা বড় সড় এনার্জি বল বানালে সেটা পুরো রাজ্যকেও ধ্বংস করে দিতে পারে। না এদের সাথে এভাবে হচ্ছে না। আমি এখনো ভালো করে জানি না আমার মাঝে আর কি কি শক্তি আছে। একজন দূর থেকেই একটা বল্লম আমার দিকে ছুরে মারলো। আমি হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলাম। সাথে সাথেই একটা ঢাল হয়ে গেলো আমার চার পাশে। আমি খেয়াল করলাম এবার আমি ট্রিশুল ব্যবহার করি নি। তাহলে আমি হাত দিয়ে আরো কিছু করতে পারবো।

যাক এদের সাথে বেশী সময় নেওয়া আমার চলবে না। আমাকে হিগমাকে আটকাতে হবে। আমি পানির নিচে মাটিতে এসে দাড়ালাম। এবার সব আকাশসেনা একসাথে আমার দিকে ছুটে আসছে। আমি দাড়িয়ে আছি। সবাই একদম আমার কাছে চলে আসার পর আমি ট্রিশুল টা দিয়ে মাটিতে আঘাত করলাম জোরে। কিছুই বোঝার আগেই আশে পাশের সব কিছু শুধো ধুলো হয়ে গেলো। আমি পানিতে কখনো এই ক্ষমতা ব্যবহার করে দেখি নি। সময় হয়নি আগে। কিন্তু এখন ব্যবহার করে এটার ভয়াবহতা দেখতে পেলাম। ধ্বংস করে দিলো আশে পাশে যা ছিলো। যত আকাশসেনা ছিলো সব নিমিষেই মারা গেলো। আমি উপরে উঠে আসলাম। আমাকে দেখে মন্ত্রী বলে উঠলো?

.

--আপনি ঠিক আছেন তো মহারাজ?(মন্ত্রী)

.

--হ্যা মন্ত্রী আমি ঠিক আছি। কিন্তু বেশীক্ষন মনে হয় থাকবো না।(আমি)

.

--আপনার শরীর দিয়ে সাদা আলো বের হচ্ছে।(হৃদিতা)

.

--হ্যা। আমি আমার আসল শক্তির অস্তিত্ব পেয়েছি।(আমি)

.

--এখন কি করবেন মহারাজ?(সিগমা)

.

--হিগমা সেই কালো ক্ষমতাকে নিজের করে নিয়েছে। মুক্ত করে দিয়েছে কালো ক্ষমতার রাজা কেরেলাকে।(আমি)

.

--কেরেলা?(সিগমা)

.

--হ্যা।(আমি)

.

--আমি একটা বইয়ে পড়েছিলাম। কেরেলাই ছিলো প্রথম মানুষ যে এই কালো শক্তিকে নিজের করেছিলো।(হৃদিতা)

.

--হ্যা মহারাজ?(সিগমা)

.

--হৃদিতা আপনি বলেছিলেন আরেকজন ছিলো যে এই শক্তিকে নিজের করেছিলো সে কে?(আমি)

.

--মহারাজ তিনি ছিলেন ফেয়ারো নামের এক বালক। আশ্চর্যকর কথা হলো এই দুজনকে বেশ কিছু সময় দাপট খাটানোর কথা উল্লেখ হয়েছিলো বইয়ে কিন্তু তারপর আর এদের হদিস পাওয়া যায় নি।(হৃদিতা)

।।।।।।।

।।।।।।।এটা ঐতিহাসিক একটা বিষয়। অনেক গোপনীয় বিষয় সেটা আমি বুঝতে পারলাম। কিন্তু আমি হিগমাকে আগে না আটকালে এই বিষয়ে বেশী কিছু জানতে পারবো না। হিগমা যদি একবার কালো শক্তির ব্যবহার শিখে যায় তাহলে তো আমার খবর আছে। ওকে আমাকে যে করেই হোক হারাতে হবে৷ আমার কাছে এখন একা শুধু হিরানার শক্তি রয়েছে। এই পুরো সাগরের শক্তি শুধু আমার কাছে। আগুনের শক্তির জন্য আমাকে আমার তলোয়ারের কাছে যেতে হবে। আর সেই ক্রিসটলকে ভাঙলেই আমি পুরো চার জনের শক্তির অধিকারী হয়ে যাবো। 

এই চারজনের শক্তির কাছে কেরেলার কালো শক্তি টিকতেই পারবে না। কিন্তু তার আগে আমাকে আমার কাঙ্কিত জায়গায় পৌছাতে হবে তো। আমাকে আবার সেই স্থানে পৌছাতে হবে।

.

--আপনারা সবাই এই সাগর ধরে পাশের কোনো নিরাপদ একটা রাজ্যে আশ্রয় নিন। আমি হিগমার সাথে একটু দেখা করে আসছি।(আমি)

.

--মহারাজ আপনি একা যাবেন?(হ্যারি)

.

--হ্যা। একাই এসেছি এখানে। যেতে তো হবে আমাকে একাই।(আমি)

.

--আমি আপনার সাথে যায়?(হৃদিতা)

.

--না আপনি থাকেন। আপনাকে নিয়ে পরে পর্যালোচনা করা যাবে। আপনারা এক কাজ করুন। রাজা হিরোনাসের রাজ্যে চলে যান। সেখানে সবাই নিরাপদ থাকবেন।(আমি)

.

--জ্বী মহারাজ।(মন্ত্রী)

.

--মহারাজ আমি আপনার সাথে আসি।(সিগমা)

.

--না। আপনিও ওদের সাথে যান। আপনার এখন ক্ষমতা নাই জাদুর।(আমি)

.

--হুমমম।(সিগমা)

।।।।।

।।।।।

আমি এতোক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম পানির উপরে। সবাই একটু অবাক হলো আমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে। কারন কোনো জলপরী,জলমানব এভাবে পানির উপরে দাড়িয়ে থাকতে পারে না। আমি কিভাবে আছি সেটা সবাই বুঝে গেছে হয়তো এতোক্ষনে। রাজা হ্যারিকাস নিশ্চয় বুঝে গেছেন আমার কাছে কিসের ক্ষমতা রয়েছে। তাই তো তখন আমাকে রাজা বলে মেনে নিয়েছেন। আমি পানিতে ঝাপ দিলাম। আমি যেতে লাগলাম আমার গন্তব্যের দিকে। আমি সেই বার্মুডার গর্তটার মুখে চলে গেলাম। আগে এখানে যে জাদুর জাল বিছিয়ে রেখেছিলো সিগমা সেটা এখন আর নাই। আমি অবাক হলাম না। কারন সিগমার সকল শক্তি এখন হিগমার কাছে। আচ্ছা ওদের শক্তি তো সেই বন্ধী দুজন নারী পুরুষের শক্তি। তাহলে তারা এখনো বন্ধী আছে। তারা বন্ধী থাকলে ওরা এটা ব্যবহার করে কিভাবে। নাকি বংশধর হলেই ব্যবহার করা যায়। আচ্ছা গবেষনা পরেও করা যাবে। আমি নিচে গিয়ে অনেকটা অবাক হলাম। কারন আমি যেমন দেখে গিয়েছিলাম পাতালপুরী তেমন নাই এখন। আগে যেখানে সেখানে পাথর ছিলো। আর যেখানে সেখানে গর্ত ছিলো। গুহা ছিলো অসংখ্য। কিন্তু অনেক পুরো জায়গা ফাকা হয়ে আছে। হয়তো হিগমাই করেছে এসব। ও এসব কি করে কি করবে। নাকি ও ক্রিসটাল টাকে খুজতেছে এখন। হয়তো কিন্তু আমি বলতে পারতেছি না।

।।।।

।।।

।।

(((চলবে)))

।।

।।।

।।।।


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.