পার্টঃ১১
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
মাথার ভর্তা হলে কেমন লাগে সেটা আমি আজকে বুঝতে পারলাম সঠিক ভাবে। এটা কি ও বুড়ো লোকটারই কথা ছিলো নাকি হাসানের কোনো ইলুশন সেটা আমি বুঝতে পারতেছি না। কারন আমার শরীর আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
।
আমি পরে ছিলাম মাটিতে। একটু পরই মনে হয় আমার জান বের হয়ে যাবে শরীর থেকে। সবাই আমার শরীরটা ধরলো।
.
--লিয়া তারাতারি ওকে হিল করার চেষ্টা করো। আমি চাই না তোমাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হোক।(অনু)
.
--কিন্তু অনু আমার ক্ষমতা তো রাত ছাড়া কাজ করবে না ঠিক মতো।(লিয়া)
.
--চেষ্টা করো।(অনু)
।।।।
।।।।
সবাই আমার শরীরে হাত দিয়ে রেখেছে। সবাই আমাকে বাচানোর চেষ্টা করছিলো। আর ঔদিকে যে আমাকে মারলো সে দাড়িয়ে আছে চুপ করে। হয়তো তার কাছে এখন খারাপ লাগছে। আমার হাত পা এখনো নারাতে পারছিলাম না। আমি আমার ডান হাতের মধ্যের আঙ্গুলটা কষ্ট করে দেখালাম পশুটার দিকে। সাথে সাথে রেগে গেলো সে। আর আমার পা ধরে দিলো তিনটা আছাড়। তারপর দেওয়ালে ছুড়ে মারলো আমাকে।
.
--অনু তুমি স্পেলটা এখনি ব্যবহার করো। নাহলে হৃদয়ের একজনের ক্ষমতা হারাতে হবে আমাদের।(হাসান)
.
--আচ্ছা। তুমি আমার হাত ধরো। আমি স্পেল পড়তে শুরু করছি।(অনু)
।।।।
।।।।
অনু স্পেল পড়তে শুরু করলো আর এইদিকে আমার জীবন যায় যায় অবস্থা। অনুর স্পেল পড়া শেষ হয়ে গেলো সাথে সাথে হাসানের শরীর আলোকিত হতে লাগলো। অনুর হাত ধরে আছে এখনো সে। বাকি সবার মধ্যে থেকে একটা আলো বের হয়ে যাচ্ছে হাসানের শরীরে। কিন্তু সমস্যা তো আরেকদিকে৷ হাসানের শরীরের মতো আমার শরীরও আলোকিত হতে শুরু করলো। ব্যাপারটা ওরা খেয়াল করছে না কারন এতো আলোর মধ্যে এটা খেয়াল করা বড়ই কষ্টের। আমি অনুভব করতে পারলাম আমার ভিতরে অনেক চেন্জ চলে আসতেছে। এমন মনে হচ্ছিলো আমার জায়গা বদলে যাচ্ছে। আর আস্তে আস্তে আমার শরীরের আলোও বের হয়ে হাসানের শরীরে চলে গেলো। সব আবার ঠিক ঠাক হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। আশে পাশে শুধু পরে আছে ১৪ টা মৃত শরীর।
.
--হাসান তুমি আছো?(অনু)
.
--হাসান তো মারা গেছে।(আমি)
।।।
।।।
এখন পুরোপুরি আলো আমার শরীরের মধ্যে চলে গেলো। আমি দেখতে পেলাম আমি সম্পূর্ন সুস্থ আছি তাও আমার শরীরেই। আমি হাত পায়ের তিল গুলো দেখে নিলাম। না ঠিকই এটা আমার শরীর। অনু আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে।
.
--তুমি কিভাবে আর হাসান কোথায়?(অনু)
.
--জানি না তো কি হয়েছে?(আমি)
.
--কিভাবে করলে এটা?(অনু)
.
--বললাম তো জানি না।(আমি)
.
--মনে হয় স্পেলটা উল্টা হয়ে গেছে। তাই এটার ফল।(অনু)
.
--হ্যা(আমি)
.
--একজন ঝোকারকে তাহলে এখন থেকে আমার ভাই বলতে হবে।(অনু)
.
--আমি আর ঝোকার?(আমি)
.
--হ্যা।(অনু)
.
--আমাদের মধ্যে কে বড়?(আমি)
.
--আমরা দুজনে টুইনস। আর আমার নাম অনামিকা না। বরং এটা এখানে আসার পর আমাকে দিয়েছিলো আমার নকল পিতা যে আমাকে এডোপ্ট নিয়েছিলো। আমার আসল নাম প্রিন্সেস হায়াকা। আর তোমার নাম প্রিন্স নিয়াক।(অনু)
.
--নামগুলো বড়ই আজব।(আমি)
.
--আমি তো এখানে এসেই বুঝেছি কত আজব আমাদের নাম।(অনু)
.
--হুমমম। এখন কি করতে হবে আমাদের?(আমি)
.
--আমার মাথায় কিছুই আসতেছে না কি করবো। হাসান সব বিষয়ে প্রস্তুত ছিলো। আমাকে স্পেলটা প্রথমে রিভার্স করতে হবে তারপর আবার ব্যবহার করতে হবে এটার জন্য আমার কিছু সময়ের দরকার।(অনু)
.
--আমাকে একটু খুলে বললেই হয়।(আমি)
.
--আমার মুড এখন ভালো নাই। আজকের মতো আমাকে একা ছেড়ে দাও। তুমি বাসায় চলে যাও।(অনু)
।।।
।।।
অনু বলেই সেখান থেকে উদাও হয়ে গেলো। বুঝলাম সে ইনভিজিবিলিটি ব্যবহার করছে। আমি আশে পাশের সবার মৃত শরীরের দিকে তাকালাম। এই শরীর গুলো আরো ১৯ বছর আগেই মাটির নিচে থাকতো। কিন্তু একটা অজানা ক্ষমতা এতোদিন তাদের বাচিয়ে রেখেছিলো। আচ্ছা তাদের ও তো পরিবার আছে। আত্মীয় স্বজন আছে। এই জিনিসটা তারা কিভাবে মেনে নিবে। আমি বাসায় গেলাম না। আমাকে কিছু একটা তো করতেই হবে আমার এখনো বুড়ো লোকটার কথা মনে আছে। এই ক্ষমতাগুলো নিজের কাজের জন্য কিংবা নিজের ব্যবহারের জন্য আমার কাছে দেওয়া হয় নি। আমাকে দেওয়া হয়েছে কারন আমি একজন সৈনিক আর এটার ব্যবহার করে আমি এখন একটি দেশ না বরং পুরো দুটো ইউনিভার্সকে বাচাবো। এই যুদ্ধ কোনো ছোট যু্দ্ধ নয়। এটা লড়তে হলে আমাকে প্রথমেই আমার সৈনিকের প্রয়োজন হবে। প্রথমেই আমার দরকার পরবে একটা টিমের। এমন একটা টিম যেটা মাল্টিভার্সের এক এক ইউনিভার্সের বাসিন্দা হবে। তারা হবে আমার মতোই স্পেশাল। কিন্তু আমি যদি নিজের কার্যে লোভী হয়ে যায় তাহলে আমার এই শরীর তখন আর আমার থাকবে না। তখন এটা প্রিন্স নিয়াকের হয়ে যাবে।
।।।।
।।।।
বুড়ো দাদার এই কথাগুলো আমি বুঝি নি। তবে আশা করি অনু আমাকে সেটা বুঝিয়ে দিবে। অনেক কিছু আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে যেটা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। তবে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি সেটা হলো আমি মরার পরও নিজের শরীর নিয়ে বেচে আছি। আর এটা বৈজ্ঞানিক কোনো উদাহরন নয়। নিশ্চয় এটা ম্যাজিকের কোনো ব্যাপার। আমাদের ইউনিভার্সে ম্যাজিক জিনিসটা সবচেয়ে কম দেখা যায়। আর দেখা গেলেও সেটা তেমন ক্ষমতাশালী না। তবে এই ম্যাজিকটা অন্যরকম। আমার দেখা সবচেয়ে আজব ম্যাজিক এগুলো
।
এসব ভাবনা পরে করলেও হবে। আমি আমার মাঝে থাকা নতুন ক্ষমতাগুলো ফিল করতে পারছিলাম এখন। তবে কিভাবে সেটা ব্যবহার করবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমাকে প্রথমে এই ১৪ জনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মধ্যে একজনের কাছে টেলিপ্যাথি ক্ষমতা ছিলো। তারমানে সেটা আমার কাছেও আছে। আমাকে সেটা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কিভাবে করবো বুঝতে পারছি না। আমি বসে পরলাম ইয়োগা করার স্টাইলে। বসে মনোযোগ দিতে লাগলাম। হঠাৎই আমি আসে পাশের সব জিনিস গুলো অনুভব করতে লাগলাম। সব শুনতে লাগলাম। যারাই কথা বলছে সবার কথা আমি শুনতে লাগলাম। হুট করে একটা মহিলাকে দেখতে পেলাম। মহিলা কথা বলছে না কিন্তু যেটা মনে মনে ভাবছে আমি সবই দেখতে পাচ্ছি চোখ বন্ধ করে। আমি কখনো ভাবি নি এমন কিছু করতে পারবো আমি। আস্তে আস্তে খুজতে লাগলাম আশে পাশে। শেষ মেষ পেয়েও গেলাম। একটা বাস ড্রাইভার। লোকটার মাথায় উকি দিয়ে দেখতে পেলাম সে খারাপ কিছুই ভাবছিলো আর গাড়ি চালাচ্ছিলো। তার গাড়িতে কোনো যাত্রী নেই। তাই আমি তাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু কিভাবে করে বুঝতে পারতেছি না। হঠাৎ আমি মনে মনে বললাম ব্রেক করতে লোকটা ব্রেক করে ফেললো সাথে সাথে।
।
যাক কিভাবে ব্যবহার করতে হয় টেলিপ্যাথি এটা শিখে গেছি। লোকটাকে আদেশ করলাম হোল্টার কম্পানির সামনে বাসটা রেখে চলে যেতে। সেটাই করলো লোকটি। এরপরে সাদিকে দেখেছিলাম আমাকে উচু করেছিলো আমাকে না ধরেই। আর দেওয়ালেও আমাকে আটকে রেখেছিলো। আমি এবার সেটার ক্ষমতাও ব্যবহার করার চেষ্টা করলাম। আঙ্গুল তুলে জিনিস নারানোর চেষ্টা করলাম। আধা ঘন্টা চেষ্টা করেও একটা কলম নারাতে পারলাম না। শেষ মেষ রেগে আমি হাত নারা দিলাম জোরে। আর এতে করে পাশে থাকা টেবিল হাওয়ায় একা একাই দেওয়ালে গিয়ে লাগলো। বুঝলাম মাথায় জিনিসটাই থাকতে হবে শুধু। রাগে আমার মন চাচ্ছিলো এই টেবিলটাকে আমি ভেঙে ফেলি আর সেই জন্য হয়তো আমি এটাকে নারাতে পেরেছি। যাক তাহলে ক্ষমতাটাও ব্যবহার করা শিখে গেলাম। আমি এক এক করে সব গুলো মৃত শরীরকে সেই বাসের মধ্যে উঠিয়ে রাখতে লাগলাম। একটু কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এটাই তো করতে হবে। ওদের যেভাবে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছি লোকজন দেখলে বলবে পুরা জীবিতই। কিন্তু তাও জিনিসটাকে হাসানের ক্ষমতা দিয়ে আমাকে অন্য রকম বানিয়ে দিতে হবে। আমি একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে সেটা ফেলে দিলাম তেলের ট্যাংকিতে। সাথে সাথে পুরো গাড়ি ব্লাস্ট হয়ে গেলো। আশে পাশের সবাই একত্রিত হয়ে গেলো ঘঠনায়। আর আমাকে এই অবস্থার ফায়দা উঠাতে হবে। ইলুশন কিভাবে করে সেটা আমি ভালো করেই জানি তাই এটা আমাকে চেষ্টা করে দেখতে হবে না। আমি হাসানের মুখেই শুনেছিলাম গত কালকে সে এটা কিভাবে করে। ইলুশন করতে হলে প্রথমে সেই ব্যাপারে ভাবতে হবে আমি কি ইলুশন করবো এবং শেষে ছোট একটা স্পেল পড়তে হবে। স্পেলটা হাসান সেদিন বলেছিলো আর আমি মুখস্ত করে নিয়েছিলাম। আমি সেই অনুযায়ী কাজ করলাম। এবার দেখার পালা কাজে দিয়েছে কিনা। আমি এগিয়ে গেলাম সামনে লোকজনদের কাছে। সবাই বলা বলি শুরু করলো।
.
-- কি এক্সিডেন্টটাই না হলো। এমন এক্সিডেন্ট আমি জীবনে কখনো দেখি নাই।(এক লোক)
.
--অন্য গাড়িটা পালিয়ে গেলো। ধরতে পারলে ওদের অবস্থা টাইট করে দিতাম। ঔ পানি নিয়ে আয় তারাতারি ভিতরে মনে হয় কেউ বেচে থাকতে পারে।(আরেক লোক)
.
--ফায়ার সার্ভিসকে কল দেন তারাতারি।(আমি বলে উঠলাম)
.
--হ্যা ভাই ফোন দেন। যে আগুন ভিতরে কেউ থাকলেও কিছুই করতে পারবো না আগুনের জন্য।(আরেক লোক)
।।।
।।।
আমি সেখান থেকে তখন চলে আসলাম। তবে আসার সময় অনুর একটা বই ছিলো সেটাও সাথে করে নিয়ে এসেছি। বইটা হাসানের কাছে ছিলো। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমাদের শরীর ট্রান্সফার হয়েছিলো কিন্তু জামা কাপড় নই। হাসান যা পরে ছিলো সেটা আমার গায়ে আছে। আর সেই পাতলা শোয়েটারের মধ্যেই অনুর একটা বই আছে। যেটা আমি সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি। বইতে মনে হয় অনেক কিছু তথ্য দেওয়া থাকতে পারে।
।
বাসায় গিয়ে দেখতে হবে কি আছে বইতে। হয়তো এই বইয়ে আমি কিছু জানতে পারবো। স্বপ্নের বয়স্ক লোকটার কথা আমি তেমন বুঝি নি। সে বলেছিলো একটা টিমের কথা। এমন লোকজন আমি পাবো কোথায়। আর মাল্টিভার্সের কথাও বলেছে। এসব কি আমি কিছুই বুঝতে পারতেছি না। এটা কি এক একটা সৌরজগতের কথা বলছে তারা? আমাকে এসব সম্পর্কে কিছুটা জানতে হবে। অনু এই সুযোগে হয়তো হাসানকে আমার জায়গায় আনার চেষ্টা করবে। কিন্তু সেটা কোনো দিক দিয়েই সম্ভব নই। কারন তাদের শরীরই এখন খুজে পাওয়া যাবে না। আর অনুর স্পেলও কাজ করবে না। কোনো বড় জাদুর ব্যবহার করতে হলে নাকি বড় একটা কোরবানি দিতে হয় স্বপ্নে বয়স্ক লোকটা আমাকে বলেছিলো। আর আমার কাছে সবচেয়ে বড় কোরবানি হলো আমার জীবন। আমি বুঝে গিয়েছিলাম আমাকে কি করতে হবে। লোকটা সোজাসোজি আমাকে না বললেও ইঙ্গিতে ঠিকই বুঝিয়েছিলো। হয়তো এমনটা সে সবাইকেই বুঝিয়েছিলো কিন্তু কেউ বুঝতে পারে নাই। আচ্ছা বাদ দিলাম সেটা। আমাকে এখন বাসায় যেতে হবে। আজকে নিজেকে অন্যরকম লাগছে। নিজের মাঝে নতুনত্ব অনুভব করতে পারছি। এমন হয় যখন পুরো ১০ বছরের মতো প্যারালাইসিস হয়ে পরে থাকার পর হুট করে একজন রোগী আগের মতো সুস্থ হয়ে গেছে। আমার যেমন অনুভব হচ্ছে সেই রোগীরও তেমনি অনুভব হবে। আমার মনে হচ্ছিলো আমি নতুন জন্ম নিয়েছি। ভিতর থেকে কিছু একটা আমাকে ডাকছিলো। কিন্তু আমি সেসব কথা বুঝতে পারছিলাম না।
।।।।
।।।।
আজকে হাটলাম না। রাস্তা থেকে একটা রিক্সা নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। কলিংবেল খুলতেই হৃদি দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে অনেকটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো হৃদি,
.
--কে আপনি?(হৃদি)
.
--মজা করা বাদ দে। ভিতরে যেতে দে আমাকে।(আমি)
.
--আরে কি করছেন টা কি? এভাবে অপরিচিত বাসায় ঢুকে যাচ্ছেন কেনো। জানেন এটা এই শহরের এসপির বাসা। ভালোই ভালোই চলে যান নাহলে আমি ভাইয়াকে ডাকবো।(হৃদি)
.
--মজা করা বাদ দে হৃদি।(আমি)
.
--আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে? আপনি কি আমাদের রিলেটিভ কেউ?(হৃদি)
।।।।
।।।।
তখনি সেখানে ভাইয়া আর অথয় আসলো।
.
--কি হয়েছে হৃদি ডাকছিলি কেনো?(ভাইয়া)
.
--দেখো তো ভাইয়া এই লোকটাকে চিনো নাকি? আমাদের ঘরে ঢুকে যাচ্ছে।(হৃদি)
.
--কে তুমি ভাই। তোমাকে তো আগে কখনো দেখি নি। এখানে কি করতে আসছো?(ভাইয়া)
.
--ভাইয়া তুই ও মজা করছিস। আমাকে চিনতে পারতেছিস না?(আমি)
.
--কার ভাইয়া। আমার তো নিশ্চয় এটা খারাপ কিছু লাগছে। এখনি চলে যাও এখান থেকে নাহলে আমার বন্ধুক দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলবো। সিকিউরিটি এগুলো কিভাবে বাসায় আসতে পারে।(ভাইয়া)
।।।।
।।।।
বাসার দুজন গার্ড এসে আমাকে ধরে বাইরে নিয়ে আসলো। আমি কিছুই বললাম না। কারন বলার মতো কথা আমার মুখে নাই। কি হলো এটা। আমার পরিবারের মানুষই আমাকে চিনতে পারছে না। ভিতরে দেখলাম বাবা আম্মু আর নিলাও আমাকে দেখলো কিন্তু কেউ কিছুই বললো না। এটা কি কোনো ইলুশন নাকি আমার চেহারা আর আমার নিজের নেই কোনটা। আমি তো এখনো আমার নিজের চেহারাই দেখলাম না। আমি রাস্তায় দাড়ানো গাড়িটার গ্লাসে তাকালাম এবং সেখানে নিজের চেহারাটাই দেখতে পেলাম তবে কি হলো যে আমাকে কেউ চিন্তে পারতেছে না। বিষয়টা মজার হতে পারে না। নিশ্চয় আমি বাসা থেকে বের হওয়ার পরে হাসান কিছু একটা করেছিলো। আমি রাস্তার ধারেই বসে পরলাম। এর থেকে খারাপ আর কি হতে পারে। যদি নিজের পরিবারের মানুষই আমাকে না চিনে তাহলে লাভ টা কি? আচ্ছা আমি কি ইলুশন দিয়ে সব ঠিক করতে পারবো? ব্যবহার করে দেখা যাক। ইলুশন ব্যবহার করলাম তারপর ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলাম। কিন্তু না কোনোদিক দিয়েই কাজ হলো না। এবার আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হলো। আর সেটা আমার ভাই নিজেই করলো অথয়ের আদেশে। অনেক কষ্ট লাগতেছে আমার নিজের কাছেই। নিজের পরিবার যখন আমাকে চিনে না তাহলে কেউই আমাকে চিনবে না। শুধু শুধু অন্য কারো কাছে গিয়ে অপমানিত হয়ে লাভ নেই। তারচেয়ে বরং আমি অনুর অফিসেই ফিরে যায়। অনু হয়তো বলতে পারবে কি হচ্ছে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।