••••••••° কিং অফ ম্যাজিক °••••••••
✓
✓
✓
✓
✓✓ লেখক নীল আহমেদ
✓
✓
✓
✓
✓✓ পর্ব ২৮✓✓
✓
✓
✓
(গল্পটি কাল্পনিক , বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই)
।।
।।
।।
।।
মিও - চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে এলো। সেই অতীত আবার ও সামনে । যেটা জেনে শুনেও কিছু করতে পারিনি আমি । এটার জন্যই এক ভাবে আমি আমার বোন কে হারিয়েছি । ড্রিয়েন বাক তোমার জন্য অনেক কিছুই হয়েছে এর শাস্তি তোমাকে একদিন পেতে হবে। তারপর বলো ।
এডোয়ার্ড - ওর আসল কাহিনী সম্পর্কে আমি জানি না কিছু কেনো তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কি কারণ জানা নেই কারণ সে সেটা আমাকে জানায়নি তবে ছেলেটা কে আমি যা বলে গেছি সে সেই ভাবেই করে গেছে। অনেক শক্তিশালী সেনা বা ব্যক্তি নিয়ে এই আমার সেনা গুলো সেই তৈরি করেছে , তাকে চাবির খোঁজ আমি বলে দিয়েছি আর সে আমাকে মুক্ত করে দিয়েছে । তবে আমার এই শরীর টা তারই দেওয়া তাই কিছু তো তার জন্য করতেই হবে । আমি তার বদলা নেবো। এটুকু তো করায় যেতে পারে হাহাহা।
মিও - তার শরীর মানে ?
এডোয়ার্ড - আরে আমি তো শুধু মাত্র একটা এনার্জি বা একটা আত্মা , যেটা ক্ষণিকের জন্য একটা শরীর তৈরি হয়েছিল , তোমার যাওয়ার পর সে তার শরীর আমাকে দিয়েছে শুধু তার বদলার জন্য ।
মিও - তার মানে সে আর বেঁচে নেই তাইতো ??
এডোয়ার্ড - হ্যা ওটাই তো বলছি ।
মিও - তখনো ওর জন্য কিছু করতে পারিনি আর এখনো পারলাম না । মিল ক্ষমা করে দিস , মিল যেহেতু নেই তাই নীল কে আমি নিজের জীবন দিয়ে হলেও প্রোটেক্ট করবো । আপু আমাকে ক্ষমা করে দিস তোর জন্য কিছু করতে পারিনি তখন তারপর তোর প্রথম সন্তান মিলের জন্যও কিছু করতে পারলাম না তবে কথা দিচ্ছি নীলের কিছু হতে দেবো না । নীল তার লক্ষে একদিন পৌঁছাবে আর সেখানে পৌছতে আমি সাহায্য করে যাবো ।
অনেক হয়েছে , চলো শুরু করা যাক । বলেই এগিয়ে গেলাম , দুজনে লড়াই করে যাচ্ছি এক ভাবে । এডোয়ার্ড আগের থেকেও এখন অনেক শক্তিশালী ।এখন বুঝলাম সে কিং কে কিভাবে হারাতে পেরেছে ।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
আমি - আরভিন আর আমি ওই দরজায় প্রবেশ করি , এমন এক জায়গায় পৌঁছে যায় , যেখানের বিবরণ দেওয়া সম্ভব না । জায়গা টা একটা শহর , একটা পুরনো শহর। দেখে বোঝা যাচ্ছে এখানে এখন আর কেউ নেই , চারিদিকে ঘর বাড়ি সব ভেঙে গেছে , হয়তো কোনো দিন এখানে বড়ো কোনো যুদ্ধ হয়েছিল । আমরা আস্তে আস্তে শহরের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি ।কোনো প্রাণের অস্তিত্ব এখনো চোখে পড়েনি শুধু একটা গোঙরানির আওয়াজ ছাড়া তবুও এটা অনেক দূরে থেকে পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু জিনিস টা ভয়ংকর হতে পারে। আমরা যথেষ্ট সাবধানে আছি । কিন্তু আওয়াজ টা ঠিক কোথা থেকে আসছে সেটা বুঝতে পারছি না তাই এদিক ওদিক হেঁটে চলেছি। প্রায় এক ঘন্টা হাঁটার পর এই শহর এর শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেলাম। এখানে আওয়াজ টা একটু বেশি শোনা যাচ্ছে , একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখলাম এখানে আসার পর লুসিফার আর ইকারাস এর সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু এমন তো হয়না যে দুজনেই একই সময়ে ঘুমিয়ে যাবে যেখানে এখানে আসার আগেই কথা বলেছি দুজনের সাথে। কি হচ্ছে কিছু মাথায় ঢুকছে না ।
আরভিন - কি হচ্ছে নীল কিছু বুঝতে পারছি না তো । আমি এন্টিগোর সাথে কানেক্ট হতে পারছি না । এমন তো হয়নি কখনো এমনকি বাকি দরজার টেস্ট এ আমি এন্টিগোর অনেক সাহায্য পেয়েছি কিন্তু এখানে কি চলছে ? এই শহর টা কোথায় আর আমরাই এখন কোথায় ?
আমি - একই সমস্যা আমারও আমিও ইকারাস বা লুসিফার এর সাথে কোনো কথা বলতে পারছি না এমনকি তাদের যে শক্তি গুলো আমার কাছে ছিল সেগুলোও আমি অনুভব করতে পারছি না। তখনি একটা বিকট শব্দ হলো যেনো সামনের পাহাড় গুলো ভেঙে পড়লো । তারপরেই দৃশ্যমান হলো সেই বিশাল জিনিসটার। একটা বিশাল , না শুধু বিশাল না এটা অনেক টাই বড়ো এমনকি এত বড় ড্রাগন এর কথা আমি শুনিনি , যদিও তাদের আকার এর ব্যাপারে আমার জ্ঞান কম এমনকি আমি ইকারাস কেও দেখিনি । ড্রাগন টা আমাদের দিকে চেয়ে আছে , চোখে মুখে তো এখুনি অ্যাটাক করবে এমন ভাব। এর সাথে যদি লড়তে হয় তাহলে দুজন কে আর ফিরে যেতে হবে বলে মনে হয় না।
আরভিন - বিশাল ড্রাগন টা কে দেখে কয়েক বার ঢোক গিলতে লাগলাম । এর সাথে যদি লড়তে হয় তাহলে তো এর থেকে ভালো হতো যদি রিউক এর সাথে লড়াই করতাম ।
আমি - ভাই যদি এর সাথে লড়তে হয় তাহলে তো আমি এখানে আসতাম না বাইরে রীউক এর সাথে লড়তাম।
আরভিন - আমি ওটাই ভাবছি । আমি একটা উপায় বলতে পারি।
আমি - কি উপায় ?
।আরভিন - নিজের সমস্ত এনার্জি লাগিয়ে দাও দিয়ে,,,
আমি - দিয়ে ???
আরভিন - যেদিকে সুবিধে দৌড় মার ।
আমি - হারামী , এখানে কোথায় কি বিপদ হতে পারে তার কোনো ধারণা নেই আমাদের । আর তোর কি মনে হচ্ছে ও আমাদের এত সহজে যেতে দেবে ?.
আরভিন - ভাই ড্রাগন টা কে দেখ শুধু , পুরো শরীর নীল আর কালো , চোখ লাল, চারটে ডানা সাথে এত বিশাল শরীর ।
আমি - যায় হোক ও অ্যাটাক করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে এবার আমাদের পালা
আরভিন - হুম নিশ্চয়, ওয়েট এ মিনিট কি বললি ??
আমি - অ্যাটাক করার জন্য প্রস্তুত হতে বললাম , কেনো কি হয়েছে ?
আরভিন - এই শালা নিজেও মরবে আমাকেও মারবে মনে মনে বললাম । না না হিহি আমি আবার ভয় তাই হয়। নাকি , দেখ আমার অ্যাটাক ,,, ভয়ে সব লোম দাঁড়িয়ে গেছে তবুও হিরো সাজার জন্য টাইম স্কিপ ব্যাবহার করে এয়ার ব্লেড ইউজ করলাম , হালার ড্রাগন এক ধাক্কাতেই আমার হার গোর ভেঙে দিয়েছে । কেলিয়ে পড়ে আছি ।
আমি - হ্যা দেখলাম , যা দেখাতে চেয়ে ছিলাম। এবার দেখ আমি কি করি , বলেই লাফিয়ে হাতে ফায়ার বল বানিয়ে ছুড়ে মারলাম দিয়ে ড্রাগন পাঞ্চ ইউজ করলাম কিন্তু কিছুক্ষন পর নিজেকে আরভিন এর পাশে পেলাম , আরে বোঝেন নি আপনারা ওই ড্রাগন আমাকেও এক ধাক্কায় দূরে ফেলে দিয়েছে ।
আরভিন - হ্যা ওয়াও খুব সুন্দর তো আরেক বার হবে নাকি
আমি - চুপ কর , এই শালা আমাদের জীবিত খেয়ে না ফেলে
ড্রাগন টা - আমি দা গ্রেট ইকারাস , আমি মূলত লাইটনিন ড্রাগন দের কিং তাছাড়া সব থেকে শক্তিশালি ড্রাগন ।
আমি - শুনেই থ , একই বলছে ইকারাস তো আমার কাছে । কিভাবে হয় এটা ।
আরভিন - এটা কি ভাবে হয় ?
আমি - আচ্ছা এটা তো অনেক দিন আগের তৈরি করা একটা জায়গা । আমি এতদিন পর বুঝলাম ইকারাস কে কেনো আমি বের করতে পারিনি কারণ তার আসল শরীর এখানে আছে আর তার ছোট মেমোরি একটা রূপ নিয়ে আমার কাছে ।
আরভিন - তাহলে ও তোকে অ্যাটাক করলো কেনো ? তোকে তো চেনে ও ?
আমি - না চেনে না , এখানে যেহেতু আমার ইকারাস আর লুসিফার এর কোনো শক্তি বা মেমোরি কাজ করছে না যার ফলে এটা বুঝতে পারছি ওরা কোনরকম ভাবে আমার সাথে আসতে পারেনি তাই তার আসল শরীর আমাকে চিনতে পারছে না এবং সেই মেমরি এর কাছেও এখনো আসেনি তাই এটা স্বাভাবিক।
আরভিন - তার মানে এর সাথে লড়তে হবে ।
ইকারাস - তোমরা কি বলছো ? যায় হোক অনেক দিন বাদ আমি কাওকে এখানে দেখতে পেয়েছি তাই এত সহজে তোমাদের মারবো না ।
আমি - দুঃখিত কিন্তু যেহেতু আমি তোমার মাস্টার তাই আমি এত সহজে হারবো না আর এখানে আমাকে জিততে হবে ।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
জেসি - দাদু শুধু আমি এখানে কেনো ? বাকিরা কই ? কোথা থেকে একটা প্রাণী এসে আমাকে এখানে দিয়ে গেল বলল ওরা এখানে থাকবে , কিন্তু ওরা কই ?
উইলি - ওরা এখনো বেঁচে আছে চিন্তা নেই তবে পরে কি হবে সেটা জানি না । ওরা অনেক এগিয়ে গেছে যতটা করতে হবে ততটাই করে ফেলেছে শুধু আর একটা টেস্ট তাহলেই ওরা অনেক শক্তিশালী হয়ে যাবে ।
জেসি - ওরা আসবে তো ?
উইলি - আমার নাতিনি দেখি একটু বেশি চিন্তা করছে , তো কার জন্য এত চিন্তা হাহাহা ।
জেসি - না মানে , লজ্জায় গাল লাল হয়ে গেছে। না না তেমন কিছু না আমি তো ওদের দুজনের সাথেই এসেছি ওরা না থাকলে আমি ফিরব কি করে ।
উইলি - আমি তো তেমন কিছু বলি নি হাহা তবে যেই হোক তার ভাগ্য ভালো বলতে হবে , এত ভালো এক মেয়ে তার জীবনে যাবে ।
জেসি - দাদুর কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। মনে মনে নীল যায় হোক প্লিজ ফিরে এসো।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
চলবে ,,,,,,