ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

কিং অফ ম্যাজিক পর্বঃ ২৭

Bangla Dub Novels
 ••••••••° কিং অফ ম্যাজিক °••••••••
✓✓   লেখক নীল আহমেদ 
✓✓ পর্ব ২৭✓✓
     (গল্পটি কাল্পনিক , বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই)
।।
।।
                                                                                                                                        ।।
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                        ।।

লুসিফার - পেয়ে গেছি 

আমি - তাড়াতাড়ি বলো 

লুসিফার - ও তোমাকে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না, নিজের থেকে দূরে রাখছে তাই কাছে গিয়ে অ্যাটাক করতে হবে এটা ছাড়া অন্য কোনো কিছু পাচ্ছি না।

আমি - হ্যা আমি বলবো যে গাছ ভাই আমি তোমার কাছে যেতে চাই তারপর তোমাকে মেরে ফেলতে চাই এটা বলবো তাই তো ? আরে কাছে গিয়ে অ্যাটাক তাই তো করতে পারছি না , এটা তো আমিও জানি যে কাছে যেতে দিচ্ছে না । তারপরই ধুপ,,, আরে বকতে বকতে খেয়াল ছিল না গাছের অ্যাটাকে দূরে গিয়ে পড়লাম আর কি মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে । এবার রেগে গেলাম অনেক। অনেক হয়েছে আর না , "হোয়াইট শিল্ড" ব্যাবহার করলাম , এটা আমার একটা হিডেন টেকনিক যেটা প্রচুর পরিমাণে এনার্জি খেয়ে নেই খুব দরকার না পড়লে এটা আমি ব্যবহার করি না , এটা একটা বেরিয়ার সৃষ্টি করে চারিদিকে যেটা যেকোনো ম্যাজিক এনার্জি এবসোর্ভ করে নিতে পারে এবং শারীরিক ক্ষমতা দিয়ে অ্যাটাক ও আটকাতে পারে তবে এর নেগেটিভ দিক ওটাই যে এটা ব্যবহার করতে আমি পারি না বেশি । হোয়াইট শিল্ড ব্যাবহার করার পর আমার এর বাইরের অ্যাটাক নিয়ে চিন্তা নেই তাই নির্ভয়ে কুইক মুভ ব্যাবহার করলাম , সাথে ফায়ার সোর্ড অ্যাটাক ও করতে লাগলাম। আমার এক মাত্র সোর্ড যেটা আমি ম্যাজিক শপ থেকে নিয়ে ছিলাম লাইটনিং সোর্ড দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গাছ টা কেটে ফেললাম। 

লুসিফার - এটা আগে ব্যবহার করলে তো এত ধুলায় হতো না , কাপড়ের মত তো আগেই তোমাকে ধুয়ে দিয়েছে হুহহ

আমি - তোমার শরীর আমার সামনে থাকলে তোমাকেও এভাবেই কেটে ফেলতাম। এটা যদি ব্যাবহারের মত হতো তাহলে আমি কি আর মার খেতাম । আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করিনি যে আমাদের আসে পাশের লোকেশন চেঞ্জ হতে শুরু করেছে ।

এই টেস্ট সম্পূর্ণ করার জন্য তোমাকে দুটি স্কিল দেওয়া হবে তাই পছন্দ মত দুটি গাছ বেছে নাও।

আমি - হঠাৎ একটা আওয়াজে আমাদের ধ্যান ভাঙলো তারপর উপরের কথা শুনতে পেলাম, সামনে তাকিয়ে দেখি ওখানে সাত টি গাছ আছে । আমি বললাম , ওখানে তো সাতটি গাছ আছে তাহলে দুটো কেনো আরো তো দেওয়া উচিত ।

বাচ্চা সবই যদি পেয়ে যাও তাহলে জীবন টা উপভোগ করবে কি করে , নিজে থেকেও তো কিছু স্কিল তৈরির চেষ্টা করো যেটার আনন্দ অন্যরকম মজা পাওয়া যায়।

আমি - ঠিক আছে এত লেকচার দিতে হবে না।

তবে ওই শিল্ড টা দারুন একটা টেকনিক , তুমি যেহেতু এত কিছু করছো তার নিশ্চয় একটা কারণ আছে ওটা আমি কি জানতে পারি বাচ্চা ?

আমি - প্রথমত আমি বাচ্চা না আমার নাম নীল, আর আমার জীবনের ছোট থেকেই একটা লক্ষ্য শক্তিশালী হয়ে আমার প্রিয়জন দের রক্ষা করা। আর এখন আমি আরো শক্তিশালি হতে চাইছি কারণ আমাকে একজনের সাথে লড়াই করতে হবে যে আমাদের এই দুনিয়া টা ধ্বংস করতে চাইছে ।

শুনে খুশি হলাম , এই জায়গা গুলো বানানোই হয়েছে এই কারণে, এমন অনেক জায়গা আছে সেগুলো কে তোমাকে খুজে বের করতে হবে তাহলেই তুমি শক্তিশালী হতে শুরু করবে , তোমার উদ্দেশ্য ভালো তাই তোমাকে কিছু জানকারী দেবো সাথে একটা গিফট । প্রথমত এডোয়ার্ড যার জন্য তুমি এখানে এসেছো তাকে হারানোর জন্যই কিং উইলি এই সব তৈরি করেছে কারণ সে হেরে যাওয়ার পর এখানে এসে পরে এবং সে বুঝে গেছিল কিং এবং লুসিফার দুজনেই হারাতে অক্ষম এডোয়ার্ড কে , তাই তার নিজের শক্তি দিয়ে এইসব বানিয়ে দেয় তাকে সাহায্য করে ছিল সুপ্রিম গড এলফেনো । 

আমি - সুপ্রিম গড ?

ওহ তোমাদের এসব নিয়ে জ্ঞান থাকবে না , তাহলে শোনো এটা হচ্ছে একটা জায়গা এটা একটা প্ল্যানেট এর মধ্যে এবং এই প্ল্যানেট একটা ইউনিভার্স এর মধ্যে যেখানে হাজারো এমন প্ল্যানেট আছে । তো প্রত্যেক ইউনিভার্স এড় জন্য অনেক গড আছে যারা এই প্ল্যানেট গুলোর দেখভাল করে থাকে । তবে তাদের সাথে দেখা হওয়া অনেক দুষ্কর ,যেটা কিং উইলি তার জীবনের পরিবর্তে চেয়ে ছিল সুপ্রিম গড এলফেনোর কাছে । অনেক গড আছে যারা এই পুরো ইউনিভার্স এর দেখভাল করে থাকে তবে তারা নিজেরা এখানে আসতে পারে না কারণ তাদের শক্তি যা এখানে এলে পুরো দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে । তবে মাঝে মধ্যে তারা হেল্প করার জন্য কোনো না কোনো রাস্তা ছেড়ে যায় যেটার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগের একটা বেবস্থা হয়। তবে কিং উইলি কি করে করেছিল জানি না। গড এলফেনো হচ্ছে এই ইউনিভার্স এর গড অফ ম্যাজিক। আর যে এই সুপ্রিম আর্থ রক্ষা করে যাকে তোমরা কিং বলো তারা যদি গড লেভেলে যেতে পারে তাহলে সে হয়ে যায় কিং অফ ম্যাজিক। যেটা হয়তো কিং লুক হতে পারত কিন্তু সেটা তার ভাগ্যে ছিল না। যাইহোক তুমি তোমার স্কিল বেছে নাও সময় হয়ে এসেছে এটা ধ্বংস হয়ে যাবে। যাও জলদি।

আমি- আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এত কিছু আছে যেগুলো আমাদের ধারণার বাইরে । আমিতো ভাবতাম কিং ই সব থেকে শক্তিশালী হয়ে থাকে । না আমাকে অনেক দূরে যেতে হবে , আমার লক্ষ অনেক ছোট ছিল যেটা আজ বুঝলাম । নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেনো ওই গড দেরও চ্যালেঞ্জ করতে পারি তবে তার আগে এই এডওয়ার্ড এর চ্যাপ্টার ক্লোজ করতে হবে । এগিয়ে গিয়ে দুটো গাছ বেছে নিলাম। 

তুমি যেই দুটো বেছে নিয়েছো একটা হলো আর্মি অফ ফরেস্ট আর সেলফ জোন। আর তোমাকে আমি গিফট দেবো বলেছি তাই তোমার হোয়াইট শিল্ড এর শক্তি আমি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছি এবং তুমি দিনে দুই থেকে তিনবার এটা ব্যবহার করতে পারবে । আর যত শক্তিশালী হবে এটা আরো বেশি ব্যাবহার করতে পারবে। এবার চোখ বন্ধ করো দরজার কথা মনে করো।

আমি - গেটের কাছে এসে শুয়ে পড়লাম, কারণ এনার্জি বলে আর কিছু নেই , অন্যান্য টেস্ট গুলো কমপ্লিট করে শেষে নিজের শরীর পুরো রিকোভার হয়ে যায় শেষ করে । কিন্তু এটার বেলায় কিছু হলো না । তাই কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম। অনেক কিছু জেনেছি , কিং অফ ম্যাজিক হুম ,, হালকা হেসে উঠলাম তারপর ঘুমের দেশে । 
আরভিন - হ্যা মাস্টার আমি চেষ্টা করে যাবো , আমি শুধু এগিয়েই যাবো ।))

এটা ভাবার সাথে সাথে নিজের মধ্যে কি একটা হলো , আসতে আসতে উঠে দাড়ালাম , আমি যেনো নিজে মধ্যে নেই , যেনো আমার শরীর আমাকে কন্ট্রোল করছে , পুরো শরীর জুড়ে সবুজ এনার্জি বের হচ্ছিল ঠিক এক প্রকার বেরিয়ার এর মত , হাতে একটা ফায়ার বল আর অন্য হাতে গ্রিন এনার্জি দিয়ে বানানো একটা বল নিয়ে দুটো মিশিয়ে নিলাম , বলটার সাইজ অনেক টা বেড়ে গেলো এবং সেখান থেকে মারাত্মক এনার্জি বের হচ্ছিল তারপর ,,,,,
      বল টা ছুড়ে মারলাম আসে পাশের যত জায়গা আছে সবই কিছুক্ষনের মধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলো। ঠিক সেই সময় আবারও আওয়াজ টা শোনা গেলো তিনশো তিয়াত্তর টা বিস্ট হত্যা করে ফেলেছি । নিজেই অবাক হয়ে গেলাম এখুনি এত মেরে ফেললাম তারমানে আসে পাশে অনেক ছিল যেগুলো অদৃশ্য হয়ে আছে ভালো ভাবে স্টোন গুলো ও খুঁজতে খুঁজতে আরো কিছু বিস্ট সামনে পড়ে ছিল তাদের হত্যা করে ফেললাম । এভাবেই সব হত্যা করে আমি বসে ছিলাম তখনই আওয়াজ টা আবার শোনা গেলো ,  

তুমি তোমার টেস্ট কমপ্লিট করে ফেলেছ , তাই তোমাকে প্রথম জায়গা তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , সেখান থেকে তুমি তোমার স্কিল নিয়ে নিতে পারো ওখানে তিনটে স্টোন আছে সবুজ রঙের দুটি চুস করে নেবে ।

আরভিন - আমি সেই পাহাড়ের চূড়ায় নিজেকে পেলাম যেখানে দরজা গুলো ছিল তবে এখন একটাই গেট আছে যেটা ওই দরজা গুলোর মধ্যে প্রথমে ছিল , তারমানে এটাই ছিল বের হবার এটা যদি চুস করে নিতাম এত মার খেতে হতো না , তবে এটা চুস করে নিজেকে শক্তিশালী লাগছে । যাইহোক ঐতো স্টোন গুলো দুটি চুস করে নিলাম তখনি আওয়াজ হলো আবার ,,

তোমার স্কিল গুলি হলো ,,, ডেথ টর্নেডো আর এয়ার ব্লেড। তুমি দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেই পৌঁছে যাবে তোমার জায়গায়।

আরভিন - দরজা দিয়ে ঢুকে বেরিয়ে পড়লাম, পাশ ফিরতেই দেখি নীল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।সঙ্গে সঙ্গে কাছে গিয়ে দেখি না ঘুমাচ্ছে তাই ওকে না দেখে আমিও ওর পাশে শুয়ে পড়লাম কারণ আমিও খুবই ক্লান্ত ।

আমি - ঘুম থেকে উঠেই দেখি আরভিন পাশে শুয়ে আছে , তারমানে ও ওর টেস্ট সম্পূর্ণ করে ফেলেছে । তাই বসে থাকলাম ওর ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষায় । ওর ঘুম ভাঙতেই দুজনে নিজেদের টেস্ট নিয়ে আলোচনা করলাম বুঝলাম দুজনেই অনেক চেষ্টা করেছি , ঐভাবে আলোচনা করতে করতে আমরা তারপরের লাল দরজায় প্রবেশ করলাম , যেখানে মাত্রারিক্ত গরম ছিল মনে হচ্ছিল আমরা আগুনের মধ্য দিয়ে হেঁটে চলেছি , ওখানে প্রায় একশো মনস্টার ছিল , যাদের সাথে লড়ায়ে আমরা প্রচুর পরিমাণে মার খেয়েছি একসময় তো মনে হয়ে ছিল এটাই শেষ কিন্তু পরে আরভিন এর সাহায্যে আমরা এটা শেষ করে ফেলেছিলাম , আরভিন এর ওয়াটার ডোমেইন এর জন্য আমরা অনেক টা এগিয়ে গেছিলাম কারণ এখানে থাকা গরম হাওয়ার জন্য মনস্টার গুলো শক্তিশালী ছিল কিন্তু ওয়াটার ডোমেইন এর জন্য তাদের শক্তি কমে গেছিলো , বলা বাহুল্য আরভিন এর জন্যই এটা আমরা শেষ করে ফেলেছি। যেহেতু আমরা দুজন ছিলাম তাই দুজনে একটি একটি করে স্কিল পেয়ে ছিলাম। আমরা তাই বাইরে বসে অনেক্ষন ধরে আলোচনা করে যাচ্ছি যে শেষ দরজায় যাবো কি যাবো না , কারণ সব কটা দরজায় প্রায় কিছু না কিছু দিক থেকে অনেক ভয়ংকর ছিল আর আমাদের জানা আছে এই দরজা টা কেমন তাই রিস্ক নেবো কি না এটা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। 

আরভিন - আমার মন বলছে না যাওয়ায় ভালো তবে আমরা না গেলে আবার সেই লড়াই ই করতে হবে রীউক এর সাথে আর ওই দরজার ভিতরেও কোনো না কোনো ভাবে আমাদের লড়াই তো করতেই হবে । 

আমি - হ্যা এটা ঠিক , আর ভাবার দরকার নাই যা হবার হবে , চলো যায়। দুজনেই রেডী হয়ে দরজার মধ্যে প্রবেশ করলাম , তারপর,,,,,,,

অন্যদিকে মিও ম্যাম আর বসে ছিল না সে নাঈম কে একটা সুরক্ষিত জায়গায় রেখে , তাকে কিছু কাজ বুঝিয়ে বেরিয়ে ছিল কিছু কাজের জন্য , তবে এডোয়ার্ড ও বসে ছিল না তাই সেও সবাই কে খোঁজার চেষ্টা করছিল এবং সে কোনো ভাবে মিও ম্যাম এর কাছে পৌঁছে গেছিলো , এখন তারা মুখোমুখি আবার ,,,,,,

এডোয়ার্ড - ভেবে ছিলাম আর হয়তো দেখায় হবে না মিস,,

মিও - আমার নাম মিও ,, আর দেখা তো হবারই ছিল একদিন না একদিন। দুর্ভাগ্যবশত আজকেই সেই দিন হাহা।

এডোয়ার্ড - হ্যা এটা দুর্ভাগ্যই বটে তোমার। সাক্ষাৎ মৃত্যুর সামনে দাড়িয়ে আছ বলে কথা, মুখে শয়তানি হাসি দিয়ে।

মিও - দুর্ভাগ্যবশত কথাটি তোমার জন্য বললাম। কারণ তোমার শেষ দিন আজ কেই , তবে তোমাকে শেষ করার আগে কিছু জানতে চাই আশাকরি উত্তর গুলো পাবো।

এডোয়ার্ড - অবশ্যই অবশ্যই , এমন প্রতিদ্বন্ধী তো সচারাচর পাওয়া যায় না তাই প্রশ্ন করো কি জানতে চাও ? আমি যাহা বলিব সত্যিই বলিব হাহাহা।

মিও - হেসে নাও হয়তো হাসার জন্য পরে শরীরে আত্মা নাও থাকতে পারে। 

এডোয়ার্ড - তোমার এই অ্যাটিটিউড আমার খুব পছন্দের , তাই তোমাকে মারতে আমার খুব ভালো লাগবে । নাও শুরু করো।

মিও - ওই যে ছেলেটা তোমাকে মুক্ত করলো কে সে আর সে এখন কোথায় ??

এডোয়ার্ড - হাহাহা গুড কোয়েশ্চন। প্রথমত ছেলেটা ছিল আমার একটা গুটি , যেটা আমি অনেকদিন আগে থেকে চেলে চলেছি এবং আমার কাজ করিয়ে নিয়েছি কিন্তু আফসোস বোকা টা বুঝতেই পারেনি হাহা। অনেক কাজের ছেলে ছিল ।

মিও - ছিল মানে ?

এডোয়ার্ড - হ্যা ঠিকই ভাবছো এখন আর নেই হাহাহা। ছেলেটা কে আমি পেয়ে ছিলাম ওহহ সরি ছেলেটি আমাকে পেয়েছিল একটা জঙ্গলের মধ্যে যেখানে আমাকে শিল্ড করা হয়েছিল যেই পাথরের মধ্যে ওটা ওই জঙ্গলেই ছিল , আমাকে শিল্ড করার পর আমার কিছু মনে ছিল না কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার ঘুম ভেংগে যায় তারপর আমি ওই জঙ্গলে নিজেকে পাই যদিও আমি তখন পাথরের মধ্যেই শীল হয়ে ছিলাম কিন্তু তবুও আমি আসে পাশের সব কিছু অনুভব করতে পারছিলাম । অর্থাৎ আমি কথা বলতেও পারছিলাম শুধু ওখান থেকে বের হতে পারছিলাম না কারণ আমার চাবির প্রয়োজন ছিল । তো আমি ওই ছেলে কে খুজে পাই একদিন সে অনেক ছোট ছিল বয়স দুই থেকে তিন হবে , ছেলেটি শক্তিশালী ছিল কিন্তু খুব না , সে আমাকে সিল করা পাথরে ঠেস দিয়ে শুয়ে ছিল তখনি তার সাথে কথা হয় এবং তার সমন্ধে জানতে পারি । তার অতীত খুবই কঠিন ছিল যেটা আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছিল । ছেলেটি কে তার বাবা মা তাড়িয়ে দিয়ে ছিল তবে সেক্ষেত্রে তার বাবা কেই সে দায়ী করে ছিল কারণ তার মা সেটা চাইনি কিন্তু সে কিছু করতেও পারেনি । তাই ছেলেটির অনেক ক্ষোভ জমা ছিল মনের মধ্যে যেটা আমাকে সে শুনিয়ে ছিল এবং আমি তাকে আশ্বাস দিয়ে ছিলাম যে তার প্রতিশোধ আমি নেবো । তার বদলে তাকে কিছু করতে হবে ব্যাস, ছেলেটি তার নতুন জীবন শুরু করে ছিল তারপর থেকে আমাকে মুক্ত করার জন্য সে অনেক কিছু করেছে , ছেলেটির নাম ছিল মেলন বাক।

মিও - নাম টা শুনেই বুকটা কেঁপে উঠলো,, ক,, ক কি বললে নাম টা ?

এডোয়ার্ড - মেলন বাক , যদিও সে তাকে মিল বলে ডাকতে বলেছিল কারণ সেটা নাকি তার মা তাকে বলে ডাকতো। 

মিও - চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে এলো। সেই অতীত আবার ও সামনে । যেটা জেনে শুনেও কিছু করতে পারিনি আমি । এটার জন্যই এক ভাবে আমি আমার বোন কে হারিয়েছি । ড্রিয়েন বাক তোমার জন্য অনেক কিছুই হয়েছে এর শাস্তি তোমাকে একদিন পেতে হবে।

চলবে ,,,,,,


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.