পার্টঃ১৩
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
.
--তাহলে আমাদের টিমের সবাইকে ডাকো এখানে?(আমি)
.
--সেটার জন্য আমাদের নিচে যেতে হবে।(অনু)
।।।
।।।
অনু ওর ভুতুরে ক্ষমতা ব্যবহার শুরু করলো। আমার হাত ধরে ফ্লোরের নিচে নামতে শুরু করলো। নামতে নামতে একদম মাটির নিচের শেষ রুমে চলে আসলো অনু।
.
--আচ্ছা আমার পরিবার কি আমাকে আর কখনো চিনতে পারবে না?(আমি)
.
--তুমি নিজের অস্তিত্বটাকে দান করে দিয়েছো জাদুর বিনিময়ে। আর সেটার জন্যই তোমার পরিবারের কেউ তোমাকে আর চিনবে না। তাদের কাছে হৃদয় বলে কেউ ছিলোই না। তোমার অস্তিত্ব একদম শুরু থেকে মিটে গিয়েছে।(অনু)
.
--তাহলে কেউই আমাকে চিনবে না যারা আমাকে চিনতো?(আমি)
.
--না। এটাই তো সবচেয়ে বড় কোরবানী তোমার কাছে।(অনু)
.
--কে বলছে আমি এটাকে এখনো ঠিক করতে পারবো।(আমি)
.
--ভুলেও এমন চেষ্টা কইরো না। তাহলে জাদুর আরো ঋণ তোমার উপরে পরে যাবে তখন হয়তো তোমাকে তোমার ক্ষমতা দিয়ে সেটা শোধ করতে হবে।(অনু)
.
--কিন্তু আমি বাসার সবাইকে খুব মিস করতেছি। সেই সাথে নিলাকেও।(আমি)
.
--এখানে শুধু তুমি একা নও যে সবাইকে মিস করে। ব্লাক নাইটের সৈন্যরা আমার কাছ থেকে আমার বাবা মা আমার বাড়ি এমনকি পুরো ইউনিভার্স কেড়ে নেই। শেষে নিজের ভাইকেও আমাকে হারিয়ে একা থাকতে হয়েছিলো এক সময়ে আমার জীবনে হাসান আসে। সব কিছু ভালোই যাচ্ছিলো তখন বুঝতে পারলাম হাসানও আমার ভাইয়ের ক্ষমতাধারীদের মধ্যে একজন। তারপরও পিছু ফিরি নি। কিন্তু শেষে হাসানকেও আমাকে হারাতে হলো। আমার জীবনে ভালোবাসার কাছের যেসব মানুষ ছিলো আমি সব গুলোকেই হারিয়েছি। সবাইকে মিস করার কথা আমার।(অনু)
.
--আমি দুঃখিত।(আমি)
.
--হু। এটাই আমাদের টেলিপোর্টেশন ডিভাইস। এটা দিয়েই আমাদের টিমের বাকি সাত জনের সাথে সাক্ষাত করতে পারবো।(অনু)
.
--আমাদের টিমে কি ৯ জন?(আমি)
.
--উহু। আরো একজন আছে যাকে আমরা এখনো খুজে পাই নি।(অনু)
.
--তাহলে তাকে খুজতে হবে। চলো আগে তাকে খুজে আসি।(আমি)
.
--এটা এতোটাও সহজ নয়। আমরা এতোদিন এটা নিয়েই কাজ করছিলাম। তিথির কাছে ক্ষমতা ছিলো ভবিষ্যৎকে দেখার। ভবিষ্যতের হালকা ইমেজ সে দেখতে পারতো। আর সেটা দিয়েই আমরা এই ৭ জনকে খুজে বের করি। কিন্তু বাকি একজনকেই আমরা খুজে দেখতে পারি নি।(অনু)
.
--কে কে আছে আমাদের টিমে?(আমি)
.
--তাদেরকে দেখলেই বুঝতে পারবে।(অনু)
.
--তাহলে কি তাদেরকে এখানে আনবে এখন?(আমি)
.
--না বরং আমরা তাদের কাছে যাবো।(অনু)
.
--ঠিক আছে চলো।(আমি)
।।।।
।।।।
অনু ডিভাইসটা অন করলো। সাথে সাথে একটা পোর্টাল চালু হয়ে গেলো। আমরা পোর্টালের মধ্যে দিয়ে সোজা একটা বিরান জায়গায় চলে আসলাম। জায়গাটা একদম মরুভূমির থেকেও খারাপ। এতো গরম এখানে আর শ্বাস নেওয়াও অনেক কষ্ট এখানে। জায়গাটা কোথায় আমি ঠিক বলতে পারবো না।
.
--আমরা মনে হয় ভুল সময়ে এখানে চলে আসছি। রাতের সময় আসার দরকার ছিলো।(অনু)
.
--এটা কোন জায়গা?(আমি)
.
--এই গ্রহের নাম সাইক্লিং। এটা এনাস্টা ইউনিভার্সের একটা গ্রহ।(অনু)
.
--আচ্ছা একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো?(আমি)
.
--হুমমম?(অনু)
.
--মাল্টিভার্স মানে কি?(আমি)
.
--মাল্টিভার্স হলো অনেক গুলো ইউনিভার্স। এই যে ধরো আমরা এখন যে ইউনিভার্সে ছিলাম সে ইউনিভার্স ছেড়ে এখন পুরো নতুন ইউনিভার্সে চলে আসছি। মোট কথায় আমরা নতুন একটা দুনিয়ায় চলে আসছি। এখানেও এ্যাস্টার ইউনিভার্সের মতোই সব গ্রহ নক্ষত্র আছে। শুধু পার্থক্য জীবন আর বাচার ধরন।(অনু)
.
--এই গ্রহের অবস্থা এমন কেনো আমার তো শ্বাস নেওয়াতেও সমস্যা হচ্ছে।(আমি)
.
--এই গ্রহটা আগে খুব সুন্দর ছিলো। এখানের বাসিন্দারা আরামে এবং সুখে বাস করতো এখানে। চারিদিকে গাছপালা ভরপর ছিলো। কিন্ত নিরাম্বার সৈন্যরা এই গ্রহের সব গুলো জীবন্ত প্রানীদেরকে আস্তে আস্তে কনজিউম করতে শুরু করে। তারপর থেকেই এই গ্রহে শুধু তারা বাস করতে শুরু করে।(অনু)
.
--নিরাম্বার সৈন্যরা এখানে কিভাবে?(আমি)
.
--নিরাম্বাকে আটক করার পর তার সৈন্যরা অনেক দুর্বল হয়ে পরে। তাই তারা ভয়ে আমাদের ইউনিভার্স ছেড়ে আশে পাশে ইউনিভার্স গুলোতে সাহায্য নিতে শুরু করে। আর তারা যে গ্রহটাকে সবচেয়ে দুর্বল মনে করতো সেখানের সবাইকে কনজিউম করে নিজেরা শক্তিশালী হতো এবং সে গ্রহটাকে নিজেদের করে নিতে। এই গ্রহতেও তারা হামলা করেছিলো। দেখতে দেখতে সবাইকে মেরে ফেলে নিরাম্বার সেনারা।(অনু)
.
--তাহলে আমরা এখানে কি করছি?(আমি)
.
--কিন্তু সবাইকে মারা কি আর এতো সহজ। এই গ্রহতেও একটা জায়গায় বেচে ছিলো হাজার হাজার মানুষ। আর সেটা হলো এই গ্রহের মাটির নিচের দুনিয়া।(অনু)
.
--আমরা যে বাইরে এভাবে হাটছি এটা যদি নিরাম্বার সেনাদের কানে যায় তাহলে আমাদের ও তো কনজিউম করবে তারা।(আমি)
.
--উহু।।। এতো সহজ নাকি। চলো আমাদের জায়গা চলে আসছে।(অনু)
।।।।
।।।।
সামনে একটা বিশাল গাছ দেখতে পেলাম। এইপুরো মরুভূমির মধ্যে একটা গাছ দেখতে পেয়ে অনেক শান্তি লাগলো মনের মধ্যে। গাছের নিচে একজন বসে আছে। হাতে একটা বাশের বাঁশি। অনুকে দেখে সে উঠে আসলো।
.
--তোমাদের অপেক্ষায় করছিলাম। এই গ্রহতে থেকে থেকে অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি। সব soul hunter গুলেকে হান্ট করতে করতে তো সবাই শেষ হয়ে গেছে। সাথে তো আজকে নতুন কাউকে নিয়ে আসছো এইটা কে?(লোকটা)
.
--এটাই আমার ভাইয়ের আসল রূপ(অনু)
.
--ওওও। ভালো লাগলো আপনার সাথে দেখা করে। আমি হিমারো।(হিমারো)
.
--আমি প্রিন্স নিয়াক। তো তোমার ক্ষমতা কি?(আমি)
.
--আমি soul hunter দের হান্টার। তারা আমাদের soul গুলোকে কনজিউম করে আর আমি তাদের গুলোকে কনজিউম করি।(হিমারো)
.
--ওওওও।(আমি)
.
--তাহলে যাচ্ছো তো আমাদের সাথে?(অনু)
.
--হ্যা অবশ্যাই।(হিমারো)
.
--এখন কোথায় যাবো?(আমি)
.
--আরেকজনের কাছে।(অনু)
।।।।।।।
।।।।।।।
সেখান থেকে আমরা চলে আসলাম আরেকটা ইউনিভার্সের একটা গ্রহতে। টেলিপোর্ট হয়ে সোজা একটা বাসায় চলে আসলাম আমরা তিন জন। সেখানে আসার সাথে সাথেই হঠাৎ মনে হলো আমাদের সময় আটকে গেছে। কিছুতেই নরতে পারছিলাম না। সব ঠিকই চলছিলো। কিন্তু আমরা নরতে পারছিলাম না। সামনের সোফায় বসা এক লোক ছিলো। সে বসে বসে টিভি দেখছিলো।
.
--খুব সহজ না জিনিস গুলোকে এভাবে আটকে রাখা? আমার বাসায় চুরি করতে আসলে এমনি হয়।(লোকটা বলতে বলতে আমাদের দিকে ঘুরলো)
.
--আমাকে মাফ করে দাও অনু। আমি একদম বুঝতে পারি নি হঠাৎ করে তুমি চলে আসবে এভাবে আমার বাসায়।(লোকটা আমাদের ছেড়ে দিয়ে বললো)
.
--তোমার কাছে এটা আশা করি নি ডুইন।(অনু)
.
--সরি আবারো। আসলে তুমি তো জানোই আমার নামে কতগুলো পুলিশ কেস হয়ে গেছে তাই সতর্ক থাকতে হয়।(ডুইন)
.
--তাহলে তুমি সব কিছু আটকে রাখতে পারো।(আমি)
.
--হ্যা। আর তোমরা দুজন কে। আগের বার তো হাসান আসছিলো।(ডুইন)
.
--আমি প্রিন্স নিয়াক। আর ও হিমারো।(আমি)
.
--নিয়াক আমার ভাইয়ের আসল রূপ।(অনু)
.
--তাহলে শেষ মেষ ১৫ জন একজন হয়েই গেলো।(ডুইন)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--তো অনু এখন কি আমাকে পুলিশদের থেকে বাচাতে আসছো এখান থেকে?(ডুইন)
.
--হুমমম নিয়ে যেতে আসছি(অনু)
.
--আমিও রেডি। এখানে পুলিশের ভয়ে বসে থাকতে পারবো না।(ডুইন)
.
--কি করছিলে যে পুলিশের ভয়ে আছো এখন?(আমি)
.
--আসলে পুলিশ কমান্ডারের মেয়ে আমার গফ। একদিন ওর বাসায় ডেটে গিয়েছিলাম। সেদিন ওর বাবার বাসায় থাকার কথা ছিলো না। কিন্তু চলে আসে তাই আমি তাকে আটকে দিয়ে সেখান থেকে চলে আসছি। পাচদিন ভয়ে ছিলাম তাই ফোন টোন বন্ধ রাখছিলাম। কিন্তু পাচদিন পর মনে পরেছিলো সে আমি তো আমার হবু শ্বশুরকে আটকে দিয়ে আসছিলাম। তারপরে আর কি হবু শ্বশুর এখন আমার জানের উপরে পরে আছে। পাচদিনের সকালের নাস্তা একদিনে বের করে ফ্লোর নষ্ট করে ছিলো আমা জন্য। আর সেটার প্রতিশোধ আমার জীবন দিয়ে নিবেন তিনি।(ডুইন)
.
--হাহাহাহা। সকালের নাস্তা মানে কি?(হিমারো)
.
--ঔসব জিজ্ঞেস করতে হয়না।(ডুইন)
.
--হাহাহাহাহা।।।।।(আমি)
।।।।।
হঠাৎ আমার মাথা ব্যথা শুরু হলো। আর আমি চোখ বুঝে ফেললাম। আমার সামনে হঠাৎ করেই ভবিষ্যতের কিছু দৃশ্য চলে আসলো। আমি দেখতে পেলাম আমরা পানির নিচের কোনো রাজ্যে আছি। এমন একটা জায়গা যেখানে রয়েছে অসংখ্য জলপরী। আর সেখানে আমরা কারো জন্য বসে অপেক্ষা করছি। একটু ভালো করে দেখে বুঝতে পারলাম সেই জায়গাটা এই ইউনিভার্সেরই পৃথিবীতে।
.
--কি হলো ঠিক আছো তুমি?(হিমারো)
.
--অনু আমাদের টিমে কি এমন কেউ আছে যে পানিতে থাকে জলপরী নিয়ে?(আমি)
.
--না।(অনু)
.
--তাহলে মনে হয় আমি আমাদের টিমের শেষের জনকে খুজে বের করেছি।(আমি)
.
--কোথায়?(অনু)
.
--এই ইউনিভার্সের পৃথিবীতে।(আমি)
.
--তাহলে এখনি সেখানে যাওয়া যাক।(অনু)
।।।।
।।।।
তখনি সাথে সাথে আমরা চারজন টেলিপোর্ট হয়ে চলে আসলাম এই ইউনিভার্সের পৃথিবীতে। যেখানে আমরা এসে পুরো অবাক হলাম। কারন একদম আমাদের মতোই এই পৃথিবীটা। তেমন কোনো চেন্জ নাই এখানে। কিছুই বুঝতেছি না এখানে কি করবো এখন। ভালো করে আর তো কিছু দেখলাম না। আরো কিছু দেখার প্রয়োজন ছিলো মনে হয় আমার। এখন শেষের জনকে খুজে বের করবো কিভাবে।
।।।
।।।
আমি আরেকটা ইমেজ দেখতে পেয়ে আমরা সোজা চলে আসলাম ভারতের Goa তে। সেখানের একটা সমুদ্র সৈকতের পাশে এসে দাড়ালাম আমরা। তারপর হঠাৎই একটা জিনিস দেখে আমি সহ সবাই অবাক হয়ে গেলাম। কারন আমার সামনে ঠিক আমার মতো চেহারার কেউ দাড়িয়ে আছে। ঠিক আমার মতো দেখতে। আর সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো আশে পাশের সব কিছু থেমে গেছে। আর আমার মতো দেখতে লোকটার চোখ দিয়ে সাদা আলো বের হচ্ছিলো। আর সে আকাশে উড়ছিলো। আমি এটা দেখে ডুইনের দিকে তাকালাম।
.
--আমি কিছুই করি না। আমি একসাথে এতোকিছু আটকাতে পারি না।(ডুইন)
.
--তাহলে সব এই লোকটা করছে। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক শক্তিশালী এই লোকটা।(আমি)
.
--আমি জানি তোমরা এই গ্রহের নও কেউই। অন্য কোথাও থেকে টেলিপোর্ট হয়ে এসেছো এখানে। তাই আগেই বলে দি খারাপ কোনো ভাবনাও যদি মনের মধ্যে থাকে তাহলে পৃথিবী ছেড়ে এখনি চলে যাও। নাহলে আমার তলোয়ারের আঘাতে মরতে হবে।(লোকটা এটা বলে হাত মুঠো করলো আর সাথে সাথে তার হাতে আগুনের মতো লাল জলন্ত একটা তলোয়ার চলে আসলো)
.
--আমরা এখানে কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে আসি নি। বরং আমরা তোমার কাছেই সাহায্য চাইতে এসেছি।(অনু)
.
--সাহায্য??? আমাকে কি চিনো তোমরা?(লোকটা)
.
--না। এখানে আমাদেরকে আমাদের ভবিষ্যতের ইমেজ নিয়ে এসেছে। আর আমাদের এখানে আসার কারন অনেক বড় ঝামেলার কারনই।(অনু)
.
--তাহলে তো আস্তে আস্তে শুনতে হয় সেগুলো।(লোকটা)
.
--নাম কি তোমার?(ডুইন)
.
--অনেক পরিচয় আছে আমার। কোনটার নাম বলবো?(আমি)
.
--সবগুলোই বলো।(হিমারো)
.
--এতো শুনে কি করবে। আমি রাজা হৃদয় টিটান। কিংবা বলতে পারো রাজা হারকিউমাস।(লোকটা)
।।।।
।।।।
আমি এখন খেয়াল করলাম আমি এতোক্ষন অদৃশ্য ছিলাম। আর তাতে লোকটা আমাকে দেখতে পারে নাই। সবাই অবাক হয়েছে। সেই সাথে আমি বেশী। কিন্তু যখন আমি আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হলাম তখন লোকটাও আমাকে দেখে অনেক অবাক হয়ে গেলো।
.
--হৃদিতা আমার সাথে চারজন মানুষ আছে। সবাইকে টেলিপোর্ট করে জলপুরীতে নিয়ে আসো।(লোকটা বললো হৃদিতাকে। হৃদি তো আমার পৃথিবীতে আমার বোন ছিলো। তাহলো নিশ্চয়ই এখানেও এই লোকটার বোনই হবে যেহেতু আমাদের চেহারা একই রকম)
.
--ভয় পাবেন না কেউ সামনের দৃশ্যগুলো দেখে।(লোকটা)
।।।।।
।।।।।
সাথে সাথে আমার টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম। কিছুই আমার বা আমাদের মাথায় আসছে না। জানি আপনাদেরও মাথায় কিছু যাচ্ছে না। তবে যারা জলপরীর প্রেমে পড়েছেন তাদের জন্য একটু সুখবর। কারন সেই গল্পের একটা পরবর্তী সিকুয়েল হলো এই গল্পটা😊😊😊😊
।।।।।।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
।।।।।।