ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

কিং অফ ম্যাজিক পর্বঃ ৩১

Bangla Dub Novels
 ••••••••° কিং অফ ম্যাজিক °••••••••
✓✓   লেখক নীল আহমেদ 
✓✓ পর্ব ৩১✓✓
     (গল্পটি কাল্পনিক , বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই)

যুদ্ধের ময়দান এডোয়ার্ড তার বিশাল সেনা নিয়ে আলফেনিয়া রাজ্যের মধ্যে আছে । একটা বিশাল সিংহাসন এর উপর বসে আছে তার বিশাল সেনা, এবং দুই পাশে বেনোর্ড ও জ্যাকব নামের একজন দাড়িয়ে আছে । তাদের সামনে একাডেমি এর কিছু এজেন্ট ও সেখান কার স্টুডেন্টরা আছে । সবার সামনে মিও ও তার স্টুডেন্টরা আছে যথাক্রমে , হ্যারি নাঈম নীলি ক্যারি এলিসা লিও গ্রুথ মাইরা এরিয়েল কেভিন ও নাঈম । তারপরেই এডোয়ার্ড যুদ্ধের হাক দেয়, তার সেনারা এগিয়ে আসে আক্রমণ করতে । এদিকে বিশাল এক সেনার সামনে মাত্র কিছু জন ছাত্র ও এজেন্ট । তারপরেই আস্তে আস্তে অনেকেই আসতে থাকে বিভিন্ন রাজ্যের কিছু সেনা ও রাজা । তারপরেই যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথমে মিও দের ক্ষমতা বেশি দেখালেও আস্তে আস্তে এডোয়ার্ড এর সেনারা তাদের হারিয়ে দিচ্ছে কারণ এত সেনা তার যেখানে এদের সেনা ওদের হাফ। অন্যদিকে মিও এডওয়ার্ডের সাথে লড়ায়ে ব্যাস্ত। দুজনেই ভালই লড়াই করছে , প্রথমে এডওয়ার্ডের পাল্লা ভারী থাকলেও এখন মিও এডওয়ার্ডের ওপর ভারী পড়ছে । দেখতে দেখতে বিশাল সেনাদের কাছে আস্তে আস্তে সবাই হেরে যাচ্ছে ।হ্যারি নাঈমরা তাদের শক্তি ব্যবহার করার সময় তাও পাচ্ছে না , এমনকি কিছু কিছু সেনা এতই শক্তিশালী যারা অন্যান্য রাজা গুলোর উপর ভারী পড়ছে। মিও তাদের দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্ক হওয়ার কারণে এডোয়ার্ড তার ভয়ংকর কিছু স্কিল এর সাহায্যে মিও এর উপর হামলা করে যার ফলে মিও অনেক টা আহত হয়ে যায়। তখনি আসে ড্রিয়েন বাক সে এডওয়ার্ডের সাথে লড়াই শুরু করে কিন্তু প্রথম প্রথম সে এডোয়ার্ড কে হারাতে পারলেও একটা সময় এডোয়ার্ড তার শয়তানি শক্তির জন্য জিততে শুরু করে । তারপর মিও এগিয়ে আসে এবং দুজনে মিলে এডওয়ার্ডের সাথে লড়াই শুরু করে। একাডেমির কিছু ছাত্র এখন ভালো ভাবে লড়াই করছে অনেকেই মারা গেছে তো অনেকেই ভালো মত আহত হয়েছে । এলিসা লিও নীলি আর হ্যারি এখনো লড়াইয়ের মধ্য নিজেদের সেরা টা দিচ্ছে যেখানে নাঈম একাই তার সুপার ড্রাগন কিকের সাহায্যে চল্লিশজন সেনা কে উড়িয়ে দিচ্ছে । এভাবেই প্রায় অর্ধ দিন কেটে গেছে, এডওয়ার্ডের সাথে শক্তিশালী দুজনে লড়াই করলেও তার সাথে কোনো রকম সুবিধা করতে পারছে না তাই আপাতত বলায় যাচ্ছে এখানে এডওয়ার্ডের পাল্লা ভারী। 

এডোয়ার্ড - হঃ, প্রথমে তো ভাবলাম দুজনে ভালই শক্তিশালী এখন তো টিকতে পারছো না হাহা , ডার্ক স্কিল , ডার্ক ওয়েব, ব্যাবহার করে দুজনকেই বেধে ফেললাম । তারপর ইচ্ছে মত দুজনকে মারতে লাগলাম। 

মিও - এডওয়ার্ডের কাছে বিচ্ছিরি ভাবে মার খাচ্ছি । তাই নিজের পাঁচটা ক্লোন বের করলাম তারপর নিজেকে ছাড়িয়ে , হেল ফায়ার ব্যাবহার করলাম এডোয়ার্ড বেচেঁ গেলেও ওটা তার সেনাদের উপর লাগে যার ফলে তারা সেখানেই মারা যায় । আমি বুঝতে পারছি না এই এডোয়ার্ড এত শক্তিশালী হচ্ছে কি করে যত সময় যাচ্ছে আর এদিকে আমাদের এনার্জি যেনো কমে যাচ্ছে ।তখনি একটা কিছু আমার পিঠে এসে লাগে এবং সেটা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে বেরিয়ে যায় , এই আচমকা হামলা তে কিছু করার সুযোগ পেলাম না , মুখ দিয়ে রক্ত বমি হতে শুরু হলো। দেখি এডোয়ার্ড হাসছে। এবার হার নিশ্চিত প্রায়। তারপরেই একটা ডার্ক এনার্জি এসে লাগে আমি দূরে গিয়ে পরি। এডোয়ার্ড ড্রীয়েন কে তার সোর্ড দিয়ে আঘাত করে এবং আমার দিকে ফুল স্পিডে আসে সেই সোর্ড নিয়ে। আমার হাত পা যেনো জমে গেছে , এই ম্যাজিকাল রোপ যেটা এখনো শরীরের মধ্যে আছে ওটার জন্য আমার এনার্জি নষ্ট হচ্ছে আর আমাকে এক প্রকার প্যারালাইজ করে দিয়েছে যেটার জন্য এখান থেকে এগুতে বা পিছাতে পারছি না। চোখ বন্ধ করে ফেললাম জানি আর কিছু করার নেই ।অনেক্ষন অভাবে থাকার পর যখন দেখলাম আমার কিছু হয়নি তখন চোখ খুলে দেখি এডোয়ার্ড উড়ে অনেক দূরে গিয়ে পড়লো । তারপর দেখি আকাশ থেকে কিছু একটা পড়ছে নিচে যেটার চারিদিকে নীল রঙের এনার্জি ছড়াচ্ছে । সেটা যেখানে পড়ে প্রায় অনেক টা গর্ত সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং সেখানে থাকা এডওয়ার্ডের সেনারাও মারা গেছে , আস্তে আস্তে ধোঁয়া কেটে গেলে দেখি ওটা নীল।

আমি - যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশ করে দেখি আমাদের সবার হাল খারাপ অন্যদিকে ম্যাম কে এডোয়ার্ড মারতে যাচ্ছে তখনি উইন্ড কমান্ড ব্যবহার করে এডোয়ার্ড কে দূরে ফেলে দিলাম তারপরই হিরোর এন্ট্রি নিলাম নিজের চারিদিকে নীল এনার্জি এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিলাম তারপরে যেখানে এডওয়ার্ডের সেনারা বেশি আছে ওখানে ল্যান্ড করলাম সাথেই আসে পাশের প্রায় অনেক টা জায়গা ধ্বংস হয়ে যায় । আরভিন তুই বাকিদের সাহায্য কর আমি ওই এডোয়ার্ড কে দেখছি । বলেই এগিয়ে গেলাম এডওয়ার্ডের দিকে সেখানে ম্যাম কে ছাড়িয়ে হিল করে দিলাম।

মিও - তাহলে সব কমপ্লিট করে ফেলেছ । 

আমি - হুম,, 

এডোয়ার্ড - কে তুই ? বাচ্চা তোমার এখনো বয়স হয়নি আমার সাথে লড়াই করার ভালই ভালো বলছি,,,, বলার আগেই ছেলেটা কি একটা করলো আমি আবারও দূরে গিয়ে পড়লাম।

আমি - ফালতু বকার সময় নেই । আমি আবারও উইন্ড কমান্ড ব্যবহার করলাম । 


আরভিন - আমি নতুন স্কিল গুলো একেক টা ব্যবহার করতে লাগলাম এভাবে এডওয়ার্ডের অনেক সেনা মারা যেতে লাগলো তখনি নীলি আর এরিয়েল সামনে পড়লো।

নীলি - কোথায় ছিলে তোমরা এতদিন ? জানো কত চিন্তা হচ্ছিল ? বলেও তো যাওয়া যেত?

এরিয়েল - হ্যা , ঠিক বলছে নীলি । আর নীল কে আগের থেকে আলাদা লাগছে , কোথায় ছিলে বলো ?

আরভিন - আমরা বিশেষ একটা জায়গায় গেছিলাম ট্রেনিং এর জন্য সেখান থেকে এখানে এলাম আজই ।

নীলি - কেমন ট্রেনিং ? যে এই কদিনে এত শক্তিশালি হয়ে গেলে ? 

আরভিন - স্পেশাল বলতে পারো। 
 (মনে মনে  তোমাদের আর কি বলবো কি কি হয়েছে আমাদের সাথে , কতবার মরতে মরতে বেঁচে এসেছি )

যুদ্ধের আগের সময় , পঞ্চম জোন , শেষ দরজার মধ্যে ------

আমি - আরভিন চল , শেষ আরেক টা ট্রাই করে আসি ।

আরভিন - ট্রেনিং করে ক্লান্ত ছিলাম তাই রেস্ট নিচ্ছিলাম এবং পানি খাচ্ছিলাম তখনই নীল ওই কথা টা বললো সব পানি মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো তারপরেই  কাশি হতে শুরু হলো ।

আমি - কি হলো কি 

আরভিন - তুই বলছিস আবার যাবি ওই ইকারাস এর কাছে লড়াই করতে?

আমি - দেখ মরার ভয় হলে এখানে আসতাম না , আর শেষ মুহূর্তে এসে হার মানা যাবে না ।

আরভিন - মরার ভয় নিয়ে কথা না । এজে মারাত্মক লেভেলের শক্তিশালী একজন । দেখলি না কিভাবে দুজন কে মেরে কাবাব বানিয়ে দিল। এর হাতে মরার থেকে ওই এডওয়ার্ডের কাছে মরলে ব্যাথা কম । 

আমি - কেনো জানি মনে হচ্ছে এবার হারবো না । চল দেখে আসি , আমি যাবো তুই লুকিয়ে থাকবি যদি দেখিস হচ্ছে না তখন আমাকে নিয়ে পালিয়ে আসিস কোনো বুদ্ধি খাটিয়ে । 

আরভিন - যদি যেতেই হয় তাহলে লড়াই করতেই চল , অভাবে লুকিয়ে থাকা আমার দ্বারা হবে না । 

আমি - এইতো এতক্ষণ পর ক্যাপ্টেন এর মত কথা । চল,,,,,,
ওখানে গিয়ে ইকারাস আর দেখতে পেলাম না , লুকিয়ে আর লাভ হলো না তাই বেরিয়ে আসে পাশে দেখতে লাগলাম । কিন্তু কোথাও দেখা গেলো না , হঠাৎ আরভিন কেও দেখতে পাচ্ছি না কি হচ্ছে কোথায় গেলো ও এইতো ছিল । 

ইকারাস - আমি জানতাম ছেলে দুটো যাবে না ঠিক আসবে আবার। তবে একটু তাড়াতাড়ি চলে এসেছে ।একটা ছেলে কে ফুল স্পিডে গিয়ে কিক মেরে উড়িয়ে দিয়েছি । তখনি আর একজন তাকে এদিক সেদিক তাকিয়ে খুঁজছে । সুযোগ পেয়ে আমি আবার স্পিডে গেলাম । স্পেশাল মুভ স্পিড লাইটনীং , এটার জন্য স্পিড অনেক বেড়ে যায় সাথে যে পা দিয়ে কিক টা দেবো সেটা পুরো টা লাইটনিং দিয়ে ছেয়ে যায়। ফুল স্পিডে যাচ্ছি ছেলেটা অন্যদিকে চেয়ে আছে কাছে গিয়ে যেই মারতে যাবো ছেলেটা সেটা পিছন থেকে আটকে দিল এক হাত দিয়ে , তারপরই যখন মাথা ঘোরালো দেখে চমকে উঠলাম, সারা শরীর থেকে তার কালো এনার্জি বের হচ্ছে চোখ গুলোও পুরো তাই কালো , দেখতে ভয়ংকর লাগছে । তারপর মুখে হাসি,,,,,,,,

মিও - শোনো যুদ্ধের পরিকল্পনা , তোমরা প্রথমে তোমাদের বেস্ট দেবে কিন্তু একটা সময় এমন ভাবে থাকবে যেনো মনে হয় তোমরা কিছু করতে পারবে না আর ,,,,,, বুঝলে পরিকল্পনা টা ।

নাঈম - কিন্তু এতে কি হবে ?

মিও - ওরা যখন দেখবে ওরা জিতে যাচ্ছে তখন ই ভুল করবে তখনি বাকি এজেন্টরা তাদের কাজ করবে , তাছাড়া আমাদের দুটো ট্রাম কার্ড আছে মুখে হাসি নিয়ে।

নীলি - কারা ম্যাম?

মিও - রবার্ট , গ্যারি তোমরা হিল করবে যারা আহত হয়ে যাবে তাই তোমাদের সামনে থাকতে হবে না একটু লুকিয়ে থাকবে । রাইজিন তুমি হচ্ছো শেষ ভরসা , যখনই ইশারা দেবো তুমি তোমার কাজ করবে । তার আগে যায় হোক এন্ট্রি নেবে না । তাতে আমার কিছু হোক বা অন্যদের ।

রাইজিন - অন্যদের কে ভাবছে ডার্লিং আস্তে আস্তে বললাম।

মিও - আমি শুনতে পেয়েছি , তাই আস্তে বলো বা মনে মনে কোনো লাভ হবে না । আর তোমার অন্য চিন্তা নেই আর তোমাকে না বলেছি আমাকে এসব বলবে না ।

রাইজিন - আমিও দেখবো আর কতদিন না করো । বলেই চলে এলাম , এটা মেয়ে না অন্যকিছু সেই ছোট থেকে পিছে পরে আছি পাত্তা পর্যন্ত দিতে চাই না , ভালো লাগে না ধুর ।

হেলি - কি মনে হয় বাবা নীল পারবে ? 

বার্ন - আমার দাদু ভাইয়ের উপর পুরো ভরসা আছে । সে ঠিক পারবে। 

হেলি - তাই যেনো হয় ।

বার্ন - শুনলাম বাক নাকি যুদ্ধে থাকবে । 

হেলি - শুনেই মন খারাপ হয়ে গেল। বড়দা কে খুজে পাওয়া যায়নি? সে কি বেঁচে আছে এখনো ?

বার্ন - খুঁজেছি তো অনেক কিন্তু পাচ্ছি না , আর মারা গেলেও তো দেহ টা পাওয়া যাবে । সমস্ত শক্তি দিয়ে সে সবার উপকার করে গেছে তাই এখন পর্যাপ্ত শক্তির অভাবে সে হেরে গেলো নাহলে কিং এর কাছে ওই রকম দশটা এডোয়ার্ড ও কিছু না ।

হেলি - হুম , আমি কি যাবো যুদ্ধে ?

বার্ন - পাগল হইছিস ? একে তোর মধ্যে কোনো এনার্জি নেই তারপর ঐ মিও দেখলে আমাকে মারতে আসবে , আর তোর কিছু হলে নীলের কি হবে ভেবে দেখেছিস ? 

হেলি - হুম,, অনেক দিন দেখিনা ছেলে টা কে কেমন আছে না আছে ? ঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করে নাকি কি জানি ? আমি ছাড়া থাকতে পারে না অথচ দিব্যি এতদিন চলে যাচ্ছে । 

হেলি ,,, হে,,,,,

বার্ন - কারো আওয়াজ শুনে পিছন ফিরে দেখি ,,,, কি,, কিং আপনি এখানে এই অবস্থায় ।

হেলি - ছুটে গিয়ে তাকে তুলি , বড়দা কি হয়েছে এমন অবস্থা কেন?।

কিং - রাগ করে আছিস বোন? তোর জন্য কিছুই তো করতে পারিনি  , আবার দেখ এখন আমার সবথেকে বেশি দরকার অথচ আমার এই অবস্থা। 

হেলি - কি হয়েছে বলো ? বাবা আপনি ধরেন ভিতরে নিয়ে যায় ।


চলবে,,,,,,


إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.